গরমে পারদ বাড়ছে হুহু করে। দাবদাহ ও গনগনে রোদে বাইরে বেরোলেই ঝলসে যাচ্ছে চোখমুখ। হাঁসফাঁস জীবনে বাড়িতেও থাকা বড় অস্বস্তি।
রোদের তাপে তেতে উঠছে বাড়িঘর। দিনের গরম রাতেও কমছে না। তবে ঘর ঠান্ডা রাখার কিছু সহজ টিপস রইল।
ঘরের পাশে জায়গা থাকলে ছায়াযুক্ত গাছ লাগান। এর ফলে ছায়ার পাশাপাশি আপনার বাড়ির তুলবে নির্মল ও শীতল।
গরমে দিনের বেলা সব সময় ঘরের ভারী পর্দা টেনে রাখুন। এতে বাইরের আগুনের হলকা ঘরে ঢুকবেনা ও ঘর থাকবে ঠাণ্ডা।
ফ্যানের নিচে একটি পাত্রে শীতল জল কিংবা কিছু বরফ রেখে দিতে পারেন। এতে ঘরের বাতাস শীতল হবে।
সারাদিন ঘরের ছাদ রোদ থেকে তাপ শোষণ করে। সেজন্য ছাদের উপর রোদের আলো সরাসরি পৌঁছাতে না পারে এমন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখুন। সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদে জল ঢেলে দিতে পারেন।
ঝড়খালি: তাপপ্রবাহের কবলে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। মানুষের পাশাপাশি হাসফাঁস করছে বন্যপ্রাণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে দু’বেলা স্নান করানো হচ্ছে বাঘেদের। খাঁচার সামনে বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড ফ্যান। দেওয়া হচ্ছে ওআরএস ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘাম হয়ে বের হয়। এদের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষের শরীরে হাজারও সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: সোমবারই আবহাওয়ায় বদল! উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে স্বস্তির বৃষ্টি
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এ দিন এমনই সাবধানবাণী শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ মানুষের মতো বন্যপ্রাণীদের শরীরেও সমস্যা দেখা দেয়। ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে তাই জন্তুজানোয়ারের যত্ন নেওয়া হচ্ছে যতটা সম্ভব। গরমের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে ক্রমাগত।
উত্তর ২৪ পরগনা: তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁইছুঁই। তাপপ্রবাহের সঙ্গেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সর্বত্র। তারই মাঝে প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্তব্য পালনে অবিচল ট্র্যাফিক পুলিশের। এই গরমেও রোদে দাঁড়িয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অনবরত কাজ করে চলেন তারা। তাদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই, গরমে সুস্থ থাকতে ও ঠিক ভাবে ডিউটি করতে দেওয়া হল সামার কিট।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন ট্রাফিক বুথ ঘুরে এই সামার কিট ট্রাফিক আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। বাদ যাননি রাস্তায় কর্মরত সিভিকরাও। ছাতা জলের বোতলের পাশাপাশি ওআরএস এবং গ্লুকোজও তুলে দেওয়া হয় এই তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝে শরীর সুস্থ রেখে ডিউটি করতে।
আরও পড়ুন: মণিপুরের বুথে গুলি! ভোটের প্রথম দফাতেই পূর্ব ইম্ফলে চরম উত্তেজনা, উঠল ভিডিও
আরও পড়ুন: তুলসী গাছে নুন দিলে কী হয় জানেন? ফল হবে অবিশ্বাস্য, কী ভাবে ব্যবহার করবেন? জানুন সম্পূর্ণ তথ্য
দাবদাহের মাঝে কিভাবে শরীর সুস্থ রেখে দায়িত্ব সামলানো সম্ভব তারও পরামর্শ দেন গৌরব শর্মা। এদিন নিউটাউন নারকেল বাগান মোড় থেকে শুরু করেন এই সামার কিট দেওয়া। কিটে থাকছে ছাতা, মাস্ক, গ্লুকজ, ওয়ারেস, চশমা, জলের বোতোল সহ প্রয়োজনীয় জিনিস। রাস্তায় দায়িত্ব সামলানো পুলিশ কর্মীরাও যে মানুষ, সেই দিকে নজর রেখেই প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
Rudra Narayan Roy
গ্রীষ্মের প্রথম থেকেই এ বার খরতাপের দাপুটে ইনিংস। দমবন্ধ গরমে নাভিশ্বাস কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ দক্ষিণবঙ্গের। বৃহস্পতিবার বাংলার ১৪ টি জায়গার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পেরিয়ে গেল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চৌকাঠ।
বৃহস্পতিবার বাংলায় সবথেকে বেশি পারদ উঠেছিল মেদিনীপুরে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
পারদযুদ্ধে এদিন মরুশহর জয়সলমেরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর। বৃহস্পতিবার সোনার কেল্লা শহরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এদিক ওদিক। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
মেদিনীপুর শহর ছাড়াও যে জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছিল, সেগুলি হল ডায়মন্ড হারবার, বাঁকুড়া, সল্টলেক, ক্যানিং, হলদিয়া, কলাইকুণ্ডা, বর্ধমান, পানাগড়, আসানসোল, পুরুলিয়া, ব্যারাকপুর, সিউড়ি, ঝাড়গ্রাম।
একটুর জন্য চল্লিশী তালিকায় ঢোকেনি কলকাতার নাম। শহরে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দমদমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় বাংলার উপকূল লাগোয়া অঞ্চলে থাকে। তার জেরে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে গাঙ্গেয় বঙ্গে।
উচ্চচাপ বলয়টি সরে গেলেই পশ্চিমদিক থেকে শুকনো গরম বাতাস ঢুকে পড়ে রাজ্যে। তার জেরে চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।
আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ বারও। আবহবিদদের ধারণা, তার জেরেই তাপপ্রবাহ ও শুকনো গরম বাড়ছে।
বৈশাখের তীব্র দহনে দক্ষিণবঙ্গ কার্যত ফার্নেস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই চলছে গ্রীষ্মের তীব্র দাহ। জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা।
বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় বাংলার উপকূল লাগোয়া অঞ্চলে থাকে। তার জেরে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে গাঙ্গেয় বঙ্গে।
উচ্চচাপ বলয়টি সরে গেলেই পশ্চিমদিক থেকে শুকনো গরম বাতাস ঢুকে পড়ে রাজ্যে। তার জেরে চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।
আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ বারও। আবহবিদদের ধারণা, তার জেরেই তাপপ্রবাহ ও শুকনো গরম বাড়ছে।
বুধবারও রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে প্রায় সাড়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। খাতায় কলমে মঙ্গলবারের থেকে কিছুটা কমলেও অসহ্য গরমের অস্বস্তি কমেনি।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পাল্লায় বুধবারও বাকি বাংলাকে টেক্কা দিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ব্যারাকপুরে। ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা সংলগ্ন সল্টলেক, দমদমেও তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশ কিছুটা উপরে। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়ার তাপমাত্রাও ছিল ৪১ ডিগ্রির কাছাকাছি।
বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁলে এবং সেটি যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি বেশি হয়, তাহলে তাকে তাপপ্রবাহ বলা হয়।
ব্যাকরণগত সেই হিসেব মেনে খাতায়কলমে তাপপ্রবাহ না বইলেও অস্বস্তির মাপকাঠিতে পরিস্থিতি তাপপ্রবাহের তুলনায় কম কিছু ছিল না। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ১৫টি জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে।
এই ১৫-টির মধ্যে রাঢ় বাংলার সব জেলায় জারি করা হয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা। তাছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। আপাতত এই দহনজ্বালা থেকে মুক্তির কোনও আশা নেই বলেই আশঙ্কা আবহবিদদের।
উত্তর ২৪ পরগনা: জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে আগেই, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে প্রখর দাবদাহ চলবে আরও বেশ কয়েকদিন। আর এই তাপপ্রবাহের মাঝেই এক অমানবিক ছবি ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি স্টেশনে।
অসুস্থ হয়ে ঘন্টা দেড়েক স্টেশনেই পড়ে রইলেন এক প্রৌঢ়। মনে করা হচ্ছে এই অস্বস্তিকর গরমের জেরেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না স্টেশনে থাকা অন্যান্য যাত্রী থেকে রেল কতৃপক্ষ কেউই। অবশেষে মৃত্যু হল অজ্ঞাত পরিচয় ওই প্রৌঢ়ের।
আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?
এই চরম অমানবিকতার ছবি দেখল শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার বামনগাছি। স্টেশনের দোকানদারেরা জানান, এদিন বনগাঁ মাঝেরহাট লোকালে অসুস্থতা বোধ করায় সহযাত্রীরা ওই ব্যক্তিকে বামনগাছি স্টেশনে নামিয়ে দেন। স্টেশনে নেমে একটি লাড্ডু ও জল খাওয়ার পরই তিনি শুয়ে পড়েন। প্রায় দেড় ঘন্টা এই গরমে স্টেশনে পড়ে থাকলেও রেল কতৃপক্ষ এমনকি কোনও ব্যক্তি তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
এমনকি স্থানীয় দোকানদাররাও ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও উদ্যোগ নেননি বলেই অভিযোগ। স্টেশনে রেল কতৃপক্ষের এই চরম উদাসীনতার কারনেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির বলেই দাবি এলাকার মানুষের। পরে আরপিএফ এসে ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। মৃত প্রৌঢ়ের নাম ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইতিমধ্যে এই ঘটনার নিন্দা শুরু হয়েছে।
Rudra Narayan Roy
গোটা দেশ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হতে শুরু করেছে। আর এই সময়ে তীব্র গরমের কারণে সকলকে সমস্যা কিংবা রোগ বা ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়। অর্থাৎ গরমের দাপটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও। এমন পরিস্থিতিতে কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার অবলম্বন করা কার্যকর। এতে স্বাস্থ্যও থাকবে তরতাজা। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. ময়ূর কাতোর এই তথ্য জানিয়েছেন।
রোদের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে: সূর্যের শক্তিশালী রশ্মি এবং অত্যন্ত শুষ্ক বাতাস শরীরের জলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। তাই হিটস্ট্রোক, জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালা, দেহের তাপ বৃদ্ধি, ক্লান্তি, অবসন্ন ভাব, উদ্যমের অভাব, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, অম্বল, ডায়েরিয়া এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে শুরু করে। এই সময় দেহকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক প্রতিকার উপকারী হতে পারে।
হিট স্ট্রোক রুখতে ঘরোয়া প্রতিকার: ১. সকালে খালি পেটে গুলকন্দ, আমলকির মোরব্বা, পেঠা খেতে হবে। ২. তরমুজ, খরমুজ বা ফুটি, কমলালেবু, মুসাম্বি, ডালিম এবং আমের মতো ফল খাওয়া উপকারী। ৩. কোকুম, লেবু ইত্যাদির শরবত, ডাবের জল, বাটারমিল্ক, পুদিনার শরবত, মধুর জল পান করতে হবে। ৪. খেজুর, ব্ল্যাক কারেন্ট, চিনি ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করলে শরীর ঠান্ডা হবে।
৫. বাইরে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস জল পান করুন। ৬. স্নান করার পরে কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে উভয় নাকের মধ্যে নারকেল তেল লাগাতে হবে। ৭. নাক থেকে রক্তপাত হলে ৩-৩ ফোঁটা দূর্বার রস নাকে দিতে হবে। ৮. চোখ জ্বালা করলে চোখের উপর ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে হবে। ৯. ত্বকের ট্যানিং প্রতিরোধ করতে সানস্ক্রিন লোশন লাগানো উচিত।
১০.সাদা সুতির ওড়না বা কাপড়ের টুকরো দিয়ে মুখ, কান ও মাথা ঢেকে তবেই রোদে বার হওয়া উচিত। ১১. ডায়েরিয়া হলে আধচামচ সীতোপালাদি গুঁড়ো খেতে হবে। ওআরএস জল, কারি পাতা ইত্যাদিও সেবন করা যেতে পারে। ১২. ঠান্ডা ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। যেমন – পুরনো গম-পুরনো চাল, গরুর দুধের ঘি, ছাতু, ধনেপাতা ইত্যাদি খাবার তৈরিতে ব্যবহার করতে হবে।
ডা. ময়ূর কাতোর বলেন, গ্রীষ্মকালে গরম প্রকৃতির খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল – কাঁচালঙ্কা, বাসি খাবার, অতিরিক্ত চা-কফি, মশলাদার, ভাজাভুজি, সফট ড্রিঙ্ক ইত্যাদি। বর্তমানে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। তাই হিট স্ট্রোক অথবা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার প্রতিকার হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেওয়া সব টিপস মনে রাখা জরুরি।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, আগামী দুই দিন পূর্ব ও উপদ্বীপের ভারতে তাপপ্রবাহ বা হিট ওয়েভ বইবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলেও ৯ এপ্রিল পর্যন্ত তীব্র বৃষ্টি এবং ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! photo source collected
সোমবার, আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছিল যে এই গ্রীষ্মে মধ্য, উত্তর সমভূমি এবং দক্ষিণ ভারতের অনেক অঞ্চলে বেশ অনেকদিন ধরেই তাপপ্রবাহ চলবে। আবহাওয়া বিভাগ আরও বলেছিল যে, এপ্রিল থেকে জুন মাসে দেশে সব থেকে বেশি গরম পড়বে, মধ্য ও পশ্চিম উপদ্বীপের অংশগুলি সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।photo source collected
ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উত্তর কর্ণাটক, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় ৫ এবং ৬ এপ্রিল বিচ্ছিন্ন পকেটে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।photo source collected
৫ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে কেরালা, তামিলনাড়ুতে গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া বইবে! photo source collected
অন্যদিকে, অরুণাচল প্রদেশে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল আসাম ও মেঘালয়ে ৫ ও ৬ এপ্রিল এবং ওড়িশায় ৭ ও ৮ এপ্রিল ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।photo source collected
এর আগে কেন্দ্রীয় ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও বলেছিলেন যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে এবং তাপপ্রবাহের জন্য সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে রাজ্য সরকারদের সঙ্গে দু’দিনের বৈঠক করেছি এবং এর জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছি”!photo source collected
বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলার সময়, রিজিজু বলেছিলেন, “আমাদের অনুমান অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলি সহ দেশের একটি বিশাল অঞ্চল তাপপ্রবাহে পুড়তে চলেছে।”photo source collected
আইএমডির পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রও বলেছেন যে এবার, চার থেকে আট দিনের স্বাভাবিকের বিপরীতে দেশের বিভিন্ন অংশে ১০-১২ দিনের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে!photo source collected
চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। কলকাতায় বৃহস্পতিবার ফের তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা। শুক্র ও শনিতে কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯ জেলায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে।
লু-এর হাত থেকে বাঁচতে ঘন ঘন জল বা জলীয় পদার্থ বেশি এমন খাবার খান। পোশাকের ক্ষেত্রেসুতির হালকা পোশাক পরুন।
সিন্থেটিক জামা পরবেন না, ছাতা-জল সঙ্গে না নিয়ে বের হবেন না, বেশি তেল মশলা দেওয়া খাবার খাবেন না, কারণ এই সময়ে পেটের অসুখ হতে পারে, একদিনও স্নান বাদ দেবেন না, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
এই সময় দিনে দু’বার ঠান্ডা জলে স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নুন-চিনি জল, ডাবের জল, লস্যিও খেতে পারেন।
ইতিমধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি পার করেছে। তাপপ্রবাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে।
ভারী বৃষ্টির কোনওরকম সম্ভাবনাও নেই আগামী পাঁচ দিন। তবে কোথাও কোথাও যদি বজ্রগর্ভ মেঘের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেখানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে তাতে গরমের মাত্রা একটুও কবে না। অর্থাৎ রবিবারের আগে কোনও সম্ভাবনা নেই ভারী বৃষ্টির।
পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় লু সতর্কতা জারি। কলকাতায় আজও অস্বস্তিকর আবহাওয়া, ক্রমশ বাড়বে গরম। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে চলে যেতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শুক্রে কলকাতার গরম সব সীমা পার করে দেবে।
শুক্রবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে।
শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি।
আজ, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের দুই পার্বত্য জেলায়। কাল থেকে বাড়বে বৃষ্টি। শনিবার ফের ঝড়-বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের কয়েক জেলাতেও।
তীব্র মাত্রায় গরম পড়তে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে ৩৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার পারদ। শুষ্ক ও গরম আবহাওয়া থাকবে। রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়তে মাত্রাতিরিক্ত গরমের দাপট থাকবে।
Posts navigation
Just another WordPress site