Category Archives: দক্ষিণবঙ্গ

Malda News: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে দখল হয়ে যাচ্ছে জমি, চাষে বাধা পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ মালদহের কৃষকরা

মালদহ : নদীর জল কমতেই মালদহের ঝাড়খণ্ড সীমান্তে এ রাজ্যের কৃষি জমির দখল নিতে চাইছে ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা-এই অভিযোগ তুলে মালদহের মানিকচক থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শতাধিক কৃষক। পাশাপাশি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কাছেও সমস্যা জানিয়েছেন তাঁরা।

কৃষকদের অভিযোগ,  কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা সীমান্তের জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে প্লাবিত হয় গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার জমি। আবার নদীর জল কমে গেলে দুই রাজ্যের কৃষকরা নিজেদের জমি মাপজোখ করে নিজেদের অংশে চাষবাস শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগ, এ বার ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নিজেদের জমিতে চাষে বাধা পাচ্ছেন এ রাজ্যের কৃষকেরা। চাষের জমি অবৈধভাবে জবর দখলের চেষ্টা হচ্ছে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।

আরও পড়ুন : শুধু কাঁচকলাই নয়! কলার সঙ্গে এই খাবারগুলি খেলেও ভয়ঙ্কর বিপদ! জানুন এখনই

অবিলম্বে জমির সুরক্ষার দাবি তুলেছেন তাঁরা।মালদহের মানিকচক ব্লকে বেশকিছু এলাকা ঝাড়খন্ড তীরবর্তী। এইসব এলাকায় কৃষিজমি অত্যন্ত উর্বর। অভিযোগ, উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় ওই জমিতে নজর থাকে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে মালদহের মানিকচকের বা এরাজ্যের কৃষকদের ওই জমিতে চাষবাস করতে হলে নদী পেরিয়ে পৌঁছতে হয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের কৃষকেরা সহজেই ওই জমির নাগালের মধ্যে পেয়ে যান। এরই সুযোগ নিয়ে এ বার সীমান্তে কয়েকশো বিঘা জমির চাষে বাধা দেওয়া হচ্ছে এরাজ্যের কৃষকদের। আরও অভিযোগ,  ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এরাজ্যের দুষ্কৃতীদের একাংশ জমির জবরদখলে যুক্ত।

অভিযোগ, এ বছর এখনও এ রাজ্যের কৃষকদের জমিতে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে জমিতে গেলে মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। এই পরিস্থিতিতে নিজেরা একত্রিত হয়ে মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন কৃষকেরা। পুলিশ কর্তৃপক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন তাঁরা। মানিকচক দিয়ারা কৃষক সমিতির সম্পাদক নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া ওই জমিতে নির্বিঘ্নে চাষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। এরসঙ্গে রাজ্যের স্বার্থও জড়িত রয়েছে।’’ তাঁদের অভিযোগ  খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।

Murshidabad News: বল ভেবে বোমায় হাত! ডিম-খিচুড়ি আর খাওয়া হল না! হাসপাতালে তিন শিশু

মুর্শিদাবাদ: অন্যান্য দিনের মতোই অঙ্গনওয়াড়ি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিল তিনজন পড়ুয়া। আর সেই স্কুলে যাওয়ার আগেই খেলার ছলে দেখতে পায় বল পড়ে আছে। বল ভেবে কুড়াতে গিয়ে বোমা ফেটে গুরুতর আহত হল তিনজন শিশু। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার শঙ্করপুর গ্রামে। আহত তিনজন শিশুর নাম মেহেদিনা পারভিন, মাফুদা ও ওয়াসিম আখতার। মেহেদিনা ও মাফুদা দুই বোন।বর্তমানে আহত অবস্থায় তিনজন শিশু জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

আহত এক শিশুর পায়ে চোট লাগে। যদিও জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনজন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তারা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।শঙ্করপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আজাহারুল হক জানিয়েছেন, মেহেদিনা পারভিন ও মাফুদা এরা দুই বোন। সঙ্গে ছিল তাদের বন্ধু ওয়াসিম আখতার। বুধবার সকালে ওয়াসিম আখতার সঙ্গে ছিল মেহেদিনা পারভিন ও মাফুদা।

 আরও পড়ুন:গোয়ালঘর, রাধাবল্লব নামের ভুয়ো অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা! রাতারাতি ২৬ জন লাখপতি!

শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা মধুমিতা দাস জানান, হাউসনগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের মিড ডে মিলের ডিম ও খিচুড়ি খাবার আনতে এসেই রাস্তায় বোমা ফেটে আহত হন তিনজন শিশু পড়ুয়া। ওয়াসিম আখতার সহ তিনজনে খেলনার মতো বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোম ফেটে আহত হন তিনজন পড়ুয়া। আহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বোমার আওয়াজ শুনে আমরা ছুটে যায়। দেখতে পাওয়া যায় বোমার আঘাতে আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

কৌশিক অধিকারী

Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে মানুষের ঢল! শোভাযাত্রা দেখতে দুপুর থেকেই ভিড়! দেখুন

কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনকে কেন্দ্র করে জনজোয়ারের ভাসলো নদীয়ার কৃষ্ণনগর। এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় কার্যত বাঁধভাঙ্গা মানুষের সমাগম ঘটলো কৃষ্ণনগর শহরের বুকে। দুপুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অগণিত উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমাতে থাকেন শহরের বুকে। পাশাপাশি পুজো বারোয়ারি কমিটিগুলো পুজোর ঘট নিয়ে রকমারি বাজনা সহকারে ও সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিরঞ্জন ঘাটের দিকে এগোতে শুরু করে।

Hooghly News: চারিদিকে সাপের আস্তানা, ভেঙে পড়ছে স্কুল বাড়ি, এর মধ্যেই পড়াশোনা চলছে গোঘাটে

গোঘাট: পরিকাঠামোহীন বিদ্যালয়ে সাপের ভয়ে সিঁটিয়ে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। ভেঙে পড়ছে কংক্রিট থেকে প্লাস্টারের টুকরো। এদিক ওদিক পড়ে আছে সাপের খোলস। পরিকাঠামো না থাকায় কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস হয় একসঙ্গে। ছাত্র-ছাত্রী বেশি হলে স্কুলের বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়। এমনই শিউরে ওঠা ছবি উঠে এসেছে লোকাল ১৮-এর ক্যামেরায়। গোঘাটের নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানচক গ্রামে।

আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোয় আশ্চর্য ঘটনা! প্রতিমার চালচিত্রে এ কী ঘুরছে! তোলপাড় পান্ডুয়া

পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির সীমান্তবর্তী এই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৬২ সালে। এই প্রত্যন্ত এলাকার গরিব দিনমজুর কৃষিজীবী এলাকার ছেলেমেয়েরা মূলত এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। রীতিমতো এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা। এর জেরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে কমতে এখন ১৮জন। তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অফিস রুমেই ক্লাস নেন একসঙ্গে। স্কুলের শুরু থেকে ছুটি পর্যন্ত একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের পুরনো বিল্ডিংটি জরাজীর্ণ। সাপ-খোপের আড্ডা পুরনো বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। তারই জেরে এই অবস্থা। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুখ না খুললেও পরবর্তীতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে পঠন-পাঠন। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, দ্রুত সমস্যা মেটানোহবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রশ্ন উঠেছেএই ভাবেই কি আতঙ্কের মধ্য প্রান্তিক এলাকার স্কুলে চলবে পড়াশোনা ? কতদিনে মিটবে সমস্যা, সেই আশায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

Suvojit Ghosh

Uttarkashi Tunnel Collapse ECL: ‘মিশন রানিগঞ্জ’ ধাঁচেই উত্তরকাশীতে উদ্ধার অভিযান? শ্রমিকদের বাঁচাতে ভরসা ইসিএলের অভিজ্ঞতা

আসানসোল: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। চারধাম প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে এই টানেল। সেখানেই ধসের কারণে আটকে পড়েছেন শ্রমিকরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু সেখানে রাখা হচ্ছে দ্বিতীয় পরিকল্পনা। সেই দ্বিতীয় পরিকল্পনায় ভরসা বাংলা।

ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের উপর উদ্ধারের ক্ষেত্রে ভরসা রাখছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যানেল অ্যাসোসিয়েশন এবং স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু কীভাবে সাহায্য করা হবে? কীভাবে তাদের কাছে খবর এল? এ বিষয় ইসিএল সদর দফতরের ডিরেক্টর নীলাদ্রি রায় বলেছেন, শ্রমিকরা যেখানে আটকে রয়েছেন, তার পাশে হরাইজেন্টালি গর্ত করে তাদের বের করে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পথে ২৪ মিটার পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: উঠে দাঁড়ালেই মাথা ঘোরে? শরীরে রক্তের ঘাটতি আপনাকে শেষ করে দিতে পারে! জানুন

তাঁদের খাবার, পানীয় পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই হরাইজেন্টালি গর্ত করে যদি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব না হয়, সেজন্য দ্বিতীয় পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রানীগঞ্জ মহাবীর কোলিয়ারিতে যেভাবে বোর হোল করে ৬৫ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তাদের।

আরও পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খেতেই হবে কেন জানেন? গ্যাস ও বদহজমের মহৌষধ এটি, জানুন

প্রসঙ্গত মহাবীর কোলিয়ারিতে দুর্ঘটনা হয়েছিল, সে সময় এসিএল-এর প্রকৌশলী যশবন্ত সিং গিলের নেতৃত্বে বিশেষ ড্রিল মেশিনের সাহায্যে গর্ত করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। মহাবীর কোলিয়ারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলির বর্তমান অবস্থা কেমন, সেগুলি জানতে চেয়ে কোল ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ইসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বনশাল নামের ওই সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী সংস্থার কর্তাদের যোগাযোগ করানো হয়েছে।

তাছাড়াও কোল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন দক্ষ বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন ঘটনাস্থল। যে গর্ত করে শ্রমিকদের বের করে আনার পরিকল্পনা রয়েছে, তা সফল না হলে দ্রুত দ্বিতীয় পরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। তাই ইতিমধ্যেই মহাবীর কোলিয়ারির ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলি এবং সেই পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশদ তথ্য নেওয়া হয়েছে। যে তথ্য সরবরাহ করেছে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড।

পাশাপাশি, প্রয়োজনে মহাবীর কোলিয়ারিতে ব্যবহৃত বিশেষ ড্রিল মেশিন কীভাবে দ্রুত উত্তরকাশীতে পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ইসিএল দক্ষ উদ্ধারকারীদের সেখানে পাঠাতে প্রস্তুত। কারণ এই ধরনের মাটির গভীরে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ইসিএলের বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে। সেই মাইনিং রেসকিউ টিমের দক্ষ, অভিজ্ঞ সদস্য এবং কর্তাদের এর আগে বিভিন্ন উদ্ধার কাজে হাত লাগাতে দেখা গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা প্রয়োজনে কাজে লাগাতে চাওয়া হচ্ছে উত্তরকাশীতে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনতেও।

নয়ন ঘোষ

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Bangla News: গোয়ালঘর, রাধাবল্লব নামের ভুয়ো অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা! রাতারাতি ২৬ জন লাখপতি!

রায়দিঘি: নগেন্দ্রপুরে কিছু ব্যক্তির আ্যকাউন্টে হঠাৎ ঢুকল টাকা। কিভাবে ঢুকল এই টাকা তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে জানা যায় সেগুলি আবাস যোজনার টাকা। এরপরই টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও। উল্লেখ্য এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মথুরাপুর-‌২ ব্লকে ২৭ জনকে টাকা ফেরতের নোটিশ দিয়েছে বিডিও। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা সেই টাকা আক্যাউন্টে ঢোকার পরই আত্মসাৎ করেছে বলে সরকারি তদন্তে উঠে এসেছে।

এই নোটিশ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। গত ৬ নভেম্বর বিডিওর পক্ষ থেকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০ নভেম্বর পর্যন্ত একজনও টাকা ফেরত দেননি। শুধুমাত্র টাকা আ্যকাউন্টে ঢুকে যাওয়াই নয়। লিস্টে এমন কিছু নাম রয়েছে যাদের আদৌ অস্তিত্ব নেই। রয়েছে গোয়ালঘর নামের ব্যক্তি, রয়েছে রাধাবল্লভ ও। কিন্তু কিভাবে এই নামের ব্যক্তি টাকা পেল তা নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: শীতকালে ত্বকে ও চুলে সর্ষের তেল মাখুন! বিশেষজ্ঞের থেকে জানুন ব্যবহারের বিশেষ পদ্ধতি

বিডিও নাজির হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে আবাস যোজনার অর্থনৈতিক সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় ইতিমধ্যে ২৭ জনকে চিহ্নিত করে ১ লক্ষ ২০ হাজার করে টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। এখনও কেউ টাকা ফেরত দেননি। টাকা না ফেরালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’‌ বেআইনিভাবে তৈরি ২৯ জনের তালিকা বড় চমকও আছে। তালিকায় কোন নাম ছাড়া এবং ঘোয়ালঘর, রাধাবল্লভ নামেও টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

নবাব মল্লিক

Uttarakhand Tunnel Video : উত্তরকাশীর টানেলে আটকে থাকা ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা, শুনুন

উত্তরকাশীর টানেলে আটকে থাকা ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা। কথা বলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলো পরিবারে। ১০ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পুরশুড়ার জয়দেব প্রামাণিক ও সৌভিক পাখিরা। চিন্তায় একেবারে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন জয়দেবের মা। মঙ্গলবার রাতে ছেলের গলা শোনার পর মায়ের এখন কিছুটা স্বস্তি।

Jagadhatri Pujo 2023: পালকিতে ঘট বিসর্জন কৃষ্ণনগরে, সঙ- রণপা-ট্যাবলোয় বিরাট শোভা‌যাত্রা

কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনকে কেন্দ্র করে জনজোয়ারের ভাসল নদিয়ার কৃষ্ণনগর। এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় কার্যত বাঁধভাঙ্গা মানুষের সমাগম ঘটল কৃষ্ণনগর শহরের বুকে। ঘট বিসর্জন উপলক্ষে এই দিনও তার কোনও খামতি লক্ষ্য করা গেল না। দুপুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অগণিত উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমাতে থাকেন শহরের বুকে। পাশাপাশি পুজো বারোয়ারি কমিটিগুলো পুজোর ঘট নিয়ে রকমারি বাজনা সহকারে ও সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিরঞ্জন ঘাটের দিকে এগোতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: নবাবের থেকে ধার নেওয়া টাকা শোধ, তারপরই শুরু কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো

জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা কৃষ্ণনগরের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে প্রচলিত রয়েছে আদি কাল থেকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছরের মত এই বছরেও বুধবার বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুজো বারোয়ারী কমিটির সদস্যরা তাদের সুসজ্জিত ঘট বিসর্জন শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় দূর দূরান্ত থেকে আগত উৎসাহী দর্শনার্থীদের। প্রশাসনের নির্দেশ মতো শোভাযাত্রাগুলি শহরের নির্দিষ্ট পথ ধরে প্রদক্ষিণ করার পর জলঙ্গী নদীর দিকে অগ্রসর হয়।

আরও পড়ুন: দেখে নিন কৃষ্ণনগরের বিশেষ কিছু জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেল

এছাড়াও যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘট বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কার্যত নিরাপত্তার মোড়কে শহর কৃষ্ণনগরকে ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা জনিত কারণে শহরের ভেতরে এ দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও সম্পূর্ণভাবে ব্লক করে দেওয়া হয় শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াত করার বিভিন্ন পথঘাট। এক কথায় জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা ও সাঙ যাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শহরকে।

জানা যায়, আগে প্রতিমার সঙ্গেই ঘট বিসর্জন হতো। কিন্তু সত্তর, আশির দশকে বিসর্জনের সময় পুজো কমিটি গুলোর মধ্যে ব্যাপক মারপিট হত। ঠাকুর ভাসানে লাগত রক্তের ছিটে। ১৯৯৪ সালে প্রতিমা নিরঞ্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই বছর গোলাপট্টি বারোয়ারি এক কাণ্ড করে বসে। প্রতিমার বদলে দিনের বেলা শোভাযাত্রা করে ঘট নিয়ে ভাসানে বেরিয়ে পড়ে। শোভাযাত্রায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বন্ধ হয়ে ‌যাওয়া সাঙকেও। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইএই সাঙ সাজতেন। সেই শুরু।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কমিটির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিল প্রশাসনও। তারপর ধীরে ধীরে বাকি পুজো কমিটিরগুলোও দিনের বেলা ঘট ভাসান শুরু করে।

Mainak Debnath

Jagadhatri Pujo 2023: জলের উপর লেজার শোয়ে মরণোত্তর অঙ্গদানের বার্তা, চন্দননগরে মধ্যাঞ্চলের জগদ্ধাত্রী পুজোয়

হুগলি: জলের উপরেই ফুটে উঠছে লেজার শোয়ের অ্যানিমেশন। যার মধ্যে দিয়ে বার্তা পৌঁছাচ্ছে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার। চন্দননগরের মধ্যাঞ্চল সার্বজনীনের এই বছরের আলোর বিশেষ চমক ‘মনে রেখো’। যেখানে জলের ফোয়ারার উপরে হচ্ছে লেজার শো ও অ্যানিমেশন ভিডিও।

আরও পড়ুন: বারোয়ারি পুজো কথাটি কোথা থেকে এসেছে? কী রয়েছে বারোয়ারির ইতিহাসে? জানুন

মূলত যারা অঙ্গদানের মাধ্যমে জীবনের অমূল্য উপহার দিয়েছেন অথবা দিতে ইচ্ছুক তাদের উদ্দেশ্যে জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন গুলোতে মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন লেজার শোয়ের আয়োজন করেছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু থেকে প্রতিদিন সন্ধায় প্রদর্শিত হচ্ছে এই লেজার শো । অঙ্গদানের গুরুত্ব বোঝাতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কর্তৃক জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা এবং অঙ্গদান করলে অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকা যায় তা দেখানো হচ্ছে লেজার শোয়ে।

চন্দননগর আলোর শহর জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাজপথ আলোকিত রকমারি আলোয়। আর চন্দননগর স্টেশন রোডে মধ্যাঞ্চলের লেজার শো দেখতেও ভীর উপচে পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একটি নামীবেসরকারি হাসপাতাল একত্রিতভাবে আয়োজন করেছে এই লেজার শো ও অ্যানিমেশন ভিডিও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধ্যাঞ্চলের সামনে পুকুরে জলের ফোয়ারার মধ্যে ফুটে উঠছে এই অভিনব আলোক শিল্প।

রাহী হালদার

South 24 Parganas News : জয়নগরে গাছ কাটা শুরু, এবার বাজারে মিলবে খেজুর গুড় আর মোয়া

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরমকে বিদায় দিয়ে শীতের আগমন। আর শীতকাল মানেই বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে জয়নগরের মোয়া সবার সেরা।  সবে মাত্র হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে আর এর মধ্যেই শিউলিরা খেজুর গাছ কাটতে শুরু করেছে। শীতকালে খেজুর গুড় বা নলেন গুড় ছাড়া বাঙালির চলে না। শীত মানেই পিঠে-পুলি-পায়েস, আর খেজুর গুড় ছাড়া এসব ভাবাই যায় না।

আরও পড়ুন: রোদ আর শিশির মেখে তপ্ত বালিতে হবে ভাজা, কনকচূড় ধানের খইয়ে তবেই হবে ‘জয়নগরের মোয়া’

বর্তমানে অবশ‌্য ভেজালের যুগে এই গুড়ের স্বাদ আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। খেজুর রস থেকে নলেন গুড় তৈরি করে সেগুলি বিভিন্ন মোয়া ব্যবসায়ীদের পাইকারি বিক্রি করে দেওয়া শিউলিদের কাজ। সেই মতো জয়নগর এলাকার শিউলিরা সারি সারি খেজুর গাছগুলি প্রথমে ভালো করে ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর খেজুর গাছ কেটে গায়ে নল লাগিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়।তার পর খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে সেই রস ঘণ্টাখানেক ধরে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হয়।

খেজুর গাছে আগেরদিন বিকেল বেলায় অথবা সূর্য ওঠার আগে মাটির কলসি বা হাঁড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরেরদিন সকালে সেই মাটির পাত্রে জমা রস থেকে গুড় তৈরি করা হয়। এ প্রসঙ্গে এক শিউলি জানান আমার বংশ পরম্পরায় এই খেজুর গাছ কেটে আসছে। তবে আগামী দিন আমার ছেলেরা এই ব্যবসা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। যার আসল কারণ এই সেভাবে লাভ খুঁজে পাওয়া যায় না যতটা পরিশ্রম করতে হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে বাজারে নকল গুড়ের চাহিদা বাড়ায় আসল নলেন গুড় যেন কেমন হারিয়ে যেতে বসেছে।

সুমন সাহা