মেখলিগঞ্জ: আচমকাই এক অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তীব্র চাঞ্চল্যের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরির এলাকার বাসিন্দাদের বর্তমানে আতঙ্কের মাঝেই দিন কাটছে প্রতিনিয়ত। এলাকায় চিতাবাঘ রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার বন দফতরের কর্মীরা এলাকায় পৌঁছন। জন্তুর পায়ের ছাপটি পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। তবে চিতাবাঘের উপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিগত দুদিন থেকে গোটা এলাকায় গভীর রাতে কুকুরগুলো বেশ চিৎকার করেছে। তারপর পরদিন বিভিন্ন জায়গায় অজানা এক জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ছাপগুলি চিতাবাঘের বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই গোটা এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামলে কেউ আর বাড়ি থেকে বেরতে চাইছেন না। ভয়ে বাচ্চাদের দিনের আলোতেও বাড়ি থেকে বার করতে চাইছেন না অভিভাবকেরা। গবাদি পশুগুলিকেও মাঠে নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ। এই আতঙ্কের কারণে অনেকেই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাননি।
আরও পড়ুন: ক্ষেতে ফলন-খাতায় কবিতা, প্রান্তিক জেলার বি.এড পাশ কৃষক বুঁদ সাহিত্যচর্চায়, জানুন জীবনকাহিনি
আরও পড়ুন: হিউয়েন সাং, মেগাস্থিনিস’র মত পরিব্রাজক হতে চান তারকেশ্বরের যুবক, সাইকেলে পাড়ি বাংলাদেশ
বন দফতরের মাথাভাঙা রেঞ্জার সুদীপ দাস জানান, “পায়ের ছাপগুলি দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শেয়ালের কিংবা বন বিড়ালেরও হতে পারে। কারণ চিতাবাঘের পায়ের ছাপের মধ্যে কখনও নখের চিহ্ন পাওয়া যায় না। শুধুই থাবার ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকার মানুষদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। এবং বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় খাঁচা বসানো হচ্ছে।
সার্থক পণ্ডিত