ইলিশ মাছ জনপ্রিয় তার স্বাদের জন্য। চড়া দামে ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করে না ভোজন রসিক বাঙালি। চলতি বছরে বাজারে ইলিশের দেখা মিলেছে। রূপোলি শস্য উঠে আসায় এখন খুশি বাঙালি খাদ্যরসিকরা। টন টন ইলিশ ধরা পড়ছে দিঘা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মৎস্য আরোহণ কেন্দ্রগুলিতে।
সৈকত শী, তমলুক: ইলিশ মাছ জনপ্রিয় তার স্বাদের জন্য। চড়া দামে ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করে না ভোজনরসিক বাঙালি। চলতি বছরে বর্ষার মরশুমে বাজারে ইলিশের দেখা মিলেছে। রূপোলি শস্য উঠে আসায় এখন খুশি বাঙালি খাদ্যরসিকরা। টন টন ইলিশ ধরা পড়ছে দিঘা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মৎস্য আরোহণ কেন্দ্রগুলিতে। পকেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মিলছে রুপোলি শস্য। রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। তবুও আমজনতার মনে একটা আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে। কারণ ইলিশ মিললেও স্বাদে ফাঁক থেকে যাচ্ছে।
ক্রেতারা অবশ্য বহু ক্ষেত্রেই মনের মতো স্বাদ পাচ্ছেন না। ছোট থেকে বড় সব ইলিশের ক্ষেত্রেই চেনা গন্ধ ‘মিসিং’। বাজারে বড় ইলিশ কিনে দুপুরের সরষে ইলিশ সহযোগী জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়ে মুখ বেজার মৎস্য প্রিয় বাঙালির। কারণ ইলিশের স্বাদ আগের মত আর নেই। এ বিষয়ে ইলিশপ্রেমী বাঙালিরা জানান, আগে পাড়ায় কারও বাড়িতে ইলিশ মাছ রান্না হলে গোটা পাড়া জেনে যেত। ইলিশ ভাজার সময় তার গন্ধ খিদের মাত্রা বাড়িয়ে দিত।
আরও পড়ুন : বর্ষার পাহাড় জঙ্গলের মাঝে মনের মানুষের সঙ্গে নিভৃতে হারিয়ে যেতে চান? চলে আসুন ঘরের কাছেই দুয়ারসিনিতে
কিন্তু চলতি বছর ইলিশের সেই স্বাদগন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার থেকে বড় ইলিশ কিনে এনেও সেই স্বাদ পাচ্ছে না।কিন্তু কেন দিন দিন ইলিশের স্বাদ হারিয়ে যাচ্ছে! তা জানার চেষ্টা করা হলে উঠে এল নানা তথ্য। আসলে, ইলিশের স্বাদ প্রধানত নির্ভর করে মাছটিকে কোথা থেকে ধরা হচ্ছে তার ওপর। প্রজননের জন্য ইলিশ সমুদ্র থেকে মিঠে জলে এলে তখন তার স্বাদ সবথেকে ভাল হয়।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ইলিশ মাছ ধরা হয় নদী ও সমুদ্রের মোহনায় বা অগভীর সমুদ্রে। ফলে প্রজননের জন্য সমুদ্র থেকে নদীতে আসার আগেই ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ। ফলে ইলিশের শরীরে তৈরি হয় না ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও দূষণের প্রভাব পড়েছে। যার ফলে ইলিশ আগের তুলনায় স্বাদ হারাচ্ছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
বাজারে ইলিশ পাওয়া গেলেও উধাও চেনা গন্ধ ও স্বাদ। মুখ ভার ভোজনরসিক বাঙালির। বাঙালি মানেই ইলিশপ্রেমী। ইলিশের স্বাদ নিতে চড়া দাম দিতেও বিন্দুমাত্র ইতস্তত করে না বাঙালি। কিন্তু এ’বছর ইলিশ খেয়ে খুশি নয় বঙ্গবাসী। ইদানীং বাজারে প্রচুর ইলিশ। টনটন ইলিশ ধরা পড়ছে। দাম-ও বাজেটের মধ্যে। কিন্তু ইলিশ খেয়ে মন ভরছে না বাঙালির। স্বাদে নাকি ফাঁকল থেকে যাচ্ছে।
*ভোজন রসিক বাঙালিদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় তার সবচেয়ে প্রিয় মাছ কি? তাহলে উত্তর আসবে ইলিশ! ইলিশ মাছ বাঙালিদের মনে আলাদা নস্টালজিয়া তৈরি করে। বাইরে ঝিরঝিরে বর্ষার বৃষ্টির সঙ্গে ইলিশ মাছের পদ-সহকারে মধ্যাহ্নভোজ রসনা তৃপ্তির আনন্দ চায় না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রতিবেদনঃ সৈকত শী। ফাইল ছবি।
*কিন্তু বর্ষার শুরুতেই বাজারে ইলিশ মাছের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে মাছ-ভাতে সুখে থাকা বাঙালি। অনেক সময় বাজারে ইলিশ না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাজার থেকে। ফাইল ছবি।
*এবার বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে আসার দিন শেষ হল। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ল মৎস্যজীবীদের জালে। দিঘায় একদিনে মৎস্যজীবীদের জাল থেকে বাজারে এল কয়েক টন ইলিশ মাছ। ফাইল ছবি।
*বর্ষাকাল মানেই ইলিশের মরশুম। ভাল ইলিশ মাছের জন্য সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকে মৎস্যজীবীরা, ট্রলার লঞ্চ ভুটভুটির মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ইলিশপ্রেমী বাঙালিরা। ফাইল ছবি।
*দূষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে প্রতি মরশুমে ইলিশের যোগান কমছে। চলতি মরশুমের প্রথম দিক থেকে ইলিশের জোগান একদম ছিল না বললেই চলে। তাই মরশুমের প্রথমে দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে ইলিশ যোগানে ভাটা পড়েছিল। ফাইল ছবি।
*ইলিশের যোগান না থাকায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছিল মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকেরা। তবে মৎস্যজীবীরা আশাবাদী ছিল আবহাওয়া অনুকূল হলেই ইলিশের দেখা মিলবে। শেষ তিন-চারদিন ধরে ইলিশের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় অবশেষে ঝাঁক ঝাঁক ইলিশের দেখা মিলল। ফাইল ছবি।
*দিঘা মোহনা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, ”চলতি মরশুমে এই প্রথম এত ইলিশ এল বাজারে। গভীর সমুদ্র থেকে ফিরেছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। আর তাতেই ইলিশ এসেছে।” ফাইল ছবি।
*চলতি মরশুমে প্রথম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘায় উঠল সমুদ্রের রূপালি ফসল ইলিশ মাছ। তার জেরে খুশির জোয়ার মৎস্যজীবীদের মধ্যে। মৎস্যজীবিদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় কয়েক টনের বেশি ইলিশ উঠেছে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। ফাইল ছবি।
*ইলিশের অনুকূল পরিবেশ অর্থাৎ পূবালী হাওয়ার সঙ্গে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি দুটোই হওয়ার ফলে ইলিশ দেখা মিলল দিঘা মোহনাতে। মৎস্যজীবীরা আশা প্রকাশ করেছেন এরপর ব্যাপকহারে ইলিশ দেখা মিলতে পারে দিঘা মোহনায়। ফাইল ছবি।
*চলতি মরশুমে এই প্রথম এত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় খুশির জোয়ার দিঘার মৎস্যজীবীদের মধ্যে। ৫০০ গ্রাম থেকে প্রায় দেড় কেজি পর্যন্ত ইলিশ উঠেছে। ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা দর ইলিশের। ফাইল ছবি।
*ইলিশ মাছের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়েছে বলে জানান মৎস্যজীবীরা। আগামী দু-তিন দিন আরও ইলিশ উঠবে। ইলিশের বাজার কিছুটা সস্তা হবে। একসঙ্গে এত পরিমাণ ইলিশ মাছ নিলাম কেন্দ্রে আসায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে খুশির হওয়া। ফাইল ছবি।
এ বছর ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হলেও, এখনও তেমন একটা ইলিশের দেখা মেলেনি। আর এর পরেই ভবিষ্যতে ইলিশ মিলবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন খোদ মৎস্যজীবীরাই। বাংলার উপকূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে ইলিশ, এমনটাই মত মৎস্যজীবীদের একাংশের।
বর্ষাকাল। মুষলধারে বৃষ্টির দেখা নেই। ঝিরঝিরে বারিধারায় ভাসছে চরাচর। এটাই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন নদীতে ঘাই মারে ইলিশ। আর ঢেউ ওঠে বাঙালির মনে। শিরশির করে জিভ আর পেট। ভোজনরসিক বাঙালির জন্য তাই কলকাতার ICHL-এর হোটেলগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে ইলিশ উৎসবের। কোন হোটেলে কী মেনু, কোন সময়ে পাত পড়বে, দেখে নেওয়া যাক বিশদে।
তাজ বেঙ্গল, কলকাতা: সোনারগাঁও, ইলিশ উৎসব। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সময়: মধ্যাহ্নভোজ – দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে এবং সান্ধ্যভোজ – সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মেনু: নামী শেফরা রাঁধছেন ইলিশের বিভিন্ন পদ। পাতে থাকছে ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা, ইলিশ পোলাও সহ সুস্বাদু ইলিশের রকমারি পদ। দাম: দু’জনের খাওয়া খরচ ৫ হাজার টাকা (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সঙ্গে ট্যাক্স। রিজার্ভেশনের জন্য +৯১ ৩৩ ৬৬১২৩৩১০ নম্বরে ফোন করতে হবে।
নিউটাউনের তাজ সিটি সেন্টার, কলকাতা: শামিয়ানা, ইলিশ উৎসব। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সময়: মধ্যাহ্নভোজ – দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। সান্ধ্যভোজ – সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মেনু: ইলিশ জিভে পড়লেই স্বাদের স্বর্গে পৌঁছে যায় বাঙালি। মেনুতে থাকছে ইলিশ মাছ ভাজা, খিচুড়ি, কাঁচা লঙ্কা কালো জিরে দিয়ে আলু বড়ি ইলিশ, সরষে বাটা দিয়ে লাউ পাতা ভাপা ইলিশ, ইলিশ মাছের তেল দিয়ে বেগুন কুমড়োর ঝোল এবং ভাপা ইলিশ। দাম: দু’জনের খাওয়া খরচ ৩ হাজার টাকা (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সঙ্গে ট্যাক্স৷ রিজার্ভেশনের জন্য +৯১ ৬২৯২২৮৮৫৬৩ নম্বরে ফোন করতে হবে।
তাজ তাল কুটির, কলকাতা: ‘দ্য বারান্দা’, ইলিশ উৎসব। শুরু ১৯ জুলাই থেকে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সময়: মধ্যাহ্নভোজ – দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে এবং সান্ধ্যভোজ – সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মেনু: দ্য বারান্দার জনপ্রিয় শেফরা মেনুতে রাখছেন স্মোকড ইলিশ, ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ ভাজা এবং ইলিশ পোলাও। বর্ষা উপভোগ করতে করতে ইলিশে কামড়, এর থেকে রাজকীয় আর কিছু হয় না কি! দাম: দু’জনের খাওয়া খরচ ৪ হাজার টাকা (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সঙ্গে ট্যাক্স। রিজার্ভেশনের জন্য +৯১ ৯১৪৭৩৮৩২৪২ নম্বরে ফোন করতে হবে।
ভিভান্তা, কলকাতা ইএম বাইপাস: ‘মিন্ট’, ইলিশ উৎসব। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সময়: মধ্যাহ্নভোজ – দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। সান্ধ্যভোজ – সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মেনু: ইএম বাইপাসের বিশেষজ্ঞ শেফরা মেনুতে রেখেছেন পাতা পোড়া ইলিশ, আম সরষে ইলিশ, বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছের তেল ঝাল এবং আরও অনেক কিছু। দাম: দু’জনের খাওয়া খরচ ৩ হাজার টাকা (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সঙ্গে ট্যাক্স। রিজার্ভেশনের জন্য +৯১ ৩৩ ৬২৯২২৭৪০০৩ নম্বরে ফোন করতে হবে।
রাজকুটির, কলকাতা – IHCL SELEQTIONS: ইস্ট ইন্ডিয়া রুম, ইলিশ উৎসব। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সময়: মধ্যাহ্নভোজ – দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। সান্ধ্যভোজ – সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।মেনু: ইলিশের বিভিন্ন পদ দিয়ে ভোজনরসিক বাঙালির জন্য তৈরি হয়েছে রাজবাড়ি থালি। থাকছে ভাত, ছোলার ডাল, আলুর দম, ইলিশ লাজ ভর্তা, লুচি, মিষ্টি, দই এবং রসগোল্লা। এর সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, বেগুন ইলিশ ঝোল, ইলিশের ঝালের মতো নানা পদ তো থাকছেই। দাম: দু’জনের খাওয়া খরচ ৩ হাজার টাকা (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সঙ্গে ট্যাক্স।রিজার্ভেশনের জন্য +৯১ ৬২৮৯৪৬১৯৭২ নম্বরে ফোন করতে হবে।
*মরশুমের শুরু অথচ সেভাবে বাজারে দেখা নেই ইলিশের! ইলিশের অপেক্ষার দিন গুনছে বাঙালি, তবে এর মধ্যেই মাঝির জালে তাক লাগানো ইলিশ।
*হাওড়ায় দামোদর নদীতে এক মাঝির জালে উঠেছে আজ বিশাল আকারের একটি ইলিশ! তাতেই বাজার জুড়ে পড়েছে শোরগোল।
*এবার জেলার বাজারগুলিতে সেভাবে দেখা নেই ইলিশের। চাহিদার তুলনায় যোগান কম। তবে দামে চড়া হলেও ইলিশ কিনতে মানুষ বেশ আগ্রহী।
*৬০০-১২০০ টাকার মধ্যে নানা সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ২ কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের বিশাল ইলিশ সারা ফেলেছে জেলা জুড়ে।
*দামোদর নদী থেকে ধরে শ্যামপুর সন্ধ্যাময়ী মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন জেলে। বিক্রি হয় প্রায় ৪০০০ টাকায়।
বর্তমানে বর্ষার মরশুম চললেও দক্ষিণবঙ্গে সেই ভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টি না থাকার কারণে বর্ষার ঘাটতি আছে মোটের উপর। আর সেই কারণেই বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ইলিশ মাছের।
কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তবে পাতে যদি ইলিশ হয় তাহলে তো আর কোনও কথায় নেই। যদিও জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এই মরশুমে কিন্তু এখনও বাজারে যোগান বেশ কম ইলিশ মাছের।
যদিও দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন বাজারে মিলছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ। তাই ঘাটতি থাকলেও ইলিশের গন্ধে বাজারে সকাল বিকেল ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
ইলিশেগুঁড়ি আর পুবালি হাওয়ার দোসরে ইলিশের জোয়ার আসার কথা এই সময়। কিন্তু মৎস্যজীবিদের একাংশের দাবি, এই বছর আগের বারের তুলনায় ইলিশের জোগান কমেছে। সুন্দরবন এমনকী পদ্মার ইলিশের জোগান কম একমাত্র বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই।
মৎস্যজীবীদের আশা, বর্ষা এলেই বাজারে আরও সস্তা হবে ইলিশ মাছ। বাজারে এক কিলো থেকে দেড় কিলো পর্যন্ত ইলিশ মাছ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশের ইলিশ না আসায় কিছুটা বাজার মন্দা হলেও বাংলাদেশী রূপালী শস্য বাজারে ঢুকে পড়লে আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ বিক্রি হবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। কৌশিক অধিকারী
*মরশুমের প্রথম থেকে মৎস্যজীবীদের জালে আসছিল না ইলিশ। তবে রথযাত্রার সময় যে সমস্ত ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল তাদের জালে ইলিশ পড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই খুশির জোয়ার বইছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। প্রতিবেদনঃ নবাব মল্লিক। সংগৃহীত ছবি।
*প্রতি ট্রলার পিছু ৩-৪ ক্রেট পরিমাণ ইলিশ আসছে। সেই ইলিশ সোজা চলে যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে। সেখান থেকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে ইলিশ। সংগৃহীত ছবি।
*মাছ জালে আসতে শুরু করায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। তবে আড়তদারদের বক্তব্য তারা মাছের ভাল দাম পাচ্ছেন না। এ নিয়ে আহাদ গাজি নামের এক আড়তদার জানিয়েছেন, ইলিশ আসলেও তা ডায়মন্ড হারবারে চলে যাচ্ছে। সংগৃহীত ছবি।
*মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক অলোক হালদার জানিয়েছেন, রথযাত্রার সময় যারা মাছ ধরতে গিয়েছিল তারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। জালে মাছ পড়তে শুরু করেছে। আশা করা যায় আরও মাছ পড়বে। সংগৃহীত ছবি।
*বর্তমানে ইলিশের দাম ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে। বড় মাছের দাম থাকছে ১০০০ টাকা। ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে ইলিশ ভরে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সংগৃহীত ছবি।
*ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে ইলিশ ভরে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই ছোট বাজারগুলিতেও মিলবে ইলিশ। ফলে মিটবে ইলিশের ঘাটতি। সংগৃহীত ছবি।
*মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন বাজারে মিলছে ইলিশ। ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ঘাটতি থাকলেও ইলিশ কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
*মৎস্যজীবিদের একাংশের দাবি, এই বছর আগের বারের তুলনায় ইলিশের জোগান কমেছে। সুন্দরবন এমনকী পদ্মার ইলিশের জোগান কম একমাত্র বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই। বর্ষা এলেই বাজারে আরও সস্তা হবে ইলিশ মাছ।
*বাজারে এক কিলো থেকে দেড় কিলো পর্যন্ত ইলিশ মাছ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
Posts navigation
Just another WordPress site