Tag Archives: Diet
Food Value: কেবল মাংস কিংবা দুধ নয়, প্রোটিনের খনি এই খাবারগুলোও, সেরে যাবে শরীরের নানা রোগও
কলকাতা: আমাদের শরীরে প্রোটিন যে কতটা দরকার সেই বিষয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই৷ আমিষ খাবার থেকে সহজেই প্রাণীজ প্রোটিন পাওয়া যায়৷ কিন্তু সমস্যা হয় নিরামিষাশীদের জন্য৷ ভেগান যাঁরা তাঁদের সমস্যা আরও বেশি হয়৷ কারণ তাঁরা কেবল প্রাণিজ প্রোটিন যে পায় না তাই-ই নয়, দুগ্ধজাত খাদ্য না খাওয়ায় সেখান থেকেও প্রোটিনের উৎস পায় না৷
তবে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। বাদাম, মসুর ডাল, ছোলা এবং আরও অনেক সুস্বাদু উদ্ভিদজাত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে। পুষ্টিবিদ ডাঃ রোহিনী পাটিল পাঁচটি প্রোটিন-সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবার শেয়ার করেছেন,
আমন্ড: এটি প্রাকৃতিক প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস৷ ৩০ গ্রাম আমন্ড থেকে প্রায় ৬ গ্রাম মতো প্রোটিন পাওয়া যায়৷ স্মুদি, ফল বা সবজির স্যালাডের মধ্যে আমন্ড দিয়ে খেতে পারেন৷
আরও পড়ুন: বাংলাকে বঞ্চনা, ভোটের ময়দানে জবাব! কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা মমতার
মটর: এটিও একটি উদ্ভিজ্জ ধরনের প্রোটিন৷ তাছাড়া এর মধ্যে ভাল ফ্যাট ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মিনারেলস পাওয়া যায়৷ হার্টকে সুস্থ রাখতে ও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খাদ্য তালিকায় মটর রেখে দিন৷
আরও পড়ুন: ডার্ক চকোলেটের ভিতর দাঁতের পাটি! পুরো ঘটনা জানলে চমকে উঠবেন
মটরশুটি: অর্ধেক কাপ মটরশুটির মধ্যে প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়৷ এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেলসও পাওয়া যায়৷
আমারান্থ বীজ: এটিও প্রোটিনের জন্য খুব ভাল উপাদান৷ বাংলায় আমারান্থ কথার অর্থ নটে শাক৷ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই আমারান্থ বীজ সাহায্য করে৷ অ্যানিমিয়া প্রতিরোধের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী৷ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এই খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রেখে দিন৷
ছোলা: এটিও দেহে প্রোটিনের খাদ্য মেটাতে সাহায্য করে৷ এছাড়াও টাইপ টু ডায়াবিটিস, কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিস, হজমের সমস্যা প্রভৃতির প্রতিকারে ছোলা ম্যাজিকের মতো কাজ করে৷
Weight Loss Tips: ঝরবে কেজি কেজি ওজন! খরচ হবে না এক টাকাও! শুধু বাড়িতে রোজ করুন এই ‘কাজগুলি’! করতে হবে না জিম-ডায়েট
Health Tips: দিনভর শরীর চাঙ্গা! ডায়েটে এই ৫ খাবারে দারুণ পুষ্টিগুণ, একাধিক রোগমুক্তির হাতছানি
Weight loss story: ১০ মাসে ঝরল ২৩ কেজি! জিম, কঠিন ডায়েট ছাড়াই কীভাবে করে দেখালেন গুজরাতের ব্যবসায়ী?
আহমেদাবাদ: দশ মাসে কমল ২৩ কেজি ওজন৷ জিমে না গিয়ে অথবা কঠিন কোনও ডায়েট না মেনেই এমনটা করে দেখালেন গুজরাতের এক ব্যবসায়ী৷ যাঁরা ওজন কমানোর জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন অথবা পছন্দের খাবার এড়িয়ে চলছেন তাঁদের কাছে এই দাবি অবিশ্বাস্য লাগতে পারে৷ কিন্তু বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে৷ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন সতেজ গোহেল নামে একজন ফিটনেস কনসালটেন্ট৷
এক্স হ্যান্ডেলে গুজরাতের ওই ব্যবসায়ীর ভোলবদলের গল্প শেয়ার করে ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, ‘কোনও জিম অথবা শৌখিন খাবার নয়৷ শুধুমাত্র বাড়িতে তৈরি খাবার এবং ঘরোয়া কিছু ব্যায়া করেই গুজরাতের ব্যবসায়ীর এই ভোলবদল সম্ভব হয়েছে৷’
আরও পড়ুন: ‘গরিবের পার্টির’ তকমা খুইয়েছে সিপিএম? দলের রিপোর্টেই বড় স্বীকারোক্তি
পরের পোস্টে ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এক এক বিশদে জানিয়েছেন, ‘নিজের জীবনযাত্রায় ঠিক কী কী বদল এনেছিলেন গুজরাতের ওই ব্যবসায়ী৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে ওই ব্যবসায়ী তাঁর পরামর্শ মেনে দৈনিক দশ হাজার স্টেপ হাঁটতে পারতেন না৷ কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি সেই অভ্যাস গড়ে তোলেন৷ ওই ফিটনেস ব্যবসায়ী লিখেছেন, নীরজ নামে ওই ব্যবসায়ী গুজরাতের ভাবনগরের বাসিন্দা৷ সারাদিনই তিনি ব্যস্ত থাকেন৷ ব্যস্ততার কারণেই প্রথম দিকে দিনে দশ হাজার স্টেপ হাঁটতে পারতেন না নীরজ৷ কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই লক্ষ্যমাত্রাকে নিজের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে ফেলেন তিনি৷’
No gym, No fancy food.
A Gujarati businessman eating Gujarati homemade food and home workouts led to this transformation!
This is how we were able to achieve Niraj’s transformation 👇.
Save this Thread. pic.twitter.com/seJXAw2Hzw
— Satej Gohel (@SatejGohel) June 21, 2024
ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, অভ্যাস না থাকার কারণে ইতস্তত বোধ এবং ব্যস্ততার কারণে জিমে যেতে আগ্রহী ছিলেন না নীরজ নামে ওই ব্যবসায়ী৷ তাই বাড়িতেই দুটি ডাম্বেল ব্যবহার করে কয়েকটি ব্যায়াম করার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে একটি চার্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন সতেজ গোহেল নামে ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ৷ সতেজের তৈরি করে দেওয়া সেই পরামর্শ মেনেই দশ মাসের মধ্যে ২৩ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেন ওই ব্যবসায়ী৷ ৯১.৯ কেজি থেকে কমে তাঁর ওজন দাঁড়ায় ৬৮.৭ কেজি৷ ওজন কমানোর জন্য ওই ব্যবসায়ীকে বাড়িতে পনির, সয়াবিন, হোয়ে প্রোটিন এবং ডাল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ যাতে শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান থাকে৷ একই সঙ্গে নীরজকে চিনি এবং মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলেছিলেন ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ৷
সতেজ গোহেল নামে ওই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সবশেষে লিখেছেন, ‘এটা পুরোটাই একটি দল হিসেবে কাজ করার সুফল৷ নীরজ এখন নিজের বদলে যাওয়া চেহারা ধরে রাখায় জোর দিয়েছেন৷ নিয়মিত ব্যায়াম করছেন এবং একই সঙ্গে প্রিয় খাবারগুলিও উপভোগ করছেন৷ এটাই তাঁর নতুন জীবন৷’
আগামী ৯ দিন এই খাবারগুলো বাদ দিন; সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ, মেনে চললে লাভ
কলকাতা: গত ২৫ মে থেকে শুরু হয়েছে নতপা। সূর্য থেকে নির্গত উজ্জ্বল রশ্মি পৃথিবীকে ক্রমাগত উত্তপ্ত করে তুলেছে। উত্তরপ্রদেশের অনেক শহরে সোমবার, নতপার তৃতীয় দিনে প্রচণ্ড তাপ প্রত্যক্ষ করেছে স্থানীয় মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৭টি শহরে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি শহর ছিল গোটা রাজ্যের উষ্ণতম শহর, যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতপা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপের প্রবাহ বাড়ছে।
বারাণসীতে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছেছে। নতপার এই দিনগুলিতে স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে, নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন- শাহরুখের হাতের এই ঘড়ি দেখার মতো, পরেছিলেন IPL ফাইনালে, যা দাম, শুনলে হা হবেন
প্রচণ্ড গরমের এই নয় দিনে এমন অনেক খাবার রয়েছে যা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এর মধ্যে অনেক জাঙ্ক ফুডও রয়েছে। আজ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক গ্রীষ্মে কীভাবে মানুষের খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত এবং কী এড়ানো উচিত।
ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
বারাণসীর সন্তুষ্টি হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. ঋতু গর্গ বলেন, গ্রীষ্ম এলেই খাদ্য থেকে ভাজা খাবার বাদ দিতে হবে। এই মোরশুমে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
এতে পেট জ্বালাপোড়া, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। তাই এই সব থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেলে মেটাবলিজমও ধীর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নেমে পড়ল ভারত, প্রথম ভিডিও! বিরাট কোহলি এখনও নেই!
এই সব খাবার এড়িয়ে চলুন
ডা. ঋতু গর্গ বলেন, এর পাশাপাশি এই সময়ে মানুষের প্রিজারভেটিভ খাবার বা প্যাকেটজাত খাবার যেমন চিপস, ক্যান্ডি ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। শুধু তাই নয়, চা, কফি, অ্যালকোহলের মতো জিনিসও এড়িয়ে চলতে হবে।
মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা
ডা. ঋতু গর্গ জানান, প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে, শুধু তাই নয়, মশলাদার বা তৈলাক্ত শাকসবজি বা অন্যান্য খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। গরমে চা-কফির পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে।
কেউ কেউ দিনে বেশ কয়েক বার চা পান করেন বা ঘন ঘন কফি পান করার অভ্যাস রয়েছে। এই ধরনের মানুষদের জলশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। যার কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অতিরিক্ত চা-কফি পান করলেও অ্যাসিডিটি বাড়ে।