Tag Archives: sundarbans

Nouka Baich: সুন্দরবনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা! দেখুন ভিডিও

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলী বিধান সভার অন্তর্গত কুলতলী থানার মেরীগঞ্জ ২ নং গ্ৰামপঞ্চয়েতের পিয়ালী নদীতে মেরীগঞ্জ সবুজ সংঘের পরিচালনায় এবছর ৪০ তম বাৎসরিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা মেরীগঞ্জ ২ নং পঞ্চয়েত থেকে পাঁচুয়াখালী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীপথে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যের নৌকা বাইচের প্রাণের উৎসব।আবহমান বাংলার চিরাচরিত লোক উৎসব নৌকা বাইচে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মেরীগঞ্জ ২ নং পঞ্চয়েত ও মেরীগঞ্জ ১নং পঞ্চয়েতের স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনা থেকে বিরাট শিক্ষা, বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সিভিক পুলিশদের জন্য বদলে গেল নিয়ম!

মনের খোরাক মেটাতে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে নদীর পাড়ের মানুষগুলো। আবালবৃদ্ধবনিতার মিলনমেলায় পরিণত হয় গোটা পিয়ালী নদীর মোহনায়। হই হুল্লুড় আর নৌকা বাইচের অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ জোগানোর মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে হাজারওমানুষজন। এ চিত্রে ছিল গোটা এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ। মাইকে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে, নেচে গেয়ে মাতোয়ারা ছিল অনুষ্ঠানস্থল।পিয়ালী নদীর মোহনায় অনুষ্ঠিত এ নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্থান হতে আগত ৫টি নৌকা। হাজারও দর্শকের ভিড়ে নদী হয়ে উঠেছে উৎসব মুখর ।পিয়ালী নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষের উত্তেজনা সবার দৃষ্টি দাঁড়বাহী নৌকার দিকে ।

আরও পড়ুন:   বজবজে নদী ভাঙন রোখার জন্য শুরু হল মেগা প্রজেক্টের কাজ

বর্তমানে যান্ত্রিক যুগে এসে অনেকেই প্রাচীন এই ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে। কথিত আছে আঠারো শতকের শুরুর থেকে গাজীপীর মেঘনা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অন্য পাড়ে থাকা ভক্তদের কাছে আসার জন্য ডাকেন। তখন নৌকা নিয়ে ভক্তদের মাঝনদীতে শুরু হয় তোড়পাড় । এতে আশেপাশের সারিসারি অজস্র নৌকা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটেযায় ।আর এ থেকেই নৌকাবাইচের গোড়াপত্তন হয়। অনেকের মতে মোঘল যুগের নবাব-বাদশাহদের আমলে নৌকা বাইচের বেশ জনপ্রিয় ছিল। নবাব বাদশাহদের নৌবাহিনী থেকেই নৌকা বাইচের গোড়াপত্তন হয় বলে মনে করছেন অনেকে। নৌকাবাইচের স্মৃতি চারণ করে জানান উদ্যোক্তা শাহাদুর শেখ বলেন বিলুপ্তির পথে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। পৃষ্ঠাপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে মেহনতি মানুষের উৎসাহ -উদ্দীপনা আর আনন্দের নৌকাবাইচ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা

Offbeat Destination in Kolkata: নামমাত্র খরচ, কলকাতার কাছেই রয়েছে নির্জনতার সেরা ঠিকানা, পুজোর ছুটিতে ঢুঁ মারুন ‘এই’ সমুদ্র-সৈকতে

এই পুজোয় ঘুরে আসুন গোবর্ধনপুরের নির্জন সমুদ্র সৈকত থেকে। যাদের ভিড় পছন্দ নয় তাদের জন্য এই সৈকত একেবারে পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।
এই পুজোয় ঘুরে আসুন গোবর্ধনপুরের নির্জন সমুদ্র সৈকত থেকে। যাদের ভিড় পছন্দ নয় তাদের জন্য এই সৈকত একেবারে পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।
পরের পুজোয় হয়ত আপনি আর এই নির্জনতা পাবেন না। তখন গোবর্ধনপুরের সঙ্গে স্থলভাগের রোরো সার্ভিস চালু হবে। তখন অনেকেই যাবে এখানে।
পরের পুজোয় হয়ত আপনি আর এই নির্জনতা পাবেন না। তখন গোবর্ধনপুরের সঙ্গে স্থলভাগের রোরো সার্ভিস চালু হবে। তখন অনেকেই যাবে এখানে।
সেইজন্য শেষবারের মতো নির্জনতা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন গোবর্ধনপুর থেকে। এখানে আপনি রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সংঘের অতিথিশালা ও একটি হোম-স্টেতেও থাকতে পারেন।
সেইজন্য শেষবারের মতো নির্জনতা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন গোবর্ধনপুর থেকে। এখানে আপনি রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সংঘের অতিথিশালা ও একটি হোম-স্টেতেও থাকতে পারেন।
এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন খোলা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত। গোবর্ধনপুরের সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা ও ১০ কিলোমিটার চওড়া।
এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন খোলা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত। গোবর্ধনপুরের সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা ও ১০ কিলোমিটার চওড়া।
সুন্দরবনের অপরূপ শোভা থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকত সবই পাবেন এখানে। এই দ্বীপের নির্জনতা বেলাভূমিকে পরিণত করছে নৈস্বর্গিক ক্ষেত্রে।
সুন্দরবনের অপরূপ শোভা থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকত সবই পাবেন এখানে। এই দ্বীপের নির্জনতা বেলাভূমিকে পরিণত করছে নৈস্বর্গিক ক্ষেত্রে।
এই বেলাভূমিতে যাওয়ার সময় আপনার চোখে পড়বে গরান, সুন্দরী, হেতালের জঙ্গল। ভাগ‍্য প্রসন্ন থাকলে নদীর চড়ে দেখা মিলবে কুমিরের।
এই বেলাভূমিতে যাওয়ার সময় আপনার চোখে পড়বে গরান, সুন্দরী, হেতালের জঙ্গল। ভাগ‍্য প্রসন্ন থাকলে নদীর চড়ে দেখা মিলবে কুমিরের।

South 24 Parganas News: কদিনের নিম্নচাপের আর ভরা কোটলে বেহালদশা সুন্দরবনের নদী বাঁধের  

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাতে দিনভর ভারী বৃষ্টির হয়েছে। যার জেরে নিম্নচাপের টানা বৃষ্টির জেরে বেহাল দশা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধের তার উপর পুর্নিমার ভরা কোটালে জল ঢুকছে নদী লাগোয়া গ্রামে। গোসাবা ব্লকের পাখিরালয়, সাতজেলিয়া, কুমিরমারি, কালীদাসপুর, বালি এলাকায় নদী বাঁধের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার জেরে এলাকার সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত।

আরও পড়ুন: চারদিকে জল থইথই, খাওয়ার জল আনতে গেলে হতে হচ্ছে নাকাল, চরম দুর্ভোগ এই এলাকার বাসিন্দাদের

ইতিমধ্যেই সেচ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছেন। রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে রয়েছে বড় বড় গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। ঝড় -বৃষ্টির জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। নিম্নচাপের কারণে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্লক প্রশাসন। ‌যদিও ঝড় বৃষ্টি কমেছে, রোদ ঝলমলে আকাশে ভরা কোটাল চোখ রাঙাচ্ছে এখনও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা

North 24 Parganas News: পড়ুয়াদের সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যে আগ্রহী করতে কর্মশালা বসিরহাট কলেজে

বসিরহাট: সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য তুলে ধরতে কর্মশালা বসিরহাট কলেজে। সুন্দরবনের জঙ্গল জীবনে বড়ই বৈচিত্র। সুন্দরবনের জলা জঙ্গল জমি রহস্যে ভরা এক প্রকৃতি। জলের কুমির ডাঙ্গায় বাঘ- এমন পরিবেশের মধ্যে জঙ্গলের পাশাপাশি বসবাস স্থানীয় জঙ্গলের ওপরে জীবন ধারণ করে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষের।

সুন্দরবন থেকে কেউ মাছ কাঁকড়া ধরেন, আবার কেউবা মধু সংগ্রহে যান, সুন্দরবন এলাকায় একটা বড় অংশের মহিলারা মীন ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি এলাকার মানুষ এবং বন্য প্রাণীর উপরে জলবায়ু পরিবর্তনের কী প্রভাব এবং তাঁদের জন্য কিভাবে বাস্তুতন্ত্র প্রভাবিত হচ্ছে তা নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী এবং কর্মশালা আয়োজিত হলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট কলেজে।

সুন্দরবন নিয়ে আয়োজিত এই কর্মশালা ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এর চেয়ারম্যান কল্যাণ রূদ্র। চারদিন ধরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী এবং কর্মশালায় শুধুমাত্র কলেজ ছাত্রছাত্রী নয়, উপস্থিত ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রীরাও। সুন্দরবন নিয়ে জানার পাশাপাশি পরবর্তীতে সুন্দরবন নিয়ে গবেষণা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় এদের। এ কর্মশালার মাধ্যমে একদিকে যেমন সুন্দরবন নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের জানার আগ্রহ বাড়ে, অপরদিকে আগামী দিনের সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র কিভাবে রক্ষা হবে তার একটি বিশেষ রূপরেখা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন একাধিক স্কলাররা।

আরও পড়ুনঃ Murshidabad News: ভগবানগোলায় হনুমানের তান্ডব! আহত ২০জনের বেশি

এছাড়া বসিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর অশোক কুমার মন্ডল জানান,”এই ধরনের প্রদর্শনী এবং কর্মশালের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন এর বৈচিত্র ও বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আগামী দিনে সুন্দরবনকে কিভাবে রক্ষা করা যাবে তা জানতে পারলছাত্র ছাত্রীরা।” সুন্দরবনে নদীর খাড়িতে মহিলা যাঁরা মীন ধরেন তাঁদের জীবন যাপন, অপরদিকে সুন্দরবনের রহস্যঘেরা জঙ্গল উদ্ভিদ বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সম্পর্কে বিশেষ চিত্র যা আলোচনা মাধ্যমে ফুটে ওঠে। উল্লেখ্য সুন্দরবনের মতো লবণাক্ত এক ফসলি জমিতে কিভাবে সহজে কৃষিকাজ করা যায়, ও এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে দিশা দেখান।

জুলফিকার মোল্লা

South 24 Parganas News: ঘূর্ণীঝড়-কোটাল বা নিম্নচাপ, বিপর্যয় এলেই আতঙ্ক সুন্দরবনের নদীপাড়ে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে প্রায় প্রতি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসে, ক্ষতি হয় বিস্তীর্ণ এলাকার। কিন্তু এই বিপর্যয় এড়াতে সারাবছর কিছু না কিছু কাজ হয়। তারপরেও বিপর্যয় আসলেই আতঙ্কে থাকতে হবে কেন? প্রশ্ন তুলছেন সুন্দরবনের মানুষজন। নিম্নচাপের জেরে সম্প্রতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তাতেই কিছু এলাকায় বাঁধে ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে নামখানার বন্দনা মন্ডল জানিয়েছেন, “বাড়ির লোক বলছে ঝড় বৃষ্টির কয়েকটা দিন অন্য কোথাও চলে যেতে। কিন্তু বাঁধ সারানোর কথা তো সারা বছর বলা হয়। কী হয় কী জানি।” বাঁধ যদি সঠিক উপায়ে সারানো হয় তাহলে ভয়ের কিছু থাকে না বলে জানিয়েছেন আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম মন্ডল, তিনি জানিয়েছেন, “বাঁধ সারানোর কথাটা এখন শুধু প্রতিশ্রুতিই থাকছে। বলা হচ্ছে করে দেওয়া হবে। কিন্তু বিপর্যয় আসলেই, আসল ছবি চোখে পড়ে।”

আরও পড়ুন:  ভাদ্র সংক্রান্তিতে ‘রান্না পুজো’! কারা, কেন এই পুজো করেন? কী কী পদ রান্না হয়? জানুন

বাঁধ যে সারানো হয় না তা কিন্তু একেবারেই নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারাবছর কাজ হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভবনা দেখা দিলে তড়িঘড়ি জেসিবি দিয়েও কাজ হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও বাঁধ ভাঙে জল ঢুকে যায় গ্রামে‌। এই সবকিছু রোধ করার জন্য চাই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। না হলে এমনটা হতেই থাকবে, সমস্যার আর সমাধান হবে না বলে মত সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। যতদিন সেই কাজ না হয় ততদিন এই দুর্বল বাঁধের দিকে তাকিয়ে আতঙ্কে থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

Agriculture News: কম জলে বেশি উৎপাদন! সুন্দরবন এলাকায় শুরু এসআরআই পদ্ধতিতে ধানচাষ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার সুন্দরবন এলাকাতেও সিস্টেম অফ রাইস ইনটেনসিফিকেশন বা এসআরআই পদ্ধতিতে ধানচাষে উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দফতর। এই এস আর আই পদ্ধতিতে এক কাঠি ধান চাষ অর্থাৎ গোছা করে ধানের চারা রোপন না করে একটা করে চারা নির্দিষ্ট দুরত্বে রোপন করা, এই পদ্ধতিতে জল লাগে কম উৎপাদন হয় অনেকটাই বেশি। ধান চাষে জলের অপচয় রোধ করতে প্রয়োজন কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন। সেজন্য এই এসআরআই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এই মেশিন থেকেই হবে লাখ লাখ টাকা আয়! দেখে নিন কী করতে হবে

আগেই এই পদ্ধতিতে চাষ করে কম জলসেচে বেশি উৎপাদনপাওয়া যায় এমন সাফল্য মিলেছে অন্যন্য জেলায়। সম্প্রতি সুন্দরবন এলাকাতেও এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দফতর। কাশীনগর এলাকায় এ নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরি মন্ডল, অমিত চক্রবর্তী ও জয়দীপ পাল ও সৌরদ্বীপ পিড়ি সহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: মিটবে কৃষকের সমস্যা! ধানক্রয় কেন্দ্রে ই-পপ যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র

কৃষক ধান বলতে মূলত আমনকেই বোঝেন। আমন ধানের চাষ বর্ষা নির্ভর। কিন্তু এরপর আরও চাষ হয়, সেই চাষে জল লাগে। দেখা গিয়েছে এক কেজি ধান উৎপাদন করতে প্রয়োজন হয় প্রায় ১৫০০ লিটার জল। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষিকাজে জলের অপচয় কমিয়ে ফেলা সম্ভব জলসেচের সামান্য পরিবর্তন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে। জলসেচের সামান্য পরিবর্তন করে জলের ব্যবহার কমিয়ে আনাই লক্ষ্য কৃষি দফতরের। সেজন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

Bangla Video: এবার সুন্দরবনের পার্কে দেখা মিলবে ডাইনোসরের! কোথায় জানুন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা রামগোপালপুরে তৈরি হচ্ছে সুসজ্জিত পার্ক। ইতিমধ্যে সেখানে হাতি, জিরাফ, ডাইনোসর, হরিণ বসানো হয়েছে। পার্কের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত রামগোপালপুরের গোপালনগর খালপাড়ে প্রায় দু কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক রামগোপালপুর ইকো ট্যুরিজম পার্ক।

প্রায় পাঁচ বিঘা জায়গার উপরে এই পার্ক তৈরি হচ্ছে। পার্কে ২০০ টি বেঞ্চ, হাতি জলহস্তী, জিরাফ সহ বিভিন্ন পশু পাখির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। মূল পার্কের মধ্যে ছোটদের জন্য আলাদা করে করা হবে চিল্ড্রেন পার্ক। পুজোর আগেই কাজ মোটামুটি শেষ হবে। তবে এটির সবকাজ শেষ হয়ে উদ্বোধন হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে‌। পার্কের কাজ শেষ না হলেও এখন থেকে অনেকেই আসছেন এখানে।

আরও পড়ুন: মার্কশিটে নম্বরে গড়মিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে জাস্টিস চাইতে হাজির কলেজ পড়ুয়ারা

এ নিয়ে স্থানীয় প্রধান সমীরন দাস জানিয়েছেন, এই এলাকার ভূমিপুত্র এবং কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সত্যব্রত মাইতির উদ্যোগে বিধায়কের সহযোগিতায় এই পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। জোরকদমে পার্ক তৈরির কাজ চলছে। আশা করা যায় পুজোর আগেই পার্ক একটি রূপ পাবে‌। পার্ক নির্মাণ নিয়ে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারাও।

নবাব মল্লিক

North 24 Parganas News: মাঠে নামে ধান রোপনে ব্যস্ত খোদ বিধায়ক! ব্যতিক্রমী ছবি সুন্দরবনে

বসিরহাট: সুন্দরবনের মাঠে নেমে ধান চাষে ব্যস্ত বিধায়ক। এ যেন অন্য এক বিধায়ক! বিধায়ক কাজ করছেন হাটুজল মাঠে। সাধারণত রাজনীতির ময়দানে নেমেই লড়াই করতে দেখা যায় বিধায়কদের। তবে সুন্দরবন অঞ্চলের এক বিধায়ককে দেখা গেল অন্য রূপে। নিজের জমির ধান রোপনে মাঠে নামলেন নিজেই। শুধু তাই নয়, নিজেই অনান্য চাষি থেকে কর্মীদের সঙ্গে সাবলিলভাবে মাঠে নেমে চাষের কাজ করছেন সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল।

সুন্দরবন এলাকায় নদী জলাজমি বেষ্টিত এলাকায় ধান চাষের পক্ষে অনুকূল। প্রতিবছর এলাকায় বড় অংশ জুড়ে ধান চাষ হয়। কৃষক পরিবারের সন্তান দেবেশ মন্ডল। কৃষি কাজই পারিবারিক পরম্পরা। ছোট থেকেই মাঠে চাষের কাজ করা অভ্যাস। ছোটবেলার অভ্যাসই এখনও ছেড়ে বেরোতে পারেননি হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক।

প্রতিমাসে বিধায়ক হিসাবে বেতন পান দেবেশ মণ্ডল। জনসাধারণের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ছুটতে হয়। প্রতিনিয়ত একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে। রয়েছে বিধায়কের নানা দায়িত্বও। সব সামলেও মাঠের কাজের দায়িত্ব সামলে নেন তিনি। সকালের দিকে অবসর সময়ে মাঠে ছোটেন তিনি। কোদাল নিয়ে ক্ষেতের পরিচর্যা করা, ফসল বোনা, ফসল তোলা- সব কাজই করেন তিনি। পরিবারের এই পেশায় সবসময় জড়িয়ে রাখেন নিজেকে। মাটির টানে তিনি ছোটেন মাঠে, দাবি বিধায়কের।

আরও পড়ুনঃ Ravindra Jadeja: অবসরের আগেই নতুন ইনিংস জাদেজার! স্ত্রীর পথে হেঁটে যোগ দিলেন বিজেপিতে

কৃষি পরিবারের সন্তান, তাই ছোট বেলা থেকেই বাবা-ঠাকুরদার হাত ধরে মাঠে কাজ করার অভ্যেস রয়েছে বলে জানান। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই রাজনীতি ও বিধানসভার কাজে দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায়। সেজন্য মাঠে যাওয়ার পরিমাণ কিছুটা কম হলেও মাটির ও মাঠের টান এখনও এতটুকু কমেনি।

জুলফিকার মোল্যা

South 24 Parganas News: বেহুলা লখিন্দরের স্মরণে সুন্দরবনের মান্দাস ভাসান উৎসব! চলে জীবন্ত সাপের প্রদর্শনী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জানেন কি প্রান্তিক সুন্দরবন এলাকায় একটি উৎসব হয় যার নাম ‘মান্দাস ভাসান’। সেখানে জীবন্ত সাপ নিয়ে চলে প্রদর্শনী। মনসা মঙ্গল কাব্যের বেহুলা-লখিন্দরের স্মরণে সুন্দরবন জুড়ে এখনো এই উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভাদ্র মাসের প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবারে এই উপলক্ষ্যে স্থানীয়রা সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের করেন। প্রাচীন বাংলার সুবিখ‍্যাত মঙ্গলকাব‍্য মনসামঙ্গলের কাহিনী অনুযায়ী বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসানোকে স্মরণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: ভুলতে দেওয়া হবে না আরজি করের ঘটনা, ডায়মন্ড হারবারের জুনিয়র চিকিৎসকরা যা করলেন ভাবা যায় না!

কথিত আছে, সাপের কামড়ে মৃত স্বামীর জীবন ফিরে পেতে বেহুলা ভেলা ভাসিয়েছিলেন নদীতে। সেই ভেলা এসে ঠেকে সুন্দরবনের নেতা ধোপানী ঘাটে। এখান থেকেই স্বর্গে গিয়ে মৃত স্বামী লখিন্দরের জীবন ফিরিয়ে আনেন বেহুলা। এই উপাখ্যানকে স্মরণ করে আজও সুন্দরবন জুড়ে বিভিন্ন নদ নদীতে চলে ভেলা ভাসান। ভেলাতে দেওয়া হয় জীবন্ত সাপ ও হাঁস। সমস্ত কিছুকে একসঙ্গে বলা হয় ‘মান্দাস ভাসান’। সুন্দরবন জুড়ে আয়োজিত হওয়া এই লৌকিক উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন: কাকদ্বীপে হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সুপারের 

মথুরাপুরের বটীশ্বরে এই ‘মান্দাস ভাসান’ উৎসব খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়। এখানে এই ‘মান্দাস ভাসান’ উৎসব দেখতে প্রায় দশ থেকে পনেরো হাজার স্থানীয় বাসিন্দা ভিড় করেন। এ ছাড়াও গাঙ্গেয় সুন্দরবনের একাধিক নদ, নদী, খালে এই মান্দাস ভাসানউৎসব চলে ভাদ্র মাস জুড়ে। এই ‘মান্দাস ভাসান’ উৎসব ভক্তি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন এবং সুন্দরবনের ঐতিহ্য গাঙ্গেয় সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস‍্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষজন মূলত এই উৎসব পালন করেন। সর্পের দেবী মা মনসাকে তুষ্ট করতে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: দেশ ছেড়ে ঘন জঙ্গলে আশ্রয়! শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী আটক সুন্দরবনে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছাত্রদের গণআন্দোলনের জেরে অস্থিরতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। এই অস্থিরতার পরিস্থিতি থেকে নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করতে বহু বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের বিভিন্ন সীমানায় গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এবার পুলিশের জালে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে শিশুসহ মোট ১১ জন বাংলাদেশের নাগরিক। এদের ঘন জঙ্গল থেকে আটক করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে প্রবেশ করেন এঁরা। এরপর প্রতিদিনের মতনই জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখতে পায় বনদফতরের কর্মীরা। এরপর বন দফতর কর্মীরা সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করলে উঠে আসে সত্যতা।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির জমা জল ছুয়েছে ট্রান্সফরমার! টানা ৭দিন বিদ্যুৎহীন মহেশতলার কিছু এলাকা

বাংলাদেশী নাগরিকরা জানান বাংলাদেশের জামাত ও বিএনপি পার্টির মধ্যে ঝামেলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তাদের এলাকাও। নিজেদের পরিবারকে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে ভারতে পৌঁছাবার জন্য দালালদের কাছে মোটা টাকার বিনিময় তারা ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। দালাল চক্রের বেশ কয়েকজন তাদেরকে নৌকায় করে বাংলাদেশের জল সীমানা পার করিয়ে ভারতবর্ষের জল সীমানার মধ্যে এসে সুন্দরবনে নামিয়ে দেন। এরপরেই বন দফতর হাতে আটক হন তারা। বন দফতরের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তুলে দেওয়া হয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে। ধৃতদের মধ্যে মোট ৫ জন শিশু ৫ জন মহিলা এবং ১ জন পুরুষ রয়েছেন। ১১ জনকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে এদের মধ্যে একজন পুরুষকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের সামনেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা! ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের 

পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে তাদের সকলের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার করেয়া থানা এলাকায়। যদিও অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে। তাদের অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা সঠিক তথ্য দিয়েছে কিনা সে বিষয়ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের অশান্ত পরিবেশে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু নদীপথে ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী এবং উপকূল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে কিভাবে অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়ল সে বিষয়ক খতিয়ে দেখছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা