Tag Archives: Durga Puja Travel
Bankura Tourism: ঘুরতে গিয়েও টাকা বাঁচবে, বাঁকুড়ার অফ বিট লোকেশন, পুজোর ছুটির ক’টা দিন কাটিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে
Darjeeling Tour: দার্জিলিংয়ের পথে এবার পুজোয়, এই অফবিট ডেস্টিনেশন রাখুন তালিকায়, পাহাড়ের হাতছানিতে ডাক দিন
Durga Puja Travel: কাছের মানুষের সঙ্গে প্রাণভরে অক্সিজেন, ঘুরে আসুন ডুয়ার্সের এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে
জলপাইগুড়ি: পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পুজোর মরসুমে ঘুরে আসুন সুন্দরী ডুয়ার্সের নয়া পর্যটন কেন্দ্রে।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ মহুয়াবাড়ি গ্রামে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে গড়ে উঠেছে নয়া পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের জন্য থাকা, খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে এই কটেজে। সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশের অনুভূতি পাবেন এখানে। খাঁটি গরুর দুধ, পুকুরের জ্যান্ত মাছের স্বাদও মিলবে। মহুয়াবাড়ির আশপাশেই রয়েছে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের বোদাগঞ্জের ভ্রামরি দেবী মন্দির, শিকারপুরে দেবী চৌধুরানীর মন্দির, জল্পেশ, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, লাভা – লেলেগাও, ন্যাওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান-সহ নানা জনপ্রিয় পর্যটন স্থল। আবহওয়া ভাল থাকলে কটেজ থেকেই উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য।
যাত্রার খরচও সাধ্যের মধ্যেই। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করলে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরেই এই মহুয়াবাড়ি গ্রাম। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দিনকয়েক প্রাণ ভরে অক্সিজেন নিতে চলে আসতেই পারেন এই নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামে।
সুরজিৎ দে
Durga Puja Travel: বেড়াতে গিয়ে রাজবাড়িতে খাবার খেতে চাইছেন? আসুন এই ঠিকানায়… কলকাতার খুব কাছে
ঝাড়গ্রাম : বেড়াতে এসে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন করতে চাইছেন রাজ বাড়িতে। বিশেষ অতিথি আপ্যায়নের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনের পাশাপাশি পেয়ে যাবেন রাজকীয় খাবারের সুখ। রাজবাড়ির সুস্বাদু ১০ থেকে ১৫ রকমের পদের রান্না নিয়ে আপনার কাছে হাজির হবে রাজবাড়ির রাঁধুনীরা। বড় কাঁসার থালায় সাজানো থাকবে হরেক রকমের মুখরোচক রান্না। দেখে চোখের খিদের পাশাপাশি মিটবে আপনার পেটেরও খিদে।অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম। সবুজ শাল জঙ্গলের টানে সারা বছরেই পর্যটকের রয়েছে আনাগোনা। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে শুরু করা হয়েছে রাজকীয় থালি।
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ভেতরেই রাজ প্যালেস নামের অতিথিশালা রয়েছে। সেই অতিথিশালাতেই পাওয়া যাবে এই রাজকীয় থালির খাবার। যেখানে থাকছে লম্বা চালের সাদা ভাত , ঘি, বেগুন সহ ৩ রকমের ভাজা , লেবু , স্যালাড, শুক্ত , ডাল , একটি তরকারি , মাছ , দেশি মুরগির মাংস , পাঁপড়, দই , মিষ্টি । এই সমস্ত খাবারগুলি বড় কাঁসার থালায় পরিবেশনের করার পাশাপাশি জলও দেওয়া হয় কাঁসার গ্লাসে। আগেকার দিনে রাজা-মহারাজারা যে সমস্ত থালাবাসন ব্যবহার করত তারই ছোঁয়া রয়েছে এই রাজকীয় থালিতে।
ঝাড়গ্রাম প্যালেসের ম্যানেজার রিমলি নন্দী বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “রাজকীয় থালির খুবই চাহিদা রয়েছে। যে সমস্ত পর্যটক ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসছেন এবং রাজবাড়ির অতিথিশালায় রাত্রি যাপন করছেন, তাঁরা কিন্তু দুপুরের মধ্যাহ্নভোজনে রাজকীয় থালি খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও যাংরা একদিনের জন্য ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসছেন তাঁরাও এই রাজকীয় থালির খাবার খেয়ে যাচ্ছেন”।
ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন,”আগেকার দিনে রাজা-মহারাজারা কী ধরনের খাবার খেতেন এবং তা কীভাবে পরিবেশন করা হত, এই সমস্ত বিষয় পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্যই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির পক্ষ থেকে রাজকীয় থালি শুরু করা হয়েছিল।বর্তমানে পর্যটকদের কাছে এই থালির খুব চাহিদা রয়েছে”।
পুজোয় যারা ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসার কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। তাহলে পেয়ে যাবেন মধ্যাহ্নভোজনে এই রাজকীয় থালির খাবার। কেবলমাত্র রাজকীয় থালি নয়, তার পাশাপাশি রয়েছে বাঙালি থালি এবং জঙ্গলমহল থালির খাবারও।
Darjeeling News: পাহাড়ি মোমো খেতে খেতে আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে টয় ট্রেন! কারণ জানলে চমকে যাবেন
দার্জিলিং: পর্যটকদের কাছে পাহাড় মানেই এক শান্তির জায়গা এবং পাহাড় মানেই সুস্বাদু মোমো। পাহাড়ের সেই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি সব সময়ই খাওয়ারের কথা আসলেই পছন্দের তালিকায় থাকে মোমো। সেই অর্থে পাহাড় যাব আর মোমো খাব না তা আবার হয় নাকি।এবার সেই পাহাড়ের কোলে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে করতে সুস্বাদু মোমো খেতে হলে আপনাকে আসতেই হবে দার্জিলিং-এর বুকে অন্যতম এক জনপ্রিয় জায়গা রংটং- এ।
এখানে আসলে মোমো খেতে খেতে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, হঠাৎ করেই আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়বে, ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ প্রতিনিয়ত এই রংটং-এর রাস্তা হয়েই শিলিগুড়ির এনজিপি থেকে দার্জিলিং ছুটে চলে টয় ট্রেন সেই অর্থেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এক অন্যতম নিদর্শন হল রংটং স্টেশন, আর সেই স্টেশনের ধারেই গড়ে উঠেছে ছোট্ট ছোট্ট মোমোর দোকান।
সেই অর্থেই এখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একদম স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশে বসে মোমো খেতে খেতে প্রকৃতির মাঝে এই টয়ট্রেনের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত এখানে ছুটে আসে পর্যটকেরা। এখানে আসলে নিমেষেই আপনার মন ভালহয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
তাহলে আর দেরি কিসের আপনিও যদি মোমো প্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে পাহাড়, মোমো এবং ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন এই তিনটি জিনিসের কম্বো প্যাকেজ আপনি পেয়ে যাবেন দার্জিলিং-এর বুকে অতি পরিচিত সকলের পছন্দের জায়গা রংটং এ। তাই আর দেরি না করে ছুটির দিনে বা উইকেন্ডে নিজের পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মোমো খেতে খেতে পাহাড়কে উপভোগ করতে চলে আসুন রংটং-এর এই ঐতিহ্যবাহী জায়গায়।
সুজয় ঘোষ
Durga Puja Travel: পুজোর ছুটি কাটাতে পুজোর আমেজ গায়ে মেখে? শতাধিক প্রাচীন এই রাজবাড়িতে ঘুরে যান, কলকাতার কাছেই
Travel Destination: নামমাত্র খরচ, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন বাঁকুড়ার ‘স্কটল্যান্ড’থেকে, কীভাবে যাবেন?
Darjeeling Tour: পাইনবনের ফাঁকে টয়ট্রেনের ছোট্ট স্টেশন, নেমে পড়লেই হাতছানি দিয়ে ডাকবে রংটং
Travel: পাথরে গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জলের স্রোত! কলকাতার অদূরেই এই ঝর্নার কথা জানেন?
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন? প্রতিদিনের রুটিন থেকে নিজেকে একটু রেহাই দিতে চান? আপনার কি নদী কিংবা পাহাড়ের থেকে ঝর্না বেশি ভাল লাগে? জানেন কী কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে একটি সুন্দর ঝর্না। ছোট ছুটি কাটাবার জন্য আদর্শ এই জায়গা। পুজোর ছুটি কাটাবার জন্য আদর্শ জায়গা হয়ে উঠতে পারে এই মনোরম জায়গা।
মাত্র কয়েক মাস থাকে এই ঝর্নার জল। পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে। পাথরের গা বেয়ে জল ঝরে পড়ার শব্দ এবং চারিদিকে সবুজের স্নিগ্ধতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি যেন নিমেষেই দূর হবে।
আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে করুন এই কাজ, হাতে আসবে ‘কুবেরের ধন’! শুভ দিন আসার আগেই জেনে নিন
কলকাতা থেকে খুব কাছে রেল শহর খড়্গপুরের অনতি দূরে রয়েছে সুন্দর এই ছোট্ট ঝর্না। বর্ষার এই মরশুমে পরিপুষ্ট থাকে ঝর্নাটি। তবে পুজোর পর ধীরে ধীরে তার বাহার কমে। তাই যারা ঘুরতে যেতে ভালবাসেন কিংবা নতুন নতুন জায়গায় যেতে করতে চান, তারা অবশ্যই ঘুরে দেখুন গ্রামীণ পরিবেশে এই ঝর্না। নীল আকাশের নিচে গড়িয়ে পড়া জল যেন এক আলাদা অনুভূতি দেবে। ছবির মত প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার চোখের সামনে ধরা দেবে।
কলকাতা থেকে সামান্য কিছুটা দূরে খড়্গপুরের ডিমৌলি এলাকায় রয়েছে ভেটিয়া ওয়াটার ফলস। যদিও প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের কাছে এটি ঝর্না নয়, তবে সাধারণ মানুষ এবং ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে অন্যতম ডেস্টিনেশন। বৃষ্টির জল ক্রমশ পাথরের গা বেয়ে ঝরে পড়ছে।
আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে বিরল যোগ! ৩ রাশি হবে সোনায় সোহাগা, হু হু করে বাড়বে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স
শুধু তাই নয় স্রোত হিসেবে বয়ে চলেছে বেয়ে আসা জল। প্রসঙ্গত বর্ষার জলেই পরিপুষ্ট এই ঝর্না। বর্ষার সময় থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত জল থাকে এখানে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই ঝরনা দেখার জন্য।
স্বাভাবিকভাবে যারা কাছে পিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন কিংবা নিত্যনতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ নিচ্ছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন ভেটিয়া ওয়াটার ফলস। কীভাবে পৌঁছবেন এই জায়গায়? ট্রেন, বাস কিংবা ছোট গাড়িতে পৌঁছতে পারবেন এখানে।
আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে গভীর নিম্নচাপ! ভোল পাল্টে যাবে দক্ষিণের আবহাওয়ার, বৃষ্টি কবে থেকে? জেনে নিন
ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে খড়গপুর স্টেশন সেখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে পৌঁছতে পারবেন ডিমৌলির এই জায়গায়। অন্যদিকে খড়গপুর স্টেশন থেকে কেশিয়াড়িগামী বাসে চেপে ডিমৌলী বাস স্ট্যান্ডে নেমে আপনি টোটোয় করে পৌঁছে যেতে পারবেন এখানে। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/UVnQQqYPdVa6Qga2A
রঞ্জন চন্দ