স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেক সময়েই চিকিৎসকেরা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখতে বলেন মশলাকে। কিন্তু মশলারও অনেক গুণ রয়েছে। মশলা অনেক সময়েই অনেক কঠিন রোগবালাই থেকে ভাল থাকতে সাহায্য করে।
১. মেথি: মেথিতে থাকা স্যাপোনিন্স নামক একটি যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই সকালে উঠে মেথি ভেজানো জল খান, যা শরীরের পক্ষে উপকারী। পাশাপাশি, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এলে আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে, পুরুলিয়ায় বললেন অভিষেক
২. এলাচ: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী হতে পারে এলাচ, যদিও এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এবং হজমে সাহায্য করে এলাচ।
৩. হলুদ: হলুদে কারকিউমিন যৌগ বর্তমান থাকে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, কারকিউমিন রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ‘ভাল’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এইচডিএল’-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে।
৪. দারচিনি: নিয়মিত দারচিনি খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়,যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি দারচিনি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড, টোটাল কোলেস্টেরল, ব্যাড কোলেস্টেরল কমে। যার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।
৫. গোলমরিচ: এই মশলায় প্যাপরিন নামের একটি যৌগ থাকে। রক্তের ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে এই প্যাপরিন সাহায্য করে। গোলমরিচে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
নদিয়া: বাজারে এখন বিভিন্ন ভেজাল মশলার রমরমা। সেসব দেদার বিক্রিও হচ্ছে। তেমনই সময় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই সম্পূর্ণ ভেজালবিহীন পুরনো আমলের পদ্ধতিতে আটা-ছাতু-মশলা তৈরি করছে কৃষ্ণনগরের দম্পতি।
যাঁতায় ভাঙানো ছোলার ছাতু, বেসন, আটা, হলুদ গুঁড়ো ইত্যাদি খাঁটি জিনিস পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কৃষ্ণনগরের এই দম্পতি। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতের দুটি নামি মশলা তৈরি সংস্থাকে বিদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ তাদের বেশকিছু মশলায় নাকি ক্যান্সার হতে পারে এমন উপাদান পাওয়া গিয়েছে!
আরও পড়ুন: লাইন বাঁচাতে হাতি চলাচলের রাস্তায় বোল্ডারের স্তূপ রেলের! লোকালয়ে হামলার আশঙ্কা
এই খবর প্রকাশিত হওয়া মাত্রই আতঙ্কে ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই সমস্ত ভাবনাকে মাথায় রেখেই কৃষ্ণনগরের এই দম্পতি অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শুরু করলেন তাঁদের এই নতুন উদ্যোগ। সম্পূর্ণ ভেজালবিহীন উপায়ে যাঁতায় ভাঙানো হচ্ছে ছোলা। তার থেকে বের করা হচ্ছে ছাতু। এভাবেই বেসন আটা, হলুদ গুঁড়ো সহ একাধিক মশলা তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি মশলাই ভেজালবিহীন এবং সম্পূর্ণ প্রাচীন উপায়ে ভাঙানোর ফলে এই মশলাগুলি থেকে শারীরের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না।
মৈনাক দেবনাথ
কলকাতা: রান্না করতে গেলে মশলা তো ব্যবহার করতেই হবে৷ কিন্তু কোন মশলা দেখতে কেমন, তা অনেকেই জানেন না৷ আবার মশলা যদি একরকম হয় তাহলে তো কথাই নেই৷
যেমন মৌরি আর জিরের মধ্যে কোনটা কী, বুঝতে পারছিলেন না এক তরুণী৷ বিভ্রান্তি কাটাতে নিজের বয়ফ্রেন্ডের সাহায্য চান তিনি৷ হাতে মৌরি এবং জিরের ছবি তুলে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে পাঠান তিনি৷ জানতে চান, দুটোর মধ্যে জিরে কোনটা?
Sorry mumma main galat ladki ke sath fass gya ??? pic.twitter.com/Yy328pQFSw
— Sumit✨ (@Anteryamiiii) April 3, 2023
আরও পড়ুন: বিশ্বসুন্দরীর শিরোপা জিতেছে এই মুরগি! এর তাক লাগানো সৌন্দর্য দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না
জবাবে সঠিক ছবিটি চিহ্নিত করে প্রেমিকাকে সাহায্য করেন ওই যুবক৷ পরে প্রেমিকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তিনি৷ যা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি৷ ট্যুইটারে ওই স্ক্রিনশট পোস্ট করার সময় মজা করে ওই যুবক লেখেন, ‘সরি মা, আমি ভুল মেয়ের পাল্লায় পড়ে গিয়েছি!’
ট্যুইটারে এই পোস্ট দেখে মজা পেয়েছেন বহু মানুষ৷ আবার মৌরি এবং জিরের মতো সাধারণ মশলা সম্পর্কে তরুণীর অজ্ঞানতা দেখে অবাকও অনেকে৷ একজন তো মজা করে লিখেই দিয়েছেন, ‘তোমার মায়ে মতে তোমার অধঃপতন শুরু হয়ে গিয়েছে৷’ অন্য একজন আবার ওই তরুণীর অজ্ঞানতাকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘মশলা সম্পর্কে এইটুকু জ্ঞান তো আমারও আছে!’