হাওড়া: বনসাইয়ের যত্ন কী ভাবে নেবেন! বর্তমানে সময়ে ছাদে অথবা বাগানে বা গাছ লাগানোর নেশা রয়েছে বহু মানুষের। সেই দিক থেকে গাছ লাগানো বা গাছের পরিচর্চা বিষয়ে প্রায় কম বেশি সকলেই জানেন। গাছে যত্ন করে ফল ফুল ফলানো যেমন সৌন্দর্য্য বাড়ায় তেমনি ঠিক ততটাই আনন্দের।
বনসাই গাছপালা ইট পাথরের শহরে কংক্রিটের বাড়িতে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি আদর্শ উপায়। ‘বনসাই’ শব্দটি এসেছে জাপানি শব্দ ‘বন’ (অর্থাৎ ট্রে) এবং ‘সাই’ (যার অর্থ বেড়ে ওঠা) থেকে। সুতরাং, বনসাই এর আক্ষরিক অর্থ হল ট্রেতে গাছ বাড়ানো। অর্থাৎ একটি ট্রে বা টবের মধ্যে প্রকৃতির প্রতিরূপ শৈল্পিক ভাবে তুলে ধরা যায়।
বসার ঘরে , বারান্দায় অথবা বাগানে বনসাই নিজে তৈরি করে অথবা কিনে এনে নিজের ঘরের বাগানের সৌন্দর্য কেনা বাড়াতে চায়? কিন্তু পরিচর্যার সঠিক নিয়ম না জানার জন্য ঠিক ভাবে বনসাই তৈরি করে বা কিনে এনে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রেখে সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যর্থ হয় মানুষ। আর এই বনসাই সঠিকভাবে পরিচর্যা কী ভাবে করবেন সে বিষয়ে আমাদের জানালেন বনসাই উৎপাদন ও পালনকারী। বনসাই গাছের ক্ষেত্রে মাটি যেমন গাছের উপযুক্ত রাখতে হবে সেই সঙ্গে পট বা টব গাছের সঙ্গে সামঞ্জস্য মিলিয়ে রাখা প্রয়োজন। যাতে বনসাই দীর্ঘদিন থাকে সেই ক্ষেত্রে, মানানসই একটু বড় টব রাখা প্রয়োজন। যাতে মাটির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে সহজেই প্রয়োজনীয় জল পাবে বনসাই।
এ প্রসঙ্গে বনসাই উৎপাদনকারী প্রণব মল্লিক জানান, গাছের জাত অনুযায়ী ইনডোর বা আউটডোরে রাখা প্রয়োজন। যেমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি সেমি সেডে ভাল থাকে, আবার কিছু গাছ রোদেই ভাল হয়। ছায়ায় থাকলে গাছের পাতা একটু বড় হয়। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে হলে, ঘরের মধ্যে একটানা দুই দিনের বেশি গাছ রাখা যাবে না। বিশেষ করে ইনডোর রাখতে হলে ছোট পাতার গাছ নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে গাছে গোল্ডেন এলইডি লাইট জ্বাললে উপকার হয়।
রাকেশ মাইতি