Tag Archives: Nabanna

Jobs: রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত, বিতর্ক এড়াতে তৈরি হচ্ছে বিধি

কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটতেই শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা শুরু করল রাজ্য সরকার৷ রাজ্য জুড়ে সরকারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকা পদে কয়েকহাজার নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷

রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকা পদে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শূন্যপদ রয়েছে৷ সেই সমস্ত শূন্যস্থানে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷

আরও পড়ুন: বিরাট ঘটনা ঘটতে চলেছে রাজ্যের ১০ শহরে, বেছে নেওয়া হল নাম! কলকাতা আসার প্রয়োজনই পড়বে না

প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি চূড়ান্ত করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হল অনুমোদনের জন্য বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।প্রায় ৫০০০টি শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক – প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করতে চায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।

ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি সংরক্ষণ নীতিও থাকবে প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন এলেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় পেশ হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি।

Mamata Banerjee Nabanna: বিরাট ঘটনা ঘটতে চলেছে রাজ্যের ১০ শহরে, বেছে নেওয়া হল নাম! কলকাতা আসার প্রয়োজনই পড়বে না

কলকাতা: ১০ জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মল করতে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ নবান্নর। এখন পাঁচতলা শপিং মল পুরোটাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পণ্যের। এই ভাবনাকে সামনে রেখে কলকাতার ঢাকুরিয়ার কাছে দক্ষিণাপনের পাশে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য চালু হয়েছে নিজস্ব মল।

এবার হস্তশিল্প থেকে আচার-পাঁপড়-মোরোব্বা-সহ স্বনিভর্র গোষ্ঠীর হাত ধরে গড়ে ওঠা বাংলার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পজাত হাজারও সামগ্রীকে বাজার তৈরি করে দিতে জেলাতেও অনুরূপ মল তৈরি করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য বাংলার নিজস্ব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে পর্যটকদের সামনে  ‘শো-কেস’ করা।

আরও পড়ুন: কেবল রসগোল্লা-পান্তুয়া নয়, রোজের ৫ অভ্যাসে ব্লাড সুগার বেড়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে! জানুন

তাই দশ জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মল তৈরির জমি চিহ্নিত করার নিদেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদের। গত ১২ জুলাই ভারচুয়াল বৈঠকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছিল নবান্ন। এরপর মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা জেলাশাসকদের জানিয়ে দিলেন জমি চিহ্নিত করা দ্রুত প্রস্তাব পাঠাতে নির্দেশ দিলেন। এই জেলা শহরগুলি হল, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান,শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদা, চন্দননগর।

আরও পড়ুন: একজন IAS এবং IPS অফিসারের মধ্যে মূল পার্থক্য কীসের? কে বেশি শক্তিশালী? উত্তর চমকে দেবে

রাজ্যে এই মুহূর্তে গ্রামাঞ্চলে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষের বেশি। সবাই মহিলা। শহরাঞ্চলেও আরও কয়েক লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এদের প্রধান সমস্যা হল বিপণন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ শুরুতেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজার করতে সরকারি উদ্যোগে ব্র্যান্ড তৈরি করার কথা বলা হলেও বিশেষ এগোয়নি সে কাজ।

পর্যটক কেন্দ্রিক জেলা শহরে তাদের বাজার তৈরির করার প্রস্তাবও ছিল। কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতায় এই মল তৈরি করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এজন্যই জেলাগুলিতে মল তৈরি করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্য থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  রাজ্যের তাঁত, বস্ত্রশিল্প, হস্তশিল্পকে শো-কেস করতে চান। এজন্য পুজোর আগেই দুবাইয়ের  মতো রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ কনভেনশান সেন্টার শো-কেস ওয়েস্ট বেঙ্গল হচ্ছে। ২০ সেপ্টম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আলিপুর জেল মিউজিয়ামের পাশে হিডকো একটি মল তৈরি করেছে। পুরোটাই বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁত এবং চর্মজাত শিল্পকে নিয়ে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই সম্মেলনের আগেই এই শপিংমল গুলির তৈরির কাজ শুরু করতে চায় নবান্নের শীর্ষ মহল। সেই কারণে তৎপরতা শুরু করল নবান্ন।

 সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় 

Malda: উত্তপ্ত মালদহ…! বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ ঘিরে বিক্ষোভ, ‘গুলি’? জেলাশাসককে ফোন মুখ্য সচিবের

মালদহ: মালদহের মানিকচকের ঘটনা ঘিরে তৎপর নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি রাজ্যের মুখ্য সচিবের ফোন গেল মালদহ জেলা শাসকের কাছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে পরিস্থিতি কী সেটা জানতেই মুখ্য সচিব ফোন করেছেন জেলাশাসককে। কী ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে সবিস্তারে টেলিফোনিক আলোচনা মুখ্য সচিবের। যদিও মালদহ প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমনটাই মালদহ জেলাশাসক জানিয়েছে মুখ্য সচিবকে।

ঘটনায় কোনওরকম প্রশাসনিক গাফিলতি যাতে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করে জেলাশাসককে প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। পুলিশ ও গ্রামবাসী দুই তরফেই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। মালদহ জেলা শাসক ঘটনার রিপোর্ট দিলেন মুখ্য সচিবকে। সূত্রের খবর, কে কে আহত, কোথায় কোথায় আঘাত পেয়েছেন? সেসব কিছুই- ইতিমধ্যেই হাসপাতালের থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীদের আঘাত কেমন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে প্রশাসনিক তরফে।

উল্লেখ্য, মালদহের মানিকচকের ঘটনায় এখনও গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেনি পুলিশ। অবরোধকারী এবং পুলিশ দুই তরফেই জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এ পর্যন্ত ঘটনায় আটক ৫জন। এলাকায় চলছে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযান। মানিকচকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত, আক্রান্ত পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন মানিকচক থানার আইসি। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও খবর। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, নয়ানজুলিতে পুলিশের গাড়ি ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনায় সংবাদ মাধ্যম আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। গোটা এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা।

প্রসঙ্গত, মালদহের মানিয়াচকের এনায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে তুমুল বিক্ষোভ ও রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় বৃহস্পতিবার। মালদহ- মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার গ্রামবাসীরা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ব্যাপক দুর্ভোগ হয় সাধারণ যাত্রীদের। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের পাল্টা অভিযোগ, দিনের মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে মানিকচকে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের অভাবে চরম কষ্টে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। পানীয় জলের সমস্যা, চাষবাসের সমস্যা, এমনকি দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শিশু, বৃদ্ধ-সহ অসুস্থ মানুষজন সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি, উল্টে বুধবার রাতে মানিকচক বিদ্যুৎ দফতরে সমস্যা জানাতে গেলে বাসিন্দাদের পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর তারই প্রতিবাদে সকাল থেকে শুরু হয় লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ।

অবরোধকারী ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। পুলিশের গুলিতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও অভিযোগ। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এদিন সকাল থেকেই। ঘটনা ঘিরে তৎপর নবান্ন। কী কারণে গুলি চালাতে হল পুলিশকে, কারা কারা অসুস্থ তা জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চায় নবান্ন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসক তাঁর রিপোর্ট দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনও কসুর রাখতে চাইছে না প্রশাসন।

 

Government jobs: বুঝে নিয়োগ, তাড়াহুড়ো নয়!নির্দেশ মুখ্যসচিবের, সরকারি চাকরিতে রাশ টানছে নবান্ন?

কলকাতা: শিক্ষা দফতর সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আগে থেকেই বিদ্ধ রাজ্য সরকার৷ আবার কর্মীদের বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে গিয়েও চাপ বেড়ে চলেছে রাজ্যের কোষাগারোর উপরে৷

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মী নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরকে সতর্ক করলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা৷ শূন্য পদ তৈরি হলেই তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ না করার নির্দেশ দিলেন তিনি৷ সোমবার নবান্নে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব৷

সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বুঝে কর্মী নিয়োগ করতে হবে। শূন্য পদ হলেই লাফিয়ে নিয়োগ করতে হবে এমনটা নয়। যতটুকু প্রয়োজন, যতটুকু না হলে নয় ততটুকু নিয়োগ করুন।’

আরও পড়ুন: মন্দারমণির সমুদ্রে বিপদ! একসঙ্গে ডুবে মৃত্যু দুই বন্ধুর, নিখোঁজ আরও ১

বিভিন্ন দফতরে শূন্য পদ পূরণে বন্ধ হয়ে যাওয়া উন্নয়ন পর্ষদগুলির কর্মীদেরও প্রয়োজনে বদলির করে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব৷ সূত্রের খবর, বি পি গোপালিকা বলেন, ‘বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেখান থেকে লোক নিয়ে এসে দপ্তরে নিয়োগ করুন। কোন দপ্তরে কেমন লোকের প্রয়োজন তা নিখুঁতভাবে বিচার করেই নিয়োগের পথে হাঁটুন।’

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র, কৃষি, স্কুল শিক্ষা সহ কয়েকটি দফতরে কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে। তা নিয়ে আলোচনা করার সময় মুখ্যসচিব এ দিন এই নির্দেশ দেন বলেই সূত্রের খবর।

Rural development: গ্রামীণ উন্নয়নে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ খরচ হয়নি একাধিক জেলায়, রিপোর্ট পঞ্চায়েত দফতরের

কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটলেও রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ করে গ্রামীণ গরীব মানুষের বাড়ি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। সেই মতো গ্রামীণ গরীব মানুষের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই টাকা বিলি করবে রাজ্য। তারপরও গ্রামীণ বিকাশে পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা রাজ্যের খরচ করতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরে স্বামীর থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারেন মুসলিম মহিলারাও: সুপ্রিম কোর্ট

পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করেছে ৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ৮৪৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ২৭.১৮ শতাংশ। প্রায় ২ হাজার ২৭৪ কোটি ৭ লক্ষ টাকা জেলা ট্রেজারিতে পড়ে রয়েছে মাসের পর মাস।

আরও পড়ুন: নাগেরবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণ নেভাতে আরও সময় লাগবে

দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই দুই জেলা বরাদ্দ অর্থের ২০ শতাংশের সামান্য বেশ টাকা খরচ করেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের দশ জেলা তাদের গ্রামীণ উন্নয়নে অর্থ কমিশেনর বরদ্দ টাকার ২৫ শতাংশের কম টাকা খরচ করেছে। এই জেলাগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কোচবিহার জেলায়। ৪৮.০৮ শতাংশ।

অর্থ কমিশনের এই টাকার ৬০ শতাংশ নির্দষ্ট পরিকল্পনা মেনে খরচ করার জন্য শর্তাধীন তহবিল বা টায়েড ফান্ডে বরাদ্দ করে। যা পানীয় জল, স্যানিটেশন প্রকল্পে খরচ করা হয়। এজন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নির্দিষ্ট প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দিতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা আনটায়েড ফান্ড বা নিঃশর্তধিন তহবিলে বরাদ্দ করা হয়। এই তহবিলের টাকা খরচে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির স্বাধীনতা রয়েছে। এই টাকা মূলত গ্রামীণ পরিকাঠামো বিকাশে  খরচ হয়। গ্রামীণ এলাকার সমষ্টিগত উন্নয়নে খরচ করতে হয়। বেতন, প্রশাসনিক বা পরিবহণ সংক্রান্ত কাজে এই টাকা খরচ করা যায় না।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গ্রামীণ উন্নয়নের টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টেন্ডার এর নামে টাকা নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে বলেও সরব হয়েছিলেন। তারপর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ নিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

Nabanna: সরকারি প্রকল্প ঠিক সময়ে কার্যকরী হচ্ছে? বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের! তৈরি হচ্ছে নয়া “ইউনিট”

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সরকারি প্রকল্প সময় ধরে রূপায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।এবার সরকারি প্রকল্প সময় ধরে রূপায়ন হচ্ছে কিনা নজরদারিতে রাজ্য “প্রোগ্রাম মনিটারিং ইউনিট” তৈরি করল। প্রশাসনিক কর্মীবর্গ দফতর এই মনিটারিং কমিটি তৈরি করে দেবে।

কমিটির নেতৃত্বে থাকবে পঞ্চায়েত দফতরের সচিব। এছাড়াও পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন দফতরের আধিকারিকদের রাখা হবে এই কমিটিতে। এই কমিটি সরকারি কর্মসূচি ও প্রকল্পের কাজে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় ও মূল্যায়ন করবে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এই মনিটারিং কমিটির মূল লক্ষ্য তিন। প্রোগ্রাম মনিটারিং কমিটি বিভিন্ন সরকারি দফতর, জেলা প্রশাসন ও প্রকল্প রূপায়ণকারী এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করবে। কোথাও কাজ আটকে গেলে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করবে। পাশাপাশি করতে হবে কাজের মূল্যায়নও।

আরও পড়ুন: প্রবেশিকা পরীক্ষায় শীর্ষে মাওবাদী নেতা! অর্ণবের পিএইচডিতে ‘বাধা’ উপাচার্যের? জট কাটাতে উদ‍্যোগী কুণাল

এই ব্যাপারে মানুষের অভিযোগ থাকলেও আলোচনার মাধ্যমে ত্রুটি বিচ্যুতি খতিয়ে দেখে তারও সমাধান করবে কমিটি। এছাড়াও মনিটারিং কমিটি, দফতর ও এজেন্সির কাছ থেকে কাজে নানা ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ গতিশীল করার জন্য পর্যালোচনা চালাবে। বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি ও প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিটি পর্যায়ে রিপোর্ট নিয়মতি মনিটারিং কমিটিকে দিতে হবে। লক্ষ্য, সরকারি প্রকল্পকে সঠিক পথে গতিশীল করে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা।

সম্প্রতি একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পে কাজ সঠিক সময় কেন শেষ হচ্ছে না তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ সঠিক সময় শেষ করার জন্য মুখ্য সচিবকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: YouTube-এ ভিডিও বানিয়েই রোজগার হবে লাখ লাখ টাকা! কত সাবস্ক্রাইবার চাই? এই কাজ করলে তবেই আসবে টাকা, এখনই শিখে নিন

তারপরই এই নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই মনিটারিং ইউনিট কিভাবে কাজ করবে তার জন্য কয়েক দফা গাইডলাইন ও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে সরকারি প্রকল্পে কাজগুলিতে যাতে কোন ফাঁক ফোকর না থাকে তার জন্যই এই ইউনিট গঠন বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

 সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

সৌরভের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ! নবান্নে হস্তান্তর হল গড়বেতার ৩১৮ একর জমি

কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত শিল্প কারখানার জমি হস্তান্তর। রাজ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর গড়বেতার ৩১৮ একর জমি হস্তান্তর করল রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন নিগমকে। এই নিয়ে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম আগামিকালই বৈঠকে বসতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও।

সূত্রের খবর, শীঘ্রই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে শিল্প কারখানার জন্য জমি হস্তান্তর করতে পারে নবান্ন। আজকের এই জমি হস্তান্তরের পরবর্তী ধাপই হল রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর প্রস্তাবিত শিল্প কারখানার জমিটি হস্তান্তর করবে। শিল্প উন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর সৌরভকে খুব দ্রুতই এই জমি হস্তান্তর করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বাংলায় নতুন শিল্পের জোয়ার আনার ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার পাকাপাকি ভাবে জমি হাতে পেলে সম্ভবত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথেই এগোতে পারেন মহারাজ।

Nabanna News: কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিলেছে…কিন্তু তা-ও তৈরি হয়নি ৫৫ হাজার বাড়ি! রিপোর্ট পেয়েই নড়েচড়ে বসল নবান্ন

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার প্রকল্পে কেন্দ্রের অনুমোদনের পরেও রাজ্যে এখনও তৈরি হয়নি ৫৫ হাজার বাড়ি। সম্প্রতি, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্টে সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলাবাহুল্য, এই পরিসংখ্যান দেখে যারপরনাই ক্ষুব্ধ নবান্ন।

বর্তমানে এই প্রকল্পে কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে রাজ্যকে। এর আগে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া বরাদ্দের মধ্যে এত সংখ্যক বাড়ি তৈরির কাজ কেন শেষ হয়নি? তা নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন।

আবাস যোজনা প্রকল্পে আশানুরূপ কাজ না হওয়ায় একাধিক জেলার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্নের প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের হয়ে ভোট করাল পুলিশ…!’ ভোট মিটতেই বিস্ফোরক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

আরও পড়ুন: ‘কুত্তা পাগল হো গয়া হ্যায়’, জয়পুর পুরসভার ওয়েবসাইটের হাস্যকর হিংলিশ ভাইরাল

সূত্রের খবর, জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা,পূর্ব মেদিনীপুর, মুশিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় কয়েক হাজার বাড়ি তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। বাড়ি না হওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। ফলত, অবিলম্বে জেলাশাসকদের এই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দিল নবান্ন।

Kolkata: তালিকায় ১৮০ জনেরও বেশি, মমতার ক্ষোভের পরই বদলির নির্দেশ নবান্নের! প্রশাসনে শোরগোল

কলকাতা: সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর এবার বিএলআরও-দের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। একসঙ্গে ১৮০ জনেরও বেশি বিএলআরও-কে বদলি করল নবান্ন। যাদের মধ্যে নাম আছে কলকাতার বিএলআরও-ও।

শুধু তাই নয়, কয়েক জনকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদেও বদলি করা হল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জেলার বিএলআরও-রা এই বদলির তালিকায় এসেছেন। পাশাপাশি রেভিনিউ অফিসারদেরও বদলি করল নবান্ন। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অধীনে সাম্প্রতিক কালে সবথেকে বড় বদলি।

আরও পড়ুন: কলকাতা তো সবচেয়ে বড়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কোনটি জানেন? নাম শুনলে চমকে উঠবেন ১০০% নিশ্চিত

আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে বদলি হওয়া বিএলআরও-দের রিলিজ করতে হবে। জেলায় জেলায় নির্দেশিকা দিল নবান্ন। বিএলআরও-দের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতেই এই বদলি বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতি আটকাতে নিয়ম বদলাল পঞ্চায়েত দফতর! স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বড় দায়িত্ব রাজ্যের

কলকাতা: বিতর্ক এড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত স্তরে সঠিকভাবে খরচ করতে রাজ্য পাশে পেতে চাইছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ মহিলাদের। প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীই মহিলা পরিচালিত হওয়ায় এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতদিন এই প্রকল্পের সমস্ত কাজই গ্রাম পঞ্চায়েত দেখত। তারাই স্থির করে দিত কার বাড়িতে শৌচালয়  হবে।  এমনকি গ্রামে গ্রামে কমউনিটি শৌচালয় তৈরির জন্য স্থান নির্বাচন করা থেকে নির্মাণ- সবটাই গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিল। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় সিএজি রিপোর্টে এই অনিয়মের কথা ও বলা হয়েছে।

বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, টাকা পেয়েছে কিন্তু বাড়িতে শৌচালয়  তৈরি করেনি। কমিউনিটি টয়লেট নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। ফলে স্বচ্ছ ভারত মিশনে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরি করার কাজে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই প্রকল্পের কাজ খাতা-কলমে মাত্র ১৫ শতাংশ হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, শিলিগুড়ি ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই চিত্র। তবে সব থেকে ভাল কাজ হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ায়। এখানে ১০০ শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় তৈরির হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশের কিছু বেশি। স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজে পিছিয়ে পড়ে রাজ্যকে বারবার কেন্দ্রের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পঞ্চায়েতের এই কাজ না করা ও কাজ করার নামে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বেড়িয়ে আসতে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর এবার সরাসরি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দিল। তারা গ্রাম পঞ্চায়েতকে নয়, কাজের রিপোর্ট দেবে সরাসরি বিডিওকে। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে প্রচারের নামে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য সমীক্ষা চালাবে। যাদের বাড়িতে শৌচালয় নেই তাদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনকে দিয়ে তা নির্মাণের ব্যবস্থা করবে। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই প্রচারাভিযান চালাবে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের কথায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাহায্যেই গ্রামীণ এলাকার  ১০০ শতাংশ বাড়িতে শৌচালয় নিশ্চিত করা সম্ভব।  এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬৪ জন মহিলা। জলবাহিত রোগ প্রতিরোধে মহিলারাই প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় থাকা গুরুত্ব নিয়ে সঠিক প্রচার করতে পারে। যাদের বাড়ি শৌচালয় নেই তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সরকারকে জানাবে। শৌচালয় তৈরির জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ব্যবস্থা করবে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে কীভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কাজ করবে তার রূপরেখা পাঠিয়ে দিয়েছে। তাতে দিনক্ষণও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে প্রতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির  মহিলারা গ্রামে মানুষের মধ্যে শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে সচেতনতার প্রচার চালাবে। সেই সময়ই চিহ্নিত করবে গ্রামের কোন বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে, কার বাড়িতে নেই। না থাকার কারণও জেনে নেবে। এরপরই বিডিওর কাছে তারা  ৮ জুলাইয়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেবে। যা বিডিও সরকারি বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই করে নেবে।

তালিকার ভিত্তিতে রাজ্য  সরকার টয়লেট তৈরির জন্য সরকারি অনুদানের ছাড়পত্র দেবে। এরপর উপভোক্তাদের ব্লক ভিত্তিক জমায়েত করে শৌচালয়ে কী থাকতে হবে তা বিডিও ও সরকারি আধিকারিকেরা বুঝিয়ে দেবেন। ১৩ আগস্টের মধ্যে টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।