Tag Archives: Ranaghat

Ganesh Chaturthi 2024: রানাঘাট টক্কর দিল মহারাষ্ট্রকেও! ১৫ ফুটের গণেশ মূর্তির পুজো, পাশাপাশি চলছে আরজি করের প্রতিবাদও

রানাঘাট: গণপতি পুজোর মণ্ডপেও থাকছে প্রতিবাদের ছাপ। ১৫ ফুট উচ্চতার সর্ববৃহৎ গণপতি এবার নদিয়ায়। মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় পুজো গণপতি বাপ্পার পুজো এখন এই পশ্চিমবঙ্গ-সহ নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এবং রানাঘাটেও চোখে পড়ে। এর মধ্যে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংড়া পাড়া এলাকায় দ্বিতীয় বর্ষে এবার মূর্তির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। শোনা যায়, এত বড় গণপতি প্রতিমা শুধুমাত্র এখানেই আছে।

পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, তবে এই বছর আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে পুজো উদ্যোক্তারা একদিকে যেমন মণ্ডপ সজ্জায় সেই ছাপ রেখেছেন, তেমনই প্রতিবাদে মুখরও হয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহাল থাকলেও সে সবের মধ্যে থাকছে প্রতিবাদ।

উল্লেখ্য বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে গণেশ চতুর্থীতে গণপতি বাপ্পার পুজো। এই পুজো আগে মূলত মহারাষ্ট্রে ব্যাপক পরিমাণে প্রচলন থাকলেও এখন সে রাজ্য ছাড়িয়ে বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার মাটিতেও শুরু হয়েছে। বড় প্যান্ডেল এবং বিশালাকার গণেশ ঠাকুরের মূর্তি দেখা যায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। সুতরাং বলা যেতে পারে দুর্গাপুজোর আগে গণেশ চতুর্থীতে কিছুটা হলেও উষ্ণ অনুভূতি জেগে উঠল।

Mainak Debnath

Ranaghat Station: পরিকাঠামোর উন্নয়নই লক্ষ্য, ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হল রানাঘাট স্টেশনকে

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য – ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক জুড়ে রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে উন্নত এবং আধুনিকীকরণ করা। স্কিমটি প্রাথমিকভাবে মোট ১২৭৫টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ABSS বিভিন্ন স্টেশনের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলিকে কার্যকর করার কাজ চলছে। এই উন্নয়ন যজ্ঞের মধ্যে রয়েছে উন্নত স্টেশন প্রবেশদ্বার, যাত্রী অপেক্ষার সুবন্দোবস্ত, টয়লেট সুবিধা, প্রয়োজন অনুসারে লিফট এবং এসকেলেটর ইনস্টলেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা, ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রডাক্ট’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যগুলির জন্য কিয়স্ক স্থাপন, যাত্রীদের তথ্য ব্যবস্থা উন্নত করা ও প্রতিষ্ঠা করা, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ব্যবসায়িক মিটিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা এবং প্রতিটি স্টেশনের সব রকম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা।

আরও পড়ুন– ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে ময়দানে বিজেপি

অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে, শিয়ালদহ বিভাগের মোট ১৭টি স্টেশন, যেমন, শিয়ালদহ, দমদম, বারাসাত, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কল্যাণী, সোনারপুর ইত্যাদি আগে অনুমোদিত হয়েছিল ৷ সমস্ত স্টেশনের কাজ চলছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

এখন, শিয়ালদহ বিভাগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, অর্থাৎ রানাঘাটকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিয়ালদহ-রানাঘাট রেল সংযোগ চালু হয়েছিল প্রায় ১৬২ বছর আগে, ব্রিটিশ আমলে। মেন লাইনটি ১৮৬২ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়। রানাঘাট-বনগাঁ সংযোগ ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দ্বারা স্থাপিত হয় এবং পরবর্তীকালে রানাঘাট-লালগোলা শাখা লাইনটি ১৯০৫ সালে শুরু হয়েছিল। শিয়ালদহ- রানাঘাট সেকশন ১৯৬৩-৬৪ সালে বিদ্যুতায়িত হয়।

আরও পড়ুন– নতুন করে নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে ! আবহাওয়ার পরিবর্তন কবে থেকে হতে পারে? জেনে নিন

এখন, রানাঘাট স্টেশন শিয়ালদহ বিভাগের অন্যতম প্রধান জংশন স্টেশন যা শান্তিপুর জংশন, গেদে, লালগোলা, বনগাঁ ও শিয়ালদহকে সংযোগ করে। । এইভাবে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে রানাঘাট স্টেশনের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন অত্যন্ত উপকারী হতে চলেছে এবং যাত্রী সুবিধা বিস্তার করতে চলেছে।

অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমে রানাঘাটের স্টেশনের কাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও, এটিকে উভয় দিকের আশপাশের এলাকার সঙ্গে একীভূত করা, মাল্টিমোডাল সংযোগের ব্যবস্থা, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আরও ভাল সুবিধা প্রদান, টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান বাস্তবায়িত করা, ব্যালাস্ট-লেস ট্র্যাক প্রবর্তন করা ইত্যাদি কাজ করা হবে। এক কথায়, পুরনো রানাঘাট স্টেশন ভবিষ্যতে শহরের প্রাণবন্ত কেন্দ্রে পরিণত হবে।

Nadia News: স্কুলে গিয়ে আশ্বাস উইনারস টিমের! সময় মত পাব তো? প্রশ্ন ছাত্রীদের

নদিয়া: নারী সুরক্ষা নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ রানাঘাট পুলিশ জেলার। এবার রাস্তায় কিংবা কোনও জায়গায় যদি মেয়েরা বা মহিলারা বিপদে পরে অথবা কোনও ভাবে তারা আক্রান্ত হয় তার জন্য বিদ্যালয়, কলেজ, হাসপাতাল এবং পথ চলতি ছাত্রী এবং মহিলাদের কাছে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা রানাঘাট পুলিশ জেলার উইনার্স টিমের। প্রতিদিন শান্তিপুর এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়, হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং শান্তিপুর কলেজে শান্তিপুর থানার তৎপরতায় রানাঘাট পুলিশ জেলার উইনার্স টিমের মহিলা পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, রোজ রাতে চলছে উইনার্স টিমের টহল।

আরও পড়ুন: শার্ট ও সালোয়ারের কাপড়ে তৈরি প্যান্ট আর কামিজ! উল্টো ইউনিফর্মে স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা

এই উইনার্স টিম বিদ্যালয়ের মেয়েদের দিচ্ছে পাশে থাকার আশ্বাস। কোনোরকম বিপদে পড়লে পুলিশ কে ঘটনা জানাতে দিচ্ছে হেল্পলাইন নম্বর। তবে এই তৎপরতা প্রথম থেকেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ। যদিও পুলিশের এই তৎপরতা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন। এই তৎপরতা সত্যিই এখন দরকার। তবে এই তৎপরতা যেন বজায় থাকে। কারণ মেয়েরা এখন অনেকেই আতঙ্কে। তাই পুলিশ পাশে থাকলে নারী সুরক্ষা জোরদার হবে, এখন নারী সুরক্ষার জন্য বিশেষ আপ্ এর ব্যবস্থা পুলিশ যদি করে তাহলে আরও ভাল হয় ।

আরও পড়ুন:  লাঠি ছেড়ে এবার মাইক হাতে পুলিশ! তারপর যা হল…

তবে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা জানাচ্ছে পুলিশ জানিয়েছে তারা মেয়েদের পাশে আছে। তবে তারা এবং তাঁদের পরিবার আর জি করের ঘটনার পর যথেষ্টই আতঙ্কিত। তবে সব সময় পুলিশ কে কি সঙ্গে পাবো? প্রশ্ন তুলেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। যদিও নারী সুরক্ষায় রানাঘাট পুলিশ জেলা যে মেয়েদের পাশে রয়েছে তা বলার অবকাশ রাখেনা যদিও এই তৎপরতা থেকেই নারীদের সুরক্ষিত রাখবে রানাঘাট পুলিশ জেলা এবং রানাঘাট পুলিশ টিম এমনটাই আশাবাদী প্রশাসন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Multi Storey Building: হাইকোর্টের নির্দেশে বহুতল ভেঙে দিল এই পুরসভা

নদিয়া: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রানাঘাট পুরসভা ভেঙে দিল বেআইনি বহুতলের অবৈধ অংশ। রানাঘাটে এই ঘটনা প্রথম। সূত্র মারফত খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে রানাঘাট পুরসভার অন্তর্গত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ এবং ১৪/১ জিএনপিসি রোডের একটি বেআইনিভাবে নির্মীয়মান বহুতলের অবৈধ অংশ পুরসভাকে ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ফের মামলা ওঠে হাইকোর্টে। গত ১৫ জুন, ২০২৩ সালে এই নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৫ জুলাই, ২০২৪ তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট পুনরায় রায় দেয়, বহুতলের অবৈধ অংশ থাকলে তা ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই অনুযায়ী গত ২৪ জুলাই, ২০২৪ পুরসভা উভয় পক্ষকে বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত থেকে নিজেদের বক্তব্য পেশের নির্দেশ দেয়। সেখানেই ঠিক হয়, হাইকোর্টের নির্দেশমত বহুতলের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হবে।

আরও পড়ুন: গানে-নাটকে আরজি কর কাণ্ডে ‘জাস্টিস’ চাইলেন ওঁরা, দেখুন ভিডিও

মঙ্গলবার অবশেষে সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়। বেআইনি বহুতলের অবৈধ অংশ রানাঘাট পুরসভা ভেঙে দেয়। এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র রানাঘাট জুড়ে। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে অন্তত প্রকাশ্যে কাউকে দেখা যায়নি। তবে অশান্তি এড়াতে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মৈনাক দেবনাথ

Nadia News: অভাবের তাড়নায় খাতা পেন্সিল নিয়ে রানাঘাট স্টেশনেই বসে পড়ছে যুবক! তারপর

রানাঘাট: অভাবের সংসারেও ছবি আঁকায় হাল ছাড়েনি নদিয়ার বিজয়। সময় পেলেই রেলওয়ে স্টেশনে বসে অসাধারণ ছবি আঁকেন তিনি। স্বপ্ন ছবি আঁকার স্কুল খোলার। নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে সন্ধ্যায় প্রায়শই একটি ছেলেকে ছবি আঁকতে দেখা যায়। তার পেন্সিলের ছোঁয়ায় উঠে আসছে এমন এক অসাধারণ ছবি যা অনেকেরই কল্পনার বাইরে। বলা যেতে পারে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ তার হাতে।

সেই রকমই চিত্র ধরা পড়ল নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে। তার হাতের পেন্সিলের ছোঁয়ায় উঠে আসছে এক এক রকমের ছবি। তারই হাতের পেন্সিলের ছোঁয়ায় কখনও একজন মানুষকে জীবন্ত করে তুলছে। তার ড্রইং সিটে একের পর এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ কিভাবে চলছে বা কিভাবে হাঁটছে বা কিভাবে বসে আছে সেই চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে নিজের ক্যানভাসে বছর একুশের বিজয় পাল।

শিল্পী বিজয় পালের বাড়ি নদিয়ার পায়রাডাঙ্গার বৈদ্যপুরে। বাবা পেশায় কৃষক। তার বাবার নাম ভজন পাল মা রিনা পাল। বড়ই অভাবের সংসার তাদের। তার স্বপ্ন সে একদিন বড় ছবি আঁকার স্কুল তৈরি করবে সে। আঁকার স্কুল করেই সে সংসারকে চালাবে এবং বাবা ও মা কে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুনঃ North 24 Parganas News: কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলবন্দি বসিরহাট ও টাকির বেশ কয়েকটি এলাকা, সমস্যায় সাধরাণ মানুষ

রানাঘাটের পথ চলতি মানুষেরা এবং ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা অনেকেই যাওয়া আসার সময় দেখতে পান বিজয়কে। তাদের মধ্যে অনেকেই কর্ম ব্যস্ততার জীবনের মধ্যেও খানিকক্ষণ সময় বের করে বিজয়ের আঁকা ছবি মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকেন। আর এটিই শিল্পীর সার্থকতা বলে জানায় বিজয়!

Mainak Debnath

Buddhadeb Bhattacharjee: চিরবিদায় বুদ্ধদেব, মন কাঁদছে রানাঘাটের! নদিয়ার এই জনপদে কী এমন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

নদিয়া: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্যই নদিয়া পেয়েছিল নন্দনকে। কলকাতা রবীন্দ্র সদন সাংস্কৃতিক মঞ্চের মতোই আজ রানাঘাটেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্যই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে গীতাঞ্জলি সিনেমা হলের নতুন সংস্করণ তথা রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। রানাঘাটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম। এর কারণ হিসেবে জানা যায় রানাঘাটে এক সময় ছিল গীতাঞ্জলি সিনেমা হল।

আরও পড়ুন: মমতার সরকারের গান স্যালুট হচ্ছে না বুদ্ধদেবের শেষযাত্রায়! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের মানুষজনেরা রানাঘাটবাসীকে চেয়েছিলেন কলকাতার নন্দনের মতো একটি সাংস্কৃতিক শিল্পের আখড়ার উপহার দিতে। যেখানে বিভিন্ন শিল্পীরা এসে নিদর্শন দেখাতে পারবে তাঁদের শিল্পকলার। আর সেই মতোই তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রমা বিশ্বাস এবং প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাসের উদ্যোগে রানাঘাটের গীতাঞ্জলি সিনেমা হলটি অধিগ্রহণ করে জেলা পরিষদ।

আরও পড়ুন: ‘সকলের প্রিয়জন’, বিধানসভায় বুদ্ধদেবের মরদেহ, শাসক-বিরোধীদের শ্রদ্ধা, পাশাপাশি অভিষেক-শুভেন্দুও

পরবর্তীকালে তথ্য সংস্কৃতি দফতর সেটিকে অধিগ্রহণ করেই রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ মঞ্চ হিসেবে রানাঘাটের গীতাঞ্জলি সিনেমা হলকে মানুষের কাছে তুলে দেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে। তারপর থেকে আজও রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ মঞ্চ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ চলে আসছে।

Mainak Debnath

WB By Election result: উপনির্বাচনে যুযুধান রাণাঘাট-বাগদা! বিধায়ক হতে পারবেন কি মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী

কলকাতা: রায়গঞ্জ ও রানাঘাট ২ টি লোকসভা আসনেই এবার জয়ী হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জ ও রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপি পেয়েছে ৯৩ হাজার ৪০২টি ভোট। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। অন্যদিকে, রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা থেকে বিজেপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৬৮টি ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩২ ভোট। এই ২ লোকসভা কেন্দ্রে যে ২ জন তৃণমূল প্রার্থীর কার্যত ভরাডুবি হয়েছে, ২ মাসের মধ্যে তাঁদেরকেই ফের টিকিট দিয়েছে দল।

যদিও বনগাঁর পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে বাগদা বিধানসভা থেকে টিকিট দেয়নি দল। বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে ঠাকুরবাড়ির তরুণ প্রজন্মের সদস্য মমতা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে, রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ২০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু ভোটে জিতে ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে যোগ দেন তৃণমূলে। এবারের লোকসভা ভোটে, কৃষ্ণ কল্যাণীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে, প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই সময় বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।

রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী হন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। বর্তমানে তৃণমূলে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন মুকুটমণি। বাগদায় মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে তিনি।
মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ৯,৭৯২ (৪.৪৯ শতাংশ)। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর লড়াই করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ থেকে ১৬ হাজার ৫১৫ ভোটে (৬.৮৮ শতাংশ) জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। যিনি লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে লড়াই করেন। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি যে বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন, সেখানে ৩৬,৯৩৬ ভোটের লিড পান বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২০হাজার ৭৪৮ (১৩.০২ শতাংশ)। যিনি পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুয়ায়ী, রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৬,৭৩৯ ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের অর্ধেক ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী।

By Election Ranaghat Bagda: উপনির্বাচনে যুযুধান রাণাঘাট-বাগদা! বিধায়ক হতে পারবেন কি মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী? 

কলকাতা: রায়গঞ্জ ও রানাঘাট ২ টি লোকসভা আসনেই এবার জয়ী হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জ ও রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপি পেয়েছে ৯৩ হাজার ৪০২টি ভোট। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। অন্যদিকে, রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা থেকে বিজেপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৬৮টি ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩২ ভোট। এই ২ লোকসভা কেন্দ্রে যে ২ জন তৃণমূল প্রার্থীর কার্যত ভরাডুবি হয়েছে, ২ মাসের মধ্যে তাঁদেরকেই ফের টিকিট দিয়েছে দল।

যদিও বনগাঁর পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে বাগদা বিধানসভা থেকে টিকিট দেয়নি দল। বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে ঠাকুরবাড়ির তরুণ প্রজন্মের সদস্য মমতা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে, রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ২০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু ভোটে জিতে ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে যোগ দেন তৃণমূলে। এবারের লোকসভা ভোটে, কৃষ্ণ কল্যাণীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে, প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই সময় বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।

রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী হন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। বর্তমানে তৃণমূলে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন মুকুটমণি। বাগদায় মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে তিনি।
মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ৯,৭৯২ (৪.৪৯ শতাংশ)। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর লড়াই করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ থেকে ১৬ হাজার ৫১৫ ভোটে (৬.৮৮ শতাংশ) জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। যিনি লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে লড়াই করেন। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি যে বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন, সেখানে ৩৬,৯৩৬ ভোটের লিড পান বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২০হাজার ৭৪৮ (১৩.০২ শতাংশ)। যিনি পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুয়ায়ী, রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৬,৭৩৯ ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের অর্ধেক ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী।

Nadia News: সুলভ শৌচালয়ের ভিতরেই চলত পড়াশোনা, খবর ভাইরাল হতেই অবাক করা কাণ্ড নদীয়ায়

রানাঘাট: মনে আছে আদালত চত্বরের শৌচালয়ে পড়াশুনা করা সেই মা এবং মেয়েকে? খবর ভাইরাল হতেই এবার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল সামাজিক সংগঠন।নদিয়ার রানাঘাট আদালত চত্বরে রয়েছে পুরসভার শৌচালয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঝেমধ্যেই সেখানে যাচ্ছেন বিভিন্ন আইনজীবী, মক্কেল কিংবা প্রশাসনিক কাজে মহকুমা শাসকের দফতরে আসা মানুষজন। শৌচালয়ের ভেতরেই রয়েছে ছোট্ট একটা ঘর। ভ্যাপসা গরমে শান্তি বলতে একটাই সিলিং ফ্যান। মেয়েকে পাশে বসিয়ে বইয়ের ছাপা অক্ষরে আঙুল রেখে মা পড়াচ্ছেন। শৌচালয়ের ওই ঘর যেন এখন হয়ে উঠেছে বছর দশের সুহানির সাউয়ের ‘ নিজের পাঠশালা’।

গরমের ছুটিতে রানাঘাট ব্রজবালা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রীর অধিকাংশ দিন কাটে রানাঘাট আদালতের পাশে থাকা ওই শৌচালয়ের ঘরে। নিজের মায়ের সঙ্গে।সেই ঘরে বসেই আনমনে সাদা কাগজে এঁকেছে ছবি। মেয়ের শখের আঁকা ছবি শৌচালয়ের ওই ঘরের দেওয়ালে সযত্নে ঝুলিয়ে রেখেছেন মা কল্পনা দেবী ।এবার সেই ছোট মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম। এদিন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছোট্ট সোহানি সারা জীবনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম। সোহানির পড়াশোনার জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হল শিক্ষার সামগ্রী।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এ বিষয়ে সিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পরেশনাথ কর্মকার জানান, রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে এবং ন্যায় অধিকারের জন্য লড়াই করে তাই এই ছোট্ট শিশু সুহানি যে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এবং আঁকতেও খুব ভালোবাসে। তাই তার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল করতে তার পড়াশোনার দায়িত্ব সারা জীবনের জন্য সিটিজেন ফোরাম তাদের কাছে তুলে নিল এবং তাকে রানাঘাটের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল দেবনাথ ইনস্টিটিউশনে তাকে ভর্তি করিয়ে তার উচ্চশিক্ষার সমস্ত দায়িত্ব নিল সিটিজেন ফোরাম এবং পরবর্তীতে সুহানের পাশে থেকে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সবসময় সাহায্য করবে তারা এমনই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তার হাতে কিছু শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

যদিও সংবর্ধনা পেয়ে যথেষ্টই খুশি ছোট্ট সুহানি এবং তার মা জানান তিনি মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছেন কারণ এই অভাবের দিনে এইভাবে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম তাদের পাশে দাঁড়াবে সেটা কখনও ভেবে উঠতে পারেননি। তিনি দেবাদিদেব মহাদেবের পূজার্চনা করেন তার মতে স্বয়ং মহাদেবী মানুষ বেঁচে ছোট্ট সুহানের পাশে দাঁড়িয়েছে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ আরও মসৃণ করেছে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম তাই তাদের কাছে তিনি চিরঋণী হয়ে থাকবেন।

Mainak Debnath

Nadia News: মূক ও বধির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষকদের শেখান হচ্ছে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ

নদিয়া: বলুনতো ! মূক এবং বধির ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন রং কিংবা সপ্তাহের বিভিন্ন বারের অথবা মাসের নাম কিভাবে শেখাবেন? ইন্ডিয়ান সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে শিক্ষকরাই যখন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকায়। নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষক শিক্ষিকা হলেও সর্বশিক্ষা মিশনের ডাকে তারাই ছাত্র রীতিমত বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করছেন তারা। আর হবেই নাই বা কেন? বিদ্যালয়ে সকল শিশুদের শিক্ষণ পদ্ধতি একই। তা হল শিক্ষক শিক্ষিকারা যা বলবেন তা ভাল করে কানে শুনলেই হয়ে যায় পড়া মুখস্ত । কিন্তু যারা শুনতে পায় না! কিংবা কথাও বলতে পারেনা তাদের পড়া বোঝাতে গেলে তো লাগবেই বিশেষ শিক্ষা।

আরও পড়ুন:  ‘এমন যদি হত, আমি পাখির মতো…’ ২০ বছর ধরে ৫টাকা করে সঞ্চয়! কী করলেন কৃষ্ণনগরের এই দম্পতি?

আর সেই শিক্ষা পেতেই নদিয়ার রানাঘাটে অশ্বিনীকুমার জিএস এফটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রানাঘাট সাব ডিভিশনের শান্তিপুর হাঁসখালি রানাঘাট এলাকার নটি সার্কেলের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাছাই করা ৫৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকারা করছেন ক্লাস।শিখছেন ইন্ডিয়ান সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ। রানাঘাট শহর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌড়ব্রত সরকার জানান, সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে রানাঘাট শহরচক্রের পরিচালনায় এই বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতির অনুশীলন হচ্ছে। যদিও এর আগে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এ বিষয়ে তাদের নিজস্ব পড়াশোনা এবং অনুশীল অনুযায়ী নিজ নিজ বিদ্যালয়ে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে বিশেষভাবে সক্ষমদের পড়াশোনা শিখিয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন: কবরস্থানের উপর প্রোমোটারের নজর! হাইকোর্টে মামলা ঘিরে বিতর্ক

তবে বর্তমানে আরও উন্নত শিক্ষণ পদ্ধতি যেমন এসেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ক্ষেত্রে তেমনই এসেছে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আরও সুদক্ষ করে তোলার লক্ষ্যেই এই আয়োজন সরকারি তরফে।অন্যদিকে জলি মুখার্জি, ছবি হালদার, রাধিকা পাল, জয়ন্ত বাগচীদের মতন শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন এর আগেও বেশকিছু ট্রেনিং হয়েছে তবে তা ছিল মাত্র কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবারে অনেক বিস্তৃত। এবং অত্যাধুনিক ইন্ডিয়ান সাইন লেঙ্গুয়েজ অনুযায়ী বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের বোধগম্য হওয়া অনেক সহজসাধ্য এবং আকর্ষণীয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে এখান থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত হয়ে আমরা অভিভাবক অভিভাবিকাদেরও শেখানোর চেষ্টা করি কারণ তারাই বেশিরভাগ সময়ে থাকেন শিশুর সঙ্গে।

Mainak Debnath