ঝাড়গ্রাম : জঙ্গলমহলের আদিবাসী ছেলেদের ফুটবল খেলায় দক্ষ করে তোলার জন্য শুরু হয়েছিল ফুটবল একাডেমি । ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়দের তরতাজা থাকার জন্য একদা মাও অধ্যুষিত লালগড়ে পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছে জিম সেন্টার। জিম সেন্টারে বিনামূল্যে ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এলাকার কচিকাঁচাদেরও জিম করার সুযোগ দেওয়া হয় ।
২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েদের ফুটবল খেলায় দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য লালগড়ে তৈরি হয় ফুটবল একাডেমি। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পরিচালনায় লালগড় থানার দেখভালে ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়দের বিশেষ কোচের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে লালগড় থানার উল্টোদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল জিম সেন্টার। বর্তমানে জিম সেন্টারটিকে আধুনিকরণের পাশাপাশি নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে জিম করার সামগ্রীও। যার ফলে খুশি ফুটবল খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এলাকার কচিকাঁচারা।
আধুনিকরনের পর জিম সেন্টারটি পরিদর্শন করেন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গুলাম সারওয়ার, ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস, সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লালগড় থানার আইসি স্বরূপ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অফিসাররা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গুলাম সারওয়ার বলেন,”লালগড়ের এই ফুটবল একাডেমিটি অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে। যে সমস্ত বাচ্চারা ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন তাদের এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।। এখানে যে জিম সেন্টারটি ছিল সেটিকে আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাতে ফুটবল খেলার পাশাপাশি নিজের শরীরকে তরতাজা রাখতে পারে”।
লালগড় ফুটবল একাডেমিকে কেন্দ্র করে নতুন স্বপ্ন দেখছে জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা। হয়ত আগামী ভবিষ্যতের ভালো ফুটবল খেলোয়াড় লালগড় থেকেই পেতে চলেছে ভারত । এমন উদ্যোগে খুশি শিক্ষার্থী ফুটবলাররাও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা:জিম সেন্টারের ভগ্ন দশায় বিরক্ত স্থানীয়রা। বজবজের মুচিশার ঘটনা। এখানকার ভগ্নপ্রায় জিম সেন্টার সংস্কারের দাবি তুলেছে এলাকার মানুষজন। ঘটনা হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া দফতর ও সাংসদ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থে এই জিম সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছিল।
২০০১ সালে বাম আমলে সাতগাছিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বজবজ-২ ব্লকের মুচিশা ফুটবল মাঠে তৈরি হয়েছিল এই জিম সেন্টারটি। ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই জিম সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে সেই জিম সেন্টারটির ভগ্নদশা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। জিম সেন্টারের মধ্যে জিমের সমস্ত সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেন্টারের টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। তৎকালীন সাংসদ শমিক লাহিড়ী জানান, মুচিশার মাঠ অ্যাথলেটিক্সের জন্য বিখ্যাত। অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে জিম যেহেতু জড়িত তাই এখানে জিম সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখন খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এই নিয়ে বজবজ-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান ব্যানার্জি জানান, ইতিমধ্যেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে জিম সেন্টারটি সংস্কারের বিষয়ে লিখিতভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি মাল্টি জিম তৈরি করা হবে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই। সমস্যাগুলিকে পিছনে ফেলে জিম সেন্টারটির দ্রুত সংস্কার হলে ভাল হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।