Tag Archives: Eye Care

Dark Circle: ডার্ক সার্কেলের সমস্যায় জেরবার? রান্নাঘরেই রয়েছে মুক্তির মোক্ষম উপায়, লাগালেই ম্যাজিক

আমাদের প্রতিদিনের ঘুমে নিয়তই হানা দেয় মানসিক চাপ, অনিদ্রা। তা ছাড়াও আমাদের খাওয়া-দাওয়া, প্রাত্যাহিক রুটিন, বয়স সবকিছুর ছাপ জমে চোখে৷ যার ফলে স্বরূপ ডার্ক সার্কেলের সমস্যা৷ তবে বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে৷
আমাদের প্রতিদিনের ঘুমে নিয়তই হানা দেয় মানসিক চাপ, অনিদ্রা। তা ছাড়াও আমাদের খাওয়া-দাওয়া, প্রাত্যাহিক রুটিন, বয়স সবকিছুর ছাপ জমে চোখে৷ যার ফলে স্বরূপ ডার্ক সার্কেলের সমস্যা৷ তবে বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে৷
কাঁচা আলু ডার্ক সার্কেলের জন্য খুবই উপযোগী৷ প্রথমে কাঁচা আলুর রস বের করে নিন৷ এর সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ তারপর তুলো করে লাগিয়ে রাখুন৷
কাঁচা আলু ডার্ক সার্কেলের জন্য খুবই উপযোগী৷ প্রথমে কাঁচা আলুর রস বের করে নিন৷ এর সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ তারপর তুলো করে লাগিয়ে রাখুন৷
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা মেটাতে টি-ব্যাগেরও ব্যবহার করতে পারেন৷ প্রথমে গরম জলে কিছুক্ষণ রেখে দিন৷ তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হতে দিন৷ তারপর টিব্যাগ চোখে রেখে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ুন৷
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা মেটাতে টি-ব্যাগেরও ব্যবহার করতে পারেন৷ প্রথমে গরম জলে কিছুক্ষণ রেখে দিন৷ তারপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হতে দিন৷ তারপর টি ব্যাগ চোখে রেখে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ুন৷
শশা ত্বককে এমনিতেই আর্দ্রতা প্রদান করে৷ আর্দ্রতার অভাবেই চোখের চামড়া কুচকে যায়৷ ফলে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা যায়৷ শশা এই সমস্যা দূর করে৷ শশা কেটে চোখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন৷
শশা ত্বককে এমনিতেই আর্দ্রতা প্রদান করে৷ আর্দ্রতার অভাবেই চোখের চামড়া কুচকে যায়৷ ফলে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা যায়৷ শশা এই সমস্যা দূর করে৷ শশা কেটে চোখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন৷
এই অয়েল ‘ভিটামিন ই’-তে সমৃদ্ধ৷ এই অয়েল চোখে লাগিয়ে রাতে শুয়ে যান৷ ধীরে ধীরে ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন৷
এই অয়েল ‘ভিটামিন ই’-তে সমৃদ্ধ৷ এই অয়েল চোখে লাগিয়ে রাতে শুয়ে যান৷ ধীরে ধীরে ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন৷

Eye Care Tips: চোখে চুলকানি-লাল হয়ে যাওয়া, বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে! ডাক্তারের এই কথাগুলি না জানলে বিপদ হতে পারে

বাদলার দিন। বৃষ্টি যেমন এখন হবে, তেমনই আমরাও যে মাঝেসাঝে ভিজব, তা জানা কথা। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে ভিজতে পারি, আবার সঙ্গে ছাতা বা রেনকোট না থাকলেও ভিজে বাড়ি ফেরা নিয়তি। ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেই জন্য বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে স্নান তো করে নিতেই হবে।
বাদলার দিন। বৃষ্টি যেমন এখন হবে, তেমনই আমরাও যে মাঝেসাঝে ভিজব, তা জানা কথা। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে ভিজতে পারি, আবার সঙ্গে ছাতা বা রেনকোট না থাকলেও ভিজে বাড়ি ফেরা নিয়তি। ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেই জন্য বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে স্নান তো করে নিতেই হবে।
তবে, অনেক সময়ে বৃষ্টির জল থেকে চোখ জ্বালা করে, তা লাল হয়ে যায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাঁরা স্কুটার বা বাইক চালান, তাঁদের এই সমস্যা হয়েই থাকে। এমন হলে চোখ আমরা অনেকেই কচলিয়ে থাকি। কিন্তু তা সমস্যা বাড়াবে বই কমাবে না।
তবে, অনেক সময়ে বৃষ্টির জল থেকে চোখ জ্বালা করে, তা লাল হয়ে যায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাঁরা স্কুটার বা বাইক চালান, তাঁদের এই সমস্যা হয়েই থাকে। এমন হলে চোখ আমরা অনেকেই কচলিয়ে থাকি। কিন্তু তা সমস্যা বাড়াবে বই কমাবে না।
কী করা উচিত, সে কথা লোকাল 18-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. ভি কে পান্ডে (বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএএমএস এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের মেডিকেল অফিসার)।
কী করা উচিত, সে কথা লোকাল 18-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. ভি কে পান্ডে (বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএএমএস এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের মেডিকেল অফিসার)।
তিনি বলেছেন যে চোখ আমাদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঙ্গ, ফলে হাত দিয়ে চোখ কচলালে তা রেটিনার ক্ষতি করতে পারে এবং এতে দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হতে পারে।
তিনি বলেছেন যে চোখ আমাদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঙ্গ, ফলে হাত দিয়ে চোখ কচলালে তা রেটিনার ক্ষতি করতে পারে এবং এতে দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হতে পারে।
- ডা. ভি কে পান্ডে জানিয়েছেন যে চোখ না কচলে ঠান্ডা জল জোরে জোরে চোখে ছেটাতে হবে। ৫-১০ বার করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে।
– ডা. ভি কে পান্ডে জানিয়েছেন যে চোখ না কচলে ঠান্ডা জল জোরে জোরে চোখে ছেটাতে হবে। ৫-১০ বার করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে।
- বৃষ্টিতে ভিজে চোখে জ্বালা করলে বা চোখ লাল হলে বাড়ি এসে শসার টুকরো দুই চোখের উপরে রেখে ১৫-২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেও স্বস্তি মিলবে।
– বৃষ্টিতে ভিজে চোখে জ্বালা করলে বা চোখ লাল হলে বাড়ি এসে শসার টুকরো দুই চোখের উপরে রেখে ১৫-২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেও স্বস্তি মিলবে।
- প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে একটু আরাম করতে হবে। এতেও চোখে আরাম পাওয়া যায় এবং চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথার মতো সমস্যা কখনই হবে না।
– প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে একটু আরাম করতে হবে। এতেও চোখে আরাম পাওয়া যায় এবং চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথার মতো সমস্যা কখনই হবে না।
- ব্যবহার করা যেতে পারে আই ক্যাপ। এটা যে কোনও ওষুধের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। দামও এমন কিছু বেশি নয়। এই আই ক্যাপ চোখে পরে নিয়ে ১৫-২০ বার চোখ বন্ধ করতে হবে এবং খুলতে হবে একনাগাড়ে। এতেও চোখে জ্বালার সমস্যা দূর হবে।
– ব্যবহার করা যেতে পারে আই ক্যাপ। এটা যে কোনও ওষুধের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। দামও এমন কিছু বেশি নয়। এই আই ক্যাপ চোখে পরে নিয়ে ১৫-২০ বার চোখ বন্ধ করতে হবে এবং খুলতে হবে একনাগাড়ে। এতেও চোখে জ্বালার সমস্যা দূর হবে।
ডা. ভি কে পান্ডের অভিমত, এই আই ক্যাপ চোখের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর, এতে চোখের অভ্যন্তর নিরাপদ উপায়ে পরিষ্কার রাখা যেতে পারে। যাঁরা চশমা পরেন, তাঁরাও যদি রোজ আই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে এবং একসময়ে এমনও হতে পারে যে চশমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাই আর থাকবে না। তবে, যাই করা হোক, আগে একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।
ডা. ভি কে পান্ডের অভিমত, এই আই ক্যাপ চোখের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর, এতে চোখের অভ্যন্তর নিরাপদ উপায়ে পরিষ্কার রাখা যেতে পারে। যাঁরা চশমা পরেন, তাঁরাও যদি রোজ আই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে এবং একসময়ে এমনও হতে পারে যে চশমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাই আর থাকবে না। তবে, যাই করা হোক, আগে একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

Eye Care Tips: চোখে চশমার পাওয়ার কি কখনও পুরো কমে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ? জানলে চমকে যাবেন!

বর্তমানে ভারতের প্রায় ৮০% মানুষকে চোখের সমস্যার কারণে চশমা পরতে হয়। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা কোনও ওষুধ বা অপারেশন ছাড়াই চোখের হাই পাওয়ার কমিয়েছেন। তাঁরা চোখ থেকে চশমা খুলে রেখেছেন। চোখের শক্তি বাড়াতে অনেক যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করা যেতে পারে।
বর্তমানে ভারতের প্রায় ৮০% মানুষকে চোখের সমস্যার কারণে চশমা পরতে হয়। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা কোনও ওষুধ বা অপারেশন ছাড়াই চোখের হাই পাওয়ার কমিয়েছেন। তাঁরা চোখ থেকে চশমা খুলে রেখেছেন। চোখের শক্তি বাড়াতে অনেক যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করা যেতে পারে।
এর ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই কাজগুলি করলে কেউ কখনই চোখের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। ৬৫ বছর বয়সি বিজয় কুমার সিং এবং ২৮ বছর বয়সি গোড্ডার শচিন কুমার মণ্ডল এই যোগের মাধ্যমে তাঁদের চোখের পাওয়ার ও চশমার সমস্যা সম্পূর্ণ ভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
এর ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই কাজগুলি করলে কেউ কখনই চোখের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। ৬৫ বছর বয়সি বিজয় কুমার সিং এবং ২৮ বছর বয়সি গোড্ডার শচিন কুমার মণ্ডল এই যোগের মাধ্যমে তাঁদের চোখের পাওয়ার ও চশমার সমস্যা সম্পূর্ণ ভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
এই যোগব্যায়াম থেকে অনেক উপকার পেয়েছেন-- গোড্ডার যোগগুরু সতীশ কুমার সিনহা জানিয়েছেন যে, চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক যোগাসন রয়েছে, তবে দুটি প্রধান যোগাসন যার মধ্যে ত্রাতক ব্যায়াম এবং চোখের সূক্ষ্ম প্রাণায়াম করা খুবই উপকারী হবে। নিয়মিত সকালে এটি করলে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করবে।
এই যোগব্যায়াম থেকে অনেক উপকার পেয়েছেন– গোড্ডার যোগগুরু সতীশ কুমার সিনহা জানিয়েছেন যে, চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক যোগাসন রয়েছে, তবে দুটি প্রধান যোগাসন যার মধ্যে ত্রাতক ব্যায়াম এবং চোখের সূক্ষ্ম প্রাণায়াম করা খুবই উপকারী হবে। নিয়মিত সকালে এটি করলে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করবে।
ত্রাতক ব্যায়াম-- এই অনুশীলনে, একটি অন্ধকার ঘরে দীর্ঘক্ষণ একটি প্রদীপের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এবং মাথা না নাড়িয়ে, কেবল আমাদের প্রদীপের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। এতে আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে। প্রায় ১০ মিনিটের জন্য প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি করা প্রয়োজন।
ত্রাতক ব্যায়াম– এই অনুশীলনে, একটি অন্ধকার ঘরে দীর্ঘক্ষণ একটি প্রদীপের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এবং মাথা না নাড়িয়ে, কেবল আমাদের প্রদীপের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। এতে আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে। প্রায় ১০ মিনিটের জন্য প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি করা প্রয়োজন।
চোখের সূক্ষ্ম প্রাণায়াম-- এই অনুশীলনে, আমাদের উভয় হাতের বুড়ো আঙুলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে এবং আমাদের হাতটি বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হবে এবং এই সময়, আমাদের মাথা নড়াচড়া করা যাবে না, আমাদের দৃষ্টি প্রায় ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে এবং কাজটি ১৫ বার করলে চোখের উপকার হবে।
চোখের সূক্ষ্ম প্রাণায়াম– এই অনুশীলনে, আমাদের উভয় হাতের বুড়ো আঙুলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে এবং আমাদের হাতটি বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হবে এবং এই সময়, আমাদের মাথা নড়াচড়া করা যাবে না, আমাদের দৃষ্টি প্রায় ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে এবং কাজটি ১৫ বার করলে চোখের উপকার হবে।
গোড্ডা থেকে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী বিজয় কুমার সিং লোকাল18-কে বলেন যে, তিনি গত ১৪ বছর ধরে একটানা ব্যায়াম করছেন। চোখের সমস্যা এবং বয়সজনিত অনেক রোগ ব্যায়ামের কারণে আজ সেরে গিয়েছে। বৃদ্ধ বয়সেও তাঁকে যুবক বলে মনে হয়।
গোড্ডা থেকে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী বিজয় কুমার সিং লোকাল18-কে বলেন যে, তিনি গত ১৪ বছর ধরে একটানা ব্যায়াম করছেন। চোখের সমস্যা এবং বয়সজনিত অনেক রোগ ব্যায়ামের কারণে আজ সেরে গিয়েছে। বৃদ্ধ বয়সেও তাঁকে যুবক বলে মনে হয়।
চোখের সমস্যা দূর হয়েছে-- গোড্ডার শচিন কুমার জানান, কলেজের দিনগুলো থেকেই তাঁর দেখতে খুব কষ্ট হত। এরপর চিকিৎসক তাঁকে হাই পাওয়ারের চশমা দেন। এরপর তাঁকে এই বিষয়ে পরামর্শ দেন কলেজের যোগগুরু। ত্রাতক ব্যায়াম করার পর মাত্র এক বছরেই তাঁর চোখ পুরোপুরি সেরে যায়।
চোখের সমস্যা দূর হয়েছে– গোড্ডার শচিন কুমার জানান, কলেজের দিনগুলো থেকেই তাঁর দেখতে খুব কষ্ট হত। এরপর চিকিৎসক তাঁকে হাই পাওয়ারের চশমা দেন। এরপর তাঁকে এই বিষয়ে পরামর্শ দেন কলেজের যোগগুরু। ত্রাতক ব্যায়াম করার পর মাত্র এক বছরেই তাঁর চোখ পুরোপুরি সেরে যায়।

Glaucoma: নীরব ঘাতক…! কেড়ে নিতে পারে দৃষ্টিশক্তি! কী এই গ্লুকোমা? সতর্ক না হলেই চরম বিপদ! পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

গ্লুকোমা হল সাধারণত চোখের রোগ। যা অপরিবর্তনীয় ভাবে চোখের নার্ভের ক্ষতি করে দিতে পারে। ফলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। আর সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে অন্ধত্ব পর্যন্ত আসতে পারে। সেই কারণেই এই রোগকে ‘নীরব দৃষ্টি হরণকারী’ নামেও ডাকা হয়। এই রোগের বিষয়ে কথা বলছেন ম্যাক্সভিশন সুপার স্পেশ্যালিটি চোখের হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. রানি মেনন। (Dr. Rani Menon, Managing Director, Maxivision Super Specialty Eye Hospitals)

সারা বিশ্বে ৭৬ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে প্রথম দিকে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা উচিত। গ্লুকোমার সঙ্গে বর্ধিত ইন্ট্রাঅক্যুলার প্রেশারের যোগ রয়েছে। তবে এটা ছাড়াও তা ঘটতে পারে। কারণ বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, জাতি এবং ডায়াবেটিসের মতো অবস্থা কিন্তু ঝুঁকি হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা, শিক্ষা এবং সচেতনতা জীবনের মান উন্নত করতে পারে। রোগ যাতে বৃদ্ধি না হয়, তার জন্য উপযোগী হতে পারে আই ড্রপ, লেজার থেরাপি এবং সার্জারি। চোখের স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে, তার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কম বয়সে এই রোগ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নেওয়া যাক।

গ্লুকোমার সবথেকে বিপজ্জনক দিক:
প্রথম দিকে গ্লুকোমার কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। পরিধি থেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে শুরু করে। যা ধীরে ধীরেই হতে থাকে। যদি তা নির্ণয় করা না যায়, তাহলে তাৎপর্যপূর্ণ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই সময়ের মধ্যে টানেল ভিশন অথবা ব্লাইন্ড স্পটের মতো উপসর্গও প্রকট হতে শুরু করে। আর এই ক্ষতি ব্যাপক এবং স্থায়ী হয়। এর থেকেই বোঝা যায় নিয়মিত চোখ পরীক্ষার গুরুত্ব। এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা জরুরি।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

বর্ধিত ইন্ট্রাঅক্যুলার প্রেশার (আইওপি)-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে গ্লুকোমার:
প্রাথমিক ভাবে গ্লুকোমার যোগ রয়েছে বর্ধিত ইন্ট্রাঅক্যুলার প্রেশার (আইওপি)-এর সঙ্গে। যা অপটিক নার্ভের ক্ষতি করে দিতে পারে। যদিও এমনটা নয় যে, যাঁদের হাই আইওপি রয়েছে, তাঁদের যে গ্লুকোমা হবেই, এর কোনও মানে নেই। উল্টে সাধারণ আইওপি থাকা মানুষরাও কিন্তু গ্লকোমায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই জটিলতার জন্য পৃথক ঝুঁকির কারণগুলি বোঝা জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম হল বয়স (৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি), পারিবারিক ইতিহাস, জাতি (আফ্রিকান আমেরিকান এবং হিস্প্যানিকদের ঝুঁকি বেশি) এবং ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন-সহ আগে থেকেই থাকা কোনও রোগ।

এই পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়?

নিয়মিত চোখ পরীক্ষা:
সকলের জন্য এমনকী উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আগেই কম্প্রিহেনসিভ চোখ পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে গ্লুকোমা নির্ণয় করতে সক্ষম। এই পরীক্ষার মধ্যে পড়ে ভিস্যুয়াল অ্যাকুইটির জন্য পরীক্ষা, আই প্রেশার এবং অপটিক নার্ভের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা। অপটিক্যাল কোহেরেন্স টোমোগ্রাফি (ওসিটি)-র মতো অ্যাডভান্সড ডায়াগনস্টিক টুল এবং ভিস্যুয়াল ফিল্ড টেস্ট অপটিক নার্ভ ও রেটিনার বিস্তারিত ছবি ও পরীক্ষা করে দেয়। রোগ আদৌ বাড়ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা যায়।

আরও পড়ুন- ১ টাকাও খরচ হবে না, বর্ষায় এটিই ‘ধন্বন্তরি’! এক চিমটি দিলেই লাল লাল ফুলে ভরবে গাছ, পোকামাকড় ঘেঁষবে না ধারেকাছে, গ্যারান্টি…!

গ্লুকোমার বিষয়ে সচেতনতা এবং শিক্ষা:
গ্লুকোমার বিষয়ে সচেতনতা এবং শিক্ষা জরুরি। কারণ এর ফলে রোগ নির্ণয় দ্রুত করা সম্ভব। রোগীর জীবনের উপর প্রভাব পড়ে। গ্লুকোমার চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম হল আইওপি কমানোর জন্য প্রেসক্রিপশন আই ড্রপ, লেজার থেরাপি এবং সার্জিক্যাল পদ্ধতি। যা অপটিক নার্ভের ক্ষতিও প্রতিরোধ করতে সক্ষম। যদিও এই চিকিৎসা পদ্ধতি দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারে না। তবে তা রোগের বৃদ্ধির হার কার্যকর ভাবে মন্থর করে দিতে পারে।

জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং কমিউনিটি আউটরিচ প্রোগ্রাম:
গ্লুকোমার বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং কমিউনিটি আউটরিচ প্রোগ্রাম। তথ্য এবং সম্পদ প্রদান করে এই প্রোগ্রামগুলি নিয়মিত আই-স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব বর্ণিত করে। শুধু তা-ই নয়, চোখের স্বাস্থ্যের গুরুত্বও মানুষকে জানায়। নিজেদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মানুষ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, প্রত্যেকের জন্য গ্লুকোমার সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকির বিষয়গুলি বুঝে নিয়ে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতে অন্ধত্বও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Santipur State General Hospital: সরকারি হাসপাতালের কামাল! চিকিৎসকদের চেষ্টায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন প্রসূতি

নদিয়া: সাড়া ফেলে দেওয়ার মত কাণ্ড ঘটালেন জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের কৃতিত্বের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন প্রসূতি। এমন ঘটনা আবারও সীমিত পরিকাঠামো নিয়েই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের উন্নতমানের পরিষেবার বিষয়টি সামনে নিয়ে এল।

যে কোনও এমারজেন্সি পেশেন্টের ক্ষেত্রে হাসপাতালে দরকার হয় সিসিইউ অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। যেখানে উন্নত বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয় থাকে। যেমনটা আর পাঁচটা নামিদামি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে দেখা যায়। তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এমন কোনও ব্যবস্থা না থাকলেও চিকিৎসক, নার্স এবং এবং প্যারামেডিকেল স্টাফেদের সমবেত প্রচেষ্টায় মাঝেমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ রোগীরা উন্নতমানের চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এবার এক প্রসূতিকে শুধু প্রাণে বাঁচনোই নয়, রীতিমতো তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা মিলে।

আরও পড়ুন: পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম, ৬২৮ বছরে মাহেশের রথযাত্রা

নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি মাম্পি খাতুন এবং তাঁর পরিবার। এই প্রসঙ্গে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট পবিত্র ব্যাপারী বলেন, সুপার তারক বর্মনের অনুমতিক্রমে এবং রোগীর পরিবারের সম্মতির কারণেই মাম্পি খাতুনকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা গেছে। এই বিষয়ে ডঃ তন্ময় সরকার, ডঃ প্রদীপ দাস, ডঃ তরুণ বক্সী সহ গাইনি ডিপার্টমেন্টের সকল চিকিৎসক এবং নার্সদের অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন ডঃ ব্যাপারী।

রোগী সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রসবের আগে, প্রসবের সময় কিংবা পরে কনভালশন খিচুনি হয়ে থাকে অনেক মায়ের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে মাম্পি খাতুন কালনায় একটি নার্সিংহোমে সম্প্রতি সিজারে সন্তান প্রসব করার পর এই সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ওনার সমস্যা ছিল প্রেসারের, যা সেসময় ছিল ২১২/১১০। আর সেই কারণেই দৃষ্টিশক্তি প্রথমে ঝাপসা, পরবর্তীতে একেবারেই দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসার ফলে আজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আবার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছেন।

মৈনাক দেবনাথ

Jackfruit Benefits in Diet: থাইরয়েড সমস্যা থেকে বাঁচতে চান? জমিয়ে কাঁঠাল খান! ছুঁতে পারবে না চোখের অসুখও

কাঁঠাল ছাড়া মাটি গরমকালের মজা৷ খাজা এবং গোলা কাঁঠালের স্বাদে গন্ধে ভরে থাকে গ্রীষ্মকাল৷
কাঁঠাল ছাড়া মাটি গরমকালের মজা৷ খাজা এবং গোলা কাঁঠালের স্বাদে গন্ধে ভরে থাকে গ্রীষ্মকাল৷

 

স্বাদের পাশাপাশি এই ফল গুণেরও ভান্ডার৷ গুণে ভরা এই রসাল ফল৷ কী কী উপকারিতা পাবেন কাঁঠাল খেলে, জানুন৷ বলছে পুষ্টিবিদ পুষ্টিবিদ শ্বেতা জে পাঞ্চাল৷
স্বাদের পাশাপাশি এই ফল গুণেরও ভান্ডার৷ গুণে ভরা এই রসাল ফল৷ কী কী উপকারিতা পাবেন কাঁঠাল খেলে, জানুন৷ বলছে পুষ্টিবিদ পুষ্টিবিদ শ্বেতা জে পাঞ্চাল৷

 

কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ৷ এখনকার স্ক্রিনটাইম অধ্যুষিত সময়ে চোখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা খুবই জরুরি৷ ভিটামিন এ-এর উৎস হিসেবে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ৷
কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ৷ এখনকার স্ক্রিনটাইম অধ্যুষিত সময়ে চোখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা খুবই জরুরি৷ ভিটামিন এ-এর উৎস হিসেবে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ৷

 

থাইরয়েডের সমস্যায় যদি হাইপোথাইরয়ডিজম বা হাইপারথাইরয়ডিজমে আক্রান্ত হন, তাহলেও কাঁঠাল রাখুন ডায়েটে৷ এতে আপনার থারইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা৷
থাইরয়েডের সমস্যায় যদি হাইপোথাইরয়ডিজম বা হাইপারথাইরয়ডিজমে আক্রান্ত হন, তাহলেও কাঁঠাল রাখুন ডায়েটে৷ এতে আপনার থারইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা৷

 

কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম৷ হাড়ের সুস্থতার জন্য ক্যালসিয়াম জরুরি৷ ক্যালসিয়ামের ক্ষয় আটকে দেয় পটাশিয়াম৷
কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম৷ হাড়ের সুস্থতার জন্য ক্যালসিয়াম জরুরি৷ ক্যালসিয়ামের ক্ষয় আটকে দেয় পটাশিয়াম৷

 

প্রত্যেক খাবারের মতো কাঁঠালেরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে৷ তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন কাঁঠাল৷
প্রত্যেক খাবারের মতো কাঁঠালেরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে৷ তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন কাঁঠাল৷