Tag Archives: Hilsa
Ilish Mach-Hilsa Fish: টাটকা তাজা ইলিশের বদলে রোজ কী আসছে বাজারে? নজরদারির পরেও অবাক কাণ্ড! কী করে সম্ভব?
Ilish: চওড়া পেটি, ঝলমলে রুপোলি রং! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢুকবে শহরের বাজারে, এক-দেড় কেজির দাম কত?
Ilish: অবশেষে সুখবর! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে জালে! শহরের বাজারে ইলিশের বন্যা? কমবে দাম?
Digha Hilsa Fish: দিঘায় বিরাট হাহাকার! দেখা নেই ইলিশের, জেলেদের ঝুলি ভরছে কীসে? বাঙালির পাত কি তবে ফাঁকা
দিঘা: খাতা-কলমে বর্ষাকাল হলেও রোদ, প্রখর গরম, দাবদাহ। বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে ইলিশের উপযুক্ত অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়নি। মাছ শিকার করতে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ফিরে এসেছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তাতে ইলিশের দেখা না মিললেও প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠে এসেছে। ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড শেষে সমুদ্রে মৎস্য শিকারে বেরিয়েছে প্রায় ৩ হাজার লঞ্চ-ট্রলার। গভীর সমুদ্র থেকে সেগুলি ফিরেছে তাদের জালে ইলিশ ওঠেনি বললেই চলে। তবে জলের রুপালি শস্য ইলিশ উঠে না এলেও প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠেছে। আর তাতেই ইলিশের দুঃখ ভুলেছে মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবছর মাছ ধরার মরশুম শুরু হলে ইলিশের আশায় বুক বাঁধে মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ী-সহ ট্রলার লঞ্চ মালিকেরা। কিন্তু পরপর কয়েক বছর দিঘায় ইলিশের খরা। তবে এই মরশুমে ইলিশের খরা কাটবে, আশাবাদী মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকগণ। এবার দিঘায় ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে প্রথম দিনে ইলিশ উঠে আসার পূর্বাভাস আগেই দেখা দিয়েছে। কিন্তু দিঘায় বৃষ্টি নেই ফলে ইলিশের প্রতিকূল পরিবেশ। সমুদ্রে মাছ শিকারে থাকা মৎস্যজীবীদের জালে জড়িয়েছিল সীমিত সংখ্যক ইলিশ, তবে প্রচুর পরিমাণে পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলা ইত্যাদি। যা এদিন নিয়ে আসা হয় দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। ইলিশ ছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের নিলামে সরগরম হয় মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।
দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে সামান্য পরিমাণ ইলিশ -সহ প্রচুর পরিমাণ চিংড়ি, ভোলা, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছে ভরে ওঠে। মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে পমফ্রেট মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ভোলা মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে সামান্য পরিমাণ ইলিশ হলেও তাদের দাম অত্যন্ত চড়া। তাই ইলিশের নাগাল পেতে কিছুদিনের অপেক্ষা। ইলিশের ঝাঁক জালে ওঠে বৃষ্টি আর পুবালি হাওয়ার যুগলবন্দিতে। সেই আবহাওয়া এখনও তৈরি হয়নি দিঘায়। তবে দিঘার মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দিঘায় চলতি বছর ভাল পরিমাণ ইলিশ উঠে আসবে। মরশুমের শুরুতেই ইলিশের দেখা না মিললেও আগামী দিনে ইলিশের হাঁক ডাকে জমে উঠবে মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্র এমনটাই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
বিগত কয়েক বছর দিঘায় মৎস্যজীবীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ ইলিশ-সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাঝে ভাটা পড়েছিল। তবে এই চলতি মরশুমে শুরুর দিকে সামান্য পরিমাণ হলেও ইলিশের দেখা মিলেছে এবং প্রচুর পরিমাণ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দ্রুত আবহাওয়া অনুকূল হলেই ইলিশ উঠবে জালে।
সৈকত শী
Hilsa price: মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে ইলিশ, নাগালে আসবে দাম? ভাল খবর এল ডায়মন্ড হারবার থেকে
South 24 Parganas News: উত্তাল সমুদ্র! ইলিশ ধরতে গিয়ে যাচ্ছিল প্রাণ, কোনক্রমে উদ্ধার ১৮ মৎস্যজীবী
কাকদ্বীপ: ইলিশ ধরতে গিয়ে প্রাণটাই যেতে বসেছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের। কিন্তু কপালজোরে এযাত্রায় প্রাণে বাঁচলেন তাঁরা। ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ জন মৎস্যজীবীকে। ঠিক কি হয়েছিল মাঝসমুদ্রে, তা জানতে মৎস্যজীবীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সমুদ্রে রোলিং বেড়েছে। ফলে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র।
এরমধ্যে এফ বি রাজনারায়ন নামের ট্রলারটি কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেয়। ফেরার পথে সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে ট্রলারের পাইপ ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে। তখন ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে কিছুটা দূরে থাকা এফ বি সপ্তর্ষি নামের একটি ট্রলার ওই ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপের কাছাকাছি ডুবে যায়।
আরও পড়ুনঃ East Bardhaman News: শোলা শিল্পই জীবন-জীবিকার শেষ সম্বল! এই গ্রাম টিকিয়ে রেখেছে হারাতে বসা শিল্পকে
ট্রলারটিকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও ট্রলারটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা। তবে ওই ট্রলারে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা ছিলেন তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন। উপকূলে ফিরে আসার পর তাদের সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরে স্বস্তিতে তারা সকলেই।
Best Food: ইলিশের আর কী স্বাদ! এই মাছ ইলিশকে দশ গোল দেবে স্বাদে! খেয়েছেন? কোথায় পাওয়া যায় জানুন
Hilsa Dosa Bhetki Dosa: ইলিশ ধোসা-ভেটকি ধোসা! মুখে স্বাদ লেগে থাকবে একবার খেলে, কোথায় মিলছে জানেন?
মুর্শিদাবাদ: ধোসা মূলত নিরামিষ খাবার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এখন মিলছে আমিষ ধোসাও। ভাবছেন এও আবার হয় নাকি? বর্তমানে ইলিশ ও ভেটকি ধোসা বানিয়ে চমকে দিয়েছেন কান্দির ব্যবসায়ী। কান্দির নাচ পুকুর ধারে একটি ছোট্ট দোকানে মিলছে এই ধোসা। যা খেতে সন্ধ্যা হলেই ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বর্ষার মরসুম মানেই ইলিশ। আর ইলিশ ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। ইলিশের নাম শুনলেই প্রথমেই মনে হয় সর্ষে বাটা ইলিশ কিংবা ভাপা ইলিশের কথা। সে সব তো আছেই। তবে জানেন কি এখন ইলিশ ধোসাও তৈরি হচ্ছে? বর্তমানে ভারতীয় খাবার ধোসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং ২০২৪, দেশের সেরা ১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নাম প্রকাশিত, বাংলার কোন কলেজ তালিকায়?
নিরামিষ কিংবা ছোলার সঙ্গেও খেতে বেশ জনপ্রিয় এই ধোসা। বাইরে গিয়ে তো অহরহ খাওয়া হয়ই, চাইলে তৈরি করতে পারেন ঘরে বসেই। তবে এবার আমিষ ধোসা মিলছে সহজেই। ইলিশ ধোসা বা ভেটকি মাছের ধোসা তৈরি করে হাতে নাতে পাচ্ছেন ক্রেতারা। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের অত্যন্ত ফাষ্ট ফুড দোকান জনপ্রিয়। কান্দি শহরের নাচ পুকুর ধারে বিক্রি করা হচ্ছে এই ধোসা।
আরও পড়ুন: আকাশের মুখ ভার, ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! উত্তরে ভারী বর্ষণ-দক্ষিণে প্রাক-বর্ষার পূর্বাভাস
বাঙালির প্রিয় মাছ হল ইলিশ। আর সেই ইলিশ মাছ ও ভেটকি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ধোসা। ধোসার সঙ্গে নারকেলের চাটনি অনবদ্য লাগে। ইডলি দিয়েও জমে। চাইলে পরোটা দিয়েও এটি খেতে পারেন। দক্ষিণ ভারতীয় রান্নার সঙ্গে এই সাদা চাটনি বেশ কমন একটি ব্যাপার। দোকান, রেস্তরাঁয় ধোসা, ইডলি খেলে সঙ্গে সাম্বার দেয়। তার সঙ্গে এই নারকেলের চাটনি থাকবেই। তাই এই ইলিশ বা ভেটকি ধোসাতে মিলছে এই অনবদ্য চাটনি।
কান্দি শহর নিবাসী জয়দ্রুত বাজপেয়ী ও তাঁর স্ত্রী সংঘমিত্রা বাজপেয়ী এই ইলিশ ও ভেটকি ধোসা তৈরি করে বিক্রি করেন। শুধু তাই নয়, এছাড়াও মিলছে মশলা ধোসা। ইলিশ ও ভেটকি ধোসা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকায়। এবং সেই ধোসা খেতে সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমছে এই দোকানে।
কৌশিক অধিকারী
Ilish: সমুদ্র থেকে ফিরল সারি সারি ট্রলার! বাজারে এল মরশুমের প্রথম ইলিশ? মৎসজীবীরা কী জানালেন?
ফ্রেজারগঞ্জ: শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মরশুম। কিন্তু মরশুমের প্রথমেই মৎস্যজীবীদের জালে এল না ইলিশ। তার বদলে অন্য মাছ নিয়ে ফিরল মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টি নেই, তার উপর রয়েছে উত্তাল সমুদ্র। পূবালি হাওয়াও নেই, ফলে মৎস্যজীবীদের জালে আসেনি ইলিশ।
তবে ইলিশ না পেলেও একেবারে খালি হাতে ফেরেনি মৎস্যজীবীরা। ইলিশ ছাড়া কাঁটা মাছ, লটে, সামুদ্রিক কাঁকড়া-সহ আরও অন্যান্য মাছ নিয়ে ফিরেছে তারা। তবে ইলিশ পড়লে ব্যবসায়ে লাভ হত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ৯৬ ঘণ্টা টানা ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলবে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর, উত্তরের কোন জেলার কী অবস্থা?
ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর গত ১৫ জুন গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেয় মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা-সহ একাধিক মৎস্যবন্দরে মৎস্যজীবীরা ফিরতে শুরু করেছে। গত ৩ বছর ধরে মাছ কম পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে।
এ বছর মরশুমের শুরুতেই এভাবে খালি হাতে ফিরে আসায় মৎস্যজীবীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তবে মনে করা হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি শুরু হলেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা। এখন দেখার মরশুমের বাকি দিনগুলিতে কী হয়!
নবাব মল্লিক