Tag Archives: Traditional
Kaushiki Amavasya Dos & Donts: আসছে কৌশিকী অমাবস্যা! নিজের বিপদ না চাইলে ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি
Janmashtami Rituals 2024: কাটবে আর্থিক কষ্ট! আসবে টাকা! দূর কালসর্পদোষ! শুধু জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে আনুন এই ৫ জিনিস
Janmashtami 2024: জন্মাষ্টমীতে গোপালের অলঙ্কার কিনবেন? জানুন কোথায় কত দাম ঠাকুরের গয়নার
নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামনেই জন্মাষ্টমী। সেদিন গোপাল ঠাকুরকে সাজিয়ে তুলতে অনেকেই সোনা-রুপোর অলংকার ব্যবহার করেন। এবছর এই অলংকার সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনি।এ নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমিত পুরকাইত জানিয়েছেন, ‘‘যে সমস্ত অলংকার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে রুপোর অলংকার বেশি কেনে মানুষজন। সেক্ষেত্রে দাম ২৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়।’’
একেবারে কম দাম থেকে সব কিছুই পাওয়া যায়। এর উপর যেমন অলংকার নেবেন ক্রেতা, তেমন দাম পড়বে। এ নিয়ে সোমাশ্রী পুরকাইত জানিয়েছেন মূলত এই সময়, কৃষ্ণের বাঁশি, বাজুবন্ধনী, কোমরবন্ধনী, মুকুট, হার এই সমস্ত বেশি বিক্রি হয়।যা কিনতে অনেকেই আসেন। এ নিয়ে সুকান্ত সিনহা নামের এক ক্রেতা জানিয়েছেন ‘‘অনেক দোকানে এই সমস্ত জিনিস পাওয়া যায়না। খোঁজ নিয়ে এগুলি কিনতে হয়।’’
আরও পড়ুন : বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ খেতে যাবেন? সাবধান! সতর্ক না হলেই ভূরিভোজের বদলে খেতে হবে জেলের ভাত!
জন্মাষ্টমী পর্যন্ত এই সমস্ত বিক্রি হয় তারপর চাহিদা কম থাকে। সোনা ও রুপোর প্রতি সাধারণ মানুষজনের আকর্ষণ রয়েছে। তবে অনেকে দামের জন্য পিছিয়ে যান। তবে আপনি চাইলেই সাধ্যের মধ্যে সমস্ত কিছু পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে খোঁজ রাখতে হবে আপনাকে।
Janmashtami Dos & Donts: জন্মাষ্টমীর পুণ্যতিথিতে অবশ্যই খান এই ২ সাদা খাবার! শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে অর্থ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যে ভরবে জীবন
Traditional Art of Bengal: বঙ্গসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য পটচিত্র, যা আজ বিলুপ্তপ্রায়, দেখুন ভিডিও
সৌভিক রায়, বীরভূম: বঙ্গসংস্কৃতির অন্যতম এক ধরনের ঐতিহ্য পটচিত্র।বিশেষভাবে তৈরি কাপড় বা ক্যানভাসের উপর আঁকা হয় লোকচিত্র।প্রাচীন বাংলার অন্যতম এই চিত্রের মাধ্যমে নানা পৌরাণিক ও সামাজিক কাহিনী বা গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়।চিত্রকর অর্থাৎ যিনি শিল্পী, তিনি সেই গল্প বা কাহিনী গান ও চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন।প্রাচীনকালে যখন কোনও শিল্পকলার অস্তিত্ব ছিল না, তখন এই পটশিল্পই ছিল বাংলার শিল্পকলার ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।যাঁরা পটচিত্র অঙ্কন করেন তাঁদেরকে পটুয়া বলা হয়।রামায়ণ, মহাভারতের পাশাপাশি সমাজের নানা বিষয় নিয়ে পটচিত্র মানুষের জনপ্রিয় ছিল।
পটচিত্রর প্রকৃত অর্থ হলও কাপড়।পট চিত্র হলও পট বা বস্তের ওপর আঁকা এক ধরনের লোক চিত্র।এটি প্রাচীন বাংলার শিল্পকলার ঐতিহ্য এবং বাহক ছিল। মূলত বাংলা এবং ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী শিল্প।এছাড়াও রাজস্থানের বেশ কিছু জায়গায় পট চিত্রর সন্ধান পাওয়া যায়। উনবিংশ শতকে বাংলায় প্রসিদ্ধ পেয়েছিল কালীঘাটের পট।রাজ্য এবং পাশ্চাত্য চিত্র মিশিয়ে এই পট তৈরি হয়।এক সময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে পটচিত্র প্রদর্শন করত পটুয়ারা।পট বিছিয়ে গান শুনিয়ে মানুষের বিনোদন এবং নিজেদের সংসার চালাতেন পটুয়াশিল্পীরা।
আরও পড়ুন : ভরা বর্ষাতেও বাজারে কেন নেই সুস্বাদু ইলিশ? কারণ জানলে চমকে যাবেন ভোজনরসিকরা
তবে যুগ পাল্টেছে।আগের মতন পটুয়াদের আর দেখা যায় না।কিন্তু সেই রকম হারিয়ে যাওয়া বাপ ঠাকুরদার পট শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে হাল ধরেছেন পটুয়ারা।জানা যায় বীরভূমের সীমান্ত মুর্শিদাবাদ ঝিল্লি গ্রামের বাসিন্দা চাঁদ পটুয়ারা প্রায় ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে পট শিল্পের সাথে জড়িত।গ্রামে গ্রামে গিয়ে পটচিত্র দেখিয়ে মানুষের বিনোদন করে থাকেন আর যা দেখতে ভিড় জমান আট থেকে আশি সকলে।
পৌরাণিক গল্পকে অবলম্বন করে ছবির সঙ্গে মিল রেখে গান গেয়ে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে পটচিত্র দেখান পটুয়ার।বেহুলা লখিন্দরের গল্প থেকে শুরু করে গরু ছাগল কীভাবে পালন করতে হয় বাচ্চাদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হয় সবকিছুই চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন পটুয়া বাবুরা। আগের মত আর পট শিল্পের চলন নেই বলে জানান বাসিন্দারা।দীর্ঘদিন পর পটশিল্পকে দেখতে পেয়ে খুশি তো হচ্ছেন বাসিন্দারা।