Tag Archives: Eastern Railway

Eastern Railway Enhances Security for Ladies: আর জি কর কান্ডের জের কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারি এবার রেল হাসপাতালেও

 কলকাতা: শিয়ালদহ ডিভিশনে মহিলাদের জন্য, বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ এবং রোগীর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নারীশক্তির হয়রানি ও হিংস্রতা প্রতিরোধে বর্ধিত সতর্কতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার  প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। রেলওয়ে হাসপাতাল এবং রেল চত্বরে মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই মুহুর্তে প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

ডিআরএম/শিয়ালদার উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক অতীতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যেখানে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেকগুলি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছিল:- 1. হাসপাতালের প্রতিটি কোণে CCTV কভারেজ প্রদান। 2. পর্যাপ্ত আলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা। 3. মহিলাদের সুরক্ষা বোধ প্রদানের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন। 4. ডাক্তার, কর্মচারী এবং প্যারামেডিক সহ সকলের জন্য বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র চালু করা। 5. হাসপাতালের দরজা খোলা এবং বন্ধ করার জন্য  QR কোডিং সিস্টেমের ব্যবহার। 6. বিশেষ সংবেদনশীল স্থানে প্যানিক বোতাম লাগানো। 7. ডেডিকেটেড হেল্পলাইন নম্বর চালু করা।

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

উপরে উল্লিখিত কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য শনিবার (23.08.24) ডিআরএম/শিয়ালদা, এডিআরএম, বিভাগীয় প্রধান এবং মেডিকেল ডিরেক্টর/বিআর সিং হাসপাতালের উপস্থিতিতে একটি শীর্ষ স্তরের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। গত ৭ দিনে নিরাপত্তার বৃহৎ পরিসরে সন্তোষজনক উন্নতি হয়েছে এবং নিম্নলিখিত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে :-
1. পুরো হাসপাতাল এলাকা এখন  ন্যূনতম 80-100 লাক্স আলোকসজ্জায়  আলোকিত।
2. আউটসোর্স কর্মচারীসহ সমস্ত কর্মচারীদের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে যাতে  RPF কর্মীরা সহজেই সনাক্ত করতে পারেন। 3. সিসিটিভি স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে, ইতিমধ্যেই 30টি নতুন সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে এবং আরও 132টি সিসিটিভি স্থাপনের কাজ জরুরী ভিত্তিতে চলছে৷ 4. মহিলা ডাক্তার, নার্সিং স্টাফ এবং যেকোন জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার্থে দুটি ডেডিকেটেড হেল্পলাইন নম্বর প্রেস রিলিজ
ইস্টার্ন রেলওয়ে/শিয়ালদহ রেলওয়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ  নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। কলকাতা, ২৩ অগস্ট,  ২০২৪ শিয়ালদহ ডিভিশনে মহিলাদের জন্য , বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ এবং রোগীর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নারীশক্তির হয়রানি ও হিংসতা প্রতিরোধে বর্ধিত সতর্কতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার  প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। রেলওয়ে হাসপাতাল এবং রেল চত্বরে মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

ডিআরএম/শিয়ালদা উপস্হিতিতে সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল যেখানে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেকগুলি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত সুপারিশ করা হয়েছিল:- 1. হাসপাতালের প্রতিটি কোণে CCTV কভারেজ প্রদান। 2. পর্যাপ্ত আলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা। 3. মহিলাদের সুরক্ষা বোধ প্রদানের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন। 4. ডাক্তার, কর্মচারী এবং প্যারামেডিক সহ সকলের জন্য বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র চালু করা। 5. হাসপাতালের দরজা খোলা এবং বন্ধ করার জন্য  QR কোডিং সিস্টেমের ব্যবহার। 6. বিশেষ সংবেদনশীল স্থানে প্যানিক বোতাম লাগানো। 7. ডেডিকেটেড হেল্পলাইন নম্বর চালু করা।

আরও পড়ুন- বিরাট আবিষ্কার! বোটও চলবে, দূষণও হবে না! জলপথে বিপ্লব আনল দুর্গাপুর

উপরে উল্লিখিত কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য আজ (23.08.24) ডিআরএম/শিয়ালদা, এডিআরএম, বিভাগীয় প্রধান এবং মেডিকেল ডিরেক্টর/বিআর সিং হাসপাতালের উপস্থিতিতে একটি শীর্ষ স্তরের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিগত দিনে নিরাপত্তার বৃহৎ পরিসরে সন্তোষজনক উন্নতি হয়েছে এবং নিম্নলিখিত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে:-
1. পুরো হাসপাতাল এলাকা এখন ন্যূনতম 80-100 লাক্স আলোকসজ্জায়  আলোকিত। 2. আউটসোর্স কর্মচারী সহ সমস্ত কর্মচারীদের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে যাতে  RPF কর্মীরা সহজেই সনাক্ত করতে পারে। 3. সিসিটিভি স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে, ইতিমধ্যেই 30টি নতুন সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে এবং আরও 132টি সিসিটিভি স্থাপনের কাজ জরুরী ভিত্তিতে চলছে৷ 4. মহিলা ডাক্তার, নার্সিং স্টাফ এবং যেকোন জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই দুটি ডেডিকেটেড হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে৷ 5. বি.আর. সিং হাসপাতালের পুরো সীমানা প্রাচীর এখন কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত। 6. সেন্সর চালিত গেট স্থাপনের কাজ চলছে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে শুধুমাত্র হাসপাতালের কর্মীরা গেট খুলতে বা বন্ধ করতে পারে। 7. হাসপাতালের সংবেদনশীল স্থানে প্যানিক বোতাম বসানো হচ্ছে। 8. মহিলাদের জন্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার অনুভূতি প্রদানের জন্য হাসপাতাল চত্বরে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী কর্মীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

শ্রী দীপক নিগম, ডিআরএম/শিয়ালদা জানিয়েছেন শিয়ালদহ বিভাগ সর্বদা মহিলা ডাক্তার, কর্মচারী, রোগী এবং দর্শনার্থীদের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

West Bardhaman News: পার্সেল থেকে রেললাইন, যাত্রীবাহী ট্রেন বাদ যাচ্ছে না কিছুই! সব জায়গায় চলছে তল্লাশি

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : হঠাৎ করেই কুকুর নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে উঠে পড়ছেন রেলপুলিশের কর্মীরা। কামরার প্রত্যেকটি জায়গা দেখছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। স্টেশনে আসা-যাওয়া করা প্রত্যেকটি গাড়ি দেখা হচ্ছে খতিয়ে। স্টেশনে নামা বিভিন্ন পার্সেল যাচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীদের তল্লাশির মধ্যে দিয়ে।

এমনকী বাদ নেই রেললাইনও। পুলিশ কুকুর এবং পুলিশ কর্মীরা যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায়। নিরাপত্তার এমনই ছবি উঠে এসেছে আসানসোল স্টেশন থেকে। স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন রেল পুলিশের কর্মীরা। প্রত্যেকটি জায়গায় রয়েছে নজরদারি। নিরাপত্তার ফাঁকফোঁকড় গলিয়ে যাতে কেউ স্টেশন বা স্টেশন চত্বরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, তার জন্য আঁটোসাঁটো করা হয়েছে গোটা স্টেশন এলাকার নিরাপত্তা। একই সঙ্গে রেললাইনের সুরক্ষার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে।

কিন্তু যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে স্টেশনে আসা পার্সেল থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় কেন এমন তল্লাশি চালানো হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে অনেক যাত্রীর মনে। রেল সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের আগে আসানসোলের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগেভাগে করা হয়েছে পদক্ষেপ। রেলের নিরাপত্তা কর্মীদের সচেতন করা হয়েছে। যাতে স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে কেউ যাতে কোনও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, বা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন- ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের অধীনস্থ আসানসোল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাছাড়াও আসানসোল স্টেশনে দাঁড়ায় বিভিন্ন নামিদামি ট্রেন। বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশ্যে এই স্টেশন থেকে ট্রেনগুলি যাত্রা করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসানসোল স্টেশনে আসেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক ভাবেই দুষ্কৃতীদের নজরে যে আসানসোল স্টেশন থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এমন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে রেল পুলিশের কর্মীরা কোনও ফাঁক ফোঁকর রাখতে চাইছেন না।

নয়ন ঘোষ

Kite On Railway Track Danger: ঘুড়ি ওড়ান লাইন থেকে দূরে! নয়তো ভো কাট্টা…বিশ্বকর্মা পুজোয় বিশেষ সতর্কবার্তা রেলের

কলকাতা:  বিশ্বকর্মা পুজো আসছে। যে পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে রয়েছে ঘুড়ি। কলকাতা ও হাওড়ার শহর এবং শহরতলির অনেক জায়গাতেই প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। কিন্তু অনেক সময় এই ঘুড়ি ওড়ানোই সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। রেলওয়ে ট্র্যাক সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সেই ঘুড়ি যদি কোনও ভাবে ওভারহেড তারে লেগে জড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে। সবথেকে বেশি বিপদ ডেকে আনছে রেলওয়ে ট্র্যাকের কাছে উড়ন্ত ঘুড়ি!

ওভারহেড তারগুলি উচ্চ ভোল্টেজের সঙ্গে চার্জ করা হয়, যা জীবন বিপন্ন করে এবং সম্ভাব্য মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায়। ঘুড়ির সুতো ওভারহেড ইকুইপমেন্ট (OHE) এর সঙ্গে জড়িয়ে যেতে পারে, যাতে ব্যাহত হতে পারে ট্রেন চলাচল। যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়তে পারেন এই ঘুড়ির জন্যই।

আটকে থাকা ঘুড়ির সুতোগুলি ক্রসিংয়ের সময় ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফের সঙ্গেও জড়াতে পারে, যার ফলে বিপদ ঘনিয়ে আসে। ঘুড়িতে ব্যবহৃত মাঞ্জা OHE-তে শর্ট সার্কিটের কারণ হতে পারে, যার ফলে ক্যাটেনারি তারের বিচ্ছেদ ঘটতে পারে এবং ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।

ঘুড়ির সুতো OHE কাঠামোর ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়। ঘুড়ির সুতোয় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়ে যাত্রীদের অযথা হয়রানি কিংবা হাইভোল্টেজ তারে সুতো জড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো বালকের মৃত্যু —কোনওটাই অভিপ্রেত নয়।

পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন নিরাপত্তার সঙ্গে উৎসব উপভোগ করার জন্য একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে। সচেতনতা অভিযানটি সমস্ত দায়িত্বশীল নাগরিকদের রেলওয়ে ট্র্যাকের কাছে ঘুড়ি না ওড়ানোর জন্য আবেদন করে। কারণ, ওভারহেড তারগুলিতে প্রবাহিত হচ্ছে অত্যন্ত বেশি ভোল্টের বিদ্যুৎ। এটি আপনার জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। এর ফলও মারাত্মক হতে পারে।

মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বললেন, “পূর্বরেলের তরফে অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা রেল পরিসরের থেকে অনেক দূরে ঘুড়ি ওড়ান। যাতে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় আপনার জীবন সুরক্ষিত থাকে, ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত না হয় এবং সাধারণ মানুষের রেলযাত্রায় কোনও বিলম্ব না ঘটে।”

আরও পড়ুন- স্ত্রীকেও ছাড়েনি সঞ্জয়! কী কী করেছিল তাঁর অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে? মুখ খুললেন শাশুড়ি

Eastern Railway: যাত্রী সুরক্ষায় নজর দিতে বিভিন্ন স্টেশনে চলছে গাছ কাটা, ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের? ‘বড়’ অভিযোগ

কলকাতা:  বর্তমান সময়ে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার কথা সামনে আসছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার তাই হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের গাছের  ডালপালা ছাঁটাই করা হল। জনবহুল স্টেশনগুলির প্লাটফর্মে থাকা বড় বড় গাছের ডালপালা প্রসারিত হওয়ার ফলে ট্রেন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় প্রায়শই। ঝড়-বৃষ্টির সময়ে প্লাটফর্মে থাকা বড় গাছের ডালপালা ভেঙে রেল লাইনে পড়ে যাওয়ার কারণে রেল চলাচল ব্যাহত  হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি, অনেকসময় ওই গাছগুলির ডালপালা ভেঙে গাছের নীচে থাকা যাত্রীদেরও বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। কিছুদিন আগে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে গুড়াপ স্টেশনে একটি বড় গাছ উপড়ে লাইনের উপর পড়ে যায় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

বর্তমানে রিষড়া, গুড়াপের মতো জনবহুল স্টেশনএবং হাওড়া ডিভিশনের আরও অন্য স্টেশনে এই ধরনের  বিঘ্ন সৃষ্টিকারী  বড় বড় গাছের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে হাওড়া ডিভিশন রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্ল্যাটফর্মে থাকা বড় বড় গাছের ডালপালা ছাঁটার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য, যাতে ট্রেন চলাচলে কোনও ব্যাঘাত  না ঘটে এবং ঝড়-বৃষ্টির সময় গাছের ডাল ভেঙে কেউ আহত না হয়।

আরও পড়ুন: ‘বৈঠকে গিয়ে জানলাম আমি প্রাক্তন!’ ভোটে হারের পর দলেও ধাক্কা, অভিমানী অধীর

গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টে দেখা যাচ্ছিল, পূর্ব রেল বিভিন্ন ডিভিশনে একাধিক স্টেশনে থাকা গাছের ডাল কেটে ফেলছে। এর ফলে প্রচুর পাখির বাসা নষ্ট হচ্ছে। যা নিয়ে মূলত প্রতিবাদ করেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রেল জানিয়েছে, তারা পরিবেশ নষ্ট হবে এমন কাজ করেনি৷ যাত্রী সুরক্ষার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র  জানিয়েছেন, “পরিবেশ সংরক্ষণের সমতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সর্বদা যাত্রীদের সুরক্ষা এবং সুবিধার দিকে নজর রেখে কাজ করে এবং এই কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পূর্ব রেলের  মূল লক্ষ্য। তবে, ওই গাছ গুলিতে বসবাসকারী পাখিদের যদি কোনও অসুবিধা হয়ে থাকে  তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার ৬৫ কেজি গাঁজা, আরপিএফের হাতে আটক ২ মহিলা

হাওড়া:  হাওড়া স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) একটি বড় মাদক পাচারের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে সফল হয়েছে।

বাইশে জুলাই হাওড়ায় আরপিএফের কয়েকজন কর্মীরা সাবওয়ে দিক থেকে দু’জন মহিলাকে সন্দেহজনকভাবে একাধিক ভারি ট্রলি নিয়ে  প্রবেশ করতে দেখেন।  আরপিএফ দলটি তাঁদের অনুসরণ করে  আটক করেন।

আরও পড়ুন:বনাঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় প্রশ্নের মুখে বনমন্ত্রী, পাল্টা দুষলেন বিধায়কদের

জিজ্ঞাসাবাদের পর  মহিলারা স্বীকার করেন যে তাঁদের ট্রলিগুলিতে গাঁজা রয়েছে। ট্রলিগুলো থেকে মোট ৬৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এর পর বাজেয়াপ্ত গাঁজা সহ দুই মহিলাকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:বাংলাকে বঞ্চনা, ভোটের ময়দানে জবাব! কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা মমতার

পূর্ব রেলওয়ে আরপিএফ কর্মীদের এই সফল অভিযানের জন্য প্রশংসা করেছে। এই ঘটনা যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ৷

Local Train: সাধারণ মানুষের জন্যই নিয়মিত লেট করছে লোকাল ট্রেন, আসল কারণ বলল রেল

কলকাতা: আপনি নিশ্চয়ই রেলগেটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যান? কিন্তু যখন রেলগেট পড়ে , সাইরেন বাজে এবং লাল সিগন্যাল থাকে, আপনার তখন দাঁড়িয়ে যাওয়াই উচিত কারণ ট্রেন আসছে এবং তখন ভিতরে ঢুকলে বিপদ ঘটতে পারে।

প্রায়ই দেখা যায় রেলগেটগুলি বন্ধ হওয়ার মুখে মানুষজন তাড়াহুড়ো করে সেটি পেরোনোর চেষ্টা করে এবং মানুষজন একবার ঢুকে পড়লেই ট্রেন চলাচলে সমস্যা তৈরী হয়।  ইদানীং কালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু কিছু লেভেল ক্রসিংয়ে গেট বন্ধ করতে চেয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না কারণ গাড়ি, মোটরবাইক ইত্যাদি ক্রমাগত লেভেল ক্রসিং গেটের মধ্যে দিয়ে চলাচল করেই যাচ্ছে রেলগেট বন্ধ হওয়ার সাইরেন বাজা সত্ত্বেও। অনেকেরই মতে, সাইরেন বাজানোর পরে থামানো উচিত গাড়ি। এর ফলে  বাধ্য হয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা রাখতে হয়, সেই কারণে স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন।

আরও পড়ুন: এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ত্ব থেকে সরানো হতে পারে রোহিতকে? দৌড়ে কাদের নাম?

খড়দহে ৯ নং গেট, বেলঘড়িয়ায় ২ নং গেট , ব্যারাকপুরে ১৪ নং গেট, দমদম ক্যান্টনমেন্টের ১ ও ২ নং গেট, টিটাগড়ে ১২ নং গেট, রানাঘাটে ৫৭ নং ইত্যাদি গেটগুলিতে ব্যস্ত সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮:৩০ থেকে ১১:৩০ টা এবং বিকেল ৫:৩০ টা থেকে ৮:৩০ টা পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে প্রায় ১৫-২০ মিনিট।  এর ফলে অপেক্ষারত প্রতিটি ট্রেনের প্রায় ১০০০-১২০০ যাত্রীদের প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। যাত্রাপথে প্রতি রেলগেটে যদি একটি ট্রেনকে খুব কম করে ৫-৭ মিনিটও অপেক্ষা করতে হয় তবে ৫-৬টি লেভেল ক্রসিং গেট মিলিয়ে প্রায় আধ ঘন্টা লেট হয়ে যায়।  এই লেট করার কারণে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মৃত্যু স্ত্রীর! সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… শিউরে উঠবেন

একই অবস্থা রিষড়ায় ৩ ও ৪ নং গেট, উত্তরপাড়ায় ২সি , বৈদ্যবাটিতে ১১ স্পেশাল, বেলুড়ে দেড় নম্বর গেট, তালিতে ৫৬ স্পেশাল ইত্যাদি গেটগুলির ক্ষেত্রেও।  একটি ট্রেন এই বিলম্বের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি করলে তার ফলে সেই ট্রেনটি ফেরত আসার সময়েও একইরকম দেরি করে ফেলছে , এতে আখেরে যাত্রীদেরই অসুবিধা হচ্ছে।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “রেলওয়ের তরফ থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ, গেট যখন পড়ছে সেই সময়ে আপনারা রেললাইনের পরিধিতে ঢোকার চেষ্টা করবেন না, বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ে জোর করে প্রবেশ করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ তো বটেই , এছাড়াও এতে আপনাদের প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে। রেলওয়েকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য রেলকে সহযোগিতা করুন”।

Eastern Railway: ভাবাদিঘি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় রেল, তবে কি জট কাটল?

কলকাতা: পূর্ব রেলওয়ের  উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গুলির মধ্যে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি  লাইন সংযোগ এর কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি  প্রকল্প।  কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির বিষ্ণুপুরের সঙ্গে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের সঙ্গে সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেল প্রকল্পটি।

এই প্রকল্পের  এর মধ্যে অবস্থিত ভাবাদিঘির বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে রেলওয়ে আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুত তার  সঙ্গে কাজ করে চলেছে যাতে প্রজেক্টটি  তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। রেলওয়ে আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হুগলি, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ল্যান্ড একুইজিশন হুগলি এবং সাব ডিভিশনাল অফিসার আরামবাগ) দের সঙ্গে ভাবাদিঘী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি  ও  দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ অনুযায়ী ভাবাদিঘি এলাকার ১.২৪ একর জমি ১৬.৭.২০১২ তারিখে এবং ১.৮১ একর জমি ১২.০৩.২০১২ তারিখে রেল কর্তৃপক্ষ কে (রেলওয়ে অথরিটি)  জমি হ্যান্ডওভার করা হয়েছিল । এবং রেলওয়ে প্রকল্পটির কাজ এ বছরই ১৬ জুলাই তারিখ থেকে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল । রাজ্য সরকারের পুলিশ বিভাগ  আপাতত কোনোরকম  নিরাপত্তা  দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন। এই পরিপেক্ষিতে রেলওয়ে আধিকারিকরা পুনরায় রাজ্য সরকারের  কাছে এই প্রজেক্টটি চালু করার জন্য অনুমতি নেবে এবং আশা করা যায় খুব  শীঘ্রই এই উক্ত প্রকল্প চালু করতে পারবে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময়ে এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভবাদিঘির  স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন।  গ্রামবাসীদের কাছে ভাবাদিঘি / পুকুর এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে,  স্থানীয় জীবিকার উপর কোনো বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য সক্রিয় নিরীক্ষণ থাকবে।  তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল  প্রকল্পটির মধ্যে গোঘাট – কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে লাইন সংযোগ এর কাজ শেষ হলে  এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে । সুমধুর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, রেলের এই  উদ্যোগটি, এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। ঐতিহাসিক এই পরিদর্শনের মাধ্যমে পূর্ব রেলওয়ে কামারপুকুর ও জয়রামবাটির রেলপথের উন্নত ভবিষ্যত ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে |

Rail Loco pilot facilities: চালকদের পাশেই আছে রেল! কী কী সুবিধা পান লোকো পাইলটরা?

কলকাতা: রেল দুর্ঘটনার হার বাড়ার ফলে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে চালকদের গাফিলতি নিয়ে। ট্রেনচালকরা কি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। এর পরই রেলের পক্ষ থেকে কিছু জিনিস স্পষ্ট করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলটদের যথাযথ আরাম এবং মানসিক শান্তি প্রদানের অঙ্গীকার করে পূর্ব রেলওয়ে। বিশ্বমানের আধুনিক সুবিধাসহ রানিং রুম আপগ্রেড করার মাধ্যমে চালকদের স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা করার কথাও জানায় রেলওয়ে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার এই প্রচার চালাচ্ছে পূর্ব রেল।

ইস্টার্ন রেলওয়ে লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলটদের কাজের অবস্থা এবং মানসিক শান্তি বাড়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে।লোকো পাইলটদের কাজটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং দায়িত্বের, যার জন্য অত্যন্ত মনোযোগ এবং দৃঢ় মানসিকতার প্রয়োজন। তাই পূর্ব রেলওয়ে রানিং রুমগুলিতে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক সুবিধা তৈরি করতে ব্যাপক সংস্কার করেছে, যা লোকো পাইলটদের সামগ্রিক চাহিদা পূরণ করছে।

আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে যুযুধান রাণাঘাট-বাগদা! বিধায়ক হতে পারবেন কি মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী

চালকদের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশ্রাম কক্ষ। এই শান্ত এবং নির্মল পরিবেশ বিশ্রামের জন্য অত্যাবশ্যক। ডাইনিং রুমও রয়েছে তাঁদের জন্য। সেখানে মেলে পুষ্টিকর খাবার। চালকদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা। রয়েছে মেডিটেশন রুমও। লোকো পাইলটদের মনকে শিথিল এবং পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি নিরিবিলি স্থান প্রদান করা হয়েছে। এই কক্ষগুলি পাইলটদের মানসিক দৃড়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এর পর রয়েছে পড়ার ঘরও। ক্রমাগত শেখার ও জানার তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বই এবং পড়ার উপকরণও পাবেন চালকরা। এই কক্ষগুলি লোকো পাইলটদের অবসর সময় বিনোদনমূলক পাঠে নিযুক্ত হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেয়।

এ ছাড়াও, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ছোটখাটো সুবিধা যেমন  গিজার, রিক্লাইনার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, লেগ ম্যাসাজ মেশিন এবং জুতো পলিশিং মেশিনও সমস্ত রানিং রুমে রাখা রয়েছে। রেলমন্ত্রকের নির্দেশনায়, ভারতীয় রেল পুরনো নন-এসি লোকোমোটিভগুলিকে আপগ্রেড করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নতুন লোকোমোটিভগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই এসি এবং টয়লেটের সুবিধা রয়েছে। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক পূর্ব রেলওয়ে, শ্রী কৌশিক মিত্র বলেছেন, “লোকো পাইলটদের কাজ অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই তাঁদের সঠিক বিশ্রাম এবং মানসিক সুস্থতার জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই পুনর্নবীকরণগুলি তাঁদের স্বাস্থ্য এবং দক্ষতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে, যা শেষ পর্যন্ত আমাদের ট্রেন অপারেশনগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।”

Hawkers Protest: রেলের পরপর নোটিশে আতঙ্ক বাড়ছে, বামনগাছির হকারদের মাথায় হাত

উত্তর ২৪ পরগনা: রেলের নোটিস ঘিরে আতঙ্কে ভুগছেন বামুনগাছি এলাকার হকাররা। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করলে ভবিষ্যৎ কী হবে, এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বনগাঁ শাখার বামনগাছি স্টেশনে হকারি করেন প্রায় ৪০০ জন। এখান থেকেই যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার খরচ চালান তাঁরা।

তবে রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে বারংবার রেলের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক’ও কাজ করছে। এদিন উচ্ছেদের নোটিশের প্রতিবাদে রীতিমত বিক্ষোভ দেখান। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তাঁদের উচ্ছেদের বিষয়ে পূর্ব রেলের তরফ থেকে ১০-১২ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এবার আবারও এসেছে সেই নোটিশ। দোকান তুলে দেওয়ার জন্য রেল পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অবশেষে রায়দিঘির জেটিঘাট সংলগ্ন নদীর পাড় সংস্কারে টাকা বরাদ্দ

নোটিশে ৮ তারিখ পর্যন্ত শেষ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বামুনগাছি হকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্টেশনেই শুরু হয় হকারদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ। হকারদের দাবি, যাত্রী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবা স্টেশনে তাঁরাই দিয়ে থাকেন। তারপরও কোন‌ওরকম পুনর্বাসনের ঘোষণা না করেই বারংবার উচ্ছেদের জন্য নোটিশ পাঠাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে এভাবেই অনেকে ব্যবসা করে আসছেন এই এলাকায়। হঠাৎ উচ্ছেদ হলে এরপর কী করবেন, পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন রেলের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্ন তোলেন। যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফ থেকে কোন‌ও মন্তব্য করা হয়নি।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Railway News: রোজ ট্রেনে চড়েন! কিন্তু জানেন কি, পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল? উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম অনেকেই

কলকাতা: আপনারা কি জানেন পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল ? ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের বড় বাড়িটা চেনেন না এরকম বাঙালি বোধহয়  খুব কমই আছেন।  ঔপনিবেশিক যুগ থেকে পূর্বরেলের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত এই ভবনটি আজও ব্রিটিশ স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত।

পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কিন্তু এই ভবনটিতে ছিলনা।  ১৮৭৯ সালে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস এই ফেয়ারলি প্লেসে স্থানান্তরিত হয়।  এই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়েই পরবর্তীকালে ইস্টার্ন রেলওয়ে বা পূর্ব রেলওয়ে হিসেবে জনসাধারণের কাছে পরিচিত। এই নুতন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে থিয়েটার রোডের একটি ভবন থেকে পূর্ব রেলওয়ের সদর দফতরের কার্যকলাপ পরিচালনা করা হত।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই ফেয়ারলি প্লেস অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন মানচিত্রে অবস্থিতি ১৭৯৪ সালে পাওয়া যায় , সেই  মানচিত্রে এখানে একটি নামবিহীন রাস্তার অস্তিত্ব আছে যা পুরোনো কেল্লার ঘাটকে সংযুক্ত করে।  ১৭৭৩ সালে ফোর্ট উইলিয়াম স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বর্তমান রাইটার্স বিল্ডিং এর পশ্চিমে অবস্থিত এই পুরনো কেল্লাটি পরিত্যাগ করে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এই ফোর্টের বা কেল্লার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি সেই সময় ফেয়ারলি প্লেস নামে পরিচিত হয়।  এই ফেয়ারলি প্লেসের নামকরণ ফেয়ারলি, গিলমোন এন্ড কোম্পানির এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফেয়ারলি-র নামানুসারে করা হয়েছে। এই ব্যবসায়িক সংগঠনটি লর্ড ওয়েলেসলির সময়কালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেনাবিভাগের হাতি এবং উটগুলির খাদ্য সরবরাহ করতো। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে দ্বারা ফেয়ারলি প্লেসের সদর দপ্তরের এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করার আগে কলকাতার জাতীয় জাদুঘর (ন্যাশনাল মিউজিয়াম, কলিকাতা) এই ভবনটিতে কিছু সময়ের জন্য অবস্থিত ছিল।

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এই ভবনটিকে অধিগ্রহণ করে এখানে একটি বুকিং অফিস খোলে যা ফেয়ারলি প্লেস বুকিং অফিস হিসেবে পরিচিত হয়। কিছু বছর বাদে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এই ভবনের লাগোয়া এক বিশাল অঞ্চল অধিগ্রহণ করে এবং এখানে ধীরে ধীরে বর্তমান বড়  ভবনটি নির্মাণ করা হয় যার মূল প্রবেশদ্বার অধুনা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে অবস্থিত। তখন থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সদর দফতর এবং তার উত্তরসূরি পূর্ব রেলের সদর দফতর হিসেবে এই ভবনটিকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অবশ্য ফেয়ারলি প্লেস বলতে এর সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি নয়, বরং এই ভবনটিই জনমানসে পরিচিত।