জলপাইগুড়ি: বর্ষার শুরুতেই তিস্তার বাঁধভাঙা জলে প্লাবিত হল জলপাইগুড়ি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে নৌকার মাঝি হয়ে হাল ধরতে হল খোদ বিডিও সাহেবকে! জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে নৌকার মাঝির ভূমিকা পালন করেন।
গত চার-পাঁচ দিন যাবত টানা উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড়ি নদীগুলোর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। পাল্লা দিয়ে হু হু করে বেড়েছে তিস্তার জলস্তর। রীতিমতো ফুঁসছে নদী। ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে সিকিম পাহাড়ে। জলের তীব্র স্রোতে তিস্তার বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে তিস্তা পাড় সংলগ্ন বহু গ্রাম৷ ক্রান্তি ব্লকের অন্তর্গত গ্রামগুলিতে হাঁটুর উপরে জল জমে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বাড়ি ঘর, কৃষি জমি। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে অসহায় মানুষগুলোকে খানিক স্বস্তি দিতে।
আরও পড়ুন: তীব্র গতির মাশুল, এশিয়ান হাইওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল লরি
এর পাশাপাশি এদিন এনএইচ ৩১ জলঢাকার পর তিস্তায় মেখলিগঞ্জে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।জলপাইগুড়ির গজলডোবা ব্যরেজ থেকে সকাল ৯ টায় ১৬৩৮.৯৭ কিউসেক ও সকাল ১০ টায় ১৭৪৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সব রকমভাবে সচেতন। প্রশাসনের আধিকারিকরা তিস্তা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে খোঁজখবর রাখছেন। এদিন বেলায় বৃষ্টি কিছুটা কমতেই দেখা যায়, জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক তমজিত চক্রবর্তী এবং সদর ভিডিও মিহির কর্মকার সহ সরকারি আধিকারিক কর্মীরা জলের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন নৌকায় চড়ে। নৌকো চালাচ্ছেন খোদ ভিডিও সাহেব।
জলপাইগুড়ি সদর বিডিও মিহির কর্মকার অন্যান্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন নাথুয়া চড় এলাকায় নৌকায় করে পৌঁছে বানভাসি মানুষের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেন। প্রশাসনিক আধিকারিকের এমন মানবিকতায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
সুরজিৎ দে