Tag Archives: Amrit Bharat Station Scheme

Amrit Bharat Station: আনন্দের খবর! অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় এবার বাংলার ‘এই’ স্টেশন! খুশ স্থানীয়রা

দিনহাটা: জেলা কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মহকুমা দিনহাটা। আর এই কারণেই এই মহকুমার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। এই মহকুমা শহরের মাঝেই রয়েছে দিনহাটা স্টেশন। যেই স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশনের প্রকল্পের আওতায় উন্নত করে তোলা হচ্ছে। আর সেই স্টেশন উন্নত করে তোলার কাজ চলছে অনেকটাই দ্রুত গতিতে ফলে খুশি বহু মানুষ। দ্রুত এই স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে। এছাড়া এই স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া স্টেশন হওয়ার ফলে গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই এই স্টেশনের।

স্টেশন চত্বরের এক ব্যবসায়ী গৌতম পাল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই স্টেশন সাধারণ মানুষের কাছে ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছিল। এই স্টেশনে ট্রেন সংখ্যা ছিল একেবারেই সামান্য। ফলে নিত্যযাত্রীদের কোচবিহারে এসেই ট্রেন ধরতে হত। তবে এই স্টেশন যদি উন্নত করে তোলা হয়। তবে ভবিষ্যত দিনে এই স্টেশনের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে উঠবে। ফলে সুবিধা পাবেন বহু সাধারণ মানুষ। এতে দিনহাটা মহকুমা শহরের উন্নতি হবে, পাশপাশি উন্নতি হবে জেলা কোচবিহারের। এছাড়া মানুষের আনাগোনা বেড়ে উঠলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও বেড়ে উঠবে।”

দিনহাটা শহরের এক টোটো চালক সন্তোষ সাহা এবং ট্রেনের এক নিত্য যাত্রী বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “স্টেশনের কাজ যেভাবে দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। এতে খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হয়ে যাবে সমস্ত কাজ। তারপরে অনেকটাই সুবিধা হবে বহু মানুষের। মহকুমা শহরে অবস্থিত এই স্টেশনের গুরুত্ব পরবর্তী সময়ে আরও বেড়ে উঠতে চলেছে। তাই তো সাধারণ মানুষের মধ্যে স্টেশন নিয়ে এক আলাদা উদ্দীপনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে কত দিনে এই স্টেশনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এই নিত্যযাত্রীদের এই স্টেশন অনেকটাই সুবিধা করে দেবে।”

ভারতের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্টেশন কে এই প্রকল্পের আওতাধীন করে উন্নত করে তোলা হচ্ছে। তবে জেলা সদর শহরের স্টেশন নয়। কোচবিহারের মহকুমা শহরের দিনহাটা স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে। প্রথম থেকেই খুশির আবহাওয়া ছিল দিনহাটাবাসীর মধ্যে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এই স্টেশনের গুরুত্ব শুধু সময় থেকেই ছিল অনেকটাই বেশি।

Sarthak Pandit

Ranaghat Station: পরিকাঠামোর উন্নয়নই লক্ষ্য, ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হল রানাঘাট স্টেশনকে

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য – ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক জুড়ে রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে উন্নত এবং আধুনিকীকরণ করা। স্কিমটি প্রাথমিকভাবে মোট ১২৭৫টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ABSS বিভিন্ন স্টেশনের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলিকে কার্যকর করার কাজ চলছে। এই উন্নয়ন যজ্ঞের মধ্যে রয়েছে উন্নত স্টেশন প্রবেশদ্বার, যাত্রী অপেক্ষার সুবন্দোবস্ত, টয়লেট সুবিধা, প্রয়োজন অনুসারে লিফট এবং এসকেলেটর ইনস্টলেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা, ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রডাক্ট’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যগুলির জন্য কিয়স্ক স্থাপন, যাত্রীদের তথ্য ব্যবস্থা উন্নত করা ও প্রতিষ্ঠা করা, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ব্যবসায়িক মিটিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা এবং প্রতিটি স্টেশনের সব রকম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা।

আরও পড়ুন– ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে ময়দানে বিজেপি

অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে, শিয়ালদহ বিভাগের মোট ১৭টি স্টেশন, যেমন, শিয়ালদহ, দমদম, বারাসাত, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কল্যাণী, সোনারপুর ইত্যাদি আগে অনুমোদিত হয়েছিল ৷ সমস্ত স্টেশনের কাজ চলছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

এখন, শিয়ালদহ বিভাগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, অর্থাৎ রানাঘাটকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিয়ালদহ-রানাঘাট রেল সংযোগ চালু হয়েছিল প্রায় ১৬২ বছর আগে, ব্রিটিশ আমলে। মেন লাইনটি ১৮৬২ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়। রানাঘাট-বনগাঁ সংযোগ ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দ্বারা স্থাপিত হয় এবং পরবর্তীকালে রানাঘাট-লালগোলা শাখা লাইনটি ১৯০৫ সালে শুরু হয়েছিল। শিয়ালদহ- রানাঘাট সেকশন ১৯৬৩-৬৪ সালে বিদ্যুতায়িত হয়।

আরও পড়ুন– নতুন করে নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে ! আবহাওয়ার পরিবর্তন কবে থেকে হতে পারে? জেনে নিন

এখন, রানাঘাট স্টেশন শিয়ালদহ বিভাগের অন্যতম প্রধান জংশন স্টেশন যা শান্তিপুর জংশন, গেদে, লালগোলা, বনগাঁ ও শিয়ালদহকে সংযোগ করে। । এইভাবে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে রানাঘাট স্টেশনের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন অত্যন্ত উপকারী হতে চলেছে এবং যাত্রী সুবিধা বিস্তার করতে চলেছে।

অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমে রানাঘাটের স্টেশনের কাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও, এটিকে উভয় দিকের আশপাশের এলাকার সঙ্গে একীভূত করা, মাল্টিমোডাল সংযোগের ব্যবস্থা, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আরও ভাল সুবিধা প্রদান, টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান বাস্তবায়িত করা, ব্যালাস্ট-লেস ট্র্যাক প্রবর্তন করা ইত্যাদি কাজ করা হবে। এক কথায়, পুরনো রানাঘাট স্টেশন ভবিষ্যতে শহরের প্রাণবন্ত কেন্দ্রে পরিণত হবে।

Rail: লক্ষ লক্ষ রেল যাত্রীদের জন্য বিরাট খবর! এসি ওয়েটিং হল, ফ্রি Wifi! বদলে যাচ্ছে রাজ্যের বহু স্টেশন, আপনার স্টেশন রয়েছে তালিকায়?

*খুব শীঘ্রই রূপ বদল করতে চলেছে আসানসোল ডিভিশনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। অমৃত ভারত প্রকল্পে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত কুমারডুবি স্টেশনটিকে। প্রতিবেদনঃ নয়ন ঘোষ। সংগৃহীত ছবি। 
*খুব শীঘ্রই রূপ বদল করতে চলেছে আসানসোল ডিভিশনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। অমৃত ভারত প্রকল্পে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত কুমারডুবি স্টেশনটিকে। প্রতিবেদনঃ নয়ন ঘোষ। সংগৃহীত ছবি।
*ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাজ। নতুন রূপে সেজে ওটা কুমারডুবি স্টেশনে অত্যাধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের গুণগতমান আরও উন্নত হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই জোরকদমে কুমারডুবি স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। কুমারডুবি স্টেশনটি ঝাড়খণ্ডের নিরশা ব্লকে অবস্থিত। সংগৃহীত ছবি। 
*ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাজ। নতুন রূপে সেজে ওটা কুমারডুবি স্টেশনে অত্যাধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের গুণগতমান আরও উন্নত হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই জোরকদমে কুমারডুবি স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। কুমারডুবি স্টেশনটি ঝাড়খণ্ডের নিরশা ব্লকে অবস্থিত। সংগৃহীত ছবি।
*কয়লা অঞ্চলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এটি। নিউ দিল্লি হাওড়া কর্ড লাইনে অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। স্টেশনটি অবস্থানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল এবং কয়লা খনি অঞ্চলে বিশেষভাবে গুরুত্ব রয়েছে কুমারডুবি স্টেশনের। সংগৃহীত ছবি। 
*কয়লা অঞ্চলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এটি। নিউ দিল্লি হাওড়া কর্ড লাইনে অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। স্টেশনটি অবস্থানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল এবং কয়লা খনি অঞ্চলে বিশেষভাবে গুরুত্ব রয়েছে কুমারডুবি স্টেশনের। সংগৃহীত ছবি।
*একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই স্টেশনে থামে। প্রত্যেকদিন বহু যাত্রী অফিস এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কুমারডুবি স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাছাড়াও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে এই স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেন যাত্রীরা। আবার বিভিন্ন কাজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে। সংগৃহীত ছবি। 
*একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই স্টেশনে থামে। প্রত্যেকদিন বহু যাত্রী অফিস এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কুমারডুবি স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাছাড়াও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে এই স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেন যাত্রীরা। আবার বিভিন্ন কাজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে। সংগৃহীত ছবি।
*অমৃত ভারত প্রকল্পের পূর্ব রেলের অনেকগুলি স্টেশন সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই তালিকায় রয়েছে কুমারডুবি স্টেশন। কাজ সম্পূর্ণ হলে স্টেশন কেমন দেখতে হবে, তারও একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফ থেকে। সংগৃহীত ছবি। 
*অমৃত ভারত প্রকল্পের পূর্ব রেলের অনেকগুলি স্টেশন সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই তালিকায় রয়েছে কুমারডুবি স্টেশন। কাজ সম্পূর্ণ হলে স্টেশন কেমন দেখতে হবে, তারও একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফ থেকে। সংগৃহীত ছবি।
*স্টেশনটিকে সুন্দর করে যেমন সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তেমনভাবেই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য স্টেশনে আরও বাড়বে। স্টেশনে ঢোকার জন্য তৈরি হবে বিশাল প্রবেশদ্বার। বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য থাকছে আলাদা শৌচাগার। সংগৃহীত ছবি। 
*স্টেশনটিকে সুন্দর করে যেমন সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তেমনভাবেই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য স্টেশনে আরও বাড়বে। স্টেশনে ঢোকার জন্য তৈরি হবে বিশাল প্রবেশদ্বার। বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য থাকছে আলাদা শৌচাগার। সংগৃহীত ছবি।
*যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে কুমারডুবি স্টেশনে তৈরি হবে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়েটিং হল। স্টেশনের ভেতরে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা অত্যাধুনিক শৌচাগার গড়ে তোলা হবে। সংগৃহীত ছবি। 
*যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে কুমারডুবি স্টেশনে তৈরি হবে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়েটিং হল। স্টেশনের ভেতরে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা অত্যাধুনিক শৌচাগার গড়ে তোলা হবে। সংগৃহীত ছবি।
*স্টেশন চত্বরে গড়ে তোলা হবে ৪৫৬ স্কোয়ার মিটার এলাকার বিশাল একটি পার্কিং এরিয়া। যাত্রী সুবিধায় থাকবে র‍্যাম্প। প্লাটফর্মগুলিকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। সেখানে যাত্রীদের বসার জন্য আরও আরামদায়ক ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। সংগৃহীত ছবি। 
*স্টেশন চত্বরে গড়ে তোলা হবে ৪৫৬ স্কোয়ার মিটার এলাকার বিশাল একটি পার্কিং এরিয়া। যাত্রী সুবিধায় থাকবে র‍্যাম্প। প্লাটফর্মগুলিকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। সেখানে যাত্রীদের বসার জন্য আরও আরামদায়ক ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। সংগৃহীত ছবি।
*স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ হলে আরও নানা ব্যবস্থা থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই, ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট এর কিয়স্ক ইত্যাদি। স্টেশনের পরিছন্নতার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। উন্নত করা হবে স্টেশনের প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্চ। সংগৃহীত ছবি।
*স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ হলে আরও নানা ব্যবস্থা থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই, ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট এর কিয়স্ক ইত্যাদি। স্টেশনের পরিছন্নতার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। উন্নত করা হবে স্টেশনের প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্চ। সংগৃহীত ছবি।

Amrit Bharat Station Scheme: বড় ঘোষণা রেলের! বিশ্বমানের সুবিধা প্রদান করা হবে এই স্টেশনগুলিতে! জেনে নিন

কলকাতা:  রেলওয়ে, তথ্য ও সম্প্রচার এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে উত্থাপন একটি বিষয়ে উত্তর দিয়ে বলেন যে রেল মন্ত্রক সম্প্রতি অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম চালু করেছে। এই প্রকল্পের দ্বারা দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিতে ক্রমাগতভাবে স্টেশনগুলির উন্নয়নের কথা পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই স্কিমের অধীনে স্টেশনগুলিতে প্রবেশ-প্রস্থান, সার্কুলেটিং এরিয়া, ওয়েটিং হল, টয়লেট, প্রয়োজন অনুযায়ী লিফ্ট এবং এসকালেটর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই-এর উন্নয়ন, ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’-এর মতো স্কিমের মাধ্যমে স্থানীয় সামগ্রীরা জন্য কিওস্ক, উন্নত প্যাসেঞ্জার ইনফর্মেশন সিস্টেম, এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ, ব্যবসায়িক বৈঠকের জন্য মনোনীত স্থান, ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদির মতো সুযোগ-সুবিধাগুলির উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তুতি এবং সেগুলি বাস্তবায়ন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদীভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমিকভাবে এবং সুবিধা অনুযায়ী ভবনের উন্নয়ন, স্টেশনকে শহরের উভয় পাশের সাথে একত্রিত করা, মাল্টিমোডাল ইন্টিগ্রেশন, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সুবিধা, টেকসই এবং পরিবেশ অনুকূল সমাধান, ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক ইত্যাদি এবং স্টেশনে সিটি সেন্টার তৈরি করার কথাও এই স্কিমের অধীনে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জোনাল রেলওয়ে থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই স্কিমের অধীনে প্রধান প্রধান নগর ও শহরের মধ্যে অবস্থিত মোট ১৩২৪টি স্টেশনকে নির্বাচন করা হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)-এর অধীনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ৯১টি স্টেশনের পুনর্বিকাশ করা হবে।

ভারত সরকারের ‘‘সুগম্য ভারত মিশন’’ অথবা ‘অ্যাকসেসেবল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন’-এর অংশ হিসেবে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সুগম্যতার নির্দেশাবলি ভারতের সরকারি গ্যাজেটে অধিসূচিত করা হয়েছে।

এই নির্দেশাবলির মধ্যে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযুক্ত সুবিধাগুলির ব্যবস্থা যেমন প্রবেশদ্বার, প্রবেশযোগ্য পার্কিং, কম উচ্চতার টিকিট কাউন্টার, হেল্প ডেস্ক, শৌচালয়, পানীয় জলের বুথ,  লিফট সহ সাব-ওয়ে বা ফুটওভার ব্রিজ, ব্রেইলি সাইনেজ সহ স্ট্যান্ডার্ড সাইনেজ এবং দৃষ্টিজনিত প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদির জন্য স্পর্শ পথ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এই স্টেশনগুলির উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে।  আপগ্রেডেড স্টেশনগুলি উন্নয়ন যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশকে প্রসারিত করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন- বন্ধ অস্ত্রোপচার, থমকে আউডোর! আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে চিকিৎসকরা

Amrit Bharat Scheme: অমৃত ভারত প্রকল্পের টাকায় শান্তিপুরের স্কুলে পার্ক!

নদিয়া: অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় শান্তিপুরের স্কুলে তৈরি হতে চলেছে পার্ক। সূত্রগর গার্লস হাইস্কুলে শান্তিপুর পুরসভার তত্যাবধানে সাড়ে আট লক্ষ টাকা ব্যায়ে ছাত্রীদের মানসিক এবং শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে তৈরি হতে চলেছে এই পার্ক। এই কারণে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ভিত্তিপস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হল কাজ।

এদিনের এই ভিত্তিপস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে উওপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ, স্কুল পরিচলন সমিতির সভাপতি কিন্নর সেন, প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস ঘোষ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইভি প্রামানিক এবং বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীরা।

আর‌ও পড়ুন: গ্রামের পড়ুয়াদের নিয়ে রোবট সায়েন্সের কর্মশালা

এদিন ছাত্রীদের উলুধ্বনি এবং শঙ্খ ধ্বনির মাধ্যমে পুরপ্রধানকে স্বাগত জানানো হয়। এই পার্ক তৈরি হওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাশাপাশি খুশি শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য, যেখানে একের পর এক সরকারি বিদ্যালয়গুলির বেহাল দুর্দশার চিত্র উঠে আসেছে, সেই সময় দাঁড়িয়ে শান্তিপুর পুরসভার তত্ত্বাবধানে শান্তিপুর সূত্রগর গার্লস হাইস্কুলে সৌন্দর্যায়ন করা চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা মনে করছেন, এর ফলে ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

মৈনাক দেবনাথ

Hawker Protest: রেল লাইনে শুয়ে পড়ার হুমকি ব্যবসায়ীদের! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও

উওর ২৪ পরগনা: অমৃত ভারত প্রকল্পে অত্যাধুনিক রূপ পাওয়ার পথে সীমান্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বনগাঁ। সেই কাজ চলছে। কিন্তু অত্যাধুনিক স্টেশন তৈরির সেই পরিকল্পনাই এবার বাঁধার মুখে। স্টেশনের হকার ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র বনগাঁ সংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এদিন বনগাঁ স্টেশনে মিছিল করে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন শ্রমিক সংগঠনটির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ স্টেশনে হকারি করে আসাদের আধুনিকীকরণের নামে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্টেশন এলাকার বাইরে টোটো-অটোর স্ট্যান্ড’ও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। কোন‌ওরকম আগাম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে রেলের এমন সিদ্ধান্তেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্টেশন এলাকার যাত্রী, পরিবহণ ব্যবসায়ী ও হকারদের মধ্যে।

আরও পড়ুন: কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটেতে আসতে পারেন আপনিও, রয়েছে থাকার জায়গা

এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে এতদিনের ব্যবসায় এভাবে আঘাত নেমে আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কয়েকশো স্থানীয় ব্যবসায়ী। এখন কীভাবে সংসার চলবে সেটা বুঝে পাচ্ছেন না তাঁরা। এরই প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি’র পক্ষ থেকে রেলের আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। রেল এই হকার ও প্রান্তিক পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কথা না ভাবলে আগামী দিনে ১০ হাজার লোক নিয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনে শুয়ে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথাও বলা হয়।

বনগাঁ স্টেশনে হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষ বলেন, রেলের এই দ্বিচারিতা আমরা মানব না। স্টেশন এলাকার হকার ভাইদের কোন‌ও নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে, কোনরকম আলোচনা ছাড়াই। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে আমাদের তরফে। রেলকে অবিলম্বে বিষয়টি দেখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাহলে আগামীতে বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে তিনি জানান। এই বিষয়ে রেলের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার এম কে বসাক জানান, রেলের উন্নয়নের স্বার্থে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। তাই প্রথম পর্যায়ে স্টেশন লাগোয়া যে সমস্ত দোকান ছিল তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত টোটো-অটো স্ট্যান্ড ছিল স্টেশনের বাইরে তাদেরকেও আপাত সরে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তীকালে বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে তাঁদেরকে আবারও পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এই আশ্বাস বাণী শোনার পর কিছুটা হলেও নরম হয়েছে বিক্ষোভকারীদের সুর।

রুদ্রনারায়ণ রায়