Tag Archives: Rakhi

Raksha Bandhan 2024: সোমবার রাখি, ভুলেও যদি এই কাজগুলি করেন তাহলে বিপদ অনিবার্য! কী করলে খুলবে ভাগ্য?

সোমবার রাখিবন্ধন উৎসব। দেশ জুড়ে মানুষ এই উৎসবে শামিল হবেন। কিন্তু রাখিবন্ধন উৎসবের দিন কিছু কাজ করলে বিপদ অনিবার্য।
সোমবার রাখিবন্ধন উৎসব। দেশ জুড়ে মানুষ এই উৎসবে শামিল হবেন। কিন্তু রাখিবন্ধন উৎসবের দিন কিছু কাজ করলে বিপদ অনিবার্য।
জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে বোন বা দিদিদের সঠিক সময়ই তাঁদের ভাইযের হাতে রাখি পরানো উচিত। এই বছর রাখি পরানোর সঠিক সময় হল দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা।
জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে বোন বা দিদিদের সঠিক সময়ই তাঁদের ভাইযের হাতে রাখি পরানো উচিত। এই বছর রাখি পরানোর সঠিক সময় হল দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা।
ভাই বা দাদার হাতে রাখি পরানোর আগে কোনও দেবতার হাতে রাখি পরালে মঙ্গল হতে পারে। সেই সঙ্গে চাল দিয়ে তিলক কেটে প্রসাদ হিসাবে মিষ্টি দিলে ভাল হয়। এর পর ভাইয়ের হাতে রাখি পরান, তাহলে দু’জনেরই মঙ্গল হবে।
ভাই বা দাদার হাতে রাখি পরানোর আগে কোনও দেবতার হাতে রাখি পরালে মঙ্গল হতে পারে। সেই সঙ্গে চাল দিয়ে তিলক কেটে প্রসাদ হিসাবে মিষ্টি দিলে ভাল হয়। এর পর ভাইয়ের হাতে রাখি পরান, তাহলে দু’জনেরই মঙ্গল হবে।
রাখি পরানোর সময় প্রথমে তিলক কাটা হয়, সেই সময় চালের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নজর দিতে হবে যেন চাল ভাঙা না থাকে।
রাখি পরানোর সময় প্রথমে তিলক কাটা হয়, সেই সময় চালের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নজর দিতে হবে যেন চাল ভাঙা না থাকে।
রাখি পরানোর সময় অনেকেই যেমন তেমন করে রাখি বেঁধে দেন। কিন্তু রাখি বাঁধার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তিনবার গিঁট বাঁধা উচিত রাখিতে। এই তিন গিঁট ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের প্রতীক।
রাখি পরানোর সময় অনেকেই যেমন তেমন করে রাখি বেঁধে দেন। কিন্তু রাখি বাঁধার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তিনবার গিঁট বাঁধা উচিত রাখিতে। এই তিন গিঁট ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের প্রতীক।
ভাইয়ের কোন হাতে রাখি বাঁধা শুভ, তারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সব সময় রাখি ডান হাতেই বাঁধা উচিত। কারণ, শাস্ত্র মতে ডান হাত কর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাই এই হাতে রাখি বাঁধা শুভ।
ভাইয়ের কোন হাতে রাখি বাঁধা শুভ, তারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সব সময় রাখি ডান হাতেই বাঁধা উচিত। কারণ, শাস্ত্র মতে ডান হাত কর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাই এই হাতে রাখি বাঁধা শুভ।

Raksha Bandhan 2024: ফেলে দেওয়া বীজ, রঙিন কাগজ দিয়ে কী সব বানাচ্ছে পড়ুয়ারা! জানলে চমকে উঠবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মনুষ্যত্ব এবং সৃজনশীল ভাবনার বিকাশ ঘটে। প্রাথমিকভাবে এই পাঠ বিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়। বর্তমানে অভিভাবকদের সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানোর মানসিকতা অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবে জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রাখিবন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে যা করেছে জানলে আপনিও চমকে যাবেন। এর নেপথ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিবছরের মত এবারও তাঁরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে।

আমরা সবাই জানি বিদ্যালয় শুধুমাত্র পড়াশোনার জায়গা নয়, বরং তার থেকে অনেক বেশি কিছু। আসন্ন রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা পড়ুয়ারা ফেলে দেওয়া বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করছে রং-বেরঙের রাখি। যা তারা বিদ্যালয়ের বন্ধুদের একে অপরকে পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রিয়জনের হাতে বেঁধে দেবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক এলাকায় সরকারি বিদ্যালয়ের এই আয়োজন সত্যিই অবাক করার মত।

আর‌ও পড়ুন: ছোট থেকে আজ‌ও এই নেশায় বুঁদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাণ্ড শুনলে চমকে উঠবেন

এই ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন হস্তশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কচিকাঁচাদের মধ্যে চোখে পড়ছে সৃজনশীলতার অভাব। তাই তাদের মানসিকতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের জন্য মেদিনীপুর সদর ব্লকের পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে রাখি তৈরির কর্মশালা। যেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং স্কুলের সংগ্রহ করা বিভিন্ন ফলের বীজ ও রঙিন কাগজ এবং উল দিয়ে তৈরি করছে সুন্দর সুন্দর রাখি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি কচিকাঁচাদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেই মূলত এই আয়োজন।

রাখিবন্ধন উৎসবে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী একে অপরের হাতে এই রাখি বেঁধে দেবে। তবে এর উপাদান পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না। তাই বিদ্যালয়ের এই অভিনব আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

রঞ্জন চন্দ

Raksha Bandhan 2024: অভিনব রাখিবন্ধন! বিএসএফ ক্যাম্প ঘুরতে এসে জওয়ানদের রাখি পড়াল পড়ুয়ারা

বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করল কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করল কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।
ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
নদিয়ার হৃদয়পুরের ৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে এই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করল কৃষ্ণনগর একটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা।
নদিয়ার হৃদয়পুরের ৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে এই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করল কৃষ্ণনগর একটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা।
মূলত বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভূগোল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নিয়ে আসা হয় বিএসএফের এই ক্যাম্পে এই উৎসব পালন করার জন্য। পাশাপাশি তারা শিক্ষার জন্য বেশ কিছু সার্ভে করল।
মূলত বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভূগোল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নিয়ে আসা হয় বিএসএফের এই ক্যাম্পে এই উৎসব পালন করার জন্য। পাশাপাশি তারা শিক্ষার জন্য বেশ কিছু সার্ভে করল।
স্কুলের শিক্ষিকা ইন্দিরা সরকার বলেন, "আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সীমান্তে এসে চাক্ষুষ ভাবে কখনও উপলব্ধি করতে পারেনি, সেই কারণেই তাদেরকে নিয়ে আসা যাতে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরও বাড়ে তাদের।"
স্কুলের শিক্ষিকা ইন্দিরা সরকার জানান, “আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সীমান্তে এসে চাক্ষুষ ভাবে কখনও উপলব্ধি করতে পারেনি, সেই কারণেই তাদেরকে নিয়ে আসা যাতে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরও বাড়ে তাদের।”
এ দিন রাখিবন্ধন উৎসব না থাকলেও দেশের জওয়ানদের মঙ্গল কামনায় তার পাশাপাশি দিনরাত দ্বারা নিজেদের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন দেশবাসীর রক্ষার্থে। সেই কারণেই আজকের দিনেই তারা রাখিবন্ধন উৎসব পালন করল বলে জানালেন স্কুলের শিক্ষিকা।
এদিন রাখিবন্ধন উৎসব না থাকলেও দেশের জওয়ানদের মঙ্গল কামনায় তার পাশাপাশি দিনরাত দ্বারা নিজেদের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন দেশবাসীর রক্ষার্থে। সেই কারণেই আজকের দিনেই তারা রাখি বন্ধন উৎসব পালন করল বলে জানালেন স্কুলের শিক্ষিকা।
রাখি বন্ধন উৎসবের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও অবগত করা হয় এ দিন ছাত্র-ছাত্রীদের। ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
রাখি বন্ধন উৎসবের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও অবগত করা হয় এ দিন ছাত্র-ছাত্রীদের।
ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ 

Trending Rakhi 2024: রাম মন্দির রাখি বাজার কাঁপাচ্ছে, কত দাম জানেন?

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই রাখির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বাজারের বিভিন্ন দোকানে রকমারি রাখি তোলা হয়েছে। ক্রেতারাও এই রাখিগুলি কিনতে শুরু করেছেন। তবে প্রতি বছর রাখির বাজারের বেশ কিছু ট্রেন্ডিং রাখি দেখতে পাওয়া যায়। যেই রাখিগুলি সকলের নজর আকর্ষণ করে থাকে। এই বছরেও এমন দুটি রাখি রয়েছে। যা ইতিমধ্যেই বাজারে রাখি কিনতে আসা ক্রেতাদের নজর আকর্ষণ করছে। এই দুটি রাখির একটির দাম ৮০ টাকা এবং অপরটির দাম ১২০ টাকা। এই দামেই খুচরো বিক্রি করা হচ্ছে এই দুই রাখি।

কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের রাখি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বনিক জানান, সাধারণভাবে রাখির দাম শুরু হয়েছে ১০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ দামের রাখি হল ১২০ টাকার, যেটা এবার ট্রেন্ডিং রাখি। বাজারে এবার রাম মন্দির রাখি বেশ চলছে। একটি রাখির নাম রাম দরবার। যা ভাই ও বোনের একসঙ্গে দুটি রাখির একটি সেট। এই রাখি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১২০ টাকার রয়েছে রাম মন্দিরের একটি সুন্দর রাখি।

আর‌ও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে স্মার্ট ফেন্সিং, বিশেষত্ব কী জানেন?

বাজারে রাখি কিনতে আসা ক্রেতা বিকাশ পাল জানান, জেলার এই বাজারে রাখির বেশ কিছুটা সময় আগে থেকেই রকমারি রাখি উঠতে শুরু করেছে। আর সেগুলির মধ্যেই জেলার মানুষের কোন এক রাখি দারুণ পছন্দের হয়। তখন সেই রাখি ট্রেন্ডিং হয়ে পড়ে। তবে আরও বেশ কিছু রাখি রয়েছে যা দীর্ঘ সময় ধরে পছন্দ করে বহু মানুষ। ব্রেসলেট রাখি, বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুনের রাখি সব সময়ের জন্য বাজারে ভাল পরিমাণ বিক্রি হয়ে থাকে। তবে ট্রেন্ডিং রাখিগুলি দেখতে নতুনের মধ্যে অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।

জেলা কোচবিহারের সদর শহরের এই বাজারে বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন। এই বিক্রেতারা এই ট্রেন্ডিং রাখি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরো বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত এই রাখি নিচ্ছেন অনেকটা পরিমাণে। যদিও রাখি পূর্ণিমার এখনও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবুও বাজারের দোকানগুলিতে বিক্রি চলছে রমরমিয়ে। আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনা থাকলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই ক্রেতারা ভিড় করছেন রাখির দোকানে।

সার্থক পণ্ডিত

Rakhi Bandhan News: সামাজিক বার্তার পাশাপাশি স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে রাখি তৈরি করছেন বিশেষভাবে সক্ষমরা

তমলুক: আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা, তারপর রাখিবন্ধন উৎসবে মাতবেন আপামর সাধারণ মানুষ। সেই সমস্ত সাধারণ মানুষের হাতে রাখি তুলে দিতে রাতদিন এক করে রাখি তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন তমলুকের নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির আবাসিক প্রতিবন্ধীরা। বিভিন্ন সামাজিক বার্তাকে সামনে রেখে পরিবেশবান্ধব পাটকে কাজে লাগিয়ে নানা রকমের রাখি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত আবাসিক প্রতিবন্ধীরা। আর এই পাটের রাখী তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছে তাঁরা।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে মারধর করে খুন! গোপনাঙ্গে বেলন ঢুকিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

হোমের আবাসিক প্রতিবন্ধীদের রাখিতে বাংলা ভাগ বিরোধী বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, পরিবেশ রক্ষায় জলসংরক্ষণের মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। আসন্ন শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাটের রাখিতে। কেউ বিশেষভাবে সক্ষম, কেউ আবার দৃষ্টিহীন। কারও দৈহিক বিকাশ স্বাভাবিকভাবে ঘটেনি। আবার এমনও কেউ কেউ এখানে আছেন, যাঁদের দুটো হাতের একটিও নেই। নিজের পা সম্বল করে মনের জোরেই তাঁরা কাজ করে চলেছেন। তমলুকের নিমতৌড়ী হোমের আবাসিকরা রাখি তৈরিতে ভীষণ ব্যস্ত।

নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক যোগেশ সামন্ত জানান, হোমের বিশেষভাবে সক্ষম আবাসিকেরা এখানেই পাটের নানান কাজ শিখে রাখি-সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে। আর এইসব রাখি ও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে লভ্যাংশ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হচ্ছে। একদিকে যেমন সামাজিক বার্তা ফুটে উঠেছে অন্যদিকে স্বনির্ভর হচ্ছে এই বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা।

সকলেই ব্যস্ত রং, তুলি, পাট, লেশ, দড়ি দিয়ে সুন্দর সুন্দর রাখি তৈরি করতে। তাঁদের তৈরি রাখি সকলের হাতে হাতে ঘুরবে ভেবে দারুণ খুশি বিশেষভাবে সক্ষম এইসব শিল্পীরা। রাখীগুলি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই সমাজ সচেতনতার বার্তাও লেখা রয়েছে সেগুলিতে। সম্প্রীতির সামাজিক বার্তা বহনকারী এই রাখী সবার কাছেই বাড়তি গুরুত্বের হয়ে উঠছে।

এখনও পর্যন্ত এখানে কয়েক হাজার রাখী তৈরি হয়েছে। ভ্রাতৃত্ববোধ আর সম্প্রতির উৎসব উদযাপনের জোরদার প্রস্তুতি চলছে নিমতৌড়ির এই আবাসিক হোমে, আর রাখী তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছে হোমের প্রতিবন্ধী আবাসিকেরা।

Rakhi Making: রাখি তৈরি বদলে দিয়েছে এই গ্রামের অর্থনীতি

পূর্ব বর্ধমান: রাখি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকেই হাল ফিরেছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের মহিলাদের। কাটোয়া-২ ব্লকের অন্তর্গত গৌড়ডাঙা গ্রাম। এই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা রয়েছেন যাঁরা দীর্ঘ বহু বছর ধরে রাখি তৈরি করেন। গৌরডাঙা গ্রামের পাল পাড়া, সদগোপ পাড়া মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মহিলা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সংসার সামলানোর পরেও তাঁরা প্রত্যেকেই রাখি তৈরি করেন। গৌড়ডাঙা গ্রামের এই পাল পাড়া, সদগোপ পাড়ার প্রায় বাড়িতেই চলে রাখি তৈরির কাজ।

বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে গৃহবধূদের হাতে রাখি তৈরির দৃশ্য। জানা গিয়েছে গৌড়ডাঙা গ্রামের এই মহিলারা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। এই বিষয়ে গ্রামের রাখি শিল্পী রাসমণি পাল বলেন, বাড়িতে বসে থাকার থেকে এই কাজ অনেক ভাল। আমাদের বেশ কিছু টাকা উপার্জনও হয়। আমরা কালনা থেকে এই রাখি নিয়ে আসি। আবার তৈরি হয়ে গেলে কালনাতেই দিয়ে আসি।

আর‌ও পড়ুন: ‘ও কিছুতেই এমন করতে পারে না’, প্রকৃত সত্য সামনে আসুক চাইছেন মৃত ছাত্রীর প্রতিবেশীরা

রাখি তৈরির পয়সা দিয়েই অল্প অল্প করে তাঁরা সাজিয়ে তুলেছেন নিজেদের সংসার। এছাড়াও এই গ্রামের বেশ কিছু কলেজ পড়ুয়াও যুক্ত রয়েছে এই রাখি তৈরির কাজের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে কাটোয়া কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সায়নী পাল, সুদীপা পাল জানিয়েছে, এই রাখি তৈরি করতে তাঁদের ভাল লাগে। এখান থেকে যা অর্থ উপার্জন হয় সেটা দিয়েই তাঁরা তাঁদের কলেজের যাতায়াত ভাড়া, টিউশন ফি সব কিছু মেটান। নিজেদের হাতখরচও এখান থেকেই উঠে আসে বলে তারা জানিয়েছে। পড়াশোনার পর যেটুকু সময় তারা ফাঁকা থাকে সেই সময় আড্ডা না দিয়ে রাখি তৈরির কাজ করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: রাখি তৈরি করে হাল ফিরেছে এই গ্রামের মহিলাদের

পূর্ব বর্ধমান: রাখি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকেই হাল ফিরেছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের মহিলাদের। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ ব্লকের অন্তর্গত গৌড়ডাঙা গ্রাম। এই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা রয়েছেন যাঁরা বহুদিন ধরে রাখি তৈরি করেন। গৌরডাঙা গ্রামের পাল পাড়া, সদগোপ পাড়া মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মহিলা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সংসার সামলানোর পরেও তাঁরা প্রত্যেকেই রাখি তৈরি করেন। এখানে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে গৃহবধূদের রাখি তৈরির দৃশ্য।

গৌড়ডাঙা গ্রামের মহিলারা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। এই বিষয়ে গ্রামের রাখি শিল্পী রাসমণি পাল বলেন, বাড়িতে বসে থাকার থেকে এই কাজ অনেক ভাল। এতে আমাদের বেশ কিছু টাকা উপার্জনও হয়। আমরা কালনা থেকে উপকরণ নিয়ে আসি। আবার তৈরি হয়ে গেলে কালনাতেই দিয়ে আসি।

আর‌ও পড়ুন: নারী শক্তির জাগরণ! আত্মরক্ষার কৌশল শিখল ওরা

গ্রামে রাখি শিল্প প্রবেশ করার আগে এই সকল মহিলারা শুধু সংসারের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তবে রাখি আসার পর থেকে সংসার সামলানোর পরেও তাঁরা এগুলো তৈরি করেন। অবসর সময়ে এই কাজ করে তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। এই উপার্জন থেকে অল্প অল্প করে তাঁরা সাজিয়ে তুলেছেন তাঁদের সংসার।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Terracotta Rakhi: টেরাকোটার রাখি বাঁধুন ভাইয়ের হাতে! আসবে ব্যতিক্রমী লুক

বাঁকুড়া: রাখি পূর্ণিমার আগে দারুণ চমক বাঁকুড়ায়। রাখিতে ফুটে উঠল বাঁকুড়ার পুরানো শিল্প। বাঁকুড়ার পরিচিতি হল টেরাকোটা শিল্প। সেই টেরাকোটা শিল্প রীতি ফুটে উঠল রাখির মধ্যে। ফুটে উঠল জেলার ঐতিহ্যবাহী পর্যটনকেন্দ্র।

জল, জঙ্গল, পাহাড় আর প্রাচীন ঐতিহ্যের জেলা বাঁকুড়া। জেলার হস্তশিল্পের মধ্যে প্রাচীনতম শিল্প টেরাকোটা। পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্প জগৎবিখ্যাত। খাতড়া মহকুমা প্রশাসন ও বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে টেরাকোটা গ্রামে এবার তৈরি হচ্ছে টেরাকোটা রাখি। এই টেরাকোটা রাখির থিমে রয়েছে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর এবং বিষ্ণুপুর।

আর‌ও পড়ুন: বাংলার হাতে বোনা তাঁতের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা অসমে!

পর্যটনের বিকাশ ও টেরাকোটা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই অভিনব রাখি তৈরি করা হয়েছে। ভাতৃত্বের বন্ধনে এই রাখি ছড়িয়ে দেবে জেলার শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে। চলতি বছরে এই প্রথম টেরাকোটা শিল্পের অভিনব রাখি বাজারে আসতে চলেছে পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের সৌজন্যে।

রাখি শিল্পী টুটুন কুম্ভকার জানান, ছাঁচে ফেলে তৈরি করা হয়েছে এই রাখিগুলি। রাখিগুলির উপরে ফুটে উঠেছে বিষ্ণুপুর এবং মুকুটমণিপুর। একমাস সময় লেগেছে রাখিগুলি তৈরি করতে। তাঁর আশা, এই রাখি এবার ভাই-বোনেদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Handmade Rakhi: হ্যান্ডমেড রাখি তৈরি করে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা গৃহশিক্ষকের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাজার থেকে কেনা রেডিমেড রাখি নয়। বদলে এবার কাগজ, পুঁতি, জরি দিয়ে তৈরি হচ্ছে সুন্দর সুন্দর রাখি। পরিবেশবান্ধব এই রাখিগুলো ভাইয়েদের হাতে পরাতে পারবেন অনায়াসে। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট বাচ্চাদেরও আপনি পরিয়ে দিতে পারবেন এই সুন্দর সুন্দর রাখি। এতে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হবে না, তেমনই মানবদেহেরও ক্ষতি হবে না। বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে এমন রাখি বানিয়ে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন এক গৃহশিক্ষক। তিনি নিজে বিভিন্ন রঙিন আর্ট কাগজ সহ নানান জিনিস দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করছেন সুন্দর সুন্দর রাখি। যার দাম রয়েছে সাধ্যের মধ্যে।

আর‌ও পড়ুন: বালুরঘাট কলেজে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা

দিন কয়েক পরেই রাখি বন্ধন উৎসব। একে অপরকে রাখি পরিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন সকলে। তবে সাধারণত বাজারে প্লাস্টিক সহ নানান দ্রব্য দিয়ে তৈরি রেডিমেড রাখি দেদার বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে এবার বাড়িতে ফেলে দেওয়া জিনিস, আর্ট কাগজ, রং, জরি সহ নানা জিনিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব রাখি। তৈরি করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের গৃহ শিক্ষক সুধাংশু চিংড়ি।

শিক্ষকতার পাশাপাশি সুধাংশুবাবুর নেশা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ তৈরি। ফেলে দেওয়া বক্স, বিয়ের চিঠিপত্রে ব্যবহার করা জরি সহ একাধিক জিনিস দিয়ে তিনি বানিয়ে ফেলেন একাধিক সুন্দর সুন্দর শো পিস কিংবা নানা জিনিস। তবে রাখিবন্ধনকে সামনে রেখে তিনি রঙিন কাগজ, পুঁতি, সহ একাধিক জিনিস দিয়ে বানাচ্ছেন রাখিগুলো। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ২০ টাকা দামে। তৈরির খরচ খুব একটা বেশি নয়। ফলে এই রাখি তৈরি করে ভবিষ্যতে স্বনির্ভর হয়ে ওঠাও সম্ভব। গৃহ শিক্ষকের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Rakhee Gulzar Relationship: রাখিকে একবার চড় মেরেছিলেন গুলজার, কেন জানেন? নাম জড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের!

প্রেমের কবিতা ও বলিউডের বাঙালি নায়িকার প্রেমকাহিনি সেই সময় নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এই প্রেমই নাকি ভেঙেছিল আরেক মহানায়িকার কারণে। সত্তর দশকে রুপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকায় গুলজার আর রাখির প্রেমকাহিনি ছিল সুপারহিট। কিন্তু কী ঘটেছিল ওঁদের মধ্যে, যে দু’জনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হল না? ভেঙে গেল গুলজার-রাখির সুখের সংসার? জানুন বলিউডের ‘চুপকথা’।
প্রেমের কবিতা ও বলিউডের বাঙালি নায়িকার প্রেমকাহিনি সেই সময় নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এই প্রেমই নাকি ভেঙেছিল আরেক মহানায়িকার কারণে। সত্তর দশকে রুপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকায় গুলজার আর রাখির প্রেমকাহিনি ছিল সুপারহিট। কিন্তু কী ঘটেছিল ওঁদের মধ্যে, যে দু’জনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হল না? ভেঙে গেল গুলজার-রাখির সুখের সংসার? জানুন বলিউডের ‘চুপকথা’।
রাখির নায়িকা রূপে প্রথম বলিউডে একটি ছবি মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে। উত্তমকুমার সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত বাংলা ছবির হিন্দি ভার্সন একই নামে ‘জীবন মৃত্যু’ রিলিজ করে। যে ছবি বিশাল জনপ্রিয়তা পায় এবং রাখির প্রথম হিন্দি ছবি তাঁকে বলিউডের প্রথমা নায়িকাদের সারিতে নিয়ে চলে আসে। ১৯৭২ সালে প্রথম দেখায় রাখির বাঙালি রূপের প্রেমে পড়েন গুলজার।
রাখির নায়িকা রূপে প্রথম বলিউডে একটি ছবি মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে। উত্তমকুমার সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত বাংলা ছবির হিন্দি ভার্সন একই নামে ‘জীবন মৃত্যু’ রিলিজ করে। যে ছবি বিশাল জনপ্রিয়তা পায় এবং রাখির প্রথম হিন্দি ছবি তাঁকে বলিউডের প্রথমা নায়িকাদের সারিতে নিয়ে চলে আসে। ১৯৭২ সালে প্রথম দেখায় রাখির বাঙালি রূপের প্রেমে পড়েন গুলজার।
রাখির তরফ থেকেও ছিল গুলজারের প্রতি ভালবাসা। কারণ গুলজারের প্রেমের কবিতা রাখির খুব প্রিয় ছিল। তাঁদের প্রেম ও তা থেকে বিয়ে হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৯৭৩ সালের ১৫ মে বিয়ে করেন রাখি-গুলজার। বিয়েতে দিলীপ কুমার থেকে রাজ কাপুর পরিবারের সবাই, ওদিকে অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, জিতেন্দ্র সকলে উপস্থিত ছিলেন।
রাখির তরফ থেকেও ছিল গুলজারের প্রতি ভালবাসা। কারণ গুলজারের প্রেমের কবিতা রাখির খুব প্রিয় ছিল। তাঁদের প্রেম ও তা থেকে বিয়ে হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৯৭৩ সালের ১৫ মে বিয়ে করেন রাখি-গুলজার। বিয়েতে দিলীপ কুমার থেকে রাজ কাপুর পরিবারের সবাই, ওদিকে অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, জিতেন্দ্র সকলে উপস্থিত ছিলেন।
রাখির তখন হাতে অজস্র ছবি নায়িকা হিসেবে। বিপরীতে শশী কাপুর, অমিতাভ বচ্চনের মতো নায়করা। কিন্তু বিয়ের এক বছর না হতেই ১৯৭৩-এর ডিসেম্বরে জন্মান মেঘনা, গুলজার-রাখির মেয়ে। মেঘনা জন্মানোর এক বছর পরেই গুলজার-রাখির সেপারেশান হয়ে যায়। ভেঙে যায় দু’জনের সংসার। দুজন আলাদা থাকতে শুরু করেন। আজও আলাদাই তাঁরা।
রাখির তখন হাতে অজস্র ছবি নায়িকা হিসেবে। বিপরীতে শশী কাপুর, অমিতাভ বচ্চনের মতো নায়করা। কিন্তু বিয়ের এক বছর না হতেই ১৯৭৩-এর ডিসেম্বরে জন্মান মেঘনা, গুলজার-রাখির মেয়ে। মেঘনা জন্মানোর এক বছর পরেই গুলজার-রাখির সেপারেশান হয়ে যায়। ভেঙে যায় দু’জনের সংসার। দুজন আলাদা থাকতে শুরু করেন। আজও আলাদাই তাঁরা।
রাখি একবার স্পষ্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, "পরিষ্কার করে লিখবেন আমরা বিবাহবিচ্ছেদ করছি না। বিয়ের সময়ে আমি গুলজারের শর্ত মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পরে দেখলাম সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছে, আমি একাই ঘরে বসে আছি। গুলজার সকাল আটটায় বেরিয়ে যায় আর ফেরে রাত বারোটা। এ যে কী অসহনীয় অবস্থা আমিই জানি। আমি আবার অভিনয়ে ফিরতে চাই। কিন্তু গুলজার আমার অভিনয়ের বিরুদ্ধে।"
রাখি একবার স্পষ্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “পরিষ্কার করে লিখবেন আমরা বিবাহবিচ্ছেদ করছি না। বিয়ের সময়ে আমি গুলজারের শর্ত মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পরে দেখলাম সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছে, আমি একাই ঘরে বসে আছি। গুলজার সকাল আটটায় বেরিয়ে যায় আর ফেরে রাত বারোটা। এ যে কী অসহনীয় অবস্থা আমিই জানি। আমি আবার অভিনয়ে ফিরতে চাই। কিন্তু গুলজার আমার অভিনয়ের বিরুদ্ধে।”
এই তিক্ততার ভার বহন করতে করতে গুলজার রাখির বিবাদ চরমে ওঠে। আর এমন সময় গুলজার শুরু করেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে, তাঁর ‘আঁধি’ ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিংয়ের সময়ে রাখিও কাশ্মীরে যান গুলজারের সঙ্গে।
এই তিক্ততার ভার বহন করতে করতে গুলজার রাখির বিবাদ চরমে ওঠে। আর এমন সময় গুলজার শুরু করেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে, তাঁর ‘আঁধি’ ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিংয়ের সময়ে রাখিও কাশ্মীরে যান গুলজারের সঙ্গে।
হোটেলে আলাদা আলাদা ঘর ভাড়া করা হয় সকলের। গুলজার-রাখির একটি ঘর, সুচিত্রা সেনের আলাদা ঘর, নায়ক সঞ্জীব কুমারের আলাদা ঘর। শ্যুটিং শেষের রাতে ছিল মস্ত পার্টি। সুচিত্রা সেন, সঞ্জীব কুমার, গুলজার-সহ আঁধির ফুল টিম সেলিব্রেট করছিল।
হোটেলে আলাদা আলাদা ঘর ভাড়া করা হয় সকলের। গুলজার-রাখির একটি ঘর, সুচিত্রা সেনের আলাদা ঘর, নায়ক সঞ্জীব কুমারের আলাদা ঘর। শ্যুটিং শেষের রাতে ছিল মস্ত পার্টি। সুচিত্রা সেন, সঞ্জীব কুমার, গুলজার-সহ আঁধির ফুল টিম সেলিব্রেট করছিল।
সেই সময়ে সঞ্জীব কুমার মদ্যপান করে একেবারে টালমাটাল হয়ে পড়েন। একবার পেটে মদ পড়লে সঞ্জীব কুমারের চরিত্র বদলে যেত, এমন কথা বলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়। মদ্যপান করে সঞ্জীব কুমার নিজের বাহুতে জড়াতে চান সুচিত্রা সেনকে। সঞ্জীব নাকি সুচিত্রা সেনকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হাত ধরে টানতে থাকেন। সুচিত্রাও বেশ জোরে চেঁচিয়ে বাধা দেন।
সেই সময়ে সঞ্জীব কুমার মদ্যপান করে একেবারে টালমাটাল হয়ে পড়েন। একবার পেটে মদ পড়লে সঞ্জীব কুমারের চরিত্র বদলে যেত, এমন কথা বলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়। মদ্যপান করে সঞ্জীব কুমার নিজের বাহুতে জড়াতে চান সুচিত্রা সেনকে। সঞ্জীব নাকি সুচিত্রা সেনকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হাত ধরে টানতে থাকেন। সুচিত্রাও বেশ জোরে চেঁচিয়ে বাধা দেন।
এই সময়ে রাখি ছিলেন নিজের ঘরে, কিন্তু গুলজার পার্টিতেই ছিলেন। তাই সুচিত্রাকে সঞ্জীবের হাত থেকে উদ্ধার করতে ছুটে যান তিনির। সঞ্জীব কুমারের হাত থেকে ছাড়িয়ে সুচিত্রাকে নিজের ঘরে পৌঁছে দেন গুলজার। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগে ও পরেও সঞ্জীব কুমার ও সুচিত্রা সেনের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। সুচিত্রা জানতেন সঞ্জীব ছিলেন তখন নেশাগ্রস্ত।
এই সময়ে রাখি ছিলেন নিজের ঘরে, কিন্তু গুলজার পার্টিতেই ছিলেন। তাই সুচিত্রাকে সঞ্জীবের হাত থেকে উদ্ধার করতে ছুটে যান তিনির। সঞ্জীব কুমারের হাত থেকে ছাড়িয়ে সুচিত্রাকে নিজের ঘরে পৌঁছে দেন গুলজার। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগে ও পরেও সঞ্জীব কুমার ও সুচিত্রা সেনের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। সুচিত্রা জানতেন সঞ্জীব ছিলেন তখন নেশাগ্রস্ত।
কিন্তু গুলজার সুচিত্রাকে পৌঁছে দিয়ে সুচিত্রার ঘর থেকে বেরোতেই দরজা খুলে দেখলেন সামনে রাখি দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ মূর্তিতে। রাখি সমস্ত হোটেল চিৎকার করে তুলকালাম করেন বলে শোনা যায়। ঘরে গিয়ে গুলজারের বুকে ভেঙে পড়েন কান্নায়, বলেন "সুন্দরী নায়িকা কি আমার চেয়েও তোমার কাছে বড়? কেন তাঁকে তাঁর ঘরে তোমাকেই পৌঁছে দিতে হয়? সুচিত্রা সেনের মন ভাল না হওয়া পর্যন্ত একলা ফেলে আসতে পারো না? ও তোমার কে? আমি তাহলে কী?"
কিন্তু গুলজার সুচিত্রাকে পৌঁছে দিয়ে সুচিত্রার ঘর থেকে বেরোতেই দরজা খুলে দেখলেন সামনে রাখি দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ মূর্তিতে। রাখি সমস্ত হোটেল চিৎকার করে তুলকালাম করেন বলে শোনা যায়। ঘরে গিয়ে গুলজারের বুকে ভেঙে পড়েন কান্নায়, বলেন “সুন্দরী নায়িকা কি আমার চেয়েও তোমার কাছে বড়? কেন তাঁকে তাঁর ঘরে তোমাকেই পৌঁছে দিতে হয়? সুচিত্রা সেনের মন ভাল না হওয়া পর্যন্ত একলা ফেলে আসতে পারো না? ও তোমার কে? আমি তাহলে কী?”
অভিযোগ, এই তুমুল অশান্তির মধ্যে নাজেহাল গুলজার একটা চড় মেরে দেন রাখিকে। রাখির কাছে সেটা হয়ে দাঁড়ায় আরও ভয়ংকর বেদনাদায়ক। এই সময়ে যশ চোপড়া তাঁর নতুন ছবি ‘কভি কভি’তে নায়িকার রোল অফার করেছিলেন রাখিকে। রাখিকে যথারীতি তখন গুলজার না করে দেন। কিন্তু সেই রাতের পরেই রাখি স্বামীর সব বারণ মুছে ফেলেন রাখি। সাতসকালেই হোটেল থেকে বেরিয়ে যাব।
অভিযোগ, এই তুমুল অশান্তির মধ্যে নাজেহাল গুলজার একটা চড় মেরে দেন রাখিকে। রাখির কাছে সেটা হয়ে দাঁড়ায় আরও ভয়ংকর বেদনাদায়ক। এই সময়ে যশ চোপড়া তাঁর নতুন ছবি ‘কভি কভি’তে নায়িকার রোল অফার করেছিলেন রাখিকে। রাখিকে যথারীতি তখন গুলজার না করে দেন। কিন্তু সেই রাতের পরেই রাখি স্বামীর সব বারণ মুছে ফেলেন রাখি। সাতসকালেই হোটেল থেকে বেরিয়ে যাব।
ঠিক সেদিন সকালেই যশ চোপড়া কাশ্মীরে ‘কভি কভি’ সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখতে এসেছিলেন। রাখি যশ চোপড়ার কাছে গিয়ে নায়িকার রোল করবেন বলে কথা দেন। এভাবেই বিয়ের পরে আবার ফিল্মে কামব্যাক করেন রাখি গুলজার। শর্মিলা বা সুচিত্রার চেয়ে রাখিও কিছু কম নন, এই জবাব গুলজারকে দিতেই কি রাখির এই সিদ্ধান্ত ছিল?
ঠিক সেদিন সকালেই যশ চোপড়া কাশ্মীরে ‘কভি কভি’ সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখতে এসেছিলেন। রাখি যশ চোপড়ার কাছে গিয়ে নায়িকার রোল করবেন বলে কথা দেন। এভাবেই বিয়ের পরে আবার ফিল্মে কামব্যাক করেন রাখি গুলজার। শর্মিলা বা সুচিত্রার চেয়ে রাখিও কিছু কম নন, এই জবাব গুলজারকে দিতেই কি রাখির এই সিদ্ধান্ত ছিল?
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার রানাঘাট শহরে ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় রাখির। বয়ঃসন্ধি পেরনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায় রাখির। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র-নির্মাতা অজয় বিশ্বাসকে বিয়ে করেন রাখি। কিন্তু বেশিদিন সেই বিয়ে টেকেনি। বিয়ের সময় রাখির বয়স ছিল মোটে ১৬। ১৮ বছরে পা দিতে না-দিতেই অজয়ের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাখি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই সিনেমাজগতে পা রাখেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার রানাঘাট শহরে ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় রাখির। বয়ঃসন্ধি পেরনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায় রাখির। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র-নির্মাতা অজয় বিশ্বাসকে বিয়ে করেন রাখি। কিন্তু বেশিদিন সেই বিয়ে টেকেনি। বিয়ের সময় রাখির বয়স ছিল মোটে ১৬। ১৮ বছরে পা দিতে না-দিতেই অজয়ের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাখি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই সিনেমাজগতে পা রাখেন তিনি।