Tag Archives: Flood

Mamata Banerjee: বন্যা পরিস্থিতি দেখে আসার পরই বড় সিদ্ধান্ত মমতার, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বদলি!

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পরেই পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসককে বদলি করা হল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হিসেবে আয়েশা রানিকে দায়িত্বভার দেওয়া হল। আয়েশা রানিকে ডিভিশনাল কমিশনার মেদিনীপুর ডিভিশন থেকে সরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হল।

প্রসঙ্গত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিসে সম্প্রতি বৈঠক করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ জারি করল নবান্ন।

আরও পড়ুন: এক আবিষ্কারেই মাত! চিন এমন কী তৈরি করল, পৃথিবীর ঘোরার গতি কমে গেল! শুনে চমকে উঠছে গোটা বিশ্ব

প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্যবিমার টাকা পাবেন। যাদের মাটির বাড়ি ধসে গিয়েছে, সেগুলি সমীক্ষা করে পদক্ষেপ করা হবে। বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসারদের সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনিক বৈঠকে করতে দুর্গাপুর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার পথে সিঙ্গুরের রতনপুরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা বলেছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন ও পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরাও। সোমবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার মূলত জামালপুর এবং রায়না–২ নম্বর ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনাও করেন। অন্যান্য ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও উঠে আসে ওই বৈঠকে।

হাতে পায়ে চুলকানি, ডেঙ্গি মশার প্রকোপ! প্লাবিত এলাকা রোগের ‘ডিপো’ ,কী করবেন চিকিৎসকের মত

পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একাধিক এলাকা বন্যায় বানভাসি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এমনিতেই বর্ষাকাল শেষের পথে। অন্যদিকে টানা কদিনের বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বানভাসি হয়েছে একাধিক এলাকা। তবে এই সকল এলাকায় যেমন পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তেমনি মানুষের মধ্যে নানা রোগ অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিচ্ছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ, কোথাও ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। আবার হাতে এবং পায়ে নানা ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্ত রোগ উপসর্গ থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে, তা সবিস্তারে তুলে ধরলেন নারায়ণগড় ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিৎসক আশীষ কুমার মণ্ডল।

বন্যা প্লাবিত এলাকায় জল জমে থাকার কারণে পচন সৃষ্টি হয়েছে আবর্জনায়। সেই সমস্ত এলাকার জল দূষিত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিকভাবে দূষিত জল শরীরের ত্বকে লাগলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও আর্দ্র জায়গায় চলাফেরার কারণে হাতে এবং পায়ে একাধিক কালো কালো দাগ ও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে সাধারণ মানুষের। চিকিৎসকের পরামর্শ, জল নামলে আর্দ্র জায়গায় ব্লিচিং এবং চুন মিশিয়ে ছড়ান উচিত, এক্ষেত্রে জীবাণু নাশ হয়।

আরও পড়ুনUric Acid Remove: ইউরিক অ্যাসিডের বংশ টেনে বের করবে শরীর থেকে, রান্নাঘরের এই জিনিসগুলিতে জাদু, গেঁটে ব্যথা ভ্যানিশ হবে

শুধু তাই নয় এই সময়ে জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। বাড়ছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। জলের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মত জল পরীক্ষার বিধান দিয়েছেন চিকিৎসক আশীষ কুমার মণ্ডল। এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

মূলত বন্যার ফলের কারণে, হাতে এবং পায়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন হাজা, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেক্ষেত্রে রাতে ঘুমাতে যাবার সময় পরিষ্কার গরম জলে হাত-পা পরিষ্কার করা এবং বেশি সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ

Flood: কেউ ট্রাক্টরে চেপে, কেউ নৌকায়..বন‍্যা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ১১২ প্রসূতি! শাড়ি, ফল নিয়ে দেখা করলেন ডিএম এবং এসপি

পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন‍্যা পরিস্থিতির জেরে দুর্ভোগ প্রচুর মানুষের। হাসপাতালে পৌঁছানোই দায়। এমন পরিস্থিতিতে ঘাটাল হাসপাতালের মাদারস হাব এবং প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শন করেন জেলা শাসক ডিএম খুরশিদ আলি কাদরী এবং এসপি ধৃতিমান সরকার।

মাদার্স হাব এবং প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ১১২ জন মহিলার হাতে শাড়ি তুলে দেন। ৫ জন সদ্যজাত শিশুর মায়ের হাতে ফল ও বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী প্রদান করেন।

আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ এসি, প্রতি কিমির ভাড়া ১ টাকারও কম! দেশের ‘সবচেয়ে সস্তা ট্রেন’ কোনটি বলুন তো? গতিতে টেক্কা দেয় রাজধানী, বন্দে ভারতকেও

বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ঘাটাল হাসপাতালে বিভিন্ন বন্যা প্রবণ এলাকা থেকে ১১২ জন সন্তান সম্ভবা মাকে বন্যার জল পেরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কেউ ট্রাক্টর চেপে কেউ সিভিল ডিফেন্স ও এস ডি আর এফ এর নৌকা চেপে বিপদ সঙ্কুল পরিস্থিতির মধ্যে ভর্তি হয় হাসপাতালে।

আশা কর্মী, চিকিৎসক, সিভিল ডিফেন্সের কর্মী প্রশাসন সবাই মিলে ভাল কাজ করেছেন বলে আজ সবাই সন্তানের মুখ দেখতে পেরেছেন। কোনও জীবনহানি হয়নি।

আরও পড়ুন:  গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন

১১২ জন মহিলার মধ্যে, ৫৬ জনের ডেলিভারি হয়ে গেছে, তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন নিরাপদে, জল কমে যেতে তাঁরা ফিরে গেছেন। ২৪ জন মা সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে, তাঁদের বাড়িতে এখনও জল রয়েছে। ৩০ জনের বেশি মা এখন রয়েছে মাদারস হাবে।

Mamata Banerjee: ত্রাণের কাজে ঢিলেমি নয়…বার্তা আধিকারিকদের, আজ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বীরভূমে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী 

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ‘‘নিজেদের বড় বড় মূর্তি বানিয়ে, বড় বড় বিল্ডিং বানিয়ে টাকা খরচ না করে ফ্লাড কন্ট্রোলের এক চতুর্থাংশ টাকা যদি আমরা পাই, আমরা কাজ করতে পারি।’’  বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে এভাবেই বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর সাফ কথা, ‘‘বাংলার বঞ্চনা মানব না। মানুষই এর উত্তর দেবে। গতকালের পরে আজ, মঙ্গলবার ফের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি এই বৈঠক করবেন।

গতকাল, সোমবার একাধিক ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘ঘাবড়াবেন না প্রশাসন আপনাদের সঙ্গে আছে। জেলাশাসক ও এসডিওকে ভিডিওতে নির্দেশ দেন ত্রাণকার্যে যেন কোনওরকম অবহেলা না করা হয়।’’ মন্ত্রী-বিধায়ক-সংসদদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণশিবিরে সকলের সঙ্গে কথা বলে ত্রাণ তুলে দেন কয়েকজনের হাতে।

আরও পড়ুন– বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা প্রবল, বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের বেশ কয়েক জেলায়

গতকাল, সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ফিল্ডে নেমে কাজ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কে কী করছে সব খবর তিনি রাখেন। প্রশাসনের এক আধিকারিককে বাড়িতে বসে না থেকে ফিল্ডে নেমে কাজ করার নির্দেশ দেন। গতকাল বৈঠকে বর্ধমানে দামোদর নদের ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- বিয়ের কার্ডে এ কী লেখা! চমকে গেলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও; যদিও সমাধান বার করে দিয়েছেন আমন্ত্রণকারীরাই

বন্যা পরিস্থিতিতে সকলকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই দু-তিনদিনে আরও বৃষ্টি হবে। যেসব জায়গায় জল জমে আছে, আবার জল জমবে, আবার ডিভিসি যদি জল ছাড়ে তাহলে বিপদ বাড়বে। এইসব জায়গায় বিডিও, ডিএম, আইসিদের বলা হয়েছে মানুষকে বুঝিয়েসুঝিয়ে কাজ করবেন। কেউ বাসস্থান ছাড়তে চায় না। বিধায়কদেরও গুরুত্ব দিতে বলেছি। বন্যার জল চলে গেলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা প্রভৃতি জেলার যেগুলি শস্যভাণ্ডার সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমির শস্যবিমার টাকা দিতে বলেছি। চাষীদের চিন্তা করতে বারণ করেছি। বাংলার দুর্ভাগ্য। বাংলার অবস্থান নৌকার মতো। বাংলায় বন্যা বেশি হয়। বাংলা নদীমাতৃক দেশ। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয় বাংলার উপর। ফরাক্কার জলেও প্লাবিত হয়। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না করার ফলে জলটা ছেড়ে দেয়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিছুটা প্লাবিত হয়। বিহার বাঁধ কেটে দিয়ে বাংলায় জল ঢুকিয়ে দেয়। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল সব দিল্লির অধীন। আজ পর্যন্ত তারা কোনও কাজ না করার ফলে সব ডুবে যাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলকে বলব, নিজেদের মূর্তি বানিয়ে, বড় বড় বিল্ডিং বানিয়ে টাকা খরচ না করে ফ্লাড কন্ট্রোলের এক চতুর্থাংশ টাকা যদি আমরা পাই, আমরা কাজ করতে পারি।’’

রাজ্যে অনেক ফ্লাড সেন্টার করা হয়েছে। স্কুল ছুটি হয়ে গেলে সেগুলিকে কাজে লাগাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পিএইচইতে জলের খামতি যাতে না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে রাস্তা ঠিক করার জন্য। পঞ্চায়েত দফতরকে বলা হয়েছে বাড়ি তৈরির অর্ধেক বরাদ্দ টাকা ডিসেম্বরে ছাড়ব। জল কমে গেলে সার্ভে করতে বলা হয়েছে। ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি হবে। সংখ্যালঘু দফতরকেও বলা হয়েছে ৬৫ হাজার মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। যাদের মাটির বাড়ি ধ্বসে গেছে, তাদের বাড়িগুলিও সার্ভে করে তাদের পাইওরিটি দিতে হবে। ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছি। এখনও অনেক বাকি আছে। যাদের তালিকায় নাম নেই, তাদেরও করে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে তাদের তিনটে করে ত্রিপল দিতে বলা হয়েছে। খাওয়াদাওয়া-সহ রিলিফ চলবে যতক্ষণ না স্বাভাবিক পরিস্থিতি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের পক্ষ থেকে ১০ ট্রাক খাবার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশও অনেক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন করে সাহায্য করছে। আমরা সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। কাউকে ৫ কেজি চাল, কাউকে ৫ কেজি মুড়ি, দুধ, চা, ডালও দেওয়া হচ্ছে পরিবার অনুযায়ী। এরপরেও বন্যা হলে আবার দেওয়া হবে। মানুষ যেন না ভাবেন তাঁরা বিপদে পড়ে আছেন। মায়ের কাছে প্রার্থনা করি সব দুর্যোগ কেটে যাক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিধায়কদের বলা হয়েছে বিধায়ক কোটায় গ্রামীণ রাস্তা করুক। সাংসদরাও টাকা দিয়ে রাস্তা করুক— গ্রামীণ রাস্তাগুলি।’’ উল্লেখ্য, এদিন পূর্বস্থলীর উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় গঙ্গার ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বললে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানান, বিধায়ক কোটায় কাজ করতে।

মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। ৩ বছর লাগবে। এটা আমরা করব। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। যেখানে জল জমে আছে, সেখানে এসি, টিভি বন্ধ রাখবেন। বিদ্যুতের কাজ হচ্ছে। ডিভিসি নিয়ে আমরা শেয়ার তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আমাদের দুজন পদত্যাগ করেছেন। তাদের কিছু জানানো হত না। বাংলার এই বঞ্চনা আমরা মানব না।’’

Mamata Banerjee: ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ‘ছেদের’ পথে সরকার? প্রতিনিধি তুলে নিলেন মমতা! ‘বন‍্যা’ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ‍্য তরজা এবার কোন পথে?

কলকাতা: বঙ্গের বন‍্যা পরিস্থিতির জন‍্য ডিভিসির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। সেই চিঠির প্রতিক্রিয়া স্বরূপ জলশক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়, রাজ‍্যের সম্মতি নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। যদিও মুখ‍্যমন্ত্রীর দাবি রাজ্যের সম্মতি ছাড়াই জল ছাড়ে ডিভিসি। প্রতিবাদে এবার ডিভিসির কমিটি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিভিসির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শান্তনু বসু ও সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। ডিভিসির বোর্ডে বিদ্যুৎ ও জল ছাড়ার বিষয়ে এই দুই জন রাজ‍্যের প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু রাজ্যের অভিযোগ তাদের অফিসারদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই তারা পদত্যাগ করলেন। আজ ডিভিসি চেয়ারম্যানকে তাঁরা দু’জনেই তাদের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে, আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার প্রয়োজন ছিল না। তা না হলে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করত না। তাই আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে বলেছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সব রকম চেষ্টা করা হয়েছিল, তা পুরোপুরি ঠিক নয়। জলাধার নিয়ন্ত্রণকারীরা ঠিক মতো কাজ করতে পারেননি। তা ছাড়া, মাইথন এবং পাঞ্চেতে সংস্কারের কাজ চলছে বলে আমি শুনেছি। সেগুলিও শেষ হয়নি। আমি ডিভিসির কমিটি থেকে আমার প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’’

রাজ‍্যের বন‍্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে বারবার ‘ম‍্যান মেড বন‍্যা’র কথা উল্লেখ‍্য করেছেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। বাংলায় বন‍্যা পরিস্থিতির জন‍্য ডিভিসির জল ছাড়াও যে একটি বড় কারণ, তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার বন‍্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসির উদ্দ‍্যেশ‍্যে একরকম হুঁশিয়ারি দিয়েই মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বলেছিলেন, ডিভিসি’র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য। শুক্রবার ডিভিসি’র প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ‍্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ব্রাশ দিয়ে ঘষাঘষির ঝক্কি শেষ, এই ৩ জিনিসেই মিনিটে ঝকঝক হবে টয়লেট! দূর হবে হলুদ দাগ, গায়েব গন্ধও

সেই চিঠির প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি লেখে। যেখানে দাবি করা হয়, ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি যে কমিটির উপর নির্ভর করে সেই কমিটিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও থাকেন। সকলের সম্মতির ভিত্তিতেই জল ছাড়া হয়। এবার জলশক্তি মন্ত্রকের সেই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন।

Howrah News: বহু মানুষ ঘর ছাড়া, উদয়নারায়ণপুর ও আমতার মানুষের ভরসা ত্রাণ

উদয়নারায়নপুর এবং আমতার দ্বীপ অঞ্চলের বন্যা ভয়ানক পরিস্থিতি। বিভিন্নভাবে জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের নজরদারি বন্য কবলিত মানুষকে রক্ষা করতে।
উদয়নারায়নপুর এবং আমতার দ্বীপ অঞ্চলের বন্যা ভয়ানক পরিস্থিতি। বিভিন্নভাবে জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের নজরদারি বন্য কবলিত মানুষকে রক্ষা করতে।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে উদার নারায়নপুরের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১২ টি গ্রাম জলমগ্ন। ১১২ টি ফ্লাড সেন্টার করা হয়।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে উদার নারায়নপুরের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১২ টি গ্রাম জলমগ্ন। ১১২ টি ফ্লাড সেন্টার করা হয়।
বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ১১ হাজার মানুষকে ফ্ল্যাড সেন্টারে রাখা হয়। গত দু'দিনে উদয়নারায়নপুরের জলের উচ্চতা কম হয়েছে তবে আমতা দ্বীপাঞ্চলের গ্রামে জলের মাত্রা বেশি রয়েছে।
বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ১১ হাজার মানুষকে ফ্ল্যাড সেন্টারে রাখা হয়। গত দু’দিনে উদয়নারায়নপুরের জলের উচ্চতা কম হয়েছে তবে আমতা দ্বীপাঞ্চলের গ্রামে জলের মাত্রা বেশি রয়েছে।
আমতা দু'নম্বর ব্লকের আটটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। ৪৫ টা ফ্লাট সেন্টার সেখানে খোলা হয়েছে যেখানে ৪ হাজার মানুষ রয়েছেন। আমতা এক নম্বর ব্লকের ১৪০০ মানুষকে ফ্ল্যাড সেন্টারে রাখা হয়েছে।
আমতা দু’নম্বর ব্লকের আটটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। ৪৫ টা ফ্লাট সেন্টার সেখানে খোলা হয়েছে যেখানে ৪ হাজার মানুষ রয়েছেন। আমতা এক নম্বর ব্লকের ১৪০০ মানুষকে ফ্ল্যাড সেন্টারে রাখা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাতে প্রায় ৪০টি নৌকার ব্যবস্থা রাখা। উদ্ধার কাজ সহ ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে। প্রত্যেকটি রেসকিউ সেন্টারে একটি করে মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা (আশা কর্মী) পরিষেবার কাজে লিপ্ত আছেন। হাওড়ার জন্য ৩০ হাজার ত্রিপল ধার্য আছে। এছাড়াও ড্রাই ফুড, বেবি ফুড, পানীয় জল, চাল ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাতে প্রায় ৪০টি নৌকার ব্যবস্থা রাখা। উদ্ধার কাজ সহ ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে। প্রত্যেকটি রেসকিউ সেন্টারে একটি করে মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা (আশা কর্মী) পরিষেবার কাজে লিপ্ত আছেন। হাওড়ার জন্য ৩০ হাজার ত্রিপল ধার্য আছে। এছাড়াও ড্রাই ফুড, বেবি ফুড, পানীয় জল, চাল ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Hooghly News: এখনও জলের তলায় খানাকুল-সহ হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন

খানাকুল: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর তার সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গোটা হুগলি জেলা জুড়েই। বৃষ্টি থেমেছে, রোদ ফুটলেও খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। সার্বিক ভাবে বহু এলাকা এখনও জলের তলায়। খানাকুল ১ নম্বর ও ২ নম্বর বিডিও অফিস, পোস্ট অফিস, ভূমি দফতরের অফিস সব জায়গাতেই এখনও জল থই থই অবস্থা।
ইতিমধ্যেই প্লাবিত এলাকা গুলিতে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের বাড়িতেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, জল না কমলে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না সে কথা মানছেন সবাই।
কিছুদিন আগেই, এখানে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই তৎপর হয়েছে প্রশাসনও।

Dam: বন‍্যার জন‍্য কেন দায়ী ড‍্যাম? আসল সমস‍্যা কোথায়? এই ৪ জলাধারের কারণেই কী ভাসছে বাংলা?

পাঞ্চেত বা মাইথন জলাধার শুধু নয়৷ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী আরও দুটি ড্যাম৷ যথাযথ পরিকাঠামো উন্নয়ন করে এই দুটি বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে ভুগতে হচ্ছে দামোদরের নিম্ন অববাহিকাকে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ঝাড়খণ্ড সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তেনুঘাট ড্যাম।

যে চার ড্যাম দামোদরের নিম্ন অববাহিকার সঙ্গে সংযুক্ত তা হল, তেনুঘাট জলাধার-দামোদর নদীর ওপরে এই জলাধার। কিন্তু এখানে ফ্লাড কন্ট্রোল বা বন‍্যা নিয়ন্ত্রণের জায়গা নেই৷ জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি৷ বিহার সরকার এটা তৈরি করে। ডিভিসিও এই জলাধার নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷

আরও পড়ুন: রুটি খেয়েই কমবে ডায়াবেটিস! গমের সঙ্গে মাত্র ২ টি জিনিস মেশালেই ম‍্যাজিক, রুটি হবে পুষ্টির ভাণ্ডার

এখানে আবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা আছে।পাঞ্চেত জলাধার -১৫০ কিমি দূরে তেনুঘাট থেকে। জল আসতে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে। পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়লেই চার কিলোমিটার দূরে বরাকর নদী সেখানে দামোদর মেশে৷ ৪৩৫ ফিট জল রাখা হয়৷ ৪৪৫ ফিট জলাধার তৈরি হয়। বন‍্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আরও জায়গা প্রয়োজন ছিল নির্মাণের সময়।

মাইথন জলাধার – এটা বরাকর নদীর উপরে। এখানে জল রাখা যায় ৪৯৫ ফিট৷ কিন্তু জলাধার ৫০০ ফিটের। ফলে ৪৯৫ ফিটের  উপরে গেলেই জল ছাড়া হয়েছে। ফ্লাড কন্ট্রোল করা যায়। কিন্তু এখানেও সমস্যা জমি। তিলাইয়া জলাধার – এটা ছোট জলাধার। ফ্লাড কন্ট্রোল সেভাবে নেই৷ ফলে জল প্রাকৃতিক নিয়মেই নিম্ন অববাহিকায় চলে আসে। রাজ্যের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে কেন যথাযথ সময়ে ড্রেজিং করা হয় না।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের আগে একবার সাংসদে এই বিষয়ে জোরালো দাবি উঠেছিল। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানায় ড্রেজিং সম্ভব নয়। সেটা প্রথম সংসদে জানানো হয়, পলি রাখার জায়গা নেই। দুটো জলাধারে এই কাজ করতে গেলে ৫০ হাজার কোটি খরচ হবে। পাঞ্চেত ও মাইথনের আয়ু ৭৫ বছর। এর মধ্যে ৬৫ বছর কেটে গেছে।

আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান

তবে ডিভিসির এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন মাইথন ও পাঞ্চেতের জন্য সয়েল কনভারজেশন অফিস করা আছে। এছাড়া ১৭ হাজার চেক ড্যাম ও কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই ভূমিক্ষয় রোধ করা যাচ্ছে না। যার পরিণতি এই বিপুল সংখ্যক পলি জমে থাকা।