Category Archives: কোচবিহার

Health Tips: রোজ খালি পেটে ১টি পাতা ভেজানো এককাপ সাদা জল! অম্বল-বদহজমের ইতি, একদিনেই হাতেনাতে ফল

*বাড়ির রান্নায় ফোড়ন হিসাবে তেজপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। অ্যারোমাথেরাপিতেও এই পাতা ব্যবহারের চল রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে।
*বাড়ির রান্নায় ফোড়ন হিসাবে তেজপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। অ্যারোমাথেরাপিতেও এই পাতা ব্যবহারের চল রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, তেজপাতার রয়েছে অনেক গুণাগুণ। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতেও তেজপাতার ভূমিকা রয়েছে।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, তেজপাতার রয়েছে অনেক গুণাগুণ। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতেও তেজপাতার ভূমিকা রয়েছে।
*সিনেয়োল এবং ইউজেনল নামক দুটি উপাদান রয়েছে তেজপাতায়। তাই অম্বলের ধাত থাকলে সকালে তেজপাতা ভেজানো জল খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
*সিনেয়োল এবং ইউজেনল নামক দুটি উপাদান রয়েছে তেজপাতায়। তাই অম্বলের ধাত থাকলে সকালে তেজপাতা ভেজানো জল খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
*শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তেজপাতা। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত হয় অনেকটাই। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে করে।
*শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তেজপাতা। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত হয় অনেকটাই। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে করে।
*রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতা। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সকালে তেজপাতা জল খান।
*রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতা। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সকালে তেজপাতা জল খান।
*তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এটি শরীরের নানা কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করে। এছাড়াও ভিটামিন-C ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধান করে।
*তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এটি শরীরের নানা কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করে। এছাড়াও ভিটামিন-C ত্বক এবং চুলের সমস্যার সমাধান করে।
*ফাইবারের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হল তেজপাতা। জলের সঙ্গে মিশলে তা আরও সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে বিপাকহার উন্নত করে এটি।
*ফাইবারের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হল তেজপাতা। জলের সঙ্গে মিশলে তা আরও সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে বিপাকহার উন্নত করে এটি।

Love: ‌যুবতীর সঙ্গে উত্তাল প্রেম! পাঁশকুড়া থেকে মাথাভাঙা পৌঁছল প্রেমিকা! তারপর যা ঘটল তোলপাড়

মাথাভাঙা: প্রেমের টানে প্রায়শই ধর্ণা দিতে দেখা যায় বহু প্রেমিক ও প্রেমিকাকে। কোথাও প্রেমিকার টানে প্রেমিক। কোথাও বাবার প্রেমিকের টানে প্রেমিকাকে ধর্ণায় বসেন। ধর্ণার পরে পাড়া-পড়শির চাপে কিংবা লোক লোকজ্জার ভয়ে কিছুক্ষেত্রে মিলন হয় চার হাতের। আবার কোথাও পাকাপাকি বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে। তবে এবারে একেবারে অবাক করা ঘটনা ঘটল মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায়। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমা নিবাসী এক যুবতীর প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন পাঁশকুড়ার আর এক যুবতী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “কোচবিহারের মাথাভাঙার নিবাসী এক যুবতীর প্রেমের টানে পাঁশকুড়া এলাকার এক যুবতী ছাড়লেন নিজের ঘর। নিজের ঘর ছেড়ে সটান এসে উঠলেন মাথাভাঙা মহকুমা এলাকা নিবাসী মেয়ের বাড়িতে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে রীতিমতো ভিড় জমে যায় গোটা যুবতীর বাড়ির সামনে। সমকামী প্রেমের এই ঘটনা দেখে রীতিমতো অবাক এলাকার মানুষ। তবে পাঁশকুড়া এলাকার ওই যুবতী মাথাভাঙার যুবতীকে নিয়ে যেতে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছেন। তারপর বাড়ির লোকের খবর পাঠান মাথাভাঙা থানায়। খবর পেয়ে মাথাভাঙা থানার পুলিশ এসে সেই দুই যুবতীকে থানায় নিয়ে যায়। যদিও দুই যুবতীর দাবি তাঁরা দু’জনেই একসঙ্গে থাকতে চান এবং তাঁরা একে অপরকে অনেকটা ভালবাসেন।”

আরও পড়ুনঃ পুজোর মুখেই পদাতিক এক্সপ্রেসের সময়সূচি বদল! উত্তরবঙ্গগামী অন্যান্য ট্রেনেরও সময় পরিবর্তন, রইল নয়া টাইমটেবিল

আরও পড়ুনঃ বাজারে বাজারে পদ্মার ইলিশের বন্যা, মধ্যবিত্তের মুখেও চওড়া হাসি, শহর-শহরতলিতে কত টাকা কিলোয় বিকোচ্ছে?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মাথাভাঙার নিবাসী যুবতী আগেও একবার পালিয়ে পাঁশকুড়ার ওই যুবতীর বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েকদিন কাটিয়ে এসেছেন। যদিও পরে মাথাভাঙার যুবতীর বাড়ির লোকজন তাঁকে জোর করে নিয়ে আসেন বাড়িতে। এরপর মোবাইল ফোন ভেঙে দেন বাড়ির সদস্যরা, যাতে পাঁশকুড়ার যুবতী সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সম্পূর্ণ। তবে পাঁশকুড়ার ওই যুবতী এবারে মাথাভাঙার যুবতীকে নিয়ে যেতে হাজির হন তাঁর বাড়িতে।” তবে জেলায় এই ধরনের চিত্র খুবই কমই দেখা গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

Sarthak Pandit

Bangla: স্ত্রী থাকতেও প্রেমিকাকে ঘরে তুললেন এক ব্যক্তি, তারপরই সব শেষ! ভয়ঙ্কর ঘটনা কোচবিহারে

জামালদহ: জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭২ ঠুনকিরঝাড় এলাকা। এখানকার দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দা বছর ৩১ এর অশ্বিনী বর্মন। দু বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। এরপর এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অশ্বিনী। ঘটনায় সেই মহিলা বিয়ের দাবিতে অশ্বিনীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। স্থানীয়দের দাবি মতো অশ্বিনী তাঁকে নিজের ঘরে আশ্রয় দেন। এবং বিয়ের জন্য রাজি হন। তবে পরস্ত্রীকে ঘরে তুলতেই রীতিমতো খুন হতে হল অশ্বিনী বর্মনকে।

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার জামালদহ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: কোনও ছাড় নয়, দলের জন্য কঠিন ‘স্ট্র্যাটেজি’ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের! নিশানায় আসলে কারা?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বর্মন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বছর ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হলেও দুই বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান পারিবারিক অশান্তির জেরে। তাঁদের এক তিন বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। এরপরই একটি বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অশ্বিনী। সেই মহিলা বিয়ের দাবিতে অশ্বিনীর বাড়ির সামনে ধর্নায়ও বসেন। স্থানীয়দের দাবিমতো অশ্বিনী তাঁকে নিজের ঘরে আশ্রয় দিতে বাধ্য হন। তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই খুন করা হয় অশ্বিনীকে।

মৃতের মা মীনা বর্মন জানান, “ওই মহিলার আগের স্বামী এই খুনের ঘটনা ঘটাতে পারেন। মুখে কালো কাপড় বাঁধা দুই ব্যক্তি ধারালঅস্ত্র নিয়ে ঘরের সিদ কেটে ভেতর প্রবেশ করে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে বাড়ির মানুষেরা সেই দুই ব্যক্তির পিছু ধাওয়া করলেও তাঁরা পালিয়ে যায়। তাই তাঁদের পরিচয় জানতে পারা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় একটি খুনের মামলা রজু করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই অশ্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মহিলাকে আটক করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পরই খুনের কারণ নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

—— Sarthak Pandit

Sagardighi: সাগরদিঘিতে আবার হলটা কী! দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ, উপচে পড়ছে ভিড়, জানলে চমকে যাবেন

কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের রাজ আমলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দর্শন সাগরদিঘি। বর্তমান সময়ে সাগরদিঘি চত্বরে জেলার বহু প্রশাসনিক দফতর রয়েছে। তাই এই সাগরদিঘিকে জেলার প্রাণকেন্দ্র নামেও ডাকা বহু সময়। তবে বর্তমান সময়ে এই সাগর দিকে চত্বরকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে ফুটপথের রাস্তা। আর সাগরদিঘির সৌন্দর্যায়নের ফলে বর্তমান সময়ে পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা হলেও বেড়ে উঠেছে এই চত্বরে। এছাড়াও জেলার মানুষেরা দিনের বিভিন্ন সময়ে সাগরদিঘি চত্বরে এসে ভিড় জমাচ্ছেন।

জেলার এক পর্যটক কাঞ্চন চন্দ্র বর্মন জানান, “জেলা কোচবিহারের রাজ আমলের নিদর্শন এই সাগরদিঘি। তাইতো এইদিকেই হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘ সময় ধরে এই দিঘি জেলার পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়াও এই দিঘির চারপাশে জেলা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দফতর রয়েছে। শুনতে নামলেই এই চত্বরের চারপাশে একাধিক খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। তখন যেন জমজমাট পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায় সাগরদিঘি চত্বরের। তাই সাগরদিঘী সৌন্দর্যায়নের কাজ দিঘির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।”

আরও পড়ুন-   দিঘায় এবার তুলকালাম কাণ্ড…! কী এমন ঘটল? শুনেই সাগরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

জেলা কোচবিহারের রাজ আমলের এই ঐতিহ্য আগামী দিনেও পর্যটকদের আকর্ষণ করবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব। তবে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে কোচবিহার সাগরদিঘিকে পর্যটনে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে আবারও তৈরি করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা…! একাধিক প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ক্ষত-বিক্ষত জীবন, এবার যা করলেন ঐশ্বর্য… শুনলে আঁতকে উঠবেন

বর্তমান সময় দীর্ঘদিন ধরে সাগরদিঘি চত্ত্বর সৌন্দর্যায়নের কাজ চললেও তা সম্পন্ন হয়নি। ফলে যানজট সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক অনন্য সমস্যাও রয়ে গিয়েছে এলাকায়। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উচিত দ্রুত এই বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে জেলার বুক থেকে অচিরেই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হারিয়ে যেতে বসবে।

Sarthak Pandit

IMD Weather Update North Bengal: উত্তরবঙ্গে চরম দুর্যোগের পূর্বাভাস! আগামী দু’দিনে তছনছ হবে পাহাড় থেকে সমতল

উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চরম বৃষ্টিপাত হবে দার্জিলিঙে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চরম বৃষ্টিপাত হবে দার্জিলিঙে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। প্রতীকী ছবি।
ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায়। প্রতীকী ছবি।
ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায়। প্রতীকী ছবি।
আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলায় প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। প্রতীকী ছবি।
আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলায় প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। প্রতীকী ছবি।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহারে এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শুক্রবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। প্রতীকী ছবি।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহারে এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শুক্রবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। প্রতীকী ছবি।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলায়। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার প্রবল সম্ভাবনা। বৃষ্টির জন্য পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। প্রতীকী ছবি।‍
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলায়। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার প্রবল সম্ভাবনা। বৃষ্টির জন্য পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। প্রতীকী ছবি।

Bangla News: চলন্ত বাসে কলেজ পড়ুয়া তরুণীর সঙ্গে এ কী চলছিল? কোচবিহারে মারাত্মক ঘটনা

তুফানগঞ্জ: সরকারি বাসে বাড়ি ফিরছিলেন এক প্রথম বর্ষের কলেজ পড়ুয়া তরুণী। সেই বাসেই এক যুবক তাঁর সঙ্গে অসভ্য আচরণ করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয় দেখায়।

বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা কোনও ভাবেই সাহায্য করতে পারেননি তরুণীকে। এরপর ওই তরুণী তুফানগঞ্জ মহকুমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেন তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: সুনিধি চৌহানের প্রেম জীবন এত কষ্টের? ববিকে বিয়ে ‘চরম ভুল’, নাম জড়ায় সোনু নিগমের সঙ্গেও! জানলে শিউরে উঠবেন

তরুণী জানান, “সরকারি বাসে উঠতেই সে দেখে তাঁর পাশের সিটে বসেছিলেন এক যুবক। বাসটি চিলাখানা এলাকায় এসে পৌঁছতেই তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করে অভিযুক্ত ওই যুবক। বাসের অন্যান্য সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ওই যুবক তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিল। এছাড়া তাঁকে নানা ভাবে উত্তক্ত করতে শুরু করে। বারংবার সরে যেতে বললেও সেই যুবক কোনও প্রকার কর্ণপাত করেননি। গাড়ির অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে সাহায্য চাইলেও অভিযুক্ত ওই যুবককে সরাতে পারেনি বাকি যাত্রীরা। এরপর ওই যুবক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে এবং ভীতি প্রদর্শন করে তাঁকে। পরবর্তীতে সে তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।”

আরও পড়ুন: চশমা ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো, অনুব্রতকে দেখতে এসে মারাত্মক অবস্থা শ্যালকের! কী কাণ্ড জানেন?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “ওই তরুণী তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে যুবককে। এরপর তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্ত যুবককে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।”এই ঘটনার বিষয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “বেশ কিছু বাসে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু বাসে এখনও বাকি রয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশ ও ডিপোতে জানানো উচিত। তবে সরকারি সমস্ত বাসেই প্যানিক বাটন রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন যাত্রীরা।”

তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারি বাসের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। বারবার সমস্ত সরকারি বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও অধিকাংশ বাসে এখনও পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। এছাড়া বাসে থাকা প্যানিক বটন কতটা সচল রয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত কর্তৃপক্ষের।

Sarthak Pandit

Bangla Video: বাঁশ কাটার এক অদ্ভুত মেশিন তৈরি করলেন ইঞ্জিনিয়ার ম্যান, দেখুন

কোচবিহার: গ্রাম্য এলাকার এক ব্যক্তির দীর্ঘ সময় ধরে এই ব্যক্তির কারিগরী বিদ্যার প্রতি নেশা। আর এই নেশাই এই ব্যক্তিকে সকলের কাছে পরিচিত করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যান নামে। বর্তমান সময়ে এই ব্যক্তির তৈরি বিভিন্ন আকর্ষণীয় যন্ত্রপাতি সকলের মনে আকর্ষণ করে। এবার তিনি এক নতুন যন্ত্র তৈরি করেছেন সকলের সুবিধার জন্য। গ্রাম্য এলাকায় আজও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়। এর জন্য বাঁশকে বিভিন্নভাবে কাটার প্রয়োজন পড়ে। আর বাঁশকে পাতলা করে কাটার জন্য এই যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলে স্পিড বার, গতিতে রাশ টানতে ব্যবস্থা প্রশাসনের

ইঞ্জিনিয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন জানান, গ্রাম এবং শহরে বিভিন্ন বাড়িতে বাঁশের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়। এই জিনিসগুলি তৈরি করতে বাঁশ কাটতে হয় অনেকটা সময় ধরে। সময় লাগে অনেকটাই বেশি। এবং কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকও পাওয়া যায় না। তাই তিনি এই নতুন মেশিন তৈরি করেছেন। এই মেশিনের মধ্যে খুব সহজেই বাঁশ কেটে পাতলা ফালি তৈরি করা যাবে। যেখানে শ্রমিকের মাধ্যমে অনেকটা বেশি সময় স্বল্প কাজ করা সম্ভবত। সেখানে এই মেশিনের মাধ্যমে আরেকটা বেশি কাজ স্বল্প সময় করা যাবে।

তিনি আরও জানান, এই মেশিনটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ইলেকট্রিক মোটর, একটি চেন, একটি পুলি বেল্ট, আর কিছু ছোট ছোট যন্ত্রাংশ। মেশিনের বডি বানানো হয়েছে লোহার পাত দিয়ে। সব মিলিয়ে এই মেশিনটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে চল্লিশ হাজারের মতন। তবে এই মেশিনটি বেশ অনেকটাই কার্যকর বলে জানাচ্ছেন তিনি। এই মেশিন তৈরি করার পরেই বেশ কিছু অর্ডার আসতে শুরু করেছে তাঁর কাছে। তবে এই মেশিনের মধ্যে আরও কিছু উন্নত করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা শুরু করেছেন তিনি।

দিনের পর দিন যেভাবে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা কমে আসছে বাজার থেকে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এই যন্ত্র অনেকটাই সহায়তা করবে বহু মানুষের। যে সমস্ত মানুষেরা বাঁশের বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বিক্রি করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কাজ অনেকটাই সহজ করে দেবে এই যন্ত্র।

সার্থক পন্ডিত

Health Tips: সিগারেট, তামাক, খৈনি নাকি বিড়ি, কোনটা বেশি ক্ষতি করে শরীরে? চিকিৎসকের মত শুনলে চমকে ‌যাবেন

*তামাকজাত দ্রব্য ভারতের সব জায়গার মানুষ প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করে থাকেন। গ্রাম হোক কিংবা শহর তামাক ব্যবহার করা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে জায়গা বিশেষ ব্যবহারে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
*তামাকজাত দ্রব্য ভারতের সব জায়গার মানুষ প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করে থাকেন। গ্রাম হোক কিংবা শহর তামাক ব্যবহার করা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে জায়গা বিশেষ ব্যবহারে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
*গ্রামের মানুষ বেশির ভাগই বিড়ি, খৈনি বা গুটখা খায়। তবে শহরে সিগারেট ও খৈনির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিড়ি, খৈনি বা গুটখা খাওয়ার চেয়ে সিগারেট উত্তম, এই চিন্তাভাবনাও বদলাতে হবে দ্রুত।
*গ্রামের মানুষ বেশির ভাগই বিড়ি, খৈনি বা গুটখা খায়। তবে শহরে সিগারেট ও খৈনির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিড়ি, খৈনি বা গুটখা খাওয়ার চেয়ে সিগারেট উত্তম, এই চিন্তাভাবনাও বদলাতে হবে দ্রুত।
*অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যে প্রচুর নিকোটিন পাওয়া যায়। যখনই কোনও ব্যক্তি তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন, তখন শরীরে প্রবেশ করে এই উপাদান।
*অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যে প্রচুর নিকোটিন পাওয়া যায়। যখনই কোনও ব্যক্তি তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন, তখন শরীরে প্রবেশ করে এই উপাদান।
*তামাক পুড়িয়ে পান করা অনেকটাই বিপজ্জনক। যদি কারও সিগারেট বা বিড়ির নেশা থাকে। সেক্ষেত্রে সেই ধোঁয়া তার ফুসফুসে চলে যায়। যা তামাক খাওয়ার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক।
*তামাক পুড়িয়ে পান করা অনেকটাই বিপজ্জনক। যদি কারও সিগারেট বা বিড়ির নেশা থাকে। সেক্ষেত্রে সেই ধোঁয়া তার ফুসফুসে চলে যায়। যা তামাক খাওয়ার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক।
*সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় শুধুই নিকোটিন যায় না বরং ৪০০০-এর বেশি ক্ষতিকর দ্রব্য শরীরের ভেতরে যায়। যারা ধূমপায়ী শুধুই তারা নয়, তাদের কাছের যারা থাকেন, তারাও এই বিপদের কবলে পড়েন।
*সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় শুধুই নিকোটিন যায় না বরং ৪০০০-এর বেশি ক্ষতিকর দ্রব্য শরীরের ভেতরে যায়। যারা ধূমপায়ী শুধুই তারা নয়, তাদের কাছের যারা থাকেন, তারাও এই বিপদের কবলে পড়েন।
*সিগারেটের ধোঁয়া শুধুই ফুসফুসকেই প্রভাবিত করে না। এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। সিগারেট ও বিড়ির ধোঁয়ায় এক ডজনেরও বেশি ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
*সিগারেটের ধোঁয়া শুধুই ফুসফুসকেই প্রভাবিত করে না। এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। সিগারেট ও বিড়ির ধোঁয়ায় এক ডজনেরও বেশি ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
*শ্বাসকষ্ট ছাড়াও হাঁপানি, সিওপিডি, ফাইব্রোসিস, টিবি ইত্যাদির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও ধূমপায়ীদের দৃষ্টিশক্তি দ্রুত দুর্বল হয়ে যায় এবং চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই।
*শ্বাসকষ্ট ছাড়াও হাঁপানি, সিওপিডি, ফাইব্রোসিস, টিবি ইত্যাদির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও ধূমপায়ীদের দৃষ্টিশক্তি দ্রুত দুর্বল হয়ে যায় এবং চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই।
*তামাকজাত দ্রব্য চিবানো বা খেলে মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া পাকস্থলী, খাদ্যনালী, মূত্রথলি, স্বরযন্ত্র, কিডনি, অগ্ন্যাশয় ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
*তামাকজাত দ্রব্য চিবানো বা খেলে মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া পাকস্থলী, খাদ্যনালী, মূত্রথলি, স্বরযন্ত্র, কিডনি, অগ্ন্যাশয় ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
*তামাক রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। তাই যাঁরা এটি সেবন করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তামাক সেবনের কারণে দাঁত ক্ষয়ে যায়, দাঁতে দাগ পড়ে, মাড়ি উঠে যায় এবং মুখ খুলতে অসুবিধা হয়।
*তামাক রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। তাই যাঁরা এটি সেবন করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তামাক সেবনের কারণে দাঁত ক্ষয়ে যায়, দাঁতে দাগ পড়ে, মাড়ি উঠে যায় এবং মুখ খুলতে অসুবিধা হয়।

Durga Idol Artist: জেলায় এবার দুর্গা প্রতিমায় বিশেষ আকর্ষণ! কৃষ্ণনগরের শিল্পীদের হাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা

কোচবিহার: দুর্গাপুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে প্রায় প্রতিটি প্রতিমা কারখানায়। তবে এবার এক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে জেলার প্রতিমায়। যা আগে জেলার দুর্গা প্রতিমাগুলিতে দেখতে পাওয়া যেত না। সুদূর কৃষ্ণনগরের শিল্পীরা এই প্রতিমা তৈরি করতে এসেছেন। সাধারণ ভাবে দুর্গা প্রতিমার গায়ে জড়ানো থাকে রকমারি ডিজাইনের শাড়ি। তবে এবার সম্পূর্ণ মাটি, রঙ, আঠা ও অভ্র দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমার সাজসজ্জার উপকরণ, যা সকল মানুষের নজর আকর্ষণ করবে এটুকু নিশ্চিত।

আরও পড়ুন: আরজি করে ধর্ষণ-খুনে জড়িত নয় সন্দীপ- অভিজিৎ? আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

কৃষ্ণনগরের শিল্পী অভি বিশ্বাস জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর আগ্রহ ছিল এই কাজের প্রতি। তারপর একদিন তিনি এই কাজ শুরু করেন আর্থিক রোজগারের জন্য। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও যান এই কাজের জন্য। এখনও পর্যন্ত আগন্তি প্রতিমার অলঙ্করণের কাজ করেছেন তিনি। তাঁদের তৈরি এই সমস্ত মূর্তিগুলি সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দুর্গাপুজোয়। তাই প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক পড়ে তাঁদের। এবার তাঁরা এসেছেন কোচবিহারে তাঁদের শিল্পকর্ম সকলের সামনে তুলে ধরতে।

আরও পড়ুন: রান্নার তেলেই লুকিয়ে বিপদ! হার্ট ভাল রাখতে খাবারে এই ৫ তেল একদম ব্যবহার করবেন না

কৃষ্ণনগরের আর এক শিল্পী সুমিত সরকার জানান, একটা সময় তাঁর কাকার হাত ধরে এই কাজে যোগদান তাঁর, তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। তবে দিনের পর দিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে শিল্পের নৈপুণ্য বেড়েছে অনেকটাই। চলতি বছরে কোচবিহারের এক প্রতিমা কারখানায় তাঁদের ডাক পড়েছে। দীর্ঘ প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একাধিক মূর্তির কাজ করেছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখে বোঝা অসম্ভব যে এই মূর্তি গুলিতে মাটির শাড়ি পরানো রয়েছে। তবে শুধুমাত্র আর্থিক যোগানের জন্যই নয়। ভালবাসার তাগিদেও এই কাজ করতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যান তাঁরা।”

কোচবিহার জেলায় এই প্রথমবার এই ধরনের শিল্পের কাজ দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় একই ধরনের কাজ তৈরি হচ্ছিল জেলার প্রতিমা কারখানাগুলিতে। এবার সেই জায়গায় এই নতুন শিল্পের কাজ প্রতিমার চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে অনেকটাই। এছাড়া দুর্গাপুজোর থিম এবং সাজসজ্জার মাত্রাও আরও আকর্ষণীয় করেছেন শিল্পীরা।

Tourism: পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ সফর আরও সহজ! বিরাট সুখবর দিল NBSTC, টিকিটের দামও একেবারে কম

কোচবিহার: পুজোর আগে থেকেই দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ সফর হচ্ছে আরও অনেকটাই সহজ। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের পক্ষ থেকে শুরু করা হচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি বাস। মূলত দুই ধরনের বাস রয়েছে এই তালিকায়। একটি হল এসি রকেট বাস, অন্যটি নন এসি রকেট বাস। মোট ছ’টি নন এসি রকেট বাস শুরু করা হচ্ছে। এছাড়া এসি রকেট বাস রয়েছে মোট তিনটি। এই বাসগুলি শুরু হওয়ার ফলে যাত্রীদের দূরপাল্লায় চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। পুজোর মরসুমে যাতায়াত করা হবে অনেকটাই সহজ।

যাত্রী রাতুল দেবনাথ জানান, “বর্তমানে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের দূরপাল্লার রকেট বাসের সংখ্যা ছিল সামান্য। ফলে পর্যাপ্ত রকেট বাস না থাকার কারণে দূরপাল্লার চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হতো যাত্রীদের। তবে এবার থেকে সেই সমস্যা সমাধান হবে। ট্রেনের টিকিট না থাকলেও বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধাবেন যাত্রীরা।” বাসের আরেক যাত্রী প্রসেনজিৎ সরকার জানান, “পুজোর আগে থেকে এই দূরপাল্লার বাস গুলি শুরু করার জন্য যাত্রীরা কিছুটা হলেও বেশি সুবিধা পাবেন। ট্রেনের টিকিট এই সময়ে পাওয়া যায় না বললেই চলে। সেক্ষেত্রে বাসে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা।”

আরও পড়ুনঃ বাঁধ মানবে না যৌবন! ক্যালসিয়াম-আয়রন-জিঙ্কের খনি মাখনা, কখন- কীভাবে খেলে উপকার? জানুন

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “প্রতিবছর পুজোর আগে যাত্রীদের জন্য বিশেষ কিছু চমক নিয়ে হাজির হয় এনবিএসটিসি। এবারও তার অন্যথায় হচ্ছে না। চলতি মরসুমে মোট ছয়টি নন এসি রকেট বাস এবং তিনটি এসি রকেট বাস শুরু করা হচ্ছে। যার মধ্যে কোচবিহার সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস থেকে একটি এসি রকেট দুটি এবং নন এসি রকেট বাস চলবে। ফলে অনেকটাই সুবিধা হবে দূরপাল্লার যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীদের মধ্যে বাসের সংখ্যা নিয়ে যে সমস্যার কথা উঠে আসছিল। সেই সমস্যা বর্তমান সময়ে আর থাকবে না।”

আরও পড়ুনঃ অত্যন্ত কম দাম, বাজারে ইলিশের বন্যা! পুজোর মুখে মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি! জানলে আপনিও অবাক হবেন

আগামী দিনে উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গ সফর আরও অনেকটাই সহজ হয়ে উঠতে চলেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বেসরকারি বাস থাকলেও সরকারি বাসের সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। তবে এবার থেকে সেই অসুবিধা দূর হতে চলেছে একেবারেই। ফলে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। তবে এই পরিষেবা ভবিষ্যৎ দিনে সঠিকভাবে চলুক এমনটাই প্রত্যাশা প্রত্যেক যাত্রীর।

Sarthak Pandit