Tag Archives: tea estate

Gate Meeting: তিন মাস ধরে বেতন হয়নি, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গেট মিটিং চা শ্রমিকদের

আলিপুরদুয়ার: কাজ চলছে নিয়মমাফিক, কিন্তু বেতন মিলছে না। যার জন্য উদাস্ত পরিশ্রম করেন চা শ্রমিকরা সেই বেতনই অধরা হয়ে পড়েছে। আর তাই বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় গেট মিটিং করলেন মধু চা বাগানের শ্রমিকরা।

কারও তিনমাস, আবার কারোর তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। ফলে সংসার চালাতে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন গরিব চা শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে শীঘ্রই বেতন প্রদানের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য গেট মিটিংয়ে সামিল হলেন আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মীরা। শীঘ্র বকেয়া বেতন না মিললে আন্দোলনে সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: গাছকে করুন পোষ্য! একযোগে সচেতন বার্তায় বন দফতর থেকে পুলিশ

মঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে মধু চা বাগানের কার্যালয়ের সামনে গেট মিটিং আয়োজিত হয়। এদিন মুষলধারে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় গেট মিটিংয়ে সামিল হন কয়েকশো শ্রমিক ও সাব-স্টাফ সহ অন্যান্য কর্মীরা। বেতন না পেয়ে বিপাকে পড়া শ্রমিকরা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। একই অবস্থা মধু চা বাগানের সাব- স্টাফ সহ অন্যান্য কর্মীদের। যতক্ষণ না বেতন মেটানো হবে ততক্ষণ গেট মিটিং চলবে বলে তাঁরা জানান।

অনন্যা দে

Tea Industry Crisis: ফার্স্ট ফ্ল্যাশের উৎপাদনে ধাক্কা, টানা বৃষ্টিতে সেকেন্ড ফ্ল্যাশ’ও ক্ষতির মুখে! সঙ্কটে চা শিল্প

জলপাইগুড়ি: লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। এই অতিরিক্ত বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে চা শিল্পে। কিছুদিন আগে অস্বাভাবিক গরমের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল চায়ের উৎপাদন। কিন্তু এখন আবার লাগাতার বৃষ্টিতে চা পাতায় স্বাদ সেভাবে আসছে না। ফলে চিন্তায় কপালে ভাঁজ ডুয়ার্সের চা শ্রমিক এবং বাগান কর্তৃপক্ষের। ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে ডুয়ার্সের চা শিল্প। কী হবে সুস্বাদু চা-এর ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এক সময় অনাবৃষ্টির কারণে চা শ্রমিকেরা চিন্তার মুখে পড়েছিলেন। তবে, বৃষ্টি শুরু হতেই খানিক হাসি ফুটেছিল মুখে। ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কচি সবুজ চা পাতায় ভরে উঠবে বাগান। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উত্তরের আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন এসে যাওয়ায় একটানা অতি বৃষ্টির জেরে সুস্বাদু চায়ের উৎপাদনে ক্রমশই ভাঁটা দেখা দিচ্ছে। নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে তরাই-ডুয়ার্সের বহু চা বাগান। অনাবৃষ্টির ফলে ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’ চায়ের উৎপাদনও তেমনভাবে হয়নি।

আরও পড়ুন: বাঁশের শিল্পকলার টিকিয়ে রাখতে ৩০ বছর ধরে লড়ে চলেছেন শিলিগুড়ির পরেশ

ফার্স্ট ফ্ল্যাশ-এর পাতার উৎপাদন যে কমতে চলেছে তা চা-মহল আগেই টের পেয়েছিল। প্রতিটি বাগানেই কমছিল উৎপাদিত পাতার পরিমাণ। মরসুমভিত্তিক উৎপাদনের স্বাদ এবং গন্ধের নিরিখে ফার্স্ট ফ্ল্যাশ-এর কদর বেশি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে ফার্স্ট ফ্ল্যাশ-এর এই ক্ষতি বলে দাবি চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তেরা। অন্যদিকে, সেকেন্ড ফ্ল্যাশ-এর শুরুটা ভাল হলেও বর্তমানে উত্তরবঙ্গের চা মহল্লায় নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে চা পাতার। এই পরিস্থিতিতে কবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে ডুয়ার্সের চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

সুরজিৎ দে

Leopard Caught: ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই তীব্র গর্জন! ছুটে গিয়ে চা শ্রমিকরা যা দেখলেন…

জলপাইগুড়ি: বৃষ্টি থামছেই না উত্তরবঙ্গে। এর‌ই মধ্যে জারি আছে চিতাবাঘের আতঙ্ক। এবার বৃষ্টির মধ্যেই খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার মেটেলি চা বাগানের ২২ নম্বর সেকশনে

রাতেই চা বাগানে শ্রমিকরা চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পেয়েছিলেন। অবশ্য আগে থেকেই চা বাগানের মধ্যে বন দফতরের পক্ষ থেকে খাঁচা পেতে রাখা হয়েছিল। রাতে চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পেয়ে কয়েকজন শ্রমিক চা বাগানে গিয়ে দেখেন ২২ নম্বর শেকশনে খাঁচার মধ্যে ধরা পড়েছে একটি চিতাবাঘ। তড়িঘড়ি চা বাগান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ভিমরুলের চাকে আগুন লাগাতে গিয়ে পুড়ে ছাই গোটা কারখানা

খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে নিয়ে যান। জানা গেছে চিতাবাঘটির শারীরিক পরীক্ষার পর সুস্থ থাকলে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই মেটেলি চা বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় চা বাগানের অনুরোধে খাঁচা পাতে বন দফতর। এদিকে চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে চা শ্রমিকদের মধ্যে।

Elephant Attack: মুষলধারে বৃষ্টির সুযোগে চা বাগান শ্রমিকদের বাড়ি তছনছ করল বুনো হাতি

আলিপুরদুয়ার: মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলোতে। আর তার ফলে দল বেঁধে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে বুনো হাতির দল। তেমনই একটি হাতি চা বাগানে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালাল। বুনো হাতির এই তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চা শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাধারানি চা বাগানের শ্রমিক কলোনিতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একটি বুনো হাতি। তার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তিনটি শ্রমিক আবাসন ও একটি দোকান। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে ওই বুনো হাতেটি। এরপর রাধারানি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। খাবারের লোভে প্রায় তিন ঘণ্টা গ্রামে তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় কামিল মিঞ্জ, সুভাষ মিঞ্জ, তিন্টুস এক্কা নামে তিনজন চা শ্রমিকের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি এলাকার একটি দোকানেও হানা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে হাতিটি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

আরও পড়ুন: বর্ষাকালে বিদ্যুৎ না থাকাটাই যেন এই গ্রামের নিয়ম!

এলাকার বাসিন্দারা জানান, সারারাত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই সুযোগে গ্রামে হাতি এসে তাণ্ডব চালায়। হাতির এই আক্রমণের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শ্রমিক পরিবারগুলি। এদিকে খবর পেয়ে বনকর্মীরা এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন।

অনন্যা দে

Central Dooars Tea Estate: জোড়া ভাঙনে মুছে যাওয়ার মুখে আস্ত চা বাগান!

আলিপুরদুয়ার: বর্ষার শুরু থেকেই টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে উত্তরবঙ্গে। আর তাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে এখানকার প্রতিটা নদীর জল। সেই সঙ্গে ক্রমশ তীব্র হতে শুরু করেছে নদী ভাঙন সমস্যা। বাসরা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান অতি ভারি বৃষ্টিতে সিঙ্গিঝোরার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে চা বাগানের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে জল।

ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে জল বৃদ্ধি পেয়েছে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা নদী বাসরায়। সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানটি ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। যার ফলে শুধুমাত্র নদী নয়, ঝোরাগুলির জলস্তর‌ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে বাসরা নদীর গ্ৰাসে চলে গিয়েছে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের ৮০ হেক্টর জমির চা গাছ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চা বাগানের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: পুরসভাতেই চালু প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, অর্ধেক খরচে যাবতীয় পরীক্ষার সুযোগ

এই বিষয়ে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের ম্যানেজার শান্তনু বসু জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে যদি কোন‌ও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এই চা বাগানকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এই বছর বর্ষাতেই ধ্বংস হয়ে যাবে যাবতীয় চা গাছ।

এছাড়াও সিঙ্গিঝোরা নদীতে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের যে পানীয় জলের প্রকল্প ছিল তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় মেশিন বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে চা বাগানে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট শুরু হয়েছে।

অনন্যা দে