![আসছে পয়লা বৈশাখ। তার পরই শুরু নতুন বছর। পা পড়বে নতুন বঙ্গাব্দে। কিন্তু জানেন কি কিছু রাশির জন্য পয়লা বৈশাখ ও নতুন বছর আসতে চলেছে ভাগ্য বিড়ম্বনার সূচক হয়ে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/New-Project-2024-04-4a5608cb988bcc2800281ee1b39c84ea.jpg)
![কোন কোন রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নতুন বছর ভাগ্য বিড়ম্বনা নিয়ে আসছে? বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ হিতেন্দ্র কুমার শর্মা।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-44917-PM-2024-04-2990d134e94733f110107d61b71dcbe9.jpeg)
![মেষরাশির জাতক জাতিকারা জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক আঘাত ও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারেন। কেরিয়ার, চাকরি, সম্পর্ক থেকে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা-সব কিছুতেই বাধা পেতে পারেন জাতক জাতিকারা। কঠিন সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-45003-PM-2024-04-6053d4f7585863b833a8bd11b7fd7e65.jpeg)
![দৃঢ় মানসিকতার বৃষরাশির জাতক জাতিকাদের কাছেও বাধার বিন্ধ্যাচল হতে পারে বাংলা নতুন বছর। আসতে পারে আর্থিক সঙ্কট। সম্পর্কে দেখা দিতে পারে টানাপড়েন। কঠিন সময়ে পাশে থাকবে মনের জোর। অর্থনৈতিক দিকে পরিকল্পনা করলে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-45035-PM-2024-04-859f7126d321541731d2f177f4dfc9b3.jpeg)
![দ্বৈত সত্তার মিথুনরাশি অন্তর্দ্বন্দ্বে বিভক্ত হতে পারেন। সিদ্ধান্তের পথে বাধা হতে পারে মানসিক দ্বন্দ্ব এবং অনিশ্চয়তা। অন্তরাত্মার ডাকে ভরসা রাখতে হবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। স্বচ্ছতার জন্য আত্মবীক্ষণ জরুরি। আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের ভরসা এনে দেবে মানসিক স্থিরতা।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-45144-PM-2024-04-b2ce1c66e670a52d9762d064bcfeeb5c.jpeg)
![আবেগপ্রবণ ও কল্পনাপ্রবণ কর্কটরাশির জাতক জাতিকারা আবেগের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে পারেন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্তরে দ্বন্দ্ব আসতে পারে। বাধাবিঘ্ন এড়াতে নিজের যত্ন দরকার। প্রিয়জনের সঙ্গে স্পষ্ট কথা বলুন। আবেগের সমর্থন এবং নিজের মনের প্রতিচ্ছবি দেখলে মানসিক শক্তি বাড়বে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-45206-PM-2024-04-e331c7d326cda254b78b30ad0343041a.jpeg)
![আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সিংহরাশির জাতক জাতিকারাও বাধা সম্মুখীন হতে পারেন। পেশাগত ও সম্পর্কের দিকে বিঘ্ন পেতে পারেন। নতুন জিনিস শিখতে আগ্রহ দেখাতে হবে। উপযুক্ত পথ প্রদর্শক এবং দলগত কাজ তাঁদের বাধা থেকে মুক্ত করবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/04/WhatsApp-Image-20240411-at-45222-PM-2024-04-134ef06c44b4a2366e5641d461ca48df.jpeg)
কলকাতা: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন বাঙালিরা। আর বাঙালির নতুন বছর উদযাপনে ভূরিভোজ না হলে কি চলে! পয়লা বৈশাখে খানাপিনার এলাহি আয়োজন করেছে তাজ বেঙ্গল। খাঁটি বাঙালিয়ানায় মোড়া ঐতিহ্যবাহী স্বাদ পেতে তাই যেতেই হবে শহরের এই পাঁচতারায়।
তাজ বেঙ্গল:
সোনারগাঁও:
লাঞ্চ: ১৪ ও ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট – দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট
বিশেষ আকর্ষণ:
বিশেষ পয়লা বৈশাখ থালিতে থাকবে সোনারগাঁওয়ের সিগনেচার ডিশ তোপসে ফ্রাই, কাঁচা লঙ্কা বাটা মুরগি, কষা মাংস, কই মাছের তেলঝাল, নারকেল পোস্ত বড়া, ছানার চপ, এঁচোড়ের কালিয়া, লাল শাকের চচ্চড়ি, কাঁচকলার কোফতা, রাধা বল্লভি, ভাপা চিংড়ি, ভেটকি মাছের পাতুরি, সীতাভোগ, আম দই এবং আরও নানা কিছু।
মূল্য:
নিরামিষ থালি: জনপ্রতি ২৮০০ টাকা+কর
আমিষ থালি: জনপ্রতি ৩৪০০ টাকা+কর
সি-ফুড থালি: জনপ্রতি ৩৭০০ টাকা+কর
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: + 91-33-6612 3310/3939
ক্যাল ২৭:
লাঞ্চ: ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট – দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট
বিশেষ আকর্ষণ:
থাকবে আমপোড়া শরবত, গন্ধরাজ ঘোল, মুর্গ মালাই টিক্কা, চিংড়ির চপ, মোচার কাটলেট, ডাক বাংলো চিকেন, কচি পাঁঠার ঝোল, ধোঁকার ডালনা, পটলের দোলমা, শুক্তো, এগপ্ল্যান্ট ও জুকিনি পার্মেজানা, ফিশ অ্যান্ড চিপস উইথ টার্টার স্যস। শেষ পাতে থাকবে রসগোল্লা, পান্তুয়া, বেকড মিহিদানা, বিটার চকলেট গ্যাটো, ম্যাঙ্গো ম্যুজ কেক, ফিলাডেলফিয়া বেকড চিজ এবং আরও নানা কিছু।
মূল্য:
জনপ্রতি ২৫০০ টাকা+কর (সফট বেভারেজ-সহ)
জনপ্রতি ৩৪০০ টাকা+কর (বাছাই করা পানীয়-সহ)
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: + 91-33-6612 3310/3939
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
তাজ সিটি সেন্টার নিউ টাউন:
শামিয়ানা:
লাঞ্চ: ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা – দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট
বিশেষ আকর্ষণ:
১০১ রকম খাঁটি বাঙালি পদে জমজমাট হয়ে উঠবে পয়লা বৈশাখের বিশেষ ব্রাঞ্চ। থাকছে ডাব চিংড়ি, রুই মাছের পাটিসাপটা, ঢাকাই ইলিশ, লেবু-লঙ্কা মুরগি, পোস্ত মাংস এবং আরও নানা কিছু। থাকবে লোকগানের আসরও।
মূল্য:
জনপ্রতি ২২০০ টাকা+কর (সফট বেভারেজ-সহ)
জনপ্রতি ২৫০০ টাকা+কর (বাছাই করা পানীয়-সহ)
জনপ্রতি ১১০০ টাকা+কর (৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য)
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: + 91-6292288563
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
আরও পড়ুন : আসছে নীলষষ্ঠী! এই ছোট্ট যত্নে সাদা ফুলে ঢাকবে জুঁই ও বেলগাছ, বাগানের সুগন্ধি ফুল রাখুন পুজোর ডালিতে
WYKIKI:
লাঞ্চ ও ডিনার: ১২ থেকে ২১ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট – দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট (লাঞ্চ), সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট – রাত ১১টা (ডিনার)
বিশেষ আকর্ষণ:
মেমোরিজ ইন চায়না-র পপ আপ উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা।
মূল্য:
জনপ্রতি ২৫০০ টাকা (সমস্ত কিছু-সহ)
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: + 91-6292288563
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
ভিভান্তা কলকাতা ইএম বাইপাস:
মিন্ট:
লাঞ্চ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট – দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট (লাঞ্চ), সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট – রাত ১১ টা (ডিনার)
বিশেষ আকর্ষণ:
নববর্ষের বিশেষ খানাপিনায় থাকছে দই মাছ, চিংড়ি মাছের কচুরি, কুচো চিংড়ি কচু লতি, মোচার কোফতা, ধোঁকার ডালনা, ক্ষীর মোহন, পাটিসাপটা, রাজভোগ এবং আরও নানা কিছু।
মূল্য:
জনপ্রতি ২৪৯৯ টাকা+কর
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: +91-6292274003
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
রাজকুটির – আইএইচসিএল সিলেকশনস:
রঙ্গমঞ্চ:
লাঞ্চ ও ডিনার: ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ০০ মিনিট – বিকাল ৪টে ৩০ মিনিট (লাঞ্চ), সন্ধ্যা ৭টা – রাত ১১ টা (ডিনার)
বিশেষ আকর্ষণ:
রাজকীয়তায় মোড়া রাজবাড়ির ভূরিভোজ হতে চলেছে। লাউ পাতায় মোড়া ছানার পাতুরি, ঠাকুরবাড়ির কষা মাংস, কৃষ্ণনগরের সরভাজা, মিষ্টি দই, নলেন গুড়ের আইসক্রিম-সহ আরও নানা কিছু। সঙ্গে বাংলার লোকনৃত্যেরও আয়োজন থাকছে।
মূল্য:
জনপ্রতি ২৪৯৯ টাকা (সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত)
জনপ্রতি ১১০০ টাকা+কর (৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য)
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: +91-6292274003
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া রুম:
লাঞ্চ ও ডিনার: ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ০০ মিনিট – বিকাল ৫টে ০০ মিনিট (লাঞ্চ), সন্ধ্যা ৭টা – রাত ১১ টা (ডিনার)
বিশেষ আকর্ষণ:
থাকবে কষা মাংস, কই মাছের তেল ঝাল, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, নারকেল পোস্ত বড়া, ছানার চপ, এঁচোড়ের কালিয়া, কাঁচকলার কোফতা, ভাপা চিংড়ি, ভেটকি মাছের পাতুরি এবং আরও নানা কিছু।
মূল্য:
জনপ্রতি ২০০০ টাকা+কর
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: +91-6292274003
দ্য স্যুইগ:
দিন: ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
সময়: সন্ধ্যা ৬টা – রাত ১১টা
বিশেষ আকর্ষণ:
বৈশাখ উৎসবে মেতে উঠতে পারবেন অতিথিরা।
মূল্য: জনপ্রতি ১৫০০ টাকা+কর
বিশদ জানতে কল করতে পারেন এই নম্বরে: +91-6292274003
*শর্তাবলী প্রযোজ্য
সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর: সামনেই নববর্ষ। আর এই নববর্ষ উপলক্ষে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় খাদ্যরসিক বাঙালির জীবনে কেক একটা আলাদাই জায়গা দখল করে নিয়েছে। বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সুজির মালাই কেক। সুজির তৈরি এই কেক অনেক নরম ও সুস্বাদু। একদম ভিন্ন স্বাদের এই কেক বাচ্চাদেরও মন কাড়বে। তাই দেরি না করে নববর্ষ উপলক্ষে বানিয়ে ফেলুন সুজির মালাই কেক।
সুজির মালাই কেক বানানোর জন্য প্রথমেই একটি মিক্সি জারে ১৫০ গ্রাম সুজি, ১০০ গ্রাম চিনি,ও ১৫০ গ্রাম দুধ দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তবে মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা বা খুব গাঢ় না হয়। এরপর একটি বড় পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে একটু ঘেঁটে নিয়ে এবার তাতে ১০০ গ্রাম ময়দা বেশ ভালভাবে প্রায় ৪-৫ মিনিট ধরে ফেটিয়ে নিতে হবে। যেন কোনও ভাবেই দানা দানা হয়ে না থাকে। ব্যাটারটি এমন ভাবে গুলে নিতে হবে যেন খুব স্মুদি হয় এবং উপর নিচ করলে চামচের গায়ে যেন লেগে না থাকে। এরপরে ওই ব্যাটারে প্রায় ৩ চামচ সাদা তেল, হাফ চামচ বেকিং পাউডার ও তার থেকে আর একটু কম বেকিং সোডা দিয়ে আবারও বেশ ভালভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। তাহলেই কেকের ব্যাটার তৈরি।
এরপর অ্যালুমিনিয়ামের একটি পাত্র নিয়ে তার উপর সাদা পেপার বসিয়ে উপর থেকে সামান্য সাদা তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। এতে কেক হয়ে গেলে কোনভাবেই যেন পাত্রের সঙ্গে আটকে যাবে না। এবারে কেকের পুরো ব্যাটারটা ওই পাত্রে ঢেলে হাতের সাহায্যে একটু নাড়িয়ে নিতে হবে। এতে ব্যাটার সবদিকে সমপরিমাণে থাকবে।
আরও পড়ুন : স্বচ্ছ হ্রদ ঘিরে পাইনগাছের সারি, হিমালয়ের দুর্লভ প্রাণীকে দেখতে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে
এবারে গ্যাসে একটি বড় পাত্র বসিয়ে তাতে বেশ কিছুটা পরিমাণ জল গরম করে নিতে হবে। জল ফুটে গেলে তাতে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর কেকের পাত্র বসিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রায় ১৫-২০মিনিট গ্যাসের আঁচ কমিয়ে স্টিম দিয়ে নিতে হবে।এইসময় খেয়াল রাখতে হবে আচঁ বাড়িয়ে রাখলে কেকের তলা পুড়ে যেতে পারে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে একটা কাঠির সাহায্যে দেখতে হবে কেক পুরোটা তৈরি হয়েছে কিনা। এবং কেক টা বেশ ফুলে উঠবে। এরপর গ্যাস থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা পাত্র দিয়ে কেকের চারপাশ ভালভাবে কেটে নিয়ে অন্য পাত্রে উল্টে দিতে হবে। এবারে উল্টে দিয়ে কেকের উপরে থাকা সাদা পেপার সরিয়ে নিলেই তৈরি আমাদের সুজির কেক। এরপর একটি কাঠির সাহায্যে কেক টি র উপরের অংশ ফুটো ফুটো করে নিতে হবে যাতে মালাই ছড়িয়ে দিলে কেকের ভিতর খুব সহজেই ঢুকে যায়।
এবারে পাত্রে এক কাপ জল গরম করে তাতে হাফ কাপ গুঁড়ো দুধ ও তিন চামচ চিনি দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে একটা ঘন মালাই বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সুজির বানানো ওই কেকের উপর মালাই দিয়ে আর সামান্য কিছু ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিলেই তৈরি। এবার প্রায় ঘণ্টাখানেক ফ্রিজে রেখে তারপর বের করে পিস পিস করে কেটে পরিবেশন করুন সুজির মালাই কেক। দেখতে যতটা নরম খেতেও ততটা সুস্বাদু। মন কাড়বে সকলের।
নয়ন ঘোষ, কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : আসছে নববর্ষ। আসছে বৈশাখ। বৈশাখ মানেই নতুনের শুরু। পহেলা বৈশাখ মানে হালখাতার দিন। উপহার পাওয়া নতুন ক্যালেন্ডার। আর ক্যালেন্ডার হাতে নিয়ে দেখে নেওয়া প্রিয় উৎসবের দিনগুলির তারিখ। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, চাহিদা কমেছে হালখাতার। এখন অনেক ব্যবসায়ী আর সেই পুরানো দিনের প্রথা মেনে হালখাতা করছেন না। ক্রেতারাও উপহার পাচ্ছেন না ক্যালেন্ডার। স্বাভাবিকভাবেই কমেছে ক্যালেন্ডারের চাহিদা। ব্যস্ততা কমেছে ছাপাখানায়।
যদিও এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু ব্যবসায়ী হালখাতার প্রথা বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেইসব ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর ব্যবসা করার পর, নিয়মিত ক্রেতাদের কিছু আশা থাকে। বছরের প্রথম দিনে তাদের মিষ্টিমুখ করাতে পারলে এবং ক্যালেন্ডার তুলে দিলে নিজেদের ভাল লাগে। তাছাড়াও ক্রেতাদের সঙ্গে হয় মধুর সম্পর্ক। যাঁরা নিয়মিত ক্রেতা, তাঁদের আশা থাকে এই দিন কিছু উপহার পাওয়ার। কিন্তু এখন অনেক ব্যবসায়ী হালখাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাছাড়াও ক্যালেন্ডার তৈরি করানোর খরচ অনেক বেড়েছে। তবুও অনেক ব্যবসায়ী সেই ঐতিহ্য এখনও পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখছেন।
আরও পড়ুন : যতই গরম বাড়ুক, ভুলেও পাতিলেবুর রস খাবেন না এঁরা! জানুন কারা পাতিলেবু খেলেই সর্বনাশ! হবে চরম ক্ষতি
অন্যদিকে ছাপাখানার মালিক, কর্মচারীরা বলছেন, আগে নববর্ষ আসার আগে ব্যস্ততা থাকত তুমুল। প্রচুর পরিমাণ ক্যালেন্ডার তৈরি করানোর চাহিদা থাকত। বিভিন্ন রকম ক্যালেন্ডার তৈরির বরাত দিতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন সেই বরাতের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও ক্যালেন্ডার তৈরি করতে খরচ বেড়েছে অনেক বেশি।
ক্যালেন্ডার পেপার, ছাপার কালি-সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে অনেক। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়াও বহু ব্যবসায়ী হালখাতা করানো বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই কারণে সামনে নববর্ষ থাকলেও, ক্যালেন্ডারের চাহিদা অনেক কম। ব্যস্ততা কম তাদের কাছেও।