Tag Archives: cpim

কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী)

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই (এম), সিপিআইএম বা সিপিএম নামে পরিচিত। মার্ক্সবাদী, লেনিনবাদী কমিউনিস্ট দল। সদস্যপদ এবং নির্বাচনী আসনের দিক থেকে এরাই ভারতের বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের প্রধান জাতীয় দলগুলির অন্যতম। ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর সিপিআই ভেঙে তৈরি হয় সিপিআই (এম)। ২০২২ সালের হিসেবে সিপিআই(এম) তিনটি রাজ্যে ক্ষমতাসীন জোটের একটি অংশ – কেরলে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বিহারে মহাগঠবন্ধন এবং তামিলনাড়ুতে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল জোট। ৯টি রাজ্যের বিধানসভায় সিপিআইএমের বিধায়ক রয়েছে।

সর্বভারতীয় পার্টি কংগ্রেস হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। দুই কংগ্রেসের মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি হল সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বডি। কেন্দ্রীয় কমিটি তার সদস্যদের মধ্য থেকে সাধারণ সম্পাদক-সহ পলিটব্যুরো নির্বাচন করে। পলিটব্যুরো তার দুটি অধিবেশনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ পরিচালনা করে। কেন্দ্রীয় কমিটি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এঁরা ত্রিপুরা তেলঙ্গানা এবং কেরলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তবে খুব শীঘ্রই সশস্ত্র পথ ছেড়ে তারা সংসদীয় কাঠামোয় কাজ শুরু করে। স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ঘনিষ্ঠ এবং কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলে ভারত। এর ফলে সোভিয়েত সরকার মনে করেছিল, ভারতের কমিউনিস্টরা তাঁদের পক্ষ নেবে এবং কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করবে। কিন্তু সিপিআই-এর একটি বড় অংশের দাবি ছিল, ভারত এখনও আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ, তাই সোভিয়েতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিদেশনীতির স্বার্থে শ্রেণী সংগ্রামকে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।

সিপিআইএম-এর ব্যুৎপত্তি: সিপিআই-এর সঙ্গে সিপিআইএম-এর সংঘাত মূলত মতাদর্শগত। সোভিয়েত না কি চিন, কার মতাদর্শে পার্টি চলবে এই নিয়েই বিবাদ। পার্টির অভ্যন্তরে কথিত ‘ডানপন্থীরা’ সোভিয়েতের পথ অনুসরণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ‘বামপন্থী’দের মত ছিল চিনা নীতি অনুসরণ করার পক্ষে। এই মতাদর্শগত পার্থক্যই ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে। এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সোভিয়েত-চিনা বিভক্তির সঙ্গে মিলে শেষ পর্যন্ত সিপিআইএম-এর জন্ম দেয়।

১৯৬২ সালে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর এসএ ডাঙ্গেকে পার্টির চেয়ারম্যান এবং ইএমএস নাম্বুদিরিপদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এভাবে দুপক্ষকে শীর্ষপদ দিয়ে একটা সমঝোতা অর্জনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু টেকেনি। ১৯৬৪ সালের ১১ এপ্রিল সিপিআই-এর জাতীয় কাউন্সিলের সভা থেকে ৩২ জন কাউন্সিল সদস্য ওয়াকআউট করেন।

৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার ত্যাগরাজ হলে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা কংগ্রেস। সেই সময়ই বম্বেতে পার্টি কংগ্রেসের আয়োজন করে সিপিআই। সিপিআইএম তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। পি সুন্দরাইয়া দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কলকাতা কংগ্রেসে মোট ৪২২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অন্য দিকে, সিপিআইএম দাবি করে, তারা ১০৪,৪২১ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। যা মোট পার্টি সদস্যতার ৪০ শতাংশ।

কলকাতা কংগ্রেসে ভারতের রাষ্ট্র চরিত্রের শ্রেণী বিশ্লেষণ করা হয়। বলা হয়, ভারতের বুর্জোয়ারা সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা করছে। পরিমল দাসগুপ্তের বিকল্প খসড়া কর্মসূচি কলকাতা সম্মেলনে প্রচার করা হয়নি। দার্জিলিংয়ের অতিবাম সৌরেন বসু প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে কেন মাও সে তুংয়ের প্রতিকৃতি রাখা হল না? বিপুল করতালি দিয়ে তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন উপস্থিত কমরেডরা।

Mamata Banerjee: কথা শোনেনি কংগ্রেস, সিপিএমের নির্দেশে হয় ইন্ডিয়ার বৈঠক! জোট নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

কলকাতা: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনই ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন পার্ক সার্কাস ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে সিপিএম৷ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে তাঁকে অসম্মানিত হতে হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

শুধু তাই নয়, সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এ দিন নাম না করে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসকে দেশে ৩০০টি আসনে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি৷ বাকি আসনগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলি নিজেদের শক্তিতে লড়ুক, এমনই চেয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ কিন্তু কংগ্রেস সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী৷

আরও পড়ুন: ২০১৯-এ যা হয়েছিল…মমতার সংহতি যাত্রায় পা মিলিয়ে সতর্ক করলেন অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জোটের বৈঠক হয় সিপিএম নেতাদের কথায়৷ যে সিপিএমের বিরুদ্ধে ৩৪ বছর ধরে ল়ড়াই করলাম, তাদের কোনও পরামর্শ আমি শুনব না৷ ইন্ডিয়া জোটের নাম দিলাম আমিই৷ আর আমাকেই এখন বৈঠকে গিয়ে প্রচুর অসম্মানিত হতে হয়৷’

তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আঞ্চলিক দলগুলি নিজেদের রাজ্যে লড়ুক৷ তোমরা গোটা দেশে তিনশো আসনে একা লড়ো৷ আমরা সাহায্য করব৷ ওরা সেই প্রস্তাব মানেনি, বলে আমাদের যা বলব মানতে হবে৷ শুধু একটা কথাই বলব, বিজেপিকে সাহায্য করো না৷’

বাংলায় জোট হলেও আসন রফা কোন ফর্মুলায় হবে তা নিয়ে সংশয় ছিলই৷ গত শুক্রবার কালীঘাটে মুর্শিদাবাদ জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে হওয়া লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এ রাজ্যের সব আসনেই লড়বে তৃণমূল৷ এ দিনও কার্যত সেই খবরে সিলমোহর দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি-কে আমরা কোনও আসন ছাড়ব না৷

শুধু তাই নয়, এ দিন জোট শরিকদেরও নাম না করে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, আমার হিম্মত আছে আমি ল়ড়তে চাই৷ কিন্তু এরা আমাকে লড়তে দেয় না৷ আজকে তো আমরা রাস্তায় নেমে পদযাত্রা করেছি, কটা দল করতে পেরেছে৷ শুধু মন্দিরে মন্দিরে ঘুরলে হবে?

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে এর আগে দ্রুত আসন রফার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ কিন্তু বাংলাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে খুব বেশি আসন ছাড়তে আগ্রহী নয়৷ আবার তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি নন প্রদেশ কংগ্রেস কর্তারা৷ বাংলায় জোটের পথে অন্যতম বাধা সিপিএম-তৃণমূল সম্পর্কও৷ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন, শক্তির নিরিখেই এ রাজ্যে শরিকদের আসন ছাড়ার বিষয়ে খুব আগ্রহী নয় শাসক দল৷ ফলে এর পর বাংলার জোট ভবিষ্যৎ কী হবে, সার্বিক ভাবে ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলবে৷

CPIM-SFI: SFI থেকে সরছেন সৃজন-প্রতীকউর, ৬ বছর পর নেতৃত্ব পরিবর্তন! বড় বদল বাম শিবিরে

*এসএফআই থেকে সরছেন সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীকউর রহমান। সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হিসেবে এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন দে-র নাম নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সংগৃহীত ছবি। 
*এসএফআই থেকে সরছেন সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীকউর রহমান। সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হিসেবে এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন দে-র নাম নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সংগৃহীত ছবি।
*সৃজন এবং প্রতীকউর ৬ বছর এসএফআইয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এ বার তাঁদের আরও বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন নিয়ম মেনে। লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে তাঁদের। সংগৃহীত ছবি। 
*সৃজন এবং প্রতীকউর ৬ বছর এসএফআইয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এ বার তাঁদের আরও বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন নিয়ম মেনে। লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে তাঁদের। সংগৃহীত ছবি।
*সূত্রের খবর, সৃজন এবং প্রতীকউর এসএফআই-র কাজ করছেন বহুদিন ধরে। তাই নির্বাচনের আগে নতুন কাজের দায়িত্ব পেতে পারেন। সব বিবেচনা করেই এ বারে তাঁরা সম্ভবত দলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সংগৃহীত ছবি। 
*সূত্রের খবর, সৃজন এবং প্রতীকউর এসএফআই-র কাজ করছেন বহুদিন ধরে। তাই নির্বাচনের আগে নতুন কাজের দায়িত্ব পেতে পারেন। সব বিবেচনা করেই এ বারে তাঁরা সম্ভবত দলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সংগৃহীত ছবি।
*আগামী ২২-২৪ জানুয়ারি মালদহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র ৩৮তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন। ২৪ তারিখ মালদহে প্রকাশ্য সমাবেশে প্রতীকউর রহমান, সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর, ময়ূখ বিশ্বাসদের পাশাপাশি বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী। সংগৃহীত ছবি। 
*আগামী ২২-২৪ জানুয়ারি মালদহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র ৩৮তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন। ২৪ তারিখ মালদহে প্রকাশ্য সমাবেশে প্রতীকউর রহমান, সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর, ময়ূখ বিশ্বাসদের পাশাপাশি বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী। সংগৃহীত ছবি।
*সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মালদহ তো বটেই, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও বিভিন্ন অভিনব কর্মসূচির উদ্যোগ নিচ্ছে এসএফআই। সংগৃহীত ছবি। 
*সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মালদহ তো বটেই, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও বিভিন্ন অভিনব কর্মসূচির উদ্যোগ নিচ্ছে এসএফআই। সংগৃহীত ছবি।
*বামফ্রন্ট সরকারের বিদায়ের পর এবছরই প্রথমবার তারা ৮ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে রাজ্যজুড়ে। সংগৃহীত ছবি। 
*বামফ্রন্ট সরকারের বিদায়ের পর এবছরই প্রথমবার তারা ৮ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে রাজ্যজুড়ে। সংগৃহীত ছবি।
*সম্প্রতি ব্রিগেড সমাবেশ উদ্দীপনা যুগিয়েছে তরুণ প্রজন্মের বাম কর্মীদের। অগ্রগতির আবহেই এসএফআই-এর সম্মেলন নতুন করে অক্সিজেন দেবে বাম শিবিরকে, আশাবাদী ছাত্রনেতারা। সংগৃহীত ছবি।
*সম্প্রতি ব্রিগেড সমাবেশ উদ্দীপনা যুগিয়েছে তরুণ প্রজন্মের বাম কর্মীদের। অগ্রগতির আবহেই এসএফআই-এর সম্মেলন নতুন করে অক্সিজেন দেবে বাম শিবিরকে, আশাবাদী ছাত্রনেতারা। সংগৃহীত ছবি।

Jyoti Basu: নিজেকেই উপহার পেয়েছিলেন জ্যোতি বসু! তারপর? যা ঘটেছিল, অত্যন্ত হতাশাজনক

নিজেকেই মোমের উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
নিজেকেই মোমের উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই মোমের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই মোমের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী।
২০০৩ সালে এই মূর্তিটি বানিয়েছিলেন আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায়।
২০০৩ সালে এই মূর্তিটি বানিয়েছিলেন আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায়।
পরে ইন্দিরা ভবন ছাড়েন বসু পরিবার। তখন জ্যোতি বসুর মোমের মূর্তি ঠাঁই পায়নি কোথাও।
পরে ইন্দিরা ভবন ছাড়েন বসু পরিবার। তখন জ্যোতি বসুর মোমের মূর্তি ঠাঁই পায়নি কোথাও।
এরপর সেই মূর্তি ফিরে আসে শিল্পী সুশান্ত রায়ের কাছেই। সেটি বর্তমানে রয়েছে আসানসোলে শিল্পীর ওয়াক্স মিউজিয়ামে।
এরপর সেই মূর্তি ফিরে আসে শিল্পী সুশান্ত রায়ের কাছেই। সেটি বর্তমানে রয়েছে আসানসোলে শিল্পীর ওয়াক্স মিউজিয়ামে।

CPIM: বামেদের ডাকে নীতীশের ‘হ্যাঁ’! আগামী ১৭ তারিখ কলকাতায় ঘটবে বড় ঘটনা! বিরাট চমক

কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেখানেই সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বেরর সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে একই মঞ্চে। আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস। সেদিন জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

যেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। সেই কর্মসূচিতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফেও সবুজ সংকেত মিলেছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ওষুধের কী প্রয়োজন! এই ৩ ফল খান, শরীরে যা পরিবর্তন ঘটবে, অভাবনীয়! কোন তিন ফল?

কেন নীতীশ কুমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? দলের তরফে মহম্মদ সেলিম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নীতীশ কুমারের রাজনীতির আকাশে উত্থাপন। জ্যোতি বসুর সঙ্গে নীতীশের সখ্যতাও ছিল। তাই এই রকম একটা কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন: সে কী! জয়দেবের মেলায় অনুব্রত মণ্ডল! কীভাবে সম্ভব? জেলাজুড়ে জোর চর্চা

যদিও রাজনৈতিক মহল এর পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে। তারা মনে করেন, বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনে নীতীশ কুমারের বড় ভূমিকা ছিল ৷ সেই জোটে নীতীশের জেডিইউ-এর সঙ্গে যেমন বামেরা রয়েছে, তেমনই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ নীতীশের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা থাকলেও বাংলায় বাম ও তৃণমূলের সম্পর্ক প্রতিপক্ষের।

আগামী লোকসভা নির্বাচনেও ইন্ডিয়া জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে লড়াই হতে চলেছে৷ ফলাফল যাই হোক না কেনও প্রচারের সময় স্বাভাবিক ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে শব্দাস্ত্রে ধার দেবে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মঞ্চে দাঁড় করিয়ে বার্তা দিতে চাইছে সিপিএম। আবার সেই মঞ্চ ব্যবহার করে নীতীশ কুমার কী বার্তা দেন সে দিকেও তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জ্যোতি বসু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে পাঁচ একর জমি দিয়েছিল হিডকো ৷ কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর আটকে যায় জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া ৷ এ নিয়ে সিপিআইএমের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয় ৷ বহু টালবাহানার পর জ্যোতি বসু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে বরাদ্দ পাঁচ একর জমি হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার ৷ সিপিআইএম নেতা রবীন দেবের হাতে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়।

Netai case: নেতাই গণহত্যা কাণ্ডে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের জামিন, সিবিআই-এর ভূমিকায় প্রশ্ন তৃণমূলের

কলকাতা: জামিন পেলেন নেতাই গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট৷ এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সিপিএম নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন৷

২০০৯ সালের সালের ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার ঘটনা ঘটে৷ সেই সময় সিপিএম নেতার বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জন গ্রামবাসীর৷

আরও পড়ুন: কলকাতাজুড়ে অভিযান ইডির, ভাঙা হল ফ্ল্যাটের তালা!এবার কার ফ্ল্যাটে হানা, কী মিলবে?

প্রথমে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১১ সালে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২০১৪ সালে সিআইডি-র তৎকালীন স্পেশ্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে সিআইডি-র একটি দল হায়দ্রাবাদ থেকে রথীন দণ্ডপাট সহ পাঁচ সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করে৷

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান রথীন। যেহেতু ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।

যদিও সিপিএম নেতার জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত করছে, সিপিএম নেতা জামিন পাচ্ছেন৷ এতেই বোঝা যায় কার সঙ্গে কার বোঝাপড়া রয়েছে৷ তবে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন৷ দেখতে হবে সিবিআই আদালতে যথাযথ ভাবে জামিনের বিরোধিতা করেছে কি না৷’

Meenakshi Mukherjee: লক্ষ্য ‘ব্যালট’! ‘লড়াই এবার বুথে বুথে‘, ব্রিগেডের পর গর্জে উঠলেন মিনাক্ষী

পূর্ব মেদিনীপুরঃ  দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা ও শোক জানাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়ায় এসে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ‍্যায়।

তিনি বলেন,  ‘ ব্রিগেডের লড়াই এবার বুথে বুথে। ব্রিগেডে একটা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বুথের লড়াই পঞ্চায়েতের লড়াই। যে কমরেড আমাদের মারা গিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও মার খেয়েছেন। একা তো তিনি মার খাননি। গোটা এলাকায় কীভাবে মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে তা সবাই দেখেছে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে যদি কোন একটা ভোট সেটা যদি ২০২৪-এর ভোট হয়, লোকসভা ভোট, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভোট হয় তাহলে বুথের তা আসল লড়াই।  আসল কথা-মানুষ লড়ছেন।’

আরও পড়ুনঃ সাংঘাতিক কাণ্ড! রাতে চুপিচুপি স্কুলে ওরা কারা ঢুকছে, খবর পেয়েই ছুটল পুলিশও

শাজাহান ইস্যুতে পুলিশকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘দেখুন পুলিশ চোর খুনির ডাকাতদেরকে ধরতে তৎপর না। পুলিশ তৎপর সাধারণ মানুষ যদি মার খায় সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা চাল চাকরি বিক্রি হয়ে গেলে সেই মানুষ যদি লড়াই করে তাঁকে পেটানোর জন্য পুলিশ তৎপর। তৃণমূলের নেতা যদি চুরি করে, তৃণমূলের নেতা যদি দৌরাত্মি করে, তৃণমূলের নেতা যদি জুলুমবাজি করে, আর এলাকার গুন্ডারা যদি বুক বাজিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন পুলিশের খুব খুশি হয়। সেখানে পুলিশ তৎপর হয় না।’

ইডিকে তৃণমূলের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইডি, সিবিআইকে কেন বাধা দেবে তৃণমূল? তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র যুবদের কি চোরেদের পাহারাদার তৈরী করছে নাকি?” তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র যুবদের প্রতি মীনাক্ষী মুখার্জির ভেবে দেখার আবেদন করেন,  ‘আপনাদের লেঠেল বাহিনী তৈরী করছে না তো দল, চোর গুন্ডাদের বাঁচানোর জন্য ?’ বললেন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী।

ব্রিগেড মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের বাসিন্দা কার্তিক জানার। আজ তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মীনাক্ষী মুখার্জী-সহ দলের নেতাকর্মীরা। ৬৮ বছর বয়সী কার্তিক জানা দীর্ঘদিনের বাম কর্মী।

তৃণমূল নয়, শুভেন্দুর খাসতালুকে বড় জয় তুলে নিল বামেরা! ব্রিগেডের ঠিক পরে জাগল আশা

হলদিয়া: গত রবিবার ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে উপচে পড়া ভিড় দেখে আশা জেগেছিল বাম কর্মী- সমর্থকদের মনে৷ সেই আশাকে আরও কিছুটা জোরাল করে হলদিয়া বন্দরের সমবায় নির্বাচনে বড় জয় পেল বামেরা৷ শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক হলদিয়ায় বামেদের এই জয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷

১৫ আসনের পোর্ট এমপ্লয়িজ ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে ১৫টি আসনের নির্বাচনে ১২ টিতেই জয় পেয়েছে বাম প্রগতিশীল জোট। তৃণমূল জয় পেয়েছে মাত্র ৩ টি আসনে।

আরও পড়ুন: ‘CPIM-র সঙ্গে আপোষ করব না,’ জয়নগরের সভা থেকে বললেন মমতা

বন্দরের এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৭০ জন। বামফ্রন্ট প্রার্থীরা ১৪টি আসনে লড়াই করে। শাসকদল তৃণমূল অবশ্য ১৫ টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপির ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রার্থী দিয়েছিল ১৪টি আসনে প্রার্থী। ২টি আসনে লড়াই করেন নির্দলেরাও। মোট ৪৫জন প্রার্থী ছিলেন এই ১৫টি আসনে লড়াইয়ের জন্য।

ফল বেরোতে দেখা যায়, তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারিয়ে সিংহভাগ আসনেই জয় পেয়েছে বামেরা। নির্বাচনে জয়ের পর বামেরা জানান, তিন বছর ধরে কো অপারেটিভে কোনও কমিটি ছিল না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে রাজ্য সরকার অবশেষে ভোট করিয়েছে। ক্রেডিট সোসাইটি বাঁচানোর পক্ষে এরকম তিনটি ইউনিয়নের জোট হয়। সেই জোটে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সমস্ত আধিকারিক থেকে কর্মীরা পাশে ছিলেন।

DYFI Brigade Rally 2024: শুধু সভায় নয়, চমক ছিল বাম-যুবদের ব্রিগেডের মেনুও! কী কী ছিল জানেন এবার?

পার হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪ ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ ব্রিগেডে। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
পার হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৮ সালের পর ২০২৪ ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ ব্রিগেডে। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করলেন বাম ছাত্র যুব সংগঠন।  ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সমাবেশ সেরে চব্বিশের আগে প্রথম বড় জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করলেন বাম ছাত্র যুব সংগঠন। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page

 

লাল ঝান্ডার সমাবেশ শুরু হল ‘রাজ্য সংগীত’ বাংলার মাটি বাংলার জল গেয়ে। অপরদিকে, ব্রিগেডের মঞ্চের পেছেনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা। পোডিয়ামের ঠিক পিছনেই উড়ছে জাতীয় পতাকা। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
লাল ঝান্ডার সমাবেশ শুরু হল ‘রাজ্য সংগীত’ বাংলার মাটি বাংলার জল গেয়ে। অপরদিকে, ব্রিগেডের মঞ্চের পেছেনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা। পোডিয়ামের ঠিক পিছনেই উড়ছে জাতীয় পতাকা। ছবি সৌজন‍্যেঃ CPIM West Bengal Facebook Page
রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সকাল থেকেই ট্রেন, বাসে ভিড় জমিয়েছেলিন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। 
রবিবাসরীয় ব্রিগেড লাল ঝান্ডায় ভরিয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। সকাল থেকেই ট্রেন, বাসে ভিড় জমিয়েছেলিন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
তৃণমূলের ২১ জুলাইের মেনু নিয়ে নজর থাকে সকলের। প্রধানত ডিমের ঝোল আর ভাতই থাকে মেনুতে। কোথাও বা ডিম কষা ও রুটি। কিন্তু ব্রিগেডের এবারের মেনু একেবারেই ভিন্ন।
তৃণমূলের ২১ জুলাইের মেনু নিয়ে নজর থাকে সকলের। প্রধানত ডিমের ঝোল আর ভাতই থাকে মেনুতে। কোথাও বা ডিম কষা ও রুটি। কিন্তু ব্রিগেডের এবারের মেনু একেবারেই ভিন্ন।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে হয়নি রান্নার আয়োজন। তবে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে এরিয়া কমিটিগুলি। এক এক জেলার তরফে এক এক মেনু। কোনও এরিয়া কমিটি পাঠিয়েছে মাংস-ভাত কেউ রুটি-ডিম কষা কেউ বা রুটি-আলুভাজা বা রুটি-তরকা।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে হয়নি রান্নার আয়োজন। তবে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে এরিয়া কমিটিগুলি। এক এক জেলার তরফে এক এক মেনু। কোনও এরিয়া কমিটি পাঠিয়েছে মাংস-ভাত কেউ রুটি-ডিম কষা কেউ বা রুটি-আলুভাজা বা রুটি-তরকা।
ডিওয়াইএফআই সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেটে এরিয়া কমিটিগুলি থেকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল, রাতে আসে অনেকেই রান্নার জিনিস নিয়ে আসেন। তবে, সবকিছুর উপর বাম কর্মী-সমর্থকের মধ‍্যে উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত।

ডিওয়াইএফআই সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেটে এরিয়া কমিটিগুলি থেকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল, রাতে আসে অনেকেই রান্নার জিনিস নিয়ে আসেন। তবে, সবকিছুর উপর বাম কর্মী-সমর্থকের মধ‍্যে উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মত।

 

North 24 Pargana News: গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুকে দেখতে, এবার হুইল চেয়ারেই ব্রিগেডে হালিশহরের রবি

উত্তর ২৪ পরগনা: হুইল চেয়ারে চেপেই ব্রিগেডে হালিশহরের রবি। রাজ্যজুড়ে কয়েক মাসের ‘ইনসাফ’ যাত্রা শেষ করে ব্রিগেডের ময়দানে বিশাল জনসভা সিপিআইএম-এর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বাম কর্মী সমর্থক জড়ো হয়েছেন বিগ্রেড ময়দানে। আর সেখানেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হালিশহর থেকে হুইল চেয়ারে ব্রিগেডে বাম-সমর্থক রবি দাস। পথে নানা বাধার সম্মুখীন হলেও রবি-কে আটকাতে পারেনি কেউ। কমরেড রবি-কে সমাবেশের ময়দানে দেখেই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। চলল ছবি তোলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ…তখন রবি যেন  হিরো। কমরেড রবিও বেজায় খুশি এত কিছু দেখে।

এই সেই রবিদাস, যিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হতেই  তিন চাকার বাহন নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কাঁচরাপাড়া থেকে কলকাতার  বেসরকারি হাসপাতালে। পথে তাঁর ওপর আক্রমণও করা হয়েছিল। নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে একনিষ্ঠ বাম সমর্থক রবি দাস গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে। দিনের বেশিরভাগ সময়েই লাল ঝাণ্ডার মোহে মজে থাকেন রবি। রবির বাড়ি কাঁচরাপাড়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অরুণাচল এলাকায়। এই তিন চাকায় ভর করেই রবি একসময় পৌঁছে গিয়েছিলেন সিঙ্গুরে, এমনকি দিল্লিও পাড়ি দিয়েছিল লাল ঝান্ডা ওড়াতে।

Rudra Narayan Roy

Minakshi Mukherjee: ভয় নেই এ মেয়ের, কিন্তু জয়! ব্রিগেড হল, ব্যালট লাল হবে তো ‘ক্যাপ্টেন’?

কলকাতা: শূন্য নেমে আসা লাল ব্রিগেডের কাছে তিনি যেন সেঞ্চুরির স্বপ্ন, তাঁর ‘চালচলন’ নাকি আবার অতীতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো। বাম অন্দরমহলেও এমন কানাঘুষো হামেশাই শোনা যায়। তিনি পান্তাভাত হাতে বসে পড়েন কোনও গ্রামের বাড়ির উঠোনে। মফঃসলের রাস্তার কলের জলেই মিটিয়ে নেন তৃষ্ণা। অত্যন্ত সাধারণ দামের এবং মানের সালোয়ার-কামিজে নিজেকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলা নেত্রী যখন, পোডিয়ামে গিয়ে দাঁড়ান, তখন যেন ক্যারিশমা তৈরি হয়, একটা বলয়। গ্রামগঞ্জ উজিয়ে আসা লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে উদাত্ত কণ্ঠে তিনি বার্তা দেন, এ লড়াই শেষ নয়। এ লড়াই সবে শুরু। তাই তাঁর তোলা ‘ইনসাফ’ চাইতে ব্রিগেডের মাঠে যেন লাল ঝড় ওঠে। নাতির হাত ধরে থাকা দাদু বলে ওঠেন, ‘ওই দ্যাখ, ওই দ্যাখ! মীনাক্ষী…মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়!’

একটা, শুধু একটা নাম যেন ধুঁকতে লাল দলটার ফুসফুসে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মতো কাজ করে। এবারের ব্রিগেডের আগে তাই মীনাক্ষীই ছিলেন ‘ক্যাপ্টেন’। ব্রিগেডের ভিড় বলছে, ‘লোক টানতে’ ক্যাপ্টেন সফল, কিন্তু দুয়ারে চলে আসা লোকসভা ভোট! হবে তো ক্যাপ্টেন? ঘুরে দাঁড়াবে তো কোমর ভেঙে যাওয়া দলটা? ব্রিগেড ফেরত মুখগুলোতে যেন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকল কলকাতার শীতের বিকেলে।

২০০৮ সালের পর ২০২৪। ১৬ বছর পর ফের ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ। আর সেই ব্রিগেডের মুখ বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বিমান বসুর মতো নেতা যাঁকে ইতিমধ্যেই ‘ক্যাপ্টেন’ তকমা দিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকবে, এতে আর আশ্চর্যের কী! কিন্তু মীনাক্ষী যেন ম্যাজিক। তাঁর ছবি, ব্যানার, কাটআউটে ভরে গিয়েছে জেলা থেকে শহর৷ গত ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা, ইনসাফ সভার হোতা ছিলেন এই মীনাক্ষীই। মধ্য তিরিশের এই মেয়েই এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বামপন্থীদের। বলছেন, বেঁচে থাকতে চাইলে আসুন লড়াইয়ে।

আরও পড়ুন: ‘ভুলে গেছি’, নজরুলের কবিতা বলতে গিয়ে থমকালেন মীনাক্ষী! কী ঘটল ব্রিগেডে?

চমকপ্রদ ভাবে, রবিবার সমাবেশের আগে ব্রিগেডের ময়দানের উদ্দেশে মীনাক্ষী রওনা দিলেন এক কর্মীর বাইকে চেপে। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এ চিত্র বহুবার দেখে নিয়েছে রাজ্যবাসী। অর্থাৎ সমাবেশের আগেই আলোচনার নতুন রসদ তৈরি করলেন মীনাক্ষী। ‘মাস লিডার’রা কি তবে এমনই হন? সব আলো কেড়ে নেন! বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও একসময় যার তুলনা করছিলেন বাম নেতারা, তাঁর তো এই ম্যাজিকটুকু থাকবেই! বুদ্ধদেবের পর আর কোনও বাম নেতা-নেত্রীকে ঘিরে এমন বৃত্ত তৈরি হয়েছে কি? উত্তর খুব সহজ, ‘না’!

শনিবার ডিওয়াইএফের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে লড়াইয়ের বার্তা নিয়ে ফিরেছেন, ব্রিগেডের মঞ্চে এমনটাই জানিয়েছেন মীনাক্ষী। পাঠ করেন সেই বার্তা, যা আদতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের পংক্তি, ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন-মরণ-ঝড়ে আমরা প্রস্তুত’। অসুস্থ বুদ্ধদেবও কি বুঝে গেলেন, পরবর্তী ক্যাপ্টেন তৈরি! কিন্তু এই ক্যাপ্টেনের পথ যে আরও কঠিন। অতলে তলিয়ে যাওয়া দলকে তুলে এনে আবার ‘প্রাসঙ্গিক’ করে তোলা, লড়াইয়ের ময়দানে বুক চিতিয়ে দাঁড় করাতে পারবেন তো মীনাক্ষী? বাংলায় কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা একনিষ্ঠ বাম জনতা আবার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন: সাদামাঠা পোশাক, বাইকে চড়েই ব্রিগেডে! মমতার ছবির সঙ্গে মীনাক্ষীর মিলের খোঁজ অনেকের

‘ইন্ডিয়া’ জোটের বাধ্যবাধকতা উড়িয়ে রবিবার সমানতালে তৃণমূল-বিজেপিকে নিশানা করেছেন মীনাক্ষী। বলেছেন, ”অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, আকাশ থেকে নেমে কোনও ‘ফরিস্তা’ আমাদের ভাল করবে। কিন্তু কী হল, এখন আমাদের বাঁচার লড়াই।” জানিয়েছেন, ছোট থেকে ব্রিগেডে আসছেন। বাবার সঙ্গে। তখন অন্য দিকে হত মঞ্চ। এর পরেই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের কথা তুলে যুব নেত্রী বলেছেন, টিভি ক্যামেরার সামনে নিজের শরীরের সব থেকে সুন্দর অংশ চুল কেটে ফেলেছেন যে শিক্ষিকা, তাঁর পাশে দাঁড়াতে হবে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘রামে’ চলে যাওয়া বাম ভোট ফিরিয়ে আনা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ। মনে করিয়েছেন, সিপিএমের নিহত কর্মী আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্তদের কথা। সবই হল, কিন্তু ক্যাপ্টেনের বক্তৃতায় সেই ঝাঁঝ পেলেন না অনেকেই। কেউ বললেন, টানা ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার ক্লান্তি। কেউ বললেন, লড়াই তো আসলে সামনে, দম রাখতে হবে তো! মীনাক্ষীর মধ্যে যে নতুন উদ্যমই দেখছেন লক্ষ জনতা।

বহুদিন পর চনমনে, থিকথিকে ভিড় দেখল ব্রিগেড। স্বপ্ন দেখছে যে ভিড়, ফিরে আসার স্বপ্ন, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। ক্যাপ্টেন! ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, আপনি পারবেন তো দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া লাল ব্রিগেডের সামনে নতুন লক্ষ্যস্থির করতে? নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে? উত্তর কিছুটা নিজেই দিয়েছেন মীনাক্ষী, বলেছেন, ‘‘কারা বলে বামপন্থীরা শূন্য? ওঁরা বামেদের ভয় পান। আমাদের রাগ নেই। ভয় নেই।” কিন্তু জয়? জয় আসবে তো ক্যাপ্টেন?