পাঁচমিশালি GK: শিক্ষা-সংস্কৃতিতে এগিয়ে, আর কোনও শহর নয়, বলুন তো ‘পশ্চিমবঙ্গের অক্সফোর্ড’ কোন শহরকে বলে? শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন Gallery August 9, 2024 Bangla Digital Desk কলকাতাকে বলা হয় ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। অর্থাৎ, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে বরবারই ঐতিহাসিকভাবেও অনেকটা এগিয়েই ছিল বাংলা। এমনকী এই বাংলাতেই রয়েছে, এমন এক শহর, যাকে পশ্চিমবঙ্গের অক্সফোর্ড বলে ডাকা হয়। শহরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার একটি সুপ্রাচীন শহর ও পৌরসভা এলাকা। চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান ও লীলাক্ষেত্রর জন্য বিখ্যাত। এই পৌরসভা ১৮৬৯ সালে স্থাপিত। বাংলায় সেন রাজাদের আমলে (১১৫৯ – ১২০৬) এই শহর ছিল রাজধানী। ১২০২ সালে রাজা লক্ষ্মণ সেনের সময় বখতিয়ার খলজি এই জনপদ জয় করেন, যা বাংলায় মুসলিম সাম্রাজ্যের সূচনা করে। এই শহর ছিল সেই সময়ে বিদ্যালাভের পীঠস্থান ও একে বলা হত বাংলার অক্সফোর্ড। এই শহর বহু বার বৈদেশিক আক্রমণের শিকার হয়েছে, যার ফলে উচ্চারণের বিকৃতির মাধ্যমে নদিয়া ও নবদ্বীপ সম্পর্কযুক্ত হতে পারত, যদিও তা হয়নি। নবদ্বীপ, ‘নূদীয়া’ ‘নওদিয়া’বা ‘নদীয়াহ’ হয়েছে ভাষান্তরের জন্য। রজনীকান্ত চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছেন, “মিনহাজউদ্দিন সিরাজির গ্রন্থে নবদ্বীপকে নওদিয়ার বলা হইয়াছে। নওদিয়ার শব্দে নূতন দেশ।” নূতন দেশ বলতে এখানে গঙ্গাবিধৌত পলিসঞ্জাত নুতন দ্বীপকেই বোঝান হয়েছে। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা হল ১,৭৫,৪৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.৭৫% এবং নারী ৪৮.২৫%। এই শহরের জনসংখ্যার ৭.৪৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। সাক্ষরতার হার ৮৭.৫৭%। এই শহরে মোট ১৮টি উচ্চ বিদ্যালয় আছে; এদের মধ্যে নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়, নবদ্বীপ হিন্দু স্কুল, নবদ্বীপ শিক্ষা মন্দির, আর. সি. বি. সারস্বত মন্দির, জাতীয় বিদ্যালয়, তারাসুন্দরী বালিকা (উচ্চ) বিদ্যালয়, নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এখানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয় নামে একটি মহাবিদ্যালয়ও আছে। এখানকার উৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নববর্ষ, নবদ্বীপের শাক্তরাস, চন্দনযাত্রা, গাজন উৎসব, রথযাত্রা, ঝুলন পূর্ণিমা, গঙ্গা পূজা, দুর্গা পূজা, রাস যাত্রা, দোল পূর্ণিমা, সরস্বতী পূজা, গুরু পূর্ণিমা, ধুলোট, গৌর-পূর্ণিমা প্রভৃতি। এদের মধ্যে রাস এবং দোলযাত্রা মহাসমারহে পালিত হয়। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, শহরটির নাম হল নবদ্বীপ। যাকে পশ্চিমবঙ্গের অক্সফোর্ড বলা হয়।
পাঁচমিশালি GK: জানেন, পৃথিবীতে কোন প্রাণী সবথেকে বেশি মানুষ মারে? শুনলে হাসি পাবে হয়ত, কিন্তু এটাই সত্যি! কোন প্রাণী বলুন তো? Gallery August 9, 2024 Bangla Digital Desk কোন প্রাণীর কারণে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ যায়? না, এর উত্তর হাঙর হবে না। যদিও হলিউডি সিনেমায় মানুষের জন্য সবচেয়ে হুমকি হিসেবে তুলে ধরা প্রাণীর তালিকায় থাকে হাঙর, তাণ্ডব চালানো উল্লুক। তবে সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণীর আকার আরও অনেক ছোট। রেজরের মতো ধারালো দাঁতের কামড়ে নয়, বরং প্রাণী থেকে ছড়ানো রোগে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তাহলে কোন প্রাণীর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ যায়? পৃথিবীতে যত ক্ষতিকর প্রাণী আছে, তার মধ্যে মশা অন্যতম। মশাই একমাত্র প্রাণী যে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ নিয়ে থাকে। মশার কামড়ে সৃষ্ট অসুখে প্রতিবছর বিশ্বে সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। এই তথ্য জানিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, তালিকায় মশার পর আছে মানুষ। অবশ্য কেবল স্ত্রী মশাই কামড়ায়। বিশেষ করে আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অঞ্চলটিতে প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় যত মানুষের মৃত্যু হয়, তা বিশ্বের মোট মশার কামড়ে মৃত্যুর ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ। মানুষের মৃত্যুর প্রশ্নে মানুষই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভংয়কর প্রাণী। অবশ্য এটাকে নরহত্যা বলাই ভাল। ‘আওয়ারওয়ার্ল্ড ইনডেটা’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে যত মানুষের প্রাণ যায়, তার মধ্যে নরহত্যার ঘটনায় ছিল ০.৭ শতাংশ। প্রতিবছর হত্যাকাণ্ডে চার লাখ মানুষ প্রাণ যায়। বিশ্বজুড়েই বিষধর সাপ রয়েছে। সাপের কামড়ে যেমন মানুষের মৃত্যু হয়, আবার অন্যভাবেও মানুষের প্রাণ নিতে পারে। ব্ল্যাক ম্যাম্বা নামের সাপের মাত্র দুই ফোঁটা বিষে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অন্যদিকে অজগর মানুষকে আস্ত গিলে খেতে পারে। তবে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ সাপের কামড়ে। প্রতিবছর বিশ্বে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় সাপের বিষে। মানুষের বন্ধু কুকুর। তবে প্রাণীটি মানুষের সবচেয়ে শত্রু হয়ে ওঠে, যখন সেটি জলাতঙ্কের কারণ হয়। কুকুর তার প্রভুকে রক্ষায় অনাহুত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে। তাকে কামড়ে দেয়। কুকুরের কামড়ে বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। চিকিৎসা না নিলে এতে মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যু হয় ৫৯ হাজার মানুষের। হিংস্র প্রাণী হিসেবে কুমিরের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। দাঁতের গঠনই বলে দেয় এই সরীসৃপ কতটা ভয়ংকর। মিঠা ও নোনা উভয় জলেতে থাকে কুমির। কুমির যত শক্তিতে কামড় দেয়, তা যে কোনও প্রাণীর কামড়ের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কুমির যে এলাকায় থাকে, সেখানে যে কোনও প্রাণী ঢুকলে সে আক্রমণ করে।
পাঁচমিশালি GK: আপনিও কি খুব অলস, বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণী কোনটি? শুনে কিন্তু সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান একটি দরকারি বিষয়। যে কোনও আড্ডার, তর্কে আপনি সাধারণ জ্ঞান দিয়ে অনেকের মন জয় করতে পারেন। তবে এই সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন পড়াশোনা ও চর্চার। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাকে বলব, যা আপনি হয়তো আগে কখনও শোনেননি। এটি এমন প্রশ্ন যা কখনও আপনি নিজেও ভাবেননি। বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণী কোনটি? কেউ ধীরগতির হলে তাকে বলে শম্বুক গতির। মানে শামুক যে গতিতে চলে। অবশ্য শামুকের তো আর পা নেই যে ছুটবে। কিন্তু এমন এক প্রাণী আছে, যার চার পা থাকার পরও একদমই নড়তে চায় না। স্তন্যপায়ী প্রাণীটা এতটাই ধীরে চলে যে তার কপালেই জুটে গেল পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণীর খেতাব। নাম তার শ্লথ। এরা এতটাই আস্তে চলে যে এদের শরীরে ছত্রাকের বাসা হয়ে যায়। লোমশ শরীর ভর্তি হয়ে যায় উকুনের মতো অনেক পরজীবী প্রাণীতে। প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় ফুটের মতো এগোতে পারে এরা। শ্লথ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মাদাগাসকারের জঙ্গলে এদের দেখা পাওয়া যায়। ধীরগতির হওয়ার পেছনে এদের খাবারই দায়ী। শ্লথ তৃণভোজী। কচি ঘাস ও লতাপাতা খায়। এগুলো হজম হতে বেশ সময় লাগে। এ কারণে শ্লথকে তার শরীরে শক্তি জমা রাখতে হয়। তাই ধীরে ধীরে চলার মাধ্যমে এরা শক্তির অপচয় করে না। কোস্টারিকায় শ্লথের একটি অভয়াশ্রম আছে। আহত শ্লথের চিকিৎসা দিয়ে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় সেখানে। মজার বিষয় হলো, সকলের প্রিয় আইস এজ সিনেমার সিড চরিত্রটা কিন্তু শ্লথেরই পূর্বপুরুষ। আর এ কারণেই সিডের চলাফেরার মধ্যে বেশ আলসেমির একটা ভাব দেখতে পাবে।
পাঁচমিশালি GK: বলুন তো, কোন দেশটি পৃথিবীর একদম মাঝখানে অবস্থিত? নাম শুনলে কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান একটি দরকারি বিষয়। যে কোনও আড্ডার, তর্কে আপনি সাধারণ জ্ঞান দিয়ে অনেকের মন জয় করতে পারেন। তবে এই সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন পড়াশোনা ও চর্চার। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাকে বলব, যা আপনি হয়তো আগে কখনও শোনেননি। এটি এমন প্রশ্ন যা কখনও আপনি নিজেও ভাবেননি। আচ্ছা বলুন তো, বিশ্বের কোন দেশ একেবারে পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত? যদি এই প্রশ্নটির উত্তর জানেন তবে আপনি অবশ্যই একজন প্রতিভাধর ব্যক্তি। না জানলেও ক্ষতি নেই। আমরা এই প্রতিবেদনে উত্তর বলে দেব। পৃথিবীর কেন্দ্রে যে দেশটি পড়ে, সেই দেশের নাম ঘানা। কিন্তু যদি সত্যিকার অর্থে দেখা যায়, পৃথিবীর কেন্দ্র হল 0°N 0°E, এবং সেখানে কোনও দেশই নেই। বিজ্ঞানীরা এই স্থানটিকে একটি কাল্পনিক স্থান হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে কোনও দেশ না থাকলে ঘানাকে পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত দেশ বলা হয় কেন? আসলে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে সবচেয়ে কাছের দেশটি হল আফ্রিকা মহাদেশের ঘানা। তাই এটিকেই পৃথিবীর কেন্দ্রের দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আসলে এই দেশটি একটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘানা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে যেকোনও কিছু বা যেকোনও স্থানের দূরত্ব পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে ঘানার দূরত্ব প্রায় ৩৮০ মাইল।
পাঁচমিশালি 100 Grams: ১০০ গ্রাম! জানেন কি আপনার রোজকার ব্যবহারের এই সব জিনিস ১০০ গ্রাম, কোনও ধারণা নেই তো, লিস্ট দেখলে নিশ্চিতভাবে চমকে যাবেন Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk রোজকার জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করতে হয়৷ সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন জিনিস রোজই শিখি৷ সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবনের নানা দিকে এগিয়ে যেতে হয়৷ সব সময়েই যে বই পড়া শিক্ষাই আমাদের সমৃদ্ধ করে তা নয়, জীবনের নানা মোড়ে নানা ঘটনা থেকে যে শিক্ষা দেয় তা যদি নিতে পারেন তাহলেই আপনার জীবন সমৃদ্ধ হতে পারবেন৷ এই মুহূ্র্তে একটা বড় প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরছে তা হল ১০০ গ্রাম ওজন ঠিক কিসের কিসের হতে পারে৷ কারণ আমরা কোনও দিনই কোন জিনিসের ১০০ গ্রাম ওজন হতে পারে বা তা নিয়ে ভাবতে হতে পারে তা নিয়ে ভাবেনি ৷ জানেন কি আপনার খুব চেনা বিভিন্ন জিনিস সহজেই ১০০ গ্রাম ওজনের হয়ে ওঠে৷ একটি ৮ ইঞ্চির কলা যা আপনারা নিয়মিত ব্রেকফাস্টে খেয়ে থাকেন এমনকি নিয়মিত ফলাহারেও গ্রহণ করে থাকেন তার ওজন হয় ১০০ গ্রাম থেকে ১৪০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে৷ একটা মাঝারি সাইজের স্টিলের গ্লাস যাতে ৩০০ মিলি জল ধরে তা যখন খালি অবস্থায় থাকে তার ওজন হয় ১০০ গ্রাম৷ যে সাধারণ মাপের সাবান সকলের বাড়িতেই বাথরুমে থাকে তার ওজন হয় ১০০ গ্রাম৷ একটা সাধারণ সাইজের মাখনের বক্স যা কিনে বাড়িতে আনেন, তার ওজন হয় ১০০ গ্রাম৷ দুটো ডিম কাঁচা অবস্থায় থাকলে তার ওজনও হয় ১০০ গ্রাম৷ অর্থাৎ দুটো ডিম যা হাতে নিয়ে আপনি ভাবেন কী হালকা, তার ওজনও হয় ১০০ গ্রাম৷ এছাড়া একটি প্রমাণ মাপের টি শার্টের ওজন হতে পারে ১২৫ -১৫০ গ্রামের আশেপাশে৷ যারা কার্ড গেম খেলে তাদের কাছে খুব পছন্দের তাদের কার্ডগেমের প্যাকেটটি৷ সেটির ওজনও হয় ১০০ গ্রাম৷ খুব খিদে পেলে চট করে রাস্তার দোকান থেকে একটি বিস্কুটের প্যাকেট কিনে নিলেন৷ সেটির ওজনও হয় ১০০ গ্রাম৷
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো কোন ফলের বীজ পেটে চলে গেলে আপনি মরেও যেতে পারেন? অবশ্যই জেনে রাখুন Gallery August 7, 2024 Bangla Digital Desk আধুনিক যুগে প্রত্যেকেই তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সিজনাল ফল খান। আর ফল আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। একদিকে ফল যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে, এমন অনেক ফল রয়েছে যা সঠিক উপায়ে খাওয়া না হলে আমাদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। আসলে অনেক ফলের বীজে কিছু বিষাক্ত পদার্থ থাকে, সেগুলো খাওয়া হলে পরিপাকতন্ত্রের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাওয়া ফল হল আপেল। এই ফলটি অনেকেই খেতে ভালবাসেন। তবে যদি কেউ আপেলের বীজ খান তবে এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আপেলের বীজে সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত যৌগ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে আপেলের বীজ খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি এবং গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যদিও কাশ্মীরের আপেল খুবই সুস্বাদু, পিচ ফলও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী, তবে এর বীজে অ্যামিগডালিন থাকে যা সায়ানাইডের একটি রূপ। এমন অবস্থায় পিচের বীজ খেলে পেট ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। এপ্রিকটও খুব সুস্বাদু একটি ফল। কিন্তু এটি এমন ফলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এপ্রিকট বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এই বীজগুলি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি এবং গুরুতর সমস্যা হতে পারে। চেরি ফল দেখতে খুবই সুন্দর এবং এটি অনেক খাবারে ব্যবহার করা হয় তবে এর বীজ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। সর্বাধিক খাওয়া ফলগুলির মধ্যে একটি হল নাশপাতি যা অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। প্রায়শই অনেকে বীজ সহ নাশপাতি খান। অনেকে আবার নিজের অজান্তেই এর বীজ খেয়ে ফেলেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। কেন না নাশপাতির বীজেও সায়ানাই যৌগও রয়েছে যা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি এবং গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পাঁচমিশালি GK: নেই কোনও জাতীয় পশু! এমন দেশের নাম বলুন তো দেখি, উত্তর দিতে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়, কিন্তু তারপরও অনেকেই উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। প্রতিটি দেশই নির্দিষ্ট একটি প্রাণীকে তাদের জাতীয় পশু নির্বাচন করে। বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশের কোনও জাতীয় পশু নেই? এর উত্তর দিতে গিয়ে ৯৯ শতাংশ মানুষ ভুল করে। এই দেশটি কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে স্বপ্নের জায়গা এটি। যেখান একবার হলেও সকলের যাওয়ার ইচ্ছে। পৃথবীর স্বর্গও বলা হয়ে থাকে সেই দেশকে। এবার আশা করি আপনারা সকলেই বুঝে গিয়েছেন। যেই দেশের কোনও জাতীয় পশু নেই তার নাম হল সুইজারল্যান্ড। জাতীয় পশু না থাকলেও এই দেশে প্রতি বছর একটি প্রাণী ‘Animal of the year’হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সুইজারল্যান্ডের কোনও জাতীয় পশু না থাকলেও সুইস জাতির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অন্যান্য বিভিন্ন প্রাণী ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল গরু, মারমোট, আইবেক্স, সেন্ট বার্নহার্ড এবং ব্ল্যাকবার্ড।
পাঁচমিশালি GK: বলুন তো, ট্রেনের চাকায় বালি দেওয়া হয় কেন? উত্তর জানলে অবাক হবেন Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk ভারতীয় পরিবহণ ব্যবস্থার সবথেকে বড় মাধ্যম হল রেল। দৈনন্দিন দেশ জুড়ে কোটি-কোটি মানুষ রেল পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। রেলের একাধিক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আমাদের জানার কৌতুহলও কম নয়। ঠিক তেমনই একটি বিষয় হল রেলের চাকায় বালি দেওয়া হয় কেন? অনেকের নজরেই পড়েছে ট্রেনের চাকার কাছে একটি নির্দিষ্ট লোহার বাক্সে ঢালা হয় বালি। কখনো নিজে থেকেই সেই বালি ঝরতে থাকে আবার অনেক সময় বালি ঢেলে দেওয়া হয়। কেন এই বালি ঢালা হয়? এই বালি ঢালার পদ্ধতি কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক। মূলত ঘর্ষণ বল তৈরি করার জন্যই ট্রেনের চাকায় ঢালা হয় বালি। রেলের চাকা ও লাইন মসৃণ হওয়ায় ঘর্ষণ বল কম হয়। ট্রেন যখন কোন চড়াই উৎরাই পথ অতিক্রম করে অথবা বৃষ্টির পর রেললাইন ভিজে গেলে সেই সময় প্রয়োজন পড়ে ঘর্ষণ বল বাড়ানোর। তখন বালি দেওয়া হয়। সময় মত এবং প্রয়োজনমতো বালি ঢালা না হলে ট্রেনের চাকা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সেই কারণেই বালির ব্যবহার। চালকের পায়ের কাছে থাতা একটি লিভারের সাহায্যে ওই বাক্স থেকে প্রয়োজনমতো বালি ঢেলে নেওয়া যায় চাকায়। শুধুমাত্র ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে নয়, অনেক সময় ট্রেন থামানোর জন্যও ব্যবহার করতে হয় বালি। এমারজেন্সি ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ট্রেন দাঁড় করানোর প্রয়োজন পড়লেও, চালককে ব্যবহার করতে হয় এই অতিরিক্ত বালির। সামান্য কিছুটা বালি এতোটা দ্রুত গতিবেগ সম্পন্ন একটি যানকে নিমেষের মধ্যে থামিয়ে দিতে পারে। ভাবলেই একটু অবাক লাগছে তাই না? কিন্তু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই ভাবেই রেল পরিষেবা কে মসৃণ রাখতে, দুর্ঘটনা এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক বিপদ রক্ষার্থে অজান্তেই সাহায্য করতে থাকে বালি।
লাইফস্টাইল Diabetes: ব্লাড সুগার টেস্টে ‘কোন’ আঙুল থেকে ‘রক্ত’ নেওয়া উচিত বলুন তো…? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ! চমকে দেবে সঠিক উত্তর! Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা দিনের পর দিন ক্রমশ মহামারীর আকার নিচ্ছে ভারতে। এটি এমন একটি রোগ যা রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রা দ্বারা শনাক্ত হয়ে থাকে। শরীরের ইনসুলিনের উৎপাদন এবং ব্যবহারে অক্ষমতার কারণে হয়ে থাকে মধুমেহ বা ডায়াবেটিসের মতো অসুখ। ডায়াবেটিস যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় তবে শরীরের রক্তনালী, স্নায়ু, কিডনি এবং অন্যান্য নানা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসা, হাত ও পায়ে অসাড়তার মতো বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। এই ধরনের লাইফস্টাইল-জনিত রোগের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। দেশের শীর্ষস্থানীয় এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং ম্যাক্স সাকেতের এন্ডোক্রিনোলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান ডঃ অম্বরীশ মিত্তাল এই বিষয়ে অত্যন্ত খুব সহজ ভাষায় এই সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। ১) প্রশ্ন :রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা কী ভাবে করা হয়?উত্তর: এই অসুখে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। রক্তে শর্করার মাত্রা সাধারণত দুই ধরণের টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। বয়স, ওষুধের ধরণ এবং অসুখের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষাগুলি করার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে ল্যাবরেটরিতে গিয়ে রক্তের নমুনা দেওয়া ছাড়াও ঘরে বসে গ্লুকোমিটার দিয়েও রক্তের শর্করা পরীক্ষা করা যায়। অন্যদিকে, HbA1c পরীক্ষাটি হল গত তিন মাসে শরীরের লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কতটা গ্লুকোজ যুক্ত হয়েছে তা মূল্যায়ন করার জন্য করা সবচেয়ে সাধারণ পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি প্রতি ৩ মাস অন্তর করা উচিত। ২) প্রশ্ন: দুটি পরীক্ষার মধ্যে কোনটি সেরা? Hba1c রিপোর্ট কি বেশি সঠিক?উত্তর: উভয় পরীক্ষাই প্রয়োজনীয় তবে উভয়ের ত্রুটিগুলিও জানা জরুরি। সাধারণত যখন কারও ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তখন তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করতে বলা হয়। যাতে প্রতিদিন সুগার বৃদ্ধি ও হ্রাস জানা যায়। HbA1c পরীক্ষাতে ৩ মাসের গড় ব্লাড সুগার জানা যায়। এই পরীক্ষা অপেক্ষাকৃত বেশি নির্ভরযোগ্য। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি ৩ মাস অন্তর HbA1c পরীক্ষা করতে বলা হয়। ৩) প্রশ্ন: রক্তের শর্করা পরীক্ষার জন্য কোন আঙুল থেকে রক্তের নমুনা দেওয়া উচিত?উত্তর : ডায়াবেটিস (diabetes.co.uk) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, একটি ল্যান্সিং ডিভাইস দিয়ে আপনার আঙুলটিতে সূক্ষ্ণ ছেদ করে রক্তের নমুনা নিতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করে যে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করার জন্য মধ্যমা বা অনামিকা ব্যবহার করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে পরীক্ষার সময় যাতে হাতটি হার্টের লেভেলের নীচে থাকে। যদি ব্যক্তির হাত তাঁর হার্টের উপরে থাকে তবে মাধ্যাকর্ষণ এই অংশে রক্ত চলাচলের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে যা রক্ত প্রবাহকে সীমিত করে। সাধারণত, মধ্যমা আঙুলটি ডায়াবেটিসের ফিঙ্গার টেস্টের জন্য ব্যবহার করার জন্য সর্বোত্তম আঙুল হিসেবে বিবেচ্য হয় কারণ এটিতে রক্তের সর্বোত্তম সঞ্চালন রয়েছে। ৪) প্রশ্ন- একজন ব্যক্তির বাড়িতে কতবার সুগার টেস্ট করা উচিত?উত্তর- একজন ব্যক্তিকে বাড়িতে কতবার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে তা নির্ভর করে তাঁর রোগের তীব্রতা, এর লক্ষণ, জটিলতা, বয়স ইত্যাদির ওপর। তবুও, এটি খালি পেটে এবং সকালের জলখাবারের পরে দু’বার পরীক্ষা করতে বলা হয়। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পাঁচমিশালি GK: বলুন তো, কোন দেশে কোনও পুলিশ ও সেনা নেই? এক না রয়েছে একাধিক, উত্তর অজানা অনেকের Gallery August 5, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে নিয়ে প্রশ্ন প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্ন নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি যার উত্তর দিতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন দেশে কোনও পুলিশ ও সেনা নেই? দেশের ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ থাকে। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যাদের কোনও পুলিশবাহিনী নেই। কারও আবার নেই সেনা বাহিনী। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হল ভ্যাটিকান সিটি। ইটালির রাজধানী রোমের একাটি অংশ। অতীতে নিরাপত্তার জন্য এখানে বাহিনী থাকলেও পোপ পল ষষ্ঠ ১৯৭০ সালে সমস্ত বাহিনী বাতিল করে দেন। ইতালির দায়িত্বে ভ্যাটিকান সিটির নিরাপত্তা। এমন আরও একটি দেশের নাম হল নউরু। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রে মাত্র ১০ হাজার লোক থাকে। এটি মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। এই দেশের কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী নেই। পালাউ হল এমন একটি দেশে যার কোনও সেনাবাহিনী নেই। তবে রয়েছে অনুমতিপ্রাপ্ত পুলিশবাহিনী। আভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় রয়েছে ৩০ জনের মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট। পালাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।