Tag Archives: Hilsa

Ilish Fish: বাজারে ইলিশ কিনতে কখনও ঠকবেন না, সহজেই চিনুন টাটকা জাতের মাছ, রইল উপায়!

বঙ্গ ক্যালেন্ডার এর আষাঢ় মাস মানেই বর্ষাকাল। বর্ষাকাল বাঙালির অন্যান্য ঋতুর মত একটি প্রিয় ঋতু। এই বর্ষাকালেই ইলিশের দেখা মেলে নদী সমুদ্রে। ইলিশ নিয়ে বাঙালির নস্টালজিয়ার শেষ নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইলিশ চিনতে না পারার কারণে ইলিশের স্বাদ আশানুরূপ হয় না। তবে আর চিন্তা নেই এবার বাজারে গিয়ে সহজেই একেবারেই ভাল ইলিশ চিনুন। রইল ভাল ইলিশ চেনার সহজ উপায়। (সৈকত শী)
বঙ্গ ক্যালেন্ডার এর আষাঢ় মাস মানেই বর্ষাকাল। বর্ষাকাল বাঙালির অন্যান্য ঋতুর মত একটি প্রিয় ঋতু। এই বর্ষাকালেই ইলিশের দেখা মেলে নদী সমুদ্রে। ইলিশ নিয়ে বাঙালির নস্টালজিয়ার শেষ নেই। (সৈকত শী)
কিন্তু বর্তমান সময়ে ইলিশ চিনতে না পারার কারণে ইলিশের স্বাদ আশানুরূপ হয় না। তবে আর চিন্তা নেই এবার বাজারে গিয়ে সহজেই একেবারেই ভাল ইলিশ চিনুন। রইল ভাল ইলিশ চেনার সহজ উপায়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ইলিশ চিনতে না পারার কারণে ইলিশের স্বাদ আশানুরূপ হয় না। তবে আর চিন্তা নেই এবার বাজারে গিয়ে সহজেই একেবারেই ভাল ইলিশ চিনুন। রইল ভাল ইলিশ চেনার সহজ উপায়।
টাটকা ইলিশের রং উজ্জ্বল রূপালি হয়। অন্যদিকে বরফের ইলিশের রং অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাশে ধরনের। বেশিদিন ধরে নাড়াচাড়া করায় আঁশ উঠে ফ্যাকাশে দেখতে লাগে। টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল হয়। বরফে রাখা ইলিশের চোখ ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে, আর ঘোলাটে হয়। ইলিশ হয় অনেকটা গোলাকার।
টাটকা ইলিশের রং উজ্জ্বল রূপালি হয়। অন্যদিকে বরফের ইলিশের রং অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাশে ধরনের। বেশিদিন ধরে নাড়াচাড়া করায় আঁশ উঠে ফ্যাকাশে দেখতে লাগে। টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল হয়। বরফে রাখা ইলিশের চোখ ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে, আর ঘোলাটে হয়। ইলিশ হয় অনেকটা গোলাকার।
অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া। এই ধরনের ইলিশেরর স্বাদ সব সময় বেশি হয়। ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কানকো ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। টাটকা ইলিশের কানকো হয় টকটকে লাল রঙের। টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। অনেক সময় বাজারে দেখা যায়, ইলিশ মাছ বাঁকা হয়ে আছে।
অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া। এই ধরনের ইলিশেরর স্বাদ সব সময় বেশি হয়। ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কানকো ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। টাটকা ইলিশের কানকো হয় টকটকে লাল রঙের। টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। অনেক সময় বাজারে দেখা যায়, ইলিশ মাছ বাঁকা হয়ে আছে।
সহজে ভাল ইলিশ চেনার বিষয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, 'ইলিশ সাধারণত সমুদ্রের জলে বসবাস করে। বর্ষাকালে ডিম পাড়ার উদ্দেশ্যে মিষ্টি জলে আসে। যার ফলে ইলিশের জৈবিক পরিবর্তন হয়। আর তাতেই ইলিশের স্বাদেরও তারতম্য ঘটে।
সহজে ভাল ইলিশ চেনার বিষয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, ‘ইলিশ সাধারণত সমুদ্রের জলে বসবাস করে। বর্ষাকালে ডিম পাড়ার উদ্দেশ্যে মিষ্টি জলে আসে। যার ফলে ইলিশের জৈবিক পরিবর্তন হয়। আর তাতেই ইলিশের স্বাদেরও তারতম্য ঘটে।
ইলিশের গায়ের উজ্জ্বল রুপালি রঙ, স্বচ্ছ চোখ, পেটের দিক চাওড়া ও মাছ শক্ত হলে ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। বর্তমানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ইলিশের স্বাদ দিন দিন কমছে। এই কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে বাজারে ইলিশ চেনা সহজ হয়ে ওঠে।'
ইলিশের গায়ের উজ্জ্বল রুপালি রঙ, স্বচ্ছ চোখ, পেটের দিক চাওড়া ও মাছ শক্ত হলে ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। বর্তমানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ইলিশের স্বাদ দিন দিন কমছে। এই কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে বাজারে ইলিশ চেনা সহজ হয়ে ওঠে।’
ইতিমধ্যেই বাজারে ইলিশ চলে এসেছে। দাম বেশি হলেও কিনতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না মাঝেমধ্যে বাঙালি। কারণ বর্ষার সময় ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। আর এই সময় ইলিশ মাছ প্রচুর পরিমাণে বাজারে মেলে।
ইতিমধ্যেই বাজারে ইলিশ চলে এসেছে। দাম বেশি হলেও কিনতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না মাঝেমধ্যে বাঙালি। কারণ বর্ষার সময় ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। আর এই সময় ইলিশ মাছ প্রচুর পরিমাণে বাজারে মেলে।
শুধুমাত্র ইলিশ মাছ চিনতে না পারার কারণে কেনার সময় ঠকে যেতে হয়। তবে এবার বাজারে ইলিশ কেনার আগে ইলিশ মাছ সম্পর্কে এই কয়েকটি ছোট্ট টিপসের মাথায় রাখলেই ভাল ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তির মজা দ্বিগুন হবে।
শুধুমাত্র ইলিশ মাছ চিনতে না পারার কারণে কেনার সময় ঠকে যেতে হয়। তবে এবার বাজারে ইলিশ কেনার আগে ইলিশ মাছ সম্পর্কে এই কয়েকটি ছোট্ট টিপসের মাথায় রাখলেই ভাল ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তির মজা দ্বিগুন হবে।

Ilish Mach-Hilsa Fish: টাটকা তাজা ইলিশের বদলে রোজ কী আসছে বাজারে? নজরদারির পরেও অবাক কাণ্ড! কী করে সম্ভব?

*প্রতি বছরের মতো এ বছরও কি নজরদারি এড়িয়ে বাজারে আসছে খোকা ইলিশ? সেই প্রশ্নই কিন্তু উঠেছে এবার। নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ গ্রাম ওজনের থেকে কম ওজনের ইলিশ মাছ ধরা বেআইনি। প্রতিবেদনঃ নবাব মল্লিক। সংগৃহীত ছবি।
*প্রতি বছরের মতো এ বছরও কি নজরদারি এড়িয়ে বাজারে আসছে খোকা ইলিশ? সেই প্রশ্নই কিন্তু উঠেছে এবার। নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ গ্রাম ওজনের থেকে কম ওজনের ইলিশ মাছ ধরা বেআইনি। প্রতিবেদনঃ নবাব মল্লিক। সংগৃহীত ছবি।
*বাজারে কোনও কোনও সময় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের মাছ আসছে। আর সেই ছোট ইলিশ ক্যারেট ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বাজারে। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়ছে এই ছোট ইলিশ? সেক্ষেত্রে ৯০ সেন্টিমিটারের থেকে কম ফাঁস যুক্ত জাল ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সংগৃহীত ছবি।
*বাজারে কোনও কোনও সময় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের মাছ আসছে। আর সেই ছোট ইলিশ ক্যারেট ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বাজারে। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়ছে এই ছোট ইলিশ? সেক্ষেত্রে ৯০ সেন্টিমিটারের থেকে কম ফাঁস যুক্ত জাল ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সংগৃহীত ছবি।
*এভাবে খোকা ইলিশ ধরা হলে, আগামীদিনে বড় ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এ প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ছোট ইলিশ ধরা বেআইনি। প্রশাসনের এই দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে ভোজন রসিক বাঙালির পাতে ইলিশের যোগান দেওয়া যথেষ্ট কটসাধ্য হয়ে উঠবে। সংগৃহীত ছবি।
*এভাবে খোকা ইলিশ ধরা হলে, আগামীদিনে বড় ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এ প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ছোট ইলিশ ধরা বেআইনি। প্রশাসনের এই দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে ভোজন রসিক বাঙালির পাতে ইলিশের যোগান দেওয়া যথেষ্ট কটসাধ্য হয়ে উঠবে। সংগৃহীত ছবি।
*কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "বারে বারে প্রশাসনের তরফ থেকে ছোট মাছ ধরা যাবে না বলে মিটিং করে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তার পরেও যদি কেউ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সেক্ষেত্রে প্রশাসন অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করুক।" সংগৃহীত ছবি।
*কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “বারে বারে প্রশাসনের তরফ থেকে ছোট মাছ ধরা যাবে না বলে মিটিং করে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তার পরেও যদি কেউ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সেক্ষেত্রে প্রশাসন অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করুক।” সংগৃহীত ছবি।
*এই ধরণের কাজ বন্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন দেখার ভবিষ্যতে এই কাজ কতটা বন্ধ করা সম্ভন হয়। সংগৃহীত ছবি।
*এই ধরণের কাজ বন্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন দেখার ভবিষ্যতে এই কাজ কতটা বন্ধ করা সম্ভন হয়। সংগৃহীত ছবি।

Ilish: চওড়া পেটি, ঝলমলে রুপোলি রং! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢুকবে শহরের বাজারে, এক-দেড় কেজির দাম কত?

*ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জালে মিলছে বড় সাইজের ইলিশ। ১ কেজির উপর ইলিশ মিলছে এখানে।
*ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জালে মিলছে বড় সাইজের ইলিশ। ১ কেজির উপর ইলিশ মিলছে এখানে।
*আসলে বাংলাদেশে চলছে ফিশিং ব্যান পিরিয়ড। মাছের বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সাগরে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে।
*আসলে বাংলাদেশে চলছে ফিশিং ব্যান পিরিয়ড। মাছের বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সাগরে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে।
*এদিকে ভারতে ব্যান পরিয়ড উঠে গিয়েছে ১৪ জুন মধ্যরাতে। ফলে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জালে বড় বড় ইলিশ আসছে।
*এদিকে ভারতে ব্যান পরিয়ড উঠে গিয়েছে ১৪ জুন মধ্যরাতে। ফলে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জালে বড় বড় ইলিশ আসছে।
*এবছর পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় অন্তত তিন হাজার ট্রলার ইলিশ ধরতে গিয়েছে। তারা দেড় থেকে দুই কেজির ইলিশও পাচ্ছে।
*এবছর পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় অন্তত তিন হাজার ট্রলার ইলিশ ধরতে গিয়েছে। তারা দেড় থেকে দুই কেজির ইলিশও পাচ্ছে।
*বাংলাদেশের জলসীমায় ৮০ ভাগ ইলিশ বিচরণ করে। তবে বাংলাদেশে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ এদেশে আসছে।
*বাংলাদেশের জলসীমায় ৮০ ভাগ ইলিশ বিচরণ করে। তবে বাংলাদেশে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ এদেশে আসছে।
*ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় মাছের বাজারে ইলিশ ভরে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এখন অপেক্ষা মাত্র আর কয়েকটা দিনের।
*ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় মাছের বাজারে ইলিশ ভরে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এখন অপেক্ষা মাত্র আর কয়েকটা দিনের।

Ilish: অবশেষে সুখবর! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে জালে! শহরের বাজারে ইলিশের বন্যা? কমবে দাম?

*ইলিশপ্রেমীদের জন্য খুশির খবর শোনালো মৎস্যজীবীরা। ট্রলি ফিশিং-এ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান হয়েছে, তার জেরে খুশির হাওয়া বইছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। বেশি মাছের আমদানি হলে সেক্ষেত্রে কমতে পারে দাম, এমনই আশা। প্রতিবেদনঃনবাব মল্লিক। সংগৃহীত ছবি। 
*ইলিশপ্রেমীদের জন্য খুশির খবর শোনালো মৎস্যজীবীরা। ট্রলি ফিশিং-এ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান হয়েছে, তার জেরে খুশির হাওয়া বইছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। বেশি মাছের আমদানি হলে সেক্ষেত্রে কমতে পারে দাম, এমনই আশা। প্রতিবেদনঃনবাব মল্লিক। সংগৃহীত ছবি। 
*ইলিশ ধরতে দু'রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক ভাসা জাল ব্যবহার করে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা। দুই ট্রলি ফিশিংয়ের মাধ্যমে মোহনা এলাকায় মাছ ধরা। সংগৃহীত ছবি। 
*ইলিশ ধরতে দু’রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক ভাসা জাল ব্যবহার করে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা। দুই ট্রলি ফিশিংয়ের মাধ্যমে মোহনা এলাকায় মাছ ধরা। সংগৃহীত ছবি। 
*ব্যান পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর প্রথম চালানে মাছ ধরতে গিয়েছিল মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ইলিশের দেখা মেলেনি, সমুদ্রও উত্তাল হয়েছিল। ফলে কার্যত খালি হাতে ফিরে আসে মৎস্যজীবীরা। সংগৃহীত ছবি। 
*ব্যান পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর প্রথম চালানে মাছ ধরতে গিয়েছিল মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ইলিশের দেখা মেলেনি, সমুদ্রও উত্তাল হয়েছিল। ফলে কার্যত খালি হাতে ফিরে আসে মৎস্যজীবীরা। সংগৃহীত ছবি। 
*তবে এবার পরিস্থিতি অনুকূল হয়েছে, সমুদ্রে রোলিং নেই ফলে দেখা মিলবে ইলিশের, এমনই আশা মৎস্যজীবীদের। তার সঙ্গে রয়েছে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি। সংগৃহীত ছবি। 
*তবে এবার পরিস্থিতি অনুকূল হয়েছে, সমুদ্রে রোলিং নেই ফলে দেখা মিলবে ইলিশের, এমনই আশা মৎস্যজীবীদের। তার সঙ্গে রয়েছে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি। সংগৃহীত ছবি। 
*এই বৃষ্টিতেই ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে মোহনার দিকে। ফলে আবারও নতুন উদ্যমে মৎস্যজীবীরা রওনা দিয়েছেন সমুদ্রে। প্রচুর বরফ, তেল নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁরা। এবার ফিরলে ইলিশ নিয়েই ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। সংগৃহীত ছবি। 
*এই বৃষ্টিতেই ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে মোহনার দিকে। ফলে আবারও নতুন উদ্যমে মৎস্যজীবীরা রওনা দিয়েছেন সমুদ্রে। প্রচুর বরফ, তেল নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁরা। এবার ফিরলে ইলিশ নিয়েই ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। সংগৃহীত ছবি। 
*এ নিয়ে মৎস্যজীবী সংগঠনের এক সদস্য রবীন দাস জানিয়েছেন, আশা কখনও ছাড়তে নেই। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূল। ট্রলি ফিশিং-এ মাছ আসছে। আসা করা যায় ট্রলারেও মাছ পড়বে। এখন দেখার এবার কত মাছ আসে উপকূলে। মাছের যোগান বেশি হলে সেক্ষেত্রে কমতে পারে দাম। সংগৃহীত ছবি।
*এ নিয়ে মৎস্যজীবী সংগঠনের এক সদস্য রবীন দাস জানিয়েছেন, আশা কখনও ছাড়তে নেই। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূল। ট্রলি ফিশিং-এ মাছ আসছে। আসা করা যায় ট্রলারেও মাছ পড়বে। এখন দেখার এবার কত মাছ আসে উপকূলে। মাছের যোগান বেশি হলে সেক্ষেত্রে কমতে পারে দাম। সংগৃহীত ছবি।

Digha Hilsa Fish: দিঘায় বিরাট হাহাকার! দেখা নেই ইলিশের, জেলেদের ঝুলি ভরছে কীসে? বাঙালির পাত কি তবে ফাঁকা

দিঘা: খাতা-কলমে বর্ষাকাল হলেও রোদ, প্রখর গরম, দাবদাহ। বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে ইলিশের উপযুক্ত অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়নি। মাছ শিকার করতে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ফিরে এসেছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তাতে ইলিশের দেখা না মিললেও প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠে এসেছে। ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড শেষে সমুদ্রে মৎস্য শিকারে বেরিয়েছে প্রায় ৩ হাজার লঞ্চ-ট্রলার। গভীর সমুদ্র থেকে সেগুলি ফিরেছে তাদের জালে ইলিশ ওঠেনি বললেই চলে। তবে জলের রুপালি শস্য ইলিশ উঠে না এলেও প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠেছে। আর তাতেই ইলিশের দুঃখ ভুলেছে মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর মাছ ধরার মরশুম শুরু হলে ইলিশের আশায় বুক বাঁধে মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ী-সহ ট্রলার লঞ্চ মালিকেরা। কিন্তু পরপর কয়েক বছর দিঘায় ইলিশের খরা। তবে এই মরশুমে ইলিশের খরা কাটবে, আশাবাদী মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকগণ। এবার দিঘায় ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে প্রথম দিনে ইলিশ উঠে আসার পূর্বাভাস আগেই দেখা দিয়েছে। কিন্তু দিঘায় বৃষ্টি নেই ফলে ইলিশের প্রতিকূল পরিবেশ। সমুদ্রে মাছ শিকারে থাকা মৎস্যজীবীদের জালে জড়িয়েছিল সীমিত সংখ্যক ইলিশ, তবে প্রচুর পরিমাণে পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলা ইত্যাদি। যা এদিন নিয়ে আসা হয় দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। ইলিশ ছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের নিলামে সরগরম হয় মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে সামান্য পরিমাণ ইলিশ -সহ প্রচুর পরিমাণ চিংড়ি, ভোলা, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছে ভরে ওঠে। মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে পমফ্রেট মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ভোলা মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে সামান্য পরিমাণ ইলিশ হলেও তাদের দাম অত্যন্ত চড়া। তাই ইলিশের নাগাল পেতে কিছুদিনের অপেক্ষা। ইলিশের ঝাঁক জালে ওঠে বৃষ্টি আর পুবালি হাওয়ার যুগলবন্দিতে। সেই আবহাওয়া এখনও তৈরি হয়নি দিঘায়। তবে দিঘার মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দিঘায় চলতি বছর ভাল পরিমাণ ইলিশ উঠে আসবে। মরশুমের শুরুতেই ইলিশের দেখা না মিললেও আগামী দিনে ইলিশের হাঁক ডাকে জমে উঠবে মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্র এমনটাই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

বিগত কয়েক বছর দিঘায় মৎস্যজীবীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ ইলিশ-সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাঝে ভাটা পড়েছিল। তবে এই চলতি মরশুমে শুরুর দিকে সামান্য পরিমাণ হলেও ইলিশের দেখা মিলেছে এবং প্রচুর পরিমাণ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দ্রুত আবহাওয়া অনুকূল হলেই ইলিশ উঠবে জালে।

সৈকত শী

Hilsa price: মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে ইলিশ, নাগালে আসবে দাম? ভাল খবর এল ডায়মন্ড হারবার থেকে

মাছে ভাতে বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে ইলিশ। মরসুমের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারে ঢুকলো ৩ টন ইলিশ।
মাছে ভাতে বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে ইলিশ। মরসুমের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারে ঢুকলো ৩ টন ইলিশ।তথ্য – আনিসউদ্দিন মোল্লা
দু মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর গত ১৫  জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। সেই ট্রলারগুলিই আস্তে আস্তে ফিরতে শুরু করেছে৷

দু মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর গত ১৫ জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। সেই ট্রলারগুলিই আস্তে আস্তে ফিরতে শুরু করেছে৷
শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মাছ আড়তে প্রায় ৩ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে জানানো হয় নগেন্দ্রবাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির পক্ষ থেকে।
শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মাছ আড়তে প্রায় ৩ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে জানানো হয় নগেন্দ্রবাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি, মৎস্য আড়তদার  সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেন, মরশুমের শুরুতেই জালে ইলিশ দেখা দিয়েছে। পরিমাণে কম হলেও ইলিশের সাইজ বেশ ভাল।
পাশাপাশি, মৎস্য আড়তদার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেন, মরশুমের শুরুতেই জালে ইলিশ দেখা দিয়েছে। পরিমাণে কম হলেও ইলিশের সাইজ বেশ ভাল।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, দু মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে ভাল সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে অন্যান্য বছরের থেকে এ বছর জালে বেশি পরিমাণে ইলিশ পড়বে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবি থেকে আড়তদাররা।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, দু মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে ভাল সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে অন্যান্য বছরের থেকে এ বছর জালে বেশি পরিমাণে ইলিশ পড়বে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবি থেকে আড়তদাররা।
ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, জালে বেশি ইলিশ পড়লেই মধ্যবিত্তের নাগালে আসবে দাম। বর্তমানে বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম কমবেশি ১৪০০ টাকা।
ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, জালে বেশি ইলিশ পড়লেই মধ্যবিত্তের নাগালে আসবে দাম। বর্তমানে বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম কমবেশি ১৪০০ টাকা।

South 24 Parganas News: উত্তাল সমুদ্র! ইলিশ ধরতে গিয়ে যাচ্ছিল প্রাণ, কোনক্রমে উদ্ধার ১৮ মৎস্যজীবী 

কাকদ্বীপ: ইলিশ ধরতে গিয়ে প্রাণটাই যেতে বসেছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের। কিন্তু কপালজোরে এযাত্রায় প্রাণে বাঁচলেন তাঁরা। ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ জন মৎস্যজীবীকে। ঠিক কি হয়েছিল মাঝসমুদ্রে, তা জানতে মৎস্যজীবীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সমুদ্রে রোলিং বেড়েছে। ফলে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র।

এরমধ্যে এফ বি রাজনারায়ন নামের ট্রলারটি কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেয়। ফেরার পথে সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে ট্রলারের পাইপ ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে। তখন ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে কিছুটা দূরে থাকা এফ বি সপ্তর্ষি নামের একটি ট্রলার ওই ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপের কাছাকাছি ডুবে যায়।

আরও পড়ুনঃ East Bardhaman News: শোলা শিল্পই জীবন-জীবিকার শেষ সম্বল! এই গ্রাম টিকিয়ে রেখেছে হারাতে বসা শিল্পকে

ট্রলারটিকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও ট্রলারটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা। তবে ওই ট্রলারে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা ছিলেন তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন। উপকূলে ফিরে আসার পর তাদের সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরে স্বস্তিতে তারা সকলেই।

Best Food: ইলিশের আর কী স্বাদ! এই মাছ ইলিশকে দশ গোল দেবে স্বাদে! খেয়েছেন? কোথায় পাওয়া যায় জানুন

ইলিশ নিয়ে বাঙালির আবেগ সর্বজনবিদিত। এককথায় বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছ যে ইলিশ সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু খাদ্য প্রেমীদের তত্ত্ব তালাশ বলছে এই বাংলাতেই রয়েছে একাধিক মাছ যা ইলিশকে স্বাদে, গন্ধে দশ গোল দিতে পারে। কিন্তু প্রচারের অভাবে সেগুলি কুলীন হতে পারেনি।
ইলিশ নিয়ে বাঙালির আবেগ সর্বজনবিদিত। এককথায় বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছ যে ইলিশ সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু খাদ্য প্রেমীদের তত্ত্ব তালাশ বলছে এই বাংলাতেই রয়েছে একাধিক মাছ যা ইলিশকে স্বাদে, গন্ধে দশ গোল দিতে পারে। কিন্তু প্রচারের অভাবে সেগুলি কুলীন হতে পারেনি।
যাদের গর্বে গর্বিত হয়ে মৎস্যপ্রেমীরা ইলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তার অন্যতম হল উত্তরের ইলিশ বলে পরিচিত বোরোলি মাছ। ইলিশের সঙ্গে আকারে পাত্তা না পেতেই পারে, কিন্তু রংয়ে, স্বাদে মন জয় করে নিতে পারে এই রুপোলি সুন্দরীরা।
যাদের গর্বে গর্বিত হয়ে মৎস্যপ্রেমীরা ইলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তার অন্যতম হল উত্তরের ইলিশ বলে পরিচিত বোরোলি মাছ। ইলিশের সঙ্গে আকারে পাত্তা না পেতেই পারে, কিন্তু রংয়ে, স্বাদে মন জয় করে নিতে পারে এই রুপোলি সুন্দরীরা।
কট্টর নিরামিষাশী বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একটি ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বলতেই বোরোলির কথা মনে পড়ে। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বোরোলির বড় ভক্ত ছিলেন। প্রণববাবুকে এই মাছ রান্না করে খাইয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের পাচক।
কট্টর নিরামিষাশী বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একটি ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বলতেই বোরোলির কথা মনে পড়ে। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বোরোলির বড় ভক্ত ছিলেন। প্রণববাবুকে এই মাছ রান্না করে খাইয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের পাচক।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ফি-বছর ছুটি কাটাতে ডুয়ার্সে গেলেই তাঁর পাতে কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বোরোলির পাতলা ঝোল দিতেই হত। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বোরোলি পছন্দ করেন বলে শোনা যায়।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ফি-বছর ছুটি কাটাতে ডুয়ার্সে গেলেই তাঁর পাতে কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বোরোলির পাতলা ঝোল দিতেই হত। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বোরোলি পছন্দ করেন বলে শোনা যায়।
উত্তরের অভয়ারণ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তার সঙ্গেই একযোগে যে নাম উচ্চারণ হয়,তা উত্তরবঙ্গের নদীর রুপোলি শস্য-বোরোলি। ভালবেসে কেউ কেউ তার নাম রেখেছে ‘তিস্তার ইলিশ’। খুব বড় হলে সাড়ে তিন-চার ইঞ্চি। তাতেই তার স্বাদে মাত আম বাঙালি। সর্ষে দিয়ে বোরোলির পাতুরি কিংবা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সবজে রঙের ঝোল জিভে জল আনে।
উত্তরের অভয়ারণ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তার সঙ্গেই একযোগে যে নাম উচ্চারণ হয়,তা উত্তরবঙ্গের নদীর রুপোলি শস্য-বোরোলি। ভালবেসে কেউ কেউ তার নাম রেখেছে ‘তিস্তার ইলিশ’। খুব বড় হলে সাড়ে তিন-চার ইঞ্চি। তাতেই তার স্বাদে মাত আম বাঙালি। সর্ষে দিয়ে বোরোলির পাতুরি কিংবা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সবজে রঙের ঝোল জিভে জল আনে।
তিস্তায় বেশি হলেও বোরোলি অবশ্য কেবল তিস্তা নয়- তোর্সা, করলা, রায়ডাক, বালাসন, কালজানিতেও মেলে। তিস্তার বোরোলি সবচেয়ে সেরা। এমনটাই মনে করেন ভোজনরসিকরা। তোর্ষার বোরোলিও স্বাদে-গন্ধে দুর্দান্ত।

তিস্তায় বেশি হলেও বোরোলি অবশ্য কেবল তিস্তা নয়- তোর্সা, করলা, রায়ডাক, বালাসন, কালজানিতেও মেলে। তিস্তার বোরোলি সবচেয়ে সেরা। এমনটাই মনে করেন ভোজনরসিকরা। তোর্ষার বোরোলিও স্বাদে-গন্ধে দুর্দান্ত।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি নদীর অববাহিকার বাসিন্দারাই আগে এই মাছ খেতেন। এখন বোরোলির চাহিদা এত বেড়ে গিয়েছে যে, জোগানে কুলোচ্ছে না। কিন্তু মৎস্যজীবীদের বক্তব্য দূষণের চোটেই বোরোলি কমছে।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি নদীর অববাহিকার বাসিন্দারাই আগে এই মাছ খেতেন। এখন বোরোলির চাহিদা এত বেড়ে গিয়েছে যে, জোগানে কুলোচ্ছে না। কিন্তু মৎস্যজীবীদের বক্তব্য দূষণের চোটেই বোরোলি কমছে।
নদীর টলটলে পরিষ্কার প্রবহমান জল ছাড়া বোরোলি বাঁচে না। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার বেড়েছে। তা মিশছে নদীর জলে। তাই নদীর দূষণও বাড়ছে। তিস্তা পাড়ের মৎস্যজীবীদের মতে, বোরোলি খুব সুখী মাছ। জল একটু নোংরা হল তো আর দেখা পাওয়া যাবে না।
নদীর টলটলে পরিষ্কার প্রবহমান জল ছাড়া বোরোলি বাঁচে না। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার বেড়েছে। তা মিশছে নদীর জলে। তাই নদীর দূষণও বাড়ছে। তিস্তা পাড়ের মৎস্যজীবীদের মতে, বোরোলি খুব সুখী মাছ। জল একটু নোংরা হল তো আর দেখা পাওয়া যাবে না।
কিন্তু স্বাদের স্মৃতিটুকুই কেবল আছে। বোরোলি পাওয়া আজকাল দুষ্কর। এমনিতে বোরোলি মেলার কথা বর্ষার ঠিক আগে এপ্রিল-মে নাগাদ অথবা বর্ষার পরে অক্টোবর-নভেম্বরে। যখন নদীর জল কমে আসে। দশ বছর আগেও এই দুই সময়ে মোটামুটি ভাবে বাজারে বোরোলি ভালই উঠত। কিন্তু এখন বোরোলির পরিমাণ তার চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু স্বাদের স্মৃতিটুকুই কেবল আছে। বোরোলি পাওয়া আজকাল দুষ্কর। এমনিতে বোরোলি মেলার কথা বর্ষার ঠিক আগে এপ্রিল-মে নাগাদ অথবা বর্ষার পরে অক্টোবর-নভেম্বরে। যখন নদীর জল কমে আসে। দশ বছর আগেও এই দুই সময়ে মোটামুটি ভাবে বাজারে বোরোলি ভালই উঠত। কিন্তু এখন বোরোলির পরিমাণ তার চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
বোরোলির অক্সিজেন বেশি লাগে। পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর জলে সেই অক্সিজেন পায় ওরা। তাই কেবল ওই ধরনের নদীতেই বোরোলি মেলে। তাঁর বক্তব্য, তিস্তায় ব্যারাজ হওয়ার ফলে স্রোত কমেছে। বোরোলিও কমেছে। কিন্তু তোর্ষায় কোনও ব্যারাজ নেই, তাই এখন তুলনামূলকভাবে বোরোলি সেখানেই বেশি পাওয়া যায়।
বোরোলির অক্সিজেন বেশি লাগে। পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর জলে সেই অক্সিজেন পায় ওরা। তাই কেবল ওই ধরনের নদীতেই বোরোলি মেলে। তাঁর বক্তব্য, তিস্তায় ব্যারাজ হওয়ার ফলে স্রোত কমেছে। বোরোলিও কমেছে। কিন্তু তোর্ষায় কোনও ব্যারাজ নেই, তাই এখন তুলনামূলকভাবে বোরোলি সেখানেই বেশি পাওয়া যায়।
সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ইলিশের মতোই বোরোলিরও স্বভাব হল ঝাঁক বেঁধে স্রোতের বিরুদ্ধে গা ভাসিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া। তা ব্যাহত হলেও বোরোলি মুখ ফিরিয়ে নেয়।
সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ইলিশের মতোই বোরোলিরও স্বভাব হল ঝাঁক বেঁধে স্রোতের বিরুদ্ধে গা ভাসিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া। তা ব্যাহত হলেও বোরোলি মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইতিমধ্যেই বোরোলি ফেরাতে নানা বিকল্প চাষের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে বোরোলিপ্রেমীরা খেয়ে বলেছেন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো ব্যাপার। কোনও বিকল্পই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না স্বাদের নিরিখে। বড়োজোর ওই সব মাছকে বোরোলির আত্মীয় বলা যেতে পারে। তবে আসল বোরোলির স্বাদই আলাদা। আর সে স্বাদের কোনও ভাগ হবে না।
ইতিমধ্যেই বোরোলি ফেরাতে নানা বিকল্প চাষের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে বোরোলিপ্রেমীরা খেয়ে বলেছেন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো ব্যাপার। কোনও বিকল্পই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না স্বাদের নিরিখে। বড়োজোর ওই সব মাছকে বোরোলির আত্মীয় বলা যেতে পারে। তবে আসল বোরোলির স্বাদই আলাদা। আর সে স্বাদের কোনও ভাগ হবে না।

Hilsa Dosa Bhetki Dosa: ইলিশ ধোসা-ভেটকি ধোসা! মুখে স্বাদ লেগে থাকবে একবার খেলে, কোথায় মিলছে জানেন?

মুর্শিদাবাদ: ধোসা মূলত নিরামিষ খাবার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এখন মিলছে আমিষ ধোসাও। ভাবছেন এও আবার হয় নাকি?  বর্তমানে ইলিশ ও ভেটকি ধোসা বানিয়ে চমকে দিয়েছেন কান্দির ব্যবসায়ী। কান্দির নাচ পুকুর ধারে একটি ছোট্ট দোকানে মিলছে এই ধোসা। যা খেতে সন্ধ্যা হলেই ভিড় করছেন ক্রেতারা।

বর্ষার মরসুম মানেই ইলিশ। আর ইলিশ ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। ইলিশের নাম শুনলেই প্রথমেই মনে হয় সর্ষে বাটা ইলিশ কিংবা ভাপা ইলিশের কথা। সে সব তো আছেই। তবে জানেন কি এখন ইলিশ ধোসাও তৈরি হচ্ছে? বর্তমানে ভারতীয় খাবার ধোসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গে।

আরও পড়ুন: NIRF র‍্যাঙ্কিং ২০২৪, দেশের সেরা ১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নাম প্রকাশিত, বাংলার কোন কলেজ তালিকায়?

নিরামিষ কিংবা ছোলার সঙ্গেও খেতে বেশ জনপ্রিয় এই ধোসা। বাইরে গিয়ে তো অহরহ খাওয়া হয়ই, চাইলে তৈরি করতে পারেন ঘরে বসেই। তবে এবার আমিষ ধোসা মিলছে সহজেই। ইলিশ ধোসা বা ভেটকি মাছের ধোসা তৈরি করে হাতে নাতে পাচ্ছেন ক্রেতারা। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের অত্যন্ত ফাষ্ট ফুড দোকান জনপ্রিয়। কান্দি শহরের নাচ পুকুর ধারে বিক্রি করা হচ্ছে এই ধোসা।

আরও পড়ুন: আকাশের মুখ ভার, ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! উত্তরে ভারী বর্ষণ-দক্ষিণে প্রাক-বর্ষার পূর্বাভাস 

বাঙালির প্রিয় মাছ হল ইলিশ। আর সেই ইলিশ মাছ ও ভেটকি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ধোসা। ধোসার সঙ্গে নারকেলের চাটনি অনবদ্য লাগে। ইডলি দিয়েও জমে। চাইলে পরোটা দিয়েও এটি খেতে পারেন। দক্ষিণ ভারতীয় রান্নার সঙ্গে এই সাদা চাটনি বেশ কমন একটি ব্যাপার। দোকান, রেস্তরাঁয় ধোসা, ইডলি খেলে সঙ্গে সাম্বার দেয়। তার সঙ্গে এই নারকেলের চাটনি থাকবেই। তাই এই ইলিশ বা ভেটকি ধোসাতে মিলছে এই অনবদ্য চাটনি।

কান্দি শহর নিবাসী জয়দ্রুত বাজপেয়ী ও তাঁর স্ত্রী সংঘমিত্রা বাজপেয়ী এই ইলিশ ও ভেটকি ধোসা তৈরি করে বিক্রি করেন। শুধু তাই নয়, এছাড়াও মিলছে মশলা ধোসা। ইলিশ ও ভেটকি ধোসা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকায়। এবং সেই ধোসা খেতে সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমছে এই দোকানে।

কৌশিক অধিকারী

Ilish: সমুদ্র থেকে ফিরল সারি সারি ট্রলার! বাজারে এল মরশুমের প্রথম ইলিশ? মৎসজীবীরা কী জানালেন?

ফ্রেজারগঞ্জ: শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মরশুম। কিন্তু মরশুমের প্রথমেই মৎস্যজীবীদের জালে এল না ইলিশ। তার বদলে অন্য মাছ নিয়ে ফিরল মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টি নেই, তার উপর রয়েছে উত্তাল সমুদ্র। পূবালি হাওয়াও নেই, ফলে মৎস্যজীবীদের জালে আসেনি ইলিশ।

তবে ইলিশ না পেলেও একেবারে খালি হাতে ফেরেনি মৎস্যজীবীরা। ইলিশ ছাড়া কাঁটা মাছ, লটে, সামুদ্রিক কাঁকড়া-সহ আরও অন্যান্য মাছ নিয়ে ফিরেছে তারা। তবে ইলিশ পড়লে ব্যবসায়ে লাভ হত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ ৯৬ ঘণ্টা টানা ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলবে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর, উত্তরের কোন জেলার কী অবস্থা?

ব‍্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর গত ১৫ জুন গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেয় মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা-সহ একাধিক মৎস্যবন্দরে মৎস্যজীবীরা ফিরতে শুরু করেছে। গত ৩ বছর ধরে মাছ কম পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে।

এ বছর মরশুমের শুরুতেই এভাবে খালি হাতে ফিরে আসায় মৎস্যজীবীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তবে মনে করা হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি শুরু হলেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা। এখন দেখার মরশুমের বাকি দিনগুলিতে কী হয়!

নবাব মল্লিক