পাঁচমিশালি Knowledge: বলুন তো, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে শিক্ষিত জেলা কোনটি? কলকাতা নয় কিন্তু, তাহলে! শুনে চমকে উঠবেন Gallery August 22, 2024 Bangla Digital Desk ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত মানুষের বাস কোন জেলায়, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে, ২০১১ সালের পর থেকে আর সমীক্ষা না হওয়ায় পুরনো তথ্যের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হল। পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার ৭৬.২৬%, যা জাতীয় গড় ৭৪.০৪% এর থেকে বেশি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, ভারতের ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সাক্ষরতার হারের দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ২০ তম। শিক্ষিত মানুষের হারে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে নদিয়া জেলা, সেখানে সাক্ষরতার হার ৭৫.৫৮ শতাংশ, নবম স্থানে রয়েছে বর্ধমান জেলা। সেখানে সাক্ষরতার হার ৭৭.১৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলায় সাক্ষরতার হার ৭৮.৫৭ শতাংশ। সপ্তম স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। এই জেলায় সাক্ষরতার হার ৭৯.০৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে দার্জিলিং জেলা। দার্জিলিংয়ে সাক্ষরতার হার ৭৯.৯২ শতাংশ। দার্জিলিংয়ের পরেই রয়েছে হুগলি জেলা। হুগলিতে সাক্ষরতার হার ৮২.৫৫ শতাংশ। পিছিয়ে নেই হাওড়াও। সাক্ষরতার হারে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হাওড়া। এই জেলায় সাক্ষরতার হার ৮৩.৮৫ শতাংশ। সাক্ষরতার হারে পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় স্থানে থাকা জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় সাক্ষরতার হার ৮৪.৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থান অবশ্য দখল করেছে রাজধানী কলকাতা। কলকাতায় সাক্ষরতার হার ৮৭.১৪ শতাংশ। তাহলে প্রথম স্থানে রয়েছে কোন জেলা? শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা থেকে সামান্য দূরের একটি জেলা। সেই জেলা হল পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় সাক্ষরতার হার ৮৭.৬৬ শতাংশ।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: সাপের বিষের রং কী? কী থাকে বিষের মধ্যে! উত্তর অজানা অনকের কাছে Gallery August 22, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, সাপের বিষের রং কি? সাধারণত অনেকের ভাবনা থাকে সাপের বিষের রং নীল। কারণ সাপ কামড়ালে সেই অংশ নীল হয়ে যায়। কিন্তু আদতে সাপের বিষের রং নীল নয়। সাপের বিষের রং অনেকটা তখনই নির্ধারণ করা যায় যখন এটকি কোনও কাচের পাত্রে বা শিশিতে রাখা হয়। তা ছাড়া সাপ দেখে বা অন্য কোনও উপায়ে সাপের বিষের রং নির্ধাণ করা সহজ বিষয় নয়। এবার আসা যাক উত্তরে। বেশিরভাগ সাপের বিষের রং হলুব বা হাল্কা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। তবে কিছু সাপের বিষ সাদা রঙের এবং কখনও কখনও সাপের বিষে হলুদের সঙ্গে হালকা সবুজের আভা থাকে। সাপের বিষে কী থাকে তা নিয়েও সাধারণ মানুষের কৌতুহল কম নয়। জানা গিয়েছে, সাধারণত থাকে প্রোটিন, পেপটাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ। প্রোটিন এনজাইম এবং অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ এটিকে আরও বিষাক্ত করে। বিজ্ঞানীদের মতে, সাপের বিষে রঙের উপাদান অনেকাংশে নির্ভর করে L-Amino Acid Oxidase-এর উপরে। তবে সাধারণ লোকালয়ে বা বাড়িতে যে সাপ দেখা যায় ও বন্য সাপের বিষের রং আলাদা হতে পারে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল General Knowledge: স্কুল বাসের ‘রং’ কেন ‘হলুদ’ হয় বলুন তো..? চমকে দেবে ‘আসল’ কারণ, গ্যারান্টি! Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান বা জেনারেল নলেজ হল সেই জ্ঞান যা প্রতি পদে পদে আমাদের আরও স্মার্ট করে। সে পরীক্ষার খাতায় অন্যদের টেক্কা দিয়ে নজর কাড়তেই হোক, বা ঘরোয়া আড্ডা বা বন্ধু মহলে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতেই হোক। এই জ্ঞান আপনার তুরুপের তাস। বিশেষ করে আপনি যদি কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে আপনি নিশ্চই জানেন যে ভারতের সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জিকে প্রশ্ন করা হয়। সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে সাধারণ জ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই যখন ইন্টারভিউ রাউন্ডের কথা আসে, তখন প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করার সর্বোত্তম উপায় হল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। আজ এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো যা একইসঙ্গে আমাদের অবাক করে আবার যা জানা জরুরিও নিঃসন্দেহে। আসলে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক কিছুই বহুদিন ধরে আমরা দেখে থাকি কিন্তু তা নিয়ে প্রশ্ন করলে আমরা মাথা চুলকোতে থাকি। রং নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। যেমন কোন রং কীসের প্রতীক। অথবা কোন রং কোথায় কেন ভাল আর কোন রং কোথায় কেন ব্যবহার হয়। আসলে আমাদের জীবনে রঙের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটি রঙের পিছনে কোনও না কোনও অর্থ আছে। যেমন আমরা জানি যে শান্তি বোঝাতে সাদা রঙ ব্যবহার করা হয়। কোনও বিপদ বোঝাতে লাল রং ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনও খেয়াল করেছেন, স্কুলবাস কেন হলুদ রঙের হয়? কেন স্কুল বাস লাল বা নীল হয় না? অথবা সবুজ বা বেগুনি? এত রং থাকতে কেনই বা হলুদ রংকে বেছে নেওয়া হল? এর পিছনে রহস্যটাই বা কী? স্কুলবাসের রং হলুদ হওয়ার পিছনে কিন্তু আছে বৈজ্ঞানিক কারণ। হলুদ রঙের দৃশ্যমানতা অন্য রঙের তুলনায় বেশি। মূলত দুর্ঘটনা এড়াতেই স্কুলবাসগুলিকে হলুদ রঙের করা হয়। আমরা জানি, লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। ৬৫০ ন্যানোমিটার। ফলে সবচেয়ে দূর থেকে লাল রং দেখা যায়। হলুদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৮০ ন্যানোমিটার। কিন্তু তার পরেও কেন হলুদ রং ব্যবহার করা হয় স্কুলবাসে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তার পিছনেও একটা কারণ আছে। এর কারণ হল ‘ল্যাটারাল পেরিফেরাল ভিশন’ সংক্ষেপে ‘এলপিভি’। হলুদের ক্ষেত্রে এই ‘এলপিভি’ লালের তুলনায় ১.২৪ গুণ বেশি। যার ফলে লালের তুলনায় এর দৃশ্যমানতা এবং আকর্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি। ফলে দূর থেকে, বৃষ্টি এবং কুয়াশাতেও এই রং সহজেই চোখে পড়ে। তাই কোনও স্কুলবাস দৃষ্টির সোজাসুজি না থাকলেও হলুদ হওয়ার কারণে সহজেই চোখে পড়বে। আর সে কারণেই স্কুলবাসগুলি হলুদ রঙের হয়। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: যেমন স্বাদ-তেমন সুগন্ধ, বলুন তো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ‘এলাচ’ বাংলার কোথায় হয়? জানলে চমকে যাবেন! Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk রান্নাঘরে মশলায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ছোট সবুজ এলাচ। তবে বড় এলাচ সাধারণত মোগলাই খানায় ব্যবহার করা হয়। তবে মিষ্টি বা ডেজার্টে বড় এলাচের ব্যবহার একদম নেই। পোলাও, বিরিয়ানিতে এই এলাচ দিলে স্বাদ বেশি ভাল হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) সবচেয়ে অবাক করা বিষয়টি হল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের এই এলাচ পাওয়া যায় ভারতে এবং তা হয় পশ্চিমবঙ্গে। অর্থাৎ বিশ্ববাসী যাকে ‘কালো এলাচ’ বলে চেনেন, সেই সুগন্ধি বড় এলাচ চাষ হয় পশ্চিমবাংলার মাটিতেই। ভারত থেকে আরব, মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ ও বাংলাদেশে এই সুগন্ধি মশলার রফতানি হয়। ভারতে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের বড় এলাচের সৃষ্ঠিভূমি হল পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলা। পশ্চিম ভুটানের কাছে বাংলার সীমানার শেষ প্রান্তে রয়েছে দুটি গ্রাম। একটির নাম তাংতা, অপরটি তোডে গ্রাম। গ্রাম দুটির অবস্থান সমুদ্রস্পৃষ্ট থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উঁচুতে। সেখানেই চাষ হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং উৎকৃষ্ট মানের এলাচ। যার গায়ের রঙ কালো। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গে এর চলতি নাম কালো এলাচ। ভারতের আরও কয়েকটি গ্রামে বড় এলাচের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে ভালোমানের এলাচ তাংতা এবং তোডে গ্রামেই মেলে। অনেকটা দার্জিলিং চায়ের মতো। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাশাপাশি নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমেও এখন এই মশলার চাষ হয়। তবে সবচেয়ে আগে বাংলাতেই এই সুগন্ধি বড় এলাচের চাষ শুরু হয়েছিল। কাঠের উনুন বা ভাট্টির আগুনে গোলাপি রঙের এলাচ যত শুকনো হয় থাকে ততই কালচে হয়ে যায়। শেষে রং বদলে হয়ে যায় একেবারে কুচকুচে কালো। স্বাস্থ্যগুণেও এর কদর দারুণ। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার ও প্রোটিন। শরীরে পুষ্টি দেয় এই এলাচ। হজমশক্তি বাড়ে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, মুখের ঘা কমাতে সাহায্য করে। হেঁচকি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে দারুণ কার্যকরী বড় কালো এলাচ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
পাঁচমিশালি Richest States In India: ভারতের সবথেকে বড়লোক রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গ কত নম্বরে? জেনে কিন্তু চমকে উঠবেনই Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk ভারতের অর্থনৈতিক চালচিত্র তার সংস্কৃতির মতোই বৈচিত্র্যময়। নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (GSDP)-এর দৌড়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। এই রাজ্যগুলি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক শক্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এখানে ভারতের সাতটি ধনী রাজ্যের কথা বলা হবে, যেগুলি অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং মূল শিল্পগুলির উপর প্রাধান্য দেয়, যা সেই রাজ্যের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। মহারাষ্ট্র- ভারতের যে রাজ্যে আর্থিক কাঠামো সবথেকে বেশি শক্তিশালী, তা হল দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের রাজ্য। মহারাষ্ট্রই দেশের সবচেয়ে ধনী রাজ্য। ৩১ ট্রিলিয়নেরও বেশি জিএসডিপি। মুম্বই অর্থনৈতিক কেন্দ্র। যেখানে দেশের প্রধান ব্যাঙ্ক, মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন এবং স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। শহরের বন্দরটি ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এটির কারণে এর অর্থনৈতিক শক্তি আরও দৃঢ় হচ্ছে। মহারাষ্ট্র হল একটি উৎপাদনের ঘাঁটি। রাজ্যের সাংস্কৃতিক অবদান, বিশেষ করে বলিউডের মাধ্যমে এর অর্থনৈতিক প্রভাব বেড়েছে। তামিলনাড়ু- তামিলনাড়ুর অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে এর উৎপাদনী শক্তির উপর। ২০ ট্রিলিয়ন ডিএসডিপি। টেক্সটাইলগুলি ব্যবসায় দখল। বিভিন্ন ধরনের কাপড় এবং পোশাক তৈরির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিশাল পরিচিতি। এর স্বয়ংচালিত শিল্প আরেকটি উল্লেখযোগ্য উৎস। উপরন্তু, তামিলনাড়ু তথ্যপ্রযুক্তিতে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে। একটি সমৃদ্ধশালী আইটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে যা সারা বিশ্ব থেকে বিনিয়োগ এবং প্রতিভাকে আকৃষ্ট করেছে। এর অটো ম্যানুফাকচারিং শিল্পও খুব শক্তিশালী। গুজরাত- গুজরাতের অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ তার কৌশলগত অবস্থান এবং অগ্রগতি-চিন্তা নীতির প্রমাণ। রাজ্যের প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন জিএসডিপি। রাজ্যের উপকূল শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে নয় বরং এর সমৃদ্ধশালী পেট্রোকেমিক্যাল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। গুজরাতর শিল্প অঞ্চল, ব্যবসা এবং বিনিয়োগের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেছে। এর কৃষি, সর্দার সরোবর বাঁধের মতো উদ্যোগ, রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিও বড় অবদানকারী। উত্তরপ্রদেশ- উত্তরপ্রদেশ দেশের কৃষি উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 19.7 ট্রিলিয়ন জিএসডিপি। খাদ্যশস্যের বৃহত্তম উৎপাদকদের মধ্যে একটি, যা ভারতের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। রাজ্যের উর্বর গাঙ্গেয় সমভূমি গম, চাল, আখ এবং আলু-সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলায়। কৃষি শক্তির পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ তার পরিষেবা খাতে দ্রুত বৃদ্ধি দেখছে। আইটি এবং পর্যটনের উপরেও সমান নজর এই রাজ্যের। কর্ণাটক- কর্ণাটকের অর্থনৈতিক শক্তি মূলত বেঙ্গালুরু শহর দ্বারা চালিত। যাকে প্রায়শই ভারতের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়। এর জিএসডিপি ১৯.৬ ট্রিলিয়ন। এই আইটি হাব শহরটি বিশ্বব্যাপী খ্যাত। এটি দেশের সবচেয়ে বড় কিছু আইটি সংস্থা এবং স্টার্টআপগুলির কেন্দ্র। বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রিও কর্ণাটকে একটি সহায়ক ইকোসিস্টেম খুঁজে পেয়েছে, যেখানে রাজ্যটি প্রচুর সংখ্যক বায়োটেক ফার্ম খুলেছে। যার ফলে জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়নে শীর্ষে রয়েছে এই রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ- পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি ১৩ ট্রিলিয়নের বেশি। এর অর্থনীতি লুকিয়ে রয়েছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কৌশলগত বাণিজ্য অনুশীলনের মধ্যে। কলকাতা, রাজ্যের রাজধানী, ঐতিহাসিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বন্দর এবং আজও এটি একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে এটিই ছিল রাজধানী। স্থাপত্য, শিল্পকলা এবং বৌদ্ধিক জীবনে একটি অনস্বীকার্য চিহ্ন রেখেছে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে এর মর্যাদায আজও অটুট। ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সমসাময়িক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের এই সংমিশ্রণ, পাট, চা, ইস্পাত এবং বস্ত্রের মতো মূল শিল্পের বৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গকে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণ হিসাবে তৈরি করেছে।
পাঁচমিশালি Knowledge: আর মাত্র ৬ বছর, ভয়ঙ্কর বিপদে কলকাতা! ১৭ কোটি মানুষের ‘সব’ শেষ হয়ে যাবে? ভয়াবহ আশঙ্কাবার্তা Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলি। সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। আর তলিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম শহরগুলি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, আগামী ৬ বছরের মধ্যেই কলকাতাকে স্পর্শ করে ফেলবে সমুদ্র। কিন্তু, বাস্তব চিত্র আরও ভয়ানক। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তারপর কলকাতা সহ বাংলার বৃহদাংশ জলের অতলে তলিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, ‘কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলি রাশি সরে যাচ্ছে। কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ অতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকাটা কলকাতার জন্য ভয়ংকর। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী এলাকার ১২টি শহর তলিয়ে যেতে পারে আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে।’ বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ছে সব জায়গা। অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার হু হু করে বেড়ে চলেছে। সমস্ত বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলে দিচ্ছেন এই এই জায়গা এইভাবে ডুবে যাবে। সেটা কোনও জায়গায় হয়তো পঞ্চাশ বছর, কোনও জায়গায় ২০ বছর, কেউ কেউ বলছে ২০৩০ এর মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে এই শহরগুলি ডুবে যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই অবস্থা? উত্তর, বিশ্ব উষ্ণায়ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমবাহ গলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকফুট পর্যন্ত বাড়বে সমুদ্রের জলতল। সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে নদীতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করবে। উপকূলীয় শহরগুলির জন্য যা মারাত্মক হতে শুরু করেছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের লেভেল বাড়ছে। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। বরফের স্তর গলছে। হিমবাহগুলি গলে যাচ্ছে দ্রুত। তাতেই বিপদ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে শুধুমাত্র কলকাতা বা মুম্বই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তা নয় কিন্তু। পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্ট্রেটলাইনে প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। এই ঘটনার ১০ বছর পর ভূমিভাগের আরও ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়বে। ফলে শুধুমাত্র ১২-১৫টি শহর তলিয়ে যাবে, তা নয় কিন্তু। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সারা ভারতবর্ষের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি হয়ে পড়বেন। তার পরবর্তী ১০ বছরে ওই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৪৩ কোটি।’ বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের বেশ খানিকটা অঞ্চল শুধুমাত্র টিকে থাকবে।’ ভূতত্ত্ববিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মাটির তলার যে অংশগুলি সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত, তার গভীরতা আমাদের উপকূলে প্রায় ৮৬ মিটার পর্যন্ত। এই ৮৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন এলাকাকে মাটির নিচ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। যাতে সমুদ্রের জল মাটির ক্ষয় করতে না পারে। তাছাড়া দূষণ রুখে দেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি। দূষণ কমিয়ে আরও ৮০ বছর যদি চালানো যায়, তবে বিষয়টি রোধ করা সম্ভব।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন গাছ দেখতে মানুষের মত? রয়েছে হাত-পা-চোখ-মুখ Gallery August 20, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন গাছ দেখতে মানুষের মত? রয়েছে হাত-পা-চোখ-মুখ। এক ঝলক দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন। এই গাছের নাম বলতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খেয়েছেন। এবার আসা যাক উত্তরে। মানুষের মত দেখতে গাছের নাম হল ম্যানড্রেক। এই গাছের কোনও শিকড় এমনভাবে থাকে যার সঙ্গে সাদৃশ্য দেখা যায় পুরুষ বা নারীদেহের সঙ্গে। ম্যানড্রেক হল একটি উদ্ভিদের মূল। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া ম্যান্ড্রাগোরা উদ্ভিদ থেকে বা অন্যান্য প্রজাতি যেমন ব্রায়োনিয়া আলবা থেকে ইংরেজি ম্যানড্রেক পাওয়া যায়। ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয় এই গাছ বা মূল।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর জিভের রং কালো হয়? কারণ জানলে চমকে যাবেন Gallery August 20, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন প্রাণীর জিহ্বার রং কালো হয়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু আমাদের খুবই পরিচিত সেই প্রাণী যার জিভের রং কালো। এবার আসা যার উত্তরে। কালো রঙের জিভ রয়েছে জিরাফের। সাধারণত জিভের রং গোলাপী হয়ে থাকে। কিন্তু জিরাফের জিভের রং কালো হওয়ার পিছনে কারণ রয়েছে। জিরাফের জিহ্বার সামনের অংশ বড় হওয়ায় তা বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকে। তাই এমন গাঢ় রঙ থাকে যাতে খাওয়ার সময় ঘন ঘন সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। জিভকে রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে আটকাতেই এমন জিভ হয়ে থাকে জিরাফের।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণী খাওয়ার সময় কাঁদে? চোখের জল ঝরার কারণ কী! জেনে নিন Gallery August 19, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন প্রাণী খাবার খাওয়ার সময় কাঁদে? যখনই খাবার খায় কাঁদতে দেখা যায় সেই প্রাণীকে। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিন্তু হোঁচট খেয়েছেন অনেকেই। উত্তর হল কুমীর। এমনিতে কুমিরের কান্না খুব একটা ভাল চোখে দেখা হয় না। মন থেকে নয়, দেখানোর জন্য যে শোক, তার সঙ্গে তুলনা করা হয় কুমিরের কান্নার। তবে কুমীর কী খাবার খাওয়ার সময় সত্যিই কাঁদে? এ নিয়ে নানা মত রয়েছে। ২০০৬ সালে স্নায়ুবিদ ম্যালকম শেনার এবং প্রাণীবিদ কেন্ট একটি পরীক্ষা চালায়। তাতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তিনটি আমেরিকান অ্যালিগেটর, দু’টি কেম্যান, দু’টি ইয়াকার কেম্যানকে অ্যালিগেটর পার্কের শুকনো জমির উপর খেতে দেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল খাওয়ার সময় সকলের চোখে জল। বিজ্ঞানী শেনার এবং ভ্লিয়েটের মতে, কুমির যখন চিবিয়ে খায়, তখন চোয়ালের ওঠা-নামার কারণে তার সাইনাসে হাওয়া ঢুকে যায়। এর ফলেই কুমিরের চোখের অশ্রুগ্রন্থি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একে বলে ‘ক্রোকোডাইল টিয়ার সিনড্রোম’।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: সাপের দেশ বলা হয় কোন দেশকে? উত্তর কিন্তু ভারত নয় Gallery August 19, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন দেশকে সাপের দেশ বলা হয়? এই প্রশ্ন শুনলে অনেকের মনে সবার আগে আসে ভারতের নাম। কিন্তু ভারত সঠিক উত্তর নয়। আসল উত্তর অবাক করার মত। ভুটান সাপের দেশ হিসেবে পরিচিত। ভুটানে পাওয়া বিষাক্ত সাপগুলি বিভিন্ন প্রজাতির কোবরা। এছাড়া বেশিরভাগ সাপের বিষ নেই। এছাড়া ব্রাজিলকেও অনেকে সাপের দেশ হিসেবে বলে থাকেন।