Tag Archives: nadia news

Nadia News: তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

নদিয়া: চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ নাজেহাল গোটা নদিয়া বাসী, পথ চলতি মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিক পুলিশের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চারটি জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নদিয়া জেলাও।

গোটা নদিয়া জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে ৪০ ডিগ্রীর আশপাশে, আর তাতেই নাজেহাল গোটা নদিয়াবাসী। তীব্র রোদেরহ কারণে একদিকে যেমন রাস্তাঘাট শুনশান অন্যদিকে যানবাহনের চলাচল অনেকটাই কম। তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে রাস্তায় না বেরোয় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করছে রানাঘাট পুলিশ জেলা। গত কয়েকদিন ধরে একই ভাবে তাপপ্রবাহ থাকার কারণে নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিকের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

পথ চলতি সাধারণ মানুষকে একদিকে যেমন সর্তক করা হচ্ছে অন্যদিকে তৃষ্ণা মেটাতে জলছত্রর আয়োজন করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ডেকে ডেকে খাওয়ানো হচ্ছে ঠান্ডা পানীয় জল, সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে তরমুজ, গুড়ের বাতাসা এছাড়াও এই তাপপ্রবাহর মধ্যে কিভাবে চলাচল করা উচিত সেই নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। একই চিত্র ধরা পরল নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘোড়ালিয়া বাইপাস মোড়ে। রানাঘাট পুলিশ জেলার ট্রাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারীক অলক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চলছে জলছত্র কর্মসূচি।

একাধিক ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি সকাল থেকেই চলে। তবে সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রয়োজন পড়লেই তবেই তারা রাস্তাঘাটে বেরোচ্ছেন, যেভাবে তাপপ্রবাহ বাড়ছে এখন বৃষ্টি হলেই স্বস্তি মিলবে না হলে এইভাবে চলতে থাকলে আরও অস্বস্তিতে থাকতে হবে বেশ। তবে আবহাওয়া দফতরের যে নির্দেশ ও যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তিত প্রশাসন। এখনো বেশ কয়েকদিন একই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর।

মৈনাক দেবনাথ

Nadia News: এক চুমুকেই শরীর ঠান্ডা! গলা ব্যথা থেকে পেটের সমস্যা, ধারেকাছে ঘেঁষবে না জটিল রোগ, তীব্র দাবদাহে এই জলেই মেটে তৃষ্ণা!

নদিয়া: ফ্রিজের জল খেলেই গলায় ব্যথা সঙ্গে পেটের সমস্যা তাই তীব্র দাবদাহে বিশুদ্ধ ঠান্ডা জল পেতে কল লাগানো মাটির কলসি কেনার হিড়িক নদিয়ার শান্তিপুরে। গরমের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানো আগে দরকার আর তার থেকেও বেশি প্রয়োজন তৃষ্ণায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলা ভেজানোর। জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ইতিমধ্যেই রমরমা ব্যবসা ফাঁদিয়ে ফেলেছেন, বসে নেই স্থানীয় মৃৎশিল্পীরাও। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মাটির কুঁজো , কলসি এ ধরনের জল রাখার পাত্র গরমের সময় বিক্রি করলেও আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে এবং ব্যবহারের সুবিধার্থে মাটির কলসিতে লাগিয়ে দিচ্ছেন কল, গ্যারান্টি সহকারে হেঁকে বেচছেন, লাগবে না ইলেকট্রিক ,রোগ হবে না পেটে, হবে না গলা ব্যথা এ জল খেলে।

মাটির জলের বোতল ১০০ টাকা থেকে শুরু অন্যদিকে কল লাগানো মাটির কলসি ১৫০ টাকা থেকে শুরু বিভিন্ন মাপ অনুযায়ী তা রয়েছে ২৫০ পর্যন্ত। এখানেই শেষ নয়, সুন্দর ঘরে শোভা বর্ধনকারী হিসাবে মাটির কলসির গায়ে শিল্পীর শিল্পত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন কেউ কেউ। মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছেন শীতকালে এটি পরিণত হবে বড় ফুলদানি হিসেবে। গরমকালে থাকবে জল, তবে কলসি কিনলে কলসির মুখে ঢাকা দেওয়ার জন্য সরা সম্পূর্ণ ফ্রি।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শুধুই ব্যবসা নয়, রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে রয়েছে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। এতে একদিকে যেমন ক্রেতাদের মন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি মাটির সোঁদা গন্ধে পরিশোধিত জলের স্বাদ গন্ধ এবং ঠান্ডা পরখ করিয়ে দেখানো যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।

নদিয়ার শান্তিপুর শহরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সামনে দিয়ে সূত্রাগড় অঞ্চলের যাওয়ার প্রধান রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর সেখানেই বেশ কয়েকজন শিল্পী রাস্তার পাশে সাজিয়ে রেখেছেন এই বিক্রির পসরা সেখানে একদিকে যেমন কুঁয়োর পট, মাটির টব, বিভিন্ন ঘর সাজানোর সামগ্রী, নিত্য ব্যবহার্য চায়ের খুরি, মাটির রন্ধন সামগ্রী তৈরি করা হয়েছে। তেমনই গত শীতকাল থেকেই গ্রীষ্মের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে মাটির জলের বোতল এবং কল লাগানো কলসির যথেষ্ঠ মজুদ করেছিলেন প্রায় সকলেই, কিন্তু এক দুই হাজার পিস সেসব মাটির কলসি গরম পড়তেই শেষ।

Mainak Debnath

Nadia News: এবার রাস উৎসব উপলক্ষেও থিম সং ও লোগো! উদ্বোধন শান্তিপুরে

নদিয়া: শান্তিপুরের রাস উৎসব জগৎজোড়া খ্যাতি। সারা বছর ধরে রাস উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আপামর শান্তিপুরবাসী। প্রতিমা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল লাইটিং সহযোগে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ প্রত্যেক বছরেই দেখা যায় শান্তিপুরের ভূমিতে। তারই মাঝে বেশ কিছু ক্লাবের পুজো বহু পুরনো। ঠিক তেমনই এ বছর সুবর্ণ জয়ন্তীতে পদার্পণ করবে শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তারা মানব কল্যাণের জন্য  জন্য নিয়েছেন ১৩ টি দফায় বিশেষ কর্মসূচি। পয়লা বৈশাখের দিন এই কর্মসূচির চতুর্থ দফার আয়োজন করা হল। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাগআছড়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ এবং শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসক। এছাড়াও উদ্বোধন করা হয় তাদের নতুন থিম সং এবং প্রতীক চিহ্ন অর্থাৎ লোগোর। ক্লাবের এই থিম সং ওর লোগো তৈরি করে ক্লাবেরই শিল্পীরা।

আরও পড়ুন:  রাজ্যের স্কুলে চালু নতুন নিয়ম! ঘণ্টা বাজলেই পড়ুয়াদের করতে হবে এই কাজ! জানুন

শান্তিপুর লিডারস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য শুভদীপ মুখার্জি জানান, “২০২৪ এ আমাদের রাস উৎসবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। আর সেই উপলক্ষে সারা বছরব্যাপী আমরা বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।  ১৩ টি দফায় একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে যার মধ্যে এদিন চতুর্থকর্ম সূচি পালন করা হলো। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে সারা বছর ধরে এবং রাসের সময় শান্তিপুরবাসীর জন্য থাকবে এক বিশাল সারপ্রাইজ!” সুতরাং বলা যেতে পারে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুধুমাত্র পুজোয় সময়ই মানুষকে আনন্দ দেওয়া নয় বরং সারা বছর সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকাকেই ব্রত করে নিলেন শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। তাদের এই কর্মকাণ্ডে খুশি ও উপকৃত আপামর শান্তিপুরবাসী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

প্রখর গরমে ওয়াটার বেল সিস্টেম! স্কুলে ঘন্টা বাজলেই সবার হাতে জলের বোতল

কাঠফাটা গরমে পড়ুয়াদের শরীর ভাল রাখার জন্য নয়া পদক্ষেপ। চালু হল ওয়াটার বেল সিস্টেম। ঘন্টা বাজলেই জলের বোতল হাতে তুলে নিচ্ছে পড়ুয়ারা।

Nadia News: রাজ্যের স্কুলে চালু নতুন নিয়ম! ঘণ্টা বাজলেই পড়ুয়াদের করতে হবে এই কাজ! জানুন

নদিয়া: গোটা রাজ্য জুড়ে যখন তীব্র দাবদাহ চলছে সেই সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে’ওয়াটার বেল’সিস্টেম চালু করল নবদ্বীপের মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলেও শরীরে যাতে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে, সেই কথা মাথায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত জল খাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এই নিয়ম চালু হয়েছে বেশ কিছু অন্যান্য জেলার সরকারি স্কুলগুলোতে।

এই পরিকল্পনা রূপায়ণে তাঁরা চিকিৎসকের সহায়তাও নিচ্ছেন। বিদ্যালয় চলাকালীন চারটি সময়ে এই বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সকল ছাত্র-ছাত্রী জল পান করবে। সকাল সাড়ে এগারোটা, বেলা সাড়ে বারোটা, দুপুর আড়াইটা, ও সব শেষে তিনটের সময়। বিদ্যালয়ের শিশু সংসদের মন্ত্রীদের জল পান করানোর মাধ্যমে ‘ওয়াটার বেল’ সিস্টেমের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক বকুলচাঁদ শেখ।

আরও পড়ুন:৪৫ ডিগ্রি ছা়ড়াবে পারদ!…কোন জেলায় কবে কবে তাপপ্রবাহ? বৃষ্টির আশা আদৌ আছে? সব জানাল আলিপুর

ডাঃ বকুলচাঁদ বলেন, এই ‘ওয়াটার বেল, সিস্টেম একটা নিয়মানুবর্তিতা। জল পানের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি। এতে তাদের শরীরে জলের ঘাটতি অনেকটাই দূর হবে এবং বিদ্যালয়ে তারা সুস্থ থাকবে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ বলেন রাজ্য সরকারের আদেশনামায় মার্চ – এপ্রিল মাস থেকেই দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দেশের আবহাওয়া দফতর থেকে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরে ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের বিদ্যালয়ে এই ‘ওয়াটার বেল’ সিস্টেম চালু করছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Ram Navami 2024: রামনবমীতে অযোধ্যার রামলালার দেখা মিলবে শান্তিপুরের মাটিতে

নদিয়া:  এবার শান্তিপুরে রামনবমীর সেরা আকর্ষণ গোডাউন মাঠের রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে রামনবমী পালন এবং পুজো। তবে শান্তিপুরে বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে রাম আরাধনা। সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এবার রামচন্দ্রের মূর্তির বদলে রামলালা পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর রামনবমী উদযাপন সমিতি। এবারে তাদের তৃতীয় বর্ষের পুজো শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোলপার্ক বাদ দিয়ে গোডাউন মাঠে হতে চলেছে। শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনকে অমৃত মহোৎসব প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করায় সংস্কারের কাজ চলছে আর সেই কারণে এই স্থান পরিবর্তন বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন: প্রখর বৈশাখে দুর্গাপুজোর আমেজ শান্তিপুরে! ব্যাপারটা কী?

আজ থেকে প্রায় এক মাস আগে শান্তিপুর গোপালপুর শিল্পালয় সৌরভ সাহাকে মাটির রামলালা বানানোর দায়িত্ব দেন রামনবমী উদযাপন সমিতি। শিল্পী জানাচ্ছেন রামলালার মূর্তি তার হাতে এই প্রথম তবে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিমা নির্মাণের পাশে কাগজে রামলালার অবয়ব রেখে তবেই তৈরি করা হয়েছে। পুরোটাই মাপজোপের। তবে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা হয়নি বাকিটা দর্শকদের হাতে।

আরও পড়ুন:   মাছপট্টি থেকে জাস্ট ভ্যানিশ ইলিশ-চিংড়ি- ভেটকি-পমফ্রেট, বিড়ালের কীর্তি নাকি, কারণ শুনলে চমকে যাবেন

অন্যদিকে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই তাদের রামলালার অর্ধ সমাপ্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চিত বিষয় তাই প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হবে, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নিষ্ঠা ভরে ১৭ এপ্রিল রামনবমীতে পুজোর পর শোভাযাত্রার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শান্তিপুর গোডাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে থানার মোড়ে শেষ হবে সেই দিনেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News:পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, রাত হলেই চলে অসামাজিক কাজ! সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

কৃষ্ণগঞ্জ: ইচ্ছামতীর তীরে চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে রয়েছে শিশুদের পার্ক, সংস্কারের দাবি। ভোট আসে ভোট যায়, নেতারা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দেখভালের অভাবে ইচ্ছামতী নদীর তীরে চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে থাকা বি এ ডি পি স্কিমের শিশুদের পার্কের সংস্কার আর হয় না। দূর থেকে পার্ক বলে চিনতেও অসুবিধা হয়। গোটা পার্কটায় ঝোপ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। অন্ধকার নামতেই অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পার্কের মধ্যে ঢুকতেই চোখে পড়বে সাপ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্লাস্টিক গ্লাস, মদের বোতল। পার্কটিতে যেভাবে গাছ গাছালি ঝোপ জঙ্গলে ভরে উঠেছে তাতে সেখানেকেউ যেতে পারে না।

আরও পড়ুন: স্বপ্ন দেখার চোখ আর দক্ষতা এই দুইয়ে ভর দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক নদিয়ার সন্দীপের

সংস্কার না করায় পার্কটি কিছুদিনের মধ্যে ঝোপ জঙ্গলে ভরে ওঠে। ধীরে ধীরে শিশুদের জন্য আনা স্লিপ, দোলনা সহ খেলার সামগ্রীগুলিতে গাছ গাছালিতে ভরে উঠেছে। পার্কের কাছে না গেলে বোঝা যায় এটা পার্ক না জঙ্গল। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ভাজনঘাট টুঙ্গি পঞ্চায়েতের নাঘাটা কালিতলা এলাকায় ইচ্ছামতী নদীর পাড়ে এই পার্কটি গড়ে ওঠে ২০১৬-~১৭ সালে। প্রথম ধাপে বিএডিপি স্ক্রিমে চার লক্ষ অনুমোদন হয়। পরে তিন লক্ষ টাকা আরও অনুমোদন হলে কাজ শুরু হয়। এরপরেও ধাপে ধাপে টাকা খরচ করে পার্কটি করা হয়।

আরও পড়ুন: এমন প্রচার আগে দেখেননি! সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস যা বলছেন…! অবাক হয়ে যাবেন

নদীর তীরে এরকম মনোরম পরিবেশের পার্ক নিয়ে গোটা এলাকার মানুষ ভালো কিছুর আশা করেছিলেন। সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের পার্কে গিয়ে বাচ্চারা খেলাধূলা করবে। তাতে শিশুদের মনোবিকাশের ক্ষেত্রে ভালহবে। কিন্ত সেসব না হওয়ায় এলাকার মানুষ হতাশ। সরকারি টাকা ব্যয় করে পার্ক গড়ার পর অনাদরে অযত্নে কেন পড়ে থাকে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। পার্কটি চরম অব্যবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: স্বপ্ন দেখার চোখ আর দক্ষতা এই দুইয়ে ভর দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক নদিয়ার সন্দীপের

নদিয়া: বাবা পেশায় মুদি দোকানদার। তবে ছেলে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত বড় হয়ে একদিন আই লিগ খেলবে। বরাবরই টানত তাকে গোলরক্ষক হওয়া। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা সন্দীপের খেলার জীবনে পরপর শুধু সাফল্যের সিঁড়ি। অনূর্ধ্ব ২০ ন্যাশনাল ফুটবল প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল টিমের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল শান্তিপুর ব্রাজুকা ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র তথা গোলরক্ষক সন্দীপ সরকার।

বাড়ি শান্তিপুর বাগআচড়ায়। তার বাবা বাড়িতেই একটি মুদিখানা দোকান চালান। তার ছোট ভাই বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে। এর আগে পরিবারে কেউ কখনও ফুটবল খেলা নিয়ে ভাবেননি। তবে সন্দীপের স্বপ্ন ছিল একদিন জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলবে। সেই কারণেই ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই ফুটবল খেলা শুরু করে সে। প্রথম থেকেই তার ইচ্ছে ছিল গোলরক্ষক হওয়ার।

আরও পড়ুন – Sourav Ganguly: সোলো ট্রিপ, একা বিন্দাস মজা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খোলামেলা উত্তরে বোল্ড সুন্দরী অভিনেত্রী

সন্দীপ এর আগে খেলে রিলায়েন্স এবং কলকাতা লিগ। আর এবার বেঙ্গল টিমের জন্য খেলতে সে যাচ্ছে ছত্তিশগড়। ১২ তারিখে খেলা আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। খেলার জন্য প্রায়ই বাইরে বাইরে থাকতে হয় তাকে পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় কিছুটা অসুবিধে হয় আর্থিকদিক থেকে কখনও কখনও। তবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সকলেই। কোচ রাকেশের হাত ধরেই প্রথম ফুটবলের জগতে আসা। এছাড়াও পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সকলেই পাশে রয়েছে তার বলে জানায় সে।

আপাতত অনুর্ধ্ব ২০ ন্যাশনাল ফুটবল টিমের প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল টিমের জন্য শান্তিপুরের ছেলে সন্দীপ সরকার খেলার উদ্দেশ্যে ছত্রিশগড়ের জন্য রওনা দিচ্ছে আর তাতেই খুশি অ্যাকাডেমির সকল সদস্য এবং খেলোয়াড়েরা।

নদিয়া জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি সুমন বসু ব্রাজুকা ফুটবল একাডেমির ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন, দারিদ্র্যের মধ্যেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে প্রত্যন্ত এই গ্রামে গড়ে ওঠা ব্রাজুকা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে বিভিন্ন বয়সের বিভাগে একের পর এক রত্ন কখনও জোনাল কিংবা জেলা বা রাজ্য স্তরে আকর্ষণ হয়ে উঠছে কর্তৃপক্ষের। তবে সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা কিংবা সহৃদয় মানুষের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তবেই তাদের কৃতিত্বের যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।

Mainak Debnath

Nadia News: আদালতে সটান ঢুকে পড়ল, বিচারের আশায় নয়, গরমে খানিক স্বস্তি পেতে, তারপর…!

নদিয়া: প্রখর গ্রীষ্মের বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ মহেশ্বরের বাহন ভোলা। আদালতে যারা সাক্ষী বা আসামিদের আত্মীয়স্বজন, সবাই ভয়ে এক দিকে হয়ে গেছে।ভোলাবাবু নির্বিকার, শুধু দাড়িয়ে আছেন বিশাল  চেহারা নিয়ে। এতক্ষন যার কথা বললাম সেই ভোলাবাবুর পরিচয় হল শিব ঠাকুরের বাহন ‌ষাঁড়।

চৈত্রের দাবদাহ আর গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে সটান হাজির  মহকুমা আদালতে। বিচার পাবার আশায় নয়! গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। বারান্দাতে ফ্যানের হাওয়া সেই সঙ্গে ঠান্ডা পরিবেশ এই জায়গাটায় বেছেছেন। ঘণ্টা তিনেক এই রকম পরিবেশে থেকে কিছুটা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই জায়গা বেছে নেওয়া।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গরমের তাপদাহ থেকে বাঁচতে একটু ঠান্ডা আশ্রয়ের খোঁজে রানাঘাট আদালতের ভিতরে আশ্রয় নিল একটি পূর্ন বয়স্ক ষাড়। এর জেরে আদালতে আসা পুলিশ কর্মী থেকে বিচার প্রার্থী ও আইনজীবীরা সমস্যার সম্মুখীন হলেও মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ষাড়টিকে না তাড়িয়ে তার জন্য পানীয় জল ও খাবারের ব্যবস্থা করেন আদালতের কর্মীরা।

জানা যায়, আনুমানিক বেলা ১২:৪০ নাগাদ একটি বিশালাকার ষাড় রানাঘাট আদালতের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এবং যে জায়গায় পাখা আছে সেই হওয়ার নীচে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে আদালতের প্রবেশদ্বার রুদ্ধ হয়ে পড়লেও বিষয়টিকে মানবিকতার দিক দিয়ে দেখেছেন আদালতে আসা মানুষজন।

Mainak Debnath

Nadia News: চৈত্র মাসেই পথে দেখা মেলে শিব, পার্বতী, নারদমুনিদের! বিলুপ্তপ্রায় বহুরূপী শিল্প ধরে রেখেছেন এঁরা

চাপড়া: চলছে চৈত্র মাস। চৈত্র মাস মানেই গাজন উৎসবে মেতে ওঠেন একাধিক ভক্তরা। এই সময় শিবের মাথায় জল ঢালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ন্যাসীরা থাকেন উপোস করে। গাজন উৎসব কে ঘিরে বিভিন্ন রীতিনীতি প্রথা জড়িয়ে রয়েছে। আর এই গাজন উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বহুরূপী। বিভিন্ন শিল্পীরা শিব পার্বতী কালী ইত্যাদি ঠাকুরের বেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে করেন ভিক্ষাবৃত্তি। এটি অনেক জায়গার রীতিনীতি হিসেবে প্রচলিত রয়েছে এখনও। আর সেই দৃশ্যই ফুটে উঠল নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায়।

আরও পড়ুন: মাউসের এক ক্লিকেই সোজা বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি!

এখনও বছর ঘুরলে ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে এই বহুরূপী শিল্পীরা। কেউ সেজেছে নারদ মুনি, কেউ সেজেছেন শিব, আবার কেউ বা সেজেছেন পার্বতী। চৈত্র মাস এলেই ভোলে বাবার পুজো উপলক্ষে নদিয়ার চাপড়া থানার বাসিন্দারা বহুরূপী সেজে দোকানে দোকানে পুজো উপলক্ষে ঘুরছেন ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভোলেবাবা পুজো উপলক্ষে বহুরূপী সেজে আনন্দ দিচ্ছেন মানুষকে। পাশাপাশি পুজোর উপলক্ষে করছেন ভিক্ষাবৃত্তি।

আরও পড়ুন: ঠাকুরনগরের কামনা সাগরে ডুব দিলেই এখন উঠছে টাকা, দিনভর ঝাঁপাচ্ছে যুবকেরা

জানা যায় তারা সারা বছরই চাষবাস করে জীবিকা নির্ভর করেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই এই মাসটির অপেক্ষা করে থাকেন এই চাপড়া থানার এলাকার বহুরূপী সাজ শিল্পীরা। তবে শিল্পীরা জানান এই শিল্প প্রায় ধ্বংসের মুখেই, কিন্তু তারা নিয়ম করে এখনও ময়দানে নেমে পড়েছেন বহুরূপী শিল্পীরা। তবে এখনও পুরনো পরম্পরা ও প্রথাকে বহু কষ্টেই ধরে রেখেছেন তারা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই আজও চৈত্র মাস এলে পরে পাড়ার অলিতে গলিতে বিভিন্ন দোকানে কিংবা বাড়িতে আমরা আজও অপেক্ষা করে থাকি শিব, পার্বতী কিংবা নারদ মুনির।

Mainak Debnath