উত্তর ২৪ পরগনা:নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে এসেই ঘটল বিপত্তি। হড়পা বানে গঙ্গায় ডুবল ফেরিঘাট চত্বরে পার্কিং করে রাখা তিনটি চার চাকার গাড়ি। স্থানীয়দের তৎপরতায় অবশেষে গঙ্গা থেকে পাড়ে টেনে তুলে উদ্ধার করা হয় গাড়ি গুলিকে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন নৈহাটি পুরসভার পৌরপ্রধান। গাড়ি উদ্ধারে হাত লাগাতে দেখা যায় পৌর প্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়কেও।
এদিন গাড়িগুলিতে করে পুণ্যার্থীরা আরোহীরা বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তবে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভক্তরা বড়মা দর্শনে এসে গাড়ি পার্কিং করেন ফেরিঘাট চত্বরে। কিছুদিন আগেও একটি গাড়িকে জোয়ারে গঙ্গায় টেনে নিয়ে যায়। বড়মা পুজো কমিটির ও পুরসভার তরফে বারংবার এই এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে নিষেধাজ্ঞার জারি করলেও, মানা হয় না নিয়ম বলে অভিযোগ।
নৈহাটি অরবিন্দ রোড দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। রাস্তার দুপাশের দোকানপাট থাকায় এলাকা সংকীর্ণ হওয়ায় চারচাকা গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। সে ক্ষেত্রে পার্কিং এর জন্য বাধ্য হয়েই নৈহাটি ফেরিঘাট চত্বরের ওই এলাকা বেছে নেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে, গঙ্গায় জলও বেড়েছে। তার উপর হড়পা বান আসছে। মানুষকে সতর্ক করা হলেও নিষেধাজ্ঞা না মেনেই গাড়ি রাখা হচ্ছে এখানে, আর তার জেরেই এদিনের এই দুর্ঘটনা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে দূর দূরান্ত থেকে আগত মানুষজন বড়মার মন্দিরে আসলে কোথায় রাখবেন গাড়ি? ফলে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় পার্কিং জোন তৈরি করে দেওয়া হোক বলেও স্থানীয়দের একাংশ দাবি করছেন।
লালবাতি এখনও লাগানো রয়েছে গাড়িতে। ধুলোয় ভর্তি কাঁচ। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে আস্ত গাড়িটি। এখন আর এই গাড়ি ঘিরে নেই কোন ব্যস্ততা। গ্যারেজ ঘরের এক কোণে পড়ে রয়েছে অবহেলা অযত্নে। কিন্তু এই গাড়ি করেই এক সময় গোটা মালদহ জেলা দাপিয়ে বেড়িয়েছে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবিএ গণিখান চৌধুরী। মালদহ জেলার রূপকার নামে পরিচিত তিনি। নির্বাচন আসলেই এই গাড়িটি করেই ভোট প্রচার করতেন গোটা জেলা ঘুরে। জেলার সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিল গাড়িটিও। দূর থেকে দেখেই চিনে ফেলতেন সকলে। তাইতো তিনি যখন এই গাড়ি করে রাস্তায় বের হতেন দুই ধারে প্রচুর মানুষ জড়ো হত। বরকত সাহেবের মৃত্যুর পর এই গাড়িতে আর কেউ চড়েননি। কোতোয়ালি ভবনের গ্যারেজে এক কোণে রাখা রয়েছে পুরনো মার্সিডিজ গাড়িটি।
কোন ব্যস্ততা নেই, মাঝেমধ্যে কখনও চালক এখনও গাড়িটিকে পরিষ্কার করেন। এই গাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বরকত সাহেবের নানান স্মৃতি ভোট প্রচারের কাহিনী।১৯৮০ সাল থেকে শুরু। টানা আটবারের সাংসদ ছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবিএ গনিখান চৌধুরী। রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচি অংশগ্রহণ করতে একমাত্র এই গাড়ি ছিল তাঁর ভরসা। ২০০৬ সালে কংগ্রেস নেতা এবিএ গনিখান চৌধুরী চৌধুরী প্রয়াত হন।
১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তাঁর মার্সিডিজ গাড়িটি নিজস্ব ভবন কোতোয়ালিতে রয়েছে। এখনও কংগ্রেস কর্মী নেতৃত্বরা যখন কোতোয়ালি ভবনে আসেন বরকত সাহেবের গাড়িটি দেখে যান।
#ইউরোপ: চলছিল কার র্যালি। পাহাড়ি রাস্তায় বরফ কেটে ছুটে চলছিল গাড়িটি। হুন্ডাই গাড়ি। হঠাৎই প্রচন্ড গতিতে গাড়িটি ধাক্কা মারে পাহাড়ি রাস্তায়। পাথরে ধাক্কা খায়। তারপরই সোজা বাতাসে ঘুরপাক খেতে থাকে গাড়িটি। তারপর পাহাড়ের গা বেয়ে নীচে পড়ে যায়। এখান থেকে কারও বাঁচার কথা নয়। তবে গাড়ির ড্রাইভার অক্ষত রয়েছেন। নাম ওট টানাক।
গাড়িটি চলার সময় থেকে ভিডিও করা হচ্ছিল। গোটা ঘটনাটা ভিডিওতে ধরা পড়ে। সেই ভিডিও নিজের ট্যুইটারে শেয়ার করলেন চালক। তবে গাড়ি থেকে অবশেষে বেড়িয়ে আসেন চালক ও সহ চালক। ওট লিখেছেন, “খারাপ ঘটনা হলেও, আমরা দ্রুত সেরে উঠবো।” তবে এই ভিডিও দেখে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের মন্টে কার্লোতে।