Tag Archives: RG Kar murder

আরজি কর কাণ্ডে যাদবপুরে অভিনব প্রতিবাদ, সাধারণের সঙ্গে মিশে গেলেন তারকারা

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিতসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ গানে। যাদবপুরে গানে-গানে প্রতিবাদ। বিচারের দাবিতে শিলাজিৎ, সৃজিত, কৌশিক সহ একাধিক তারকারা। গানে, নাটকে, স্লোগানে মুখর প্রতিবাদের পথ।

Lalbazar Abhijan: ২২ ঘণ্টা ধরনার পর কমিশনরের সঙ্গে সাক্ষাত্‍! এবার কী জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

সোমবার লালবাজারের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ৷ এরপর রাস্তার উপরেই বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷  ২২ ঘণ্টা পর অবশেষে ব‍্যারিকেড তুলেছে পুলিশ। লালবাজার গেলেন ২২ সদস্যের চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন জুনিয়র চিকিত্‍সদের প্রতিনিধি দল।

Bangla News: বাংলার একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে চিকিৎসক-নার্স সকলেই মহিলা! কোথায় বলুন তো?

আলিপুরদুয়ার: এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালিত হয় মহিলাদের দিয়ে। কোন পুরুষ কর্মী না থাকায় দুপুর গড়ালেই বন্ধ হয়ে যায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকা জয়গাঁতে রয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

এই এলাকাতে নেই কোনও হাসপাতাল। জয়গাঁবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছে জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে, অবাক করার বিষয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালান মহিলারা। আরজি করের ঘটনার পর যেখানে মহিলাদের কর্মস্থলের সুরক্ষা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেখানে হয়ত এই মহিলারা দৃষ্টান্ত। জয়গাঁ এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে ৮ হাজার বাসিন্দা নির্ভরশীল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর। হাসপাতাল না হলেও, যতটা সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সবথেকে বড় বিষয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালিয়ে যাচ্ছেন চার জন মহিলা মিলে।

আরও পড়ুনঃ ‘স্বস্তি পেয়েছি, তবে…’ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর বড় দাবি নির্যাতিতার পরিবার

স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ জন নার্স ও একজন মহিলা চিকিৎসক। ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টা বাজতেই ভিড় জমে যায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেটের সামনে। দুপুর দুটো, আড়াইটা পর্যন্ত লাগাতার কাজ। টেবিলে একবার বসলে মাথা তুলে তাকানোর সময় পর্যন্ত পান না তাঁরা। শিশুদের টিকা, গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা নিয়ে আসা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা, ওষুধ বুঝিয়ে দেওয়া সবটা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে ওঠেন নার্সরা।

এই বিষয়ে নার্স প্রিয়াঙ্কা মঙ্গরাতি জানান, “আমার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে যতটুকু জানি সব রোগী এক নয়। পরিজনেরা কখনও সমান হন না। কিছু রোগী একটু বুঝিয়ে দিলেই বোঝে, বাকিদের হাজারবার বললেও বুঝবে না। উল্টে তর্ক করবে, নিয়ম মাফিক চলবে না পরে কিছু হলে আমাদের উপর দোষ দিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝামেলা শুরু করে।”

আরও পড়ুনঃ ভাঙবে সব রেকর্ড! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘এল নিনো’! তছনছ হবে গোটা দেশ? জানুন আপডেট

জয়গাঁও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেখানে অবস্থিত সেখানে সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মাঝে মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার জয়গাঁ ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসানো হয়েছে ৬ টি সিসি টিভি ক্যামেরা। যার জন্য একটু নিশ্চিন্ত চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক নম্রতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, “এই প্রান্তিক এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং। আমরা কীভাবে কাজ করে যাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতাগুলি একান্তই আমাদের। আমাদেরও নরমে গরমে রোগী ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে হয়।”

Annanya Dey

Anti Rape Bill: বিল পাসেই কি ধরা পড়বে ধর্ষক? কতটা সুরক্ষিত হল মেয়েরা? জানুন ‘অপরাজিতা’ ইতিবৃত্ত

কলকাতা:  ধর্ষণ রুখতে মঙ্গলবার বিধানসভায় পাস হল ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’। অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা! উনি মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। ’’

আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ধর্ষণ, মহিলা নির্যাতন রুখতে কড়া আইন আনার দাবি উঠেছে। তৃণমূলের তরফে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ওই দাবি জানান সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে। রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে কেন্দ্রের উপর চাপ দেওয়ার পরামর্শও দেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ওই আইন আনার দাবি জানান।  কেন্দ্রের তরফে শুরুতে তেমন উদ্যোগ দেখা না গেলেও, অবশেষে মঙ্গলবার পাস হল সেই আইন। এ বার থেকে এ রাজ্যে ধর্ষণের সাজা হবে জরিমানা-সহ যাবজ্জীবন কারাবাস, নয়তো মৃত্যু।

আরও পড়ুন- দিনে খরচ হচ্ছে ৬ কোটি! জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেসামাল ‘স্বাস্থ্যসাথী’?

অপরাজিতা বিলের ৩ বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেন মমতা। মমতা জানান, ‘অপরাজিতা’ টাস্ক ফোর্স ভারতীয় দণ্ডবিধিকে না বদলেই তৈরি। শুধু আইনের ‘ফাঁক’ সংশোধন করা হল বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।  এই আইনের ৩ বৈশিষ্ট্য। বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত, দ্রুত ন্যায় বিচার।

আরও পড়ুন- পটলের ইংরেজি কী? বলতে পারবেন না বেশিরভাগই…! চ্যালেঞ্জ নেবেন নাকি? মেলান উত্তর

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। চটজলদি বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য। তাই বেশ কিছু বিধি যোগ হচ্ছে নতুন বিলে। এই আইন প্রনয়ণের পর দোষীকে সাজা দিতে দেরি হওয়ার জায়গা নেই। শাস্তিও সর্বোচ্চ। যাবজ্জীবন কারাবাস বা ফাঁসি হবে ধর্ষকের, দাবি মমতার।

কী কী আছে ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’-এর প্রস্তাবে?

১। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণের সাজা অন্তত ১০ বছর কারাদণ্ড, যা যাবজ্জীবনও হতে পারে। সঙ্গে জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সংশোধনী বিলে ধর্ষণের সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড। সঙ্গে জরিমানা। এমনকি, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

২। জরিমানার টাকায় নির্যাতিতার চিকিৎসা, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই জরিমানার টাকা দিতে হবে, যেমনটা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩-এর ৪৬১ ধারায় উল্লেখ করা রয়েছে।

৩। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫ ধারা মুছে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ‘অপরাজিতা মহিলা এবং শিশু (পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ আইন সংশোধনী) বিল ২০২৪’-এ। ওই ধারায় ধর্ষণের কিছু মামলায় সাজার উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ১২৪ ধারাতেও বদল আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিলে।

৪। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩-এর আইনে নতুন ধারা যোগের প্রস্তাবও আনা হয়েছে বিলে। ৪৬ নম্বর ধারার ৩এ উপধারায় নতুন ধারা যোগ করে ‘বিশেষ আদালত’ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। প্রতি জেলায় তৈরি করতে হবে এই আদালত, যেখানে ধর্ষণের মামলার বিচার হবে।

৫। বিচার করবেন রাজ্যের দায়রা বিচারক বা অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। কলকাতা হাই কোর্টের সম্মতি নিয়েই চলবে বিচার। সরকার নির্যাতিতার হয়ে মামলা লড়ার জন্য স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করবে। সেই  ব্যক্তির কমপক্ষে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

Agnimitra Paul: ‘তড়িঘড়ি পোস্টমর্টেম কেন?’ ‘অপরাজিতা বিল’ পেশ নিয়ে তোলপাড় বিধানসভা, এবার বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

কলকাতা: ধর্ষণে সাজা সংক্রান্ত ‘অপরাজিতা বিল’ পেশ করা হয় মঙ্গলবার। অপরাজিতা বিল নিয়ে বক্তব‍্য রাখেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্য‍ায়। বক্তব‍্য পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিরারীও। এবার মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের বক্তব‍্য পেশের পর এবার এই বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন, বিরোধী নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।

এদিন অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘সারা দেশ যে আইনটাকে অনুসরণ করছে, তাহলে চোখে ধুলো দেওয়ার জন‍্যই এই বিলটি আনা হল? আমাদের রাজ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আইনের শাসন নেই। ১১ বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও কামদুনি বিচার পায়নি। কামদুনি তো সিবিআই দেখছিল না, সিআইডি দেখছিল। তাহলে অভিযুক্তরা ছাড়া পেলো কী করে?

আরও পড়ুন: ‘এই বিল গোটা দেশের মেয়েদের সুরক্ষার জন্য’, বিধানসভায় যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন মমতার

পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জানালেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, ‘‘সব পুলিশ‌ই খারাপ এটা আমি বলব না। অনেক পুলিশ‌ই দক্ষ। কিন্তু পুলিশকে কাজে লাগানো হয় শুধু বিরোধীদের শায়েস্তা করতে।’’ নির্যাতিতার দেহ কেন তড়িঘড়ি পোস্টমর্টেম করা হল? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেত্রী।

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনে ঠাসা, করে হজম, কমায় বাড়তি ওজন, তবু কাদের খাওয়া বারণ পেঁপে? ভুল করবেন না, এখনই জানুন

তিনি বলেন, ‘‘এত প্রশ্ন‌ই তো আসতোই না যদি নির্যাতিতার দেহটা সংরক্ষিত থাকতো? কেন অত তাড়াতাড়ি পোষ্ট মর্টেম করে ফেলা হল? আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা জানালেন, ‘‘গতকাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হল। আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) কেন তাকে গ্রেফতার করেন নি।আপনি তাকে সেফ গার্ড করেছেন। অভয়ার খুনের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ আছে। আস্তে আস্তে সব বের হবে।’’

Suvendu Adhikari: ‘বুদ্ধবাবু বলেছিলেন…’, বিধানসভায় মমতাকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর! যা বললেন বিরোধী দলনেতা

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক মঙ্গলবার পেশ করেন ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)।’ এদিন এই বিলের সংশোধনী নিয়ে আলোচনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিলে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত বেনজির আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সংখ্যা শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে জনগন। বুদ্ধবাবু বলেছিলেন আমরা ২৩৫ তোমরা ৩০। তখন আমিও ছিলাম। এই বিল নতুন কিছু নয়। এই বিল হল আন্দোলন থামাও সরকার বাঁচাও। নজর ঘোরাও।’

শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ, “৯ অগাস্ট ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করিয়ে খুন করা হয়েছে সরকারি কাস্টডিতে। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। পাকিস্তানের ডাক্তারদের সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে এ লজ্জা রাখব কোথায়? সরকারি জায়গায় যে ভাবে ডিউটিতে ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসক ছাত্রীকে পাশবিক অত্যাচার করে হত্যা করেছে তার নিন্দা হওয়া উচিত। সারা বিশ্ব থেকে যে প্রতিক্রিয়া আসছে তাতে আমাদের লুকানোর ভাষা নেই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। জাস্টিস ফর আরজি কর। জুনিয়র ডাক্তাররা বসে আছেন সারা রাস্তায়। তাদের দাবি পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ। তাঁকে কি সরানো যায় না? সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গিয়েছে। এই বিল সরকার বাঁচাতে। এই বিল দৃষ্টি ঘোরাতে।”

Mamata Banerjee: ‘এই বিল গোটা দেশের মেয়েদের সুরক্ষার জন্য’, বিধানসভায় যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন মমতার

কলকাতা: সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে রাজ‍্যের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। পূর্বনির্ধারিতভাবেই বিধানসভার দ্বিতীয় দিনে অপরাজিতা বিল নিয়ে বক্তৃতা পেশ করা শুরু করলেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। মুখ‍্যমন্ত্রীর ধর্ষণে ফাঁসির সংক্রান্ত এই বিল নিয়ে বক্তব‍্য রেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় অপরাজিতা বিলকে ঐতিহাসিক বিল বলে আখ‍্যা দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বলেন, ‘‘আমি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্য সেটা বলব। আপনার থেকে জ্ঞান নেব না। বিরোধী দলনেতাকে আমার কথা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে। আমি প্রেস-মিডিয়ার বিরোধী নই। মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। ৩ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক দিন। ইউনাইটেড নেসনস শুরু করেছিল মহিলাদের জন্য নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটি। আমি সমবেদনা জানাচ্ছি নির্যাতিতার পরিবারকে। গোটা দেশে যারা অত্যাচারিত হয়েছে। তাদের পরিবারকেও সমবেদনা জানাচ্ছি।’’

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনে ঠাসা, করে হজম, কমায় বাড়তি ওজন, তবু কাদের খাওয়া বারণ পেঁপে? ভুল করবেন না, এখনই জানুন

মুখ‍্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কোনও শর্ত ছাড়া এই বিল সমর্থন করবে সেই আশা রাখি। ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। আমি নিজে সিবিআইকে দিয়ে দেব বলেছিলাম। কিন্তু আমি রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। আদালতের নির্দেশে সিবিআই হয়ে যায়। আমাদের আপত্তি নেই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সিবিআইয়ের থেকে জাস্টিস চাই। বিরোধী দলনেতাকে বলছি, রাজ্যপালকে বলুন এই বিলে সই করতে। আমিও চাই আপনাদের মতো এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে।’’

মুখ‍্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এল কামদুনির প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘৮৮ ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট আছে। মহিলাদের জন্য ৫২’টা নির্দিষ্ট কোর্ট আছে। কামদুনি কেসে পিপি বদল হয়েছে অনেক সময় ট্রান্সফারের কারণে। আদালত আমাদের হাতে নেই। আদালত আপনাদের হাতে আছে।’’

মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ আমি মনে করি বিরোধীদের দায়বদ্ধতা আছে। ট্রেনের ভেতর রক্ষা করার দায়িত্ব আর পি এফের। রাজ্য সরকারের নয়। ম্যাক্সিমাম ফেক নিউজ। একাধিক বিকৃত তথ্য দেওয়া হল। খবরের কাগজের নামে যা দেখানো হল।’’

মুখ‍্যমন্ত্রীর বক্তব‍্যে উঠে এল উন্নাও, হাথরসের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘উন্নাও, হাথরসে বিচার পায়নি। ইউপিতে(উত্তরপ্রদেশ) একাধিক এই ঘটনা ঘটেছে। উত্তরাখণ্ডে নার্সকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র নাবালিকা, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ করা হল। আমি বলছি ছি ছি। যারা এটা করেছে তাদের লজ্জা নেই।’’

আরজি কর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে দুটি চিঠি লেখেন মুখ‍্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় ফের এই প্রসঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে আমি দুটো চিঠি দিয়েছি। তিনি কোনও রিপ্লাই দেননি। তবে একজন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর মন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন। আমি ন্যায় সংহিতা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছিলাম। আমি একাধিকবার স্বরাষ্ট্র দফতরকে বলেছি। বলেছিলাম নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে।  আমি চেয়েছিলাম এই আইন কেন্দ্রীয় সরকার করুক। কিন্তু আইনে ফাঁক রাখা হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় সাত মাসে জামিন পেয়ে যায়। আর তাদের ফুল মালা পরানো হয়। ভিনেশ দেশের জন্য একটা পদক আনতে পারত। সিপিএম এখন বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।’’

Sandip Ghosh Arrest: ‘স্বস্তি পেয়েছি, তবে…’ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর বড় দাবি নির্যাতিতার পরিবার

উওর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আর এই খবর পেতেই রীতিমত খুশি নির্যাতিতার পরিবার-সহ প্রতিবেশীরা। তবে, এই খুশি সাময়িক। কারণ যতদিন না প্রকৃত খুনীরা, আসল অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে ততদিন শান্তি মিলবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। প্রকৃত ঘটনা রহস্য এখনও রয়েছে অজানা।

নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতেই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করতেই হয়তো চেয়েছিল চিকিৎসক তরুণী। তার জন্যই হয়ত খুন করা হয়েছে তাঁকে, তাই এই ঘটনার সঙ্গেও সন্দীপ ঘোষ জড়িত রয়েছেন পাশাপাশি আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন বলেও অনুমান নির্যাতিতার পরিবার-সহ প্রতিবেশীদের।

আরও পড়ুনঃ নিজাম প্যালেসে সন্দীপ ঘোষ! হঠাৎ সেই অফিসেরই রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টারে আগুন, পৌঁছল দমকল

এদিন নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত চিকিৎসক তরুনীর কাকিমা বলেন, “২৫ দিন ধরে যে ছাত্রছাত্রীরা বা ডাক্তাররা আন্দোলন করছে, এটা তাঁদের নৈতিক জয়। সঙ্গে আমাদের পরিবারেরও একটা নৈতিক জয়। আমাদের মনে হচ্ছে যে বিচার ঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং আমরা সুবিচার পাব। আমাদের এও মনে হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে যে সমস্ত রাঘব বোয়ালরা আছে তারা একটা সময় গ্রেফতার হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের মেয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডা: সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতার কোথাও গিয়ে কিছুটা হলেও যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার আত্মা শান্তি পায়নি বলেও মনে করেন কাকিমা।

তাঁর কোথায়, ‘যেদিন এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষ ফাঁসি কাঠে ঝুলবে বা চরম শাস্তি পাবে সেদিনকে আমরা বলতে পারব আমাদের মেয়ে শান্তি পেয়েছে এবং আমরাও পরিবারের পক্ষ থেকে শান্তি পেয়েছি।’ তবে প্রতিবেশীদের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়, যেহেতু এখনও পর্যন্ত সিবিআই আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সন্দীপ ঘোষ কে সেই জায়গা থেকে নির্যাতিতাকে খুনের ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ যে জড়িত তা যতক্ষণ না প্রকাশ্যে আসছে পাশাপাশি যে নৃংশসভাবে খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসক তরুণীকে তার গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে ও প্রকৃত দোষীরা চরম থেকে চরমতম শাস্তি পাচ্ছে ততদিন যেন স্বস্তি মিলবে না নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশী সহ আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদেরও এমনটাই মত প্রতিবেশীদের।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে কোনও কটু কথা নয়, কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের

তাঁদের অনুমান, সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও অনেকেই এই নৃশংস খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এখন দেখার সিবিআই গ্রেফতার করার পর দুর্নীতির পাশাপাশি নির্যাতিতার খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা কতটা তা প্রকাশ্যে আসে। আন্দোলনরত ছাত্রদের ডাকে আরজিকরের প্রতিবাদ মঞ্চেও নির্যাতিতার গোটা পরিবার যোগ দেবে বলেও জানানো হয়।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Protest Effect On Swasthya sathi: দিনে খরচ হচ্ছে ৬ কোটি! জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেসামাল ‘স্বাস্থ্যসাথী’?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। এতে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি খরচ বাড়ছে রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পেও। নবান্ন সূত্রে খবর, ১০ অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ‘স্বাস্থ্যসাথী’র অধীনে ১৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ মঞ্জুর করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

১০ অগাস্টের পর থেকে গড়ে ৬ কোটি টাকা করে প্রত্যেকদিন ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে খরচ হচ্ছে রাজ্যের। কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থেকেই সব থেকে বেশি ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে অর্থ বরাদ্দের আবেদন আসছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- ওজন কমাতে যখন তখন চিয়া সিড খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর! একমাত্র ঠিক সময় খেলেই পাবেন উপকার…

অন্য দিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবায়। এক ধাক্কায় সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে কমল আউটডোর পরিষেবা ও রোগীর ভর্তির পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য দফরের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ১০ অগাস্টের পর থেকে কর্ম বিরতিতে আউটডোর পরিষেবা ৫০ শতাংশ কমেছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে রোগী ভর্তির পরিমাণ কমেছে ২৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার কমেছে ৫০ শতাংশ।

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিঘ্নিত হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। তাই এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল নবান্ন। স্বাস্থ্য দফতর এবার এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল নবান্নে। এবার এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন- পটলের ইংরেজি কী? বলতে পারবেন না বেশিরভাগই…! চ্যালেঞ্জ নেবেন নাকি? মেলান উত্তর

৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। এর পরেই কর্মবিরতি শুরু করের জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পর থেকে বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে আরজি করে।

Abhishek Banerjee: চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে কোনও কটু কথা নয়, কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের

কলকাতাঃ আরজি কর ইস্যুতে প্রতিদিন বিরোধীরা চেপে ধরছে প্রশাসন ও রাজ্যের শাসক দলকে। বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে নাগরিক সমাজ৷ বিচার চেয়ে রাস্তায় বসে জুনিয়র ডাক্তাররা৷ এই অবস্থায় শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীর মন্তব্য ক্রমাগত অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক চিকিৎসক সাংসদের মন্তব্য নিয়ে কড়া সমালোচনা শুনতে হয় শাসক দলকে। পরবর্তী সময়ে ওই সাংসদ দুঃখ প্রকাশ করলেও তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে গোটা বিষয়৷ এরপর দুই তারকা বিধায়কের মন্তব্য ঘিরেও তীব্র সমালোচনা। অন্যদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলরের নিদান দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছে। এমতাবস্থায় তাঁকে সাসপেন্ড করলেও তার সময়সীমা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের! এরপর কে? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরপরেই বেশ কড়া ভাষায় দলের অবস্থান স্পষ্ট করে’ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি সরাসরি কোন নাম লেখেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দল নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকের কাছে আমার আর্জি যে তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সমাজ বা নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে কোন রকম বিরূপ মন্তব্য না করেন। প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের অধিকার আছে। প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের অধিকার আছে আর এই বিষয়টাই বিজেপি-শাসিত রাজ্যের থেকে বাংলাকে স্বতন্ত্র করে তোলে। আমরা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে ‘বুলডোজার’ মডেল এবং গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার রাজনৈতিক কৌশলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।”

আরও পড়ুনঃ নজরে বিধানসভা, ঘোষণা মাফিক আজ পেশ হচ্ছে ধর্ষণ বিরোধী কড়া বিল

এরপরেই তিনি স্পষ্ট জানান, ‘এখন আমাদের গঠনমূলক পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এরকম ভয়ংকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। যতক্ষণ না দোষীরা শাস্তি পাচ্ছেন এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধর্ষণের মামলা শেষ করার আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই লড়াইয়ে বাংলাকে অবশ্যই জোটবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।’’