Category Archives: কোচবিহার

NBSTC Special Bus: ট্রেনের পর এবার লেডিস স্পেশ্যাল বাস! কোন জেলায় কোন রুটে চলবে জেনে নিন

কোচবিহার: এবার এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম। দুর্গাপুজোর আগে একটা বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম।

মহিলাদের সুবিধার জন্য জন্য এবার বিশেষভাবে চালানো হবে “লেডিস স্পেশ্যাল বাস”। এই লেডিস স্পেশ্যাল বাসগুলিতে শুধুমাত্র মহিলা যাত্রীরাই উঠতে পারবেন। আপাতত তিনটি রুটে এই বাস পরিষেবা শুরু করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “মহিলা যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই বাস শুরু করা হচ্ছে। ৪০ সিটারের এই লেডিস স্পেশ্যাল বাসটি মূলত তিনটি রুটে চালানো হবে আপাতত। মোট চারটি করে ট্রিপ দেবে বাসগুলি। কোচবিহার থেকে দিনহাটা, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার এছাড়া জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি রুটে চলবে বাসগুলি। বাসের সামনে এবং পিছন দিকে গোলাপি রঙের মধ্যে সাদা দিয়ে লেখা থাকবে লেডিস স্পেশ্যাল। এছাড়াও বাসের ডিজাইনেও কিছুটা পরিবর্তন করা হচ্ছে। যাতে এক ঝলকে দেখেই সহজে বোঝা সম্ভব হয় বাসটি লেডিস স্পেশ্যাল।”

আরও পড়ুন: রোজ খাবারের পাতে শসা খান? শরীরে কী হচ্ছে এর ফলে জানেন? চিকিৎসকের অবাক করা দাবি

তিনি আরও জানান, “অফিস যাতায়াতকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাতায়াতের জন্য অফিস টাইম থেকেই শুরু করা হবে বাসগুলিকে। বাসের কন্ডাক্টর রাখা হচ্ছে একজন মহিলাকে। যাতে মহিলাদের সুবিধা হয়। তবে আপাতত বাসের চালক একজন পুরুষ থাকলেও, পরবর্তী সময়ে মহিলা চালক রাখা হবে সেই চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে কী হবে জানেন? শরীরের এই পরিবর্তনগুলো শুনলে চমকাবেন! জানুন ডাক্তারের কথা

বর্তমান সময় বাসের ভাড়া সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানানো সম্ভব হয়নি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে। তবে বাসের ভাড়া কিন্তু একেবারেই সামান্য রাখা হবে এমনটাই জানানো হয়েছে।

Sarthak Pandit

Durga Puja 2024: পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাপুজোয় দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ প্রথা! প্রয়োজন বিশেষ এলাকার মাটি

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: রাজ আমলের কোচবিহারে সূচনা হয়েছিল কোচবিহারের বড় দেবীর পুজোর। সেই পুজো আজকে প্রায় দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুরন। এখনও সেই প্রাচীন রীতি ও প্রথা মেনে পুজো করা হচ্ছে বড় দেবীর। কোচবিহারের দেবী বাড়ির মন্দিরে রাজ আমলের প্রথা মেনে মূর্তি নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর। আর তারপর সেখানেই পুজো করা হয় দুর্গা পুজোর সময়। দীর্ঘ সময়ের প্রাচীন এই পুজোকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দ সমাগম ঘটে। তবে এই দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ কিছু প্রথা রয়েছে।

দীর্ঘ সময়ের বংশ-পরম্পরায় বড় দেবীর মূর্তি তৈরি করার কারিগর প্রভাত চিত্রকর জানান, “ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ডের উপর ভিত্তি করে দেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। খড়, বাঁশ, সুতো এবং মাটি দিয়েই হয় এই প্রতিমা নির্মাণ। তবে এসবের মধ্যেও রয়েছে রীতি ও নিয়ম। যেমন দেবীর প্রতিমা নির্মাণ বংশ পরম্পরায় তাঁরাই করে আসছেন। দেবীর রূপ পরির্বতন হয় না। ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ড ছাড়া দেবীর মূর্তি নির্মাণ হবে না। চামট এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর প্রতিমা অসম্পূর্ণ থাকবে। মোট তিন ধরনের মাটি দেওয়া হয় দেবীর প্রতিমায়।”

কোচবিহার মদনমোহনবাড়ির দেওড়ি অমর কুমার ঘোষ জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বলরামপুরের চামটা এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর মূর্তিতে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয় না। এই মাটি আনতে আগে সেখানে বিশেষ পুজো করে তারপর আনতে হয়। সেই প্রথা দীর্ঘ রাজ আমল থেকেই চলে আসছে। এছাড়া দেবীর পুজোর মধ্যেও রয়েছে বিশেষ কিছু বিষয়। যেই বিষয়গুলি এই দেবীর পুজোকে আর পাঁচটা দুর্গা পুজোর চাইতে আলাদা করে তোলে। তাই তো বহু মানুষের ভিড় জমে এই বড় দেবীর পুজোয় প্রতি বছর।”

আরও পড়ুন : চলছে আশ্বিন মাস! এই খাবারগুলি খেলেই রোগে দেউলিয়া হয়ে যাবেন! জানুন পঞ্জিকার মত

জেলা কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজো উপলক্ষে প্রায় সারা বছর ধরেই অপেক্ষা করতে থাকে কোচবিহারের মানুষেরা। দীর্ঘ রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো দূরদূরান্তের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে। তাইতো কোচবিহারের এই পুজোয় শুধুমাত্র কোচবিহারবাসী নয়, বাইরেরও বহু মানুষেরা ঘুরতে আসেন।

Durga Puja Food: ইয়ামি টেস্টি নান, সঙ্গে এত্তখানি বাটার, এই রেস্তোঁরা পুজোর সময় তুফান তুলবে

: বর্তমান সময়ে অগ্নিমূল্যের বাজারে সস্তায় সুস্বাদু খাবার পাওয়া কিছুটা হলেও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার জেলা কোচবিহারের সদর শহরের মাঝে এক অভিনব রেস্তোরাঁ সকলকে সস্তায় খাবারের সুযোগ দিচ্ছে। তবে সস্তায় বলে কম সুস্বাদু কিন্তু নয়। দারুণ সুস্বাদু খাবার রয়েছে এই রেস্তোরাঁয় খাবারের তালিকায়। 
: বর্তমান সময়ে অগ্নিমূল্যের বাজারে সস্তায় সুস্বাদু খাবার পাওয়া কিছুটা হলেও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার জেলা কোচবিহারের সদর শহরের মাঝে এক অভিনব রেস্তোরাঁ সকলকে সস্তায় খাবারের সুযোগ দিচ্ছে। তবে সস্তায় বলে কম সুস্বাদু কিন্তু নয়। দারুণ সুস্বাদু খাবার রয়েছে এই রেস্তোরাঁয় খাবারের তালিকায়।
ইতিমধ্যেই যে খাবারটি সকলের নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে তা হল বাটার নান। মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যে বাটার নান কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এই রেস্তরাঁয়। কোচবিহারের দাস ব্রাদার্স মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যেই যে খাবারটি সকলের নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে তা হল বাটার নান। মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যে বাটার নান কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এই রেস্তরাঁয়। কোচবিহারের দাস ব্রাদার্স মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
রেস্তোরাঁর কর্ণধার বিশাল সিং জানান, "একটা সময় তিনি নামি একটি রেস্তোরাঁয় রাধুনীর কাজ করতেন। তখন তিনি দেখেছেন বহু মানুষকে ভাল খাবার খেতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করতে। আবার অনেকেই পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও সেই খাবার খেতে পারেননি। তাইতো তিনি নিজের রেস্তোরাঁ শুরু করার পর কম দামে ভাল মানের এবং সুস্বাদু খাবার সকলের জন্য নিয়ে এসেছেন। বর্তমান সময়ে রেস্তোরাঁয় মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যের বাটার নান সকলের পছন্দের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ কিনতে আসছেন এই খাবার।"
রেস্তোরাঁর কর্ণধার বিশাল সিং জানান, “একটা সময় তিনি নামি একটি রেস্তোরাঁয় রাধুনীর কাজ করতেন। তখন তিনি দেখেছেন বহু মানুষকে ভাল খাবার খেতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করতে। আবার অনেকেই পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও সেই খাবার খেতে পারেননি। তাইতো তিনি নিজের রেস্তোরাঁ শুরু করার পর কম দামে ভাল মানের এবং সুস্বাদু খাবার সকলের জন্য নিয়ে এসেছেন। বর্তমান সময়ে রেস্তোরাঁয় মাত্র কুড়ি টাকা মূল্যের বাটার নান সকলের পছন্দের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ কিনতে আসছেন এই খাবার।”
রেস্তোরাঁর রাঁধুনি সুশান্ত বর্মন জানান, "রেস্তোরাঁয় আসা বেশিরভাগ মানুষ শুধুই নান অর্ডার করে থাকেন। তবে শুধুমাত্র বাটার নান নয়। বাটার নানের পাশাপাশি পনির এবং চিকেনের রকমারি সুস্বাদু খাবার রয়েছে একেবারেই কম দামে। সেগুলিও মানুষ খেতে দারুণ পছন্দ করছে।"
রেস্তোরাঁর রাঁধুনি সুশান্ত বর্মন জানান, “রেস্তোরাঁয় আসা বেশিরভাগ মানুষ শুধুই নান অর্ডার করে থাকেন। তবে শুধুমাত্র বাটার নান নয়। বাটার নানের পাশাপাশি পনির এবং চিকেনের রকমারি সুস্বাদু খাবার রয়েছে একেবারেই কম দামে। সেগুলিও মানুষ খেতে দারুণ পছন্দ করছে।”
রেস্তোরাঁর এক গ্রাহক অভীক কর্মকার জানান, "দুর্গা পুজোর সময় নিজের পরিবারের মানুষদের কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে থাকেন সকলে। মাঝে আসে খাবার পালা। সেক্ষেত্রে এই রেস্তোরাঁর আর কোন বিকল্প হতে পারে না। একেবারে কম দামে এখানের সুস্বাদু বাটার নান সকলের পছন্দ হবে।"
রেস্তোরাঁর এক গ্রাহক অভীক কর্মকার জানান, “দুর্গা পুজোর সময় নিজের পরিবারের মানুষদের কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে থাকেন সকলে। মাঝে আসে খাবার পালা। সেক্ষেত্রে এই রেস্তোরাঁর আর কোন বিকল্প হতে পারে না। একেবারে কম দামে এখানের সুস্বাদু বাটার নান সকলের পছন্দ হবে।”
ইতিমধ্যেই এই রেস্তোরাঁর নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে জেলায়। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই রেস্তোরাঁয় আসছেন এখানে সুস্বাদু বাটার নানের স্বাদ নিতে। তবে দুর্গা পুজোর সময় এই রেস্তোরাঁর চাহিদা আরও কয়েকগুন বাড়তে চলেছে এটুকু নিশ্চিত। Input- Sarthak Pandit
ইতিমধ্যেই এই রেস্তোরাঁর নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে জেলায়। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই রেস্তোরাঁয় আসছেন এখানে সুস্বাদু বাটার নানের স্বাদ নিতে। তবে দুর্গা পুজোর সময় এই রেস্তোরাঁর চাহিদা আরও কয়েকগুন বাড়তে চলেছে এটুকু নিশ্চিত। Input- Sarthak Pandit

Durga Puja 2024: সিদ্ধেশ্বরী রূপে পূজিতা দেবী দুর্গা, ২০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরে ভক্ত সমাগম দুর্গাপুজোয়

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলায় রাজ আমল এবং তার থেকেও পুরনো বহু প্রাচীন মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। আর এই মন্দির গুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এমনই এক প্রাচীন মন্দিরের নাম সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। আর এই মন্দিরের নাম থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে সিদ্ধেশ্বরী। জেলা কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকার বাণেশ্বর শিব মন্দিরের পাশ দিয়েই রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে আসার রাস্তা। এই মন্দিরে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। তাই দুর্গা পুজোর সময় এখানেও দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়।

সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত ধীরেশ্বর দেবশর্মা জানান, ‘‘মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকেই দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হচ্ছে এখানে। তবে এই মন্দিরের একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকে এই মন্দিরে কোনওদিন প্রতিমা পুজো হয়নি। শুরুর সময় থেকেই ঘটের মধ্যে দুর্গার পুজো করা হয়ে থাকে এখানে। তবে ঘটের মধ্যে করা হলেও, পুজোয় জাঁকজমক থাকে অনেকটাই। গোটা গ্রামের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোয় যোগদান করে থাকেন। যদিও বর্তমান সময়ে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব পালন করে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।’’

আরও পড়ুন : ছাতা তুলে ধরলেন ‘একদিনের রাজা’! ভাদ্র সংক্রান্তিতে পুরুলিয়ায় পালিত মানভূমের প্রাচীন রীতি

এলাকার দুই স্থানীয় বাসিন্দ কার্তিক বর্মন ও চারুবালা রায় জানান, ‘‘ রাজ আমল থেকেও পুরনো এই মন্দির। এই মন্দিরের স্থাপনের বিষয় নিয়ে এখনোও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু জানতে পারা যায় এই মন্দির বাংলার ১২৮৪ সালে প্রথমবার মেরামতি করা হয়েছিল। তাই মনে করা হয় এই মন্দির সেই সময়ের আগেও এখানে ছিল। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। স্থানীয় মানুষেরা যেমন এই পুজোয় আসেন, তেমনই দূর-দূরান্তের মানুষও এই মন্দিরের পুজো দেখতে ভিড় জমান এখানে। পুজোর দিনে এখানে প্রচুর খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।”

জেলা কোচবিহারের এই অতি প্রাচীন মন্দির জেলার বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। তাই এবার দুর্গা পুজোর ছুটিতে প্রাচীন দুর্গা পুজো এবং ইতিহাসের খোঁজে এই সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের ঘুরতে আসতে পারেন। একেবারে অন্যরকম এক অনুভূতির সাক্ষী থাকতে পারবেন এই মন্দিরে এলেই।

Durga Puja 2024: আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে সমস্যা বাড়ছে! প্রতিমা নির্মাণে বাধার মুখে শিল্পীরা

কোচবিহার: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি দুর্গা পুজোর। তাইতো জেলার প্রায় প্রতিটি প্রতিমা কারখানায় দুর্গা পুজোর তোড়জোড় চলছে। বর্তমান সময়ে প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিনিয়ত ব্যস্ততার মাঝেই সময় কাটাচ্ছেন। জেলায় এবার বেশ কিছু বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তাইতো বিগ বাজেটের প্রতিমা তৈরির কাজ চাপের মুখে ফেলেছে প্রতিমা শিল্পীদের। প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিনিয়ত এই সমস্ত বিগ বাজেটের প্রতিমা নির্মাণের কাজ করে চলেছেন। তবে শুধুমাত্র বিগ বাজেটের মূর্তি নয়। রয়েছে অন্যান্য পুজোর মূর্তি নির্মাণের কাজও।

প্রতিমা শিল্পী নরেন পন্ডিত জানান, “জেলা কোচবিহারে এবার বিভিন্ন এলাকায় বিগ বাজারের পুজো রয়েছে। ফলে দুর্গা প্রতিমার নির্মাণের কাজ করেছে অনেকটাই বেশি। এখনো পর্যন্ত তাঁদের প্রতিমা কারখানায় ২৫ থেকে ৩০ টি মূর্তি নির্মাণের কাজ রয়েছে। প্রায় সবগুলি অর্ডার হওয়া মূর্তি। অর্ডার ছাড়া আর মূর্তি এখনো নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি তাঁরা। তবে এরই মাঝে আবহাওয়ার খামখেয়ালি রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে তাঁদের। যেকোনো সময়ে হঠাৎ করেই বৃষ্টি নেমে পড়ছে। আর তাতেই আবহাওয়া ঠাণ্ডা হয়ে গিয়ে মূর্তির মাটি শুকোতে সমস্যা হচ্ছে অনেকটাই বেশি পরিমাণে।”

আরও দুই প্রতিমা শিল্পী সঞ্জীব পাল ও জয়দেব পাল জানান, “বিগ বাজেটের প্রতিভা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে আগেই। বর্তমান সময়ে ছোট মূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে কারখানায়। তবে আগামীকাল বিশ্বকর্মা পুজো থাকার কারণে সেই মূর্তি নির্মাণের কাজও করতে হয়েছে বেশ অনেকটাই। তাইতো ও চাপ ছিল বেশ অনেকখানি। তবে বিগ বাজেটের প্রতিমা নির্মাণ হয়ে যাওয়ার কারণে চাপ কমে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিমা বাইরে রোদে শুকোতে দিলে হঠাৎ করেই বৃষ্টি নেমে গিয়ে অসুবিধায় ফেলছে। আর এতেই নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে অনেকটা।”

আবহাওয়ার খামখেলিতে আচমকাই হওয়া বৃষ্টিপাত সমস্যার সৃষ্টি করছে। তবে বর্তমান সময়ে চাপ থাকলেও মুনাফা বেশি হওয়ার আশায় দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। এক একটি প্রতিমা কারখানায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টির মতো মূর্তি তৈরি হচ্ছে এই বছর। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই সংখ্যাটি নেহাত কম নয়।

Sarthak Pandit

North Bengal:বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ বদলে গেল বিষাদে, আর বাড়ি ফেরা হল না পড়ুয়ার, যা হল…

কোচবিহার: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন  তোর্ষা নদীর ফাঁসির ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল চার বন্ধু। কিন্তু  মুহূর্তেই নদীতে স্নান করার আনন্দ পাল্টে গেল বিষাদে। চার বন্ধুর মধ্যে এক বন্ধু ভেসে  যায় নদীতে স্রোতে। বছর ১৫-র সেই ছেলের  নাম দেবাশিস দাস।

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জীব বসাক জানান, “চারটি ছেলে নদীতে স্নান করতে নেমেছিল। তখন নদীতে নৌকা পারাপার চলছিল অন্যান্য দিনের মতো। হঠাৎ করেই চারটি ছেলের মধ্যে একটি ছেলে জলের স্রোতে নদীতে তলিয়ে যায়। মুহূর্তে এলাকার মানুষ উদ্ধারে নামলেও ছেলেটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল এসে স্পিড বোট ও ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছেলেটি খুব ছোট বয়সেই বাবাকে হারিয়েছে। বাড়িতে অসহায় মা। ছেলেটি নবম শ্রেণীর ছাত্র। বাড়ি কোচবিহারের অমরতলা এলাকায়। ছেলে হারানোর শোকে পাথর একাকি মা। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। নিখোঁজ ছেলেটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাঁতার না জানা এবং অসর্তক ভাবে নদীতে স্নান করতে নামার ফলেই ঘটনাটি ঘটেছে, এমনটাই জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে আগেও এই জায়গায় বেশ কয়েকবার নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Sarthak Pandit

Amrit Bharat Station: আনন্দের খবর! অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় এবার বাংলার ‘এই’ স্টেশন! খুশ স্থানীয়রা

দিনহাটা: জেলা কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মহকুমা দিনহাটা। আর এই কারণেই এই মহকুমার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। এই মহকুমা শহরের মাঝেই রয়েছে দিনহাটা স্টেশন। যেই স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশনের প্রকল্পের আওতায় উন্নত করে তোলা হচ্ছে। আর সেই স্টেশন উন্নত করে তোলার কাজ চলছে অনেকটাই দ্রুত গতিতে ফলে খুশি বহু মানুষ। দ্রুত এই স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে। এছাড়া এই স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া স্টেশন হওয়ার ফলে গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই এই স্টেশনের।

স্টেশন চত্বরের এক ব্যবসায়ী গৌতম পাল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই স্টেশন সাধারণ মানুষের কাছে ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছিল। এই স্টেশনে ট্রেন সংখ্যা ছিল একেবারেই সামান্য। ফলে নিত্যযাত্রীদের কোচবিহারে এসেই ট্রেন ধরতে হত। তবে এই স্টেশন যদি উন্নত করে তোলা হয়। তবে ভবিষ্যত দিনে এই স্টেশনের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে উঠবে। ফলে সুবিধা পাবেন বহু সাধারণ মানুষ। এতে দিনহাটা মহকুমা শহরের উন্নতি হবে, পাশপাশি উন্নতি হবে জেলা কোচবিহারের। এছাড়া মানুষের আনাগোনা বেড়ে উঠলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও বেড়ে উঠবে।”

দিনহাটা শহরের এক টোটো চালক সন্তোষ সাহা এবং ট্রেনের এক নিত্য যাত্রী বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “স্টেশনের কাজ যেভাবে দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। এতে খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হয়ে যাবে সমস্ত কাজ। তারপরে অনেকটাই সুবিধা হবে বহু মানুষের। মহকুমা শহরে অবস্থিত এই স্টেশনের গুরুত্ব পরবর্তী সময়ে আরও বেড়ে উঠতে চলেছে। তাই তো সাধারণ মানুষের মধ্যে স্টেশন নিয়ে এক আলাদা উদ্দীপনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে কত দিনে এই স্টেশনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এই নিত্যযাত্রীদের এই স্টেশন অনেকটাই সুবিধা করে দেবে।”

ভারতের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্টেশন কে এই প্রকল্পের আওতাধীন করে উন্নত করে তোলা হচ্ছে। তবে জেলা সদর শহরের স্টেশন নয়। কোচবিহারের মহকুমা শহরের দিনহাটা স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে। প্রথম থেকেই খুশির আবহাওয়া ছিল দিনহাটাবাসীর মধ্যে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এই স্টেশনের গুরুত্ব শুধু সময় থেকেই ছিল অনেকটাই বেশি।

Sarthak Pandit

Viswakarma Puja 2024: বিশ্বকর্মা পুজোয় নজরকাড়া থিম এনবিএসটিসির! কোচবিহার ডিপোয় বিরাট আয়োজন

কোচবিহার: কোচবিহার ডিপোতে প্রতিবছর ধুমধাম এর সঙ্গে আয়োজন করা হয় বিশ্বকর্মা পুজো। জেলার পাশাপাশি বাইরের বহু মানুষ এই বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে আসেন এখানে। তবে এই পুজোর মূল একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এই বিশেষত্ব হল পুজোর জন্য এখানের কর্মীরা নিজেদের হাতে থিমের আয়োজন করেন। তাই পুজোর সময় ছোট থেকে বড় বহু মানুষ এখানে আসেন পুজো দেখতে।

এখানে দুই কর্মী নিতাই চন্দ্র কর্মকার ও রাধেশ্যাম বিশ্বকর্মা জানান,”বিশ্বকর্মা পুজোর সময় এই থিম তৈরির বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে আসছে। তাইতো এই প্রথা তাঁরা বন্ধ করতে চান না। পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে এই থিম তৈরির কাজে মেতে ওঠেন তাঁরা। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয় এই গোটা থিমটি। সকলের বেশ পছন্দও হয়।”

আরও পড়ুন: ভাসমান আবর্জনা ভেবে উপড়ে ফেলে দেন? কচুরিপানার ফুলেই কমে দাঁতের ব্যথা থেকে কোলেস্টেরল! ফুটফুটে হয় ত্বক

এ বছর তাঁরা বানিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণের মাখন চুরির গল্প। তাছাড়াও রয়েছে ভূতের দুষ্টুমি। ‌যা ছোটদের মন কেড়েছে। জেলায় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজনের জাঁকজমক দেখতে পাওয়া যায় সর্বত্র। তবে থিমের পুজো হিসেবে অনেকটা খ্যাতি অর্জন করতে পেরেছে এই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের বিশ্বকর্মা পুজো।

Sarthak Pandit

Durga Puja 2024: ৬০ বছরের দুর্গাপুজোয় বিশেষ চমক তো হবেই! দিনহাটার পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে

দিনহাটা: দুর্গাপুজোর থিমের আকর্ষণ বেশ কয়েক বছর যাবৎ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে দিনহাটা মহকুমায়। চলতি বছরেও সেই বিষয়টির অন্যথা হয়নি। এবারেও বিগ বাজেটের বড় দুর্গাপুজো রয়েছে দিনহাটা মহকুমা এলাকায়।

দিনহাটা বোর্ডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবার ৬০তম বছরে পদার্পণ। তাই এবার আকর্ষণীয় থিম তৈরি করা হচ্ছে এই পুজো কমিটির দুর্গাপুজোয়। জেলার বাইরের একদল শিল্পী দিনরাত এখান থেকেই তৈরি করছে এই বিশেষ থিম।

পুজো কমিটির সভাপতি শুভময় চক্রবর্তী জানান, “বর্তমানে তাঁদের পুজো অনেকটাই বড় মাপের করা হয়। প্রতি বছর তাঁদের পুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের মধ্যে আকর্ষণ থাকে। তাই এবার এই বিশেষ থিম তাঁরা তৈরি করছেন। তাঁরা আশা করছেন এই থিম সকল মানুষের দারুণ পছন্দ হবে। এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়টি সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে। ভবিষ্যৎ দিনে মানুষ আরও অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠবে। তবে এই থিম তৈরি করা হচ্ছে জেলার বাইরের শিল্পীদের দ্বারা।”

আরও পড়ুন: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি কী কী?

দিনহাটা বোর্ডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, শুধুমাত্র থিমেই নয়, থিমের পাশাপাশি দেবী দুর্গার মূর্তির মধ্যেও রয়েছে বিশেষ চমক। একেবারে অন্যরকম এবং নতুনত্ব বিষয়ে তুলে ধরা হবে তাদের দুর্গাপুজোর মধ্যে চলতি বছরে।” এছাড়া থিমের শিল্পী স্বপন সরকার জানান, “দুর্গাপুজোর থিমের বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই উত্তেজনা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। থিমের প্রতিটি অংশে বিশেষ চমক রয়েছে। আর সেই বিষয়টি সকল মানুষের পছন্দ হবে এটুকু নিশ্চিত। এছাড়া এই থিম সকলের মনে দাগ কাটবে।”

আরও পড়ুন: একজন ডাক্তার হয়ে সন্দীপ কীভাবে করলেন এমন ভয়ানক কাজ? মুর্শিদাবাদ থেকে যে অভি‌যোগ উঠছে শুনলে গা গুলিয়ে উঠবে!

জেলা কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা প্রতি বছর বাজেটের পুজো উপহার দেয়। চলতি বছরে দিনহাটায় বিগ বাজারে পুজোর সংখ্যা কিছুটা কমলেও থিমের চমক রয়েছে অনেকটাই। দিনহাটা বোডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির এই পুজো চলতি বছরে জেলার এবং জেলার বাইরের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করবে। ইতিমধ্যেই এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে আলাদা উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ উৎসাহিত হয়ে রয়েছেন এই পুজো কমিটির থিম দেখার জন্য।

Sarthak Pandit

Water Hyacinths Benifits: ভাসমান আবর্জনা ভেবে উপড়ে ফেলে দেন? কচুরিপানার ফুলেই কমে দাঁতের ব্যথা থেকে কোলেস্টেরল! ফুটফুটে হয় ত্বক

আমাদের চারিপাশের পুকুরে কিংবা জলাশয়ে প্রায়শই এই বিশেষ জলজ উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া এই উদ্ভিদের মধ্যে ফোটা এই বিশেষ হালকা নীল রঙের ফুল দেখতে দারুণ আর্কষণীয়।
আমাদের চারিপাশের পুকুরে কিংবা জলাশয়ে প্রায়শই এই বিশেষ জলজ উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া এই উদ্ভিদের মধ্যে ফোটা এই বিশেষ হালকা নীল রঙের ফুল দেখতে দারুণ আর্কষণীয়।
অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, দেখতে সুন্দর এই ফুল ও জলজ কচুরিপানা শুধুই সুন্দর নয়। এতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে উদ্ভিদটিকে।
অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, দেখতে সুন্দর এই ফুল ও জলজ কচুরিপানা শুধুই সুন্দর নয়। এতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে উদ্ভিদটিকে।
কচুরিপানা ত্বকের বিভিন্ন কালচে দাগ এমনকি রোদে পোড়া ভাবও কমিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। কচুরিপানার রস প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হয় অনেকটাই।
কচুরিপানা ত্বকের বিভিন্ন কালচে দাগ এমনকি রোদে পোড়া ভাবও কমিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। কচুরিপানার রস প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হয় অনেকটাই।
একজিমা হলে ভরসা রাখতে পারেন কচুরিপানায়। এতে থাকা প্রদাহবিরোধী উপাদান একজিমা সারাতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে একজিমার স্থানে কচুরিপানা বেটে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
একজিমা হলে ভরসা রাখতে পারেন কচুরিপানায়। এতে থাকা প্রদাহবিরোধী উপাদান একজিমা সারাতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে একজিমার স্থানে কচুরিপানা বেটে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কচুরিপানা উদ্ভিদের পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁত ও গলার ব্যথা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। কচুরিপানার কয়েকটি পাতা জলে ফুঁটিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গেল করলে ব্যথা কমে যায়।
কচুরিপানা উদ্ভিদের পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁত ও গলার ব্যথা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। কচুরিপানার কয়েকটি পাতা জলে ফুঁটিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গেল করলে ব্যথা কমে যায়।
কচুরিপানায় রয়েছে হাইপোকোলেস্টেরোলেমিক উপাদান। এই উপাদান রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে কচুরিপানা সেদ্ধ জল পান করা কিংবা বিভিন্ন পদ খেতে পারেন।
কচুরিপানায় রয়েছে হাইপোকোলেস্টেরোলেমিক উপাদান। এই উপাদান রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে কচুরিপানা সেদ্ধ জল পান করা কিংবা বিভিন্ন পদ খেতে পারেন।
হাজারো উপকার থাকা স্বত্ত্বেও এই জলজ উদ্ভিদটি কখনো সেদ্ধ না করে খাওয়া যাবে না। নাহলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে যাঁরা সর্দি কাশিতে ভুগছেন তাঁরা কচুরিপানা ব্যবহার না করা ভাল।
হাজারো উপকার থাকা স্বত্ত্বেও এই জলজ উদ্ভিদটি কখনো সেদ্ধ না করে খাওয়া যাবে না। নাহলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে যাঁরা সর্দি কাশিতে ভুগছেন তাঁরা কচুরিপানা ব্যবহার না করা ভাল।