Tag Archives: Water Supply

Water Meter: পানীয় জলের কলের মাথায় বসেছে মিটার, বিল আসার দুশ্চিন্তায় পুরবাসী

হুগলি: দিন কয়েক আগেই উত্তরপাড়া পুর এলাকা সুনাম কুড়িয়েছিল তাদের জল প্রকল্পের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই সুনাম করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকায় বদলেছে পানীয় জল সরবরাহের চিত্র। এলাকার মানুষরা জল পেলেও তাঁদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে মিটার আতঙ্ক। জল কর বসলে তার বিল কত হবে সেইটা নিয়েই আতঙ্কিত সবাই। কারণ, উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন পুরসভায় পানীয় জলের কলের মাথায় বসেছে মিটার। তারপর থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকাবাসীদের মনে।

উত্তরপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত কোন্নগর, উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর এই সব এলাকায় পানীয় জলের কলের মাথায় বসেছে মিটার। সব থেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ডানকুনি পুরসভার বাসিন্দারা। কারণ তাঁদের কলের মাথায় শুধু মিটার বসেছে তাই নয়, কল থেকে জল পড়লে মিটারের কাঁটা ঘুরছে। ফলে মানুষের মনে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে, তবে কি এবার বিদ্যুতের মত জলের জন্যও টাকা দিতে হবে?

আর‌ও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমানের বিপুল সাফল্য

এই নিয়ে এলাকার কিছু মানুষজন জানান, তাঁদের বাড়িতে কলের মাথায় পুরসভা থেকে মিটার লাগিয়ে দিয়ে গেছে। কল খুললেই মিটারের কাঁটা ঘুরছে বন বন করে। ঠিক যেভাবে বিদ্যুতের মিটারের কাঁটা ঘোরে। এমনকি যারা কল লাগাতে এসেছিল তাঁরাও জানিয়েছে এবার থেকে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল আসবে জলের। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে সকলের।

যদিও এই বিষয়ে ডানকুনি পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মিটার লাগানো হলেও তাতে কর বসানোর কথা কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়ে ডানকুনির উপ-পুরপ্রধান বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলকর লাঘব করেছিলেন। কিন্তু এখন কেন্দ্র থেকে চাপ দিয়ে জলের উপর কর বসাতে বলা হয়েছে। তবে এখনই জলের জন্য কোন‌ওরকম কর দিতে হবে না।

এই বিষয়ে এলাকাবাসীদের বক্তব্য, কলের মাথায় মিটার যখন বসেছে তখন আজ না হলেও কাল ঠিকই সেই মিটার অনুযায়ী বিল আসবে মানুষজনের বাড়িতে বাড়িতে।

রাহী হালদার

Bad Smelling Drinking Water Supply: পানের জন্য দুর্গন্ধযুক্ত জল সরবরাহ হচ্ছে! ক্ষেপে গিয়ে রাস্তায় বসে পড়ল বসিরহাটের মানুষ

উত্তর ২৪ পরগনা: খাওয়ার অযোগ্য দুর্গন্ধ‌যুক্ত পানীয় জল সরবরাহের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এল মানুষ। টাকি রোডের উপর প্রতিবাদে ভিড় করলেন সবাই। বেশ কিছুদিন ধরে বসিরহাট পুর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই জল পান করে বাচ্চা থেকে বড় অনেকেই পেটের অসুখকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘড়িবাড়ি ত্রিমোহিনী, কালিবাড়ি সহ একাধিক এলাকায় পানীয় জলের সমস্যায় তীব্র আকার ধারণ করেছে। নাগরিকদের অভিযোগ, গোটা বিষয়টি পুর প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এদিন তাই বাধ্য হয়ে টাকি রোডের উপর ট্যায়ার জ্বালিয়ে বেঞ্চ পেতে পথ অবরোধ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আর‌ও পড়ুন: এইভাবে বই পড়ার পুরনো অভ্যাস ফিরতে চলেছে

অবরোধকারীদের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে সরবরাহ করা পানীয় জল থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এই জল পান করে অনেকেই পেটের রোগে ভুগছেন। বারবার জানিয়ে কোন‌ও ফল না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এলিন পথ অবরোধ করেন। পথ অবরোধের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী বলেন, অমৃত প্রকল্পের পানীয় জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। যার জন্য মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে অনেক সময় দূষিত জল সরবরাহ হচ্ছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি ঠিক করার আশ্বাস দেন তিনি।

জুলফিকার মোল্যা

Drinking Water Crisis: টাইম কলে জল পড়ে না, আসছে না ট্যাঙ্কার, হাহাকার কুলটিতে

পশ্চিম বর্ধমান: জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসেও তীব্র দহন জ্বালায় নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। এরমধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকবার্তা। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। কুলটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভাল করে পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১০-১২ দিন ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ, টাইম কলে দীর্ঘদিন ধরে জল আসছে না। প্রাথমিকভাবে পুরসভার পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেই জলের ট্যাঙ্কারও আসছে না। যার ফলে পানীয় জল পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারাও। এমন অবস্থায় তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে কুয়ো এবং পুকুরগুলির ওপর। কিন্তু সেই জল ব্যবহার করা কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই।

আর‌ও পড়ুন: হাওড়ায় ইতিহাস! জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনে নামবে ডুবুরি

কিন্তু কেন জল আসছে না? এই বিষয়ে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পাইপলাইনে কিছু সমস্যা রয়েছে। যে কারণে টাইম কলে জল আসছে না। তাছাড়াও যে সমস্ত জায়গাগুলিতে জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে, সেই জায়গাগুলি অপেক্ষাকৃত উঁচু। তার ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদিও এলাকায় জল সঙ্কট মেটাতে দুটি পাইপলাইন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এই গরমে পানীয় জলের কষ্ট সহ্য করা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন।

নয়ন ঘোষ

Drinking Water Supply: জলের সমস্যা মেটাতে কী পদক্ষেপ পুরুলিয়া পুরসভার?

পুরুলিয়া: বেড়েই চলেছে গরমের দাপট। বৃষ্টির দেখা সেভাবে নেই পুরুলিয়া জেলাতে। আর তাতেই নাজেহাল অবস্থা জেলার মানুষের। একে গরমের দাপট তার উপর নেই যথাযথ জলের জোগান। তীব্র গরমের কারণে কাঁসাই নদীর জলস্তর কমে গিয়েছে।‌ একাধিক জায়গাতে হচ্ছে জলের সমস্যা। ‌ যদিও জলের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পুরুলিয়া পুরসভা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের‌ও।

এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মহালি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কাঁসাই নদীর জলের স্তর একেবারেই নিচের দিকে চলে গিয়েছে। এর ফলে জলের একটা ক্রাইসিস রয়ে গিয়েছে। কারণ যতটা বোরিং করে জল তোলা সম্ভব তা সেভাবে তোলা যাচ্ছে না। ব্রেক দিয়ে দিয়ে পাম্প চালিয়ে জল তোলা হচ্ছে কাঁসাই নদী থেকে। এখনও পর্যন্ত শহরে প্রতিদিন পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এই জলের সমস্যা মিটবে না বলেও জানান তিনি।

আর‌ও পড়ুন: ফল প্রকাশের পর গেরুয়া বা সবুজ কোন‌ও আবীর খেলাই হয়নি এই কেন্দ্রে! চিন্তায় বিক্রেতারা

রুক্ষ লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলার অন্যতম বড় সমস্যা জল। ‌কমবেশি সারা বছরই জলের সমস্যা দেখা যায় এই জেলায়। গ্রীষ্মকালে তা অনেকখানি বেড়ে যায়। কারণ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। ‌তাই প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ব্যাপক হারে জলের সমস্যা তৈরি হয় জেলায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ‌কিন্তু পুরুলিয়া পুরসভা সমস্ত দিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে মানুষ জল কষ্টে না ভোগে।

অন্যান্য বছরগুলিতে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা গেলেও এ বছর পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে পানীয় জলের সমস্যা অনেকখানি মিটেছে। আগামী দিনে সম্পূর্ণভাবে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টায় রয়েছে পুরসভা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Water Supply Disrupted: রাতভর কাজ করে অসাধ্য সাধন বাঁকুড়া পুরসভার, বন্ধ হতে পারতো ন’টি ওয়ার্ডের জল সরবরাহ

বাঁকুড়া: রেললাইনে নিচে দিয়ে গেছে জলের পাইপ। সেই পাইপে দেখা দিয়েছে লিক। যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা, এমনটাই রেলের তরফে জানানো হয়েছে বাঁকুড়া পুরসভাকে। আর তাই মাথায় দুর্যোগ নিয়ে জলের পাইপলাইন পরিবর্তনের জন্য সারারাত কাজ হল বাঁকুড়া শহরের কেঠারডাঙা রেল ফটকের সামনে।

পাইপলাইনের নতুন সংযোগ স্থাপন হলে বাঁকুড়া শহরের প্রায় ১-৮ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, এই ৯ টি ওয়ার্ডে পৌঁছে যাবে জল। যদিও বৃহষ্পতিবার রাতের ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজ। ফলে এখনও পুরো কাজটি শেষ করতে সময় লাগবে দু’দিনের মত। বাঁকুড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান জানান, ১ থেকে ৮ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই দুদিন টাইম করে জল থাকবে। তবে সময়ের হেরফের হতে পারে। আধ ঘণ্টা-এক ঘণ্টা জল আসতে দেরি হতে পারে।

আরও পড়ুন: এক সময় ঝাঁ চকচকে আবাসন এখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ! চুরিতে বাধা দিলেই আসছে শাসানি

এছাড়াও, তীব্র গরমে শুকিয়ে কাঠ বাঁকুড়ার দুই নদী গন্ধেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে কিছুটা রেহাই মিললেও ভৌম জলস্তর ঠেকেছে তলানিতে। সামনেই আসন্ন বর্ষা। তবে তার আগে বাঁকুড়া শহরের ভৌম জলের স্তর তুলতে কংসাবতী ড্যাম থেকে জল ছাড়া হবে বলে জানালেন পুরসভার উপ-পুরপ্রধান। শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে সেই জল দেখা যাবে নদীতে।

রেললাইনের তলায় জলের পাইপ ফাটার কারণে দুর্ঘটনা যাতে না হয় এবং বাঁকুড়া শহরের ৯ টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ অনবরত রাখার জন্য তৎপর হয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা। সেই কারণেই কোনও সুযোগ না নিয়ে দুর্যোগ মাথায় করে সারারাত চলেছে কাজ। তবে প্রকৃতির কাছে অবশেষে হার মানতে হয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পিছিয়েছে কাজের গতি। সময় লাগবে এখনও ৪৮ ঘণ্টা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Water Supply: পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা শিলিগুড়িতে

শিলিগুড়ি: পুরনিগমের সরবরাহ করা পানীয় জল পান করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। পানীয় জল দূষিত হয়েছে। তাই ২৯ মে থেকে আগামী ২ জুন বিকেল অবধি পুর এলাকায় সরবরাহ করা পানীয় জল পান করতে নিষেধ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।

শিলিগুড়ি পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ডের (BOD) তারতম্যের কারণে পানীয় জল দূষিত হয়েছে। যে কারণে প্রতিদিনের মত জল সরবরাহ করা হলেও সেই জল যাতে শহরবাসী কোন‌ওভাবেই পান না করে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরবরাহ করা পানীয় জল পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজ করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪০০ বছরের পুরনো ফেঁসকি মাতার পুজো, একসময় ঢল নামত ওপার বাংলার মানুষের

শিলিগুড়ি পুরনিগমে এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, পানীয় জল কিছুটা দূষিত হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসতে পাঁচদিন সময় লাগবে। তারপরই ওই জল ব্যবহার করা যাবে।ততদিন যাতে শহরবাসী কোন‌ওভাবেই ওই জল পান না করেন সেই আবেদন করেন তিনি। পানীয় জলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরনিগমের তরফে। ১ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ সরবরাহ করা হবে।পাঁচটি বোরোতে ১৫ থেকে ২০ হাজার করে জলের পাউচ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুরনিগমের তরফে প্রতি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

অনির্বাণ রায়

Bangla Video: এই গরমে জল চুরি করে চলছিল মিষ্টির দোকান! জানাজানি হতেই…

পুরুলিয়া: গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে নাজেহাল দশা বঙ্গবাসীর। পুরুলিয়াতেও তাপপ্রবাহের জেরে জেরবার গোটা জেলার মানুষ। তার মধ্যে রয়েছে জলের সমস্যা। পুরুলিয়া জেলাতে সারা বছরই কমবেশি জলের সমস্যা থাকে। গ্রীষ্মের দিনে তা আরও অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মের আগে থেকেই পুরুলিয়া পুরসভা একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে থাকে মানুষকে জলের কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে। আর এরই মাঝে শহর পুরুলিয়ার একটি মিষ্টির দোকান জল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল। এই খবর পুরসভার কাছে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালি। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ওই দোকানে জলের সংযোগ।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে বাস, যানজটে হাঁটাচলাই দায়

প্রসঙ্গত, শহর পুরুলিয়ার সন্দেশ গলির একটি মিষ্টির দোকানে পাম্প চালিয়ে জল চুরি করা হচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই দোকানে হানা দেন পুরপ্রধান ও পুরসভার জল বিভাগের আধিকারিকেরা। আর সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখতে পান জলের কানেকশন থেকে পাম্প বসিয়ে জল চুরি করা হচ্ছে। আর তা দেখেই ওই দোকানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই বিষয়ে পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালি বলেন , এই দোকানের বিরুদ্ধে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়া হবে। ইতিপূর্বেই পুরসভার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যেখানে যেখানে পাম্প পাওয়া যাবে সেখানেই সিজ করে দেওয়া হবে। ওই দোকানের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে বলেও জানান তিনি।

জলচুরির জন্য যে সমস্ত আইন পুরসভার পক্ষ থেকে লাগুরয়েছে সেগুলিও ধার্য থাকবে। এছাড়াও এই দোকানের ফুড লাইসেন্স , ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে ওই মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন , তিনি জল পাচ্ছিলেন না বলেই বাধ্য হয়ে পাম্প চালিয়ে জলের ব্যবস্থা করছিলেন। পানীয় জলের যে কানেকশন রয়েছে সেখানে একদমই জল আসছে না।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

বাইক জল দিয়ে ওয়াশ করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা! দেশের ‘এই’ শহরে নতুন আইন

বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের রাজধানী এবং ভারতের আইটি হাব বেঙ্গালুরুতে জলের সংকট দেখা দিচ্ছে। সেই কারণে ওই শহরে জলের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রুখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। জলের অপব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বেঙ্গালুরুতে এবার যানবাহন (গাড়ি, বাইক, স্কুটার এবং অন্যান্য চার, আট বা দশ চাকার গাড়ি) জল দিয়ে ধোয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ যানবাহন ধুতে প্রচুর জল অপচয় হয়। শুধু তাই নয়, আরও অনেক কাজে জলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বেঙ্গালুরু ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ বোর্ড (বিডব্লিউএসএসবি) শহরের জল সঙ্কট দূর করতে গাড়ি ধোয়া, ফোয়ারা এবং বাগান করার জন্য জল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আইন লঙ্ঘনে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- নামমাত্র দাম! গ্রামে গ্রামে ২০ হাজার নতুন ওষুধের দোকান! বিরাট পদক্ষেপ সরকারের

জারি করা আদেশে নির্মাণ কাজে, বিনোদনের জন্য নির্মিত ফোয়ারা, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার কাজেও জলের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

BWSSB চেয়ারম্যান ডাঃ রাম বসন্ত মনোহর বলেছেন, “আদেশ লঙ্ঘনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। বারবার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০০ টাকা অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।

বিডব্লিউএসএসবি বলেছে, “শহরে তাপমাত্রা বাড়ছে এবং বৃষ্টির অভাবে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নিচে নেমে গেছে। জনগণকে জলের অপচয় না করারপরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- ঝড়জলের তুলকালাম আপডেট! পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাদাগিরি, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি

BWSSB নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছে, যদি কাউকে আদেশ লঙ্ঘন করতে দেখা যায় তবে যেন BWSSB কল সেন্টারে অভিযোগ জানানো হয়। বেঙ্গালুরুর একাধিক জায়গায় জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এমনও অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।