Tag Archives: RG Kar

RG Kar Incident: ”কখন খবর পেলেন? ঘটনার রাতে শ্মশানে ছিলেন?” আরজি কর তদন্তে ঘোলা থানার পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ

কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। চলছে গ্রেফতারি, জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ,বয়ান রেকর্ড। এবার সোধপুরের ঘোলা থানার আইসি এলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। নির্যাতিতার বাড়ি ঘোলা থানা এলাকায়। পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে আইসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জানতে চাওয়া হয়, ঘটনার রাতে তিনি শ্মশান ঘাটে ছিলেন কী না? কখন খবর পেলেন? কখন দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়?

আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফাতর হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রবিবার ফের চাঞ্চল্যকর মোড়! ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, ডাক্তার অভিক দে ও ডাক্তার রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের হল বউবাজার থানায়। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী অঞ্জন মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ এনেছেন এই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তিন ডাক্তার ভয় দেখাচ্ছিলেন তাঁদের। এই মর্মেই বৌবাজার থানা এফআইআর দায়ের হয়েছে ওই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, আরজি কর দুর্নীতিতেও টাকা অন্যত্র সরানোর হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই টাকা সরেছে অন্যত্র। তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে ইডি।

শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানোর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ওই সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।

Kolkata Hospital: আরজি করের পর এবার এসএসকেএম! ফের চিকিৎসা না পেয়ে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

রাণা কর্মকার, রিষড়া: কোন্নগরের পর এবার রিষড়া। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা রাজীব দেবের মৃত্যুর ঘটনায় ফের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। প্রাণ চলে গেল এক তরতাজা যুবকের। পরিবারের অভিযোগ, আরজি কর কাণ্ডের জেরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদেরও কর্মবিরতি চলছে। তার আঁচ পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবায়। রাজীবের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়ে ক‍্যাথিডার না পাল্টানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃস্পতিবার কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে রিষড়া পদ্মপুকুর বাগপাড়া এলাকার রাজীবকে এসএসকেএম-এর নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। রাজীবের মা সীমা দেবের একটি কিডনি ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের ভিতরে পরিষেবা দানকারী চিকিৎসকদের সংখ্যা অপ্রতুল। সেই কারণে চিকিৎসা পরিষেবাও ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির টাকা সন্দীপ ঘোষ কোথায় সরাতেন? পাঠাতেন কাকে? খোঁজ পেল ইডি! চাঞ্চল্যকর মোড়

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডাক্তার না আসার কারণে, সঠিক সময়ে রাজীবের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হওয়াতেই গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজীবের মৃত্যু হয়েছে। ১০ বছর আগে মায়ের থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল রাজীবের শরীরে। সম্প্রতি রাজীবকে কিডনির সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

পরিবারের অভিযোগ, আন্দোলনের নাম করে জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান মঞ্চে বসে চা, কফি খাচ্ছেন। আর রাজীব যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে। কোনও চিকিৎসক রাজীবের ক্যাথিডার লাগাতে আসেনি। দু’দিন ধরে ইউরিন না হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ সুদীপ্ত রায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন জানান।

Sandeep Ghosh: CBI জেরায় ‘বড় মাথার’ নাম বলে দিলেন সন্দীপ ঘোষ? এল কি বড় ব্রেক থ্রু, দেখুন

RG Kar Hospital News LIVE | CBI জেরায় ‘বড় মাথার’ নাম বলে দিলেন Sandip? এল বড় খবর! সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে  CBI বাড়িতে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকে যায়৷ আর সেখানেই খুঁজে পান অসংখ্য অভিযোগের কাগজ৷ যে অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরে তাঁর নামে জমা পড়ত সেই আসল কাগজগুলি সব তাঁর বাড়িতেই চলে যেত আশ্চর্যভাবে৷ দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla News Video)৷

RG Kar Hospital: আরজি করের মৃতা চিকিৎসক আর নেই, কিন্তু তাঁর স্মরণে যে কাজ করলেন টলিউড অভিনেতা তা থাকবে বহু বছর

গোপীবল্লভপুর: আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের স্মরণে কাপগাড়িতে চারাগাছ রোপন করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এমনকি গাছটির রক্ষণাবেক্ষণার দায়িত্ব নিল ‘আযর্ভ’। শুক্রবার ‘আর্যভ’-র উদ্যোগে জামবনি ব্লকের কাপগাড়িতে অবস্থিত সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবির এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।

এদিন ৪০ জন কলেজ পড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করা হয়। কলেজের অধ্যাপক-পড়ুয়া মিলে ৩০ জন রক্তদানও করেন। থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যানসার সম্পর্কে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন কলকাতার প্রখ্যাত হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক দেবমাল্য ভট্টাচার্য।

সব্যসাচী চক্রবর্তী পুঁতলেন গাছের চারা
সব্যসাচী চক্রবর্তী পুঁতলেন গাছের চারা

রক্তদানের সুফল নিয়ে বক্তব্য রাখেন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক কার্তিকচন্দ্র নস্কর। থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং রক্তদান করা অধ্যাপক-পড়ুয়াদের হাতে গোলাপ ফুল ও শংসাপত্র তুলে দেন ‘আর্যভ’-র সভাপতি তথা অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী, কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু।

আরও পড়ুন – Uric Acid Control Tips: হুড়মুড়িয়ে কমবে হাড়ের ব্যাথা, ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে পালাতে পথ পাবে না, সবুজ পাতায় লুকিয়ে পঞ্চবাণ

‘আর্যভ’-র সভাপতি তথা অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “আমি এখন সত্তর ছুঁই ছুঁই। আমি রক্ত দিতে পারি না। কিন্তু শ্রম, বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিতে পারি। সে জন্যই কলকাতা থেকে এখানে ছুটে আসা। থ্যালাসেমিয়া আটকানো সম্ভব যদি আমরা একটু সচেতন হই।’’

আগামী প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত না হয় সে জন্য আরো বেশি সচেতনতা দরকার সমাজে। আজ পুরো পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল নারী সম্মান নিয়ে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ভারতবর্ষে এবং সারা পৃথিবীর একটা ব্যাধি। এখানে কিছু কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নারীদের সম্মান দিতে পারেন না। তাদেরকে চিহ্নিত করুন।

এই সমাজকে দূষণ মুক্ত করুন। আবার আমরা ভালো সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নতুন প্রজন্ম যে উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছে তাতে আমার বিশ্বাস আমার সবাই ঠিক পথে এগোচ্ছি। নির্যাতিতার স্মরণে বসন্তরাণী নামে একটি গাছ রোপন করলাম। ভবিষ্যতে যাতে নারী সুরক্ষার ব্যাপারে আরওএকটু চিন্তা ভাবনা করা যায় এবং মানুষ যাতে একটু সচেতন হয় তা কামনা করি।

‘আর্যভ’-র সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী বলেন, “সমাজের আলোকবৃত্ত থেকে যাঁরা এখনও বঞ্চিত এবং ভৌগলিক গত কারণেপ্রান্তিক অবস্থানের জন্য পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদেরকে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানটি আমরা আরজি করের নির্যাতিতার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম\”। কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু বলেন,”আর্যভ যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার কলেজে এসেছিলেন তাতে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক সকলেই আমরা উপকৃত হয়েছি।”

Buddhadev Bera 

West Bengal BJP: ইস্যু আরজি কর ! সোমবার কলকাতায় ডিসি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক বিজেপির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা:আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই।’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নাগরিক সমাজের আন্দোলনে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই এবার আরজিকর কাণ্ডে নয়া আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ।

আরও পড়ুন– প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে ফুটপাথে মহিলাকে ধর্ষণ ! দাঁড়িয়ে দেখল জনতা, মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ কাণ্ড !

আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকের খুন ধর্ষণের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ধর্মতলায় ধরনা অবস্থান কর্মসূচি চলার মাঝেই এবার কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ ডিভিশন অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিল বিজেপি।

আরও পড়ুন– ‘গ্যাসের টাকা তোমার বাবা দেবে?’ বুকিং বাতিল করায় মহিলা যাত্রীকে মারধর অটো চালকের

উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলাম। আগামী সোমবার ডিসি নর্থ অফিস ঘেরাও করা হবে।’’ নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসার বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই এবার বিজেপি কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ ডিভিশনের অফিস ঘেরাওয়ে নামছে।

আরজি কর কাণ্ডে যারা আসল অপরাধী তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে, আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই-সহ নানান দাবিতে সুর চড়াচ্ছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর এবার আগামী সোমবার কলকাতা পুলিশের আওতাধীন ডিসি নর্থ অফিস ঘেরাওয়ে নামছে বিজেপি।

R G Kar Protest: চোখের জলে ভাসছেন আরজি করের চিকিৎসকের মা-বাবা, বিচার চেয়ে নিজের জয় করা পদক ‘দিদি’-র ফটোতে পরিয়ে দিলে তাঁদের ‘আরেক মেয়ে’

নিজের স্বর্ণপদক উৎসর্গ করে দাবি ' দিদির বিচার চাই' । এশিয়া প্যাসিফিক মেডেল উৎসর্গ করলেন খেলোয়াড় সুস্মিতা দেবনাথ।
নিজের স্বর্ণপদক উৎসর্গ করে দাবি ‘ দিদির বিচার চাই’ । এশিয়া প্যাসিফিক মেডেল উৎসর্গ করলেন খেলোয়াড় সুস্মিতা দেবনাথ।
একজন বাবা মা তার একমাত্র কন্যাকে হারালেন, কিছু অসহায় মানুষ একজন ভাল মনের ডাক্তার কে হারালেন। যা হারিয়ে গেল তা হয়তো ফেরানো সম্ভব নয়। তবে একজন খেলোয়াড়ের জীবনের সর্বোচ্চ হলো তার পুরস্কার। খেলোয়ার হিসাবে আমি তাই আমার এবারের স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক উৎসর্গ করলাম বিচারের আশায়।
একজন বাবা মা তার একমাত্র কন্যাকে হারালেন, কিছু অসহায় মানুষ একজন ভাল মনের ডাক্তার কে হারালেন। যা হারিয়ে গেল তা হয়তো ফেরানো সম্ভব নয়। তবে একজন খেলোয়াড়ের জীবনের সর্বোচ্চ হলো তার পুরস্কার। খেলোয়ার হিসাবে আমি তাই আমার এবারের স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক উৎসর্গ করলাম বিচারের আশায়।
শ্রীলঙ্কায় খেলতে যাবার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পদক জয় করলে ডাক্তার দিদিকে উৎসর্গ করব। সেই মতই। ডাক্তার দিদির বাড়িতে বুধবার পৌঁছে যাওয়া। সদ্য মেয়েকে হারানো বাবা মায়ের দিকে তাকানো সত্যিই কঠিন। কথায় কথায় কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন বাবা-মা।
শ্রীলঙ্কায় খেলতে যাবার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পদক জয় করলে ডাক্তার দিদিকে উৎসর্গ করব। সেই মতই। ডাক্তার দিদির বাড়িতে বুধবার পৌঁছে যাওয়া। সদ্য মেয়েকে হারানো বাবা মায়ের দিকে তাকানো সত্যিই কঠিন। কথায় কথায় কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন বাবা-মা।
এশিয়া প্যাসিফিক যোগা প্রতিযোগিতায় দুইটি পদক একটি সোনা এবং অন্যটি রূপো। পদক দুটি ডাক্তার দিদির ছবিতে পড়িয়ে দিলাম। সদ্য মেয়েকে হারানো ডাক্তার দিদির বাবা এখান থেকে একটি মেডেল আমার গলায় দিলেন,বললেন আমার আরেক মেয়ে।
এশিয়া প্যাসিফিক যোগা প্রতিযোগিতায় দুইটি পদক একটি সোনা এবং অন্যটি রূপো। পদক দুটি ডাক্তার দিদির ছবিতে পড়িয়ে দিলাম। সদ্য মেয়েকে হারানো ডাক্তার দিদির বাবা এখান থেকে একটি মেডেল আমার গলায় দিলেন, বললেন আমার আরেক মেয়ে।
বাবা-মা ও মেয়ের সম্পর্ক তৈরি। কথা দিলাম যতদিন বাঁচবো পাশে রয়েছি। একদম নিজের মেয়ের মতই।
বাবা-মা ও মেয়ের সম্পর্ক তৈরি। কথা দিলাম যতদিন বাঁচবো পাশে রয়েছি। একদম নিজের মেয়ের মতই।

RG Kar DNA report: আরজি করে কি সত্যিই গণধর্ষণ, নাকি কুকীর্তি একা সঞ্জয়ের? জবাব মিলল ডিএনএ রিপোর্টে

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বড়সড় মোড়৷ ডিএনএ রিপোর্টে খারিজ হয়ে গেল গণধর্ষণের সম্ভাবনা৷ ফরেনসিক রিপোর্টও সেদিকেই ইঙ্গিত করছে৷ সিবিআই সূত্রে এমনই খবর৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ থেকে যে নমুনা মিলেছে, তার সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে৷ সেই অনুযায়ী প্রাথমিক চার্জশিট তৈরির প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা৷

কলকাতা পুলিশের তদন্তে দাবি করা হয়েছিল, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করেছে একা সঞ্জয় রায়ই৷ নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ৷ এর পর ওই মামলার তদন্ত ভার যায় সিবিআই-এর হাতে৷ যদিও প্রথম থেকেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত৷ যদিও ডিএনএ এবং ফরেনসিক রিপোর্টে সেই সম্ভাবনা খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷

আরও পড়ুন: রাত ৩:৪৫, হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত ধরলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! তড়িঘড়ি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ধৃত সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তির পলিগ্রাফ টেস্ট করিয়েছে সিবিআই৷ এ ছাড়াও ঘটনার রাতে উপস্থিত হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী সহ অনেককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে৷ আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করলেও মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷ ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরেও চাপ বাড়ছিল৷

এই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে কী জানান হয়, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷ প্রথম থেকেই সিবিআই-এর তদন্তকারীরাও দাবি করে আসছিলেন, আরজি কর কাণ্ডের রহস্যের জট খুলে দিতে পারে ডিএনএ রিপোর্টই৷ সূত্রের খবর, সেই ডিএনএ রিপোর্টেই মহিলা চিকিৎসককে নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় অন্য কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ ফরেন্সিক পরীক্ষার ফলেও একা সঞ্জয়ের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে৷

RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে এবার নাম উঠে এল প্রসূনের! কে এই প্রসূন? কী অভিযোগ? চমকে উঠবেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতের রয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আগেই তার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আর শুক্রবার সকালে সন্দীপের বাড়িতে হানা দিল ইডি। এদিন সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেন ইডি অফিসাররা। অন্যদিকে শুক্রবার আরও তিন জায়গায় হানা দেয় ইডি।

সূত্রের খবর, তল্লাশি চলছে গ্রেফতার হওয়া বিপ্লব সিং এবং কৌশিক কোলের বাড়িতেও। তল্লাশি চলছে সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। গত, সোমবার সন্দীপের পাশাপাশি সিবিআই গ্রেফতার করেছিল চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিপ্লবকেও। অন্যদিকে, প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘অভিযুক্ত ঠিক করবে না, তদন্ত কীভাবে চলবে!’ সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সন্দীপ ঘোষের আবেদন

আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করা হয়। টানা ১৫ দিন সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর গত সোমবার সন্ধ্যায় আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সন্দীপ। সন্দীপ, বিপ্লব ছাড়াও একটি ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরাকে গ্রেফতার করা হয়। আরজি করের দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় যেত, তা জানতে তদন্তের শিকড়ে পৌঁছাতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

— সুমন সাহা

Sandip Ghosh: ‘অভিযুক্ত ঠিক করবে না, তদন্ত কীভাবে চলবে!’ সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সন্দীপ ঘোষের আবেদন

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সন্দীপ ঘোষের পিটিশন। বৃহস্পতিবার আরজি কর কাণ্ডের শুনানি না হলেও শুক্রবার সন্দীপ ঘোষের পিটিশনের উপর শুনানি হয়। ভার্চুয়ালি সেই শুনানিতে যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আর সন্দীপ ঘোষের শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমরা আছি নিরপেক্ষভাবে যাতে তদন্ত হয় সেটা দেখার জন্য। সিবিআইকে তদন্ত করতে দিন। আমরা রিপোর্ট চেয়েছি। একজন অভিযুক্ত কখনও ঠিক করে দিতে পারে না, কীভাবে তদন্ত চলবে।” আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের আলাদা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত সূত্রেই গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর্থিক দুর্নীতিতে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। এই মামলায় রক্ষাকবচের আবেদনও করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, সেই মামলাতেই সোমবার রাতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে সন্দীপের দায়ের করা মামলার শুনানি হল শুক্রবার। আর সেই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপের বাড়িতে ইডি! আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আরও ‘তিন’ বাড়িতে ইডি হানা! কে কে?

আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডিকে দিয়ে তদন্ত করাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি মৃতদেহ এবং বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, তোলাবাজির অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। ইডি তদন্তের আর্জির প্রেক্ষিতে গত ২৩ অগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গে ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও সিবিআই করবে বলে জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশের পরই এফআইআর দায়ের করে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে।

এদিকে, আরজি কর দুর্নীতি মামলায় এদিনই ময়দানে নেমেছে ইডি। সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুর্নীতি মামলায় এবার তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকাল সকাল সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির টিম। এছাড়াও আরও নানান জায়গায় হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

RG Kar Case-CBI: বিরাট খবর! আরজি করের ‘সেই’ রাতের প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ পেল সিবিআই! কে তিনি? শুনে চমকে যাবেন

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতিয়ার এক প্রত্যক্ষদর্শী। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরজি কর হাসপাতালেরই গ্রুপ ডি’র একজন কর্মী। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন তিনি ডিউটিতে কর্মরত ছিলেন। তার বয়ান রেকর্ড করে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি করাতে চলেছে সিবিআই।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। তারই মধ্যে বিরাট খবর। হাসপাতালে ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এরপর দিনই ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ অর্থাৎ অপরাধস্থলের পাশের ঘরটি ভাঙাভাঙি শুরু হয়।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে! সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে কী এমন পেয়েছে সিবিআই! এতেই সব ‘স্পষ্ট’?

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সব বিভাগের অন ডিউটি ডক্টরস রুম এবং তার সংলগ্ন শৌচাগার সংস্কার, পুনঃনির্মাণের জন্য পি ডব্লিউ ডি-র সিভিলকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার জন্য তৎকালীন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ নির্দেশ দেন। আর এতেই জোরালো হয়েছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল, যা এই মামলার সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঘটনাস্থল যেখানে, তার পাশের ঘর ভাঙতে হঠাৎই উদ্যোগী হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,১০ অগাস্ট স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমের পাশের রুম ইচ্ছে করেই ভাঙা হয়েছিল? এই নির্দেশ দিয়েছেন খোদ ধৃত সন্দীপ ঘোষ, এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এরই মধ্যে এবার প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ মিলল বলে সিবিআই সূত্রে খবর।