Tag Archives: Fraud Case

Uttarakhand News: বিদেশে চাকরির টোপ, ফাঁদে পা দিতেই ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি সাত যুবক, তারপর?

দেরাদুন: বিদেশে চাকরির লোভনীয় টোপ! সেই ফাঁদে পা দিতেই বিপদ৷ প্রতারণা চক্রে ফেঁসে যাওয়া উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷

উত্তরাখণ্ড থেকে সাত যুবককে চাকরির অজুহাত দিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ যেখানে তাদের মাথা প্রতি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়৷ এই কেলেঙ্কারি পিছনে রয়েছে দুজন৷ গুজরাট থেকে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তবে প্রতারকের সঙ্গীটি হাতছাড়া হয়েছে৷ জানা গিয়েছে সে দুবাই পালিয়ে গিয়েছে৷

আরও পড়ুন : গঙ্গার ভয়ঙ্কর রূপ, মাত্র ২৬ সেকেন্ডে গঙ্গার পেটে তলিয়ে গেল আস্ত বাড়ি

পুলিশ তদন্তে জানা গেছে যে দেরাদুন, চম্পাওয়াত এবং উধম সিং নগর থেকে এই যুবকদের প্রথমে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, তারপরে তাদেরকে মায়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাদেরকে অনলাইন প্রতারণার কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ছেলেগুলি সেই কাজ করতে অস্বীকার করলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেই খবর।

ধৃতদের মধ্যে একজন, চম্পাবতের বাসিন্দা৷ সেই পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি আর তাঁর বন্ধুরা একসঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে৷ সেখানেই খাটিমার বাসিন্দা রাহুল এবং গুজরাটের বাসিন্দা জয়দীপ রামজি নামের দুই প্রতারকের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়৷ এই দুই ব্যক্তি তাঁদের বিদেশে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফাঁদে ফেলে।

আরও পড়ুন : চা ভালোবাসেন? ঝাড়খণ্ডের এই দোকানে রোজ বিক্রি হচ্ছে ১ কুইন্টাল দুধের চা, একবার খেলে প্রেমে পড়ে যাবেন আপনিও

ছেলেটি এরপর পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন৷ তাঁর কথা অনুযায়ী, দিল্লি থেকে ব্যাংককে পৌঁছতেই একটা ব্যাপার তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন৷ বিক্রি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা সবাই৷ চুক্তির ব্যাপারটাও আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁদের মায়ানমারে নিয়ে গিয়ে অনলাইনে প্রতারণার ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়। কোনও মতে একটা ফোন জোগাড় করে যুবকটি পরিবারকে গোটা ঘটনা ও পরিস্থিতির কথা জানায়৷ এরপর বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তায় যুবকদের উদ্ধার করে উত্তরাখণ্ডে ফিরিয়ে আনা হয়।

এমন ঘটনা এই প্রথম নয়৷ এর আগেও প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন অনেকেই৷ বিদেশে চাকরির নামে মানুষ পাচার ও প্রতারণার ব্যাপারটা দিন কে দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে৷ পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে, প্রতারকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷

Fraud Case: মাত্র ৬ মাসের ট্রেনিংয়ে মিলবে সরকারি-বেসরকারি চাকরি, ভাঙড়ে তুলকালাম কাণ্ড…! আত্মসাৎ কোটি কোটি টাকা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চাকরির নামে প্রতারণা ভাঙড়ে, মাত্র ৬ মাসের ট্রেনিং। খরচ পনেরো থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। আর সেই ট্রেনিং শেষে মিলবে সরকারি-বেসরকারি দফতরের চাকরি। যেখানে স্যালারি পাওয়া যাবে পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার টাকা। এভাবেই ভাঙড় থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভাঙড় বাজারে বসে চাকরির নামে প্রতারনা চালাচ্ছিল একটি চক্র। সেই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় অভিযোগ জানালেন কয়েকজন প্রতারিত বেকার যুবক, যুবতী। তাঁদের দাবী, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়েছেন ভাঙড়ের বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডল। অবিলম্বে ওই যুবককে গ্রেফতার করতে হবে এবং টাকা ফেরত দিতে হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড় ১ ব্লকের জাগুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী প্রবীর মণ্ডল তাঁর স্ত্রী কঙ্কনা মাঝি, শ্যালক সঞ্জয় মাঝি ও সন্দীপন সাধুখাঁ-সহ বেশ কয়েকজন মিলে স্মার্ট ভ্যালুর অফিস খুলে বসে, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের উল্টোদিকে কর্মতীর্থ বিল্ডিং-এর তিনতলায়। এমনিতেই জাগুলগাছি পঞ্চায়েতের কর্মী প্রবীর মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘরের টাকা-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুরে প্রথমে স্মার্ট ভ্যালুর অফিস খোলে। সেখানে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ে ভাঙড় থানা (তৎকালীন রাজ্য পুলিশের অধীনস্থ) ওই সংস্থার অফিস বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি পুলিশ কয়েকজন প্রতারিত যুবক-যুবতীকে ওই সংস্থার থেকে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ফের ওই সংস্থা ভাঙড় কলেজের উল্টোদিকে কর্মতীর্থ বিল্ডিংয়ে নতুন করে অফিস খুলে বসে।

আরও পড়ুন-  বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

বিশেষ করে ভাঙড় কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, বেকার যুবক-যুবতীদের টার্গেট করে আবারও ফাঁদ পাতা শুরু করে। তাঁদেরকে বলা হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন জায়গায় ডাটা এন্ট্রির কাজ দেওয়া হবে। এজন্য তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ওই সমস্ত যুবক-যুবতীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও চাকরি কোনও কিছুই পাইনি। যখনই তারা চাকরির কথা বলতে যায় তখন তাদের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দিয়ে বিক্রি করার কথা বলা হয় এবং নতুন নতুন ছেলে মেয়েদের সংস্থায় ভর্তি করানোর কথা বলা হয়। বিনিময়ে তাদের কমিশন দেওয়ার কথা বলা হয়। দুই-তিন বছর ধরে ওই সমস্ত যুবক-যুবতীরা চাকরি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ না পেয়ে এবং টাকা ফেরত চেয়েও না পেয়ে দিন কয়েক আগে ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

এদিন প্রতারিত যুবক-যুবতীরা টাকা ফেরতের দাবিতে ভাঙড় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।এদিন এই ঘটনার পর ভাঙড় থানার পুলিশ ওই সংস্কার অফিসে তদন্ত করতে যায়। শৌভিক বিশ্বাস নামে এক প্রতারিত যুবক বলেন, ওখানে কম্পিউটার ট্রেনিং দেওয়া হবে বলা হলেও কোনও কম্পিউটার ছিল না। বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে এসব চালাচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। প্রতারিত মাম্পি পারভিন বলেন, মূলত কন্যাশ্রী পাওয়া কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করা হতো চাকরির নাম করে। কারণ সহজেই ওঁদের থেকে প্রকল্পের টাকা হাতানো যেত। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধকরা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করেছেন ভাঙড় বাজার ব্যসায়ী সমিতির সভাপতি সাবিরুল ইসলাম।

সুমন সাহা

Fraud Case: বিদ্যুৎ ভবনের নামে যাচ্ছে ফোন! OTP-ও লাগছে না, অ্যাকাউন্ট খালি! খুব সাবধান, নয়তো…!

উত্তর ২৪ পরগনা: বিদ্যুৎ ভবন থেকে ফোন, কোনও রকম ওটিপি ছাড়াই মোবাইলে ঘটল এই কাণ্ড। ধাপে ধাপে ৬ লক্ষ টাকা গায়েব হল উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট থেকে! ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। কী ঘটেছিল?

দেগঙ্গার দোগাছিয়ার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম। বিদ্যুৎ ভবনের নাম করে একটি ফোন পান রেজাউল। বলা হয় বিদ্যুৎভবন থেকে বলছি, ফোনের মারফৎ কিছু তথ্য আপডেট করতে হবে। তা না হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে তাঁর। আর এই আপডেট করতে মাত্র ১৩ টাকা খরচ করতে হবে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথা বিশ্বাস করেই এরপর রেজাউল কিছু না বুঝে সেই আপডেট অপশনে ক্লিক করে দেন। মুহূর্তেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই ফোনে থাকে সিম কার্ডটিও নো সার্ভিস হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: এখনও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা! ফের সিঁদুরে মেঘ, তিস্তার জল ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে কি!

এমন পরিস্থিতিতে পড়ে রেজাউল দৌড়ান ব্যাঙ্কে, কোনও সুরাহা না মেলায় দেগঙ্গা থানায় যান তিনি। সেখানে অভিযোগ করলে থানা থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয় তাঁকে। এরপর প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায়, চলতি মাসের ১ তারিখ রেজাউল জানতে পারেন তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্টগুলি থেকে কখনও ১ লাখ, কখনও তার বেশি, কখনও ১০, ২০, ৫০ হাজার করে মোট ৬ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। মোবাইল নম্বর নো সার্ভিস থাকায় তিনি কোনও মেসেজই পাননি।

ব্যাংক ও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও রকম সাহায্য না মেলায় অবশেষে এদিন বারাসত সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানান। এখন কী ভাবে এই জমানো অর্থ ফেরত পাবেন তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। কোনও ওটিপি ছাড়াই কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট খালি করল প্রতারকরা! তাঁর ধারণা সিম কার্ড হ্যাক করে, সমস্ত ওটিপি নিয়ে এই টাকা তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Rudra Narayan Roy

Hooghly News: ৫০০ টাকা খুচরো করে দিন, তারপরই উধাও লক্ষাধিক টাকা! ভয়াবহ ঘটনা শেওড়াফুলিতে

হুগলি: ৫০০ টাকার নোট ভাঙানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা ঘটনার দৃশ্য। এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে হুগলির শেওড়াফুলি হাট-বাজার এলাকায়। শেওড়াফুলি হাটের একটি মুদিখানা হোলসেলারের দোকানে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে ঘটনাটি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে শেওড়াফুলি থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যে দোকানে ঘটনাটি ঘটে, সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ ভগত। ঘটনার সময় ব্যবসায়ী সন্দীপ ভগত সে সময় দোকানে ছিলেন না। তার এক কর্মচারী দোকানে ছিলেন। বিকালে এক যুবক মুখে মাক্স পরে দোকানে ঢোকে। বাইরে অপেক্ষা করছিল একজন। পাঁচশ টাকার একটি নোট দিয়ে খুচরো করে দিতে বলে। দোকান কর্মচারী ক্যাশ বাক্স খুলে খুচরো বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তার অসচেতনতার সুযোগে লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যাগে পুরে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। ভরা বাজারের মধ্যে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। ঘটনার পর পুলিশের দারস্ত হন ওই ব্যবসায়ী।সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: রেকর্ড গতিতে ভাঙছে! পৃথিবীর এ কী ভয়ঙ্কর অবস্থা! ভয়ে শিউরে উঠছেন বিজ্ঞানীরাও

এই বিষয়ে দোকান কর্মচারী গৌরাঙ্গ ঘোষ বলেন, এক যুবক তাদেরকে এসে বলে ৫০০ টাকার খুচরো করে দেবার জন্য। খুচরো করার জন্য ক্যাশ বাক্স খোলা হলে কথার মধ্যে অন্যমনস্ক রেখে ক্যাশ বাক্স থেকে ৫০০ টাকার গোটা একটি বান্ডিল তুলে নেয় তারা। এই ঘটনা যে ঘটেছে প্রথমে তিনি বুঝতেই পারেননি। ঘটনার দুজন ব্যক্তি জড়িত ছিল। কাছে পিঠে তাদের মোটরসাইকেলও ছিলনা। এই ধরনের ঘটনা আগে শেওড়াফুলির হাটে কোনদিনও ঘটেনি। পুলিশের কাছে আমরা দারস্ত হয়েছি যাতে যত দ্রুত সম্ভব তাদের এই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে দোকান মালিক সন্দীপ ভগত তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনা আগে কোনদিনও ঘটেনি। বয়স্ক কর্মচারী আকার সুবিধা নিয়েই দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকা চোখের নিমিষে হাত সাফাই করে নিয়ে পালিয়েছে। পুলিশের কাছে এর পরেই আমরা দারস্থহয়ে যাতে যত দ্রুত সম্ভব তাদের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেভাবে কোন নজরদারি নেই। বাজারের বিক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন যাতে একটু ব্যবস্থা নিক তার দিকেই নজর দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগে হুগলির চন্ডীতলায় ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকে গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতি।

রাহী হালদার

দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণা, অনেক সময়ই কঠিন হচ্ছে প্রতারকদের ধরা

কলকাতা: ‘NCCRP’-এর তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ২০২৪ সালের মে মাসে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারটি সাইবার প্রতারণার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। যা ২০২১-২০২৩ সালের তুলনায় ৬০.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অভিযোগের মধ্যে ৮৫% অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা এবং জালিয়াতি।

ইদানিং কালে অল্প দিনে বেশি টাকা ফেরতের লোভ দেখিয়ে শুরু হয়েছে জালিয়াতি। নিঃস্ব হচ্ছেন বহু মানুষ। সাইবার থানাগুলির তৎপরতায়, সাইবার প্রতারণাচক্রগুলি দ্রুত ধরাও পড়ছে। সাইবার প্রতারণায় যারা শিকার হচ্ছেন তাঁরা ‘১৯৩০’ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। অভিযোগ জানানোর উপায় সহজ হওয়ায়, অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ইদানিং কালে সামাজিক মাধ্যমে টোপ দেওয়া হচ্ছে যে, ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ১৫ দিনে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যাবে। কখনো আবার ২০০০-৫০০০ টাকা বিনিয়োগ দিয়েও শুরু হচ্ছে।এইভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে একটা সময় সেটা কয়েক লক্ষতে গিয়ে পৌঁছয়। আর এই ধরনের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।

যাদবপুরের এক প্রখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার, দীর্ঘ দিন পরে বিদেশে থেকে ফিরে আসার পর সমাদমাধ্যমে এই রকম একটি প্রস্তাব পান। ভেবে ছিলেন দেশে ফিরে টাকা ডবল করে দিব্যি বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন। সেটা আর হয়নি। তিনি ওই ভাবে ৫৯ লক্ষ টাকা প্রতারকদের হাতে প্রতারিত হয়েছিলেন। যদিও পরে কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছিল।

রাজ্য সাইবার পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “যে ভাবেই অনলাইন প্রতারণা করুক না কেন তাকে কোন না কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকাটা নিতে হবে, সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে চিহ্ন চিহ্নিত করাটা খুব সহজ। কিন্তু কঠিন বিষয় হল, একজন সাইবার প্রতারক ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার পর, সে যে একাউন্টে টাকাটা  নিল সেই একাউন্টে টাকাটি না রেখে, ২০০ থেকে ২৫০টি একাউন্টে টাকাটা পাঠিয়ে দেয়। এখানেই সমস্যা। ওই ২৫০ জনকে পুলিশের পক্ষে ধরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার মধ্যে বেশ কিছু বিদেশের অ্যাকাউন্ট থাকে। যার ফলে, ভারতীয় পুলিশের পক্ষে রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে মামলাগুলি”।

India: এই লোকটিকে চেনেন? গোটা বিশ্বকে ‘টুপি’ পরিয়েছেন! হয়েছে সিনেমাও, কাণ্ড শুনে চোখ কপালে উঠবে

কখনও যদি বলা হয় তাজমহল বিক্রি করার কথা, আপনি কি বিশ্বাস করবেন? তাজমহল, রাষ্ট্রপতি ভবন, নিদেনপক্ষে লালকেল্লা, সংসদ ভবন? আপনি এসব পাগলের প্রলাপ বলেই মনে করবেন।
কখনও যদি বলা হয় তাজমহল বিক্রি করার কথা, আপনি কি বিশ্বাস করবেন? তাজমহল, রাষ্ট্রপতি ভবন, নিদেনপক্ষে লালকেল্লা, সংসদ ভবন? আপনি এসব পাগলের প্রলাপ বলেই মনে করবেন।
কিন্তু একসময় এই সব কাজগুলোর সবই ‘দক্ষতার’ সঙ্গে করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার নাম মিঃ নটবরলাল, ভারতের সর্বকালের সেরা ‘ছদ্মবেশী’।
কিন্তু একসময় এই সব কাজগুলোর সবই ‘দক্ষতার’ সঙ্গে করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার নাম মিঃ নটবরলাল, ভারতের সর্বকালের সেরা ‘ছদ্মবেশী’।
ওই ব্যক্তির আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। যদিও নটবরলাল নামেই খ্যাত। তাকে ভারতের সর্বকালের সেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তার অপরাধগুলো এখনও যে কাউকে ধাঁধায় ফেলে দেবে।
ওই ব্যক্তির আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। যদিও নটবরলাল নামেই খ্যাত। তাকে ভারতের সর্বকালের সেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তার অপরাধগুলো এখনও যে কাউকে ধাঁধায় ফেলে দেবে।
১৯১২ সালে ভারতের বিহারের জিরাদাই জন্ম হয় মিথিলের শ্রীবাস্তবের। মেধাবী মিথিলেশ স্নাতক পাশ করার পরেই আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। আর তখন থেকেই সে প্রতারণা শুরু করে।
১৯১২ সালে ভারতের বিহারের জিরাদাই জন্ম হয় মিথিলের শ্রীবাস্তবের। মেধাবী মিথিলেশ স্নাতক পাশ করার পরেই আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। আর তখন থেকেই সে প্রতারণা শুরু করে।
নিজের গ্রামের এক লোকের সঙ্গে তিনি প্রথম প্রতারণা করেন। সেই ব্যক্তি শহরের ব্যাংকে টাকা জমা করতে দিয়েছিলেন। জমা করার সময় ওই ব্যক্তির সই নকল করে ব্যাংক‌ থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেন।
নিজের গ্রামের এক লোকের সঙ্গে তিনি প্রথম প্রতারণা করেন। সেই ব্যক্তি শহরের ব্যাংকে টাকা জমা করতে দিয়েছিলেন। জমা করার সময় ওই ব্যক্তির সই নকল করে ব্যাংক‌ থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেন।
১৯৩০ সালের দিকে এক হাজার টাকার বর্তমান মূল্য ছিল অনেকটাই। অসম্ভব বুদ্ধি এবং চতুরতার জন্য খ্যাত ছিলেন এই নটবরলাল। সেই সঙ্গে খ্যাত ছিলেন ছদ্মবেশ ধারণে। ৫০টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন নটবরলাল!
১৯৩০ সালের দিকে এক হাজার টাকার বর্তমান মূল্য ছিল অনেকটাই। অসম্ভব বুদ্ধি এবং চতুরতার জন্য খ্যাত ছিলেন এই নটবরলাল। সেই সঙ্গে খ্যাত ছিলেন ছদ্মবেশ ধারণে। ৫০টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন নটবরলাল!
আর শুধু ছদ্মবেশ নয়, সই জাল করার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন বিরাট ক্ষমতার অধিকারী। তবে অল্পতে খুশি ছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই ঐতিহাসিক জায়গাগুলি বেচতে শুরু করেন নটবরলাল। তাজমহল, লালকেল্লা, মায় সংসদ ভবনটিও বেচে দিয়েছিলেন এই মানুষটি!
আর শুধু ছদ্মবেশ নয়, সই জাল করার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন বিরাট ক্ষমতার অধিকারী। তবে অল্পতে খুশি ছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই ঐতিহাসিক জায়গাগুলি বেচতে শুরু করেন নটবরলাল। তাজমহল, লালকেল্লা, মায় সংসদ ভবনটিও বেচে দিয়েছিলেন এই মানুষটি!
টাটা, বিড়লাদের ঘোল খাওয়ানো এই মানুষটির পিছনে যে পুলিশ ছুটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ১০০টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে, ভারতের ৮টা রাজ্যের পুলিশ তাঁর খোঁজে দৌড় বেড়িয়েছে। মোট ৯ বার আটকও হয়েছিলেন নটবরলাল।

টাটা, বিড়লাদের ঘোল খাওয়ানো এই মানুষটির পিছনে যে পুলিশ ছুটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ১০০টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে, ভারতের ৮টা রাজ্যের পুলিশ তাঁর খোঁজে দৌড় বেড়িয়েছে। মোট ৯ বার আটকও হয়েছিলেন নটবরলাল।
কিন্তু প্রত্যেকবারেই পালিয়ে এসেছিলেন তিনি, কেউ ধরতেও পারেনি। শেষবারটি ছিল ১৯৯৬ সালে, শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি এইমসের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।
কিন্তু প্রত্যেকবারেই পালিয়ে এসেছিলেন তিনি, কেউ ধরতেও পারেনি। শেষবারটি ছিল ১৯৯৬ সালে, শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি এইমসের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।
প্রসঙ্গত, তখন তাঁর বয়স ৮৪! নিজের মৃত্যু নিয়েও ধন্দে রেখে গেছেন নটবরলাল। অবশ্য গা ঢাকা দিতে যিনি এত পারদর্শী, তাঁর পক্ষে তো এ আর কিছুই নয়! ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই মারা গিয়েছিলেন নটবরলাল। যদিও তার আসল মৃত্যু তারিখ জানা যায়নি। প্রতারকের তকমা পেলেও বাংরার মানুষের কাছে নটবরলাল আজও এক গর্বের নাম।
প্রসঙ্গত, তখন তাঁর বয়স ৮৪! নিজের মৃত্যু নিয়েও ধন্দে রেখে গেছেন নটবরলাল। অবশ্য গা ঢাকা দিতে যিনি এত পারদর্শী, তাঁর পক্ষে তো এ আর কিছুই নয়! ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই মারা গিয়েছিলেন নটবরলাল। যদিও তার আসল মৃত্যু তারিখ জানা যায়নি। প্রতারকের তকমা পেলেও বাংরার মানুষের কাছে নটবরলাল আজও এক গর্বের নাম।
তার জীবনী নিয়ে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে ‘মি. নটবরলাল’ এবং ২০১৪ সালে ‘রাজা নটবরলাল’ । এ ছাড়াও নটবরলালের জীবনী নিয়ে ডকুমেন্টরিও তৈরি হয়েছে। যা একটি ক্রাইম টেলিভিশন প্রোগ্রামে ২০০৪ সালে প্রচার হয়েছিল।
তার জীবনী নিয়ে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে ‘মি. নটবরলাল’ এবং ২০১৪ সালে ‘রাজা নটবরলাল’ । এ ছাড়াও নটবরলালের জীবনী নিয়ে ডকুমেন্টরিও তৈরি হয়েছে। যা একটি ক্রাইম টেলিভিশন প্রোগ্রামে ২০০৪ সালে প্রচার হয়েছিল।