দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলী বিধান সভার অন্তর্গত কুলতলী থানার মেরীগঞ্জ ২ নং গ্ৰামপঞ্চয়েতের পিয়ালী নদীতে মেরীগঞ্জ সবুজ সংঘের পরিচালনায় এবছর ৪০ তম বাৎসরিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা মেরীগঞ্জ ২ নং পঞ্চয়েত থেকে পাঁচুয়াখালী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীপথে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যের নৌকা বাইচের প্রাণের উৎসব।আবহমান বাংলার চিরাচরিত লোক উৎসব নৌকা বাইচে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মেরীগঞ্জ ২ নং পঞ্চয়েত ও মেরীগঞ্জ ১নং পঞ্চয়েতের স্থানীয় বাসিন্দারা।
মনের খোরাক মেটাতে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে নদীর পাড়ের মানুষগুলো। আবালবৃদ্ধবনিতার মিলনমেলায় পরিণত হয় গোটা পিয়ালী নদীর মোহনায়। হই হুল্লুড় আর নৌকা বাইচের অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ জোগানোর মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে হাজারওমানুষজন। এ চিত্রে ছিল গোটা এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ। মাইকে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে, নেচে গেয়ে মাতোয়ারা ছিল অনুষ্ঠানস্থল।পিয়ালী নদীর মোহনায় অনুষ্ঠিত এ নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্থান হতে আগত ৫টি নৌকা। হাজারও দর্শকের ভিড়ে নদী হয়ে উঠেছে উৎসব মুখর ।পিয়ালী নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষের উত্তেজনা সবার দৃষ্টি দাঁড়বাহী নৌকার দিকে ।
আরও পড়ুন: বজবজে নদী ভাঙন রোখার জন্য শুরু হল মেগা প্রজেক্টের কাজ
বর্তমানে যান্ত্রিক যুগে এসে অনেকেই প্রাচীন এই ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে। কথিত আছে আঠারো শতকের শুরুর থেকে গাজীপীর মেঘনা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অন্য পাড়ে থাকা ভক্তদের কাছে আসার জন্য ডাকেন। তখন নৌকা নিয়ে ভক্তদের মাঝনদীতে শুরু হয় তোড়পাড় । এতে আশেপাশের সারিসারি অজস্র নৌকা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটেযায় ।আর এ থেকেই নৌকাবাইচের গোড়াপত্তন হয়। অনেকের মতে মোঘল যুগের নবাব-বাদশাহদের আমলে নৌকা বাইচের বেশ জনপ্রিয় ছিল। নবাব বাদশাহদের নৌবাহিনী থেকেই নৌকা বাইচের গোড়াপত্তন হয় বলে মনে করছেন অনেকে। নৌকাবাইচের স্মৃতি চারণ করে জানান উদ্যোক্তা শাহাদুর শেখ বলেন বিলুপ্তির পথে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। পৃষ্ঠাপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে মেহনতি মানুষের উৎসাহ -উদ্দীপনা আর আনন্দের নৌকাবাইচ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা