Tag Archives: Water logging

Water Logging Problem: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা, জল বের করতে জোর লড়াই

উত্তর দিনাজপুর: উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়েই চলেছে। তীব্রতা কিছুটা কমলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। কিছু কিছু জায়গা থেকে জল বার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।

বৃষ্টিতে জলমগ্ন ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকা।কোথাও রাস্তার উপর জল, কোথাও আবার কারো কারো বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা এলাকাবাসীদের। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় জল বের করতে তৎপর হল ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। টানা বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে থাকায় চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে অতিবর্ষণে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরাও। মাছ চাষের পুকুর জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। টানা বৃষ্টিতে মানুষজন বাড়ি থেকে তেমন না বাড়ানোর ফলে রোজগারও তেমন হচ্ছে না অটো চালক কিংবা রিক্সা চালকদের।

আর‌ও পড়ুন: শত কাজের ফাঁকে যা করছেন! থানার আইসি’র কাণ্ড দেখলে অবাক হবেন

স্থানীয় সূত্রে খবর, ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে জেসিবি দিয়ে ড্রেন কেটে জল বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে গ্রামের বহু এলাকা এখন‌ও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে মানুষজনের। ঘরের মধ্যে জমা জল ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু পরিবার।

পিয়া গুপ্তা

Water Logging: বৃষ্টির জমা জল আটকে চরম ভোগান্তি, রাজবাড়িতে কমছে পর্যটকদের আনাগোনা

কোচবিহার: প্রবল বৃষ্টিতে সদর শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র রাজবাড়ি। কিন্তু রাজবাড়ির সামনে বৃষ্টির জল আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এখানে আসা পর্যটকদের। ফলে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির জেরে জল আটকে পড়েছে এলাকায়। নিকাশি নালার বেহাল দশা থাকার কারণে জল নামতে পারছে না। ফলে জলের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে রাজবাড়ির সামনে।

রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক সুবর্ণা দাস জানান, রাজবাড়ির সামনে ড্রেনের নোংরা জল আটকে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। ওই জ্মা জল থেকে রীতিমত দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পর্যটক ও সাধারন মানুষকে এই জল পেরিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি ক্রমাগত হয়েই চলেছে। আর বৃষ্টির ফলে জলের পরিমাণও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই এলাকায়। ফলে রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি জেলায়, বাঁধহীন এলাকায় আতঙ্ক

রাজবাড়ির সামনের এক ব্যবসায়ী মোতিলাল সাহা জানান, জল জমে থাকার কারণে রাজবাড়িতে পর্যটকের আনাগোনা অনেকটাই কমেছে। বৃষ্টির কারণে এই অসুবিধায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থার একেবারেই বেহাল দশার কারণে অসুবিধায় পড়ছেন বহু মানুষ। তবে গোটা বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কোন প্রকার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দে জানান, কোচবিহার পুরসভা জল জমার বিষয় নিয়ে একেবারেই উদাসীন। ফলে অসুবিধা চরমে উঠেছে। 

গোটা বিষয় নিয়ে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দ্রুত গোটা বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই সমাধান কবে করা হবে সে বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। কোচবিহারের ঐতিহ্য রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সামনে কোচবিহারের যে চিত্র ফুটে উঠছে তা একেবারেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

সার্থক পন্ডিত

Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার, ভাসছে রাস্তা থেকে কৃষিজমি

আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যয়ের ছবি ধরা পড়ছে। আলিপুরদুয়ার জেলার সবচেয়ে বিপর্যস্ত এলাকা হল ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক। এখানে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল, ভেঙেছে রাজ্য সড়ক।

টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্কুলের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় স্কুল আসছে না পড়ুয়ারাl ফালাকাটা ব্লকের উমাচরণপুর নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমাচরণপুর জুনিয়ার হাই স্কুল ও একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা এই বৃষ্টিতে। এদিকে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। চরতোর্ষা ডাইভার্সনের উপর মহাসড়ক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। এরফলে আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কোটি টাকা খরচে তৈরি ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তার বছর ঘুরতেই বেহাল দশা

টানা বৃষ্টিতে পাশের জেলা কোচবিহারের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যাতায়াতকারীদের মতে, ২০১৭ সালের এবারের বর্ষায় আবার এমন পরিস্থিতি হল। এর ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা না নেওয়াতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে এলাকার পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।

অনন্যা দে

Water Logging Problem: জলে ভাসছে চিলাখানার শিঙ্গিমারি, প্রবল বৃষ্টিতে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ

কোচবিহার: গত বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে কোচবিহারে। এই টানা বৃষ্টিতে রীতিমত ফুলে ফেঁপে উঠেছে সমস্ত নদী। এছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে বহু লোকালয়ে জল জমে গিয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। জমা জলে ভাসছে চিলাখানার শিঙ্গিমারি এলাকা।

বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই এই শিঙ্গিমারি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা নিয়ে বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান মিঁয়া জানান, এই এলাকার জল জমার সমস্যা নতুন নয়। বর্ষাকাল এলেই একদিকে বৃষ্টির জল, অপরদিকে নদীর জল দুইয়ে মিলে অবস্থা একেবারে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নোংরা জমা জল একেবারে ঘরে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়।

আর‌ও পড়ুন: মোষকে বাঁচাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পুলকার

এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বিবি জানান, প্রতিবছর বর্ষা নামলেই বিপুল পরিমাণ জল জমে যায় এলাকায়। দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় কোনও সঠিক জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ফলে জল নামতে চায় না। উল্টে নদী থেকে ঘোলা জল এসে এলাকায় উপস্থিত হয়। কারণ নদীর অধিকাংশ জায়গায় সঠিকভাবে বাঁধ দেওয়া নেই। ফলে দু’দিকের চাপে ভোগান্তি চরমে ওঠে এলাকাবাসীদের। ঘরের ভেতরে পর্যন্ত জল ঢুকে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

গোটা বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জল না কমা পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কষ্টের মধ্যেই দিন কাটাতে হবে গ্রামবাসীদের।

সার্থক পণ্ডিত

Purba Bardhaman News: অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে এই এলাকায়, চরম চিন্তায় ব্যবসায়ীরা 

পূর্ব বর্ধমান: অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় এলাকায়। আর যার জেরে চরম বিপাকে পূর্ব বর্ধমানের পারুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ। জমা জলের কারণে মুখ ফেরাচ্ছে ক্রেতারাও।পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম একটি বাজার হল পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পারুলিয়া বাজার। প্রতিদিন বহু মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে এই বাজারটিতে। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে থাকে এই বাজারটির ওপর। কিন্তু পারুলিয়া বাজারের আদর্শ পট্টি এলাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়।

আর যার জেরে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় আদর্শপট্টির ব্যবসায়ীদের একাংশকে। জমা জলে জীবাণু, সাপ প্রভৃতির ভয়ে মুখ ফেরায় অনেক ক্রেতাই। ফলে কমেছে বিক্রেতাদের বিক্রির পরিমাণ। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। আমাদের ব্যবসার অবস্থা একেবারে খারাপ। জল জমে থাকলে ক্রেতারাও আসেনা। এছাড়াও এই জল অত্যন্ত নোংরা। অনেক সময় জল দোকানের মধ্যেও ঢুকে যায়। প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার একটা সমাধান করা দরকার।”

প্রসঙ্গত, জমা জলে ক্রেতারা না আসার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হয় বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে পারুলিয়া বাজার কমিটির তরফে, এই পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশকেই দায়ী করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সম্পাদক কালিশঙ্কর ব্যানার্জী জানিয়েছেন, তাদের তরফে মাঝেমধ্যেই উক্ত এলাকার ড্রেনগুলিকে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন দোকানদার ড্রেনের মধ্যে নোংরা ফেলে। আর যে কারণেই জল জমে থাকার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে কালিশংকর ব্যানার্জি আরও বলেন, “আগেও ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছিল। তবে মানুষেরও অনেক গাফিলতি আছে। এছাড়া অনেকে নতুন বাড়ি করার জন্য ড্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব।”

অতি দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছেন পূর্ব বর্ধমানের পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির ব্যবসায়ীরা। জমা জল সরানোর ব্যবস্থা না করা হলে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পূর্বস্থলীর পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির বহু ব্যবসায়ী। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বর্ষা। আর তার আগে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী