Tag Archives: Union Budget 2024

‘কুর্সি বাঁচানোর বাজেট’, খাড়্গের খোঁচায় তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন নির্মলা! রাজ্যসভায় তোপ কংগ্রেসকে

নয়াদিল্লি: বাজেটকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘গদি বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকজনকে খুশি করতেই বাজেট করা হয়েছে। না তামিলনাড়ু, না কর্ণাটক, না হরিয়ানা, না রাজস্থান, না ওড়িশা। শুধু বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশ। বাকিরা কিছুই পেল না।’’

খাড়্গের এই অভিযোগ শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। রাজ্যের নাম নিয়ে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “আপনি কি আপনার বাজেট বক্তৃতায় সব রাজ্যের নাম নিয়েছেন?’’

আরও পড়ুন– হরিদ্বারের গঙ্গার সামনে ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দুই কাঁওয়ার যাত্রীর, তারপরই ছুটে এল আশপাশের লোক, হঠাৎ কী হল?

বিরোধীদের মূল অভিযোগ হল, বাজেটে শুধু এনডিএ শরিক নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশকেই ঢেলে দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি রাজ্যগুলো বঞ্চিত। এই অভিযোগ ‘অপমানজনক’ বলে ফুঁসে ওঠেন নির্মলা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আমজনতার মনে ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে যে অন্য রাজ্যগুলিকে কিছু দেওয়াই হয়নি।

আরও পড়ুন– মন্দিরের কাছে পিএসি-র ট্রাকের কারণে যানজট! পুলিশের গাড়ির চালান কাটলেন আগ্রার ট্র্যাফিক এসপি, হতবাক জনতা

রাজ্যসভায় বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে নির্মলা সীতারমণ বলেন, “আপনাদের সময় আপনারা সব রাজ্যের নাম নিতেন? আমাকে দেখান। বাজেট বক্তৃতায় সব রাজ্যের নাম করিনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সেই রাজ্যগুলোর জন্য বাজেটে কিছু রাখিনি।’’ নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে একাধিক উদাহরণ দেন নির্মলা। তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভা ওয়াধাওয়ানে বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু গতকাল বাজেটে মহারাষ্ট্রের নাম নেওয়া হয়নি। এর মানে কী মহারাষ্ট্র অবহেলিত? বক্তৃতায় কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের নাম না নিলে কী সেই রাজ্যে সরকারি কর্মসূচি হয় না? জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এটা আপত্তিকর অভিযোগ।’’

এখানেই থামেননি নির্মলা। টেনে আনেন বাংলার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে বাংলাকে অনেক প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলা কেন্দ্রের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেনি। এখন আমাকে প্রশ্ন করছে।’’ নির্মলার এই মন্তব্যে তৃণমূল সাংসদরা হইচই শুরু করে দেন।

এর আগে রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়্গে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “গদি বাঁচাতে এমন বাজেট করা হয়েছে… আমরা এর নিন্দা করি। ইন্ডিয়া জোটের সব দলই এর বিরোধিতা করছে। ভারসাম্য না থাকলে উন্নয়ন হবে কী করে!’’ এরপরই রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা।

Union Budget 2024: বাজেটের পর মদের দাম কি বাড়ল? সুরাপ্রেমিদের মুখে ফুটল হাসি! না বাড়ল চিন্তা, রইল আপডেট

মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন তৃতীয় এনডিএ সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন। সংসেদ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন তৃতীয় এনডিএ সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন। সংসেদ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
বাজেট ঘোষণা হলেই সাধারণ মানুষের মনে যে প্রশ্নটা সবার আগে জাগে, তা হল কোন পণ্যের দাম বাড়ল আর কোন পণ্যের দাম কমল? তারমধ্যে থাকে সিগারেট ও মদের দামও।
বাজেট ঘোষণা হলেই সাধারণ মানুষের মনে যে প্রশ্নটা সবার আগে জাগে, তা হল কোন পণ্যের দাম বাড়ল আর কোন পণ্যের দাম কমল? তারমধ্যে থাকে সিগারেট ও মদের দামও।
প্রতিবার বাজেটের পর একাধিক বিষয়ের মতই সুরাপ্রেমিরা বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাজেটে মদের দাম বাড়ল না কমল সেই দিকে নজর থাকে সকল সুরাপ্রেমিদের।
প্রতিবার বাজেটের পর একাধিক বিষয়ের মতই সুরাপ্রেমিরা বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাজেটে মদের দাম বাড়ল না কমল সেই দিকে নজর থাকে সকল সুরাপ্রেমিদের।
এবার বাজেটে সুরাপ্রেমিদের জন্য রয়েছে ভালখবর। আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটিতেও বিশেষ কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করেনি সরকার। ফলে মদের দামও বাড়ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
এবার বাজেটে সুরাপ্রেমিদের জন্য রয়েছে ভালখবর। আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটিতেও বিশেষ কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করেনি সরকার। ফলে মদের দামও বাড়ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুধু মদের দামই নয়, এবার সিগারেট সহ তামাকজাত দ্রব্যের দামও বাড়ানো হয়নি বাজেটে। তামাক পণ্যের জিএসটি বাড়লে দাম বাড়ে। এবার বাজেটে সরকারের তরফে তা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুধু মদের দামই নয়, এবার সিগারেট সহ তামাকজাত দ্রব্যের দামও বাড়ানো হয়নি বাজেটে। তামাক পণ্যের জিএসটি বাড়লে দাম বাড়ে। এবার বাজেটে সরকারের তরফে তা করা হয়নি।

Nirmala Sitharaman’s Iconic Handloom Saree Choices: উজ্জ্বল রঙের পাড় ও আঁচলজুড়ে জরির সূক্ষ্ণ কাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশেষ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ

নয়াদিল্লি : ভারতীয় বয়নশিল্পীদের হাতে বোনা শাড়ির প্রতি নির্মলা সীতারমণের সমাদর সর্বজনবিদিত৷ সর্বক্ষণের পরিচ্ছদসঙ্গী তো বটেই৷ প্রতি বার বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রীর পরনে থাকে হ্যান্ডলুমের বিশেষ শাড়ি৷ গত কয়েক বছর ধরে বাজেটে প্রস্তাবের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে থাকে তাঁর শাড়িও৷ প্রতি বছর তিনি বেছে নেন দেশজ সংস্কৃতিতে দেশীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়িতে বাজেট পেশের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেখা গিয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে৷

 

মঙ্গলবার, বাজেট করার সময় নির্মলা পরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মঙ্গলগিরি শাড়ি৷ সাদা এবং ম্যাজেন্টা (বেগুনি রঙের এক ধরন) কম্বিনেশনে বোনা শাড়ির জমিন জুড়ে ছিল জরির চৌখুপ্পি ডুরে বা চেক৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির হাল্কা সূক্ষ্ম কাজ৷ প্রসঙ্গত অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে ১২ কিমি দূরে মঙ্গলগিরি প্রাচীন তীর্থস্থান৷ এই তীর্থস্থান ঘিরেই গড়ে ওঠে বয়নকেন্দ্র৷ স্থানীয় শিল্পীদের বোনা শাড়ির নাম মুখে মুখে হয়ে যায় ওই স্থান অর্থাৎ মঙ্গলগিরির নামে৷ মূলত সুতিতে বোনা এই শাড়ি সিল্কেরও হয়৷ সাধারণত মৃদু রঙের জমিন ও গাঢ় রঙের পাড় এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য৷ শাড়ির আঁচল ও পাড়ে থাকে জরির কাজ৷ শাড়ির জমিনে থাকে ছোট ছোট চেক৷ মূলত আদিবাসী শিল্পের মোটিফ থেকে অনুপ্রাণিত হয় মঙ্গলগিরি শাড়ির জরির কাজ৷

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা সীতারমণ পরেছিলেন বাংলার একান্ত আপন কাঁথা স্টিচের শাড়ি৷ ঘন নীল শাড়ি জুড়ে ছিল সাদা সুতোর ঘন বুনোট কাঁথাকাজ৷ ভাগলপুরী তসর সিল্কের উপরই করা হয়েছিল নক্সীকাঁথার কাজ।

 

২০২৩ সালে নির্মলা বেছে নিয়েছিলেন উজ্জ্বল লাল ও কালোর যুগলবন্দিতে হ্যান্ডলুম শাড়ি৷ লাল জমিনের সঙ্গে চওড়া কালো টেম্পল পাড়, অর্থাৎ যে ধরনের পাড়ে থাকে মন্দিরের চূড়ার মোটিফ৷ শাড়ির পাড়ে ছিল জরির ছোয়াঁও৷ এছাড়াও শাড়িতে ছড়িয়ে ছিল সূক্ষ্ম কসুটি কাজ৷

 

তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পরেছিলে খয়েরি রঙের বোমকাই শাড়ি৷ ওড়িশার গঞ্জাম জেলা বিখ্যাত এই শাড়ির জন্য৷ সিল্ক ও সুতি-দু’রকমের বোমকাই শাড়িই পাওয়া যায়৷ নির্মলার খয়েরি শাড়ি জুড়ে ছিল ঐতিহ্যবাহী সুতোর বুনন৷

আরও পড়ুন : বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

 

২০২১-এ তাঁর পছন্দ ছিল অফ হোয়াইট পচমপল্লী শাড়ি৷ হায়দরাবাদের পচমপল্লী গ্রামের নামেই নামকরণ এই হ্যান্ডলুম শাড়ির৷ ঐতিহ্যবাহী সেই দক্ষিণী শাড়িতে ছিল ইক্কত মোটিফ৷

হলুদ রঙের সিল্ক শাড়ি নির্মলা পরেছিলেন ২০২০ সালে৷ তাঁর পরনে ছিল উজ্জ্বল হলুদ রঙের সিল্ক৷ সঙ্গে হাল্কা আকাশি রঙা সরু পাড়৷

২০১৯ সালে তাঁর জীবনে প্রথম বাজেট পেশ করার দিন তিনি পরেছিলেন গোলাপি রঙের শাড়িতে সরু জরির পাড় মঙ্গলগিরি৷ সে বছরও তিনি বেছে নিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বয়নশিল্প।

৫ বছর পর আবারও অর্থমন্ত্রী ফিরে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের হ্যান্ডলুম শাড়ি মঙ্গলগিরির এক ধরনেই৷ প্রতি বছরের মতো এ বারও তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির উজ্জ্বল বার্তা তুলে ধরলেন৷

Union Budget 2024: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে এবার জমা হবে আরও বেশি টাকা, চাকরিজীবীদের জন্য ঘোষণা নির্মলার

পেনশন খাতে এবার খরচ বাড়তে চলেছে মধ্যবিত্তের। আগে যেখানে মূল বেতন থেকে ১০ শতাংশ জমা করতে হত পেনশন খাতে (নিউ পেনশন স্কিম), এবার সেই জায়গায় পেনশন খাতে জমা করতে হবে মূল বেতনের ১৪%। অর্থাৎ প্রাপ্ত বেতনের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে মধ্যবিত্তের।

আরও পড়ুন: সস্তা হচ্ছে সোনা, রুপো! গয়না কিনলে বিশেষ সুবিধা পাবেন, বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

নতুন কর কাঠামোর আওতায় যারা পড়েন সেই সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সেক্টরের কর্মীদেরই পেনশন খাতে মূল বেতনের ১৪ শতাংশ টাকা জমা করতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ইতিমধ্যেই ১৪ শতাংশ টাকা কাটা শুরু হয়েছিল পেনশন খাতে জমা করার জন্য। এবার বেসরকারি কর্মীদের জন্যও তা কার্যকর করা হতে চলেছে। তবে এই পরিমাণ বাড়ানোয় অবসরের পরে লাভবান হবেন চাকরিজীবীরা।

আরও পড়ুন: বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

তবে নিউ পেনশন স্কিম নিয়ে খুশি নয় অনেক রাজ্য-সহ পেনশন ভোগীরা। সেই জন্যই অবিজেপি শাসিত অনেক রাজ্যই ডিএ-সহ তৈরি হওয়া পুরনো পেনশন স্কিমেই (ওল্ড পেনশন স্কিম) ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিক সংগঠনগুলিও একই দাবিতে সরব হয়েছে। পুরনো পেনশন স্কিমে অবসর নেওয়া সরকারি কর্মচারীরা নিজের শেষ বেতনের ৫০ শতাংশ প্রতি মাসে পেনশন বাবদ পান। ডিএ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায় সেটি।

Union Budget 2024: এনডিএতে থাকার পুরস্কার! শুধু ১৫,০০০ কোটিই নয়, আরও একগুচ্ছ উপহার পেলেন চন্দ্রবাবু

নয়াদিল্লি: এনডিএ সরকারের বাজেটে আর যারাই সুবিধা পাক না বিহার এবং অন্ধ্র প্রদেশের জন্য কল্পতরু কেন্দ্রীয় সরকার। এনডিএ সরকারে গুরুত্ব বেড়েছে শরিকদলগুলির, তার পুরস্কার হিসাবে মন্ত্রিত্বে যতটা না বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু, তার থেকে বেশি পেলেন বাজেটে। অন্ধ্র প্রদেশকে একের পর এক উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

আরও পড়ুন: সস্তা হচ্ছে সোনা, রুপো! গয়না কিনলে বিশেষ সুবিধা পাবেন, বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

অন্ধ্র প্রদেশের নয়া রাজধানী অমরাবতীকে ঢেলে সাজানোর জন্য বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই-ওরভাকল-হায়দরাবাদ বিশেষ ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরও তৈরি করা হবে, যার জেরে লাভবান হবে অন্ধ্র প্রদেশ। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই সেই এলাকাগুলিতে জল, বিদ্যুৎ, রেল, রাস্তাঘাট এই সমস্ত বিষয়েরও উন্নতি করা হবে। গোদাবরী নদীর উপর পোলাবরম প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র। এই প্রকল্পকে অন্ধ্র প্রদেশের লাইফলাইন বলা হয়। অন্ধ্র প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার পরিকাঠামো বদলে যেতে পারে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে।

আরও পড়ুন: বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে দেখা করে রাস্তা, পরিকাঠামো ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি করেছিলেন চন্দ্রবাবু।  তাই একাধিক বিষয়ে সাহায্য পেয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ। ‘পূর্বোদয়’ প্রকল্পে যে রাজ্যগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে, তার মধ্যেও রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ। পিছিয়ে পড়া এলাকা, যেমন রায়ালাসীমা, প্রকাশম এবং অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে উন্নয়নের জন্যও বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে।

Budget allocation for Bihar: সমর্থন দিয়েছিলেন নীতীশ, সুদে আসলে পুষিয়ে দিলেন নির্মলা! বিহারের ঝুলিতে কী কী?

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ দিন ধরেই বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি করে আসছিলেন নীতীশ কুমার৷ সেই দাবি পূরণ না করলে নীতীশের ফের বেঁকে বসার আশঙ্কা ছিল৷ কেন্দ্রীয় অর্থ নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করতে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, নীতীশকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি তিনি৷ বলা ভাল, বিহারের জন্যই বাজেটে কল্পতরু হয়েছেন নির্মলা৷ একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন বিহারের জন্য৷

নির্মলা সীতারমণ এ দিন ঘোষণা করেন, বিহারে হাইওয়ে নির্মাণে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল৷ এর পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বিহার সরকার যে আর্থিক বরাদ্দের অনুরোধ করেছে, তাও দ্রুত খতিয়ে দেখে মঞ্জুর করার আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয়, আগামী

এ দিন বাজেট বক্তৃতার প্রথম দিকেই নির্মলা জানিয়ে দেন, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ বরাদ্দ করতে চলেছেন তিনি৷ এর পরেই কার্যত দুই রাজ্যের জন্য কার্যত বিহারের জন্য ঝুলি উপুড় করে দেন তিনি৷ হাইওয়ে নির্মাণের জন্য ২৬ হাজার কোটির পাশাপাশি বিহারের বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন নির্মলা৷ শুধু তাই নয়, আগামী পাঁচ বছরে বিহারে বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন: ‘জিরো গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টির বাজেট!’ বঞ্চনার জবাব দেবে মানুষ, হুঁশিয়ারি অভিষেকের

পাশাপাশি বিহারের জন্য একটি বড় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, নালন্দাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্নত করা, রাজগিরের উষ্ণ প্রসবণের রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ বিহার, বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার মতো পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে পূর্বোদয় প্রকল্পেরও ঘোষণা করেছেন নির্মলা৷

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শেষ মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরেছিলেন নীতীশ৷ লোকসভার ফল বেরোতে দেখা যায়, অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতোই বিহারে নীতীশের দল জেডিইউ-কে বাদ দিয়ে সরকার গড়াই মুশকিল হত নরেন্দ্র মোদির৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারে জেডিইউ কোনও বড় মন্ত্রক পায়নি৷ আবার নীতীশের বিশেষ বিহারের জন্য বিশেষ স্বীকৃতির দাবিও মানেনি কেন্দ্র৷ ফলে নীতীশকে খুশি রাখতে নরেন্দ্র মোদি কী করেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল৷ কারণ দাবি বা শর্তপূরণ না হলে নীতীশ যে বেঁকে বসবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই৷ বিরোধীরা বলছেন, নীতীশকে তুষ্ট করতে বাজেটকেই অস্ত্র করলেন প্রধানমন্ত্রী৷

Union Budget 2024 Video: বাজেটে শূন্য বাংলার ভাঁড়ার! কী প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দেখুন

বাজেট নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এক লক্ষ একাত্তর হাজার কোটি টাকা বাকি। কিছুই দিল না কেন্দ্র। সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মোদির আমলে প্রথম ‘এনডিএ বাজেট’। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০২৪ এর অন্তর্বর্তী বাজেট পর্যন্ত সরকার ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই বাজেট থেকে প্রথম জোট সরকারের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জোট সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের ডেডিইউয়ের। তার জন্য এবারের বাজেটে যে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষ সুবিধা পাবে তা আশা করাই গিয়েছিল।বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের জন্য মোট ৪১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নীতীশ কুমারের বিহারে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে। কিন্তু সেভাবে কিছুই পেল না বাংলা৷ এ নিয়ে কী বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?

স্ত্রী বা বান্ধবীকে সোনা, রুপো বা প্ল্যাটিনামের গয়না উপহার দিচ্ছেন? বাজেটের পর দাম কত কমল দেখুন

মঙ্গলবার বাজেটে সোনা এবং রুপোয় আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশাপাশি প্ল্যাটিনামের আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই দাম বেশ কিছুটা কমতে চলেছে সোনা, রুপো বা প্ল্যাটিনামের গয়নার।
মঙ্গলবার বাজেটে সোনা এবং রুপোয় আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশাপাশি প্ল্যাটিনামের আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই দাম বেশ কিছুটা কমতে চলেছে সোনা, রুপো বা প্ল্যাটিনামের গয়নার।
এদিন বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “সোনা-রুপোর মতো মূল্যবান ধাতুর গয়নায় ঘরোয়া ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়াতে সোনা ও রুপোয় আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৬ শতাংশ এবং প্ল্যাটিনামে ৬.৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’’
এদিন বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “সোনা-রুপোর মতো মূল্যবান ধাতুর গয়নায় ঘরোয়া ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়াতে সোনা ও রুপোয় আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৬ শতাংশ এবং প্ল্যাটিনামে ৬.৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’’
বাজেটে সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনামের গয়নায় ঘোষণা: সোনার মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।গোল্ড ব্রিক – আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে। রুপোর মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সিলভার ব্রিক - আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে।
বাজেটে সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনামের গয়নায় ঘোষণা: সোনার মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। গোল্ড ব্রিক – আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে। রুপোর মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সিলভার ব্রিক – আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে।
প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, রুথেনিয়াম, ইরিডিয়াম - আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে।মূল্যবান ধাতব মুদ্রা - আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সোনা, রুপোর গয়না - আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৬ শতাংশ।
প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, রুথেনিয়াম, ইরিডিয়াম – আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে। মূল্যবান ধাতব মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সোনা, রুপোর গয়না – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৬ শতাংশ।
সোনা, রুপোর দাম কত কমতে পারে: এই ছাড়কে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করলে বলতে হয়, আজ ২২ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৭,৫১০ টাকা, এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত রয়েছে। এখন শুল্ক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনায় দাম পড়বে ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাজেটের এই ঘোষণার ফলে ১০ গ্রাম সোনার গয়না ৫ হাজার টাকা সস্তা হল। এক কেজি রুপোর দাম ৮৮,৯৮৩ টাকা। এর উপরেও ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক অনুযায়ী ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স প্রযোজ্য হয়। এখন আমদানি শুল্ক ৬ শতাংশে নেমে আসায় দাম ৭ হাজার টাকা কম পড়বে। অন্য দিকে, ১৫.৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক সহ ২৫,৫২০ টাকা, বাজেট ঘোষণার পর এই দাম ২ হাজার টাকা কমবে।
সোনা, রুপোর দাম কত কমতে পারে: এই ছাড়কে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করলে বলতে হয়, আজ ২২ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৭,৫১০ টাকা, এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত রয়েছে। এখন শুল্ক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনায় দাম পড়বে ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাজেটের এই ঘোষণার ফলে ১০ গ্রাম সোনার গয়না ৫ হাজার টাকা সস্তা হল। এক কেজি রুপোর দাম ৮৮,৯৮৩ টাকা। এর উপরেও ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক অনুযায়ী ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স প্রযোজ্য হয়। এখন আমদানি শুল্ক ৬ শতাংশে নেমে আসায় দাম ৭ হাজার টাকা কম পড়বে। অন্য দিকে, ১৫.৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক সহ ২৫,৫২০ টাকা, বাজেট ঘোষণার পর এই দাম ২ হাজার টাকা কমবে।

Mamata Banerjee On Union Budget: বাংলাকে বঞ্চনা, ভোটের ময়দানে জবাব! কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা মমতার

কলকাতা: মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সপ্তমবারের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারমণ৷ এর পরই বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

বাজেটে বাংলার প্রাপ্তি-ভাগ্য একেবারেই ভাল নয় বলেই কার্যত মন্তব্য করেন মমতা৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘‘এই বাজেটে বাংলার মানুষকে কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে৷ আর এর জন্য বাংলার মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না৷’’

আরও পড়ুন:বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন ব্যক্তি, টিটি ধরতেই কী বললেন ? জানলে চমকে উঠবেন!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘অন্ধ্র প্রদেশ, বিহারকে টাকা দিয়েছে তাতে আপত্তি নেই৷ কিন্তু একজনকে টাকা দিতে গিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করা যায় না৷ বাংলাদেশের জনসংখ্যার কাছাকাছি ভোটার আছে এই পশ্চিমবঙ্গে৷”

আরও পড়ুন:স্বপ্নের বাড়ি কিনতে চান? কীভাবে টাকা জমালে নিজের ঘর কিনে ফেলা সম্ভব

এরপরেই একশো দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য টাকা নিয়ে মমতা আগেও সুর চড়িয়েছেন, এদিন আরও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, ‘‘ রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাকি রয়েছে৷ একটাকাও দেওয়া হয়নি৷ উপরন্তু এই বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে৷’’

মমতা আরও বলেন, ‘‘বাংলা বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়৷ তাও আশেপাশের রাজ্যগুলিকে বন্যার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হল। কিন্তু আমাদের বেলায় কিছু নেই।’’
তিনি উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভোট আসলেই দার্জিলিং যায় ওরা। প্রত্যেকবার ভোট চায় পাহাড় থেকে। কিন্তু ভোট শেষ হলেই পাহাড়কে এরা ভুলে যায়। সিকিমকে সাহায্য করেছে করুক। কিন্তু বাংলার পাহাড়কে নয় কেন?’’

মমতার তীব্র প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই বাজেট গরিবের বাজেট নয়, জনগণের বাজেট নয়, জন সাধারণের বাজেট নয়৷ বাংলার স্বার্থ বঞ্চিত হলে, মানুষ কিন্তু এর জবাব দেবে। বাংলার মানুষ কখনওই ছেড়ে কথা বলবে না। বাংলা একা নয়, একাই একশো৷ ভোটের ময়দানে এই বঞ্চনার জবাব দেওয়া হবে৷”

Abhishek Banerjee on union budget 2024: ‘জিরো গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টির বাজেট!’ বঞ্চনার জবাব দেবে মানুষ, হুঁশিয়ারি অভিষেকের

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটকে জিরো গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টির বাজেট বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই অভিষেকের কটাক্ষ, বাংলা থেকে বিজেপি ১২ জন সাংসদ পাওয়ার পরেও বাজেটে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷

এ দিন সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার পরে অভিষেক বলেন, ‘ব্যর্থ বাজেট, যা বলার আগামিকাল অধিবেশন। জিরো গ্যারান্টি, জিরো ওয়্যারান্টির বাজেট। যা বলার দল বলবে। বাংলাকে বারবার বঞ্চিত, নিপীড়িত, শোষিত করে রেখেছে, এটা নতুন কিছু নয়। বাংলা থেকে ১২ জন সাংসদ পাঠিয়েও নিট ফল জিরো।’

আরও পড়ুন: স্ট্যানডার্ড ডিডাকশন বেড়ে ৭৫০০০ টাকা, চাকরিজীবীদের জন্য বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

এর পরেই কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর করা বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অভিষেক বলেন, ‘চার দিন আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, যারা আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আজ সেটাই হয়েছে। নিজেদের সরকারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিহারকে, অন্ধ্র প্রদেশকে টাকা দিয়েছে। অন্য রাজ্যকে দিক, কিন্তু বাংলাকে বঞ্চিত করে কেন বারবার? বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।’

কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ কেন্দ্রীয় বাজেটকে দিশাহীন, গরিব বিরোধী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি৷ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ মেটানোর বিষয়েও বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ করেছেন মমতা৷ এই বাজেটকে চেয়ার বাঁচানোর বাজেট বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও৷