Tag Archives: Train Accident

Train Accident: ফের রেল দুর্ঘটনা! দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেল চলন্ত ট্রেন, আতঙ্কে কাঁটা যাত্রীরা

ফের দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা। রবিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ফিরোজপুর থেকে ধানবাদগামী কিসান এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।

ফিরোজপুর থেকে ধানবাদ যওয়ার পথে কিসান এক্সপ্রেসের ২২টির মধ্যে ১৩ কামরা আলাদা হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলায়। কাপলিং ভেঙে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ভোরবেলায় এই ঘটনা ঘটলেও অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে যেই কোচগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেখানকার যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।

আরও পড়ুন: মাঝরাতে জেলের মধ্যে পায়চারি, রবিবার পলিগ্রাফ টেস্টের আগেই মুখ খুলল সঞ্জয়?

চলন্ত অবস্থায় কামরাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে ৮টি কামরা এবং ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি কিছু দূর এগিয়ে যায়। আর গার্ডে কামরা সমেত মোট ১৩টি কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে। কোচগুলিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন এমন যাত্রীও ছিলেন। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, প্রচুর যাত্রী বিপাকেও পড়তে পারতেন।

আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড, ১০ দিন ধরেও টাকা গোনা শেষ হয়নি! কত নগদ উদ্ধার হয় জানেন?

রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী হতাহত হননি। দুর্ঘটনাটি নজরে আসার পরে দ্রুত ট্রেনের চালক এবং পুলিশে খবর দেন ট্রেনটির গার্ড। রেল এবং পুলিশকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারটি বাসে করে যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দেন।

Train Fire: ফের আগুন আতঙ্ক ট্রেনে! কামরার নীচ থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, হাওড়া-তারকেশ্বর মেইন লাইনে বিপত্তি

কামারকুণ্ডু: ফের আগুন আতঙ্ক ট্রেনে। ট্রেনের কামরার নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্ক ছড়ালো হাওড়া-তারকেশ্বর মেইন লাইন শাখার কামারকুণ্ডু স্টেশনে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি হাওড়া থেকে তারকেশ্বর যাওয়ার পথে কামারকুণ্ডু স্টেশনে দাঁড়াতেই ট্রেনের একটি বগির নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

ট্রেনে ধোঁয়া দেখা মাত্রই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপরই রেল কর্মীরা এসে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করেন। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কামারকুণ্ডু স্টেশনে ট্রেনটি প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেনটি এগারোটা নাগাদ তারকেশ্বরে পৌঁছায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

কিন্তু কীভাবে লাগল এই ধোঁয়া? রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ব্রেক শু থেকে আগুনের ফুলকি থেকেই ধোঁয়া বের হয়। রেল কর্মীরা দ্রুত ত্রুটি সারিয়ে ফেলেন। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। যান্ত্রিক ত্রুটি সরানোর পর ট্রেনটি তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বারবার রেল দুর্ঘটনায় রেলযাত্রা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যাত্রীদের।

রানা কর্মকার

Train accident in West Bengal: ফের রাজ্যে ট্রেন দুর্ঘটনা! বজবজে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল চলন্ত মালগাড়ির কামরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

ফের ট্রেন দুর্ঘটনা রাজ্যে। বজবজ-শিয়ালদা লাইনে বেলাইন হল মালগাড়ি, তবে একটুর জন্য বড়সড় রেল দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রেল।
ফের ট্রেন দুর্ঘটনা রাজ্যে। বজবজ-শিয়ালদা লাইনে বেলাইন হল মালগাড়ি, তবে একটুর জন্য বড়সড় রেল দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রেল।
সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। ফের আরও একটি বড়সড় রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বজবজ-শিয়ালদহ লাইনে চলন্ত মালগাড়ি।
সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। ফের আরও একটি বড়সড় রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বজবজ-শিয়ালদহ লাইনে চলন্ত মালগাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বজবজ থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে নুঙ্গি স্টেশনের কাছে চলন্ত মালগাড়ির বগি খুলে আলাদা হয়ে যায়। এই ভাবে ট্রেনের বগি খুলে আলাদা হয়ে যাওয়ায় ফলে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় বজবজ শিয়ালদহ শাখায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বজবজ থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে নুঙ্গি স্টেশনের কাছে চলন্ত মালগাড়ির বগি খুলে আলাদা হয়ে যায়। এই ভাবে ট্রেনের বগি খুলে আলাদা হয়ে যাওয়ায় ফলে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় বজবজ শিয়ালদহ শাখায়।
এই ঘটনায় বজ বজ শিয়ালদা শাখায় রেল চলাচল বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। যদিও পরে রেল পুলিশ ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটো মালগাড়ির বগি মেরামতি করে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
এই ঘটনায় বজবজ শিয়ালদহ শাখায় রেল চলাচল বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। যদিও পরে রেল পুলিশ ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটো মালগাড়ির বগি মেরামতি করে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
যদিও এই ঘটনায় কোনও আহতের খবর নেই, তবে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পর এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
যদিও এই ঘটনায় কোনও আহতের খবর নেই, তবে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পর এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

Train Accident: ১০০০ যাত্রী নিয়ে ছুটছিল ধর্মনগর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার, ট্র্যাকে বাধা! লোকো পাইলট যা করলেন অভাবনীয়!

আগরতলা: ত্রিপুরায় প্রতিকূল আবহাওয়া এবং অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে, রেলওয়ে লোকো পাইলট, লোকো ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং স্টেশন কর্মীদের সতর্কতার মাধ্যমে রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন ২১.০৮.২০২৪ তারিখে, লোকো পাইলট শ্রী আর.এন. কুমার এবং সহকারী লোকো পাইলট শ্রী সুরজিৎ দেবনাথ ট্রেন ০৫৬৭৬ আপ ধর্মনগর – আগরতলা প্যাসেঞ্জার স্পেশ্যালে কর্মরত সময়ে একটি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করেন। ট্রেনটি প্রায় ১০০০ যাত্রী নিয়ে বারামুড়া পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। তেলিয়ামুড়া স্টেশন পার হওয়ার পর লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট-এ সকাল ১০-১০ টায় আগরতলা থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে কি.মি. ১৪৯/০২-এ হঠাৎ রেলপথে বাধা লক্ষ্য করেন।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে গোয়েন্দাদের নজরে সন্দীপ ঘোষ, এবার গোপন জবানবন্দির তোড়জোড় CBI-এর

তাঁরা কোনও সময় নষ্ট না করেই জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেয়। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনে তাঁরা লক্ষ্য করেন যে পাশের পাহাড়ি ঢাল থেকে বিশাল ভূমিধস হচ্ছে, যেখানে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর কাদা ও গাছ রয়েছে। সেই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায়, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বরিষ্ঠ আধিকারিকের কাছে ফোনে পরিস্থিতি বিষয়ে অবগত করেন। যথাসময়ে জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করে যাত্রী ভর্তি ট্রেনটিকে ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষের প্রায় ১০০ মিটার আগে থামতে সক্ষম হন।

আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

একই রকমের আরেকটি ঘটনায়, তেলিয়ামুরা এবং জিরানিয়া স্টেশনের মধ্যে কিমি. ১৪৬/১-২-এ রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর গাছ পড়ে রেলপথ অবরোধের খবর পাওয়ার পর ট্রেন নং. ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে কিমি. ১৪৬/৮-এ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বন্যার জন্য ত্রিপুরার একাধিক বন্যাক্রান্ত অঞ্চলের জনগণ নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই বন্যার সময় বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য উদয়পুর এবং অন্যান্য স্টেশন নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্টেশনগুলিতে বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত ওয়েটিং রুম, শৌচালয় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সহ বন্যাক্রান্ত এই মানুষগুলির জন্য দিন রাত ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ঘুরে না আসা পর্যন্ত স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণ করা বন্যাক্রান্ত মানুষদের পাশে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে রয়েছে।​

ট্র্যাকের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিত ভূমিধসের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন পরিচালনের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিহত করতে সীমিত গতির সঙ্গে ট্রেনগুলি পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করা হচ্ছে। লোকো পাইলট, গার্ড, ট্র্যাকম্যানদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ট্র্যাকের পাশে যে কোনও ধরনের বাধা-বিপত্তির জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তিতে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আবীর ঘোষাল

Sabarmati Express Derailed: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা ! ১৩০০ যাত্রী নিয়ে কানপুরের কাছে লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেস

কানপুর: রেল দুর্ঘটনা যেন এখন প্রায় প্রতিদিনকার ঘটনা ৷ শনিবার সকাল সকাল ফের রেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ উত্তর প্রদেশের কানপুরের কাছে বেলাইন হয় বারাণসী থেকে আহমেদাবাদগামী ১৯১৬৮ সবরমতী এক্সপ্রেস ৷ ওই ট্রেনে মোট ১৩০০ যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এদিন রাত ২.৩০ মিনিট নাগাদ কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে ট্রেনের অন্তত ২২টি বগি লাইনচ্যুত হয় বলে জানা গিয়েছে ৷

বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইঞ্জিনের ৷ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন। তবে দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর আপাতত নেই বলেই জানিয়েছে রেল।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৭ অগাস্ট: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী ট্রেন। সবরমতী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বাসে কানপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর ওই লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চলছে, জানিয়েছে রেল।

এই নিয়ে গত কয়েক মাসে একাধিক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটল ৷

Train Accident: ফের রেল দুর্ঘটনা, মালদহে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! লাইনচ্যুত হয়ে গেল মালগাড়ির পাঁচটি বগি

মালদহ: ফের রেল বিভ্রাট। মালদহে লাইনচ্যুত মালগাড়ি। হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ ব্লকের কুমেদপুর এলাকায় মালগাড়ি লাইনচ্যুত। এনজেপি থেকে কাটিহার যাওয়ার পথে কুমেদপুরে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে পাঁচটি বগি। এই নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কাটিহার ডিভিশন থেকে রেলের আধিকারিকরা রওনা দিয়েছেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন রাঙাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। সেই ঘটনায় মালগাড়ির চালকসহ অন্তত ১০জনের মৃত্যু হয়েছিল। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে সেই জায়গাতে ফের ঘটেছিল দুর্ঘটনা। চক্রধরপুর এলাকায় মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস। দু’জন যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন একাধিক জন। বারবার রেলপথে এরকম অঘটন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর, জারি বিজ্ঞপ্তি! অনুমোদন মিলে গেল রাজ্যপালেরও

ওই দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়া রাঙাপানি এলাকায় আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল আজ। ছয় সপ্তাহ আগেই সেখানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল। যা ঘটছে, তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত।’ এবার আবার সেই উত্তরবঙ্গেরই মালদহে লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি।

এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, গল গল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া

একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিপাকে রেল যাত্রীরা। দেশজুড়ে একের পর এক দুর্ঘটনায় রেলযাত্রা কার্যত আতঙ্ক যাত্রায় পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগেই বড়সড় রেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশে সাহারানপুরে। লাইনচ্যুত হয় দিল্লি-সাহারানপুর যাত্রীবাহী টেনের ২টি কামরা। সূত্রের খবর গত ১৮ দিনে এই নিয়ে ১০টি রেল দুর্ঘটনা ঘটল দেশের নানা প্রান্তে।

এর মাঝেই আবার ট্রেন নিয়ে আতঙ্ক বীরভূমে। যাত্রীবাহী দূরপাল্লা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগায় আতঙ্কিত রেল যাত্রীরা। ট্রেনের কামরার চাকা থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কারণে আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Train Accident: আটকাবে ট্রেন দুর্ঘটনা! দেশীয় প্রযুক্তিতে সেন্সর তৈরি করল দুর্গাপুরের যুবক! কীভাবে কাজ করছে? জানুন

দুর্গাপুর: বিগত কয়েক মাসে একাধিক বড় বড় রেল দুর্ঘটনার ছবি দেখেছেন দেশবাসী। এমন অবস্থায় রেল যাত্রা কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আর এসব নিয়ে যখন গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড়, তখন অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন দুর্গাপুরের এক যুবক। যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলা করা যার নেশা। তিনিই এবার বানিয়ে ফেললেন অদ্ভুত এক সেন্সর।

দুর্গাপুরের দুবচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছোটন ঘোষ মনু। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানিয়ে সকলের নজর কেড়েছেন। এ বার তিনিই তৈরি করে ফেলেছেন রেল দুর্ঘটনা রোধ করার মতো এক সেন্সর। চৌম্বকীয় ক্ষেত্র অর্থাৎ ম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে কাজ করবে এই সেন্সর। যার ফলে দুটি ট্রেনের কখনও মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। এমনকি নিজের প্রজেক্টের ডেমো দিয়ে দেখেছেন পুরো বিষয়টা।

আরও পড়ুনঃ বোলপুর গেলেও ‘এই’ জায়গাটা মিস হয়ে গিয়েছে নিশ্চই? ১৫ অগাস্টের ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন এই রাজবাড়ি

এই সেন্সর তৈরি করতে তিনি চুম্বকের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জিনিস ব্যবহার করেছেন। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তিনি এই সেন্সর তৈরি করেছেন। যেখানে দুটি ট্রেন মুখোমুখি কাছে এলেই কাজ শুরু করবে সেন্সরটি। ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে এই সেন্সর তখন ইঞ্জিনের পাওয়ার বন্ধ করে দেবে। ফলে ট্রেন দাঁড়িয়ে যাবে। এই সেন্সরের সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন ABS অর্থাৎ অটো ব্রেকিং সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামিয়ে দেবে।

ছোটন বলছেন, পরপর একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা দেখে তিনি এই প্রজেক্ট তৈরির কথা ভাবেন। কিন্তু সেন্সর তৈরি করতে বেছে নেন দেশীয় প্রযুক্তি। তাতেই এসেছে সফলতা। তিনি দাবি করছেন, বিভিন্ন নামিদামি সেন্সর অনেক সময় বালি, কাদা লাগার কারণে কাজ করে না। কিন্তু তার তৈরি এই সেন্সর যে কোনও অবস্থাতে কাজ করবে। তার এই উদ্যোগ দেখে খুশি শহরের মানুষ। অবাক তার প্রতিভা দেখে। অনেকেই বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে দুর্গাপুরে তৈরি এই সেন্সর ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে যুগান্তকারী হতে পারে।

নয়ন ঘোষ

Howrah Mumbai Mail Accident Update: প্রবল ঝাঁকুনি-অন্ধকার ট্রেনে ধোঁয়া! দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-মুম্বই মেলে কীভাবে বাঁচলেন নূর ও তোফিক? শিউরে উঠবেন

হাওড়া: তখন গভীর ঘুমে যাত্রীরা, হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনি। উপর থেকে নিচে পড়ে মাথায় আঘাত! চোখ খুলতেই হৈ হৈ কাণ্ড ট্রেনের মধ্যে, চারিদিকে ধোঁয়া। ট্রেনের প্রায় সকল যাত্রী ঘুমে তখন মগ্ন। তখন ঘড়িতে ৩.৪৫ হবে। সকাল হতে তখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি। ভোররাতে ঝাড়খণ্ড চক্রধরপুর রেলওয়ে বাদাবাম্বুর কাছে হাওড়া সিএসটিএম ট্রেন দুর্ঘটনা।

হাওড়া থেকে ছেড়ে মুম্বই যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে ১২৮১০ হাওড়া ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে চেপেই মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পশ্চিম বাউড়িয়ার বাসিন্দা নূর এবং তোফিক।
হঠাৎ ঝাঁকুনিতে উপরের সিট থেকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই নিচে পড়েন নূর মল্লিক ও তোফিক মল্লিক। হয়তো জীবন এখানেই শেষ। এক সময়, এমনটাও মনে হয়েছিল তাঁদের।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিচ্ছেন! বিয়ার খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল বিশেষজ্ঞের মত

অন্ধকারাচ্ছন্ন চারিদিক ধোঁয়া, চারিদিক হই হই কাণ্ড। তখনও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি, কোনও রকমে প্রাণ বাঁচাতে নিজেরাই টেনে হিঁচড়ে বের হওয়া। মাথায় চোট পান দুজনেই। কিছু সময় পর পরিবারে খবর দেন। আর মুম্বই নয়, জীবন বাঁচলে অনেক কাজ হবে। একথা ভেবে ছেলেদের ঘরে ফেরার বার্তা দিয়েছেন ছেলেদের মা। দুর্ঘটনার খবর শুনে পরিবার দারুণ চিন্তায় ছিল দু’দিন।

আরও পড়ুন: বাড়িতে শেষ কথা রাত ১০টায়, পরে ঘুমন্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা! সেদিন হাওড়া-মুম্বই মেলে ছিলেন মালদহের ৩ ফলবিক্রেতা

চিন্তার অবসান ঘটে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে। একই পরিবারের দুইজনের ট্রেন যাত্রী নূর ও তোফিক। মাথায় সজোরে আঘাত, চোখ খুলতে যে দৃশ্য দেখলে তার জন্য মোটেও আন্দাজ করতে পারেননি হাওড়ার পশ্চিম বাউড়িয়ার তোফিক মল্লিক এবং নূর হাসান। দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে যেন স্বস্তি পেয়েছে পরিবার।

রাকেশ মাইতি

Ashwini Vaishnaw on Rail Accident: ‘মমতার আমলে রেল দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে যাঁরা টেবিল বাজাতেন, এখন তাঁরা…’, বেনজির আক্রমণ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

নয়াদিল্লি: দেশে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা। ধারাবাহিক দুর্ঘটনার জেরে কোটি কোটি মানুষের মনে ট্রেনযাত্রায় আশঙ্কা-আতঙ্ক। বাজেটের পরে দুর্ঘটনা নিয়ে লোকসভায় মুখ না খুলে বুলেট ট্রেনের স্তুতি করায় বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তবে বৃহস্পতিবার যেন সুধে-আসলে পাল্টা আক্রমণে নামলেন রেলমন্ত্রী।

লোকসভায় জোরদার ভাষণে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমল তুলে এনে খোঁচা তো দিলেনই, পাশাপাশি ৫৮ বছরের কংগ্রেস জমানাকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘যাঁরা চিৎকার করছেন, তাঁরা কেন এক কিলোমিটার যাত্রা করা ট্রেনেও অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন চালু করতে পারেননি?’

আরও পড়ুন: বাড়িতে শেষ কথা রাত ১০টায়, পরে ঘুমন্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা! সেদিন হাওড়া-মুম্বই মেলে ছিলেন মালদহের ৩ ফলবিক্রেতা

বাজেট অধিবেশনে শেষ কয়েকদিন পর পর রেল দুর্ঘটনার কথার বদলে অশ্বিনী বৈষ্ণবের মুখে কেবলমাত্র বুলেট ট্রেনের স্তুতি শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিন তারই পাল্টা রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা এখানে চিৎকার করছেন, তাঁরা ৫৮ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন এক কিলোমিটার যাত্রা করা ট্রেনে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন চালু করতে পারেননি? এই প্রশ্ন তুলতে তাঁরা ভয় পান।’

আরও পড়ুন: কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ! ৩ জেলায় মুষলধারে নামবে বৃষ্টি, আবহাওয়ার বড় খবর

রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমল টেনে অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, ‘যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ছিলেন, উনি দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে বলতেন ০.২৪ থেকে কমে হার হয়েছে ০.১৯। তখন তা শুনে এখানে এঁরা টেবিল বাজাতেন। আজ যখন দুর্ঘটনার হার ০.১৯ থেকে কমে ০.০৩ হয়েছে তখন এরা দোষ দিচ্ছেন। এভাবে দেশ চলে? ট্রোল আর্মির সাহায্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে অভিযোগ তুলেই চলেছে কংগ্রেস। এঁরা কি ২ কোটি ভারতবাসী যাঁরা ট্রেনে রোজ যাতায়াত করেন, তাঁদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চাইছেন?’