বিনোদন Richest Actress: দেশের সর্বোচ্চ আয় করেন কোন নায়িকা? সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকারও বেশি! জানুন তাঁর লাইফস্টাইল Gallery March 4, 2024 Bangla Digital Desk ২০০৩ সালে শুরু তাঁর কেরিয়ার। অভিনয় জীবনের দুই দশক পর, আজ তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২২৩ কোটি টাকা। দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন এই নায়িকা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়নতারার বিলাসবহুল জীবন, তার মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়ি, বাড়ি, কোম্পানি এবং তারকার মোট সম্পদের পরিমাণ কত। সিনেমা-এ পর্যন্ত ৭৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন নায়িকা। প্রথমে মালয়ালম থেকে তামিলে যান তিনি। নয়নতারার তামিল ডেবিউ ছবি ছিল আইয়া এবং চন্দ্রমুখী। ২০০৬ সালে তাঁর তেলুগু ছবিতে অভিষেক হয়েছিল। এখন তিনি প্রতি ছবিতে ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান। বিজ্ঞাপন-বিখ্যাত গয়নার ব্র্যান্ড তানিষ্ক, পোথিস, ওয়াকমেট, টাটা স্কাই, দ্য লিপ বাম কোম্পানির মতো প্রায় ১০টি ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি৷ ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকে প্রায় ৫ থেকে ৭ কোট টাকা আয়। বিলাসবহুল যানবাহন-নয়নতারার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আটটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। ৩ কোটির মার্সিডিজ-বেঞ্জ মেব্যাক, ১.৮৪ কোটির BMW ৭ সিরিজ, ১.৩৭ কোটি টাকার বেনজ জিএলএস 350 ডি, ১.০৯ কোটি টাকার BMW X5, ৯৪.৫ লাখের অডি Q7, ৩৬.৩ লাখের Ford Endeavor C26 গাড়ি রয়েছে তাঁর৷ কয়েক বছর আগে নিজের ভ্রমণের প্রয়োজনে একটি প্রাইভেট জেট কিনেছিলেন নায়িকা। এই প্রাইভেট জেটের দাম প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। তিনিই একমাত্র দক্ষিণী নায়িকা যাঁর প্রাইভেট প্লেন রয়েছে৷ আল্লু অর্জুন, চিরঞ্জীবী, জুনিয়র এনটিআর, রাম চরণ এবং আক্কিনেনি নাগার্জুনের দক্ষিণ ভারতে ব্যক্তিগত জেট রয়েছে। বিলাসবহুল বাড়ি ও ফ্ল্যাট-হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, কেরালা এবং মুম্বই সহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক তিনি। নয়েনতারার পৈতৃক বাড়িটি কেরালার অন্যতম বিলাসবহুল সম্পত্তি। অন্য দুটি হায়দরাবাদের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা বানজারা পাহাড়ের আশেপাশে। চেন্নাইয়ের দুটি প্রশস্ত এবং বিলাসবহুল প্রাসাদ যেখানে নয়নতারা তাঁর স্বামী ভিগেনেশ শিবান এবং পুত্র উয়ের এবং উলাকার সঙ্গে থাকেন যার মূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। খবরে বলা হয়েছে, নয়নতারার মুম্বইয়ে একটি সি ভিউ ফ্ল্যাটও কিনেছেন। ব্যবসায়িক উদ্যোগ-নয়নতারার 9Skin, Femi 9 এবং প্রযোজনা সংস্থা রাউডি পিকচার্সের মতো বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক উদ্যোগও রয়েছে। বিনিয়োগ-দ্য লিপ বাম কোম্পানি, ডিভাইন ফুডস এবং চাই ওয়ালার মতো ব্র্যান্ডেও বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সুপারস্টার- গত ৩১ আগস্ট তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট শুরু করেন নয়নতারা। নয়নতারার বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে ৭.৮ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। এমনকি মালায়লাম সুপারস্টারদের ইনস্টাগ্রামে মামুটি (৪.৫ মিলিয়ন) এবং মোহনলালের (৫.৭ মিলিয়ন) চেয়ে কম ফলোয়ার রয়েছে।
জ্যোতিষকাহন Astro Tips: সংসারে ঘোর অশান্তি, টাকা পয়সার চরম টানাটানি! প্রতিকার পেতে সন্ধের পরে করুন এই কাজগুলি! সংসারে ফলবে সোনা Gallery February 20, 2024 Bangla Digital Desk প্রতিটি মানুষই কামনা করে যে তার ঘরে সুখ, শান্তি এবং সম্পদের অভাব না হোক। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন মা লক্ষ্মী খুশি থাকবে। এ জন্য প্রতিদিন লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত। কিন্তু সূর্যাস্তের পর কিছু কাজ করলে আপনার জীবনে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে ভরে যাবে। ঘরে সম্পদের অভাব হবে না এবং নেতিবাচক শক্তিকে নষ্ট করবে। আসুন জেনে নিন উন্নাওয়ের জ্যোতিষী পন্ডিত ঋষিকান্ত মিশ্র শাস্ত্রীর কাছ থেকে সন্ধ্যায় কী কী করা উচিত- প্রদীপ জ্বালান: জ্যোতিষীর মতে, সূর্যাস্তের পর বাড়ির প্রধান দরজায় প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এছাড়া বাড়ির গেটে তুলসী গাছ থাকলে তাতেও প্রদীপ জ্বালান। মনে রাখবেন যে এই সময়ে একজনকে দেবী লক্ষ্মীর কাছে সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করতে হবে। এতে করে জীবনের সমস্যা দূর হবে। নীরব থাকুন: পন্ডিত ঋষিকান্ত মিশ্রের মতে, সূর্যাস্তের পর কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করতে হবে। এতে করে পুজোর দ্বিগুণ উপকার পাবেন। এছাড়াও বাড়িতে কোনও ঝামেলা থাকবে না। পূর্বপুরুষদের প্রণাম: সন্ধ্যায় পূর্বপুরুষদের প্রণাম করতে ভুলবেন না। প্রণাম করার সঙ্গে সঙ্গেই তার ছবির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালান। এতে করে ত্রুটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। ঘুমানো এড়িয়ে চলুন: সূর্যাস্তের ঠিক পরে বা সূর্যাস্তের সময় ঘুমানো খারাপ বলে বিবেচিত হয়। এতে অর্থ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। শাস্ত্রে পুজোর জন্য সূর্যাস্তের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘর অন্ধকার রাখবেন না: সন্ধ্যার সময় ঘরে অন্ধকার থাকা খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই সূর্যাস্তের সময় ঘর অন্ধকার রাখা উচিত নয়। এই সময় ঘরের সব আলো জ্বালিয়ে রাখা ভাল। এটা করলে জীবনে উন্নতির পথ খুলে যাবে। এছাড়াও, মা লক্ষ্মী খুশি হবেন এবং আপনাকে আশীর্বাদ করবেন।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে বড়লোক শহর কোনটি? কলকাতা কত’তে? প্রথম নামটি তাজ্জব করে দেবে Gallery February 13, 2024 Bangla Digital Desk ২০১৪ সালে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বেরিয়েছিল। তাতে লেখা হয়েছিল, গোটা দুনিয়ায় মাল্টি-মিলিয়নেয়ারের সংখ্যার নিরিখে ভারত আট নম্বরে রয়েছে। মাল্টি-মিলিয়নেয়ার মানে এমন মানুষ, যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ অন্তত দশ মিলিয়ন, মানে এক কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে, আশি কোটির কাছাকাছি। ভারতে এমন ধনী বা অতি-ধনীর সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি বা ব্রিটেনের তুলনায় কম বটে, তবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া বা ফ্রান্সের থেকে বেশি। কিন্তু জানেন কি যে, আমাদের দেশে এই ধনী মানুষের সংখ্যা কত? এই ধনী ব্যক্তিরা কোথায় থাকেন? তাও আবার স্বপরিবারে। চলুন তাহলে সেই রাজ্য বা শহরগুলির নাম জেনে নেওয়া যাক। মুম্বই: দেশের সবচেয়ে ধনী শহর মুম্বই। এই শহরজুড়ে অন্তত ৩২৮ জনকে পাওয়া গেছে যাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ কোটি বা তার বেশি। এটা অবশ্য ২০১৯ সালের গণনা। এখন এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। অবশ্য মুকেশ আম্বানি বা শিল্পপতি ছাড়াও আরও অনেক সেলিব্রেটি রয়েছেন এই শহরে, যাঁদের ধনীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। নয়াদিল্লি: ধনী শহরের তালিকায় দ্বিতীয়েই আছে রাজধানী। প্রায় ২০০ জনের কাছাকাছি অতিধনীর বাস রাজধানী শহরে। এইচসিএল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার শিব নাদার থাকেন দিল্লিতে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা। বেঙ্গালুরু: ভারতের আইটি হাব বেঙ্গালুরুতেও ধনীদের ছড়াছড়ি। শহরের ধনীতম ব্যক্তি হলেন আরএমজেড কোরের গ্রুপ চেয়ারম্যান অর্জুন মেন্দার মোট সম্পত্তির পরিমাণ নয় নয় করে ৩৭ হাজার কোটি। হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে ৮৭ জন ধনী ব্যক্তির বাড়ি রয়েছে এবং তাঁরা ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। চেন্নাই: ধনী ব্যক্তিদের বসবাসকারী হিসেবে চেন্নাই রয়েছে পঞ্চম নম্বরে। এই শহরে ৬৭ ধনী ব্যক্তি বা সংস্থার প্রধান বাস করেন। আহমেদাবাদ: ৫৪টি পরিবারকে পাওয়া গেছে যাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ কোটির বেশি। কলকাতা: ধনীদের সংখ্যার নিরিখে দেশে সাত নম্বরে নাম রয়েছে কলকাতার। এখানে নয় নয় করে ৫১টি পরিবারকে পাওয়া যাবে যারা কোটিপতি। শহরের ধনীতম ব্যক্তি শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার বেনু গোপাল যাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কম করেও ৫৭ হাজার কোটি। এছাড়াও পুনে, সুরাত ও গুরুগ্রামেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অতিধনী পরিবারের বাস।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বিশ্বের সবচেয়ে বড়লোক দেশটি কোনটি বলুন তো? নাম শুনে মাথায় হাত দেবেন নিশ্চিত! ভারত কততে? Gallery February 4, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের কথা বললে সবার প্রথমে আমাদের আমেরিকা বা ব্রিটেনের মতো দেশগুলোর কথা মনে আসে। কিন্তু একটি দেশকে ধনী তখনই বলা হয়, যখন সে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের সর্বোচ্চ গড় আয় নির্ধারণ করা হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক — ২০২৩ সালের শীর্ষ ধনী দেশের তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে। সেখানে কোথায় রয়েছে ভারতের স্থান? আয়ারল্যান্ড : ২০২৩ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে ধনী দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আয়ারল্যান্ড। এই ছোট দেশটি ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠেছে। স্বল্প জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশটি এ অর্জন করেছে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এ দেশে বিনিয়োগ করেছে। লুক্সেমবার্গ : ২০২৩ সালের ধনী দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ তালিকার পরবর্তী দেশটি হল লুক্সেমবার্গ। খুব সামান্য ব্যবধানে আয়ারল্যান্ডের পিছনে রয়েছে এই দেশটি। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে এটি আয়ারল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে। এদেশে বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় ৭৩ লাখ টাকার বেশি। মানে এখানে একজন মানুষ দৈনিক ২০,০০০ টাকা আয় করেন। সিঙ্গাপুর : ২০২৩ সালের ধনী দেশের তালিকায় পরবর্তী নামটি হল সিঙ্গাপুরের। এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫৯ লাখ ৮১ হাজার। দেশটি বহু বছর ধরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এখানে প্রতিদিন একজন মানুষ ১৪ হাজার টাকার বেশি আয় করেন। কাতার : ২০২৩ সালের ধনী দেশের তালিকায় উপসাগরীয় দেশ কাতারের নামও রয়েছে। মানব উন্নয়ন সূচকের ভিত্তিতে, জাতিসংঘ কাতারকে একটি উচ্চ উন্নত অর্থনীতি দেশ বলে অভিহিত করেছে। এদেশে বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৫১ লাখ টাকার বেশি। বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাসের মজুদ এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রথম স্থানে থেকেও ধনী দেশের তালিকায় শীর্ষে নেই আমেরিকা। এই তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে এর GDP ৮০ হাজার ডলারের কাছাকাছি। তাৎপর্য বিষয় হল এই তালিকায় নেই চিন, রাশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নাম। এই তালিকায় প্রথম ১০-এ জায়গা পায়নি ভারত। তবে দ্রুত হারে বদলাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। তাই কয়েক বছরের মধ্য়েই তালিকায় ভারতের জায়গা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Rich Man: বারবার পড়তেন নতুন প্রেমে! কখনও লুকিয়ে, কখনও হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতেন, বিয়ে করেছেন ৬টি Gallery January 30, 2024 Bangla Digital Desk সফল মানুষদের জীবন সবসময়েই অনুপ্রাণিত করে৷ সেরকইম এক শিল্পপতি রামকৃষ্ণ ডালমিয়া৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে দেশের শীর্ষ শিল্পপতি ছিলেন রামকৃষ্ণ ডালমিয়া। সেলফ মেড ম্যান বলতে যা বোঝায় তাঁর সম্পর্কেও সেই বিশেষণটি একশ শতাংশ খাটে৷ পকেটে ছিল না কানাকড়ি সেই অবস্থা রাজস্থান থেকে কলকাতায় আসেন তারপর গড়ে তোলেন নিজের কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য। দালালির কাজ দিয়ে শুরু কিন্তু জীবনের পুরোটাই গোলাপ বিছানো পথ ছিল না৷ কাঁটার ওপর দিয়েও একাধিকবার হাঁটতে হয়েছে৷ ব্যবসায়ী হিসেবে সাফল্যে পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে ৬ বার বিয়েডালমিয়া তার জীবনে ১ বা ২টি নয়, ৬টি বিয়ে করেছিলেন। এসব নিয়ে প্রচুর গসিপ হলেও কোনও দিনই নিজের স্বাধীন জীবনযাপনকে বাধাপ্রাপ্ত হতে দেননি৷ নীলিমা ডালমিয়া অধর তাঁর “ফাদার ডিয়ারেস্ট: দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ আর কে ডালমিয়া” বইতে তাঁর বাবার বিয়ে এবং অনেক রোম্যান্স সম্পর্কেও লিখেছেন। তিনি বলেন “ বাবা নিজেকে রাজার চেয়ে কম মনে করতেন না, তাই তিনি একই রকম জীবনযাপনে বিশ্বাস করতেন। সেটা ক্ষমতার বিষয়ে হোক বা নারী সঙ্গ বিষয়ে।” খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়েডালমিয়ার প্রথম বিয়ে হয়েছিল খুব অল্প বয়সে। প্রথম স্ত্রী নর্মদার বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। কিন্তু মাত্র দুই-তিন বছরের মধ্যে নর্মদা মারা যান। এরপর তাঁর মা তাঁকে দ্বিতীয়বার দুর্গা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু এতে কিছু হয়নি, রেকর্ড সংখ্যক বিয়ে করে তিনি সকলকে অবাক করে দেন৷ এরপর বিয়ে করেন পাঞ্জাবি মেয়ে প্রীতমকেতার দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক বছর পর, রামকৃষ্ণ ডালমিয়ার জীবনে নতুন প্রেম আসে৷ প্রীতম নামের এক মহিলার প্রেমে পড়েন তিনি৷ আধুনিক আচার-আচরণ সম্পন্ন সুন্দরী পাঞ্জাবি মেয়ে। এমনকি গোপনে বিয়েও করেছেন। তিনি যখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী দুর্গা এবং তার পরিবারকে এই কথা বলেন, তখন অনেক বিরোধিতা হয়েছিল কিন্তু ডালমিয়া তাতে দমে যাননি৷ ডালমিয়া তাঁকে দিল্লিতে থাকার জন্য আলাদা বড় বাড়ি দিয়েছিলেন। তবে এই প্রেমের মেয়াদ বেশিদিন টেকেনি৷ তারপর আরও দুটি গোপন বিয়েএরপর পর পর আরও দুইজনকে বিয়ে করেন ডালমিয়া। নতুন স্ত্রীদের নাম ছিল সরস্বতী ও আশা। আশা বাঙালি ছিলেন। এই দুই বিয়েই হয়েছিল গোপনে। এখানেই থেমে থাকেননি ডালমিয়া। এরপরেও তিনি আরও এক মহিলাকে নতুন করে পছন্দ করেন৷ তিনি রাজস্থানের একজন উদীয়মান কবি ছিলেন। নাম ছিল দীনেশ নন্দিনী। দীনেশ নন্দিনীর বইটি ডালমিয়া ইনস্টিটিউট প্রদত্ত সাকসেরিয়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। পুরস্কার অনুষ্ঠানে ডালমিয়া তাঁকে প্রথম দেখেছিলেন এবং তাঁকে পছন্দ করেছিলেন। দুই বছর ধরে বিয়ের জন্য রাজি করানদু’বছর ধরে দু’জনের মধ্যে চিঠিপত্র লেখালিখি করত৷ ডালমিয়া তাঁকে বিয়ের জন্য বারবার বোঝাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হন৷ কিন্তু তিনি একটিই শর্তে যে এরপর সে বিয়েটা গোপন রাখবে। নীলিমা ডালমিয়া জানিয়েছেন, বেনারসে গঙ্গার ধারে ডালমিয়ার বাড়িতে গোপনে এই বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু মা যখন জানতে পারলেন যে এই বিয়েটা গোপনে হবে, তখন তিনি হতবাক হয়ে গেলেন। বিয়ের পরপরই ডালমিয়া তাকে লন্ডনে গিয়ে বসবাস করতে বলে কিন্তু আমার মা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন, তারপর তাকে দিল্লিতে একটি বড় বাড়ি দেওয়া হয়। ষষ্ঠ বিয়ের বিরোধিতাযখন এই ষষ্ঠ বিয়ে হয়েছিল, তখন এর বিরোধিতা হয়েছিল। ডালমিয়ার ছেলেমেয়েরা বেশ খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছিল৷ এতে তার ভাই ও মাও আপত্তি জানান। কিন্তু বিয়েটা আসলে আগেই হয়ে গিয়েছিল। আমি এক ইংরেজ মেয়ের প্রেমে পড়েছিলামডালমিয়া তাঁর ষষ্ঠ বিয়ের পর ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভমেন্ট শুরু করেন। যার জন্য তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে বহু দেশে গেছেন। তিনিও ভালো সাড়া পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ষষ্ঠ স্ত্রী দিনেশ নন্দিনীকে নিয়ে আমেরিকায় যান। সেখানে তাঁর হৃদয় এক ইংরেজ মেয়ের উপর পড়ে। নীলিমা তার বইয়ে লিখেছেন, আমেরিকায় তাঁর বাবার ফের এক ইংরেজ মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন। এই পর্বটি বেশিদিন চলেনি৷ নীলিমা ডালমিয়া অধর তাঁর “ফাদার ডিয়ারেস্ট: দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ আর কে ডালমিয়া” বইতে তাঁর বাবার বিয়ে এবং অনেক রোম্যান্স সম্পর্কেও লিখেছেন। তিনি বলেন “ বাবা নিজেকে রাজার চেয়ে কম মনে করতেন না, তাই তিনি একই রকম জীবনযাপনে বিশ্বাস করতেন। সেটা ক্ষমতার বিষয়ে হোক বা নারী সঙ্গ বিষয়ে।” বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ব্রিটিশ সরকার যখন রুপো সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করে, ডালমিয়ার ভাগ্য এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে তিনি যে কাজই শুরু করেন তাতে সাফল্য পেতে শুরু করেন। তিনি উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করেন যা ছিল স্বপ্নের মতো। ডালমিয়ার নাম পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে৷ ২০ থেকে ৪০-র দশকের মধ্যে দেশে ডালমিয়া শিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটে। দেশের আনাচে কানাচে খুলতে থাকে তাদের কারখানা ও অফিস। ডালমিয়া ইন্ডাস্ট্রি ইনসিওরেন্স, ব্যাঙ্কিং, মিডিয়া, কেমিক্যাল, অ্যাভিয়েশন, আয়রন, সিমেন্ট, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এবং ফুড আইটেম সহ অনেক সেক্টরে নিজের ব্যবসা বড় করেন৷ তিনি কি ফাতেমা জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন?মহম্মদ আলি জিন্না-র বোন ফাতিমা জিন্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলেও কথা শোনা যেত। নীলিমা স্মরণ করেন যে তার মা দীনেশ নন্দিনী প্রায়ই বলতেন, তোমার বাবাও ফাতেমার কাছের ছিলেন, কারণ তিনি প্রায়শই তার সঙ্গে থাকতেন। ফাতেমা জিন্নাহ একাই থাকতেন। যাইহোক, নীলিমা সন্দেহ করেন যে তাঁর বাবা জিন্নার বোনের সঙ্গেও হয়ত প্রেমের সম্পর্ক ছিলেন৷
দেশ Rich Monkey: কোটিপতি বাঁদর!গোটা গ্রাম রয়েছে বাঁদরদের দখলে Video December 18, 2023 Pooja Basu Leave a comment
খেলা What Is BCCI Net Worth: বিসিসিআইয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? সামনে এল চমকে দেওয়া রিপোর্ট Gallery December 11, 2023 Bangla Digital Desk অনেক দিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের সবথেকে ধনীতম বোর্ডের তকমা পেয়ে গিয়েছে। এমনকী বিশ্ব ক্রিকেটের চালিকা শক্তিও বর্তমানে বিসিসিআই। প্রতি বছর আইপিএল, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ, ভারতের মাটিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ, আইসিসি ইভেন্ট থেকে অকল্পনীয় টাকা আয় করে বিসিসিআই। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানা গিয়েছে। বিসিসিআইয়ের মোট সম্পত্তি কত টাকার জানলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও। ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিার ক্রিকেট বোর্ডের থেতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৮। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের মোট সম্পত্তি ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৬৬০ কোটি টাকা। । অপরদিকে, যদি বিসিসিআইয়েপ মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল ২.২৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় টাকায় যার পরিমাণ হল প্রায় ১৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ার পর তৃতীয় ইসিবির সম্পত্তি ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ক্রিকেটের সেরা ১০ বোর্ডের সম্পত্তির পরিমাণ বের করলে যা দাঁড়াবে তার ৮৫ শতাংশ শুধু মাত্র ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। আর বিসিসিআই যেভাবে মুনাফার মুখ দেখছে তাতে খুব দ্রুত গততি আরও বাড়বে সম্পত্তি।