Tag Archives: hospital

Hospital News: আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই ফের ভয়ঙ্কর খবর, হাসপাতালের মধ্যে দুই রোগী এই কান্ড করল, তোলপাড় চলছে

দক্ষিণ দিনাজপুর: আরজি কর হাসপাতালে যখন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেখানে এদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২ রোগীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট। স্যালাইনের লোহার রড দিয়ে মেরে এক রোগীর মুখ জখম করল আর এক রোগী। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, জখম রোগীর নাম ফাগু পাহান (৬৪)। বাড়ি বালুরঘাট শহর লাগোয়া মাহিনগর এলাকায়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল পেটের ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পরেই পাশের বেডের আরেক রোগীর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বচসা বাঁধে ফাগুর। তার পরেই মারামারির ঘটনা। এরপর ওই রোগীকে স্যালাইনের লোহার রড দিয়ে মুখে ও মাথায় আঘাত করে।

আরও পড়ুন – Believe this zodiac signs: আজকের দিনে বিশ্বাস করেছেন কি মরেছেন! কিন্তু এই চার রাশির মানুষকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, চিনে নিন

পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন। কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন কী করছিলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রোগী পরিবারের লোকজন ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ফের আসেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।

পাশাপাশি, কী নিয়ে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত, তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। বেশ কয়েকদিন আগেও এক আদিবাসী রোগী হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এখনও যার কোন খোঁজ মেলেনি। গত সোমবারও চিকিৎসকের অভাবে এক নাবালকের মৃত্যু ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। এদিন ফের দুই রোগীর মারপিটে শোরগোল পড়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।

Susmita Goswami

Hooghy News: হাসপাতালের বাথরুম মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা কী! ভয়ে-আতঙ্ক আসতে চাইছে না রোগীরা

হুগলি: সএকদিকে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন তুলে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্যতিক্রম যায়নি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালও। তবে দুষ্কৃতীদের থেকে নিরাপত্তাহীনতা না হলেও সরীসৃপের কারণে জীবন বিপন্ন চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। হাসপাতালের বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলো বিষধর বিষধর কালাচ সাপ।

আরও পড়ুনঃ অল্পের জন্য রক্ষা! কালভার্ট ভেঙে নদীতে যা ঘটল! ভিডিও দেখলে আঁতকে উঠবেন!

সোমবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পুরুষ বিভাগের সার্জিক্যাল বাথরুমে এক রোগী দেখতে পান বৃহৎ আকৃতির একটি সাপ ঘোরাঘুরি করছে। তৎক্ষণাৎ ঘটনার খবর পৌঁছায় হাসপাতাল সুপারের কাছে। হসপিটাল থেকে ডাকা হয় পশু প্রেমি চন্দন সিং কে।  চন্দন এসে সাপটিকে উদ্ধার করে। জানা যায় ওই সাপটি এশিয়ার সবথেকে বেশি বিষধর সাপের তালিকায় রয়েছে। যার নাম কালাচ সাপ। এই বিষয়ে চন্দন সিং বলেন, একটি কলাচ সাপের সঙ্গে একটি জলঢোঁড়া সাপ ও উদ্ধার হয়েছে। যে সাপগুলি বেড়িয়েছিল তা ধরা পড়েছে। আতঙ্কে আর সেরকম বিশেষ কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে বলেছিলেন, হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে। সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, হাসপাতালে যেন কুকুর ছাগল ঘুরে না বেড়ায়। তবে কুকুর ছাগল না ঘুরে বেড়ালেও হাসপাতালের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষধর সাপ। যা নিয়ে আতঙ্কের দানা বেঁধেছে রোগী মহলে।

রাহী হালদার

Pregnant woman death: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

মেরঠ: চিকিৎসকদের ভারতে ঈশ্বর হিসাবে মানা হয়। তাঁরা নাকি ঈশ্বরের মতো মৃত মানুষের শরীরের প্রাণ ফেরাতে পারে। কিন্তু অনেক সময় ঈশ্বরের মতো চিকিৎসকদেরও ভুলভ্রান্তি হয়। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় সাধারণ মানুষকে।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মেরঠে সন্তানপ্রসব করতে গিয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয় এক মহিলার। ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিয়ে মৃত মহিলার দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। তারপরে সমস্ত ধর্মীয় আচার মেনে মৃতদেহ সৎকার করা হয়। মৃতদেহ সম্পূর্ণ দাহ হলে সেখান থেকে চিতাভষ্ম সংগ্রহ করার সময় শিউরে ওঠে পরিবার। চিতাভস্ম থেকে এমন জিনিষ পাবেন তা সেই মহিলার পরিবারের সদস্যরা আশাই করেননি।

আরও পড়ুন: দু’সপ্তাহের মধ্যেই আবার বিশ্বজয় ভারতের! ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হলেন তৃণমূল সাংসদ

ঘটনাটি ঘটেছে রথৌরা খুর্দ গ্রামের হস্তিনাপুর থানা এলাকায়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মেরঠের জেকে হাসপাতালে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অপারেশন চলাকালীন প্রাণ হারান সেই মহিলা। তাঁর অস্থিভস্ম সংগ্রহ করার সময় পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে একটি সার্জিক্যাল ব্লেড খুঁজে পান। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মৃত মহিলার পরিবার। সম্পূর্ণ ঘটনা তাঁরা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পরেও মহিলার শরীরে ছিল সার্জিক্যাল ব্লেড, যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার।

ঘটনার পরে মেরঠের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত হাসপাতালের লাইসেন্স।

রোগীর আশপাশে যখন তখন ঘুরছে সাপ! চাপে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা

সাপের আতঙ্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা! ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনে সাপ আতঙ্ক। পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক। পরিত্যক্ত বাড়ি ঘিরে জঙ্গল ও আবর্জনা। হাসপাতাল চত্বরে ভাঙা বাড়ি ও জঙ্গল জুড়ে সাপ। সাপের আতঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁদের পরিবারয সাপ তাড়াতে উদ্যোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

Child Care: অনাথ কথা আজন্ম বড় হচ্ছিল হাসপাতালেই, তার নতুন ঠিকানায় চলে যাওয়ার সময় আসতেই মনভার সকলের

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: হাসপাতালেই বড় হচ্ছে কথা। জন্মগ্রহণের পর বর্তমানে কথার সঙ্গী এখন হাসপাতালের নার্স এবং ডাক্তাররা। তবে কে এই কথা ? আসলে এক ছোট্ট শিশুর নাম হল কথা। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে, কালনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অন্তরা বিশ্বাস নামের তরুণী। হাসপাতালেই তিনি জন্ম দেন এক কন্যাসন্তানের। তবে পরবর্তীতে মারা যান অন্তরা। ভাগ্যের এমন পরিহাস, যে তার কিছুদিনের মধ্যে অন্তরা দেবীর স্বামীরও মৃত্যু হয়। হাসপাতালের নার্স এবং চিকিৎসকরাই হয়ে উঠেছেন এই ছোট্ট শিশুর অভিভাবক।

ভালবেসে নার্সরা তার নাম রেখেছেন কথা। এই প্রসঙ্গে কালনা হাসপাতালের নার্স রমলা রক্ষিত বলেন, “কথা জন্মের পর খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে এখন মোটামুটি সুস্থ আছে। ওর সঙ্গে আমাদের একটা ভাল বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমরা চাইবও বড় হোক, ভালভাবে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়ে উঠুক। “

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে কথার জন্মের পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে হাসপাতালের ডাক্তার এবং এসএনসিইউ ইউনিটের নার্সদের তৎপরতায় ধীরে ধীরে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। মাতৃস্নেহে কথাকে বড় করে তুলছে কালনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খাওয়ানো থেকে শুরু করে ঘুম পাড়ানো, কথার সমস্ত দায়িত্বই এখন তাঁদের। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের নার্স রমলা রক্ষিত আরও বলেন, “ও কখন খাবে , কখন ঘুমোবে সবকিছুই আমরা দেখাশোনা করছি। নামও রেখেছি কথা। ওর চোখ খুব সুন্দর, এত মায়াভরা চোখ যে তাকালে চোখ ফেরানো যাবে না।”

আরও পড়ুন : রুপোর রেকাবিতে ঘিয়ে ভাজা লুচি, মালপোয়া, রাবড়ি! নবদ্বীপে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহকে জামাই আদরে বরণ বিষ্ণুপ্রিয়ার বংশধরদের

তবে বর্তমানে হাসপাতালের নার্সদের মন এখন খারাপ। কারণ আর কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হবে কথাকে। হাসপাতালের তরফে কথার জন্য একটা সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে কথাকে। বাবা-মাকে হারানোর পরে নার্সরাই আপন করে নিয়েছিলেন কথাকে। ছোট্ট দুধের শিশুর দায়িত্ব নিতে চায়নি তার পরিবারের সদস্যরাও। স্নেহ ভালবাসা দিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় তার দেখভাল করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। তবে এবার কথার চলে যাওয়ার পালা , সে কারণেই মন খারাপ হাসপাতালের সকলেরই।

Mamata Banerjee: লেখকের চিঠিতে তৎপর স্বাস্থ‍্য দফতর! হাল ফিরছে গ্রামীণ হাসপাতালের

আউশগ্রামঃ আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের অজয়তীরের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মল্লিকপুর গোস্বামীখন্ড গ্রামে রয়েছে একটি প্রাথমিক হসপিটাল। কংগ্রেস আমলের শেষের দিকে সে হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছিল এবং দশ শয্যা বিশিষ্ট সেই হসপিটালে রোগীর চাপ লেগেইছিল। তারপর একটি জমানা গেছে। অজয়ে বহু জল গড়িয়েছে সময়ের তালে, কিন্তু বদলায়নি রামনগর হসপিটালের পরিস্থিতি। বরং বিগত বাম আমলেই বন্ধ হয়ে গেছিল হসপিটালটি একপ্রকার। পুরোনো কোয়াটার্স, অপারেশন থিয়েটার সহ সমস্তকিছুই ভেঙ্গে যায়। চুরি হয়ে যায় হসপিটালের গেট, বাতি স্তম্ভ ও নানান যাবতীয় জিনিষপত্র। কোনও হেলদোল নেই। এলাকার মানুষ অসহায়ের মতো দিন কাটায়।

আরও পড়ুনঃ শহরের পাশাপাশি গ্রামকে গুরুত্ব দিয়েও প্রচার দিলীপ ঘোষের  

এক সময়ে এই হসপিটালেই জন্ম হয়েছে, বহুমানুষ সুস্থ হয়েছে ভর্তি থেকে। সেইসঙ্গে নানারকমের অপারেশনও হয়েছে এখানে। এই হসপিটালে দীর্ঘ ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করে গেছেন  ডা. রজত গড়াই। এলাকার বহু সাপে কামড়ানো রোগীকে সুস্থ করে তোলেন তিনি। এই মল্লিকপুর হসপিটালের সামনেই বারাসাতের ডাঙায় নতুন করে তৈরি হয়েছে প্রস্তাবিত থানার বিল্ডিং। সেই ফাঁড়িকে থানা ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেও কয়েক বছর হয়ে গেল। এলাকার ফার্মাসিস্ট সঞ্জয় মণ্ডল আর একজন সরকারি নার্স এখন নিয়মিত মল্লিকপুরের হাসপাতালের আউটডোরটি চালু রেখেছেন। সপ্তাহে একবার কোনও চিকিৎসক  আসেন জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। বহুদিন বন্ধ হয়ে গেছে বেড পরিসেবা। হয়না ওটিও। সারাবছরই এই নিয়ে এলাকার মানুষ, প্রসূতি রোগীরাও পরেন মহা অসুবিধায়।

এলাকার সন্তান, লেখক রাধামাধব মণ্ডল বিভিন্ন নাগরিক দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেন। তিনি বেশ কয়েক বার এই নিয়ে চিঠিচাপাটি করেন বিভিন্ন দফতরসহ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য দফতরেও। পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসককেও তিনি ব্যক্তিগত ভাবে জানান যে, গ্রামীণ এই দুর্গম এলাকার মানুষের কথা ভেবে এই হসপিটালের পুরোনো দিনের পরিকাঠামো ফেরানো হোক। বেড পরিষেবা করারও দাবি জানান তিনি। শুধু তাই নয়, গত ২৪ শে এপ্রিল আউশগ্রামের হাইস্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সভায় আউশগ্রামে আসার আগেও লেখক রাধামাধব মণ্ডল তাকে লিখিত ভাবে সমস্ত বিষয়টি জানান। সে চিঠিরও উত্তর দেয় দফতর।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, যে, হসপিটালের হাল ফেরাতে সরকারি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নির্বাচনী পর্ব শেষ হলেই তার পক্রিয়া শুরু হবে। লেখক রাধামাধব মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিনের এই হসপিটালেই আমার জন্ম হয়। বেড পরিষেবার ঘর গুলি ভেঙ্গে গেছে বহুদিন। লাইট পোস্ট গুলিও ভেঙ্গে গেছে অবহেলায়। অপারেশন থিয়েটার এখন কোনও কাজে লাগে না। বহু জিনিস পত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আজকাল নিয়মিত ডাক্তারও থাকে না। এমনকী দুঃখের বিষয় হসপিটালের জায়গাগুলোও একশ্রেণির অসাধু চক্রের মানুষ দখল করে নিচ্ছে। পুরোনো বাউন্ডারি ভেঙ্গে গেছে। নতুন করে বাউন্ডারি দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে এই অঞ্চল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের দূরত্ব ৬৫-৭০ কিমি, গুসকরা শহর ৩২-৩৮ কিমি এবং বন নবগ্রামে আউশগ্রাম ১ নং ব্লক  প্রাথমিক কেন্দ্রের দূরত্বও ২০ কিমির মতো।

এমত অবস্থায় অমরপুর, হরিনাথপুর, বসুধা, ভোগাতলা, আকুলিয়া, কালিকাপুরের পাশাপাশি হেদগড়া, গেঁড়াই, ভূঁয়েড়া, ডাঙাপাড়া, পাথারকুচি, মঙ্গলপুর, পল্লীশ্রী, মালচাসহ তিন- চারটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ এই হসপিটালের চিকিৎসা পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অতীতে এই সব এলাকার কৃষিপ্রধান  শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর শ্রেণির মানুষরা এই হসপিটাল থেকে চিকিৎসা পেয়েছে। এলাকার রাজনৈতিক নেতারা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এই হসপিটালকে পুনঃজীবিত করতে দাবি তুলে ছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি! রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বন্দনা ঘোষ বলেন, লেখক রাধামাধব মণ্ডলের জন্য আমাদের এলাকার বহুকিছু হয়েছে। পাণ্ডুরাজার ঢিবি নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। নাগরিকদের পাশে থাকেন। তার হসপিটালের এই কাজকে আমিও সমর্থন করি।

Hospital ordered 10 Lakh compensation: ১৬ বছর আগে শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসার গাফিলতির জন্য ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হাসপাতালের

১৬ বছর আগের ঘটনা। চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য প্রাণ যায় ১২ বছর বয়সি ছেলের। দীর্ঘ ১৬ বছর পর মিলল স্বস্তি, হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লির জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।

আরও খবর: রোদের মধ্যে বেরোতে হচ্ছে, মাথায় পরতে পারেন এসি হেলমেট, কোথায় পাওয়া যাবে?

কী হয়েছিল ১৬ বছর আগে? ২০০৭ সালে ১২ বছর বয়সি দেবানন্দকে সাপে কামড়ানোর পরে ছেলেকে নিয়ে মহাত্মা গান্ধি মিশন হাসপাতালে হাজির হন পরশুরাম। সন্তানকে বাঁচানোর জন্য় অনেক চেষ্টার পরেও প্রাণ যায় ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি পরশুরাম। তার পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন পরশুরাম।

আরও খবর: তিন বছর পরে ধরে ভারতে আটকে বাংলাদেশি শিশু, অবশেষে ফিরল দেশে

অবশেষে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশে মিলল স্বস্তি। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হল হাসপাতালকে। ওই ব্য়ক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, হাসপাতালে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসক শিনু গুপ্তা পরামর্শ দেন ছেলেকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কারণ সেই চিকিৎসকের ধারণা ছিল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ সামলাতে পারবেন না পরশুরাম। যদিও অনেক অনুরোধের পরেও চিকিৎসক আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসা না শুরু করে আরও টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পরে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। অবশেষে সুবিচার পেলেন পরশুরাম।

Viral Tweet: অপারেশন টেবিলে ভয়ে কান্না মহিলার, কাঁদার জন্য আলাদা বিল ধরাল হাসপাতাল! তুমুল ভাইরাল…

#নিউ ইয়র্ক: এমন ঘটনা সম্ভবত এর আগে কোনওদিনই শোনা যায়নি। পাঁচতারা হোটেলে বা হাসপাতালে অন্যায্য বিল নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। তবে সম্প্রতি মার্কিন দেশের এক মহিলার ট্যুইটে যে বিষয় সামনে এসেছে, তা কোনও দিনই এর আগে ঘটেনি বলেই মনে করছেন নেটিজেন। শরীরের তিল অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন মিডজে নামের এক মার্কিন মহিলা। ট্যুইটে তিনি (Viral Tweet) দাবি করেছেন, অপারেশন টেবিলে ভয়ে কেঁদে ফেলার জন্য আলাদা ভাবে বিল নিয়েছে হাসপাতাল। ভাবতে পারছেন? ভয়ে কেঁদে ফেলার জন্য টাকা দিতে হল (Viral Tweet)?

বিলের ইনভয়েস ট্যুইট (Viral Tweet) করে মিডজে লিখেছেন, তিল অপারেশনের জন্য ২২৩ ডলার বিল। তার সঙ্গে ‘ব্রিফ ইমোশান’, অর্থাৎ, অপারেশন টেবিলে ভয়ে কেঁদে ফেলায় ১১ ডলার আলাদা ভাবে চার্জ নেওয়া হয়েছে বিলে। সেই বিলের ইনভয়েসেও পরিষ্কার লেখা রয়েছে সেটি। ‘ব্রিফ ইমোশানের’ জন্য ১১ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৮১৫ টাকা চার্জ ধরা হয়েছে। মিডজে ট্যুইটারে এই বিলের ছবি পোস্ট করার পর থেকেই সেটি ভাইরাল হয়েছে।

নিমেষের মধ্যে ট্যুইটটি প্রায় ২ লক্ষ লাইক পেয়েছে। তারই সঙ্গে অসংখ্যবার রিট্যুইট করা হয়েছে সেটি। নেটিজেন এমন কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে নানা কথা লিখেছেন। কেউ লিখেছেন, হতে পারে না। কারও মত, জঘন্য। অনেকে আবার আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই ট্যুইটের কমেন্টে। মেডিক্যাল পরিষেবা দিতে গিয়ে এভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়াকে অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন নেটিজেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন কত কিছুই না ভাইরাল হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কত ছবি ও ভিডিও নজর কাড়ে নেটিজেনের। আর সেগুলি পছন্দ হলেই একের পর এক শেয়ার ও কমেন্ট। আর তার পরেই ভাইরাল হয়ে যায় সেগুলি (Viral)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিলের ট্যুইটও তেমনই সাড়া ফেলে দিেয়ছে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে এই ট্যুইট।

আরও পড়ুন: রাইস কুকারকে বিয়ে, আবার ডিভোর্সও! এই ব্যক্তির কাণ্ডকারখানায় চমকে উঠছে বিশ্ব…