Tag Archives: Durga Puja Fashion

Textile Fair: নজরকাড়া তাঁতের শাড়ি এত কম দাম! কোথায় মিলছে জানলে এখনই ছুটবেন

পূর্ব বর্ধমান: দুর্গা পুজোর আগে তাঁতিদের কথা মাথায় রেখে, অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে। পুজোর আগেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে শুরু হল তাঁতবস্ত্র মেলা। এই তাঁতবস্ত্র মেলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁত শিল্পীরা এসেছেন। সবমিলিয়ে এই মেলাতে ৩০ টি স্টল রয়েছে। প্রত্যেক স্টলের মধ্যেই রয়েছে নজরকাড়া তাঁতের শাড়ি। জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন শতাধিক তাঁতশিল্পী।

এক সময় জেলার তাঁত এবং তাঁতিদের ভাল অবস্থা ছিল। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে শিল্পীদের অবস্থা হয়ে গিয়েছে একেবারে শোচনীয়। কিন্তু এখনও অনেক শিল্পী রয়েছেন যাঁরা এই তাঁত শিল্পকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে রয়েছেন। পুজোর আগে শাড়ি বিক্রির আশায় অনেকে কিছু কিছু শাড়ি তৈরিও করেছেন। তাঁতিদের নিজেদের তৈরি শাড়ি যেন সত্যিই নজরকাড়া।

আরও পড়ুন: সাংঘাতিক ভয়ঙ্কর…! সব যেন গিলে খাচ্ছে! ২০১৩ সালের ভয়ানক স্মৃতি আবারও ফিরে এসেছে, এবার কী হবে?

এই তাঁতবস্ত্র মেলায় সুন্দর সুন্দর নজরকাড়া তাঁতের শাড়ি রয়েছে। শাড়ি ছাড়াও রয়েছে চুড়িদার, কুর্তি সহ মহিলাদের আরও বিভিন্ন ধরনের পোশাক। পুরুষদের জন্যও রয়েছে জামা,পাঞ্জাবির স্টল। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাটোয়া শহরের ঘোষহাটের হ্যান্ডলুম অফিস প্রাঙ্গণে চলবে এই মেলা। মেলা খোলা থাকবে দুপুর ১২ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Durga Puja Trending Dress: মিলছে একেবারে জলের দরে! এবার পুজোর বাজার কাঁপাচ্ছে আসামের মেখলা চাদরের ফিউশন, দাম কত জানেন?

শিলিগুড়ি: দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। প্রায় সবাই পুজোর কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে বং ফ্যাশনিস্তাদের নজর পুজো ফ্যাশনের ট্রেন্ডের দিকে। এবার পুজোর সময়ে কোন শাড়ি বাজার কাঁপাবে, কোন কুর্তাই বা সকলের নজর কাড়বে, সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক বঙ্গতনয়াই পুজোর সময়ে সুন্দর করে সাজতে পছন্দ করেন। তাঁরা ট্রেন্ডিং শাড়ির খোঁজ রাখেন। তবে এবছর কিন্তু ট্রেন্ডিং আসামের ফিউশন মেখলা-চাদর।

পুজোর সময়ে কোন কোন শাড়ির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকবে, তা মাস কয়েক আগে থেকেই বোঝা যায়। কারণ ডিজাইনারদের কাছে ইতিমধ্যেই নানা নকশার চাহিদা থাকে। এমনকি কারিগররাও বুঝতে পারেন, কোন ধরনের ডিজাইন এবার পুজোর বাজারে ছেয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- ১০০ বছরে এই প্রথমবার! দুর্গোপুজোয় বন্ধ থাকবে রঞ্জিত-কোয়েলদের বাড়ির দরজা, কারণটা কী? জানলে চমকে যাবেন!

তাছাড়া বাঙালি মহিলাদের বিশেষ পছন্দের প্রভাবও প্রতিবার পুজো ফ্যাশনে দেখা যায়। আর এবারও তার অন্যথা হবে না। তবে শিলিগুড়ি রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা মিমো সাহা এবার তার বুটিকে নিয়ে এসেছে আসামের মেখলা-চাদর। ফিউশন স্টাইলে একেবারে দারুণ সেই সাজে মহিলাদের সুন্দর লাগছে।

আরও পড়ুন- বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

মিমো বলেন, ‘ ইতিমধ্যেই আমার প্রচুর কালেকশন বেরিয়ে গিয়েছে। আমার এই ফিউশন স্টাইলের মেখলা-চাদর পড়ে মেয়েদের ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। সবাই ভীষণ পছন্দ করছে। আর দামটাও একেবারেই সামান্য।’ মেখলা-চাদর কিনতে এসে পারমিতা ঘোষ বলেন, ‘আমি বাজারে এসেছিলাম কিছু সুন্দর শাড়ি কিনব বলে তবে এই জায়গায় এসে আমি থমকে গেলাম। এত সুন্দর সুন্দর মেখলা-চাদর যে না কিনে থাকতে পারলাম না অষ্টমীর সকালে পড়ার জন্য একটা মেঘলা চাদর কিনে নিলাম।’ তাই পুজোর চারদিনে একদিন এই ফিউশন মেখলা-চাদর পড়ে দেখতেই পারেন।’

অনির্বাণ রায়

Jhargram News: পুজোর বাজারে তাক লাগাচ্ছে ‘আমার কাপড়’! কোয়েলের শাড়িতে স্বনির্ভরতার বার্তা

ঝাড়গ্রাম: অপেক্ষার আর কয়েক দিন, তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোতে সকলেই চান নিজেকে অন্যের থেকে আলাদাভাবে সাজিয়ে তুলতে। রূপচর্চার পাশাপাশি সকলেই ভালো শাড়ি ও গয়নার খোঁজ করতে থাকেন।

ঠিক এই কথা মাথায় রেখেই ঝাড়গ্রামের এক তরুণী শাড়ির সম্ভার নিয়ে নিজের বাড়িতেই শুরু করেছেন ‘দেশের কাপড়’। যেখানে মূলত সাধারণ শাড়ির উপর নারীদের পছন্দমতো হাতের কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। কেবলমাত্র নারীদের পছন্দমতো শাড়ি তুলে দিচ্ছেন, তা ঠিক নয়। স্বনির্ভর হওয়ার মধ্য দিয়ে বার্তা দিচ্ছেন নারীদের স্বনির্ভর হওয়ার।

আরও পড়ুন- রাত হলেই আপনার মুখের উপর ‘উৎসব’ করে এই প্রাণীরা! খেতে আসে তেল…! ভয়ঙ্কর সত্যি

ঝাড়গ্রাম শহরের নৃপেণপল্লী এলাকার বাসিন্দা সেই তরুণীর নাম কোয়েল মিত্র। নিজস্ব উদ্যোগে কয়েক বছর আগে শুরু করেছেন ‘দেশের কাপড়’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে তিনি বাজারের থেকে ভিন্ন ধরনের শাড়ির সামগ্রী নিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরেছেন।

শাড়িতে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কোথাও আবার জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নৃত্যানুষ্ঠান, আবার কোথাও বিভিন্ন পশু-পাখির চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়ির মধ্যে। যা অন্য মাত্রা এনেছে শাড়ির দুনিয়ায়।

আরও পড়ুন- ‘সরকার আপনাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত’… প্রার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় বসলেন কুণাল!

কোয়েল মিত্র বলেন, “পুজোর সময় সকলেই নতুন কিছুর সন্ধানে থাকে। সে কথা মাথায় রেখে আমি ‘দেশের কাপড়’ নামের প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলাম। যেখানে শাড়ির উপর নানা হাতের কারুকার্য করেছি শাড়িগুলিকে এক অন্য মাত্রা দেওয়া জন্য। একটা শাড়ির সঙ্গে আর একটা শাড়ির কোনও ভাবেই মিল হবে না। প্রতিটা শাড়ি আলাদা হবে। শুরু থেকেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে আমার এই ভাবনাচিন্তার। হাতের তৈরি শাড়ির পাশাপাশি আমার কাছে রয়েছে কাঞ্জিভরম, সুতির শাড়ি, কাঁথাস্টিচ শাড়ি , টিস্যু, বেনারসি সব ধরনের শাড়ি রয়েছে এছাড়াও পুরুষদের জন্য আমার কাছে রয়েছে পাঞ্জাবি ও শার্ট”।

শাড়ির উপর নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তুলে শাড়িকে এক অন্য মাত্রা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজকে কোয়েল মিত্র বার্তা দিতে চাইছেন। নারীরাও পিছিয়ে নেই। সমাজের মূল স্রোতে থেকে তাঁরাও স্বনির্ভর হতে পারেন, মনে করছেন কোয়েল।

বুদ্ধদেব বেরা

Finger Ring: জলের দরে সস্তা, হার মানাবে সোনাকেও! বাজার কাঁপাচ্ছে ট্রেন্ডিং এই পলার আংটি, দাম কত জানেন?

উত্তর দিনাজপুর: প্রেমিকার জন্মদিন কিংবা স্ত্রীর জন্য উপহার, প্রথমেই সবসময় মাথায় আসে আংটির কথা। তবে আংটির কথা মাথায় এলেও সোনা কিংবা হিরের মোড়ানো আংটি উপহারে দেওয়া সব ছেলেদের পক্ষে সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে সোনা কিংবা হিরে না হলেও প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীর জন্য বেছে নিতে পারেন মাত্র ৩০ টাকার পলার আংটি।

লাল রংয়ের এই পলার আংটি শুধু যে আপনার হাতের সৌন্দর্য বাড়াবে তা নয় মনে করা হয় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পলার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এবারে পলার ডিজাইন করা আংটিও ট্রেন্ডিং ফ্যাশনে বাজিমাত করেছে। এই পলার আংটি বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত যেকোনও মেয়েরাই তাদের আঙুলে পরতে পারেন ।

আরও পড়ুন-    জীবনটাই যেন ‘নরক’…! ছোটবেলা থেকেই অসহ্য কষ্ট-যন্ত্রণা! টেকেনি সংসার, মেলেনি সন্তান সুখ, আজও তিনি বলিউডের…

এই পলার আংটিতে মোড়ানো সোনা কিনতে গেলে যে কোনও স্বর্ণকারের দোকানে যেখানে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পড়বে। তবে সেটা কেনা সম্ভব না হলে সোনায় মোড়ানো না হলেও পলার মধ্যেই ইমিটেশনের কাজ করা এই আংটিগুলি আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয়জনের জন্য। যার দাম মাত্র ৩০ টাকা।

পিয়া গুপ্তা

Rice Water Benefits: ‘গ্লাস স্কিন’ পেতে এই এক কাপ জল, কী রয়েছে এতে? জানুন বিউটিশিয়ানের ম্যাজিক টিপস

চাল ধোয়াজল ফেলে দিচ্ছেন? ভুল করছেন মুখের ত্বকে এই জল ব্যবহার করলেই পাবেন ম্যাজিক।
চাল ধোয়াজল ফেলে দিচ্ছেন? ভুল করছেন মুখের ত্বকে এই জল ব্যবহার করলেই পাবেন ম্যাজিক।
ত্বককে উজ্জ্বল করতে, ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সঙ্গেঅকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে পরিচিত চালের জল ভীষণ উপকারী।
ত্বককে উজ্জ্বল করতে, ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সঙ্গেঅকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে পরিচিত চালের জল ভীষণ উপকারী।
বিউটি এক্সপার্ট সঙ্গীতা গুহ রায় জানান, ভাত অনেক অঞ্চলে একটি জনপ্রিয় খাবার তবে এটি অনেক পণ্যের উপাদান হিসাবেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে কোরিয়া, চিন এবং জাপানের মতো এশিয়ান দেশগুলিতে।
বিউটি এক্সপার্ট সঙ্গীতা গুহ রায় জানান, ভাত অনেক অঞ্চলে একটি জনপ্রিয় খাবার তবে এটি অনেক পণ্যের উপাদান হিসাবেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে কোরিয়া, চিন এবং জাপানের মতো এশিয়ান দেশগুলিতে।
এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে। চালের জলে উপকারী রাসায়নিক রয়েছে যা হাইপারপিগমেন্টেশন, সূর্যরশ্মির দাগ এবং বয়সের দাগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।
এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে। চালের জলে উপকারী রাসায়নিক রয়েছে যা হাইপারপিগমেন্টেশন, সূর্যরশ্মির দাগ এবং বয়সের দাগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।
চালের জল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ছিদ্র কমাতে সাহায্য করে। চালের জল ত্বকের টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসাবে ভাল কাজ করে কারণ ভিটামিন বি, সি এবং ই ছিদ্র ক্ষয় এবং শক্ত করতে সাহায্য করে।
চালের জল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ছিদ্র কমাতে সাহায্য করে। চালের জল ত্বকের টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসাবে ভাল কাজ করে কারণ ভিটামিন বি, সি এবং ই ছিদ্র ক্ষয় এবং শক্ত করতে সাহায্য করে।
চালের জল ত্বকে নরম, অতিরিক্ত সিবাম অপসারণ করতে সাহায্য করে, এটিকে কম তৈলাক্ত করে এবং একটি ম্যাট চেহারা ছেড়ে দেয়।
চালের জল ত্বকে নরম, অতিরিক্ত সিবাম অপসারণ করতে সাহায্য করে, এটিকে কম তৈলাক্ত করে এবং একটি ম্যাট চেহারা ছেড়ে দেয়।
বার্ধক্যজনিত ত্বক পরিচালনা করতে সহায়তা করে এই জল। স্নানের আগে এক কাপ চাল ধোয়াজল যোগ করুন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য ১৫-২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে মুখে লাগান আর দেখুন ম্যাজিক। (রিপোর্টার-- পিয়া গুপ্তা)
বার্ধক্যজনিত ত্বক পরিচালনা করতে সহায়তা করে এই জল। স্নানের আগে এক কাপ চাল ধোয়াজল যোগ করুন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য ১৫-২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রেখে মুখে লাগান আর দেখুন ম্যাজিক। (রিপোর্টার– পিয়া গুপ্তা)

Durga Puja Fashion: অ্যান্টিক-রূপোর জুয়েলারি ছেড়ে এবার পরুন দশাবতার গয়না! পুজোর সেরা লুকে নজর কাড়বেন আপনিই

বাঁকুড়া: দেখুন বিষ্ণুপুরের এক মেয়ে তৈরি করছেন দশাবতার গয়না। দশাবতার গয়না আসলে কি? বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস একটি অদ্ভুত সৃষ্টি। সুতির কাপড়কে তেঁতুল বীজের আঠার সঙ্গে মিশিয়ে শুকিয়ে গোল চাকতির মতো করে কেটে চাকতির উপর রাখা হয় বিষ্ণুর দশ অবতারকে। এরকম একটি পুরো সেটকে বলে দশাবতার তাস। এবার সেই তাস জায়গা পাচ্ছে গয়নায়। গলার হার এবং কানের দুল, একদম ম্যাচ করা সেট।

মোগল ইতিহাস এবং বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্য। দুর্গাপুজোকে উপলক্ষ করে তৈরি করা হচ্ছে এই গয়না। তৈরি করছেন বিষ্ণুপুরের শিল্পী শিল্পা সূত্রধর। দুর্গাপুজোর আগে মার্কেটের ট্রেন্ড ধরতে এমন নতুনত্ব একটা আইডিয়া নিয়ে আসেন শিল্পা। শিল্পা বলেন যে এই গয়নাগুলি তিনি দশবতার তাস যেভাবে তৈরি হয় ঠিক সেভাবেই তৈরি করেছেন। সেট গুলি তৈরি করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মার্কেটিং করেন শিল্পা। এরপর অর্ডার অনুযায়ী বিক্রি করে থাকেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, এমন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? ৯৯ শতাংশই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! আপনি কি জানেন?

শিল্পা সূত্রধর বলেন, পুজোর আগে বিষ্ণুপুরের ক্লাসিক দশাবতার তাসের গয়নাগুলির চাহিদা দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী পারদের মতো বাড়ছে। এক একটি সেট প্রায় ১২০০ টাকায় বিক্রি করছেন শিল্পা। তবেই দাম আলোচনা সাপেক্ষ। দশাবতার তাস তৈরি করতে যা যা ব্যবহার করা হয় ঠিক সেই উপকরণ ব্যবহার করি তৈরি করছেন তিনি, ফলে বিষ্ণুপুরি ঘরানার মধ্যে কোনও পরিবর্তন আনছেন না এই শিল্পী। ঘোড়া নাকি সম্মান জানিয়ে আধুনিক নারীদের জন্য তৈরি করেছেন এই গয়না।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, এমন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? ৯৯ শতাংশই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! আপনি কি জানেন?

“ইভোলিউশন” বলে একটা কথা আছে, যার অর্থ হল বিবর্তন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পী শিল্পাও যেন বিবর্তন করলেন। মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে নিজের শহরের অন্যতম বিশেষ শৈল্পিক ঘরানাকে ফুটিয়ে তুলেছেন গয়নার সেটে। যাতে সাধারণ মানুষের হাত ধরে আরও পৌঁছে যাবে দশাবতার তাসের অনন্য গল্প।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Durga Puja Fashion 2024: বালুচুরী-মসলিনকে কড়া টক্কর, এবার পুজোর বাজার কাঁপাচ্ছে ‘রিভার্স কাঁথা শাড়ি’, কোথায় পাবেন?

বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের বালুচরী দেখেছেন। দেখেছেন রাজগ্রামের তাঁত। এবার পুজো আসছে, পুজোর আগে স্পেশাল শাড়ি রিভার্স কাঁথা স্টিচ। নামের সঙ্গে রিভার্স যে শব্দটি রয়েছে তার বিশেষ একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। এই শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে একমাস দু’মাস কখনও আবার তিন মাস। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হয় এই শাড়ি, ব্যবহার করা হয় না কোনও ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। হাতের ছোঁয়া, শৈল্পিক ভালবাসা এবং কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ফুটে ওঠে, অসাধারণ চিত্র। কি তোর সইছে না নিশ্চয়ই? বাঁকুড়ার দুর্গাপুজোর ট্রেন্ডিং শাড়ি রিভার্স কাঁথা স্টিচ, তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে। এই শাড়ি তৈরি করছেন কাবেরী ব্যানার্জি, সহযোগিতা করছেন স্বনির্ভরতার পথে অগ্রসর একাধিক যুবতী এবং মহিলারা।

আচ্ছা নামটা কেন রিভার্স? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে একটি গল্প বলতে হবে। ধরুন আপনি একটি ছবি এঁকেছেন সাদা পাতার উপরে ফুল। পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করার পর ফুলটিকে রং না করে ফুলটি বাদ দিয়ে সাদা পাতার অংশটি আপনি রং করছেন। রিভার্স কাঁথা স্টিচও ঠিক তাই। কাপড়ের ওপর একজন চিত্রশিল্পী বিভিন্ন ধরনের নকশা অঙ্কন করেন। তারপর সেই নকশা ধরে নকশার ভিতরটি বাদ দিয়ে স্টিচ করা হয় বাইরের বেশিরভাগ অংশ। যার জন্য সময় লাগে বিপুল। একটি শাড়ির স্টিচ করতে সময় লাগতে পারে এক থেকে তিন মাস। নির্ভর করছে ঠিক কতজন সেলাই করছেন তার ওপর।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

সেলাই বিশেষজ্ঞ মাস্টার ট্রেনার কাবেরী ব্যানার্জি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি এখন কুড়িজন মহিলাকে শেখাচ্ছি, তারাই রিভার্স কাঁথা স্টিচের কাজ করে থাকেন। মজুরির উপর দাম নির্ভর করে। সর্বনিম্ন ৩০০০ টাকা থেকে শুরু এই শাড়ির দাম।”রিভার্স কাঁথার শাড়ি বাদ দিয়েও কাবেরী বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করছেন মেয়েদের কুর্তি থেকে শুরু করে অন্যান্য পোশাক। বিভিন্ন ধরনের সরকারি মেলাগুলিতে কাবেরী বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রোডাক্ট গুলি বিক্রি করেন। তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে। শাড়ি গুলি সেলাই করার মহিলাদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকছে। যদিও মেয়েদেরকে স্বনির্ভরতার পথ দেখানোর ইচ্ছা থেকেই এমন কাজ শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

ইতিমধ্যেই এসেছে ৪০ হাজার টাকার একটি অর্ডার। নতুনত্ব শাড়ি বিক্রি করে স্বনির্ভরতার পথ দেখছে বাঁকুড়ার মহিলারা। শিল্প ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের কারণে বিখ্যাত বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর। বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর এর শাড়ি মানুষের বিশেষ পছন্দ। কিন্তু আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন নতুনত্ব ঘরানার শাড়ি তৈরি হচ্ছে জেলা জুড়ে। রিভার্স কাঁথা স্টিচ তার মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী