Tag Archives: RG Kar

CBI: আরজি কর কাণ্ডে ৩ জনকে ডেকে পাঠাল সিবিআই! কারা তারা? রহস্য জট খুলে যাবে এবার?

কলকাতা: একদিকে যখন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা ও নিহত চিকিৎসকের বাড়ি গেল সিবিআই তদন্তকারী দল, ঠিক সেই সময়ই ওই ঘটনার তদন্তে সিবিআই আরও তিন জনকে তলব করেছে। সূত্রের খবর, অপসারিত সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, এক মহিলা চিকিৎসক, চেস্ট মেডিসিনের প্রধানকে ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা।

শুধু তাই নয়, সেই রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে এদিনই আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। এর পর বুধবার সকালে ধৃত অভিযুক্তকেও নিজেদের হেফাজতে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: নিগৃহীতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল সিবিআইয়ের বিশাল টিম! বিশেষ নজর ভাঙচুর কাণ্ডের দিকেও

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় কলকাতা পুলিশকে সময় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তেমন হলে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিতেও তাঁর আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি৷ অবশ্য তার আগেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷

সেই মতো গত মঙ্গলবারই টালা থানা থেকে ঘটনার এফআইআরের সার্টিফায়েড কপি নেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা৷ পরবর্তী কালে রাতেই দায়ের হয় এফআইআর৷ বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল৷ সঙ্গে মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক টিম৷ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে৷ তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়৷ জানা গিয়েছে, আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই দল কাজ করবে৷ জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে এই টিমে৷ রয়েছেন ডিআইজি পদ মর্যাদার অফিসারও৷

West Bardhaman News: ‘বিচার পেতে যেন দশ-পনেরো বছর না লাগে’, আরজি কর কাণ্ডে পথে আইনজীবীরা

পশ্চিম বর্ধমান: আর জি কর কান্ডে জড়িতদের দেওয়া হোক কঠোরতম শাস্তি। এই দাবিতে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলার অলিগলিতে চলছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদের অন্য ছবি দেখা গেল দুর্গাপুরে। যেখানে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার দাবিতে পথে নামলেন আইনজীবীরা।

নির্ভয়া কান্ডের মত যাতে আরজি কর কাণ্ডে বিচার পেতে যেন ১০-১৫ বছর দীর্ঘ সময় না লাগে। সেই দাবি তুলে পদযাত্রা করলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। মহকুমা আদালত চত্বরে হয়েছে প্রতিবাদ। যেখানে মহিলা আইনজীবীদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন পুরুষ আইনজীবীরাও।

অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা জেলায। আসানসোল, দুর্গাপুর পানাগড় – সব জায়গায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা। প্রতিবাদী কোনও মহিলার হাতে দেখা গিয়েছে ত্রিশূল। যার মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, আর জি কর কান্ডের মত ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্তরা কার্যত অসুর। তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য এই প্রতিবাদ। আবার মোমবাতি জ্বালিয়ে, কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করেছেন তারা।

মধ্যরাতে আসানসোল শহরের ভগৎ সিং মোড় এলাকায় প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মহিলা। তাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে বিচারের দাবি উঠে এসেছে পুরুষদের গলা থেকেও। বয়স, পেশার বিভেদ ভুলে সকলেই পা মিলিয়েছেন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। তারা বলছেন, এখন মেয়েরা চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল সহ বহু উচ্চ পদে যাচ্ছেন। কিন্তু একজন চিকিৎসকের যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে মেয়েদের কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তাই আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। শহরের রাজপথ থেকে উচ্চস্বরে উঠে এসেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি।

আরও পড়ুনঃ GK: গাছও পায় সরকারি পেনশন! কোথায় বলুন তো? রয়েছে এদেশেই

দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে মধ্যরাতে রাস্তা দখলের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। সেখানেও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা এসে জমায়েত করেন। মোমবাতি হাতে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। স্মার্টফোনের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন সকলে। আবার দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। সব জায়গা থেকেই দাবি উঠেছে একই। আর জি কর কান্ডে অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। বিচার প্রক্রিয়া হোক দ্রুত। যেন এমন অপরাধ করার আগে একজন অপরাধীর বুক কেঁপে ওঠে।

নয়ন ঘোষ

R G Kar Hospital Vandalism: বিক্ষোভে নার্সরা, ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়! ডাক্তারদের ফের এক জোটে আন্দোলনের ডাক

কলকাতাঃ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এর সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সেরা। তাদের দাবি গতকাল রাতের ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তাঁদের উপর অন ডিউটি থাকা অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে কীভাবে তাঁরা ডিউটি করবে তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় প্রিন্সিপালকে।

প্রিন্সিপাল  জানান যে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। গতকাল ডিউটিতে থাকা নার্সরা বলছেন তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে আজকে রাতে আবার হামলা চালানোর।

আরও পড়ুনঃ  ট্রমা কেয়ারে চালু জরুরি বিভাগ! তছনছ আরজি করে তৈরি হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা

আরজি করের ডক্টর কিঞ্জল বলেন, ‘এই অবস্থাতেই আন্দোলন। আন্দোলন চালিয়ে যাব বেঁচে আছি যতক্ষণ। বিচার চাই আমাদের দিদির উপর যা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে তাতে সবাই আতঙ্কিত হস্টেলে থাকতে সকলকে বারণ করা হয়েছে। এরপরও নানা রকম থ্রেট আসছে। পুলিশের ভূমিকা আপনারাই বলুন কেমন ছিল না হলে এই ধরনের মব ঢুকতে পারে?’

আরজি করের একাংশ ডাক্তারের বক্তব‍্য, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চেয়েছিলাম অশান্তি কেন ছড়ালো। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কেন এই পরিস্থিতি হল। পুলিশ আটকাতে পারল না কেন? আমাদের ছেলে মেয়েরা সারারাত বসেছিল। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হবে আবারও নার্স, ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়ারা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার ডাক দিচ্ছি।’

Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে হামলা, তাণ্ডব শাসক দলের গুন্ডাদের…’ বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী ! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলাদের রাত দখলের রাতেই দুষ্কৃতীদের হাতে ‘দখল’ হল আরজি কর। আর তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। ‘‘আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কারণেই তূণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আরজি করে তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’ বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– শুক্র ও শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

অবিলম্বে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকেও এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী নিজের সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আরজি করের সামনে প্রতিবাদীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুলিশের তরফে ‘সেফ প্যাসেজ’ করে দেওয়ার সুবাদে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে তারা আন্দোলনকারীদের অবস্থান মঞ্চ এবং হাসপাতালের ভেতরেও যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়।’’

আরও পড়ুন– সাবধান! বিমানবন্দরে ভুলেও মুখে আনবেন না এই ৫টা শব্দ, কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে, দিল্লি-কোচিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৩

এই গোটা তাণ্ডবলীলা শাসক দলের পরিকল্পনা মাফিকই করা হয়েছে বলে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আরজি করের চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে ইতিমধ্যে তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্তে সিবিআই যাতে কোনও তথ্য প্রমাণ না পায় তা লোপাট করার জন্যই পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই গুন্ডামি ও হামলা চালানো হয়েছে।’’

গোটা রাজ্য জুড়ে মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছে। কেন শুধুমাত্র আরজিকরেই অশান্তির ঘটনা ঘটল? এই প্রশ্ন তুলে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে অশান্তির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’’ পাশাপাশি অবিলম্বে শান্তি ফেরাতে আরজি কর চত্বর জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার পক্ষেও জোর সওয়াল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

RG Kar Hospital: গভীর রাতে কারা ঢুকল আরজি করে? পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র? তছনছ এমার্জেন্সি বিভাগ

কলকাতা: রাত দখলের রাতে ভাঙচুর চলল আরজি কর হাসপাতালে। প্রচুর মানুষ আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ভিতর থেকে আন্দোলনকারীরা বহিরাগতদের ভিতরে ঢুকতে বারণ করেন। কিন্তু এই বহিরাগতদের আটকানো যায়নি। মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বহিরাগতরা। ভাঙচুর চালানো হয় সেই এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়েই। ঘটনাস্থলে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয় হাসপাতালে। গভীর রাতে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। উত্তেজনা জনতাকে সরাতে দেখা যায় তাঁকেও। এমার্জেন্সির ভিতরে ভয়াবহ অবস্থা। স্টোর রুম, ওষুধ, এমার্জেন্সি, অবজারভেশন রুম, ট্রলি রুম নির্বিচারে ভাঙচুর চালানো হয়।

এই পরিস্থিতিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে আজ রাতের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে।

আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে আরজি করে হামলা! জোর করে ভিতরে ঢুকে হাসপাতালে ভাঙচুর বহিরাগতদের

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ”রাতের অন্ধকারে হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব লীলা দেখুন। শিউরে উঠবেন। ১) এরা কারা? ২) চিকিৎসক পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান মঞ্চে কিভাবে প্রবেশ করতে পারলো? ৩) রাতদিন আর জি কর মেডিকেল কলেজের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? ৪) প্রশাসনের সামনে এই তান্ডবলীলা চললেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন? ৫) তথ্য প্রমাণ লোপাট করেও শান্তি নেই? নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এই অকথ্য নির্যাতন আবার কেন সংঘটিত হলো? এর জবাব পুলিশ মন্ত্রীকে দিতে হবে। কিসের এত ভয় মাননীয়ার! এ কোন বিভীষিকাময় রাজ্যে বাস করছি আমরা? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা না নিশ্চিত করতে পারলে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী।”

মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচির মধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল আরজি কর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু কারা ভাঙচুর চালালেন, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন।

Reclaim the Night-RG Kar Case: স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাস্তার দখল মেয়েদের হাতেই, মিশে গেল শহর থেকে জেলা-গোটা দেশ! অভাবনীয় প্রতিবাদের নানান ছবি দেখুন…

'স্বাধীনতার মধ্য রাতে' বাস্তবিকই পথের দখল নিল মেয়েরা। গোটা বাংলায়। শহর ছাড়িয়ে জেলায়, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে। ভয়ডরহীন ভাবে, একের সঙ্গে অনেকের মিলে যাওয়ায়, ধর্ষকের বিরুদ্ধে একজোটে, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ চ্যালেঞ্জে।
‘স্বাধীনতার মধ্য রাতে’ বাস্তবিকই পথের দখল নিল মেয়েরা। গোটা বাংলায়। শহর ছাড়িয়ে জেলায়, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে। ভয়ডরহীন ভাবে, একের সঙ্গে অনেকের মিলে যাওয়ায়, ধর্ষকের বিরুদ্ধে একজোটে, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ চ্যালেঞ্জে।
মেয়েরা পারলেন, মেয়েরাই পারেন, মেয়েরাই পারবেন। ইতিহাস সাক্ষী, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নারী গর্জে ওঠে। এবারও উঠল। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের নিকৃষ্টতম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাল লক্ষ লক্ষ নারী। We Want Justice যেমন শোনা গেল, শোনা গেল 'আমি নারী, আমি সৃষ্টি, আমিই ধ্বংস...'
মেয়েরা পারলেন, মেয়েরাই পারেন, মেয়েরাই পারবেন। ইতিহাস সাক্ষী, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নারী গর্জে ওঠে। এবারও উঠল। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের নিকৃষ্টতম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাল লক্ষ লক্ষ নারী। We Want Justice যেমন শোনা গেল, শোনা গেল ‘আমি নারী, আমি সৃষ্টি, আমিই ধ্বংস…’
মধ্যরাতের সন্ধিক্ষণে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের এই দেশ। সেই ৭৭ বছর আগে। আর ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক মধ্য রাতে বাংলার এক মেয়েকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার মেয়েরা স্বাধীনতার এক অনন্য গল্পের সৃষ্টি করল।
মধ্যরাতের সন্ধিক্ষণে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের এই দেশ। সেই ৭৭ বছর আগে। আর ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক মধ্য রাতে বাংলার এক মেয়েকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার মেয়েরা স্বাধীনতার এক অনন্য গল্পের সৃষ্টি করল।
কলকাতা শহরে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। আর তারই আঁচ এসে পড়ল স্বাধীনতা দিবসের গোটা রাতজুড়ে।
কলকাতা শহরে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। আর তারই আঁচ এসে পড়ল স্বাধীনতা দিবসের গোটা রাতজুড়ে।
এই আঁচ বুকের ভিতর চেপে রাখা আগুনের, দীর্ঘ সহ্যের পর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার। মেয়েদের ডাকা এই অভাবনীয় আন্দোলনে পুরুষরাও রইলেন বটে, কিন্তু দূরত্বে, কারণ এ লড়াই তো পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধেই। পুরুষদের তাই এ রাতে প্রয়োজনও পড়েনি 'দুর্গাদের', তাঁরা যে সকলেই দশভূজা...
এই আঁচ বুকের ভিতর চেপে রাখা আগুনের, দীর্ঘ সহ্যের পর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার। মেয়েদের ডাকা এই অভাবনীয় আন্দোলনে পুরুষরাও রইলেন বটে, কিন্তু দূরত্বে, কারণ এ লড়াই তো পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধেই। পুরুষদের তাই এ রাতে প্রয়োজনও পড়েনি ‘দুর্গাদের’, তাঁরা যে সকলেই দশভূজা…
তাই শুধু কলকাতা নয়, এ আন্দোলনের ডাক পৌঁছে গিয়েছিল মফঃসল থেকে গ্রামেগঞ্জে। বাংলা ছাড়িয়ে মুম্বই, পুনে, বেঙ্গালুরু আরও আরও কত জায়গায়। যত রাত বাড়ল, তত মহিলাদের ভিড় বাড়ল, গলায় জোর বাড়ল, দাবি আরও প্রখর হল।
তাই শুধু কলকাতা নয়, এ আন্দোলনের ডাক পৌঁছে গিয়েছিল মফঃসল থেকে গ্রামেগঞ্জে। বাংলা ছাড়িয়ে মুম্বই, পুনে, বেঙ্গালুরু আরও আরও কত জায়গায়। যত রাত বাড়ল, তত মহিলাদের ভিড় বাড়ল, গলায় জোর বাড়ল, দাবি আরও প্রখর হল।
আট থেকে আশি। কেউই বাদ যায়নি মেয়েদের রাস্তা দখলের এই আন্দোলনে। কোলের ঘুমন্ত শিশুকে নিয়েও মায়েরা হাজির হয়েছেন রাস্তায়। কেউ এসেছেন হুইল চেয়ারে, কেউ বা ব্যাগে ওষুধ নিয়ে।
আট থেকে আশি। কেউই বাদ যায়নি মেয়েদের রাস্তা দখলের এই আন্দোলনে। কোলের ঘুমন্ত শিশুকে নিয়েও মায়েরা হাজির হয়েছেন রাস্তায়। কেউ এসেছেন হুইল চেয়ারে, কেউ বা ব্যাগে ওষুধ নিয়ে।
'ইন দ্য স্ট্রোক অফ দ্য মিডনাইট আওয়ার...'। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আক্ষরিক অর্থেই জেগে উঠল বাংলা তথা গোটা ভারত। রাত বাড়ল। পাল্লা দিয়ে বাড়ল ভিড়। বুধবার রাতে রাস্তার দখল নিল মেয়েরা।
‘ইন দ্য স্ট্রোক অফ দ্য মিডনাইট আওয়ার…’। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আক্ষরিক অর্থেই জেগে উঠল বাংলা তথা গোটা ভারত। রাত বাড়ল। পাল্লা দিয়ে বাড়ল ভিড়। বুধবার রাতে রাস্তার দখল নিল মেয়েরা।
যাদবপুর, অ্যাকাডেমি, কলেজ স্ট্রিট তো বটেই শহরের প্রতিটি কোণা, জেলায় জেলায় চলল জমায়েত। এমনকী, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুও রাত জাগছে আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে। রাত দখলে নেমেছে সুদূর এডিনবরাও।

যাদবপুর, অ্যাকাডেমি, কলেজ স্ট্রিট তো বটেই শহরের প্রতিটি কোণা, জেলায় জেলায় চলল জমায়েত। এমনকী, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুও রাত জাগছে আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে। রাত দখলে নেমেছে সুদূর এডিনবরাও।
কলকাতা থেকে কোচবিহার, বনগাঁ থেকে বেহালা, সর্বত্রই রাতের রাজপথ চলে গেল মেয়েদের দখলে। ব্য়ানার ফেস্টুন হাতে পথে নামল শয়ে শয়ে নারী। কারও হাতে মশাল, কেউ জ্বেলেছেন মোবাইলের টর্চ।
কলকাতা থেকে কোচবিহার, বনগাঁ থেকে বেহালা, সর্বত্রই রাতের রাজপথ চলে গেল মেয়েদের দখলে। ব্য়ানার ফেস্টুন হাতে পথে নামল শয়ে শয়ে নারী। কারও হাতে মশাল, কেউ জ্বেলেছেন মোবাইলের টর্চ।
প্রত্যেকের দাবি একটাই, আরজি করকাণ্ডে সুবিচার চাই। সকলের মুখে গর্জে উঠছে, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান। আর এই আন্দোলনের ধাত্রীভূমি আরজি কর হাসপাতালের সামনেও জমায়েতে দেখা যায় মশাল হাতে নারীদের মিছিল। কেউ জাতীয় পতাকা হাতে, কেউ মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাতের শহর দখলের জমায়েতে হাজির সর্ব স্তরের মহিলারা।
প্রত্যেকের দাবি একটাই, আরজি করকাণ্ডে সুবিচার চাই। সকলের মুখে গর্জে উঠছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। আর এই আন্দোলনের ধাত্রীভূমি আরজি কর হাসপাতালের সামনেও জমায়েতে দেখা যায় মশাল হাতে নারীদের মিছিল। কেউ জাতীয় পতাকা হাতে, কেউ মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাতের শহর দখলের জমায়েতে হাজির সর্ব স্তরের মহিলারা।

RG Kar Student Rape and Murder: মৃত চিকিৎসকের বাড়ির সবচেয়ে কাছের জমায়েতে তুমুল উত্তেজনা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর প্রতিবাদীদের, বিচার চাই ধ্বনিতে উঠল গর্জন

: আরজি করের ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে মেয়েরা রাস্তার দখল নাও কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া৷ ফের একবার কোনও এক অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে এভাবে সাড়া দিল মানুষ৷ এদিক খুন হয়ে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়ির সবচেয়ে কাছের জমায়েত হয়েছিল বিটি রোড , সোদপুরে৷
: আরজি করের ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে মেয়েরা রাস্তার দখল নাও কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া৷ ফের একবার কোনও এক অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে এভাবে সাড়া দিল মানুষ৷ এদিক খুন হয়ে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়ির সবচেয়ে কাছের জমায়েত হয়েছিল বিটি রোড , সোদপুরে৷
সেখানে পুলিশের গাড়ি দেখে   ক্ষিপ্ত, রাত দখলের প্রতিবাদীরা৷ ভাঙচুর পুলিশের ২ টো গাড়ি।
সেখানে পুলিশের গাড়ি দেখে   ক্ষিপ্ত, রাত দখলের প্রতিবাদীরা৷ ভাঙচুর পুলিশের ২ টো গাড়ি।
সোদপুর বিটি রোডে ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের জমায়েত হয়৷ কিন্তু অরাজনৈতিক জমায়েতে এভাবে পুলিশের উপস্থিতি চায়নি প্রতিবাদীরা৷  গাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা৷
সোদপুর বিটি রোডে ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের জমায়েত হয়৷ কিন্তু অরাজনৈতিক জমায়েতে এভাবে পুলিশের উপস্থিতি চায়নি প্রতিবাদীরা৷  গাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা৷
গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মী আহত৷
গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মী আহত৷
এদিকে শ্যামবাজার পেরিয়ে উত্তর শহরতলির প্রতিটা মোড়েই এদিন হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়৷
এদিকে শ্যামবাজার পেরিয়ে উত্তর শহরতলির প্রতিটা মোড়েই এদিন হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়৷
মেয়েরা রাতের দখল নাও কর্মসূচিতে এক অন্য বাংলাকে চিনল জনতা৷
মেয়েরা রাতের দখল নাও কর্মসূচিতে এক অন্য বাংলাকে চিনল জনতা৷
সিঁথি মোড়, বরানগর, বেলঘরিয়া, সোদপুর শুধুই মানুষের জনস্রোত৷ কোনও রাজনৈতিক স্লোগান ছাড়া শুধু জনতার বিচার চাইয়ের আবদেন দেখল এদিন সকলে৷
সিঁথি মোড়, বরানগর, বেলঘরিয়া, সোদপুর শুধুই মানুষের জনস্রোত৷ কোনও রাজনৈতিক স্লোগান ছাড়া শুধু জনতার বিচার চাইয়ের আবদেন দেখল এদিন সকলে৷

Hooghly News: আরজি করের প্রতিবাদ, ইমামবাড়া হাসপাতালে ‘অন্য’ দৃশ্য!

হুগলি: হাসপাতালে বন্ধ আউটডোর পরিষেবা। লিফটের সামনে বসে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে হাসপাতালে। তারই মধ্যে চলছে রোগী পরিষেবা। এমনই ঘটনার চিত্র ধরা পড়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।

আরজি করে তরুনী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসক মহল। চলছে কর্মবিরতি। হাইকোর্ট গতকাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। চিকিৎসকদের কাজে ফিরতেও বলেছে। যদিও আরজি করে কর্মবিরতি চলছে। আর তার আঁচ পড়েছে জেলা হাসপাতালেও।

আরও পড়ুন: ‘সেমিনার হলের উল্টো দিকের ঘর কেন ভাঙা হচ্ছিল?’ HOD-র আঙুল সেই ‘একজনের’ দিকেই!

চুঁচুড়া ইমামবাড়া হুগলি জেলা হাসপাতালে সোমবার এক ঘন্টার পেন ডাউন করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই ঘোষণা করেন আজ থেকে ওপিডি বন্ধ থাকবে। জুনিয়ার চিকিৎসকরা কাজ করছেন না। হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা চালু আছে। পাশাপাশি কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক হাসপাতালের লিফটের সামনে বসে রোগী দেখছেন। আউটডোর বন্ধ থাকায় রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।

—- রাহী হালদার

RG Kar Case: ‘সেমিনার হলের উল্টো দিকের ঘর কেন ভাঙা হচ্ছিল?’ HOD-র আঙুল সেই ‘একজনের’ দিকেই!

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। আর বুধবার সেই ঘটনাতেই আবারও পারদ চড়ল আরজি করে। আরজি কর হাসপাতালের যে এমার্জেন্সির চারতলায় যে সেমিনার রুমে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার ঠিক উল্টোদিকের ঘরে মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল সংস্কার। বিষয়টি জানাজানি হতেই মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই।

তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। রাতে অবশ্য কাজ বন্ধ রাখার নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বুধবার ফের উত্তাল হল আরজি কর হাসপাতাল এলাকা। শুধু তাই নয়, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কাস এমপ্লয়িদের তরফে।

আরও পড়ুন: ‘আমি জানি কোনটা আসল আন্দোলন? কোনটা নকল,’ ফাঁসির দাবিতে এবার পথে নামবেন মমতা

তাঁদের প্রশ্ন, ‘কেন ভাঙা হচ্ছিল সেমিনার হল লাগোয়া ঘর?’ তাঁদের মূল বক্তব্য, তিনি বিভাগীয় প্রধান হয়েও, যেখানে হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে কী করে সংস্কারের কাজ করতে দিতে পারেন। যদিও বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীর দাবি, এই অনুমতি তিনি দেননি। তার অনুমতি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনি বরং কাজ বন্ধ করিয়ে দেন।

অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বলেন, “প্রিন্সিপ্যাল তখন সন্দীপ ঘোষই ছিলেন। তার অর্ডার আমি কিছু পাইনি। যা কিছু পেয়েছেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা পেয়েছেন। আমাকে কোনও অর্ডারও দেখানো হয়নি। আমি অনুমতি দেওয়ার কেউ নই। পিজিটির যে ঘরটা হবে, সেটা বড় করার প্ল্যান ছিল। আমি তো ফরেন্সিকের লোক নয় যে বলব প্রমাণ লোপাট হতে পারে। নতুন প্রিন্সিপ্যাল জানতেন কিনা আমি বলতে পারছি না।”

RG Kar Case: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক-লগ্নে মেয়েদের ‘রাত দখল’! কলকাতা-সহ আর কোথায় কোথায় জমায়েত

১৪ অগস্টের রাত জাগবে সারা বাংলা। কলকাতা-শহর তথা সারা বাংলা জুড়ে রাস্তায় নামবেন মেয়েরা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক-লগ্নে সারা বাংলা জুড়ে মহিলাদের প্রতিবাদ মিছিল। আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ করে নৃশং খুনের সঠিক তদন্ত এবং বিচার চেয়ে জমায়েত করবেন মহিলা। সেই কর্মসূচীর নাম রাখা হয়েছে ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’। প্রাথমিক ভাবে যাদবপুর, অ্যাকাডেমি এবং কলেজস্ট্রিটে এই কর্মসূচী রাখা হলেও বর্তমানে তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলায়। কোথায় কোথায় হবে জমায়েত, জেনে নেওয়া যাক।

কলেজ স্ট্রিট
একাডেমী অফ ফাইন আর্টস
যাদবপুর এইট বি
পূর্বালোক পার্ক, যাদবপুর
সিঁথির মোড়
ডানলপ খালসা মডেল স্কুল
মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়
উত্তরপাড়া সখের বাজার
নীলদর্পণ, বনগাঁ
ব্যারাকপুর স্টেশন
দুর্গাপুর চতুরঙ্গ মাঠ
আরামবাগ, সুধানীল সিনেমাতলা
হাওড়া পাওয়ার হাউস মোড়
হাওড়া মন্দিরতলা
হাওড়া আমতলা
জলপাইগুড়ি সদর হাদপাতাল (পুরনো ভবন, দশতলা নয়)
কোচবিহার দাস ব্রাদার্স মোড়
কোচবিহার সাগরদিঘির পাড়ে ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরির সামনে
ইছাপুর – স্টোর বাজার
সোদপুর, বি. টি,রোড মোড়
বেহালা শখের বাজার
ব্যারাকপুর
বালি খাল
বালি পাবলিক লাইব্রেরি
সল্টলেক করুণাময়ী হাউজিং এস্টেট গেট ২, বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতে
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়
নাগেরবাজার বাস স্টপ
শ্রীরামপুর পূর্ব
শ্রীরামপুর পশ্চিম
শ্রীরামপুর ই এস আই এর বিপরীতে
বাগুইহাটি, কলকাতা
বারাসাত ডাকবাংলো মোড়
রতনপল্লী, বোলপুর
ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল গেট
নিউটাউন বিশ্ব বাংলা গেট
বাঘা যতীন পার্ক, শিলিগুড়ি
কোর্ট মোড়, শিলিগুড়ি
পঞ্চুর চক, মেদিনীপুর
শিবপুর বি ই কলেজ ফার্স্ট গেট
দমদম চাতাল
নবদ্বীপ
বহরমপুর
ক্যানিং
চন্দননগর
এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট
খড়গপুর আই আই টি
ক্লক টাওয়ার (টিক্কা মোড়), খড়গপুর
নৈহাটি পৌরসভা চত্বর
পিপুলপাতি মোড়, চুঁচুড়া (৬:৩০)
চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়
গোবরডাঙা (৬:৩০)
অরুণাচল মোড়, খড়দহ স্টেশন রোড
বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড
ইসলামপুর বাস টার্মিনাস
নিউ ব্যারাকপুর মিনিবাস স্ট্যান্ড
হলদিবাড়ি
ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বর
অশোকনগর চৌরঙ্গী মোড়
ঋত্বিক সদনের সামনে, কল্যাণী
নেতাজিনগর নারকেল বাগান, টালিগঞ্জ
মিনিবাস স্ট্যান্ড, রানীগঞ্জ

যেগুলোর কন্ট্যাক্ট এখনো অবধি নেই
মালদা ইংলিশ বাজার পোস্ট অফিস মোড়
শিলিগুড়ি দার্জিলিং মোড়
উত্তরপাড়া কলেজ মোড়
রায়গঞ্জ, ঘড়িমোড়
শান্তিপুর ডাকঘর
বর্ধমান কার্জন গেট চত্বর
হাবড়া ১ নং রেলগেট
ময়নাগুড়ি
চাকদহ থানার মোড়
ধানহাট মোড়, বাদকুল্লা
নিমতা কালচার মোড়
হরিণঘাটা বাজার চৌমাথা, নদীয়া
ঝাড়গ্রাম ,পাঁচ মাথার মোড়
সিঙ্গুর স্কুল মোড়
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল (নিউ বিল্ডিং-এর সামনে)

পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন

বাঙ্গালোর – সিল্ক রোড জংশন, ফিনিক্স মার্কেট সিটি
মুম্বই – ইনফিনিটি মল, আন্ধেরি ওয়েস্ট