Tag Archives: Sawan 2024
Astrology: রাত পোহালেই বুধের বিরাট চাল…! শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে খুলবে ভাগ্য, শিবের কৃপায় বাধা-বিপত্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ, আপনার কপালে কী?
Sawan Shivratri 2024 Lucky Zodiacs: শ্রাবণ শিবরাত্রিতে ভোলানাথের রক্ষাকবচ! শিবের কৃপায় ত্রিভুবনে জয়ী ৫ রাশি
Sawan 2024: শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন এই জিনিসগুলি, টাকার অভাব কী ভুলে যাবেন, হবে নাম-যশ
Sawan 2024 Lucky Rashifal: ১৯ বছর পরে শ্রাবণ শিবরাত্রিতে অপেক্ষার অবসান! শিবের শক্তিতে ৩ রাশির হাতে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা
Sawan 2024: বিষ্ণুপুরে না হয়েও এই মন্দিরে দেখা যায় টেরাকোটা শিল্প! শ্রাবণ মাস এলেই উপচে পড়ে ভিড়
কোচবিহার: জেলা শহরের আরেকটি বেশ পুরনো মন্দির হল ধলুয়াবাড়ির শিব মন্দির। এই মন্দির কোচবিহারের রাজার আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে পুজো করা হয় শিবলিঙ্গ এবং নারায়ণ। এই মন্দির প্রাচীন স্থাপত্য নির্মাণ শৈলীতে তৈরি করা। এই মন্দিরের গায়ে বিষ্ণুপুর ঘরানার টেরাকোটার শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। এখানে প্রবেশের গেটের সামনে রয়েছে দুটি নন্দীর মূর্তি, যা মহাদেবের বাহন রূপে পরিচিত। আর ঠিক মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন কালের একটি পাতকুয়ো। যদিও বর্তমানে এই কুয়োকে সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে।
কোচবিহারের এই প্রাচীন মন্দিরের পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল দাস জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা কম থাকলেও শ্রাবণ মাসে ভক্তদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই সময় সকাল থেকে মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়। দূর দূরান্ত থেকেও বহু পর্যটক আসেন এই মন্দির দর্শনে। মূল মন্দিরের পাশেই দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা রয়েছে। পুজো দিয়ে দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিশ্রাম ঘরও বানানো হয়েছে মন্দির চত্বরে। এই মন্দিরের পরিবেশ যেকোনও পর্যটকের মনকে খুব সহজেই আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়।
আরও পড়ুন: বাইকে তারাপীঠে এসেছিল বিহারের পাঁচ বন্ধু, ফেরার পথে সব শেষ!
মন্দিরের এক ভক্ত স্বপ্না দাস জানান, শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যায়। সকাল থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। স্থানীয় বাসিন্দা সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা জানান, এই মন্দির জেলার পর্যটনে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। জেলার বুকে আর কোনোও মন্দিরে এই ধরনের টেরাকোটা শিল্প দেখতে পাওয়া যায় না। তাই তো এই মন্দিরের আকর্ষণে দূর দূরান্তের বহু পর্যটক ছুটে আসেন। তবে এই মন্দিরের সংস্কারের দরকার। দ্রুত সেই সমস্ত কাজ করা হলে মন্দিরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
বর্তমান সময়ে জেলার এই বিশেষ মন্দিরকে ঘিরে বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণ চোখে পড়ার মত। সারা বছর পর্যটকেরা কমবেশি আসতেই থাকেন এই মন্দির দর্শনে। তবে শ্রাবণ মাসে এই সংখ্যাটা বেড়ে যায় অনেকটাই। রাজ আমলের সুপ্রাচীন এই মন্দির জেলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে।
সার্থক পণ্ডিত
Road Accident: বাইকে তারাপীঠে এসেছিল বিহারের পাঁচ বন্ধু, ফেরার পথে সব শেষ!
বীরভূম: শ্রাবণ মাস বাবা মহেশ্বরের মাস। এই সময় দূর দুরান্ত থেকে বহু শিব ভক্ত বাবার মাথায় জল ঢালবেন বলে বেরিয়ে পড়েন। কেউ হেঁটে আবার কেউ বাইকে চড়ে বিভিন্ন শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এই শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলোয় তারাপীঠ মন্দিরে উপচে পড়ে শিব ভক্তদের ভিড়। বিহার থেকে এসেছিল তেমনই পাঁচ শিব ভক্ত। কিন্তু তারাপীঠ ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে চোখের পলকে শেষ হয়ে গেল সব! বাড়ি ফেরা হল না দুই বন্ধুর।
বিহারের ভাগলপুর থেকে তিনটি বাইকে করে পাঁচ বন্ধু ঘুরতে এসেছিল তারাপীঠ। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ভাগলপুর থেকে আগত মণীশ কুমার জানান, তাঁরা সকলেই পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বের হচ্ছিলেন। প্রথম বাইকে দু’জন ছিলেন। তখনই রামপুরহাট থেকে মল্লারপুরগামী একটি পাথর বোঝাই লরি সজোরে ধাক্কা মারে ওই বাইকটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
আরও পড়ুন: এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখলে আপনিও নিজের সন্তানকে পাঠাতে চাইবেন না!
স্থানীয় বাসিন্দা ইমামুল শেখ জানান, হটাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান। তৎক্ষণাৎ দোকান থেকে বেরিয়ে দেখেন একটি বাইকে সজোরে ধাক্কা মেরে পাথর বোঝাই লরিটি প্রবল বেগে পালাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা লরিটি আটক করার চেষ্টা করলেও চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। মৃত দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
সৌভিক রায়
Masik Shivratri in Sawan Lucky Zodiac Signs: প্রচুর টাকা! ফিরবে হারানো সম্পদ! সুখী দাম্পত্য! শ্রাবণের শিবরাত্রিতে এই ৫ রাশির জীবনে সুখবর্ষা
Sawan 2024: মহানন্দার তীরে ইতিহাস মাখা এই শিবমন্দির মহাজাগ্রত, শ্রাবণে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান এইস্থানে
উত্তর দিনাজপুর: ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই শিব মন্দির! ঘন জঙ্গলে আজও বহু মানুষ আসেন এই শিব মন্দিরে পুজো দিতে জানেন কি এই মন্দিরের ইতিহাস?
উত্তর দিনাজপুরের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইটাহার থেকে আনুমানিক ৭ কিলোমিটার দূরে মরা মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই শিব মন্দির। জানা যায় কৃষক ও প্রজাদের মঙ্গল কামনার জন্য চূড়ামনের জমিদার জগৎ বল্লভ রায় চৌধুরী তিনি এই মন্দিরটি স্থাপন করেন। এই মন্দিরটি দীর্ঘ ৯ ফুট প্রস্থ ৮ ফুট এবং চূড়াসহ এর উচ্চতা ১৫ ফুট।
জানা যায় জমিদারি আমলে এই মন্দিরটি তে প্রচুর ধুমধামের সঙ্গে এবং নিয়ম-নিষ্ঠা সহকারে শিব পূজা করা হতো। এখনও শ্রাবণ মাস ও শিব রাত্রিতে বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। অনেকেই মনে করেন মন্দিরে নিষ্ঠা সহকারে পূজো দিলে ভোলানাথ ভক্তের সমস্ত মনোকামনা পূরণ করেন। এই মন্দিরটি চারপাশে ঝোপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ।
এই মন্দিরে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষরা জানান এই মন্দিরটিতে প্রায় সময় বিষাক্ত সাপেদের দেখা যায়। তবে এরা কখনো কাউকে ক্ষতি করেনি এই মন্দিরটি বহু বছর ধরে এই সাপেরাই রক্ষা করে আসছে। তবে সাপের ভয়ে অনেকেই এখানে পূজো দিতে আসতে ভয় পেলেও এখনো এই রাজ পরিবারের সদস্যরা নিত্যদিন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
এই মন্দিরটির পিছনেই রয়েছে চূড়ামনের প্রাচীন সেই রাজবাড়ি যা মহানন্দা নদীর কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। মনে করা হয় ভাঙ্গা ঘরে জোপ জঙ্গলে নির্মিত এই মন্দিরে পুজো দিলেই ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়।
Piya Gupta