Tag Archives: Pollution

Darjeeling Pollution: পর্যটকদের ফেলে আসা প্লাস্টিকে ভুগছে পাহাড়

দার্জিলিং: পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিত্যদিনের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের জঞ্জালে অসুস্থ পাহাড়। বর্তমানে বিভিন্ন পর্যটককেন্দ্রে বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃতির মাঝে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিকের জঞ্জাল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজের উদ্যোগে এই জায়গা গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলেও অধিকাংশ সময়েই প্লাস্টিকের আবর্জনায় মুড়ে থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পর্যটকদের বলা হলেও বছরের পর বছর একই রকম ভাবে চলে আসছে দুধিয়া ও বালাসন নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্র। অবশেষে সেখানকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন আমরা একাধিকবার সকলকে অনুরোধ করেছি তারপরেও এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা প্লাস্টিকের নানা রকম প্যাকেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস ফেলে চলে যায়। এলাকাটি অত্যন্ত বড় হওয়ায় সমস্ত জায়গাটি আমাদের পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন: গঙ্গা ভাঙন রুখতে দায়িত্ব নিক ফরাক্কা ব্যারেজ, কাতর অর্জি সাধারণ মানুষের

সেই অর্থে আগামী দিনে এই জায়গাটিকে পরিষ্কার রাখতে এখানকার স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী মিলে ডাস্টবিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যদি কোন সাহায্য করা হয় তাহলে প্রকৃতির মাঝে এই সুন্দর জায়গাটিকে প্লাস্টিক জঞ্জালের হাত থেকে মুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেকটাই সুবিধা হবে।

West Bardhaman News: দিনের পর দিন বেরোচ্ছে কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া! বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছেন চর্মরোগ, ক্যানসারে

রানিগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান : কারখানা থেকে ক্রমাগত বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। আর সেই ধোঁয়ার মধ্যে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। ঘরে ঘরে সঙ্গী হয়েছে নানা ধরনের চর্মরোগ। কোনও কোনও বাড়িতে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। তা সত্ত্বেও উদাসীন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা চলছে নিয়ম করে, কিন্তু সেই কারখানায় চলছে না দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র।

রানিগঞ্জের বক্তারনগর এলাকায় রয়েছে স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার ফলে এলাকায় থাকা দায় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের। তাঁরা কারখানা বন্ধ করতে বলছেন না, কিন্তু কারখানা থেকে যে দূষণ ছড়াচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পলিউশন ফিল্টার ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু সেই কথায় কান দেননি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কারখানাটির এমন ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বক্তারনগর, পলাশবন সহ-সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের চর্মরোগ ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি আসছে কলকাতা এবং পাশের তিন জেলায়, সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা

ছোট থেকে বড়, বিভিন্ন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে এলাকায়। অনেক বাড়িতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। এলাকার মানুষজন বলছেন, কারখানাটি নিয়ম করে চলছে। কিন্তু কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও, তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। যদিও এই ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। দূষণ প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতি থেকে দক্ষিণের কিছু জেলায় তুমুল বৃষ্টি! বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গেও

তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। স্থানীয়রা দাবি তুলছেন, ইতিমধ্যে এই কারখানাটি থেকে ছড়ানো দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক। নয়তো এলাকায় বসবাস করা স্থানীয়দের কাছে কঠিন হয়ে উঠছে।অবিলম্বে এই দূষণ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। নয়তো আগামী দিনে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

 

Pollution: দূষণ চিহ্নিতকরণে নয়া অ‍্যাপস! বায়ু শব্দ হোক বা জল, দূষণ হলেই জানিয়ে দেবে ফোন

রাজ্য বানিয়ে ফেলল ‘পরিবেশ apps’ বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ও জল দূষণ বোঝা যাবে এই অ‍্যাপ ফোনে থাকলেই। অস্বাভাবিক শব্দ হলে এই অ‍্যাপ থেকে স্থানীয় থানাতেও খবর দেওয়া যাবে। বিধায়কদের এই অ‍্যাপস নিয়ে আরও বেশি করে প্রচার চালানোর আবেদন।

বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি হলেও apps জানিয়ে দেবে ব্যবহারকারীকে।রাজ্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।গোলাম রাব্বানি, পরিবেশ মন্ত্রী, জানিয়েছেন, মোবাইলের প্লে স্টোর থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে৷

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

এটি হাতে থাকলেই তিনি যেখানে আছেন সেখানের রিয়েল টাইম দূষণের চিত্র জানতে পারবেন। এছাড়া শব্দ দূষণের মাপ কত সেটিও বোঝা যাবে। যদি সাধারণ শব্দও হয় তাও এটি জানাতে পারবে। এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে অস্বাভাবিক কিছু লাগলে পুলিশকে জানান যাবে এই শব্দের বিষয়ে।

বায়ু দূষণের মাত্রা জানার জন্য পরিবেশ দফতর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দূষণ মাপার ২০০টি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসিয়েছে। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভাগীয় মন্ত্রী গোলাম রব্বানি একথা জানিয়েছেন। সব ব্লকে একটি করে এই যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভবনে এই যন্ত্র বসানোর জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি চেয়েছেন মন্ত্রী।

দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পরিবেশ দফতর নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে। এই অ্যাপটির ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেন মন্ত্রী। পরিবেশ দফতরের অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান জানানোর পাশপাশি অভিযোগ পেশ করার ব্যবস্থা আছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না দে নাগের প্রশ্নের উত্তরে, জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা আটকাতে রাজ্য পরিবেশ দফতর কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা বিস্তারিতভাবে জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপ! কিছুক্ষণেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি আসছে দক্ষিণের ২ জেলায়, পড়বে বাজ, দিনভর ভাসবে কোন কোন জেলা?

একবার ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক সামগ্রীর উৎপাদন নিয়ে উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারের পর জোর দেওয়া হচ্ছে রিসাইক্লিং করার উপর। মন্ত্রী জানিয়েছেন এই অ্যাপ ডেভলপ করা হচ্ছে। এর ফলে আগামীদিনে অ্যাপ ব্যবহারকারী যেখানে আছেন সেখানের জল দূষণ সম্পর্কেও জানা যাবে।

Abandoned Hostel: পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ!

পাথরপ্রতিমা: স্কুলের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পাথরপ্রতিমায়। সেখানকার দক্ষিণ কাশীনগর হাইস্কুলের একটি পুরানো ছাত্রবাস ছিল। সেই ছাত্রাবাসটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়লে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সরিয়ে স্কুলভবনে এনে রাখে। তারপর থেকেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ওই ছাত্রাবাসটি।

সম্প্রতি স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে পড়ুয়াদের সরিয়ে আনা হলেও তার বাথরুম এবং সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এলাকায় দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কে মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনার দ্রুত সমাধান ছাইছেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুজাউদ্দিন জ্বালানি জানান, অবিলম্বে পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসটির দূষণ বন্ধ না করলে এলাকার পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে।

আর‌ও পড়ুন: রথযাত্রায় নতুন জামা-কাপড় ‘ওঁদের’ জন্য!

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, স্কুলের পক্ষ থেকে বারবার ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হলেও তারা নিজেদের ভূমিকা সম্বন্ধে চরম অসচেতন। খোদ স্কুল প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গির আখড়া। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত ঘটনা মেনে নিয়ে জানিয়েছে, তারা গোটা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। সেখান থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

নবাব মল্লিক

Plastic Free District: প্লাস্টিক মুক্ত হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জোরকদমে চলছে কাজ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার প্লাস্টিক মুক্ত জেলা হতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। জেলার প্রত্যেকটি ব্লকেই খোলা হচ্ছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট।

ফলতার হরিণডাঙা-১, বজবজের ডোঙারিয়া রায়পুর, সাগরের রামকরচর, ধসপাড়া সুমতিনগর-১, মগরাহাট-২ এর যুগদিয়া ও মথুরাপুর-ঋ২ এর দিঘিরপাড় বকুলতলায় এই কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতেও তৈরি হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টৃ কেন্দ্র। এরপর ক্রমান্বয়ে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হবে এই কেন্দ্র। সেখানে প্লাস্টিক জাতীয় বস্তুগুলিকে আনা হবে গাড়িতে করে। এরপর সেগুলিকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করা হবে।

আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা! পুলিশের জালে চার দুষ্কৃতী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে অসংখ্য নদী ও নালা রয়েছে। সেগুলিতে প্লাস্টিক পড়ে অসুবিধা হচ্ছে। জলজ জীবের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে বর্ষার সময় এগুলি নিকাশীপথে বাধার সৃষ্টি করে বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে এই জেলাকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত জেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে পাথরপ্রতিমায় এই নিয়ে সচেতনতা শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন স্বয়ং জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা‌। সেখানে শ্রী নারায়ণপুর পূর্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন তিনি। জেলাজুড়ে এই কাজ চলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আমজনতার মধ্যে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের সুফল মিলবে বলে আশাবাদী সকলেই।

নবাব মল্লিক

Farakka Thermal Power Station: সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হওয়ার পথে ফরাক্কা, আধুনিক চিমনি বসাচ্ছে এনটিপিসি

মুর্শিদাবাদ: এনটিপিসি’র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খন্ড ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, ২১০০ মেগাওয়াট এই বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ, এবার সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হতে চলেছে ফারাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

আগামী দিনে দূষণের পরিমাণ শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে এনটিপিসি ফরাক্কায় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে তিনটে অত্যাধুনিক চিমনি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফরাক্কা সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন হল মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কাতে অবস্থিত। এটি কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৯৮৬ সালে চালু হয়। বর্তমানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২,১০০ মেগাওয়াট। এনটিপিসি দ্বারা এটি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হয়। এখানে মোট ৬ টি ইউনিট রয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বিনামূল্যে চাকরির পরীক্ষার কোচিং, সঙ্গে লাইব্রেরি!

জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে তিনটে চিমনি শুরু হয়েছিল এবং ২০২৬ সালে জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে এনটিপিসি’র দাবি। বর্তমানে স্টেজে ১, ২ ও ৩ তিনটে চিমনির মাধ্যমে যে ২১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেই সমস্ত দূষণ এই নতুন চিমনির মাধ্যম দিয়ে ফিল্টার করে ছাড়া হবে। এর ফলে আগামী দিনে ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হয়ে উঠবে বলে দাবি।

এনটিপিসির সিজিএম রমাকান্ত পান্ডা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। এর ফলে আশেপাশের এলাকার বায়ুর মান অনেকটাই উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

কৌশিক অধিকারী

Bangla Video: উত্তরের ‘টেমস’ করলা যেন আজ সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ!

জলপাইগুড়ি: ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। কচুরিপানা, টোপা পানা, আবর্জনায় পরিপূর্ণ জলপাইগুড়ির হৃদয় করলা নদীর বক্ষ। কমছে গভীরতা। স্রোতবিহীন অবস্থায় প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে উত্তরের ‘টেমস’নামে পরিচিত জলপাইগুড়ির করলা নদী।

শহরের ফুসফুসের বিপন্ন দশা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তরফে প্রকাশিত তালিকাতেও। যা জলপাইগুড়িবাসীর জন্যে সুখকর খবর নয়।
অথচ এক সময়ের এই করলার জল ছিল স্বচ্ছ, পরিস্কার। যে কারণে এই করলাকে ইংল্যান্ডের ‘টেমস’ নদীর সঙ্গে তুলনা করা হতো। এখন সেখানে দূষণের মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নদী এখন কচুরিপানা, আবর্জনায় পরিপূর্ণ। করলা নদীর জলের মাঝখানে রয়েছে পুকুরের মত আস্তরণ।

আরও পড়ুন: অঞ্জনা নদীর তীরে বসে কবিতা লিখেছিলেন রবি ঠাকুর, সেই স্মৃতি ধরে রাখতে…

থার্মোকল, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মত আবর্জনায় ভরা নদীবক্ষ। স্রোত হারানো নদীতে বেড়েছে শ্যাওলার সংসার। দূর থেকে দেখলে মনে হবে নদীর চেহেরা বিকৃত হয়েছে। হারাচ্ছে নদীর নাব্যতাও। বলাই বাহুল্য, শহরের নিকাশি নালা দিয়ে বয়ে আসা গরলের ছোঁয়ায় সুন্দরী করলা কৃশ হয়ে এখন ধুঁকছে। নদীর পরিষ্কার রাখতে বা নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এর আগেও জেলা প্রশাসনের তরফে আলোচনা হয়েছিল। কথা হয়েছিল করলা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভোট আসে ভোট যায়, এই নদীকে বাঁচিয়ে রাখার কথা কেউ ভাবে না। এমনটাই অভিযোগ জানান নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। বর্তমানে জলপাইগুড়ি শহরের বাবুঘাট থেকে শুরু করে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত করলা নদীর বুক নোংরা আবর্জনায় ভরা। বারংবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত নদীর কোনও সংস্কার হয়নি। তাই সকল মানুষই চান এবার অন্তত নদীর সংস্কার হোক। তা না হলে করলা নদীকে বাঁচিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।

এই বিষয় নিয়ে সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক তথা পরিবেশপ্রেমী রাজা রাউত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, করলা নদী যদি এইভাবেই কচুরিপানা, আবর্জনায় ভরে থাকে তবে দ্রুত এই নদী মুছে যাবে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। তাই নিজেদের স্বার্থেই এগিয়ে আসতে হবে করলাকে বাঁচাতে। নোংরা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সুরজিৎ দে