Tag Archives: RG Kar murder

RG Kar Doctor Murder Case CBI: খুন-ধর্ষণের কথা জানাজানি হওয়ার পরও হাসপাতালেই ছিলেন সঞ্জয়? বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের হাতে!

কলকাতা: আরজি করের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেও ওই বিল্ডিংয়েই ছিল সঞ্জয় রায়? চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে। সিবিআই সূত্রে খবর, এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই সোমবার বয়ান রেকর্ড করে পিনাকির। প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া হয় তাঁকে।

সিবিআইয়ের কাছে পিনাকির দাবি, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ৮ অগাস্ট সন্ধে ৬.৩০ টার সময় ধৃত সঞ্জয় রায়কে দেখেন উপরে উঠতে। ফের শুক্রবার ৯ অগাষ্ট, ঘটনার পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ নামতে দেখেন সঞ্জয়কে।

আরও পড়ুন: ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মুহূর্তে বদলাবে আবহাওয়া! বড় খবর

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ঘটনা জানাজানি হয় হাসপাতালে ৯ অগাস্ট সাড়ে ৯ টার সময়। নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, সকাল ১০ টায় ধৃত সঞ্জয় রাইকে তিনি দেখেছিলেন বিল্ডিং থেকে নামতে। সঞ্জয় মাঝে মধ্যে রোগীভর্তির জন্য আসত ওই বিল্ডিংয়ে এমনটাই দাবি পিনাকির। সঞ্জয়কে সিভিক হিসেবে চিনতেন বলে দাবি পিনাকির। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পিনাকিকে। আরও কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

প্রায় এক মাস হতে চলেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। এরই মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে। সঞ্জয় আপাতত জেল হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে গতি আনতে কোমর বেঁধে নেমেছেম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর সেখানেই গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে এক বিশেষ ঘটনা।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ৮ অগস্ট রাত থেকে ৯ অগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চেস্ট ডিপার্টমেন্টে যাতায়াতকারী সকলের মোবাইলের ‘কল ডিটেলস’ এবং ‘টাওয়ার লোকেশন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই রাতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নিরাপত্তা কর্মী এবং নার্সদের অবস্থান মোবাইল থেকে নিশ্চিত ভাবে জানার চেষ্টা চলছে।

অর্পিতা হাজরা

Sukhendu Sekhar Ray: সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের! এরপর কে? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ

কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ এ দিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এর পরই জানা যায়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এ দিন সন্দীপ ঘোষকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার আগেই সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷

আরও পড়ুনঃ ‘একটা সময় শাসক ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, প্রেম খেলা!’ কাদের বিঁধলেন কাঞ্চন-ঘরনি শ্রীময়ী

সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। সুখেন্দুশেখর রায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোষ্ট করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনটি স্ট‍্যাম্প তার মধ‍্যে মধ‍্যেখানের স্ট‍্যাম্পটি ভেঙে গেছে। তিনি ক‍্যাপশানে লেখেন, ‘ মিডল স্ট্যাম্প উপড়ে গিয়েছে। এরপর কী?’


এর আগেও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর অবস্থান দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। তবুও সেই সুখেন্দুশেখর তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। রবিবার, বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি লেখেন, ‘ বাস্তিল দুর্গের ছবি শেয়ার লিখেছেন, ১৭৮৯ সালের জুলাই মাসে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে পতন হয় বাস্তিল দুর্গের। বাস্তিল দুর্গের পতনের পর জন্ম হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের।’

RG Kar Case Protest: ‘একটা সময় শাসক ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, প্রেম খেলা!’ কাদের বিঁধলেন কাঞ্চন-ঘরনি শ্রীময়ী

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল কলকাতা-সহ গোটা দেশ। এরই মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। যার জেরে দীর্ঘ বছরের বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী পাল্টা আক্রমণ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

এবার স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের হয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক। তিনি তাঁর সোশ‍্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘ আমি কখনই কারোর ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে,কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করিনা॥॥আজ বাধ্য হয়ে লিখলাম….আমার প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত,কিছু মানুষের কাজই ছিল বা আছে,,সমাজমাধ্যমে তাদের মতামত দেওয়া অযাচিত ভাবে॥॥॥তারা সমাজমাধ্যমে type করতেই বসে আছেন,সুযোগ পেলেই লেখা শুরু,,কারোর bedroomনিয়ে কথা বলার আগে,নিজের বেডরুমের দরজার ফুটো টা দেখা উচিত।।।’ (বানান অপরিবর্তিত)

তিনি আরও লেখেন, ‘একজন অভিনেত্রী লিখেছেন যে কিছু কিছু মানুষ রগর আর বিয়ে করার জন্য জন্মায়, আমি তার উদ্দেশ্যে বলবো যে সে তো তাও সেই মানুষগুলো তো তাও বিয়ে করার জন্য জন্মেছে ,,আর কিছু মানুষ রয়েছেন যারা আজকে হয়তো দল বদল করেছে, একটা সময় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা , দামী দামী গিফট নেওয়া,ঘুরতে যাওয়া ,, প্রেম প্রেম খেলা করা সবই করেছেন শুধু বিয়েটা না করে অবৈধ প্রেম গুলো চালিয়ে গেছে। সেই সময় তো এত সমাজ মাধ্যম ছিল না এবং এবং যে বন্ধুগুলো সাক্ষী ছিল সেই বন্ধুগুলো সমাজমাধ্যমে এত ভাল করে গুছিয়ে লিখতে পারত না তাই জন্য they should feel very lucky….আগে নিজের মেরুদন্ড সোজা রাখুক,তারপর অন্যের মেরুদন্ড দেখবে॥॥’(বানান অপরিবর্তিত)

রবিবার কোন্নগরে এক প্রতিবাদ ধরনা মঞ্চ থেকে কাঞ্চন বলেন, ‘কর্মবিরতি পালন করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে, ভাল। কিন্তু, তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো, না কি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?’ সেই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। কাঞ্চনের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লিখেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বন্ধু হিসেবে তাঁকে ত্যাগ করার কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সোমবার ভোররাতে ফেসবুকে সুদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, ‘এক সময়ের বন্ধু/সহকর্মী কাঞ্চন মল্লিক, তোকে ত্যাগ দিলাম।’ এরপরই টলিপাড়ার একের পর এক অভিনেতা ও পরিচালক কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছেন। ঋত্বিক চক্রবর্তী তীব্র আক্রমণ শানিয়ে লিখেছেন, ‘ঘাঁটা মল্লিক / চাটা মল্লিক / ফাটা মল্লিক / টা টা মল্লিক’।

RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রেসক্রিপশনে এ কী লিখলেন ডাক্তার? মুহূর্তে ভাইরাল, দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনা: এবার চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনেও ধরা পরল অভিনব প্রতিবাদের ছবি। “এক ধ্বনী এক স্বর জাস্টিস ফর আরজি কর”। এবার নিজের প্রেসক্রিপশনে এই স্লোগানই স্ট্যাম্প মেরে রোগীদের হাতে তুলে দিতে দেখা গেল বারাসাতের এক চিকিৎসককে।

বারাসাত জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের কাছেই বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক সুমিত কুমার সাহার চেম্বার। সেখানেই এদিন পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের হাতে এমন প্রেসক্রিপশন দেখে অবাক সকলে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, ডাক্তাররা পরিষেবা বন্ধ রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে মানুষের পাশে থেকেও যে প্রতিবাদ জানানো যায় তাই যেন তুলে ধরলেন এই চিকিৎসক।

আরও পড়ুন: এভাবেও প্রতিবাদ করা যায়, আরজি করের বিচার চেয়ে এই দম্পতি যা করলেন অভাবনীয়!

প্রতিবাদের ভাষা অন্য হলেও, এই প্রতিবাদ তিনি চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলেই মত। ডাঃ সুমিত কুমার সাহা একাধারে যেমন দন্ত চিকিৎসক পাশাপাশি তিনি বারাসাত পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরও জনপ্রতিনিধি। এদিন তিনি জানান, যে ঘটনা ঘটেছে চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে তা নৃশংস এবং নিন্দনীয়।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে দোষীদের শাস্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। আবার চিকিৎসক পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। ফলে অসুস্থতা নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আন্দোলনের নাম করে পরিষেবা ব্যাহত রাখলেও , ওই চিকিৎসকদের একাংশ বেসরকারি নার্সিংহোম-সহ অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

যা চিকিৎসা পরিষেবার মতো পেশার ক্ষেত্রে কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই চিকিৎসক। পাশাপাশি তিনি জানান, তাঁর প্রতিবাদের স্বাধীনতা রয়েছে। সেই স্বাধীনতা থেকেই তিনি এমন প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের এমন প্রতিবাদ রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। রোগীরাও চিকিৎসকের হাত থেকে এমন প্রেসক্রিপশন পেয়ে বলছেন, এমন প্রতিবাদ আগে দেখেননি তাঁরা। ফলে একজন চিকিৎসকের পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে, আরজি কর-কাণ্ডে এমন প্রতিবাদকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন চিকিৎসকমহল-সহ সাধারণ মানুষজনও।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Protest: এভাবেও প্রতিবাদ করা যায়, আরজি করের বিচার চেয়ে এই দম্পতি যা করলেন অভাবনীয়!

হাওড়া: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার নিহত হওয়ার পর থেকে সময় যত পেরিয়েছে, ততই মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়েছে দেশ -বিদেশ সর্বত্র | চিকিৎসক -আইনজীবী-সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলে কেউ রাস্তায় নেমে, কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।

আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবার গান বেঁধে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন হাওড়ার রক্ষিত দম্পতি। স্বামী লিখলেন গান এবং সেই গানে সুর দিয়ে গানটি গাইলেন স্ত্রী। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে দোষী ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে সরব সব মহলই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে প্রতিবাদ করেছেন। কঠিনতম শাস্তির বিধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দু’দফায় পত্রাঘাতও করেছেন।

আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

ইতিমধ্যে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসক-আইনজীবী-যুব সমাজ-সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যে দোষীদের শাস্তি চেয়ে গান লিখেছেন বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং-ও | এই কর্মকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবার এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন হাওড়ার রক্ষিত দম্পতি। আরজি করের নৃশংস ঘটনার বিচার চেয়ে, ধর্ষকদের শাস্তি চেয়ে হাওড়ার লক্ষ্মীকান্ত রক্ষিত ৩ ঘণ্টায় গোটা গান লিখেছেন।

আরও পড়ুন: ৮-এর নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তোলপাড়, গ্রেফতার বাবা! ভয়ঙ্কর ঘটনা শুনলে শিউরে উঠবেন

স্ত্রী তনুশ্রী রক্ষিত এক দিনে গোটা গানে সুর দিয়ে তা গেয়েছেন। এই গানের লাইন ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা করছি হাহাকার, আমাদের শুধু একটাই আওয়াজ চাইছি বিচার, চাইছি বিচার’ মানুষকে আরও বেশি করে দোষীদের খুঁজতে আন্দোলনমুখী করে তুলবেন বলে আশাবাদী রক্ষিত দম্পতি। সকলের মতো তাঁদের একটাই আওয়াজ দোষীদের বিচার চাই।

রাকেশ মাইতি

Lalbazar Abhijan: হাতে গোলাপ! পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি, লালবাজার অভিযানে জুনিয়র ডাক্তাররা

কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় দেশ। আন্দোলনের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। দ্রুত বিচারের দাবিতে পথে পথে প্রতিবাদ কর্মসূচি জারি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এবার লালবাজার অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাতে গোলাপ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন তাঁরা। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে গোলাপ দিয়ে বিদায় জানাতে চান জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনটাই তাঁদের দাবি।

জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, “না, কোনও সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণ বা পদত্যাগ ‌চান তাঁরা। তাই প্রতিকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর দুটো থেকে শুরু হয়েছে এই মিছিল।

আরও পড়ুন: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

এদিকে চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের কর্মসূচির কথা মাথায় রেখেই ফিয়ার্স লেন ঘিরে ফেলেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মূলত, দু’ভাবে ব্যারিকেড করা হয়েছে। একই ভাবে ব্যারিকেডের কাছে নজর রাখতে বসানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। যাতে বড় রকমের কোনও অশান্তি হলে ওই ক্যামেরায় ওঠা ফুটেজ থেকে পরবর্তী সময়ে চিহ্নিত করা যায়।

আরও পড়ুন: ‘অপরাজিতা’! নারী ও শিশু নির্যাতন রুখতে মঙ্গলেই বিধানসভায় বিল পেশ, কী কী থাকছে সেই বিলে?

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৩ দিন। রোজই পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। পথে নেমেছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। এ বার বিচারের দাবিতে ‘লালবাজার অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল করে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে এই কর্মসূচি।

এর পাশাপাশি বুধবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আগামী বুধবার রাত ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সকলকে ঘরের আলো নিভিয়ে রাখার অনুরোধ করেছেন। ওই সময়ে মানববন্ধন করবেন তাঁরা।

RG Kar Case Protest: ‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’, রাজ্যের মামলা খারিজ করে হাইকোর্টের নির্দেশে ‘সুপ্রিম’ সহমত

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীর। রাজ্যের মামলা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের মুক্তি নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’।

নবান্ন অভিযান মামলায় সায়ন লাহিড়ীর জামিন বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আবেদন খারিজ করা দেওয়া হয় সোমবারের শুনানিতে। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন, বিক্ষোভের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতে হবে। কিন্তু হিংসাত্মক আন্দোলনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পদক্ষেপ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকার জানায়, ‘সায়ন লাহিড়ী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচির আয়োজকদের মধ্যে একজন। এই কর্মসূচিতে ৪১ জন পুলিশ জখম হয়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, অভিযুক্ত কী সরাসরি এই ঘটনায় যুক্ত? রাজ্য বলে, না। কিন্তু তিনি অন্যতম আহ্বায়ক। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, জামিন পাওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

পাল্টা বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা আদালতে প্রশ্ন করেন, একজন ছাত্র কীভাবে ৪১ জন পুলিশকে আহত করতে পারে? এই আবেদন জামিন সংক্রান্ত, এর বাইরে কিছু নয়। রাজ্য জানায়, সায়নের মা বলেছেন ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সেটাই তো পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে৷ গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ হেফাজতে পাঠালেও হাইকোর্ট মুক্ত করে দিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য

Aparajita Women Child Bill 2024:আসছে ‘অপরাজিতা’…! নারী ও শিশু নির্যাতন রুখতে মঙ্গলেই বিধানসভায় বিল পেশ, কী কী থাকছে সেই বিলে?

কলকাতা: মঙ্গলবার বিধানসভায় আসছে নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী বিশেষ বিল। সোমবার বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই সে কথা জানানো হল সরকার পক্ষের তরফে। যে বিলটি আনা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে “অপরাজিতা উইমেন চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেনমেন্ট বিল ২০২৪।” আগামিকাল বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপরে বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার শেষে তা পাশ করানো হবে।

আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার দাবি তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সংক্রান্ত কঠোর আইনের কথা বলেছেন এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন মমতা। এই আবহেই মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল, ২০২৪’।

আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বড় সুখবর…! সরকারি বীমার সুবিধা পাবেন কারা? আবেদনের শেষ তারিখ কবে? সময় অল্প! জানুন সঠিক নিয়ম!

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। চটজলদি বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য। তাই বেশ কিছু বিধি যোগ হচ্ছে নতুন বিলে।

এই বিধিগুলির মধ্যে রয়েছে,

১) দ্রুত বিচারের বিধান।

২) ডেডিকেটেড বিশেষ আদালত।

৩) ডেডিকেটেড তদন্তাকারী দল।

৪) এই তদন্তকারী দলকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

৫) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

৬) নূন্যতম সাতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে। এটা আগে ছিল নূন্যতম এক মাস।

৭) যেখানে মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। সেটা সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে করতে বলা হল।

আরও পড়ুন: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

৮) মূল আইনে কোনও থানায় ঘটনা নথিভুক্ত করার পর তা দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা ছিল। এই সংশোধনীতে আছে এক্ষেত্রে তা ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

৯) যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় ২১ দিনে তদন্ত শেষ করতে পারছে না। সেটা ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দিতে পাবে। তবে সেটি জেলা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে।

১০) ধর্ষণে শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা অথবা মৃত্যু।

১১) গণধর্ষণের ক্ষেত্রে জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড ও মৃত্যু।

১২) ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি, ধর্ষণকারীর দ্বারা আঘাতের কারণে মৃত্যু হলে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা হবে, কোমায় চলে গেলে, সেক্ষেত্রেও হবে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা। সব মামলা হবে জামিন অযোগ্য ধারায়।

RG Kar Case Protest: দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব শেষ! কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী! আক্রমণে ঋত্বিক, কী এমন ঘটল?

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল কলকাতা-সহ গোটা দেশ। এরই মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। যার জেরে দীর্ঘ বছরের বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী পাল্টা আক্রমণ করেছেন।

কাঞ্চনের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লিখেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বন্ধু হিসেবে তাঁকে ত্যাগ করার কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সোমবার ভোররাতে ফেসবুকে সুদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, ‘এক সময়ের বন্ধু/সহকর্মী কাঞ্চন মল্লিক, তোকে ত্যাগ দিলাম।’ এরপরই টলিপাড়ার একের পর এক অভিনেতা ও পরিচালক কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছেন। ঋত্বিক চক্রবর্তী তীব্র আক্রমণ শানিয়ে লিখেছেন, ‘ঘাঁটা মল্লিক / চাটা মল্লিক / ফাটা মল্লিক / টা টা মল্লিক’।

আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের নাম লালবাজার কেন জানেন? কারণটা জানলে চমকে উঠবেন!

কাঞ্চন মল্লিক এই ঘটনার পর জানিয়েছেন, ‘সুদীপ্তার মনে হয়েছে, বলেছেন। যে যাঁর ব্যক্তিগত মত জানাচ্ছেন। আমিও আমার ব্যক্তিগত মতই প্রকাশ করেছিলাম।’ রবিবার কোন্নগরে এক প্রতিবাদ ধরনা মঞ্চ থেকে কাঞ্চন বলেন, ‘কর্মবিরতি পালন করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে, ভাল। কিন্তু, তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো, না কি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?’

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

পাশাপাশি কাঞ্চন বলেন, ‘আজ আন্দোলনের নামে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সবাই বলেন, চিকিৎসক মানে ভগবান। গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন শহরের হাসপাতালে, চিকিৎসার জন্য। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে রোগীরা কী অপরাধ করেছেন? এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয়, যাতে তাঁরা চিকিৎসকেরা ভগবান বলতে দ্বিধা করেন।’

CBI On RG Kar Case: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

কলকাতা: একের পর এক সিবিআই তদন্তে ক্রমশ উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। আর তারই উত্তর খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এবার নতুন প্রশ্ন দানা বেঁধেছে এক ৪০ মিনিটের ধোঁয়াশা ঘিরে। সেই বিশেষ সময় যার ঘটনাক্রমের বিবরণ কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। ধোয়াশায় এই ৪০ মিনিট ঘিরেই তাই নতুন করে বাড়ছে সন্দেহ।

আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ৪০ মিনিটের ধোয়াশা এখনও কাটেনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেমিনার হলে দেহ প্রথম দেখেন পিজিট প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। অথচ সূত্রের খবর বলছে, আর জি কর আউট পোস্টে দেহ পড়ে থাকার খবর আসে বেলা ১০ঃ১০ -এ। তাহলে প্রশ্ন উঠছে মাঝের এই লম্বা ৪০ মিনিট ধরে ঠিক কী ঘটেছিল সেমিনার হলে? সেইসময় কারা ছিলেন উপস্থিত সেখানে? কেনই বা তাঁরা আউট পোস্টে দেহ পরে থাকার খবর জানাননি? তা পিছনে কি কোনও বিশেষ অভিসন্ধি ছিল?

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আবহাওয়ার ব্যাপক ভোলবদল…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সতর্কতা কোন কোন জেলায়? কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আলিপুর

রহস্য এখনও কাটেনি দাবি সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, যিনি প্রথম নির্যাতিতার দেহ দেখেন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দাবি, দেহ দেখার পর চেস্ট মেডিসিন বিভাগে সেই সময় যাঁরা aডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের কাছেও তিনি একই বয়ান দিয়েছিলেন। এই উত্তর যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন ৪০ মিনিট পর আউট পোস্টে খবর গেল? কী ঘটল এই ৪০ মিনিটে? তা জানতে মরিয়া সিবিআই।