Tag Archives: North 24 Parganas

Smart Chawala: এক কাপ ১০ হাজার! সত্যি নাকি? স্থায়ী ঠিকানা পেলেন স্মার্ট চা-ওয়ালা, উপচে পড়া ভিড়

উত্তর ২৪ পরগনা: এতদিন রাস্তায় ঘুরে চা বিক্রি করে ভাইরাল হয়েছিলেন কাঁচরাপাড়ার ‘স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষিত চা ওয়ালা’। এবার নির্দিষ্ট ঠিকানা মিলল তাঁর। কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান কমল অধিকারীর সহযোগিতায় কাঁচরাপাড়া ১ নম্বর প্লাটফর্মে দোকান চালু করল স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট চা ওয়ালা দেবাশীষ মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ইতিমধ্যেই নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই শিক্ষিত চা-ওয়ালার কথা। যে চা-ওয়ালা কখনও আসছেন চারচাকা গাড়িতে, আবার কখনও বুলেট বাইকে। হাতের দামি আইফোন থেকে শুরু করে গলায় সোনার চেন। সাজ পোশাকেও আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সামনে চা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছিল দেবাশীষকে।

এক হাতে চায়ের কেটলি, অন্য হাতে বিস্কুট এবং জলের বোতল নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন বসে থাকা অভিভাবকদের চা পান করিয়ে বছর ৩৩-এর দেবাশীষ মজুমদার ভাইরাল হন। সেই সময়ে রোজগার ভাল হলেও, ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় চিন্তা। স্থানীয় বিধায়ক এবং পৌর প্রধানের কাছে কাঁচরাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন কোন একটি জায়গা তাঁকে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষিত চা-ওয়ালা। যুবকের এমন প্রচেষ্টা দেখে অবশেষে পৌরপ্রধান কমল অধিকারীর সহযোগিতায় কাঁচরাপাড়া স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে দোকান খুললেন স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষিত চা-ওয়ালা। এখন অনেকেই ট্রেন যাত্রার পথে কাচরাপাড়া স্টেশনে নেমে খাচ্ছেন এই ভাইরাল চা।

আরও পড়ুন: ১৯-এর বদলা হবে ১৯-শে এপ্রিল, উত্তরবঙ্গে সভা থেকে ফল বদলের ডাক অভিষেকের

আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করল বিজেপি? নাম ঘোষণা হতেই তোলপাড়

দোকান উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় জমছে চা প্রেমীদের। অভিনবত্ব তুলে ধরতে, নামী  ব্র্যান্ডের কাপ সেটে চা পরিবেশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে সুগার কিউবও। তবে এই কাপে চা খেতে গেলে রাখতে হবে রীতিমতো সিকিউরিটি মানি! হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এমন নানা অভিনবত্ব তুলে ধরেই নিজের ইউএসপি বানাচ্ছেন স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষিত চা-ওয়ালা দেবাশীষ মজুমদার। তাই এই চায়ে চুমুক দিতে চাইলে এখন পৌঁছে যেতে হবে কাঁচরাপাড়া স্টেশনে। তবে চায়ের দাম কিন্তু ক্রেতাদের সঙ্গে মশকরা করেই হাঁকাচ্ছেন সেই পুরনো স্টাইলে। রসিকতা করেই বলছেন, চায়ের দাম ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে!

রুদ্র নারায়ণ রায়

North 24 Parganas News: পরাধীন ভারতের ইতিহাস বুকে নিয়ে স্বাধীন ভারতে শতবর্ষ পার সোদপুর ক্লাবের

উত্তর ২৪ পরগনা:  ব্রিটিশ শাসনকালে পরাধীন ভারত থেকে শুরু এই ক্লাবের পথ চলা। স্বাধীনতার ইতিহাস বহন করে এগিয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী সোদপুর ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন ঘিরে তাই ক্লাব সদস্য থেকে এলাকাবাসীদের বাড়তি উন্মাদনা ছিল প্রথম থেকেই। এদিন সোদপুরের রাজপথ দেখলো সেই উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ। ‘

পায়ে পা মেলালেন প্রবীণ থেকে নবীনেরা সকলেই। ক্লাবকে ঘিরে মানুষের এমন আবেগ, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা প্রায় অসম্ভব। দুর্গা পুজো থেকে সমাজসেবা, বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেও দেখা যায় সোদপুরের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবকে। ১৯২৫ সালে অল্প কয়েকজন সদস্য নিয়েই গড়ে উঠেছিল পরাধীন ভারতের জেলার এই অন্যতম ক্লাব সংগঠন। স্বাধীনতার ইতিহাস গায়ে মেখে পরবর্তীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই ক্লাবের ব্যাপ্তি।

আরও পড়ুন: মেজাজ হারিয়ে যুবককে ধাক্কা, বহরমপুরেই বেকায়দায় অধীর! মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের

আজ সব মিলিয়ে সোদপুর ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার পরিবার। শতবর্ষ উদযাপনে, ক্লাবের পূর্বসূরীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাই তাঁদের পরিবারের হাতে “মরণোত্তর সম্মান স্মারক” তুলে দেওয়া হয় শতবর্ষে ক্লাবের পক্ষ থেকে। বিকেলে ক্লাবের সামনে থেকে একটি সুসজ্জিত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশ নিয়েছিল ক্লাবের সব কটি বিভাগ যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারাটে, যোগাসন, টেবিল টেনিস, দাবা। সঙ্গে ছিল রোলার স্কেটার ও অ্যাথলেটরাও। ছিল বিদ্যালয়, অঙ্কন, আবৃত্তি, গ্রন্থাগার বিভাগের সকলেও। শোভাযাত্রার বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে ছিল সুদূর পুরুলিয়া থেকে আসা ছৌ নাচ, পানশিলা থেকে আদিবাসী, ডান্ডিয়া নৃত্য সঙ্গে পুরুষ ও মহিলা ঢাকির দল।

ব্যাগপাইপার-সহ সোদপুর ক্লাবের নিজস্ব দুটি ব্যান্ডও এদিন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সবমিলিয়ে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এলাকার রাজপথ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে হয় এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পদযাত্রায় না থাকতে পারলেও, পার্শ্ববর্তী উঁচু বিল্ডিং গুলি থেকেও মানুষজন দেখলেন উকি মেরে। পার্শ্ববর্তী ক্লাব গ্রাউন্ড এর ময়দানে শেষ হয় শোভাযাত্রা। সেখানেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্যায়ের শতবর্ষ উদযাপনের শুভারম্ভ হয়।

Rudra Narayan Roy

Bizarre News: জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই বিছানায় এমন কান্ড! হতবাক প্রতিবেশীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনই বরাহনগরে এ কী ঘটল! বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হল তিনজনের দেহ! জানা গিয়েছে বরাহনগর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন সেন নগরে বাসিন্দা শঙ্কর হালদারের বাড়ির সামনে থেকে এদিন দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। এরপরই বিষয়টি স্থানীয় এলাকার মানুষদের মাধ্যমে খবর পান কাউন্সিলার ঊষা বেরা। এরপর ঘটনাস্থলে এসে তিনি অন্যান্য প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি দিতেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে একটি দেহপাশে মাটিতেও একটি দেহ পড়ে থাকা দেখতে পান জনপ্রতিনিধি।

এরপরই খবর দেওয়া হয় বরাহনগর থানায়। পুলিশ এসে অবশেষে তালা ভেঙে বাড়ির ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৭০ বছর বয়সের বাবা শঙ্কর হালদারের মাথায় ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করে প্রথমে খুন করে ছেলে বাপ্পা হালদার।

আরও পড়ুন – KKR Team News: পয়লা বৈশাখে ইডেন হল পয়া, কেকেআর জার্সিতে সেরা বোলিং করে মন জিতলেন স্টার্ক

তারপর, বাপ্পা-ই ১৬ বছরের ছেলে বর্ণ হালদারকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরাহনগর এলাকায়।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটাল! গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বরানগর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আশপাশের প্রতিবেশীদেরও।

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: নববর্ষের দিনেই বড় দুর্ঘটনা! সন্দেশখালিতে আগুনে পুড়ল চার-চারটি দোকান

বসিরহাট: বছরের প্রথম দিনেই সন্দেশখালিতে আগুনে পুড়ল চারটি দোকান। পুরনো বছর পেরিয়ে নতুন বছর গড়ালেও খবরের শিরোনাম সেই সন্দেশখালি। নতুন বছরের প্রথম দিনেই সাতসকালে পরপর চার-চারটি দোকান পুড়ে ভস্মিভূত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌমাথাতে সাত সকালে পরপর চারটি আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকানের একাধিক মালপত্র। পুড়ে যায় গ্যাস সিলিন্ডার-সহ দোকানের আসবাবপত্র।

আরও পড়ুন: একই পরিবারের ৩ জনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার! বরানগরে শিউরে ওঠা ঘটনা

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর দুই বাংলাকে মিলিয়ে দিল নৌকা বাইচ, পুরোটা জানুন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে দোকানে আগুন লাগলে পরপর চারটি দোকানের ভিতর থেকে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকাবাসীর নজরে আসতেই গ্রামের মানুষ আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। কিন্তু ততক্ষণে সিংহভাগই আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই। তবে এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল, যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের দিকে এই ঘটনাকে দায়ী করছে। বছরের শুরুতে সাতসকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জুলফিকার মোল্যা

Viral Video: ‘কামনা সাগরে’ ডুব দিলেই মিলছে টাকা-সোনা! জেনে নিন কোথায়

উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ‘কামনা সাগর’। স্থানীয় এই পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে টাকা। ভাগ্য ভাল থাকলে মিলছে সোনাও। দিন কেউ ৫০০ বা কেউ হাজার টাকাও পাচ্ছে ‘কামনা সাগর’ থেকে। বর্তমানে টাকার আশায় দিনভর এই পুকুরে ঝাপাচ্ছেন যুবকেরা।

Travel Destination: কলকাতার কাছেই এক টুকরো ইউরোপ! অল্প খরচে ঘুরে আসুন এই গ্রাম থেকে

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যের এক নিদর্শন ধান্যকুড়িয়া গায়েন গার্ডেন। ধান্যকুড়িয়া! বলা যেতে পারে এটি বসিরহাটের ইতিহাসের একটি খনি। ধান্যকুড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শন করলে পরতে পরতে চোখে পড়বে ঐতিহাসিক নিদর্শন, যার মধ্যে অন্যতম ধান্যকুড়িয়ার এই গায়েন গার্ডেন। বারাসাত থেকে বসিরহাটগামী টাকি রোডের পাশে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুবিশাল ফটক। সেই ফটকের তার দু’দিকে বৃত্তাকার দুটি স্তম্ভ। তার মাঝে ধনুকাকৃতি ঝুলন্ত ছাদ।

মাথায় পাথরে খোদাই করা একটি মূর্তি। সেই মূর্তিতে ছোরা দিয়ে সিংহ বধ করছেন এক ইংরেজ সাহেব। আর এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই প্রকাণ্ড এক রাজবাড়ি। রাজবাড়ির থেকে তাকে দুর্গ বলাই শ্রেয়। যা আজও ধান্যকুড়িয়ার প্রাচীন ইতিহাসের ঐশ্বর্যের প্রমাণ দেয়। বসিরহাটের নিকটবর্তী ছোট্ট জনপদ ধান্যকুড়িয়া। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এই আশ্চর্য স্থাপত্যের। ধান্যকুড়িয়ায় গায়েন, সাউ ও বল্লভ রাজবাড়ির মধ্যে গায়েনদের এই বাগানবাড়ি অন্যতম। যার প্রতি দেওয়ালের ইটের পাঁজরে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।

আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগের কথা। ধান্যকুড়িয়ার এই সুবিশাল এই রাজবাড়ি বানিয়েছিলেন জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। সে সময় ধান্যকুড়িয়ার জমিদারের পাটের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। ইংরেজদের সঙ্গেই চলত তাঁর ব্যবসা, সেই সুবাদেই উত্তর ২৪ পরগনার এই প্রান্তিক অঞ্চলেও নিত্যদিন লেগে থাকত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনাগোনা। তাঁদের বিলিতি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে উস্কে দিতেই ইউরোপীয় দুর্গের আদলে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন মহেন্দ্রনাথ। ইন্দো-ইউরোপীয় মিশ্র আঙ্গিকের সুদৃশ্য এই প্রাসাদটি এখনও সকলকে অবাক করে। এই বাগান বাড়িতে জমিদার ও তাঁদের ব্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল।

আরও পড়ুন : পড়বে বাজ! আগামী ২ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে এই জেলাগুলিতে! দিনের শেষে কলকাতাও কি ভিজবে স্বস্তির বর্ষণে? জানুন বড় আপডেট

প্রাচীন ইতিহাসের এই ধান্যকুড়িয়াকে ইতিমধ্যে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার গায়েন গার্ডেন-সহ ধান্যকুড়িয়াকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানালেন, দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার ডিরেক্টর এটিএম আব্দুল্লাহ রনি। ৩৩ বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আস্ত এক পুস্করিণী, যাতে দূর থেকে রাজবাড়ির প্রতিচ্ছবি ঝলমল করে সারাদিন। গোটা দুর্গকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল এই বাগান।

North 24 Parganas: ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা, কয়েক মিনিটের ঝড়ে ছারখার দেগঙ্গা

ঝড়ে লন্ডভন্ড দেগঙ্গার মাটিকুমড়া গ্রাম। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছের ডাল।

পোস্ট অফিস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও! পলাতক পোস্টমাস্টার

শাসনে পোস্ট অফিস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও! পোস্ট অফিসে টাকা রেখে বিপাকে গ্রাহকরা। পলাতক পোস্টমাস্টার চন্দন চৌধুরী। টাকা ফেরতের দাবিতে শাসন থানার টাকি রোডের কাঁচকল মোড়ে অবরোধ। পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ গ্রাহকদের। শাসন থানার বৈদ্যপাড়া পোস্ট অফিসের ঘটনা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

দিনের পর দিন জমা আবর্জনায় ঢেকেছে রাস্তা! নোংরা, আবর্জনায় দমবন্ধ পানিহাটিতে

ফের নোংরা, আবর্জনায় দমবন্ধ পানিহাটিতে। দিনের পর দিন জমা আবর্জনায় ঢেকেছে রাস্তা। ভাগাড় বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই যেখানে সেখানে নোংরা ফেলা হচ্ছিল। পরে আবর্জনা সরাতে ৯৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কেএমডিএ। গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ হয়েছে সেই কাজও। ব্যস্ত নীলগঞ্জ রোড,আরএন অ্যাভিনিউ সহ একাধিক রাস্তায় ফের জমতে শুরু করেছে আবর্জনাযর স্তূপ। যাতায়াতের পথে দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস এলাকাবাসীর। আমনাগরিকের হয়রানিতে ভোটের মুখে শাসক-বিরোধী তরজাও তুঙ্গে।

Ancient Temple: হিঙ্গলগঞ্জের ২০০ বছরের প্রাচীন শাস্ত্রী বাড়ির কালীমন্দির ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের কাছে জাগ্রত

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: সুন্দরবন এলাকার জেলার প্রসিদ্ধতম প্রাচীন কালীমন্দিরের মধ্যে অন্যতম হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির কালীমন্দির। শোনা যায়, মন্দিরটির কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই কালীমন্দিরকে ধীরে রয়েছে নানান স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী। বাংলায় জাগ্রত মন্দিরের অভাব নেই।

অনেক ভক্তের বিশ্বাস, এই সব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও পাওয়া যায়। হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির এই মন্দিরে প্রতিবছর উপলক্ষে মহা ধুমধাম করে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো করা হয়। বহু ভক্ত মানত করেন এবং মানত পূর্ণ করার উদ্দেশে বহু দূর থেকে মন্দির চত্বরে পুজো দেওয়ার জন্য সমবেত হন। দেবী দর্শনে ও পুজো দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তরা আসেন।

আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি ঝিঙে খাওয়া যায়? গরমের এই সবজি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন

জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে নবীনচন্দ্র পাণ্ডা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি একসময় পোড়ামাটির থাকলেও বর্তমানে তা সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। অনেক ভক্তের বিশ্বাস, কেউ বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই–এমনই ধারণা অনেক ভক্তের মধ্যে। সব মিলিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের শাস্ত্রী বাড়ির এই মন্দির স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত।