পাঁচমিশালি GK: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার জন্ম আছে কিন্তু ‘মৃত্যু’ নেই! নামটা জানেন? তাজ্জব হয়ে যাবেন নিশ্চিত! Gallery July 5, 2024 Bangla Digital Desk জন্মিলে মরিতে হবে, এমনটাই নিয়ম। কিন্তু কখনও যদি মৃত্যুই না ঘটে! এমনটাও কি হওয়া সম্ভব? সম্ভব। মানুষ না হলেও একটা ছোট্ট প্রাণী কিন্তু প্রায় অমরত্ব লাভ করেছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাকওয়ার্ড এজিং জেলিফিশ। প্রাণীবিদদের কাছে যার পরিচয় টারিটোপসিস ডোরনি (Turritopsis dohrnii)। একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য জেলিফিশের এই ক্ষুদ্র প্রজাতিকে ‘অমর জেলিফিশ’ নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এটাই পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যারা কখনও মরে না। তাই এর বয়স সঠিকভাবে অনুমান করা যায় না। এই প্রাণীটির বিশেষত্ব হল পরিণত হওয়ার পর এটি আবার প্রথম পর্যায়ে ফিরে আসে। এর পরে এটি আবার বিকশিত হয়। এটা সবসময় চলতেই থাকে। তাই জৈবিকভাবে এই জেলিফিশ কখনই মরে না। একে অমর জেলিফিশও বলা হয়। আক্ষরিক অর্থেই কিন্তু এরা নিজেদের প্রায় ‘অমর’ করে রেখেছে। মৃত্যুর কোনওরকম আশঙ্কা থাকলে, এর বার্ধক্যের উল্টো পথ ধরে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের গবেষকরা জানিয়েছেন, যদি এই জেলিফিশের শরীরের কোনও অংশে আঘাত লাগে, বা অসুস্থ হয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে এরা ‘পলিপ দশা’-য় চলে যায়। চারপাশে মিউকাস মেমব্রেন তৈরি করে গুটি বাঁধে পলিপের আকারে। এই পলিপ অবস্থায় এরা তিন দিন পর্যন্ত থাকে। আর এ ভাবেই কমিয়ে দেয় বয়স। এর মধ্যে শরীরের সব কোষকে নতুন কোষে রূপান্তর করে জেলিফিশটি, আর বয়স একদম কমিয়ে ফেলে। এ ভাবেই বারবার নিজেকে রূপান্তরের মাধ্যমে এরা বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখে। তবে এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। অন্য কোনও বড় মাছ এদের খেয়ে ফেললে কিংবা হঠাত্ বড় কোনও রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্য মারা যায়। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু এদের হয় না।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বিরিয়ানির পাশে চাই-ই চাই! বলুন তো, ‘রায়তা’-র ইংরেজি কী? ৯০% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম! আপনি কি জানেন? Gallery June 26, 2024 Bangla Digital Desk বিরিয়ানি খেতে কে না ভালবাসে৷ ছোট থেকে বড় খাদ্যপ্রেমীদের সকলেরই প্রথম পছন্দের খাবার হল বিরিয়ানি৷ তবে অনেকেই আছেন শুধু বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না, বিরিয়ানির সঙ্গে চাই রায়তা৷ যা খাওয়া শরীরের জন্য ভাল৷ বিশেষ করে ভারতীয়রা খাবার ও পানীয় একসঙ্গে খেতে খুবই পছন্দ করে। তেমনই বিরিয়ানির সঙ্গে কিংবা শেষপাতে রায়তা হলে খুব একটা মন্দ হয় না। রায়তা খেতেও সকলেই পছন্দ করে কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে রায়তাকে ইংরেজিতে কী বলে। ব্রেকফাস্টে পরোটা হোক কিংবা দুপুরের খাবার, রায়তা ছাড়া যেন অনেকের খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। আপনি হয়তো জানেন না এই খাবারটিকে ইংরেজিতে কী বলা হয়? আচ্ছা বলুন তো কোন ভাষা থেকে এর নাম ‘রায়তা’ হয়েছে। দইয়ের সঙ্গে শসা কুচি, পেঁয়াজ, ধনেপাতা মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এখন বলুন, রায়তাকে ইংরেজিতে কী বলা হয়? রায়তার ইংরেজি শব্দ হল – Mixed Curd । কিন্তু এই রায়তার ইংরেজি জানেন না অধিকাংশ মানুষই৷ (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
পাঁচমিশালি World: এক রাতে মুহূর্তেই মৃত্যু ১৮০০ মানুষ-৩ হাজার পশুর! হ্রদ থেকে উঠে আসে ‘ভূত’! ধ্বংস গোটা গ্রাম Gallery June 24, 2024 Bangla Digital Desk ১৯৮৬ সালের ২১ অগস্ট। অন্য আর পাঁচটা দিনের মতোই ব্যস্ত ছিল আফ্রিকার লোয়ার নিয়োস গ্রামের রাস্তাঘাট। অন্য দিনের মতোই রাতের খাবার খেয়ে শুতে গিয়েছিল গ্রামের বাসিন্দারা। পর দিন সকালে, প্রায় ১৮০০ মানুষ এবং ৩ হাজার গবাদি পশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই গ্রাম থেকে। রাতারাতি অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল গ্রামের জনসংখ্যা। কী করে এক রাতে গ্রামের এত মানুষের এক সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল? তা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। সেই সময় গুজব ছড়িয়েছিল, কোনও গোপন সরকারি সংস্থা, অদৃশ্য অস্ত্র বা এলিয়েনদের অতর্কিত আক্রমণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে আফ্রিকার ওই গ্রামের ১৮০০ মানুষের। তবে লোয়ার নিয়োস গ্রামের এতগুলো মানুষের একসঙ্গে মৃত্যুর নেপথ্য কারণ ছিল অন্য। দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, লোয়ার নিয়োস গ্রামের পাশে থাকা একটি হ্রদের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল গ্রামের ১৭০০ মানুষের। মারা গিয়েছিল গ্রামের তিন হাজার গবাদি পশুও। লোয়ার নিয়োস গ্রামের মানুষ জানতেন না যে লেক নিয়োস হ্রদের তলায় রয়েছে একটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। নিয়োস হ্রদের অবস্থান ক্যামেরুন আগ্নেয়গিরির কাছে। গিনি উপসাগর থেকে ক্যামেরুন এবং নাইজেরিয়া পর্যন্ত দেড় হাজার কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে একটি আগ্নেয়গিরিমালা। এই আগ্নেয়গিরিমালার উৎপত্তি কী ভাবে, তা এখনও সম্পূর্ণ ভাবে বোঝা যায়নি। মনে করা হয়, ১৫০০ লক্ষ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আফ্রিকার বিচ্ছেদের সময়, একটি ফাটল তৈরি হতে শুরু করেছিল। সেই কারণে এই আগ্নেয়গিরিমালার উৎপত্তি। বর্তমানে সেই আগ্নেয়গিরিমালার একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ক্যামেরুন। আগ্নেয়গিরিমালার নীচে ৮০ কিমি গভীরে এখনও একটি বড় লাভার প্রকোষ্ঠ রয়েছে। লাভার প্রকোষ্ঠ থেকে মাঝেমধ্যেই প্রচুর পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মুখের ওপর যদি প্রাকৃতিক নিয়মে কোনো হ্রদ বা জলাভূমি সৃষ্টি হয় তা হলে সেই গ্যাস ওই হ্রদ বা জলাভূমি বরাবর প্রবাহিত হয়। আগ্নেয়গিরির মুখের ওপর তৈরি হওয়া ওই হ্রদগুলোকে ‘মার হ্রদ’ বলা হয়। আগ্নেয়গিরিমালার আশপাশে ওই ধরণের মোট ৩০টি হ্রদ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নিয়োস। পাহাড়ে ঘেরা নিয়োস হ্রদটির গভীরতা ৬৫০ ফুটেরও বেশি। লাভা প্রকোষ্ঠ থেকে উৎপন্ন সালফার এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো গ্যাস ওই হ্রদগুলোর তলায় ঘনীভূত অবস্থায় থাকে। গ্যাসগুলোকে তলদেশেই আটকে রাখতে ওই ধরণের হ্রদগুলোর উপরিভাগে প্রাকৃতিক নিয়মেই একটি উষ্ণ পানির আচ্ছাদন তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, যে রাতে লোয়ার নিয়োস গ্রামে ওই বিপর্যয় ঘটে, সে রাতে কোনও ভাবে নিয়োস হ্রদের ওপরের সেই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে যায়। উষ্ণ জলের আচ্ছাদন ভেদ করে বেরিয়ে আসে বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ। স্থানীয়দের দাবি, বিপর্যয়ের ঠিক আগে নিয়োস হ্রদের আশেপাশে একটি বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল। যার পরেই নাকি জলের নীচ থেকে উঠে আসে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘন মেঘ। নিয়োস হ্রদের ওপরে ১৬০ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল সেই বিষাক্ত মেঘের স্তর। সেই মেঘের ঘনত্ব সাধারণ বাতাসের থেকে বেশি হওয়ার কারণে তা ভূপৃষ্ট থেকে বেশি দূর পর্যন্ত উঠতে পারেনি। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় বহু গ্রামবাসী এবং গবাদি পশুর। বিপর্যয় থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছিলেন, তারা রাতের অন্ধকারে সালফারের গন্ধ পেয়েছিলেন।
দক্ষিণবঙ্গ, নদিয়া, পাঁচমিশালি Knowledge News: সবজি তো রোজই পাতে পড়ে, ভারতের জাতীয় সবজি খাচ্ছেন তো, জানেন না, জানুন Gallery June 21, 2024 Bangla Digital Desk : জাতীয় সবজি বলতে পারেন কি? ভারতে বসবাসকারী বহু মানুষই জানেন না যে ভারতের জাতীয় সবজি আছে। হ্যাঁ, জাতীয় পতাকা, গান, পশু, ফুল, খেলার মত জাতীয় সবজিও আছে। ভারতের জাতীয় সবজি হল কুমড়ো। এটি সমগ্র ভারত জুড়ে চাষ করা হয়। উৎপাদন বেশী হওয়ায় জন্য দাম সবার নাগালের মধ্যেও। নদিয়ার একাধিক জায়গায় এই কুমড়ো চাষ হয়ে আসছে বহু বছর ধরেই। চাহিদা তুলনায় অত্যাধিক পরিমাণে উৎপাদন হওয়ার কারণে এই কুমড়ো রফতানি করা হয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে কলকাতা শহরতলীর বাজারে নিয়মিত এই কুমড়ো পাঠানো হয়। খুব উর্বর মাটি প্রয়োজন হয় না কুমড়ো চাষের জন্য। মিষ্টি স্বাদের সবজি কুমড়ো রোজকার রান্নায় বড় ভূমিকা পালন করে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, কুমড়োর প্রচলন আছে সর্বত্র এমনকি কাশ্মীরেও। বাংলার প্রায় প্রত্যেক কৃষি মাঠে দেখা যায় এই কুমড়ো চাষ। নদীয়ার শান্তিপুরে এইরকমই চাষ উঠে এসেছে আমাদের ক্যামেরায়। ভিটামিন- A-তে ভরপুর কুমড়ো আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারি। এতে আছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার, কার্ব, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, আয়রন ইত্যাদি। এছাড়া মনে রাখতে হবে যে এই খাবারে রয়েছে ভালপরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। কুমড়ো শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে ৷ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিএই সবজি বিভিন্ন ধরণের ভিটামিনের ভাণ্ডার। হজম হয় সহজেই। জাতীয় সবজিকে সন্মান বাঞ্ছনীয়। কুমড়োকে আমারা বাঁকুড়ার আপেল বলে ঠাট্টা করি। অনেকের খাদ্য পছন্দ তালিকায় নেই! তা সত্বেও ভারতের জাতীয় সবজি এইটি। Input- Mainak Debnath
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Sweet: ভারতের জাতীয় মিষ্টি কী বলুন তো…? অধিকাংশই মাথা চুলকাচ্ছেন! চমকে যাবেন ‘নাম’ শুনলে! Gallery June 16, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডারের প্রশ্ন আর উত্তর যেমন বাড়ায় জ্ঞান তেমনই ছুটির দিনের সময় কাটানোর অন্যতম মজাদার ‘টাইমপাস’ ও বটে। বর্তমান গ্যাজেট সর্বস্ব জীবনে একটু অন্যরকম সময় কাটানোর জন্য নানা ধরনের ট্রেন্ডিং কুইজ প্রশ্নগুলি যেমন মজাদার তেমনই তথ্যবহুল। ইন্টারনেটেও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে এই ধরণের প্রশ্ন। মানুষ এর চর্চার সাহায্যে তাদের সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে পড়ুয়াদের জন্যও এই ধরণের কুইজ তথ্য সংগ্রহের একটি বেশ কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। কুইজ এমন একটি শক্তিশালী মোড যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে দরকারী প্রশ্নগুলি মনে রাখা যায়। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা জ্ঞানের পাশাপাশি গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা এবং একই ধরণের নানা বিষয়গুলির প্রশ্ন ও উত্তর যার অন্তর্ভুক্ত থাকে। নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণকারীরা তাদের সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে ট্রেন্ডিং কুইজ প্রশ্ন থেকেও এই ধরণের জ্ঞানের সাহায্য নিতে পারেন। আজ এই প্রতিবেদনেও আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমনই কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর, যেগুলি আপনারও কাজে লাগতে পারে। আচ্ছা এত তো মিষ্টি ভালবাসেন, আপনার মনে কখনও প্রশ্ন এসেছে ভারতের জাতীয় মিষ্টি আসলে কী? এসেও যদি থাকে নিশ্চিন্তে হয়তো ভেবে নিয়েছেন বাকি সব মিষ্টিকে পিছনে ফেলে জাতীয় মিষ্টির খেতাব অর্জন করে নিয়েছে আপনার চেনা রসগোল্লা। যতই হোক এই মিষ্টি তো আমাদের নিজেদের। বাঙালির প্রাণের মিষ্টি। আবার অনেকে হয়তো এমনও ভাবতেই পারেন সত্যি সত্যি জাতীয় মিষ্টি আছে নাকি? কই জাতীয় পশু, জাতীয় ফুল বা ফলের মতো জাতীয় মিষ্টি নিয়ে আলোচনা হয় না তো তেমন। আপনার ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। হ্যাঁ, বাকি আর পাঁচটা বিষয়ের মতো জাতীয় মিষ্টিরও অস্তিত্ব রয়েছে। তবে রসগোল্লা যতই প্রাণের মিষ্টি হোক না কেন, সে কিন্তু মোটেই দেশের জাতীয় মিষ্টি নয়। ভারতের জাতীয় মিষ্টি কিন্তু একেবারেই নরমসরম নয়। সরল-সাদামাটাও নয় এক্কেবারে। ‘মনটা’ বেশ প্য়াঁচালো। ঠিকই ধরেছেন ভারতের জাতীয় মিষ্টির তকমা পেয়েছে জিলাপি। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এই মিষ্টির আরও কিছু তথ্য। ভারতে মানুষ খুব উৎসাহের সঙ্গেই জিলিপি খান। একে ভারতের জাতীয় মিষ্টিও বলা হয়। অনেকেই মনে করেন জালেবি বা জিলিপি একটি ভারতীয় মিষ্টি। কিন্তু তা নয়, এটি আসলে ইরানের মিষ্টি। জালেবির ইতিহাস কি জানেন? জানলে অবাক হবেন, বেশ কয়েকটি প্রাচীন সংস্কৃত রচনায় উল্লেখ পাওয়া যায় জিলাপির। তবে সেখানে জিলাপি বলে ব্যাখ্যা করা হয়নি এই মিষ্টিকে। জিলাপির মতো দেখতে মিষ্টিগুলিকে কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে ‘কুণ্ডলিকা’, কোথাও আবার উল্লেখ করা হয়েছে ‘জলভল্লিকা’ নামে। তবে রন্ধনপ্রণালীর সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে বর্তমানের জিলাপির। আর এতদ্বারাই প্রমাণ হয় ভারতের মানুষের জিলাপি-প্রেম বহু প্রাচীন। চলুন, আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক আরও কিছু মজাদার প্রশ্ন ও উত্তর।প্রশ্ন – বলুন তো কোন দেশটি “সূর্যের দেশ” নামে পরিচিত?উত্তর – জাপান গোটা বিশ্বে সূর্যের দেশ হিসাবে পরিচিত। প্রশ্ন – কী এমন জিনিস যা সবসময় আসে, কিন্তু কিছুতেই আর পৌঁছয় না?উত্তর – আসলে, আগামিকাল সবসময় আসে, কিন্তু কখনই এসে পৌঁছয় না। প্রশ্ন – কোন প্রাণী সারাজীবন দাঁড়িয়ে থাকে বলুন দেখি?উত্তর -জিরাফই একমাত্র প্রাণী যা সারা জীবন দাঁড়িয়ে থাকে। প্রশ্ন – কী এমন জিনিস যেই শব্দে একইসঙ্গে ফুল, মিষ্টি এবং একটি ফল অন্তর্ভুক্ত থাকে?উত্তর – এই শব্দটি হল ‘গুলাব জামুন’, যার মধ্যে ফুল, মিষ্টি এবং ফল রয়েছে। প্রশ্ন – বলুন তো, এমন কি জিনিস যা মানুষ খেতে কিনলেও খায় না?উত্তর- আসলে, প্লেট এবং চামচ হল সেই জিনিস যা মানুষ খাওয়ার জন্য কিনলেও, এগুলি কখনই খায় না। প্রশ্ন – বলুন তো, কী এমন পৃথিবীর একমাত্র জিনিস যা রোদে শুকানো যায় না?উত্তর- আসলে, পৃথিবীতে ঘামই একমাত্র জিনিস যা রোদে শুকানো যায় না। ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
পাঁচমিশালি General Knowledge: এমন এক জায়গা, যেখানে রাত কাটালেই বদলে যায় নাগরিকত্ব! কোথায় আছে জানেন? Gallery June 16, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই নাগরিকত্ব পাওয়ার আলাদা আলাদা নিয়ম থাকে। সেই দেশে যারা জন্মায়, তারা তো সেই দেশের নাগরিক হনই, তার বাইরেও আরও কিছু শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। অনেক দেশ, তাদের নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ, তাঁরা একই সঙ্গে দুটি দেশের নাগরিক হতে পারেন। অনেক দেশে আবার, কোনও নাগরিক অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে, আগের দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়। কিন্তু, প্রতি ৬ মাস অন্তর নাগরিকত্ব বদলে যায়, এমন কখনও শুনেছেন? এমনও কিন্তু হয় পৃথিবীরই একটি জায়গায়। আশ্চর্য লাগলেও তা সত্যি। কিন্তু সেই জায়গাটি কোথায় জানেন? ফিজান্ট দ্বীপ। এটি ফ্রান্স ও স্পেনের উত্তর অংশে অবস্থিত। যেখানে ৬ মাস পর পর বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব পাল্টে যায়। মূলত দ্বীপের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব নিয়ে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৬৫৯ সালে একটি চুক্তি হয়। এটি মূলত পাইরেনিস চুক্তি হিসাবে খ্যাত। সেই চুক্তি অনুসারে শাসনভার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে বদলে যায় ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দ্বীপের শাসন থাকে স্পেনের। অগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলে যায় ফ্রান্সের অধীনে। এমন বিড়ম্বনার পড়তে হয় বলে দ্বীপটি এখন জনমানবহীন। তবে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Vegetables: কোন ‘সবজিতে’ সবচেয়ে বেশি ‘আয়রন’ থাকে বলুন তো…? নাম শুনলে চমকে যাবেন! Gallery June 9, 2024 Bangla Digital Desk জীবনে সাধারণ জ্ঞান প্রতি ক্ষেত্রেই কম বেশি প্রয়োজন হয়। সেই জ্ঞান যেমন আলোকপাত করে ইতিহাস-ভূগোল-বিজ্ঞানের মতো নানা বিষয়ে তেমনই আবার জীবনের সুস্থতা ও স্বাভাবিক ছন্দে জীবন চালিত করতেও সাহায্য করে প্রতি পদে পদে। শুধু তাই নয়, সাধারণ জ্ঞান বা জিকের চর্চা থাকলে জীবনের নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য পেতেও পথ সহজ হয়। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব যা একইসঙ্গে আমাদের জীবনের পাশাপাশি দেশের ও বিদেশের নানা অভিনব তথ্য সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে আমাদের অবাক করে। এই প্রশ্ন ও উত্তর যেমন আপনাকে আপনার জিকের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে তেমনই আপনাকে দেশ, বিশ্ব এবং ইতিহাস সম্পর্কেও দেবে মজার সব তথ্য। প্রশ্ন – প্রতিদিন চিনাবাদাম চিবিয়ে খেলে কি বৃদ্ধি দ্রুত হয়?উত্তর – প্রতিদিন চিনাবাদাম চিবিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তির দ্রুত উন্নতি হয়। এতে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কপার এবং আরজিনিনের মতো ট্রেস মিনারেল রয়েছে। প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত চিনাবাদাম রাখলে উপকার পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য দিনে এক মুঠো চিনাবাদামই যথেষ্ট। প্রশ্ন – মানুষের চোখের ওজন কত?উত্তর – মানুষের চোখের ওজন ৮ গ্রাম। একজন মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় ত্রুটিবিহীন চোখে সর্বনিম্ন ২৫ সেমি দূরত্ব পর্যন্ত কোনও কিছুকে স্পষ্ট দেখতে পারে। এর থেকে কম দূরত্বে বস্তুটি এসে গেলে তখন তাকে ঘোলা বা ঝাপসা দেখায়। প্রশ্ন– সিকিমের কোন নদী ‘তিস্তা’ নামে পরিচিত?উত্তর- সিকিমের ব্রহ্মপুত্র নদী ‘তিস্তা’ নামে পরিচিত। এটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। তিস্তা সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের প্রধান নদী। একে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জীবনরেখাও বলা হয়। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে তিস্তা ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। প্রশ্ন – আমের সর্বোচ্চ উৎপাদন কোথায় হয়?উত্তর – উত্তর প্রদেশে আমের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। এছাড়া বাংলাদেশের রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষ বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। প্রশ্ন- কোন সবজিতে সবচেয়ে বেশি আয়রন থাকে?উত্তর – মেথিতে সর্বাধিক আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও পালং শাক, বাথুয়া শাকেও আয়রনের পরিমান বেশি থাকে। বীজের মধ্যে রাজমা অন্যতম প্রধান আয়রন সমৃদ্ধ বীজ। এতে পালং শাকের থেকেও বেশি আয়রন থাকে। শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে বিটের জুড়ি মেলা ভার। যাদের সুগার রয়েছে তাঁরা বিট এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল, যেহেতু বিটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। বিটের থেকেও বেশি আয়রন রয়েছে বিটের পাতায়। তাই এই পাতা খেতে পারলেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাভ। প্রশ্ন : কোন সবজিতে সবথেকে বেশি ভিটামিন মেলে?উত্তর: পালং শাক। পালং শাক এমন একটি সবুজ শাক যা প্রায় দেশের সব প্রান্তেই ভারতে খাওয়া হয়ে থাকে। এই শাক ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এর আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের দুর্দান্ত উপস্থিতির কারণে, পালং শাককে যে কোনও আমিষ ও দুগ্ধ বর্জিত ডায়েটে একটি দারুণ বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Knowledge Story: এই মুরগির লেগ পিসের ওজন দেড় কেজি, স্বাদে অতুলনয়ী! খেয়েছেন কখনও? জেনে নিন কোথায় পাবেন Gallery June 9, 2024 Bangla Digital Desk মুরগির মাংস বা চিকেন আমাদের কম-বেশি সকলেরই প্রিয়। চিকেনের রকমারি পদ আমাদের জিভে জল আনে। বিশেষ করে চিকেনের লেগ পিস খেতে পছন্দ করেন না এমন খাদ্য রসিক নেই। লেগ পিসের সাইজ একটু বড় হলে তো কথাই নেই। সাধারণত একটি মুরগির ওজন ২ থেকে ৩ কিলো হয়। লেগ পিস খুব বেশি ১৫০-২০০ গ্রাম। কিন্তু এবার যদি আপনাদের বলি, এমন এক চিকেন রয়েছে যার লেগ পিসের ওজনই দেড় কেজি। আর তা দিয়ে হয় সুস্বাদু নানা পদ। জেনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অদ্ভুত প্রজাতির এই মুরগির নাম হলো ‘ডং তাও’। স্থানীয়ভাবে এর নাম ড্রাগন চিকেন। এর বিশেষত্ব হল পা। বাণিজ্যিকভাবে এই মুরগির চাষ করা হয় ভিয়েতনামে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে মুরগিটির নামে। এখানেই সবথেকে বেশি ড্রাগন মুরগির ফার্ম রয়েছে। এই মুরগির পা তাকে সবার থেকে আলাদা করে দেয়। পুরু লালচে আবরণে ঢাকা এই পা লম্বায় হতে পারে একটি ইটের সমান। এদের থাবা কিন্তু মানুষের হাতের তালুর আকৃতির। মুরগিটির শুধু পায়ের ওজনই এক দেড় কেজি পর্যন্ত হয়। যা এর শরীরে ৫ ভাগের এক ভাগ। ড্রাগন চিকেনের ওজন হয় প্রায় ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। আকৃতিতে সবচেয়ে বড় এই মুরগিগুলো বাজারে ২০০০ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়। ভারতীয় বাজারে যার দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে। একটি মুরগির দাম প্রায় ২ লাখ টাকা। এই ধরনের মুরগিকে দিনের অনেকটা সময় খোলা পরিবেশে রাখতে হয়। কারণ এরা যত বেশি হাঁটে, তত বেশি পায়ের পেশি শক্তিশালী ও বড় হয়। কি খাবার দেওয়া হয় মুরগিকে? খাবার হিসেবে দেওয়া হয় ভুট্টা ও চালের গুড়ো, যা এর মাংস এর স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই মুরগি দিয়ে নানারকমের সুস্বাদু পদ তৈরি করা হয়। এই মুরগির মাংসের উপকারিতাও যথেষ্ট। বিশেষ করে এর লেগ পিসের স্বাদ অতুলনীয় বলে জানা যায়। তো একবার চেখে দেখবেন নাকি ড্রাগন চিকেনের দেড় কিলোর লেগ পিস?
দেশ, পাঁচমিশালি Richest States List: ভারতের সবচেয়ে ‘ধনী’ ৭ রাজ্য কোনগুলি জানেন? বলুন তো কত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ? চমকে দেবে তালিকা Gallery June 7, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান, তা সে দেশ ও রাজ্য সংক্রান্ত হোক, বা জ্ঞান-বিজ্ঞান, এই একটি বিষয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে চমৎকার সব অজানা তথ্য। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে চাকরির পরীক্ষা সবেতেই অন্যদের টেক্কা দিতে এই জ্ঞানের জুড়ি মেলা ভার। তাই সাধারণ জ্ঞানের চর্চা পড়ুয়া থেকে চাকুরীজীবি সকলের জন্যই বেশ জরুরি। আজ এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরা হল। পরীক্ষার জিকে প্রশ্নের ভিড়ে এই ধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে পারে আপনাকেও। আচ্ছা বলুন তো, ভারতের সবথেকে ধনী ৭ রাজ্য কোনগুলি? কত নম্বরেই বা স্থানে রয়েছে আমাদের বাংলার? আপনিও নিশ্চই জানেন না এই প্রশ্নের উত্তর। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজই। বস্তুত, ভারতের কিছু কিছু রাজ্য জিডিপির দিক থেকে অন্য রাজ্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এই রাজ্যগুলি দেশের অর্থনীতিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে। শুধু তাই নয়, এই ৭ রাজ্যের অর্থনৈতিক শক্তি এবং শিল্প ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবে বৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যের রাজধানী শহর মুম্বইয়ের জিএসডিপি (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ৩১ ট্রিলিয়নেরও বেশি। ভারতের অন্যতম প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং টাটা, গোদরেজ, রিলায়েন্সের মতো বড় বড় কোম্পানিগুলিরও সদর দফতর এখানেই। তা ছাড়া বেশ কিছু বিদেশি ব্যাঙ্কের শাখাও এখানে রয়েছে। শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্র, যার মধ্যে স্বয়ংচালিত, প্রযুক্তি এবং ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্র রয়েছে, সেই নিরিখেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই রাজ্য। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি বিশ্ব বিখ্যাত, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্থকরী ইন্ডাস্ট্রি। মহারাষ্ট্রের পরেই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু। উৎপাদন খাতে তামিলনাড়ুর একটি অনন্য স্থান রয়েছে। এই একটি দিক থেকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজ্য যার জিএসডিপি ২০ ট্রিলিয়নেরও বেশি। তামিলনাড়ু তার টেক্সটাইল বাণিজ্য এবং পোশাক শিল্পের জন্যও বিশেষভাবে সুপরিচিত। তামিলনাড়ুর আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল অটোমোবাইল শিল্প। তামিলনাড়ু তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যাপক অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। যার জন্য এই রাজ্য গোটা বিশ্বে সুপরিচিত। তালিকায় পরবর্তী নাম গুজরাত। গুজরাত হল তামিলনাড়ুর পরে বৃহত্তম শিল্প সংস্থাগুলির অন্যতম কেন্দ্র। এই রাজ্যের জিএসডিপি প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন। এটি আন্তর্জাতিকভাবে পেট্রোকেমিক্যাল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গুজরাতের শিল্প ক্ষেত্র, উৎপাদন, রফতানি এবং বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে নিঃসন্দেহে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। সর্দার সরোবর বাঁধ উৎসাহিত করছে কৃষি ক্ষেত্রকেও, যা রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। উত্তরপ্রদেশ দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এমন একটি রাষ্ট্র যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করে। সেই অনুযায়ী এটির জিএসডিপি প্রায় ১৯.৭ ট্রিলিয়ন। গম, চাল, আখ, আলু ইত্যাদির মতো অনেক ফসলের জন্য উত্তরপ্রদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেবা খাত, পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে। তালিকার পরবর্তী স্থানে রয়েছে কর্ণাটক, যা সিলিকন সিটি নামে পরিচিত এবং এর সদর দফতর বেঙ্গালুরু রয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের আইটি ইনস্টিটিউটগুলি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ব্যাঙ্গালোরে আইটি কোম্পানি এবং স্টার্ট-আপ বাড়ছে এবং অর্থনীতির বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। এরপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ১৩ ট্রিলিয়নেরও বেশি জিএসডিপি-সহ এই রাজ্যের অর্থনীতি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেয়। রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য বন্দর রয়েছে। এর বাইরে এখানকার বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতার দেশের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান। একসময় ব্রিটিশদের রাজধানী ছিল এই শহর। ব্রিটিশদের প্রবর্তিত স্থাপত্য ও শিল্পকলা আজও সেখানে দেখা যায়। ঐতিহাসিক স্থানের পাশাপাশি, এটি পাট, চা, ইস্পাত, বস্ত্রের মতো অনেক শিল্পের জন্য বিখ্যাত। তালিকায় সর্বশেষ নামটি হল অন্ধ্রপ্রদেশ। এর জিএসডিপি ১১.৩ ট্রিলিয়ন। এই রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন এর অর্থনীতিকে প্রতিফলিত করে। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী অমরাবতীতে আইটি কোম্পানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভাল সেক্টরে চাকরির কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ একটি উজ্জ্বল অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এগিয়ে চলেছে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: পৃথিবীর সবচেয়ে ‘নোংরা শহর’! নিঃশ্বাস নিলেও অসুস্থ হতে পারেন, নাম শুনলে চমকে যাবেন, বলুন তো কোথায় আছে? Gallery June 4, 2024 Bangla Digital Desk অনেকেই মনে করেন আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সব শহরই খুব সুন্দর এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন,কিন্তু আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন, আপনার ভাবনা মোটেই ঠিক নয়। আমেরিকার একটি শহর আছে যা নোংরার জন্য পরিচিত। এটা বলা হয় যে পোকামাকড় নাকি বাড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে আসে এবং এটি এতটাই খারাপ যে বাতাসে শ্বাস নেওয়াও আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। এক সমীক্ষায় আমেরিকার এই শহরকে নোংরা শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। LawnStarter-এর ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজ্যের বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে ১৫০টিরও বেশিকে চারটি গ্রুপে তুলনা করা হয়েছিল যাতে কে শীর্ষে আসবে তা দেখতে। দূষণ, জীবনযাত্রার অবস্থা, অবকাঠামো এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির মতো বিষয়গুলি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ গড় স্কোর-সহ শহরটিকে ‘নোংরা’ হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছিল, যেখানে সর্বনিম্ন গড় স্কোর সহ শহরটিকে সবচেয়ে পরিষ্কার হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এইভাবে, জরিপ অনুসারে, আমেরিকার সবচেয়ে নোংরা শহর টেক্সাসের হিউস্টন, যা নোংরা শহরের মর্যাদা পেয়েছে। স্পেস সিটি র্যাঙ্কিংয়ে আবর্জনার স্তূপের শীর্ষে উঠে এসেছে, তার পূর্বসূরি নিউ জার্সিকে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। হিউস্টন তার ভয়ানক বায়ুর গুণমান, অবকাঠামোগত সমস্যা এবং বাড়িতে পোকামাকড়ের বিস্ময়কর সংখ্যার কারণে নোংরা শহরের তকমা পেয়েছে৷ LawnStarter-এর বোন সাইট PestGnome ডেটা টেনেছে৷ যেখানে দেখা গেছে, হিউস্টনের সবচেয়ে খারাপ হল প্রচুর আরশোলার সমস্যা রয়েছে, ভয়ঙ্কর প্রাণীরা শহর জুড়ে হামাগুড়ি দিচ্ছে। অনেকে বলেছিল যে এই পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর৷ ২০২৩ সালে, উত্তর হিউস্টনের ক্র্যানব্রুক ফরেস্ট অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা বলেছিল যে তারা ইঁদুরের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল।