শিলিগুড়ি: ঝালকাঠির বহুকালের পুরোনো ঐতিহ্য শীতলপাটি। একটা সময় ছিল যখন গ্রামের বাড়িতে অতিথি এলে তাকে বসতে দেওয়া হত শীতলপাটিতে। গৃহকর্তার বসার জন্যও ব্যবস্থা থাকত এই বিশেষ পাটিতে। তবে সেই শীতল পাটির এখন আর তেমন বাজার নেই। তাই শীতল পাটি দিয়ে জুতো, টুপি, ব্যাগের মত নানান সামগ্রী তৈরি করেই সংসার চলছে এই মহিলাদের।
গরমের হাত থেকে বাঁচতে এসি মেশিন চলে আসার পর থেকেই শীতল পাটিতে মন্দা চলছে। তবে আজও গরম আসতেই চাহিদা হয় শীতল পাটির। তবে এখন চাহিদার ধরণ বদলেছে। আর তাই পাটির সঙ্গে তৈরি হচ্ছে বেত পাটি দিয়ে ব্যাগ, জুতো, ফাইল, টুপি সহ ঘর সাজানোর অনেক উপকরণ। তাই একসময় হারিয়ে যেতে থাকলেও শীতলপাটি শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাইকেল নিয়ে দিনমজুরের অবাক কাণ্ড
কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি হল পাটি শিল্পীদের পীঠস্থান। সেখানে প্রায় সবাই এই পাটি নিয়ে পড়ে থাকেন। গোটা জেলায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি শিল্পী এই পাটি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তবে আধুনিকতার সঙ্গে এখন তাঁরাও নতুন নতুন জিনিস তৈরি করছেন। নতুন নতুন সৃজন আসায় এর চাহিদা বাড়ছে। শীতল পাটির দাম একটু বেশি হওয়ায় সেগুলি কেউ কিনতে না চাইলেও শীতল পার্টির দিয়ে তৈরি জুতো, চপ্পল , ব্যাগ এগুলি মানুষে বেশ পছন্দ করছেন।
অনির্বাণ রায়
বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের রাতদিনের চেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও সেবা-শুশ্রূষায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে শাবকটি। সাফারির নবনির্মিত অত্যাধুনিক হাসপাতালে টানা চিকিৎসাধীন থাকার পর বর্তমানে বিপদ থেকে বেরিয়ে এসেছে লেপার্ড ক্যাট শাবকটি।
লেপার্ড ক্যাট দুই শাবকের জন্ম দেওয়ার পর মায়ের অবহেলার কারণে জন্মের এক ঘন্টার মধ্যেই একটি পুরুষ শাবকের মৃত্যু হয়। মেয়ে শাবকটিকেও মা চিতা বেড়াল কার্যত ত্যাগ করেছিল।
সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ এপ্রিল বেঙ্গল সাফারি পার্কে জন্ম হয় দুই লেপার্ড ক্যাট (প্রায়োনেইলুরাস বেঙ্গলেনসিস) বা যাকে চিতা-বিড়াল বলা হয়। লেপার্ড ক্যাটের নাইট শেল্টারে ওই শাবক দুটির জন্ম হয়।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে আবারও দারুন খবর। কিছুদিন আগেই শীলা পাঁচ শাবকের জন্ম দিয়েছিল। এবার এক নতুন অতিথির আগমন হল সাফারি পার্কে। জন্ম হল চিতাবিড়াল শাবকের।
সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, “শাবকটিকে চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। দুধের সঙ্গে ভিটামিন সহ অন্যান্য জরুরি সব পথ্য দেওয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সে আবার এনক্লোজারে ফিরতে পারবে বলে আশা করছি।”
কৃষি এবং পর্যটনকে মাথায় রেখে সানডে হাটের পক্ষ থেকে হিমালয়ান স্ট্রবেরি ফেস্টিভ্যালের আয়োজন। কার্সিয়ং মহকুমার অধীনে চিমনি গ্রামে এই প্রথম কৃষি-পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
চিমনি গ্রামের কৃষি-উৎপাদন, হস্তশিল্প এবং তাঁত সহ বাকি জিনিস এই উৎসবে প্রাধান্য পাবে । একই সঙ্গে থাকবে স্ট্রবেরি রেসিপি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন।
আয়োজকরা চিমনি এলাকা বেছে নিয়েছেন কারণ কার্সিয়ং-এর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, এই এলাকার গ্রামের সংস্কৃতিকে পর্যটন শিল্পে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য।
আগামী ১৮ ই মে চিমনি গ্রামের স্ট্রবেরি ফার্ম, কার্সিয়ং-সোনাদা এলাকার সানডে হাট কৃষক সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হবে।
এই উৎসবে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন এলাকা থেকে জৈব স্ট্রবেরি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষক জড়ো হবেন ৷এছাড়াও স্থানীয় জনগণ কৃষি-পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে।
*আইএমডি অনুযায়ী, আজ দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।
*আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ফলে একনাগাড়ে চলা তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ও গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে মানুষ।
*তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নতুন সপ্তাহে ফের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে। আজ উত্তরবঙ্গে কিছু জেলায় ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের আশঙ্কাও।
*উত্তরবঙ্গে সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।
*উত্তরবঙ্গেও মঙ্গলবার থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।
শিলিগুড়ি: তীব্র দাবদাহে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছের ডালে জলের পাত্র বাঁধার ব্যবস্থা করল শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিলিগুড়ি ফুলেশ্বরী মোড়ের কাছে রাস্তা লাগোয়া একাধিক গাছের ডালে জলের পাত্র বেঁধে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। মূলত তীব্র গরমে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি সংগঠনের তরফে স্থানীয়দের বিষয়টি দেখভালের আবেদন করা হয়। তাদের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রাও।
প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষের অবস্থা নাজেহাল সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ শিলিগুড়িতে প্রথম। কি করে এই ভাবনা এল জিজ্ঞেস করতেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রাজু পাল বলেন,”পাখিদের সংখ্যা এমনিতেই দিন দিন কমে যাচ্ছে। কোভিড চলাকালীন যখন যানবাহন, কারখানা বন্ধ ছিল তখন আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। পাখির ঝাঁক দেখা যেত শহরে। তবে এখন দূষণের জেরে গরম বেড়েছে তৃষ্ণার্ত হয়ে পাখিরা এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতেই পাখিদের জন্য এই এলাকার ১০টি গাছে আমরা জলের পাত্র লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আগামীতে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে যান চারখোল! খাওয়া-থাকা খুব সস্তা! কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? জানুন
স্থানীয় বাসিন্দা রূপক কর্মকার বলেন,মানুষ যেখানে গরমে অস্বস্তিতে করছে সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই ভাল। আগে যেমন পাখি দেখা যেত, এখন শহরে তেমন পাখির দেখা মেলে না। এই গরমে জলের পাত্র লাগানোর পর জল খেতে তারা নিশ্চই আসবে। অন্যদিকে স্থানীয় এক দোকানদার সুরেন বর্মন জানান,”স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ সত্যি খুব দারুণ। এখন মানুষ মানুষের জন্য ভাবে না কিন্তু তারা পাখিদের কথা অন্তত চিন্তা করছেন। আমার দোকানের পাশে তিনটি গাছে লাগানো হয়েছে ওই জলের পাত্রগুলি। জল শেষ হয়ে গেলে আমি সেখানে জল দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অনির্বাণ রায়
উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
বৃষ্টি হবে পাহাড়েও। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে মেঘ রোদের খেলা চলবে। রবিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে।
শনিবার উত্তরে স্বস্তির আবহাওয়া বজায় থাকবে। মেঘলা থাকবে আকাশ। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার রদবদল হবে।
বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দার্জিলিং-এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গে তুমুল দুর্যোগের মধ্যে উত্তরবঙ্গেও বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ হিমালয় সংলগ্ন উঁচু পর্বত এলাকা, দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় জারি হয়েছে বৃষ্টির ইয়েলো অ্যালার্ট
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিংম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে শনিবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি চলবে৷ তাতে জারি হয়েছে ইয়েলো অ্যালার্ট৷
ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায়। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের।
শিলিগুড়ির আকাশ সকাল থাকে পরিষ্কার রয়েছে। তবে আই এম ডি অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আই এম ডি অনুযায়ী, আজ দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৭ এবং ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।
বিহারের উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন৷ থ্রু বিস্তৃত রয়েছে ওড়িশার সাইক্লোনিক সার্কুলেশন ক্ষেত্রের উপর দিয়ে৷ অন্যদিকে এটি যুক্ত রয়েছে অসম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে৷ এর ফলে বাংলার ভাগ্যে ফের একবার ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব৷
আইএমডি-র লেটেস্ট ওয়েদার আপডেটে জানা গেছে ১২ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি এবং ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷
কলকাতার হাওয়া অফিসের জারি করা সাম্প্রতিক ওয়েদার আপডেট অনুসারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ১১ তারিখ ফের একবার তোলপাড় করা ঝড় বৃষ্টির প্রকোপ হবে৷
জারি হয়েছে বৃষ্টির প্রাবল্যের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট৷ ঘণ্টায় ৫০- ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷ তার সঙ্গী হবে বজ্র-বিদ্যুৎ সব বৃষ্টি৷ উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সর্বত্রই অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি রয়েছে৷
বিগত দিনের তুলনায় তাপমাত্রার পারদ অনেকখানি কমেছে জেলায়। টানা ঝড় বৃষ্টির কারণে হুড়মুড়িয়ে তাপমাত্রা কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। ঝড় রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আরও বাড়বে দুর্যোগ। ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার বইবে। সঙ্গেবজ্র-বিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি চলবে বলে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে বহাল থাকছে ঝড় বৃষ্টি। উত্তরের একাধিক জেলাতে বৃষ্টির তান্ডব চলবে। বিশেষ করে দার্জিলিং , কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে এইদিন বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এর মধ্যে মালদহে জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিগত বেশ কিছুদিন দিনে তাপমাত্রার অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে । বিক্ষিপ্তভাবে চলেছে ঝড় বৃষ্টির তান্ডব। আপাতত বৃষ্টি বহাল থাকছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছে।
টানা গরমের হাত থেকে বিগত দু চার দিন অনেকখানি স্বস্তি মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণের একাধিক জেলার পাশাপাশি জেলা পুরুলিয়া। বিক্ষিপ্তভাবে এই কয়েকদিনের বৃষ্টি হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। রোদের দাপটও অনেকখানি কম রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রার পারদ। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে গোটা জেলার মানুষেরা।
এই দিন পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। Input- Sharmistha Banerjee
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আগামী কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ঝড়ের তীব্রতা স্থানভেদে আলাদা হতে পারে।
হওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে,আগামী সাতদিন পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে ৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন নেই ৷ সব জেলাতে বৃষ্টি হবে ৷
শুক্রবার সবকটি জেলায় বৃষ্টির পরিস্থিতির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইবে ৷
সিটং আরেকটি ছোট পাহাড়ি জায়গা কার্শিয়াং এর কাছাকাছি ৪ হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। ইউক্যালিপটাস গাছের এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের রশ্মি নিজের পথ খুঁজে নিয়েছে। পাথরের গায়ে সচ্ছ ও সাদা ঝরনা কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে যা দেখলে মনে হবে আপনি একটি স্বর্গে এসে পৌঁছেছেন।
জোড়পোখরি: পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট শৈল শহর। দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত! জোড় কথার অর্থ দুই এবং পোখরি মানে হ্রদ। জোড়া সরোবর রয়েছে বলেই এই জায়গার নাম রাখা হয়েছে জোড়পোখরি। আপনি যদি জঙ্গল ভালবাসেন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা।
চটকপুর: নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে আছে পাহাড়ি গ্রাম চটক। উচ্চতা হবে ৭৪০০ ফিট।ওইখানে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে অথরিটি থেকে একটি পাস বানিয়ে নিতে হবে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু পথ বেয়ে চলে যাচ্ছে চটকপুর গ্রাম অবধি । ব্যালকনিতে বসে আপনি হোমস্টে থেকে দেখতে পাবেন অপূর্ব সুন্দর মেঘে ঢাকা পর্বত এবং বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া।
লেপচাজগৎ: লেপচাজগৎ-এ সূর্যোদয় একটি স্বর্গীয় দৃশ্য। এটি আরেকটি অফবিট গন্তব্য যা দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূর অবস্থিত। আপনি দার্জিলিং থেকে লেপচাজগৎ যেতে পারেন ঘুম স্টেশন হয়ে!রাত্রিবেলায় এই জায়গা থেকে দার্জিলিংয়ের আলোক মন্ডিত রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন আপনি।
রামধুরা: দু’দিকে সারি সারি পাইন গাছ। তার মাঝখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামধুরা! প্যারাগ্লাইডিং, বার্ডওয়াচিংও কিন্তু করতে পারেন এখান থেকে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে খাতায় কলমে ৮৬ কিমি আর বাগডোগরা থেকে ৮৯ কিমি এর মতো।
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর। দীর্ঘ সাত বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় দার্জিলিংয়ে চালু হল প্যারাগ্লাইডিং। দার্জিলিংয়ের সেন্ট পলস থেকে লেবং পর্যন্ত আকাশে আড়াই কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করতে পর্যটকদের খরচ পড়ছে ৩৫০০ টাকা। আগাম বুকিং করে তবেই প্যারাগ্লাইডিংয়ের আনন্দ নেওয়ার সুযোগ মিলছে। (অনির্বাণ রায়)
দার্জিলিংয়ের প্যারাগ্লাইডিংয়ের পরিচালক কর্মা শেরপা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দু’জন গ্লাইডার এবং দুজন পাইলট প্যারাগ্লাইডিং পরিচালনা করছেন। রোজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকছে। কারণ, সকাল ১০টার পরে পশ্চিমী হাওয়া বইতে শুরু করায় প্যারাগ্লাইডিং করা সম্ভব হয় না। রোজ মাত্র ছ’জন পর্যটক এই প্যারাগ্লাইডিং এর সুযোগ পাবেন।
শূন্যে ভাসতে ভাসতে পর্যটকদের কাছে আরও সুন্দরভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগও থাকছে। তবে এই অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ নিতে পর্যটকদের ৫০০ টাকা দিয়ে আগাম বুকিং করতে হবে। বাকি টাকা দিতে হবে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সময়। হোটেল থেকে পর্যটককে তুলে সেন্ট পলসে নিয়ে যাওয়া এবং লেবংয়ে নামার পর সেখান থেকে গাড়িতে পর্যটককে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে প্যারাগ্লাইডিং করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে পর্যটককে। কর্মা এ দিন বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের কাছ থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে ফোন করে স্লট বুকিং-সহ অন্যান্য খোঁজখবর করছেন। কিন্তু আপাতত রোজ আমরা মাত্র ছ’জনকে পরিষেবা দিতে পারছি।’
জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের মুখ্য আহ্বায়ক দাওয়া শেরপার বক্তব্য, ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে উৎসাহ দিতেই জিটিএ এই পরিষেবা চালু করেছে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন অফিশিয়ালি সকলের সামনে আনা হবে। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড অ্যাডভেঞ্চার সংস্থাগুলোকেই পরিষেবা দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালিম্পং, দার্জিলিংয়ের পর এবার কার্সিয়াংয়েও প্যারাগ্লাইডিং পরিষেবা চালু করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ট্রায়াল ফ্লাইট হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে ইতিমধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, গিদ্দাপাহাড় থেকে শুরু হয়ে রোহিণীতে গিয়ে নামানো হবে।’ খুব তাড়াতাড়ি এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Posts navigation
Just another WordPress site