![সরস্বতী পুজো এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডে যে শুধুমাত্র পড়েছে তা নয়, দেশের জন্য ব্ল্যাক ডে'ও আজ। ব্ল্যাক ডে হিসেবে আজ দিনটা পালন করা হচ্ছে দেশজুড়ে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122743_34740-1665194539_copy_1200x900_watermark_14022024_132121.jpg)
![আজকের দিনটা দেশজুড়ে ব্ল্যাক ডে পালন করা হয় কারণ ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪০ জন জওয়ান।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_Polish_20240214_130320495_copy_1200x900_watermark_14022024_132148.jpg)
![মূলত সেই বীর সেনা জওয়ানদের স্মরণ করতেই এই দিনটি দেশজুড়ে ব্ল্যাক ডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। কোচবিহারেও দিনটি পালন করা হল একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122821_490401569974827_copy_1200x900_watermark_14022024_132213.jpg)
![এদিন কোচবিহারের সাগরদিঘি চত্বরে আয়োজন করা হয় শহিদ জওয়ান স্মরণ সভা। জঙ্গি হামলায় নিহত বীর সেনা জওয়ানদের ছবি লাগানো হয় বড় করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122830_05940-475303854_copy_1200x900_watermark_14022024_132241.jpg)
![সেই সেনা জওয়ানদের ছবিতে মালা দিয়ে, সামনে মোমবাতির জ্বালিয়ে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় কোচবিহারের পথ চলতি বহু মানুষ।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122648_37640-230616971_copy_1200x900_watermark_14022024_132305.jpg)
![ভালোবাসার এই দিনটিতে ৪০টি পরিবার তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে চিরদিনের জন্য। সেই সকল পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122835_49240-1559542192_copy_1200x900_watermark_14022024_132345.jpg)
![সকলকে বোঝানো হয় ভালোবাসার এই দিনটিকে কীভাবে রক্তাক্ত করে তোলা হয়েছিল। জঙ্গিদের হিংসাত্মক মানসিকতা কতটা ভয়াবহ।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/4073637_HYP_0_IMG_20240214_122437_52640-1590819270_copy_1200x900_watermark_14022024_132417.jpg)
উত্তর ২৪ পরগনা: ভালোবাসার দিনে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল ২০ জোড়া ভালোবাসার পাখি। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যান অনেকেই। পার্ক, সিনেমা, রেস্তোরাঁ সহ একাধিক জায়গায় প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। সেই দিনই ২০ জোড়া লাভ বার্ড ধরা পড়ল বিএসএফ জওয়ানদের হাতে।
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনায় সুন্দরবনে বারোয়ারি পুজো
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের তারালি সীমান্ত দিয়ে চল্লিশটি লাভ বার্ড নিয়ে বাংলাদেশের যাওয়ার চেষ্টা করছিল পাচারকারী। ঠিক সেই সময় বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারালি সীমান্ত থেকে ওহিদুল শেখ নামে বছর ৪৫-এর বাংলাদেশি যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করে। ধৃত পাচারকারীর বাড়ি বাংলাদেশে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সে ভিন রাজ্য থেকে ওই পাখিগুলো নিয়ে এসে বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৪০ টি লাভ বার্ড বসিরহাট বনদফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা।
জুলফিকার মোল্যা
উত্তর ২৪ পরগনা: ভ্যালেন্টাইন ডে তে এবার শুধু ফুল নয়, প্রেম নিবেদনের জন্য প্রিয় মানুষকে গোলাপ সহ আস্ত টব উপহার দিতেই চাইছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদনের জন্য দরকার হয় গোলাপের। তাই এই দিনটিতে চাহিদা বাড়ে বাহারি গোলাপ ফুলের। লাল, গোলাপী, হলুদ, সাদা বাহারি গোলাপ ফুল কিনতে তাই ভিড় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন ফুলের দোকানে। তবে এবার ফুলের পাশাপাশি গোটা গাছের চাহিদাও বেশ ভালই বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন নার্সারীর মালিকেরা।
অনেকেই চাইলেন টব সমেত প্রিয়তমাকে গোলাপ ফুল উপহার দিতে। যাতে সারাবছর ভালবাসার ফুল পায় প্রেয়সী। ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ চারা। টব সমেত নিলে আরেকটু বেশি দাম পড়ছে। ভ্যালেন্টাইন ডে কে সামনে রেখে যশোর রোডের পাশে গুমা এলাকার বিভিন্ন নার্সারিতে তাই এখন গোলাপ গাছ কিনতে ভিড় যুবক-যুবতীদের।
আরও পড়ুন: এমন টোটো কেউ দেখেনি! টোটো চালকের কাণ্ড দেখুন! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
এখানকার নার্সারী মালিকদের দাবি, ভালবাসার সপ্তাহে প্রতি দিন প্রায় ৫০০ পিস করে বিক্রি হচ্ছে গোলাপের চারা। সারাবছর গাছের চাহিদা থাকলেও, প্রেম দিবস উদযাপনে অনেকাংশেই বেড়েছে গোলাপ গাছের চাহিদা। টব সমেত গোটা গোলাপের চারা বিক্রি করে তাই রীতিমতো হাসি ফুটছে বিক্রেতাদের মুখে। ক্রেতারাও জানালেন, শুধু গোলাপ ফুল দিলে কিছুদিন থাকার পরই নষ্ট হয়ে যাবে সুন্দর ফুলটি। তবে গাছ সমেত থাকলে একটি নয়, এরকম অনেক ফুলই ফুটবে প্রিয়তমার আঙিনায়। আর সেই কারণেই গোটা গোলাপ গাছ কেনার হিড়িক পড়েছে ভালবাসার স্মৃতি চিহ্ন কে আরও সতেজ রাখতে।
Rudra Narayan Roy
শিলিগুড়ি: প্রেম দিবস উদ্যাপনের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা সেজে উঠবে ভালবাসার ‘লাল’ রঙে। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বোঝাতে প্রেমিক-প্রেমিকারা অনেক সময় অভিনব পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন। একসময় চিঠি লিখে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ছিল খুবই সাধারণ। কেউ কেউ প্রবল ভালবাসা বোঝাতে নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন। আজকাল প্রেমিক বা প্রেমিকাকে শুধু মনে নয়, শরীরেও চিরস্থায়ী জায়গা করে দিতে ট্যাটু করান অনেকেই।
কেউ সঙ্গীর নাম খোদাই করেন শরীরে, কেউ তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো ভালোবাসার চিহ্ন। এবার তাই প্রেমিক যুগলদের কথা ভেবে বিশেষ অফার নিয়ে আসল শিলিগুড়ির একটি ট্যাটু সংস্থা ‘সি কে ট্যাটু।’
আরও পড়ুন – Indian Captain Passed Away: প্রাক্তন অধিনায়কের প্রয়ান, শোকের আবহ ক্রিকেট মহলে
সেবক রোডের একটি বেসরকারি শপিংমলে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে বসেছে ফ্লি মার্কেট। ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মার্কেট। সেই মার্কেটে নানা ধরনের স্টল নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন বিভিন্ন দোকানিরা। তার মধ্যেই বিশেষ আকর্ষণীয় সি কে ট্যাটুর এই ট্যাটু স্টল। বিভিন্ন রকমের ফ্ল্যাশ ট্যাটু তারা মাত্র ৫০০ টাকাতেই করে দিচ্ছেন। এছাড়াও ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রেমিক যুগলদের জন্য তারা নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। এই বিশেষ দিনে প্রেমিক প্রেমিকারা একসঙ্গে যদি ট্যাটু তৈরি করেন, তাহলে তাদের জন্য থাকবে বিশেষ ছাড়।
ট্যাটু আর্টিস্ট প্রতীক রাই বলেন, ‘‘আমি দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে এই ট্যাটু ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু বানিয়ে থাকি আমাদের স্টুডিওতে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে এখানে তিনদিনের ফ্লী মার্কেট বসেছে। যেহেতু এই দিনটি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য তাই তাদের কথা ভেবে এই তিনদিন ট্যাটু তৈরিতে বিশেষ অফার দিচ্ছি আমরা।’’
তিনি আশাবাদী বহু মানুষ ট্যাটু তৈরি করতে তাদের এখানে আসবেন ভালোবাসার দিনে নিজের পছন্দের মানুষকে ভালো উপহার দিতে হলে এটি কিন্তু দারুন সুযোগ। তাই দেরি না করে ট্যাটু বানাতে চলে আসতে হবে এই ঠিকানায়।
Anirban Roy
কলকাতা: ফেব্রুয়ারি মাস ভালবাসার মাস। ‘বসন্ত এসে গেছে…’ গেয়ে ওঠার মাস। ‘ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ’ বলে কথা। সঙ্গীকে গোলাপ, টেডি, চকোলেট দিয়ে মনের কথা বলার এটাই তো সময়। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এমন রঙিন মুহূর্ত বারবার আসে না।
কিন্তু ‘ভ্যালেন্টাইন উইকে’ সব প্রেমই যে সফল হয় এমনটা নয়। অনেককেই পছন্দের মানুষের কাছ থেকে ‘না’ শুনতে হয়। ভেঙে চুরমার হয় মন। তবে জ্যোতিষে বিশ্বাস থাকলে মনের মানুষকে মনের কথা বলার আগে শুভ সময় দেখে নেওয়া ভাল।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে শারীরিক মিলনের আগে ও পরে প্রস্রাব করা উচিত, জানুন চিকিৎসকের মত
১৪ ফেব্রুয়ারি শুভ যোগও রয়েছে: দেওঘরের পাগল বাবা আশ্রমের মুদগল জ্যোতিষ কেন্দ্রের বিখ্যাত জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল বলেন, প্রত্যেক প্রেমিক, প্রেমিকাই ফেব্রুয়ারির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। কারণ ভ্যালেন্টাইন উইক। ৭ দিনের এই সপ্তাহ কোনও উৎসবের চেয়ে কম নয়। সনাতন ধর্মে যেমন প্রত্যেক উৎসবের শুভ সময় দেখা হয়, তেমনই মনের মানুষের সঙ্গে দেখা করা বা মনের কথা বলারও শুভ সময় রয়েছে।
শুভ সময় মেনে কাজ করলে সাফল্যের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি খুব শুভ দিন। অনেকগুলো যোগ একসঙ্গে তৈরি হচ্ছে। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারির বিশেষ সময়ে যদি কেউ নিজের মনের কথা সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে জানান তাহলে অবশ্যই সফলতা মিলবে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে না পড়ে জীবনকে চাঙ্গা করুন, বিদেশে এই ফুলকে ‘ইন্ডিয়ান ভায়াগ্রা’ বলে! বসন্তকালেই মেলে, জানুন
শুভ সময় শুরু হচ্ছে কখন: ফেব্রুয়ারি ৭ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ভ্যালেন্টাইন উইক। এই সাত দিনের মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে শুভ। এই দিনে সঙ্গীকে প্রপোজ করলে অবশ্যই সফলতা মিলবে বলে মনে করেন মুদগল জ্যোতিষ কেন্দ্রের পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল।
শুধু তাই নয়, সম্পর্কও আগের চেয়ে দৃঢ় হবে। এই দিনে অমৃত যোগ, রবি যোগ, শুক্লযোগের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আবুজ মুহূর্ত। বহু বছর পর ১৪ ফেব্রুয়ারি এমন কাকতালীয় যোগ তৈরি হচ্ছে। জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগলের পরামর্শ হল, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টের পর শুভ সময়। তখনই সঙ্গীকে প্রেম নিবেদন করতে হবে।
পশ্চিম বর্ধমান: হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই বিদ্যার দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে বঙ্গবাসী। তবে এবার পরীক্ষা আর ভালোবাসা দিবসের জোড়া ফলায় বাগদেবীর আরাধনায় যেন অনেকটাই ভাটা পড়েছে।
আরও পড়ুন: কোনক্রমে গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে নেমেই প্রাণপণে দৌড় চালকের, একটুর জন্য বেঁচে গেলেন
এবার ঘটা করে পুজোর বদলে নমো নমো করেই পুজো সারতে চাইছেন অনেকে। নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ। তার ফলেই বিদ্যারদেবীর সঙ্গে কম্প্রোমাইজের রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা। টিনেজাররাও কিছুটা দোলাচালে রয়েছে এখনও। একদিকে সরস্বতী পুজোর নস্টালজিয়ার টান আর অন্যদিকে ভালোবাসা দিবসের আবেগ, দুইয়ে মিলে তারা কোন দিকে যাবে পুরোপুরি যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
সদ্য শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু সামনেই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক। ফলে পড়ুয়ারা মনোনিবেশ করেছে পড়াশোনার দিকেই। তাই বিদ্যাদেবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে পুজোর জাঁকজমক কমিয়েছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপে কাটানোর জন্য যে সময় এতদিন বরাদ্দ ছিল সেখান থেকেও কাটছাঁট হয়েছে। যে কারণে অনেক উদ্যোক্তা পুজোর বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন। বড় মূর্তির বদলে নিয়ে গিয়েছেন ছোট মূর্তি। নিয়ম রক্ষার পুজো করেই এই বছরটা অনেক উদ্যোক্তারা কাটিয়ে দিতে চাইছেন।সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট করা হয়েছে। পড়ুয়াদের যাতে পরীক্ষার আগে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই সব বিষয়গুলি মাথায় রেখে বিদ্যার দেবীর আরাধনায় নেওয়া হয়েছে কম্প্রোমাইজের চিন্তাভাবনা।
সরস্বতী পুজোয় পরীক্ষার সঙ্গে দোসর হয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। অনেকেই ঠিক করতে পারছেন না, ওইদিন পুজোর আয়োজনে সময় কাটাবেন, নাকি প্রিয়জনকে নিয়ে বাইরে একটু ঘুরতে যাবেন। দোলাচালের মধ্যে থেকেই অনেক উদ্যোক্তা পুজোর জন্য বরাদ্দ সময় কমিয়েছেন। নিয়ম রক্ষার পুজো করে পরিকল্পনা রাখছেন আগামী বছর জাঁকজমকের জন্য। চলতি বছরে সরস্বতী পুজোর জৌলুস কমার এটাও অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আসানসোলের মহিশিলার এক মৃৎশিল্পী তুষার পাল বলেন, চলতি বছরে প্রতিমার চাহিদা কিছুটা কমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বড় প্রতিমার চাহিদা। বড় বড় ক্লাব যেগুলি জাঁকজমক সহকারে পুজো করে, তারা এ বছর উৎসবে কাটছাঁট করেছেন। বাজেটের থেকেও এখানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়োজকদের সঙ্গে পাওয়া। কারণ পরীক্ষার সময় রয়েছে। তার ফলে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নয়ন ঘোষ
পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: কথায় বলে সত্যি যদি আপনি কাউকে ভালবাসেন সে ক্ষেত্রে কখনও কোনও প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। মানসিক শক্তি ও প্রকৃত ভালবাসার অদম্য জেদ যদি কারওর প্রতি কারওর থাকে তাহলে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে সত্যিকারের এই ভালবাসা একদিন জয়ী হয় ।
এমনই এক সত্যিকারের ভালবাসার উদাহরণ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুরের বাসিন্দা সবল পারভিন এবং নৌসাদ আলির সম্পর্ক। প্রতিবছরই ভ্যালেন্টান্স ডে আসে এবং যায়। যদিও বা দু’বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়।
কিন্তু তাদের ভালবাসা আর পাঁচজনের মতো কিন্তু নয়। কারণ সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে একে অন্যের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ তারা।
তাঁদের কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর পাঁচটা দিনের মতোই একটা দিন। কারণ তাঁরা মনে করে প্রকৃত প্রেম যদি কারওর প্রতি কারওর থাকে তাহলে কোন ভ্যালেন্টাইন্স উইকের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
আরও পড়ুন : নিবিড় আলিঙ্গন নাকি শক্ত করে জড়িয়ে ধরা-কোনটা পছন্দ আপনার মনের মানুষের? জানুন কোন আলিঙ্গনে কী বোঝায়
জন্ম থেকে দু’টি পা বিকল পারভিনের। ফলে বহু কষ্ট করে তাঁকে জীবন কাটাতে হয়েছে। তাঁর জন্যই বোধহয় জন্মেছিলেন নৌসদ আলি। স্ত্রীকে হাসি মুখে মেনে নিয়ে সংসার করে চলছে নৌসদ আলি। চোপড়া ব্লকের সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা সবল পারভিন । আশৈশব তিনি এক বিরল রোগে ভুগছেন। নিজে হাঁটতে পারেন না। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কোলে উঠেই তিনি সবকিছু করতেন। বর্তমানে স্বামীর কোলে উঠেই তিনি তাঁর জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দু্’ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ সূত্রে উত্তরপ্রদেশের যুবক নৌসাদ আলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সবল পারভিন। সুখে দুঃখে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে তারা তাঁদের সংসার করে যাচ্ছেন। নৌসাদ আলি বলেন, ‘‘আমাদের সাত দিনের ভালবাসা নয়। এই ভালবাসা জন্ম জন্মান্তরের। যতদিন বাঁচব ততদিন ভালবেসে যাব দু’জন দু’জনকে। তাঁদের এই ভালবাসা আজ নিদর্শন হয়ে রইল সমাজের কাছে।
বাঁকুড়া: রমরমিয়ে চলছে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ। বরাবরের মতোই ৭ ফেব্রুয়ারি রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবস দিয়ে শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা মেনে সোমবার অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস পালন করছে প্রেমিক-প্রেমিকারা। ভালোবাসার সপ্তাহের আলিঙ্গন দিবসের দিন এবার এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল বাঁকুড়ায়। এক যুবক হাতে ‘হাগ মি’ অর্থাৎ ‘আমাকে আলিঙ্গন করুন’ পোস্টার নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেন রাস্তায়। এই দৃশ্য দেখে কেউ হেসে কুটোপুটি খেলেন, আবার কারোর চোখ হয়ে গেল ছানাবড়া।
আরও পড়ুন: রোগীদের বিছানার পাশে জ্বলছে মোমবাতি! বিদ্যুৎহীন হাসপাতালে দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কার
আলিঙ্গন দিবসের এমন অবাক কাণ্ডকারখানার পিছনের আসল গল্পটা বেশ মজার এবং অনুপ্রেরণার। বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার বেনা গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ দাস। বছর ২৩-এর এই যুবকের ভ্যালেন্টাইন হল প্রকৃতি। পরিবেশকে রক্ষা করে গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বৃক্ষরোপণের কথা বলে বাঁকুড়া জেলার নানান প্রান্তে ঘুরে বেড়ান তিনি। সঙ্গে থাকে মেহগিনি, পিয়াশাল, সেগুন এবং পেয়ারা গাছের চারা। তাঁকে সমর্থন করে কেউ এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলেই বিনামূল্যে একটি চারা গাছ উপহার দেন রাকেশ।
তবে এখানে যে শুধু আলিঙ্গনের বিকল্প আছে তা নয়, বৃক্ষরোপনের ভাবনার বিরোধী যদি কেউ হয়ে থাকেন অর্থাৎ গোটা বিষয়টি অপছন্দ হলে রয়েছে ‘স্ল্যাপ মি’ অপশন। মানে রাকেশের ভাবনার সঙ্গে একমত না হলে আপনি গিয়ে তাকে চড় মারতে পারেন! তবে আজও পর্যন্ত সেটা কেউ করেননি বলে জানিয়েছেন রাকেশ দাস।
পরিবেশকে রক্ষা করতে রাকেশ দাসের এমন ভাবনা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর চলার পথটা মোটেও সহজ নয়। করোনার সময় স্মার্টফোন ছিল না বলে অনলাইনে ক্লাস করতে পারেননি। তাই উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা থেমে যায়। বাড়িতেও নেই সম্পূর্ণ আর্থিক সচ্ছলতা। রাকেশের বাবা বিক্রি করেন। সেই কাজে রাকেশ’ও মাঝেমধ্যে হাত লাগায়। তার সঙ্গে কলকাতার কিছু পত্রিকায় লেখা লেখিও করেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে চ্যানেল তৈরি করে ‘সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট’ করেন রাকেশ দাস। পরিবেশ সচেতনতার এই প্ল্যাকার্ডও সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষারই একটি অংশ। বাঁকুড়া স্টেশনের সামনে রাকেশের কাছে বিনামূল্যে মেহগিনি গাছের চারা পেয়ে আপ্লুত হলেন বন্দনা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি। দূর থেকে দেখছিলাম। পরে বিষয়টা বুঝে এগিয়ে এলাম। আমি নিজেও গাছ ভীষণ ভালবাসি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সব আলিঙ্গনই যে কেবল প্রেমের সম্পর্কের তা নয়। তার থেকেও বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে থাকে অনেক জড়িয়ে ধরায়। সেই বার্তাই দিয়ে চলেছেন বাঁকুড়ার যুবক রাকেশ
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী