Tag Archives: traditional durga puja 2024


Durga Puja 2024: তোপধ্বনি বিলুপ্ত হলেও টিকে রয়েছে পুরনো প্রথা! গ্রামের ঠাকুরদালানে এই দুর্গাপুজোর বয়স পেরিয়েছে ৫০০

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ৫০০ বছরের পুরনো উদ গ্রামের পুজো।অবিভক্ত দিনাজপুরের রাধিকারপুরের জমিদার জগদীশচন্দ্র রায় বাহাদুর এই পুজোর সূচনা করেছিলেন । সেই সময় কামানের তোপে পুজোর সূচনা হত উদগ্রামে ৷ দেশভাগের পর সেই প্রথা বিলোপ হয়েছে ৷ কিন্তু, আজও স্থানীয়রা নিয়মনিষ্ঠা মেনে সেই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন ৷

একসময় কামানের গোলা ফাটিয়ে গগনভেদী শব্দ যখন এসে পৌঁছত রাধিকাপুরের উদ গ্রামের মানুষদের কানে, তখনই দুর্গাপূজার দেবীর বোধন পর্ব অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হত। আজ বর্তমান সময়ে সে সব যেন শুধুই ইতিহাস।আজ নেই রাজা,নেই কোনও রাজপাট। কিন্তূ এখন আছে শুধু বিভাজিত দুই বঙ্গের সীমান্ত চিহ্নিতকরণের জন্য কাঁটাতারের বেড়া।ভারত বাংলাদেশ বিভাজনের পর রাধিকাপুরের এই উদ গ্রামের দুর্গা মন্দিরের নামে থাকা চল্লিশ বিঘা জমিও চলে গেছে সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে।

আরও পড়ুন : গাঁটে গাঁটে ব্যথা? অ্যানিমিয়ায় ধুঁকছেন? অব্যর্থ আতা! তবে উপকারিতায় ঠাসা এই ফল খেতে পারবেন না শুধু এঁরা

আর বর্তমানে এপারে রয়েছে দেবী মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন তেরো বিঘা কৃষি জমি।কিন্তু তাতে  দুই বঙ্গের বিভাজন রাধিকাপুরের উদ গ্রামের দুর্গাপূজায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। আজও নিষ্ঠাভরে গ্রামবাসীদের দ্বারা উদগ্রামের মন্দিরে পূজিত হন দেবী দশভুজা। সীমান্তের কাঁটাতার বেড়াজাল তৈরি করলেও আজও এই শারদীয়া উৎসবে উদগ্রামের পূজাকে ঘিরে উদ্দীপনা রয়েছে দুই বাংলার সীমান্তের মানুষদের মধ্যে। এই উদগ্রামের দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয় পুরনো কাঠামো দিয়েই ৷ এই মন্দিরের প্রতিমা জন্মাষ্টমীতে বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ পরে সেই কাঠামোকে জল থেকে তুলে, তা যত্ন করে রেখে দেওয়া হয় ৷ সেই কাঠামোতেই পড়ে মাটির প্রলেপ ৷ এখনও এই পুজোর বেশ কিছু পুরোনো নিয়মরীতি পালন করা হয় ৷ ৫০০বছর আগে শুরু হওয়া মুখোশ নাচ ও চণ্ডীপাঠের বিশেষ অনুষ্ঠান আজও হয় পুজোর চারদিন ৷

Durga Puja 2024: ১৩ রকমের ভাজা, ১৩ রকমের তরকারি, পায়েসে সাজানো ভোগ! মজুমদারবাড়ির ঠাকুরদালানে ৬০০ বছরের দুর্গো‍ৎসবে পূজিতা দশভুজা

সৌভিক রায়, বীরভূম: এ বছর আশ্বিন মাসের ২৩ তারিখ বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো। গোটা একটা বছর বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে এই দুর্গাপুজোর জন্য। এই মুহূর্তে দাড়িয়ে প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে।কোথাও চলছে প্যান্ডেল সাজানো, কোথাও বা এক তাল মাটি  রূপ পাচ্ছে প্রতিমার।

তবে এ তো গেল থিমের পুজো। এর বাইরেও রয়েছে বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। বীরভূমের মাড়গ্রামের রানি ভবানীর সময়কালের মজুমদার বাড়ির দুর্গাপুজো। জানা যায় এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে।

আরও পড়ুন : দেবীকে অর্পণ করুন এই বিশেষ ফুলের মালা! পাবেন আশীর্বাদ! কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে যেতে না পারলেও বাড়িতে এভাবে করুন পুজো

এই প্রাচীন পুজোতে নেই কোনও বলির রীতি। কিন্তু এখানে মায়ের পুজোতে ভোগে রয়েছে বিশেষত্ব।মজুমদার বাড়ির এক সদস্য সীমান্ত মজুমদার আমাদের জানান পুজোর সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমী এই তিন দিন মাকে অন্নভোগে ১৩ রকমের ভাজা, ১৩ রকমের তরকারি,মোচার বড়া ভাজা,পাশাপাশি মোচার বড়া দিয়ে রসা,মুগ ডাল, পরমান্ন, চাটনি এবং দারুচিনি লবঙ্গ গেঁথে একখিলি পান ও  জল সহযোগে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন চিঁড়ে, দই, খই দিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সপ্তমী,অষ্টমী,নবমী-এই তিনদিনে গোটা গ্রামের প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ ভক্তকে ভোগ খাওয়ানো হয়ে থাকে।

Durga Puja 2024: প্রাচীন মদনমোহন মন্দিরে বসে ২০০ বছরের প্রাচীন দুর্গোৎসবের আসর, প্রস্তুতি তুঙ্গে

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: কোচবিহারের রাজ আমলে স্থাপিত অন্যতম আকর্ষণীয় ও ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন মন্দির হল মদনমোহন বাড়ি। তবে এই মন্দিরের একেবারে বাঁ দিকে রয়েছে কাঠামিয়া মন্দির। যেখানে করা হয় দেবতাদের মূর্তি পুজো। এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় করা হয় দুর্গা পুজো। তবে এই পুজো প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে শুরু করা হয়েছিল। এই মূর্তি তৈরির কারিগরেরা দীর্ঘ সময় ধরে বংশ পরম্পরায় এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন রাজ আমল থেকেই। এই দুর্গামূর্তি নির্মাণ করা হয় কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা ডাঙর আই মন্দিরে।

বর্তমানে এই দুর্গা মূর্তির প্রধান কারিগর সৌভিক পাল জানান, ‘‘দীর্ঘ সময় আগে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর তাঁর দাদুকে ওপার বাংলা থেকে নিয়ে এসেছিলেন এখানে মূর্তি নির্মাণের জন্য। তখন থেকেই রাজ পরিবারের মূর্তি নির্মাণের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা। বর্তমানে এটা তাঁদের পঞ্চম প্রজন্ম। দীর্ঘ সময় বাদেও মূর্তির ধরন ও কাঠামো কিছুই পরিবর্তন হয়নি। মূর্তির কাঠামো আজও একই রয়েছে। তবে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে মূর্তির প্রধান কাঠামোয়। রথের মেলার পর কাঠামো পুজো করে শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ।’’

আরও পড়ুন : আজ অন্নদা একাদশী! বৃহস্পতিবার ভাদ্রমাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এই একাদশী তিথি কত ক্ষণ আছে? শুভ সংযোগের মুহূর্ত কখন? জানুন পঞ্জিকা কী বলছে

প্রতিমা শিল্পী সৌভিক পাল আরও জানান, ‘‘এই দুর্গা প্রতিমার মহালয়ার দিন করা হয় দেবীর চক্ষুদান। দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়মনীতি মেনেই মূর্তি তৈরি থেকে শুরু করে মূর্তিপুজো পর্যন্ত সমস্ত কিছু একই রয়েছে।” শিল্পীর স্ত্রী সুস্মিতা পাল জানান, রাজ আমলের এত প্রাচীন একটি পুজোর মূর্তি তাঁর স্বামী তৈরি করেন ভেবেই অনেকটা আনন্দ লাগে। মূলত সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা কাজ করে এই পুজোকে ঘিরে। বিগত বছর থেকে তিনি এই মূর্তি নির্মাণের কাজ দেখছেন।

বর্তমান সময়ে মদনমোহন বাড়ির দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বেশ অনেকটাই উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। বহু দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান এই মূর্তি নির্মাণের কাজ দেখতে।

Durga Puja 2024: জন্মাষ্টমীর পর রীতি মেনে নন্দ উ‍ৎসবে কাদামাটিতে মিশল দই, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে পুজোর ঢাকে কাঠি

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: কাদা খেলায় শুরু হল দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি! জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখানকার ঐতিহ্য, পরম্পরা, রীতিনীতি, দেবী মূর্তি সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এক বৈশিষ্ট্যের ছোঁয়া। এ বছর ৫১৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির দুর্গোৎসব। সেই পুরাকালের রীতি মেনেই জন্মাষ্টমী তিথির পর দিন আজ নবমী তিথিতে নন্দোৎসব পালিত হল জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে।

দধিকাদো খেলার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সূচনা হল সেখানে। কী এই খেলা? দধিকাদো খেলা আসলে কাদা মাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলা। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সমাজে এটি একটি অত্যন্ত প্রাচীন খেলা। রাজবাড়িতে কাঠামো পুজোর পর নাটমন্দিরের পাশে কাদা খেলার পুকুরে কাদামাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে দেয় পুরোহিত। তারপরেই এলাকার কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ মেতে ওঠে এই খেলায়। শুরু করে কাদা খেলা। কাদা খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয় নাটমন্দিরে।

আরও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যায় বড় চমক! তারাপীঠ মন্দিরের পুণ্যার্থীদের জন্য এ বার বছরভর বিশেষ আকর্ষণ! জানুন বিশদে

প্রতিমা গড়ার সময় এই কাদামাটি মিশিয়ে দেওয়া হয় প্রতিমার মাটিতে।রাজ পরিবারের কুলপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, ‘‘এই দধিকাদো খেলার মাটি সবার প্রথমে কাঠামোতে প্রলেপ দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হবে। রাজবাড়ির দুর্গার বাহন সিংহের সঙ্গে বাঘও থাকে। আর থাকে জয়া বিজয়া, ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। রাজ পরিবারের সদস্য প্রণতকুমার বসু জানান, ‘‘নন্দোৎসবের পর দধি কাদো খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয়েছে। দেবীর মূর্তি গড়ার সময় এই মাটি মিশিয়ে দেওয়া হবে। এদিন দধিকাদো উৎসব উপলক্ষে ঢাকের আওয়াজে মুখরিত হল রাজবাড়ি।’’

Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা এবার কিসে আসছেন জানেন, ফল খুবই মারাত্মক, দেবীর বিদায় কিসে তাও জেনে নিন

দুর্গাপুজো ২০২৪ ঘিরে ধীরে ধীরে কাউন্টডাউনের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির মেগা পার্বণ দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় লাগবে দোলা! ফের একবার দিকে দিকে প্যান্ডেল বাঁধার চেনা ছবি, তারপর ঠাকুর আসা, ততদিনে কাশের বনে দোলা লেগে যাবে। শিউলি কুড়োনোর সকালে উঠে বাঙালি অপেক্ষা করবে মহালয়ার স্তোত্রপাঠ শোনার।
দুর্গাপুজো ২০২৪ ঘিরে ধীরে ধীরে কাউন্টডাউনের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির মেগা পার্বণ দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় লাগবে দোলা! ফের একবার দিকে দিকে প্যান্ডেল বাঁধার চেনা ছবি, তারপর ঠাকুর আসা, ততদিনে কাশের বনে দোলা লেগে যাবে। শিউলি কুড়োনোর সকালে উঠে বাঙালি অপেক্ষা করবে মহালয়ার স্তোত্রপাঠ শোনার।
মন ছুঁয়ে যাওয়া এই সমস্ত কিছু আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন! এদিকে, পঞ্জিকামতে দেখে নেওয়া যাক, ২০২৪ দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার আগমন ও গমন কিসে চেপে এবং তার প্রভাব কি।
মন ছুঁয়ে যাওয়া এই সমস্ত কিছু আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন! এদিকে, পঞ্জিকামতে দেখে নেওয়া যাক, ২০২৪ দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার আগমন ও গমন কিসে চেপে এবং তার প্রভাব কি।
দুর্গাপুজো ২০২৪ নির্ঘণ্ট- চলতি বছরে দুর্গাপুুজোর মহালয়া পড়ছে ২ অক্টোবর। সেদিনটি বুধবার। এরপর ৮ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু!
দুর্গাপুজো ২০২৪ নির্ঘণ্ট- চলতি বছরে দুর্গাপুুজোর মহালয়া পড়ছে ২ অক্টোবর। সেদিনটি বুধবার। এরপর ৮ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু!
মহাপঞ্চমী পড়েছে ৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার। ৯ অক্টোবর ২০২৪ পড়ছে মহাষষ্ঠী, দিনটি বুধবার। সপ্তমী পড়ছে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
মহাপঞ্চমী পড়েছে ৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার। ৯ অক্টোবর ২০২৪ পড়ছে মহাষষ্ঠী, দিনটি বুধবার। সপ্তমী পড়ছে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
এই বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে৷ হিন্দু শাস্ত্রমতে বলা হয়, দোলায় বা পালকিতে দেবী দুর্গার গমন, তার ফল মহামারী ও দুর্ভোগের সমান।
এই বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে৷ হিন্দু শাস্ত্রমতে বলা হয়, দোলায় বা পালকিতে দেবী দুর্গার গমন, তার ফল মহামারী ও দুর্ভোগের সমান।
অন্যদিকে শাস্ত্র মতে গজে বা হস্তিতে দেবীর গমন রয়েছে। যার প্রভাব শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা- অর্থাৎ ফলে ভাল ফসল উৎপাদন হয়। যার ফল শুভ। Input- Rahi Halder
অন্যদিকে শাস্ত্র মতে গজে বা হস্তিতে দেবীর গমন রয়েছে। যার প্রভাব শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা- অর্থাৎ ফলে ভাল ফসল উৎপাদন হয়। যার ফল শুভ। Input- Rahi Halder

Boro Devi Shakti Pujo: ময়নাকাঠে মন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি স্থাপন, কোচবিহারে শ্রাবণের শুক্লাষ্টমীতে সূত্রপাত প্রাচীন দুর্গো‍ৎসবের

কোচবিহার জেলার দুর্গা পুজো বলতে বড় দেবীর পুজো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী। এই পুজোর রীতিনীতি রয়েছে প্রচুর। সেগুলির প্রথম এবং প্রধান রীতি হল ময়না কাঠেরশক্তি পুজো।
কোচবিহার জেলার দুর্গা পুজো বলতে বড় দেবীর পুজো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী। এই পুজোর রীতিনীতি রয়েছে প্রচুর। সেগুলির প্রথম এবং প্রধান রীতি হল ময়না কাঠেরশক্তি পুজো।
এদিন কোচবিহার ডাঙর আই মন্দিরে শক্তি পুজোর মাধ্যমে বড় দেবীর পুজোর সূচনা করা হল। শক্তি অর্থাৎ মেরুদন্ড, বিশেষ প্রজাতির কাঠ থেকে এই মেরুদন্ড নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর প্রতিমার।
এদিন কোচবিহার ডাঙর আই মন্দিরে শক্তি পুজোর মাধ্যমে বড় দেবীর পুজোর সূচনা করা হল। শক্তি অর্থাৎ মেরুদন্ড, বিশেষ প্রজাতির কাঠ থেকে এই মেরুদন্ড নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর প্রতিমার।
ময়না কাঠের দন্ডের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় বড় দেবীর প্রতিমা। এই কাঠের মধ্যে মন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি স্থাপন করেন রাজপুরোহিত। সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন করতে সময় লাগে দু'ঘন্টার সামান্য বেশি।
ময়না কাঠের দন্ডের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় বড় দেবীর প্রতিমা। এই কাঠের মধ্যে মন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি স্থাপন করেন রাজপুরোহিত। সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন করতে সময় লাগে দু’ঘন্টার সামান্য বেশি।
এই পুজোর বিষয়ে রাজ পুরোহিত জানান, এই পুজোয় বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে। মূলত শক্তি পুজোয় রক্তের প্রয়োজন হয়। রাজ আমলের রাজ বিধি অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে।
এই পুজোর বিষয়ে রাজ পুরোহিত জানান, এই পুজোয় বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে। মূলত শক্তি পুজোয় রক্তের প্রয়োজন হয়। রাজ আমলের রাজ বিধি অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে।
শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে পুজো হয় এই ময়না দন্ডের। এই পুজোকে বলা হয় যুগচ্ছেদন পুজো। একমাস বিভিন্ন আচারে পুজো হওয়ার পরে এই কাঠ চলে যায় প্রতিমার তৈরি করার কাজে।
শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে পুজো হয় এই ময়না দন্ডের। এই পুজোকে বলা হয় যুগচ্ছেদন পুজো। একমাস বিভিন্ন আচারে পুজো হওয়ার পরে এই কাঠ চলে যায় প্রতিমার তৈরি করার কাজে।
বড় দেবীর এই প্রতিমা তৈরির কাজ করা হয় বড় দেবীর মন্দিরে। রাজ আমল থেকে কোচবিহারের এই পুজো আজও বেশ জনপ্রিয়। দূর দুরান্তের বহু মানুষ পুজোয় এসে থাকেন কোচবিহারের বড় দেবী বাড়িতে।
বড় দেবীর এই প্রতিমা তৈরির কাজ করা হয় বড় দেবীর মন্দিরে। রাজ আমল থেকে কোচবিহারের এই পুজো আজও বেশ জনপ্রিয়। দূর দুরান্তের বহু মানুষ পুজোয় এসে থাকেন কোচবিহারের বড় দেবী বাড়িতে।