পাঁচমিশালি Knowledge Story: জল না খেয়েও দিব্যি বেঁচে থাকে! বলুন তো দেখি, কোন প্রাণী? নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি…! Gallery August 13, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা জেনে আমরা অবাক হয়ে যাই। আবার আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ঘটে যা দেখে আমরা বিস্মিত হই৷ এখানে আমরা এমন ৫টি প্রাণীর কথা বলছি যারা সবচেয়ে কম জল পান করে কিংবা জল না খেয়েও দিব্যি বেঁচে থাকে। উত্তর আমেরিকায় পাওয়া এই ক্যাঙ্গারু ইঁদুর জল না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। এই ইঁদুরগুলো তাদের খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব পূরণ করে। অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া থর্নি ডেভিল টিকটিকি তার বিশেষ শারীরিক গঠনের জন্য পরিচিত। এদের শরীর জলের অভাব পূরণ করে যার কারণে জল খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এক ধরনের শিয়াল আছে যারা জল না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। তারা তাদের খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব দূর করে। অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া কোয়ালা ভাল্লুকও জল না খেয়ে বেঁচে থাকে। তারা খাবারের মাধ্যমে জলের অভাব পূরণ করে। উট, যাকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়, তাদের ঘাড়ে জল সংগ্রহ করে। উট জল ছাড়া ১৫ দিন বেঁচে থাকতে পারে।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, এমন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? ৯৯ শতাংশই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! আপনি কি জানেন? Gallery August 13, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ঘটে যা দেখে আমরা বিস্মিত হই৷ সরকারি চাকরির ইন্টারভিউতেও এমন অনেক প্রশ্নই করা হয়, যাতে প্রার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন । কোনও কোনও সময় সহজ প্রশ্নের উত্তরও ভুল দিয়ে বসেন প্রার্থীরা। এখানে আমরা এমন কিছু প্রশ্নের কথা বলব যা প্রায়ই সাক্ষাৎকারে আসে। সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ পাশ করতে জেনারেল নলেজ জানাটা ভীষণ দরকার৷ কারণ অনেকসময়েই এমন সমস্ত প্রশ্ন করা হয়, যার উত্তর দিতে ঘাবড়ে যান প্রার্থীরা । এইসব প্রশ্নের মাধ্যমেই যাচাই করে দেখা হয় প্রার্থীর আইকিউ লেভেল। সরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে এক প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? আপনি কি বলতে পারবেন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? তবে বেশিরভাগ মানুষই এই উত্তরটা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন৷ আসল উত্তর হল প্লাটিপাস ও ইচিডনা। প্লাটিপাস ও ইচিডনা উভয়ই স্তন্যপায়ী, কিন্তু এরা সন্তান উৎপাদনের জন্য ডিম পাড়ে। প্লাটিপাসরা থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। হাঁসের মতো দেখতে আর জলে থাকলেও প্লাটিপাসরা কিন্তু মোটেই পাখি বা মাছ নয়। তারা স্তন্যপায়ী। সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানদের দুধ খাওয়ায়। তবে স্তন্যপায়ীদের মতো এদের দাঁত নেই, চঞ্চুই সব। সেই চঞ্চু দিয়ে জলের একদম তলা থেকে চামচের মতো শামুক, গুগলি, জেলিফিশ, লার্ভা, কৃমি তুলে নিয়ে আসে। সেগুলোর সঙ্গে তুলে আনে নুড়ি আর মাটিও। তারপর সেগুলো ইচ্ছেমতো চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। যেহেতু প্লাটিপাসের দাঁত নেই, এই নুড়িগুলোই দাঁত বানিয়ে প্লাটিপাস শক্ত শক্ত খোলস চিবিয়ে ভেতরের মাংসল অংশ খেয়ে ফেলে।
পাঁচমিশালি General Knowledge Story: বলুন তো দেখি, কোন প্রাণীর রক্তের রং হলুদ? উত্তর দিতে পারবেন না ৯৯ শতাংশ… Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk জানার কোনও শেষ নেই। আমাদের আশেপাশে থাকা যে কোনও বিষয় ঘিরেই আছে নানা আশ্চর্যজনক তথ্য যা আমাদের জানার পরিধির বাইরে। যা শুনলে আমরা আকাশ থেকে পড়ি। এমনও যে হতে পারে ভাবা যায় না। উত্তরটা জানলে আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। আজকাল অনেক প্রতিযোগিতাতে এমসিকিউ আসে। আর সেই সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এসব জানা খুব জরুরি। এই জীব জগৎ বড়-ই অদ্ভুত! প্রতিটি বাঁকে তার কত না চমক! কতরকম প্রাণী, তাদের কতরকম বৈশিষ্ট্য! কেউ ভীষণ ছোট, কেউ বা বিশালাকায়, কেউ নাক দিয়ে খায়, কার-ও বা হৃৎপিণ্ড রয়েছে মাথায়, কেউ সারাদিন ঘুমায়, আবার এমন প্রাণীও আছে যে গোটা জীবদ্দশায় একফোঁটাও ঘুমায় না! আচ্ছা বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের রঙ হলুদ? কখনও কখনও এমন হয়, উত্তরটা হয়তো আমরা জানতাম। কিন্তু শুধু মাথা ঠান্ডা না রাখার কারণে জানা জিনিসের উত্তর দিতে ভুল করি। আজ যে প্রশ্নটি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। বলা ভাল বেশিরভাগ মানুষই এর উত্তর দিতে ভুল করেছেন। মানুষের তো বটেই, বেশিরভাগ প্রাণীর রক্তের রং তো লাল। কিন্তু এমন একটি প্রাণী আছে, যার রক্ত হলুদ। নামটা কিন্তু অনেকেই জানে না। আরশোলার রক্ত সাদা। নিউগিনি নামে এক গিরগিটি আছে যার আবার সবুজ রক্ত। বলুন তো এমন কোন প্রাণী আছে যে জল না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে? ক্যাঙ্গারু ইঁদুরের জল পান করার প্রয়োজন হয় না। এই প্রাণী জীবনে একবারও জল খায় না। বিশেষ ধরনের কিডনি থাকে তাদের। চিংড়িমাছের শরীরে নীল রক্ত থাকে। বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রঙ হলুদ? মনে পড়ে কিছু? হলুদ রক্ত যেমন বিরল, তেমনি যে প্রাণীর শরীরে পাওয়া যায় সেও থাকে সমুদ্রের নিচে। টিউনিকেট, সামুদ্রিক শসার শরীরে হলুদ রক্ত থাকে। এছাড়া কিছু গুবরে পোকার রক্তও হলুদ হয়। এই রঙ তাদের রক্তে ভ্যানাবিন প্রোটিনের উচ্চ ঘনত্বের কারণে ঘটে। ভ্যানাবিনে ভ্যানাডিয়াম উপাদান রয়েছে। অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের থেকে ভিন্ন, ভ্যানাবিন অক্সিজেন পরিবহন করে না।
পাঁচমিশালি GK: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, ৫ বছর কিচ্ছু না খেয়েও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে! বলুন তো, কোন প্রাণী, চমকে যাবেন শুনে Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk সমুদ্র মানেই রহস্য। গভীর সমুদ্রে কালো অন্ধকারে কোন কোন প্রাণীদের বাস তার কুলকিনারা আজও করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। গভীর সমুদ্রে এমনও অনেক প্রাণী আছে, যাদের নামও কখনও শোনেননি। এরা দেখতে যেমন অদ্ভুত তেমনই এদের বৈশিষ্টও ভিন্ন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, এত কম তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে তারা। একদল গবেষক গভীর সমুদ্রে গিয়ে এক আশ্চর্য প্রাণী খুঁজে বের করেছেন। যা অজানা ছিল এতকাল। এদের নাম হার্প স্পঞ্জ। দেখে মনে হবে কোনও সামুদ্রিক উদ্ভিদ বা প্রবাল হবে হয়ত। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জেনেছে এরা আসলে সামুদ্রিক প্রাণী। হার্প পঞ্জ নামের এই প্রাণী সমুদ্রের সাড়ে ১০ হাজার ফুট থেকে সাড়ে ১১ হাজার ফুট গভীরে বাস করে। এই প্রাণীরা তাদের থেকে অনেক বড় এবং শক্তিশালী প্রাণীদের শিকারে পরিণত করে খেয়ে ফেলতে পারে। তবে, এরা পাঁচ বছর খাবার না খেয়েও বাঁচতে পারে। গাছের ডালের মতো এই প্রাণীরা তাদের শিকারকে আকরে ধরে রাখে যতক্ষণ না পর্যন্ত হার্প স্পঞ্জ ওই প্রাণীর দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে আমিষ শুষে নেওয়া শুরু করে। প্যাসিফিক ভাইপার ফিশ এদের মুখ অনেক বড় দাঁতগুলো সুঁই এর মতো এরা শিকারী মাছ। সমুদ্রের পাঁচ হাজার ফুট গভীরে এদের বাস। শিকারের সময় এরা হা করে থাকে ছোট ছোট মাছ এদের মুখে ঢুকতে থাকে। দাঁতগুলোকে তারা খাঁচার মতো ব্যবহার করে।
পাঁচমিশালি GK: গাছও পায় সরকারি পেনশন! কোথায় বলুন তো? রয়েছে এদেশেই Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রী সরকারি কর্মচারিরা অবসরের পেনশন পেয়ে থাকেন। সেই কথা আমরা সকলেই জানি। এছাড়া কোনও ব্যক্তি ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে পান বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু কোনও গাছ পেনশন বা ভাতা পায় শুনেছেন? (প্রতীকী ছবি) শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। আমদের দেশে এমন এক রাজ্য রয়েছে যেখানে গাছেদের বয়স হয়ে গেলে সেই সকল গাছেরা পেনশন পেয়ে থাকে। সেই টাকা গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। (প্রতীকী ছবি) হরিয়ানা সরকার প্রাণবায়ু দেবতা পেনশন বলে একটি প্রকল্প রয়েছে। গাছে যত্ন নিতে ও পুরোনা গাছ না কেটে তাঁর যত্ন নিয়ে আর দীর্ঘায়ূ করার জন্যই এই প্রকল্প। প্রকৃতিকে ক্ষা করতে ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার। (প্রতীকী ছবি) কারও বাগানে যদি কোনও গাছ থাকে আর সেই গাছের বয়স যদি ৭৫ বছর হয় তাহলেই সেই গাছের মালিক এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে। বন দফতরের আধাকারিকরা গিয়ে সেই গাছ খতিয়ে দেখবে। (প্রতীকী ছবি) বন দফতর সব কাগজ পত্র ও গাছ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে সেই গাছ এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য কিনা। আর একবার পাস হয়ে গেলেই ওই গাছের মালিকের অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ২ হাজার ৭৫০ টাকা করে সরকারি পেনশন পড়া শুরু হয়ে যাবে। (প্রতীকী ছবি)
পাঁচমিশালি GK: বলুন তো, বিশ্বের সবথেকে লম্বা গাছের নাম কী? উচ্চতা জানলে চমকে যাবেন Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk জিকে অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান নিয়ে আমাদের সকলেরই কম-বেশি কৌতুহল থাকে। কারণ অজানাকে জানবার ইচ্ছে বা পৃথিবী আশ্চর্য বিষয়গুলি জানতে সকলেরই ভাল লাগে। এতে জ্ঞানেরও বৃদ্ধি হয়। এখন যদি আপনাদের বলি এই বিশ্বে এমন একটি গাছ রয়েছে যার উচ্চতার কাছে কুতুবমিনার এবং স্ট্যাচু অফ লিবার্টিও একেবারে ছোট। তাহলে অবাক হবেন অনেকেই। কিন্তু সত্যিই এমন গাছ রয়েছে। এত উচ্চতার কারণে এই গাছটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু গাছ হিসেবে পরিচিত। এই উঁচু গাছটির নাম হলো হাইপরিয়ন, এটি কোস্ট রেডউড। এটি ২০০৬ সালে প্রথমে নজরে আসে। ভাবছেন বিশ্বের সব থেকে উঁচু সেই গাছটি কোথায় অবস্থিত? গাছটি বর্তমানে রয়েছে উত্তর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে। গাছটির উচ্চতা প্রায় ১১৫.৮৫ মিটার। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে গাছটি। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে এই গাছটি আপনি দেখতে পাবেন অনেক দূর থেকেও। কিন্তু কাছে যাওয়া মানা। গাছটির আশপাশ দিয়ে হাঁটাচলা করতে দেখা যায় তাহলে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং জেল পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিক পুরান থেকে গাছের কোস্ট রেডউড নামটি নেওয়া হয়েছে। জানলে অবাক হবেন গাছটির মূল অত্যন্ত গভীরে এবং এর কোনও শাখা-প্রশাখা নেই। এক দম্পতি ২০০৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন গাছটিকে। গ্রীষ্মকালে প্রখর গরমে যদি আপনি এই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বর্তমানে এই গাছটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
পাঁচমিশালি General Knowledge: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ! Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk হাত, পা বা শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলেই গল গল করে বেরোতে থাকে রক্ত। টকটকে লাল রক্ত। মানুষ তো বটেই, সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর দেহের রক্তের রংই লাল। কিন্তু এমন প্রাণী রয়েছে জানেন কী যার রক্তের রং লাল নয়, বরং নীল! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই এমন একটি প্রাণী রয়েছে, যার রক্তের রং একেবারে নীল। শুধু তাই নয়, এই নীল রক্তের উপকারীতাও প্রচুর। এই নীল রক্ত চিকিত্সাক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বে এমন বহু আশ্চর্য জিনিস সম্পর্কে আমরা কতকিছুই জানি না। জেনারেল নলেজ বা সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা তাই অবশ্যই জরুরি। বিশেষত চাকরির পরীক্ষায় পাশ করতে অবশ্যই জানতে হবে এমন অনেক বিষয়। যেকোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। পাশ করতে গেলে তাই জিকে ভাল করে শিখে রাখা খুবই জরুরি। এসএসসি, ব্যাংকিং, রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সময় এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে। যেমন কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? আসলে এই প্রাণী হল এক ধরণের কাঁকড়া। আমেরিকার সমুদ্রে দেখা যায় এই বিশেষ কাঁকড়া, যার নাম হর্সসু ক্র্যাব। এই কাঁকড়াকে দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মতো, তাই এমন নাম। কিন্তু এই ‘ঘোড়া কাঁকড়ার’ রক্তের রং নীল হয় কেন? তার জন্য আগে জানতে হবে কেন কোনও প্রাণীর রক্তের রং লাল হয়। রক্তের রং লাল হওয়ার জন্য দায়ী হিমোগ্লোবিন। আয়রণ সমৃদ্ধ হিমোগ্লোবিনের জন্যই লাল হয় রক্তের রং। কিন্ত এই বিশেষ কাঁকড়ার রক্তে কপার-ভিত্তিক হিমোসায়ানিন পাওয়া যায়। যে কারণে এই কাঁকড়ার রক্তের রং হালকা হয়।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো পেট্রোল-ডিজেলের বাংলা কী? ৯৯ শতাংশের ঘাম ছুটছে উত্তর দিতে, আপনি জানেন? Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জীবনের নানা পর্যায়ে আমাদের প্রয়োজন পড়ে সাধারণ জ্ঞানের। অনেক সময় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা চাকরির ইন্টারভিউতে কিছু এমন প্রশ্ন থাকে যা নিয়ে সচরাচর আমরা ভাবিই না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) সাধারণ জ্ঞান থাকা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা, যেমন– এসএসসি, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সময়ও এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। আজ এমনই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আমরা এই প্রতিবেদনে। আচ্ছা বলুন তো পেট্রোল আর ডিজেলের বাংলা কী? প্রশ্ন শুনে চোখ কপালে উঠছে তো? কিন্তু সত্যি কী আপনি বলতে পারবেন এই দুই অত্যন্ত পরিচিত দৈনন্দিন জীবনের চেনা শব্দের আসল বাংলা কী? পেট্রোল এবং ডিজেল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সারা বিশ্বের মানুষ পেট্রোল এবং ডিজেলকে এই নামেই চেনে, কিন্তু আপনি কী কখনও ভেবে দেখেছেন, পেট্রোল এবং ডিজেলকে বাংলায় কী বলে? এগুলি তো বাংলা শব্দ নয়, তাহলে? অনেকেই ভাবেননি পেট্রোল বা ডিজেলের বাংলা অর্থ কী হতে পারে। কারণ পেট্রোল পেট্রোল নামেই সর্বাধিক পরিচিত এবং ডিজেলকে ডিজেল নামেই জানেন সবাই। পেট্রোল পাম্পেও লেখা থাকে শুধু পেট্রোল এবং ডিজেল। পেট্রোল-ডিজেলের বাংলা নাম কী? কিছু রিপোর্ট অনুসারে, পেট্রোলকে বাংলায় শিলাতৈল বলা হয়। পেট্রোলের অন্যান্য বাংলা নাম যা প্রচলিত আছে তার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, তেল, পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, পরিশোধিত কেরোসিন। অন্যদিকে, ডিজেলকেও বাংলায় ধ্রুবস্বর্ণ বলা হয়। গুগল ও সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বাংলায় পেট্রোল এবং ডিজেলের অর্থ এগুলিই মিলেছে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: রোজ সাবান দেন! তাও দুর্গন্ধ? বলুন তো, শরীরের সবচেয়ে ‘নোংরা’ অঙ্গ কোনটি? ৯৯ শতাংশই জানেন না সঠিক উত্তর…! Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk প্রতিদিন স্নান করার সময় আমরা সকলেই শরীর, চুল, নখ পরিস্কার করি৷ সাবান, বডি ওয়াশ এবং শ্যাম্পু দিয়ে স্নানও করি ৷ তবে শরীরের এমন একটি অঙ্গ রয়েছে যা পরিষ্কার করার সময় আমরা অনেকেই অবহেলা করি। আমাদের শরীরের এমন একটি অংশ রয়েছে যেখানে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া বাস করে, এটি সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত এবং নোংরা জায়গা। সবচেয়ে মজার বিষয় হল এটি পরিষ্কার করার পরও কেউ পরিষ্কার রাখতে পারে না। বলুন তো, শরীরের কোন অংশে সবচেয়ে বেশি নোংরা থাকে। অনেক সময় পরিষ্কার করার পরও মানুষের শরীরে এমন জায়গা থাকে যেখানে নোংরা থেকে যায়। সব অঙ্গের যত্ন নিলেও সবাই ভুলে যায় এই অঙ্গের কথা। শরীরের এই অংশে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া বাস করে। যা আমরা অনেকেই এড়িয়ে চলি৷ অনেকেই পা ভেবে ভুল করছেন৷ ২০১২ সালে PLOS One-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে শুধুমাত্র আমাদের নাভিতে ২,৩৬৮ ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে ১,৪৫৮টি প্রজাতি বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন। এখানেই সবচেয়ে বেশি ঘাম জমে এবং এটি পরিষ্কার করা সহজ নয়, আর এই কারণেই শরীরের এই অংশে দুর্গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। বিজ্ঞান বলছে, নাভি আসলে শরীরের একটি ক্ষত। এই ক্ষত তৈরি হয় যখন সন্তান জন্মের সময় মায়ের থেকে আলাদা হয়। নাভি কুণ্ডলী বেশিরভাগই ভিতরের দিকে থাকে। খুব কম মানুষের নাভি বাইরের দিকে থাকে৷ টরন্টোর ডিএলকে কসমেটিক ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার ক্লিনিকের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নাভি ব্যাকটেরিয়ার জন্য একটি আদর্শ প্রজনন ক্ষেত্র। যদি আপনার ওজন বেশি হয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে বা আপনার নাভিতে ছিদ্র আছে। নাভি পরিষ্কার করার জন্য গরম জল ব্যবহার করা খুবই ভাল৷ চিকিৎসকদের মতে, যদি কখনও নাভিতে চুলকানি হয়, নাভি লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয়, দুর্গন্ধ হয়, তাহলে সাবধান। যেকোনও ধরনের সংক্রমণ খারাপ হওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)
পাঁচমিশালি Knowledge Story: জিভের ওজন ১টি হাতির ওজনের সমান, সবচেয়ে জোরে চিৎকার করতে পারে! বলুন তো কোন প্রাণী? Gallery August 11, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীর এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ও ভারী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে নীল তিমিকে। যদিও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা আদিম প্রজাতির এমন এক তিমির দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন, যা নীল তিমির চেয়েও ওজনে বেশি হতে পারে। গত বছর অগাস্টের দিকে তাঁরা পেরুতে এ ধরনের তিমির আংশিক কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন। চার কোটি বছর আগে পেরুসেটাস কোলোসাস নামের এ তিমির অস্তিত্ব ছিল। তবে নীল তিমিকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে ধরা হয়েছে। জানেন নীল তিমির কয়েকটি বিশেষত্ব, এগুলি জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। জন্মের সময়ই এই তিমির যা আকার তা বিশাল। বিজ্ঞানীদের দাবি, ১০০ ফুটেরও বড় হতে পারে নীল তিমি। নীল তিমির গড়ে ওজন ৩০ হাতির ওজনের সমান। প্রায় ২২০ টন। জন্মানোর সময় নীল তিমির ওজন থাকে ৪ হাজার কেজি প্রায়। বিশ্বের সব প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হৃদপিণ্ড রয়েছে নীল তিমির। ওজন প্রায় গড়ে ২০০ কেজি। মিনিটে মাত্র ২ বার হৃদস্পন্দন হয় নীল তিমির। সবচেয়ে জোড়ে চিৎকারও করতে পারে এই নীল তিমি। তাদের চিৎকারের শব্দ প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে জলের সাঁতার কাটতে পারে তারা। অন্তত ১০০ বছর আয়ু রয়েছে প্রতিটি নীল তিমির। নীল তিমির একটি জিভের ওজন প্রায় একটি হাতির সমান। বিশাল আকারের এই জিভ দিয়েই জলে শিকার করে নীল তিমি। বহু সময় না গিলে মুখের ভিতর খাবার ধরে রেখে দিতে পারে নীল তিমি। জলও ভরে রাখতে পারে দীর্ঘ সময়।