উত্তরবঙ্গ, জলপাইগুড়ি, লাইফস্টাইল Yoga Practice For Concentration: পড়তে বসতে চাই না বাচ্চা? খুব অমনোযোগী? ‘এই’ কাজ করালে সন্তান পড়াশোনায় হবে সেরার সেরা Gallery July 10, 2024 Bangla Digital Desk আপনার বাচ্চা মোবাইল আসক্ত! পড়াশোনায় মন বসছে না? কি করবেন বুঝতে পারছেন না? সকালে ঘুম থেকে উঠেই করান এই আসনগুলো।তাহলেই বাচ্চার শরীর থাকবে তরতাজা আর মনোযোগ বাড়বে পড়াশোনায়। কী কী আসন করাবেন সেই পরামর্শ দিলেন যোগাসনে স্বর্ণপদক জয়ী জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট প্রশিক্ষক প্রিয়াঙ্কা ঘোষ। বর্তমানে বাচ্চাদের মধ্যে মনযোগের অভাব একটা সাধারণ সমস্যা। রোজকার ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে পা মেলাতে গিয়ে তাল কেটে গিয়ে কোনও কাজ মন দিয়ে করার অভ্যেস যেন ক্রমেই চলে যাচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে থেকে। কিন্তু, মননিবেশ করতে না পারলে পড়াশোনা থেকে খেলাধুলো, কোনওটাই ভালো ভাবে করা যাবে না। উপরন্তু, মোবাইল আসক্তি বাড়লে সকাল থেকেই বাচ্চাদের ঘিরে ধরে একরাশ ক্লান্তি, বাড়তি মানসিক চাপ আর মিশতে না পারার মনোভাব। তবে নিয়মিত যোগাসন করলে অবশ্য এই সব সমস্যা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট যোগ প্রশিক্ষক প্রিয়াঙ্কা ঘোষের কথায়, রোজ মেডিটেশন থেকে শুরু করে পবনমুক্তাসন ,ভুজঙ্গাসন, ধনুরাসন। এই ধরনের আসন করলে বাচ্চাদের শরীর মন থাকবে ফুরফুরে। এছাড়াও সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে হাঁটাহাঁটি করলেও বাচ্চাদের সকলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে। এছাড়াও শারীরিক বহু সমস্যার সমাধান হয় নিয়মিত এই যোগব্যয়াম করলে। বাচ্চাদের উচ্চতা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কার্যকরী হলাসনা সহ নানা স্ট্রেচিং। ওজন কমানোর জন্যে ভুজঙ্গাসনা, পদ্মাসনা উপযোগী। তাই রোজ একটু সময় বাচ্চাদের যোগাসনে আগ্রহী করালে যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: পড়াশোনা-খেলাধুলোয় সন্তান হবে চ্যাম্পিয়ন! কালামের এই ৮ উপদেশে জীবন ‘তৈরি’ হবে, জানুন Gallery July 7, 2024 Bangla Digital Desk এপিজে আবদুল কালাম, এ দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা কালাম দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ভারতের মিসাইল ম্যান কালাম ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খুবই ভালবাসতেন। বেঁচে থাকাকালীন বিভিন্ন এডুকেশন ফেস্টে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে সফল হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন তিনি। আপনিও যদি সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহীন হন, তাহলে এপিজে আবদুল কালামের এই কথাগুলি কাজে লাগাতে পারেন। তাঁর জীবনদর্শন প্রতিটি মানুষের কাজে লাগতে পারে। সন্তানের জীবনে সফলতা আসতে সাহায্য করতে পারেন অভিভাবকেরাই। তাতে স্কুলের পাশাপাশি মা-বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। খালি মাথায় রাখুন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মহান এপিজে আবদুল কালামের এই উপদেশগুলি। স্বপ্ন দেখাতে হবে। সন্তানকে স্বপ্ন দেখা শেখাতে হবে ছোট থেকে। যাতে ১৫ বছরের আগেই সে নিজের লক্ষ্য বেছে নিতে পারে। সন্তানকে পরিশ্রম করতে দিন। তাকে বিশ্রাম নিতে বা থামতে দিন, তার সঙ্গে কঠিন ও কঠোর পরিশ্রম করতে দিন। দরকারে কোনও কাজ করতে দিন। অন্য মানুষকে সাহায্য করতে শেখান ছোট থেকে। সাহায্য করতে জানলে মানবিকতা ও নেতৃত্বগুণ তৈরি হবে। ভাল করে পড়াশোনা শেখান। জ্ঞানই মানুষকে পরিশীলিত করে। ভদ্র মানুষ তৈরি করে। জ্ঞান আনে সাফল্য। বড়দের শ্রদ্ধা করা শেখান। মূল্যবোধ শেখান। সন্তানকে অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতে দিন। বন্ধু হোক তার। বন্ধু খুব প্রয়োজনীয়। ভাল পরিবেশে ছেলেমেয়েকে বড় করে তুলুন। শিশুর সামনে অশান্তি এড়িয়ে চলুন। বাচ্চার সামনে অশান্তি-ঝগড়া এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। বাচ্চারা যা দেখে, তাই শেখে। বাড়িতে শান্তি বজায় থাকলে সন্তান আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সন্তানকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সব বাচ্চা আলাদা, কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে বাচ্চা? ভুলেও এই বয়সের আগে মোবাইল দেবেন না সন্তানকে! পড়াশোনা মাথায় উঠবে! Gallery July 7, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। অপরদিকে, বাচ্চাদের ছোট্ট মাথায় কতই বা পড়াশোনার ভার নেবে। শিশুকালে কারুর মন পড়াশোনায় থাকে না। পড়াশোনা করলে কী কী হতে পারে সেটা বোঝার ক্ষমতাও তৈরি হয় না। তাই, সব চিন্তাই থাকে অভিভাবকদের। তাঁরা পড়তে বসা নিয়ে জোড়াজুড়ি করতেই থাকেন। কিন্তু বর্তমানে বাচ্চাদের আরেকটি মনযোগ ভেঙে যাওয়ার কারণ হল মোবাইল। ম্যাক্স স্টসেল, ‘সোশ্যাল ওয়াকেনিং’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, একটি গ্রুপ যা প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাস্থ্যকর ব্যবহার প্রচার করে, তিনি বলেন যে অভিভাবকরা অন্তত অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাচ্চাদের স্মার্টফোন দেওয়া উচিত না। ফোনের সবচেয়ে খারাপ জিনিস হল ইন্টারনেট। বাচ্চারা ফোন পেলেই এখন গেম খেলতে শুরু করে বা ইউটিউব কিছু দেখতে শুরু করে যা তাঁদের মনযোগ নষ্ট করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অষ্টম শ্রেণী বা ১৩-১৪ বছর না হলে ফোন না দেওয়াই ভাল। যদি কখনও কোনও দরকার হয় তবে, বাবা-মায়েদের ফোন ব্যবহার করতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: অন্যের সন্তানের গায়ে হাত তোলা-শাসন করা ঠিক? বড় ভুলের আগে জানুন কীভাবে সামলাবেন Gallery July 3, 2024 Bangla Digital Desk সন্তান সামলানো সহজ নয়। সহজ নয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করাও। সন্তানের কাণ্ড-কারখানায় কখনও কখনও বাবা-মায়ের পক্ষে রাগ-অভিমান নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর অন্যের সন্তান? কখনও ভেবেছেন মাসি-মেসো, কাকা-কাকি, জ্যাঠা-জেঠি, মামা-মামিদের কি আপনার সন্তানকে শাসন করা ঠিক? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) অনেক সময়ে রাগ ও জেদের বশে সন্তানকে বাবা-মায়েরা এমন কথা বলে বসেন, যাতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরই। তাই মানসিক টানাপড়েন কী ভাবে সামলাতে হবে, তা জানতে হবে নিজেকেই। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল নিজের সন্তানকে নিজের সামনে অন্যের হাতে মার ও শাসনের অধীনে ফেলে দেওয়া। যেমন ধরুন, আপনার সন্তানকে আপনার বোন বা বোনের স্বামী শাসন করছেন। বা আপনার সন্তানের কাণ্ড কারখানায় বিরক্ত হয়ে আপনার শ্যালক এক চড় কষাল তার গালে। এটা কি ঠিক? কখনও ভেবেছেন অন্যের সন্তানকে শাসন করা ঠিক কি না? মা-বাবা ছাড়া পরিবারের অন্য সব বড়রা ওদের অভিভাবক। ‘মা-বাবার সন্তান’ এই পরিচয় ছাপিয়ে এখানে বড় হয়ে ওঠে ‘পরিবারের সন্তান’ পরিচয়টাই। এমন পরিবারের আত্মিক বন্ধন হয় দৃঢ়। শিশুদের খুনসুটি বড়সড় সমস্যার দিকে এগোতে থাকলে পরিবারের অভিভাবকদেরই ইতিবাচকভাবে তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে হবে। নিজের জিনিস সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েই সহনশীলতার শিক্ষা পায় শিশুরা। তবে সব শিশু একেবারে এক ছাঁচে বেড়ে উঠবে, এমনটাও কিন্তু নয়। কেউ একটু শান্ত হবে, কেউ চঞ্চল। শিশুরা একই সঙ্গে খেলাধুলো, পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়া করতে গেলে নানা বিষয় নিয়েই খুটখাট লাগতে পারে। এসবকে বড় করে দেখা যাবে না। অভিভাবক হিসেবে প্রয়োজনে সবাইকেই শাসন করতে হবে। তবে জানতে হবে সীমারেখা। বিশেষ করে সেই শিশুর বাবা-মা যখন সেখানে উপস্থিত তখন কোনও ভাবেই উচ্চস্বরে তাকে শাসন না করে বরং শিশুর বাবা-মাকে সামলাতে অনুরোধ করা উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এবং যদি সেই শিশুর বাবা-মা সেখানে না থাকেন, তবে গায়ে হাত একেবারেই নয়। মনে রাখবেন সেক্ষেত্রে ‘দাঁড়াও তোমার বাবা-মাকে বলছি’ কথাগুলি বলতে হবে। এতে বাবা-মায়ের প্রতি শিশুর ও শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের সঠিক মনোভাব গড়ে উঠবে। যার যেটা ভুল, তাকে সেটা ধরিয়ে দিন। কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা মানে যে ছোট হয়ে যাওয়া নয়, সেটিও বুঝিয়ে বলতে হবে। সবাই মিলেই একটা পরিবার। মিলেমিশে থাকার গুরুত্বটা ব্যাখ্যা করুন। তবে অবস্থা বুঝে শাসন করুন। খেয়াল রাখবেন, আপনার বলার ভঙ্গিতে যাতে কোনও অভিযোগ ফুটে না ওঠে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তানের জিনিয়াস হওয়া আটকানো যাবে না! পড়াশোনায় মন না বসলে কাজে লাগান এই ৬ কায়দা Gallery July 3, 2024 Bangla Digital Desk পড়াশোনা মন দিয়ে করলে সাফল্য আসবেই। কিন্তু অনেক বাচ্চাই পড়তে বসার সময়ে অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। বইখাতা নিয়ে বসলেও যেন পড়ায় মন থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অধ্যয়নের জন্য সর্বদা একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নিতে হবে। এমন একটি জায়গা বেছে নিন যা শান্ত এবং সুশৃঙ্খল। বাচ্চার চারপাশের স্থান পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখুন। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক আলো আসে, এরকম জায়গায় বসে বাচ্চাকে পড়াশোনা করাতে বসান। আরামদায়ক চেয়ার এবং টেবিল ব্যবহার করুন। এমন চেয়ার এবং টেবিল রাখতে হবে যাতে আপনার শিশুর বসতে কোনও প্রকার অসুবিধা না হয়। পড়াশোনার সময় ফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি বন্ধ রাখুন। পড়াশোনার জন্য সময়সূচী তৈরি করে দিন। এবং শিশুকে সেটি অনুসরণ করতে বলুন। প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে দিন। বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট গোলে ভাগ করে দিন। পড়াশোনার কিছু সময় পর নিয়মিত বিরতি নিতে দিন। প্রতি ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের বিরতি নিতে। শিশুর যাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। তাকে স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খাওয়ান যা শক্তি জোগাবে। নিয়মিত ব্যায়াম মনোযোগ এবং একাগ্রতা উন্নত করতে পারে। পোমোডোরো টেকনিক ব্যবহার করুন। পোমোডোরো কৌশলে ২৫ মিনিট কাজ এবং পাঁচ মিনিটের বিরতি নেওয়া হয়। জটিল ধারণাগুলি বুঝতে এবং মনে রাখতে শিশুকে মাইন্ড ম্যাপিং ব্যবহার করুন। ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করুন। শব্দভাণ্ডার বা তথ্য মনে রাখতে ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করতে হবে। অনলাইন তথ্য, টিউটোরিয়াল, ভিডিওর সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। শিশুকে নিয়ে ইতিবাচক থাকুন। তার যদি কোনও বিষয় বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে শিক্ষক, সহপাঠী বা গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে যেন ভয় না পায়।
লাইফস্টাইল বাচ্চাকে খাওয়াতে গিয়ে নাজেহাল! এই পাঁচ টিপস মাথায় রাখলেই কেল্লাফতে Gallery June 26, 2024 Bangla Digital Desk খাওয়ানোর সময়ই বাচ্চার যত জ্বালা। হাত-পা ছোঁড়া, মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া তো আছেই সঙ্গে চিল চিৎকার আর কান্না। মা-বাবা খাওয়াবে কী, বাচ্চা সামলানোই তখন সবচেয়ে বড় কাজ।বাচ্চা খেতে না চাইলে বাবা-মা কী করেন? জোর করে খাওয়ান। তাঁদের মনে একটাই চিন্তা ঘোরে, সন্তান না খেলে বাড়বে কী করে! কিন্তু জোর করে খাওয়ালে বাচ্চা আরও বিগড়ে যায়। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? নিয়ম বেঁধে দেওয়া: অভিভাবক হিসেবে নিয়ম নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বয়স এক বছর হলেই সহজ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া উচিত, যা সন্তান বুঝতে পারে। যেমন শিশু যদি খাবার ছড়ায় বা ফেলে দেয়, তাহলে খাবার সরিয়ে নেওয়া যায়। এটাই শাস্তি। আধ ঘণ্টা পর সন্তানকে আবার ভুলিয়ে ভালিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে শিশু শিখবে, খাবার ফেলা উচিত নয়। খাওয়ার সময় মজা: বাচ্চারা খুব দ্রুত বিরক্ত হয়। বিভ্রান্ত হয়। প্রতিদিন এক খাবার বড়দের ভাল লাগে না, বাচ্চাদের বিরক্তি তো হবেই। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার দেওয়া উচিত। রঙচঙে খাবার হলে আরও ভাল। খাওয়ানোর সময় বাচ্চাকে গল্প বলা যায়। এই পদ্ধতি খুব কাজে আসে। হাল ছাড়া চলবে না: বাচ্চারা রাগ দেখাবে, একগুঁয়ে আচরণ করবে। কিন্তু বাবা-মাকে হাল ছাড়লে চলবে না। শিশুর জেদের কাছে অভিভাবক যেন আত্মসমর্পণ না করে। এমনটা চলতে থাকলে বাচ্চার বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। খাওয়ানোর সময় কঠোর হতে হবে। দৃঢ়ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে, অন্যায় জেদ বা কান্নাকাটি করে দাবি পূরণ করা যাবে না। বাচ্চা নিজে হাতে খাক: বাচ্চারা নিজে হাতে খেতে ভালবাসে। হ্যাঁ, এতে তারা খাবার ছড়াবে, নষ্ট হবে। কিন্তু শিখবে। তাই নিজে হাতে খেতে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তেমন হলে ফিঙ্গার ফুড খেতে দেওয়ার কথা ভাবা যায়। এমন ফল বা রান্না করা শাকসবজি খেতে দিতে হবে যা তারা সহজেই হাতে ধরতে পারে। অন্য কিছুতে যেন মন না দেয়: অনেক সময় বাচ্চাকে ভুলিয়ে রাখতে মা-বাবা খাবার সময় টিভি চালান বা মোবাইল খুলে দেন। দীর্ঘমেয়াদে এটা মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। এর বদলে তাদের সঙ্গে গল্প করা উচিত। খেতে কেমন লাগছে, কী খাবার ইচ্ছা, এই সব নিয়েও কথা বলা যায়।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তানকে ভুলেও টিফিনে এই ৫ খাবার দেবেন না! পেট হবে রফাদফা, চরম ক্ষতি শরীরের Gallery June 26, 2024 Bangla Digital Desk বাচ্চাদের স্কুলের টিফিন নিয়ে চিন্তায় থাকে কম বেশি সব বাবা-মা। বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো বেশ একটা ঝক্কির বিষয়। বেশিরভাগ বাড়িতেই শিশুকে খাওয়ানোর সময় যুদ্ধ চলে। তবে, বাড়িতে যেভাবে খাওয়ানো যায় তা তো আর স্কুলে হয় না। তাই, মুখরোচক কোনও খাবার বানিয়ে দিলে স্কুল থেকে টিফিন খেয়ে বাড়িতে আসে বাচ্চারা। তাই মায়েরাও সন্তানের মনপসন্দ খাবারই বানিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুকে স্কুলের টিফিনে রোজ কী নতুন খাবার দেবেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা শিশুকে দিলে শরীর খারাপ হতে পারে সেগুলি জেনে নেওয়া জরুরি। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি বাচ্চাদের টিফিনে না দেওয়াই ভাল- ইনস্ট্যান্ট নুডলসবানাতে খুব কম সময় লাগে এবং বাচ্চারাও খেতে পছন্দ করে। ফলে অনেকেই শিশুদের মনপচ্ছন্দ এই খাবার টিফিনে দিয়ে দেয়। কিন্তু বাচ্চাদের এই ধরনের চটজলদি খাবার না খাওয়ানোই ভাল। নুডলসের প্রধান উপকরণ হল ময়দা। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল না। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ময়দা এড়িয়ে চলা ভাল। আগেরদিনের খাবারআগের দিনের খাবার যা আমরা বাসি খাবার বলি তা শিশুদের সকালে অনেকেই টিফিন দিয়ে দেয়। কিন্তু তা একেবারেই করা উচিত না। শিশু ভালবাসে বলে বাসি খাবার কখনওই টিফিনে দেবেন না। ছোটদের হজমক্ষমতা কম থাকে। ফলে বাসি খাবার শিশুদের খাওয়ানো ঠিক নয়। ডোবা তেলে ভাজা খাবারফুলকো লুচি কিংবা পকোড়ার মতো খাবারগুলি বাচ্চাদের শরীরের পক্ষে একদম ভাল নয়। এই খাবারগুলি বাড়িতে ডোবা তেলে ভাজা হয়। অত্যধিক তেলযুক্ত খাবার খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। পেটের গোলমালও দেখা দিতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবারসসেজ, সালামি অনেকের বাড়িতেই থাকে আজকাল। তাই দিয়ে খুব সহজেই তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের টিফিন বানিয়ে দেওয়া যায়। তবে, রোজ এগুলি খেলে শিশুর শরীর খারাপ হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই শিশুর জন্য ভাল নয়। তার চেয়ে চিকেন, ডিম, নানা রকম সব্জি, ফলের মতো খাবার বেশি করে দিন। শরীর ভাল থাকবে। প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসবাইরের খাবার খেতে সব বাচ্চাই খুব ভালবাসে। পিৎজা, হটডগ, চিকেন প্যাটিস— এই সবগুলি প্রক্রিয়াজাত খাবার সব বাচ্চাই খেতে পচ্ছন্দ করে। তবে, এইসব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। এ ছাড়াও নুন, চিনিও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। শিশুর ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই খাবারগুলি যথেষ্ট। (Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: স্মৃতিশক্তি হবে তুখোড়! সন্তানকে রোজ খেতে দিন এই ৫ খাবার! পরীক্ষার রেজাল্ট হবে দারুণ Gallery June 23, 2024 Bangla Digital Desk প্রত্যেক অভিভাবক চান তাঁদের সন্তান পড়াশোনায় যেন সেরার সেরা হয়। কিন্তু কিছু শিশু আছে যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এমন বিশেষ খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রইল সেই খাদ্যের তালিকা- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বাচ্চাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্যামন এবং টুনা মাছ, আখরোট বা চিয়া বীজে এই বিশেষ উপাদানগুলিতে ওমেগা-৩ আছে। এগুলো খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে এবং ভাল কাজ করে। ডিম একটি চমৎকার প্রোটিন উৎস হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলিন, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমন অবস্থায় শিশুকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ালে তার স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে। ওটস, ব্রাউন রাইস এবং শস্যের রুটিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই খাবারগুলি ধীরে ধীরে হজম হয়, তাই শিশুরা দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি পেতে থাকে। ফলে, এগুলি সারা দিন তাদের সক্রিয় এবং সতেজ রাখে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং অন্যান্য বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে, যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুব ভাল। এগুলো মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ ও সক্রিয় থাকে। বাদাম, পালং শাক, ব্রকোলি এবং অন্যান্য সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ এবং কে রয়েছে। সবজি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এগুলি খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে এবং ভাল কাজ করে। শিশুদের জন্যও এটি খুবই উপকারী।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: ঘুমের মধ্যেও কি বকবক করছে আপনার সন্তান? কোনও জটিল রোগ বাসা বাঁধেনি তো? ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না, অবহেলা করলেই বিরাট ক্ষতি! Gallery June 22, 2024 Bangla Digital Desk ঘুমের মধ্যে অনেকেই কথা বলেন৷ ছোট থেকে বড় কমবেশি অনেকের মধ্যেই এই লক্ষণ দেখা যায়৷ বিশেষত,এই ধরনের লক্ষণগুলি ছোট শিশুদের মধ্যে বেশ সাধারণ। তবে বড়দেরও একটি খুব সাধারণ সমস্যা যার কারণে কাছাকাছি ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তির ঘুম বারবার ব্যাহত হতে পারে। তবে মজার বিষয় হল, পরেরদিন সকালে ঘুমের মধ্যে বলা কথা আর মনে থাকে না। এমতাবস্থায় মনে একটা প্রশ্ন আসে এর কারণ কী হতে পারে? হেলথলাইনের মতে, ঘুমের কথা বলা আসলে একটি ঘুমের ব্যাধি যা সোমনিলোকি নামে পরিচিত। শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে এই সমস্যাটি অনেক বেশি দেখা যায়। হেলথলাইনের মতে, ঘুমের মধ্যে কথা বলাও কি জেনেটিক? আপনি বা আপনার সঙ্গী যদি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, তাহলে শিশুর মধ্যেও এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে যদি শিশু অসুস্থ হয়, কোনও ধরনের মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়, বিষণ্নতার মতো লক্ষণ দেখায় বা অনিদ্রার সমস্যা থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় খারাপ স্বপ্ন দেখার কারণে শিশুরা রাতে ঘুমানোর সময় কথা বলা শুরু করে। রাইজিং চিলড্রেন অনুসারে , আপনার সন্তান যদি রাতে ঘুমানোর সময় কথা বলে, তাহলে তার কারণ হতে পারে স্কুলে পরীক্ষা, কোনও ধরনের সমস্যা, ভয় বা মানসিক চাপ। এমতাবস্থায়, আপনি দিনের বেলায় শিশুর সঙ্গে সেই বিষয়ে কথা বলুন এবং তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। আপনি যখন শিশুর অস্থিরতা শান্ত করবেন এবং তাকে সমর্থন করবেন তখন তার মানসিক চাপ কমে যাবে। এভাবে ঘুমের সময় কথা বলার সমস্যা বা ঘুম নষ্ট হওয়ার সমস্যাও কমে যাবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা কমে যায়। এমতাবস্থায় মন খারাপ না করে তার সঙ্গে সাপোর্টিভ আচরন করাই ভাল হবে। এছাড়া ঘুমানোর আগে শিশুর সঙ্গে সুন্দর কিছু কথা বলুন এবং শিশুর মানসিক চাপ দূর করার চেষ্টা করুন।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: মোবাইল দেখিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান? কৃমিতে সর্বনাশ করছে, এই অভ্যাসে বারোটা বাজছে শিশুর পেটের, ৫টি নিয়মে মুক্তি Gallery June 6, 2024 Bangla Digital Desk বাচ্চাদেরও খাবার খেতে ফোন বা টিভি চালাতে হয। ফোন কেড়ে নিলে তারা খাবার খেতে অস্বীকার করে। এই বিষয়টি অভিভাবকদের জন্য খুবই গুরুতর হয়ে উঠেছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পবন মান্ডাভিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চাদের ক্ষিদে না পাওয়ার অর্থ তাদের আয়রনের ঘাটতি, পেটের কৃমি বা দাঁতের ব্যথা৷ এই পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিৎ। খাওয়ার সময় শিশুর সম্পূর্ণ মনোযোগ মোবাইল বা টিভিতে থাকলে কী খাচ্ছে বা স্বাদ ইত্যাদি সে বুঝতে পারবে না। এর সঙ্গে ডক্টর পবন শিশুদের এই অভ্যাস নিরাময়ের জন্য কিছু টিপসও দিয়েছেন৷ সন্তানকে সঠিক পথে আনতে আপনার নিজেকেই একজন রোল মডেল হতে হবে। আপনি নিজে যদি খাওয়ার সময় ফোন বা মোবাইল ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে দেখে আপনার সন্তানও এই অভ্যাসটি গ্রহণ করবে। নিজের খাবার খাওয়ার সময় গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন। এ ছাড়া খাবারের সময়টা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে শিশুর সামনে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও পুষ্টিকর খাবার রাখুন। শিশুকে স্ন্যাকস কম দিন, যাতে শিশুর ভাল করে খিদে পায় এবং খাবারের সময় খেতে প্রস্তুত থাকে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের উচিত শিশুকে খাওয়ানোর ব্যাপারে চাপ বা জবরদস্তি না করার৷ আপনার শিশুকে তার নিজের গতিতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সময় দিন। লাইট নিভিয়ে এবং খাওয়ার সময় হালকা মিউজিক বাজিয়ে শান্ত ও মনোরম পরিবেশ তৈরি করা যায়। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে বসেই খাবার খাওয়ার অভ্যাস করান আপনার সন্তানের। এতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে টেবিলে বসে খাবার খেলে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে না৷ খাবারের সময় আপনার সন্তানকে শিশুর সঙ্গে খেলা করুন৷ ছেলে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করুন যে রান্নার স্বাদ কেমন হয়েছে বা তার আজকের খাবারটি পছন্দ হয়েছে কী না৷ এভাবে শিশুর খাবার অভ্যাস তৈরি করুন৷ আপনার শিশুকে খাবার তৈরিতে সাহায্য করার সুযোগ দিন। যেমন শাকসবজি ধোয়া বা রান্না করার সময় উপকরণ নাড়া চারা করার। এতে খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।